নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
অবশেষে দোভাষি হিসেবে বেশ আকর্ষনীয় একটা চাকুরি পেলাম! মইনের কোন একটা কাজে লাগছি ভেবে নিজের কাছেই বেশ ভাল লাগছিল।
তবে বেতনভুক নয়। মইনের একান্ত আগ্রহে ও স্ব-ইচ্ছাপ্রণোদিত! মনটাকে নির্লোভ করে সব আদর্শ ঝেড়ে ফেলে মইনকে জিগার দোস্ত ভেবে এবার উঠে পড়ে লাগলাম-ওদের প্রণয় করাতেই হবে।
গ্রীস্মের ছুটি শেষ। লারিসার পরাশুনার থেকে স্পোর্টস এ আগ্রহ বেশী। তবুও বাপ-মায়ের দাবড়ানিতে কলেজে যায়। কলেজ থেকে ফিরে বিকেলে ফের ব্যালের প্রশিক্ষনে। এবার অলিম্পিকে মালদোভা থেকে তার যাবার বেশ ভাল সম্ভাবনা আছে। অবসর সময়টুকু তার কাটে আমাদের সাথে। কাটে না বলে আমরা কাটাতে বাধ্য করি বলতে হয়।
সিগারেট আর কড়া মিঠে লাল পাণীয়ের লোভে সেইসাথে খানিকটা সঙ্গভোগের জন্য সে এখানে আসে। সারাদিন লারিসার অদর্শনে হা পিত্যেস করতে থাকা মইন বিকেল হলে পরিপাটি পোষাক পরে-চুল নিয়ে অনেক তেলেসমাতি করে সারা গায়ে পারফিউম মেখে অতিথির মত বসে মিটি মিটি হাসতে থাকে।
লারিসা সরাসরি চলে যায় বারান্দায়-সেখানে পাতা ডিভানটায় কিছুক্