নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুন্যের গর্ভে- শেষ পর্ব( বিদায় বন্ধু...)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

... কিছুদিন পরে আমার এক বন্ধুর আমন্ত্রনে আবার মালদোভিয়ায় যাই । ভেবেছিলাম দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসব। কিন্তু ইচ্ছে অনিচ্ছায় কেটে গেল নয় মাস। মস্কোতে যখন ফিরে আসলাম তখন আর সে হোস্টেলে না উঠে আমার এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে উঠলাম সাবলেট হিসেবে। বছর দু-য়েক পরে দেশে ফিরে আসলাম।

এরমাঝে ওর সাথে দু-য়েকবার দেখা হয়েছে কিন্তু সে স্মৃতি ধোয়াটে হয়ে গেছে। তবে আমি যখনই যেখানেই ছিলামনা কেন ও সবসময়ই আমার খোঁজ খবর রেখেছ সরা সরি না হলে বন্ধু মারফত। আমিও চেস্টা করেছি ও কেমন আছে জানতে?

দেশে আসার কিছু আগে শুনলাম তন্ময় নাকি নামকরা এক প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করে। এতদিন শুনেছি ও নিজে বেকার থেকে সবাইকে নাকি চাকরি দেয় এখন সে নিজেই চাকরি করে শুনে কিছুটা সস্তি হল।



দেশে কেটে গেছে ততদিনে এক বছরের কিছু অধিককাল সময়। রুশীয় স্মৃতি প্রায় ভুলে গিয়ে আমি আমার মত স্বদেশী বনে ব্যবসায় হাত পাকাচ্ছি।

ছুটির দিনে অলসএক দুপুরে আমার রুমে ছোটভাই এসে বলল-

‘মস্কো থেকে এক বন্ধু নাকি আমার সাথে দেখা করতে এসেছে।’

কে হতে পারে ভাবতে ভাবতে ড্রইং রুমের পর্দ সরাতেই চমকে উঠলাম ..। ও আমাকে দেখে উঠে দাড়িয়ে একটু লাজুক হেসে বলল- ‘কেমন আছ?’

-আরে আপনি যে- কেমন আছেন? (তন্ময় আমার দু-য়েক বছরের সিনিয়র ছিল। সে আমাকে তুমি' সন্মোধন করলেও আমি হয়তো তাকে আপনি করেই বলতাম? ভুলে গেছি একদম ভুলে গিছে!)

আঃ কত বছর পরে কথা হল আমাদের। তবুও এ্যাতদিনের অনভ্যাস, জড়তা কাটতে সময় লাগল তবে পারলামনা আর আগের মত ঘনিষ্ঠ হতে।কিছুটা ছাড়া ছাড়া প্রশ্ন উত্তরে চলল আমাদের আলাপ ।

- ওকে দেখে বিস্মিত আমি তবুও বিস্ময়টা ভিতরে গোপন রেখে জিজ্ঞেস করলাম ‘বাসা চিনলেন কি করে?’

‘মামুনের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়েছি।’

‘ও ..। ওরা সব কেমন আছে?’

‘ ভালই। ব্যাবসা করছে। আগের থেকে অবস্থা এখন অনেক ভাল।’

কথা বলার সময় ওর দিকে তাকিয়ে দেখলাম অনেক শুকিয়ে গেছে । কন্ঠার হার বেরিয়ে গেছে। বলতে গিয়ে মনে হয় বারবার ঠোট শুকিয়ে আসছিল তাই একটু পর পরই ফ্যাকাশে জ্বিহ্বা খানিকটা বের করে ভিজিয়ে নিচ্ছিল ।চোখ জোড়া আরো বেশী গভীর ও উজ্জল মনে হচ্ছিল।

‘তারপর কিখবর বলেন?’

আবার লাজুক ভঙ্গিতে ফ্যাকাশে হেসে বলল- ‘এই আছি। তুমি কেমন?’

ছোট করে বললাম- ‘চলছে ।’

‘ রাশিয়া আবার কবে যাচ্ছেন। নাকি..?’

‘নাঃ। সামনের সপ্তাহেই চলে যাচ্ছি।’

‘ কি খাবেন?’

‘ কিছু না।' খানিকটা থেমে তার শুকনো ফ্যাকাসে ঠোটজোড়া ফের ভিজিয়ে নিয়ে বলল-'একটু ঠান্ডা পানি হবে ?’



পানির বদলে কোক খাওয়ালাম সাথে সামান্য নাস্তা ।

সেদিন সে আমার ওখানে মিনিট ত্রিশেক ছিল। সময়ের তুলনায় কথা হয়েছে সামান্যই। কেন যেন তার সাথে সহজ হতে পারিনি।

ফিরে যাবার সময় দরজার মুখে গিয়ে আচমকা ঘুরে সে খুব আন্তরিক ভাবে আমার হাত জোড়া ধরে বলল-‘সেদিনের ওই ব্যাপারটা ভুলে যেও।’

তার কথার মধ্যে এমন কিছু ছিল যে আমার চোখে জল এসে গেল। কিন্তু আবেগকে অতি কষ্টে দমন করে ক্লিস্ট হেসে তাড়াহুড়ো করে বললাম- ‘ও আমি ভুলে গেছি কবে!’

দরজা থেকেই বিদায় দিলাম। চলে যাবার পরে ভাবলাম ওর সাথে কিছুদুর এগিয়ে গেলে কি হত।

-তন্ময়ের সাথে সেই শেষ দেখা!



বছর খানেক পরে আমার রাশিয়া প্রবাসী বন্ধু 'জাকির' মস্কো থেকে আসলে ওকে নিয়ে ঘুরতে বেরুলাম। কথা প্রসঙ্গে তন্ময়ের কথা আসতেই ওর সারা মুখ জুড়ে বেদনার ছায়া ছড়িয়ে পড়ল ;বলল, তন্ময় নাকি খুব অসুস্থ! ‘কি সব ফাউল ডাক্তার দেখায় তারা ধরতে পারছেনা ওর কি রোগ।’

এখন ওকে নাকি দেখলে চেনাই যায়না, যেন বয়স একলাফে বেড়ে গেছে বিশ বছর।দেহ কঙ্কালসার।

ভীষন কষ্টে আমি কুঁকড়ে গেলাম! কি বলে?তাহলে কি ও শেষবারের মত আমার কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছিল? নাঃ বাজে শঙ্কাটা মূহুর্তেই উড়িয়ে দিলাম।ওর কিছুই হবে না।

তারও মাস ছয়েক পরে মামুনের কাছে জানলাম ও নাকি এখন দেশে। আমি তার কাছে জানতে চাইলাম ওর কোন ঠিকানা আছে কি না?

সে দুঃখ প্রকাশ করে বলল নেই। পরক্ষনেই সগোক্তির মত করে বলল -'কন্ট্রাক্ট করেই বা কি হবে। কে জানে ও এত দিন বেচে আছে কিনা?'

-মানে? দারুন বিস্ময়ে অস্ফুট আর্তনাতের স্বরে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম!

‘কেন তুই জানিস না?’ কপাল কুচকে সে অবাক দৃস্টিতে আমার দিকে তাকাল...

‘আমি শুনেছিলাম ও অসুস্থ।ডাক্তাররা নাকি ওর রোগ ধরতে পারছে না।ব্যাস এইটুকুই।’

‘ওর লিভার সিরোসিস হয়েছিল। মস্কোর ডাক্তাররা জবাব দিয়ে দিয়েছে।’

আমি চিৎকার করে শুধালাম ‘কি বলিস? কবে এসেছে দেশে?’

‘তা মাস দুয়েক হবে। ভারতে নিয়ে যাবার কথা ছিল নিয়েছে কিনা কে জানে?’

‘তোর সাথে শেষ কবে দেখা হয়েছিল ?’

‘আমিইতো ওকে ফ্লাইটে তুলে দিলাম। আমি মনে করেছি তুই সব জানিস। আসার সময় আমাকে জড়িয়ে ধরে কি কান্না ” কথা বলতে বলতে ওর কন্ঠে গাঢ় বাস্প জমল।

সে কান্না আমাকেও স্পর্শ করল।তবে চোখের কোল বেয়ে নয় হৃদয়ের গাত্র বেয়ে নিঃশব্দে -অতি সর্ন্তপনে ।

অনেক্ষন দুজনেই চুপচাপ। কথা হারিয়ে ফেরেছি যেন। মনের মাঝে আকুলি বিকুলি করছে অনেক অনেক অব্যাক্ত কথা যা হয়তো কখনোই বলা হবেনা।

বেশ খানিক্ষন পরে নিরবতা ভেঙ্গে ও বলল- মস্কোর শেষ দিনগুলোতে তন্ময়ের কথা;

‘হাসপাতালে ভর্তি হবার আগে মাঝে মধ্যেই অসুস্থ থাকত। চেহারা দেখে বোঝা যেত তার ভিতরের ভাঙন। পুরোনো বন্ধুদের কেউ মদ খেতে ডাকলে এড়িয়ে যেতে চেস্টা করত। কিন্তু তারা যখন তার পৌরষে আঘাত করে বলত ‘কি মিয়া সামান্য সর্দি কাশি হইছে তাতেই কাহিল? আপনি না খাইলে বোতলে মাইন্ড করবে ।’

তখন বাধ্য হত খেতে কিন্তু মদ গেলার সময় তার মুখের বিকৃত ভঙ্গী আর দেহের খিচুঁনী কারো চোখ এড়াত না।

আমি তাকে যখনই জিজ্ঞেস করতাম ‘আপনাকেতো অসুস্থ মনে হচ্ছে ভাল ডাক্তার দেখাচ্ছেন না কেন?’

তখন সে লাজুক হেসে মুখ উজ্জল চোখে চেয়ে বলত- ’ আরে মামুন ভাই ডাক্তার দেখায় কি হবে? আমাদের মত পোকা মাকর মরলেই কি আর বাঁচলেই কি।’

যেনি হাসপাতালে ভর্তি হবে সেদিন সকালেও সে আমার ওখানে একবার এসেছিল। প্রায় দিন দশেক পরে দেখা। আমিতো তার চেহারা দেখে আঁতকে উঠলাম। জিজ্ঞেস করলাম ‘আপনার এই অবস্থা ক্যান?’

প্রতিউত্তরে আবার সে লাজুক হেসে বলল ‘ দিন শেষ! অপরাধ করলে মাফ- টাপ কইরে দিয়েন।’

আমি তার কথার প্রতিবাদ করে বললাম ‘ কি যে আউল ফাউল কথা কন? ডাক্তার দেখান ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে।’

সে এবার ভীষন কষ্ট করে উচ্চস্বরে হেসে উঠল ‘হা - হা । কাইল ডাক্তার দেখাইছিলাম। পরীক্ষা কইরা কইল হাসপাতালে আজকের মধ্যেই ভর্তি হইতে।- ভীষন ক্লান্ত কন্ঠে বলল, শরিরটা এত খারাপ লাগে? দোয়া কইরেন।’

আমি অবাক হলাম এই প্রথম সে হয়তো কারো কাছে দোয়া চাইল? প্রচন্ড প্রান প্রাচুর্যে ভরপুর সদাউৎফুল্ল কেয়ারলেস তন্ময়ের চোখে এই প্রথম দেখতে পেলাম বিষাদের ছায়া!

ব্যাস্ততার জন্য কয়েকদিন তার খবর নিতে পারি নাই। দুঃসংবাদটা পেলাম ওর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু মারফত।

সেদিনই ছুটে গেলাম। হাসপাতালের ধবধবে সাদা বিছানায় পরে থাকা তার কঙ্কালসার দেহ দেখে আমি ভীষন চমকে উঠলাম! না দেখলে বিশ্বাস হয়না এতদ্রুত মানুষের মারিরিক অবস্থার এতটা অবনতি হতে পারে । মনে হচ্ছিল কোন সাকার মেশিন দিয়ে কেউ তার শরিরের অভ্যান্তরের সব অস্থি মজ্জা টেনে বের করে নিয়ে গেছে!

কাছে যেতেই ঘোলা চোখ মেলে সে তাকাল ঠোটের কোনে ফুটে উঠল এক চিলতে হাসি। সেটা বড় বিষাদের বড় কস্টের - যা এক নজর দেখলেই বোঝা যায়। আমি তার হাত ধরতেই দু ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল চোখের কোল বেয়ে। -অস্ফুট স্বরে বলল, ‘প্রচন্ড ব্যাথা মামুন ভাই। সহ্য করতে পারি না। আমি মনে হয় আর বাঁচব না মামুন ভাই। ’

আমি জানি তার দিন ফুরিয়ে এসেছে তাই মিথ্যে সান্তনা-ই দিতে হল ‘ধ্যাত! কিচ্ছু হবে না। এসব আলসারের ব্যাথা ছোট্ট একটা অপারেশন করলেই ঠিক হয়ে যাবে। কোন চিন্তা কইরেন না।’

আমার মিথ্যে সান্তনায় সে কতটুকু আস্বস্ত হল কে জানে। চোখ বন্ধ করে শীর্ন হাতখানা সামান্য তুলে আমার হাতটা আলতো করে ধরে কিছুক্ষন পরে ছেড়ে দিয়ে বলল ‘যান।’

ফেরার পথে হাসপাতালের কতৃপক্ষের কাছে আমার ফোন নাম্বার রেখে বলে এসেছিলাম যে কোন প্রয়োজনে ফোন করতে।

দু’দিন পরেই ওখান থেকে ফোন এল - ‘ তন্ময়ের নাকি এমারজেন্সি রক্তের প্রয়োজন? রক্তের গ্রুপ ‘ও’ নেগেটিভ। ’

তখুনি ফোন করে পরিচিত অপরিচিত সবাইকে রক্তের গ্রুপ জিজ্ঞেস করলাম ? রক্ত দিতে সবাই আগ্রহী –কিন্তু একজন ছাড়া আর কারোই গ্রুপ ম্যাচ করলনা। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। কথাচ্ছলে আমার এক রুশ বান্ধবীকে সে কথা বলতেই ও জানাল ‘ওর গ্রুপও নাকি ‘ও’ নেগেটিভ।’ আমি তাকে অনুরোধ করার আগেই নিজে থেকেই রক্ত দিতে চাইল!

তখুনি ওই দুজনকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটলাম। সেই রুশ মেয়েটা শুধু রক্ত দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। অপরিচিত বিদেশী একটা ছেলেকে আমার অনুরোধ বা অনুমতির কোন তোয়াক্কা না করেই অনেকদিন সেবা করেছিল ।

তন্ময় ওকে বোন ডেকেছিল। রক্তের বোন - আপন বোনের মতই নয়কি?

দিন পনের পরে ডাক্তাররা বলল- ওর আর বাঁচার কোন আশা নেই। ভাল হয় শেষের কটা দিন দেশে গিয়ে আত্মীয় স্বজনের মাঝে অতিবাহিত করুক।’



ওর জমানো কোন টাকা ছিলনা। আমরাই কয়েকজন মিলে চাঁদা দিয়ে টিকিট কেটে ওকে পাঠানোর ব্যাবস্থা করলাম। কিন্তু সমস্যা হল ওর সাথে একজন বিশ্বস্ত গাইড কাম নার্স দরকার? দেশে আসতে লাগে প্রায় তেরো ঘন্টা।

ওখানে ও দেশে এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন ঢাকা থেকে ফরিদপুর যাওয়া সব মিলিয়ে ন্যুনতম ঘন্টা বিশেকের ধাক্কা। একেতো চরম অসুস্থ তারপরে তাকে ছয় ঘন্টা পর পর কড়া ডোজে ব্যাথা নাশক ইন্জেকশন দিতে হয়। যখুনি ওষুধের ক্রিয়া কেটে যায় তখুনি নাকি সে তীব্র স্বরে আর্তনাত করে!

-কাকে পাঠাব? আমাদের সৌভাগ্য যে পরবর্তী ফ্লাইটেই আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর দেশে আসার কথা ছিল। তাকে তন্ময়কে টেক কেয়ার করার অনুরোধ করতেই সে রাজী হয়ে গেল।

তন্ময় ততদিনে ওর রোগের কথা জেনে গেছে। দেশে ফেরার কথা বলাতে প্রথমে ও রাজী হচ্ছিল না। পরে ওকে স্বান্তনা দিয়ে জানান হল ‘এই রোগের সবচেয়ে ভাল চিকিৎসা নাকি ভারতে হয়। সুস্থ হতে চাইলে তাকে দেশ হয়ে সেখানে যেতে হবে।’ আমরাও শুনেছিলাম ভারতে নাকি ক্যান্সারের খুব ভাল চিকিৎসা হয় ।

অবশেষে সে রাজী হলে কোন এক সন্ধ্যায় ব্যাথানাশক ড্রাগ পুশ করে একটা হুইল চেয়ারে করে এয়ারপোর্টে নিয়ে গেলাম। অনেকে গিয়েছিল সেদিন। সবাই জানত তন্ময়ের সাথে এই শেষ দেখা। ...পৃথিবির খুব কম সৌভাগ্যবানদেরই শেষ বিদায় এমন ঘটা করে হয়।

বিদায়ের আগে সে ঢুলু ঢুলু চোখে আমার কানের মুখটা এনে অতি কস্টে ভাঙ্গা ভাঙ্গা ফিস ফিস করে বলল,

‘আমি কি বাঁচব? আমার এখন খুব বাচতে ইচ্ছে করছে মামুন ভাই!’

কথা শেষে আমার হৃদয় চিরে বেরিয়ে এল দীর্ঘ- দীর্ঘ শ্বাস! আমার এই শ্বাস কি তাকে আর স্পর্শ করবে?

কি জানি? কোথায় সে? হয়তো চিরতরে হারিয়ে গেছে মহা শুন্যের গর্ভে?

...শেষ

ফুটনোটঃ তন্ময় মাত্র উনত্রিশ বছর বয়সে মারা যায়। যতদুর জানি বাংলাদেশে ফিরে আসার পরে তার পরিবার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে তাকে বাঁচিয়ে রাখবার জন্য। কোন আশা নেই জেনেও তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে ভারতে পাঠিয়েছিল পরে যুক্তরাষ্ট্র অব্দি।

তন্ময়(ছদ্মনাম) সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিল নব্বুইয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে। ছাত্র রাজনীতির কারনেই হয়তো এরশাদ পরবর্তী ক্ষমতাসীন দলের রোষানলে পড়ে সে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল(আমার ধারনা-কিংবা অন্যের মুখে শুনেছি- সে কখনো বলেনি আমাকে।)

বন্ধু মামুনের জবানীতে শেষের এই অংশটুকু আমার লিখতে সময় লেগেছে সূদীর্ঘ তের বছর! শেষের এই অংশটুকু যতবার-ই লিখতে বসেছি ততবার-ই প্রচন্ড ভাবাবেগে নিজেকে সংযত করতে না পেরে লেখায় ক্ষান্ত দিয়েছি।

মৃত্যুর পরে একজন মানুষের সব গোপনীয়তা শেষ হয়ে যায় বলে আমি মনে করিনা- তাইতো তার ছদ্ম নাম দিলাম।

স্বভাবতই লেখাটা আমি আমার সেই ক্ষনজন্মা মৃত বন্ধুকে উৎসর্গ করছি। তন্ময় তার প্রতিভার অপচয় করেছে-জীবনটাকে নিয়ে খেলেছে। আমি চাইনা এই লেখার মাধ্যমে তন্ময়কে কেউ অনুসরন করুক। মহামূল্যবান এই জীবনকে তুচ্ছ ভাবার কোন কারন নেই।

আগের পর্বগুলোর জন্য:

পর্ব৭- Click This Link

পর্ব ৫ ও ৬- Click This Link

প্রথম পর্ব- Click This Link

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

সবুজ সাথী বলেছেন: শেষ পর্বে এসে মনটা খারাপ হয়ে গেল।

পর্বটা শেষ করার জন্য ধন্যবাদ।
এবার আলকাশ শুরু করেন।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: :( মন খারাপ হবার মতই ব্যাপার! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পুরো লেখাটায় সঙ্গে থাকবার জন্য।
তাই ভাবছি এবার শুরু করব। ভাল থাকুন।

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

তূর্য হাসান বলেছেন: তন্ময়ের জন্য খুব কষ্ট লাগছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: :( ধন্যবাদ ভাই তূর্য হাসান।ভাল থাকুন নিরন্তর।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

ঘাসফুল বলেছেন: এই সিরিজটা আবার চোখ বুলালাম... আহা, কতো আদরের জীবন ছিলো তার। ছাত্র রাজনীতিই তার জীবন ধ্বংসের কারন হলো...

লেখাটা অন্তরকে ছুঁয়ে গেলো... অনেক অনেক দিন মনে থাকবে...

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: বরাবরের মত সাথে থেকে অনুপ্রেরনা দেবার জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ আপনাকে 'ঘাসফুল'।
পরের লেখা পড়ার আমন্ত্রন রইল-ভাল থাকুন।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

মামুন রশিদ বলেছেন: দারুণ একটা সিরিজ শেষ হয়ে এলো । তন্ময়ের জন্য খারাপ লাগছে ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মত ব্লগারদের উৎসাহ আর অনুপ্রেরনাতেই এই সিরিজটা শেষ করতে পারলাম।
সঙ্গে থাকবার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। শুভ কামনা রইল ভাই 'মামুন রশিদ' ভাল থাকুন।

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: রাশিয়া সমন্ধে আপনার লেখা একবার সময় করে পড়ে ফেলবো। আমি বছর খানেক রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ছিলাম। রাশিয়ার গণ-মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার জন্য গিয়েছিলাম। থাকতে পারিনি, চলে এসেছি। ভালো থাকবেন, কথা হবে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম পড়বেন -সেই সাথে আপনার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করবেন। আপনিও ভাল থাকবেন-ধন্যবাদ।

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

কালোপরী বলেছেন: sorry

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: হাসি ছেড়ে স্যরি-কেন এ দূর্মতি?
ভাল থাকুন।

৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: তন্ময় ভাইয়ের এমন পরিণতি হবে ভাবতে পারি নি। আপনার লেখার মাধ্যমে মনের কোথাও সে একটা জায়গা করে নিয়েছিলো, তাই হয়তো এত বিষণ্ণ লাগছে...

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: তন্ময় বেঁচে থাকলে এই রেখাটা হয়তো কোনদিন লেখাই হত না।
ওর প্রতি সহানুভুতির জন্য রইল কৃতজ্ঞতা।
ধন্যবাদ আপনার বরাবর সাথে থেকে সুচিন্তিত মতামতের জন্য। ভাল থাকুন।

৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৮

ধানের চাষী বলেছেন: বিচ্ছেদের একটা আভাস আগেই থেকেই পাচ্ছিলাম, কিন্তু এইভাবে তন্ময়ের চিরতরে চলে যাওয়া একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল।

এক হিসেবে আপনি কিন্তু বেশ সৌভাগ্যবান। বন্ধুত্বের যন্ত্রনা বেশ উপভোগ করতে পেরেছেন।

পৃথিবীর সকল ভালো বন্ধুদের জন্য শুভকামনা থাকলো।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: সেটাই পাওয়অ স্বাভাবিক। বন্ধু শত্রু নির্বিশেষে কোন মানুষেরই মৃত্যু কাম্য নয়।
হয়তো সৌভাগ্যবান? কিন্তু এমন সৌভাগ্যের খুব বেশী প্রয়োজন নেই :(
আপনার প্রতিও রইল শুভকামনা।

৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মহামূল্যবান এই জীবনকে তুচ্ছ ভাবার কোন কারন নেই।


তন্ময় দের মত আফুরান প্রানশক্তি গুলো কে নিঃশেষ হতে দেখলে, আমার বরাবরই এই কথা গুলি চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে ।।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে দেখে আসছি তন্ময়দের ...
কেউ কেউ উৎরে যায় সাধারন একটা জীবন নিয়ে ,বেশীরভাগ পরিসমাপ্তি বিষাদ ময় ............।।


আপনার লেখাগুলোর ভীষণ ভাবে মন ছুঁয়ে যায় ...
অভিনন্দন দারুন একটা সিরিজ এর জন্য ...

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১০

শেরজা তপন বলেছেন: :( সত্যিই কিছু মানুষ জীবনটাকে তুচ্ছ করে ভাবে বীরত্বের প্রকাশ! কি আহাম্মকীয় চিন্তাধারা!! আসলে এখানে বয়স একটা বড় ফ্যাক্টর- বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষ নিজেকে বেশী বেশী করে ভালবাসতে শুরু করে।
আপনার সাথে সহমত।
আপনার মত ব্লগার কাম লেখকদের এমন দারুন সব মন্তব্য আমাকে উৎসাহিত ও উদ্দীপ্ত করে চরমভাবে।
আপনি ভাল থাকুন সবসময়ের জন্য- শুভ কামনা রইল।

১০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১২

অশুভ বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেলো। তন্ময় ভাইয়ের জন্য অনেক কষ্ট হচ্ছে।
আপনার নতুন কোনো লেখার অপেক্ষায়...

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: ভাই (অ)শুভ- সবিশেষ ধন্যবাদ আপনাকে নিয়মিত আমার লেখা পড়ে মন্তব্য করার জন্য। আপনাদের মত ব্লগারদের একান্ত সহচর্য ও অনুপ্রেরণা আমাকে কিছু একটা লিখতে দারুনভাবে সাহায্য করে।
অপেক্ষায় থাকার জন্য আমার কৃতজ্ঞতা। পরের পর্বগুলোতেও আপনাকে এভাবে পাশে পাব এই প্রত্যাশায়...

১১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

অদৃশ্য বলেছেন:





আহ্‌... খুব কষ্ট পাচ্ছি তপন ভাই...



শুভকামনা...

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় ব্লগার ভাই অদৃশ্য, আমি কষ্ট পাচ্ছি এত দেরিতে আপনার মন্তব্যের উত্তর দেবার জন্য। ফালতু কিছু ব্যস্ততার জন্য-সময় করে উঠতে পারিনি। আমিতো বলতে গেলে আপনাদের লেখায় মন্তব্য করিই-না উল্টো আমার লেখায় আপনাদের মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি করে ফেলি- এটা অমার্জনীয়।
তবুও ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ভাল থাকুন।

১২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো লাগলো। কিন্তু মন খারাপ হয়ে গেলো। আপনার লেখার মাধ্যমে তন্ময়ের প্রতি একটা আলাদা ভালোলাগা তৈরী হয়েছিল। তাই এরকম পরিণতি মেনে নেয়া কষ্টের। তিনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন এই প্রার্থণা করি।


চমৎকার একটা সিরিজ উপহার দেবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ সবসময়ে আমার লেখা পড়ে এমন দারুন সব মন্তব্যের জন্য। উত্তর দিতে দেরির জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
তন্ময়কে এখন আমি ভীষন মিস করি।ওর প্রতি সহানুভূতির জন্য রইল কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন সর্বক্ষন!

১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

ফ্রুলিংক্স বলেছেন: তন্ময় ভাইয়ের জন্য প্রার্থনা।

আপনার লেখার মধ্যে একটা জাদু আছে। প্রত্যেকদিনই আপনার ব্লগে এসে উকি দেই।
আলকাশ পর্ব আবার শুরু করেন।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: ওর প্রতি প্রার্থনার জন্য কৃতজ্ঞতা।
তাই নাকি? আপনার প্রশংসায় ধন্য ও সিক্ত হলাম! আলকাশ পর্ব শুরু করব শিঘ্রি- একটু সময় করে গুছিয়ে লিখতে হবে যে, গ্যাপ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে সাজাতে পারছিনা। সব সময় আপনার সঙ্গ কামনার প্রত্যাশায় রইলাম। ভাল থাকুন।

১৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৪

আমি রুবেল বলেছেন: ফ্রুলিংক্স বলেছেন: তন্ময় ভাইয়ের জন্য প্রার্থনা।

আপনার লেখার মধ্যে একটা জাদু আছে। প্রত্যেকদিনই আপনার ব্লগে এসে উকি দেই।
আলকাশ পর্ব আবার শুরু করেন।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: এটা কি আপনারও মনের কথা? জেনে আপ্লুত হলাম! ভাল থাকুন ভাই-অনেক শুভেচ্ছা রইল।

১৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

দখিনা বাতাস বলেছেন: তন্ময় জানতো না তার ভিতরে কতখানি সম্ভাবনা ছিল, জীবনটা কত সুন্দরভাবে কাটানো যায়। আর আপনি জানেননা, আপনার লেখার হাত কতখানি ভালো। বই প্রকাশ করেননা কেন আপনি? ব্লগের লেখা গুলো দিয়েই তো একটা বই বের করতে পারেন চাইলেই।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: ভাই দখিনা বাতাস, আমার প্রয়াত বন্ধু তন্ময় সন্মন্ধে এমন ধারনা পোষন করার জন্য রইল কৃতজ্ঞতা!
সবার দিয়ে সব কিছু হয়না ভাই। ভাল খারাপ বুঝিনা- যদি কখনো মনে করি আমার লেখা সব ধরনের পাঠকদের পড়ার উপযোগী হচ্ছে তখন না হয় চেষ্টা করব।
প্রীত হলাম দারুন আপনার মন্তব্যে।সবিশেষ ধন্যভাদ আপনাকে।
ভাল থাকুন নিরন্তর।

১৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: ভালো লাগলো। চমতকার একটা সিরিজ!

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমারও ভাল লাগল জেনে -অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য।

১৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিত্য তুমি হে উদার, সূখ দুখে অবিকার

ভাঙ্গিছ গড়িছ নিতি নিরজনে...

প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা
আনমনে প্রভু আনমনে- খেলিছ!!!!

আমাদের জ্ঞান, আমাদের বোধ, আমাদের বাঁচা-মরা আমরা পারলাম কই...
কোন অদৃশ্য সূতোয় বাঁধা শুধু নড়িচড়ি পুতুল নাচের পুতুল হয়েই...

শুন্যের গর্ভে মহাকালের গর্ভে আমাদের অনিশ্চিত যাত্রায় সবাই যাত্রি!

তন্ময়ের যাত্রা টা কেমন ভিষন দু:খি করল!
আচ্ছা আসলেই কি এটা দু:খের! কেন?
তন্ময় যদি ভাল রেজাল্ট করে, আটপৌরে সাধারনের মতন টাকা-পয়সা স্ত্রী সন্তান রেখে পরে শুন্যের গর্ভে হারাত তখন কি দু:খি হতাম না? সেটাই কি পূর্ন সাফল্য?
না, বোহেমিয়ান জীবনে আনন্দকে নিংড়ে নিয়ে চলে যাওয়াই ব্যর্থতার??!

কি জানি? কে জানে? এর উপরে ওঠার চেষ্টা কেউ করে না যে!!!!!!





১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০০

শেরজা তপন বলেছেন: হুমম আমিও ভাবি মাঝে মধ্যে- তন্ময় কি আসলে ভুল করেছিল। কি আর এমন হতো সে আরো দু-চার দশ বছর বেচে থাকলে? কি-ইবা হত সে অতি সাধারনের মত জীবন যাপন করলে?
তবে তার একটা কথা আমার কানে বাজে,'মামুন ভাই আমার এখন ভীষন বাঁচতে ইচ্ছে করে!'
তার এ-ই আকুতিটা আমাকে চরম কষ্ট দেয়।এধরনের জীবন যাপনে অভ্যস্ত মানুষ মৃত্যুকে ভয় পায়না-কিন্তু সে পেয়েছিল। ধারনা করছি যে সে আমাদেরই মত আটপৌড়ে সুস্হ্য(আপাত দৃষ্টিতে) একটা জীবনের কল্পনা মনের মধ্যে পুষে রেখেছিল।
আরেকটা কষ্ট আমি আমার ভাল একজন বন্ধু আর শুভাকাঙ্খীকে চিরতরে হারালাম বলে।
আপনার মন্তব্য আমাকে ছুয়ে গেল। সময় পেলে কখনো ডিটেল কথা বলব।
ভাল থাকুন নিত্যদিন।

১৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

লিখেছেন বলেছেন: nice

১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সবসময়।

১৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অনেক বেশী আবেগ জমা হলে তার প্রকাশ অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এই লেখাটা সেই ধরনের..........

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: কি বলব-এখানেও বলার কিছু নেই... :(

২০| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: সবগুলো পর্ব পড়েছি, তন্ময়ের জন্য খুব খারাপ লাগছে। মানুষের জীবনে কখন কি ঘটে যায় কেউ বলতে পারেনা। একটা জীবন কি নিদারুন হাহাকার বয়ে বেড়ায় কেউ টের পায় না।
ভাল থাকবেন, শুভ কামনা।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি আমার এই কাহিনীর সবগুলো পর্ব পড়েছেন জেনে আমি ভীষন আনন্দিত বোধ করছি।
সে ছিল আমার অতি প্রিয় এক বন্ধু। তার নিদারুন হাহাকার আমি যেভাবে উপলব্ধি করেছি সেটা লেখায় ফুটিয়ে তুলতে পারিনি।
ধন্যবার ভাই। সুযোগ পেলে আমার অন্য লেখাগুলো পড়বেন আশা রাখছি

২১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আমি সাজিদ বলেছেন: তন্ময়ের মধ্যে কি যেন একটা ছিল আমাকে আকর্ষন করেছে। আমারও খারাপ লাগছে তন্ময়ের জন্য।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: এতদুর এসে গেছেন ভ্রাতা!!
আমার আন্তরিক ধন্যবাদ নিবেন - এতদিন পড়ে তন্ময়ের কথা মনে পড়ে বেদনা অনুভব করছি।
ভালথাকুন সবসময়। আমার লেখার প্রতি আপনার ভালবাসা আমার হৃদয় স্পর্শ করল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.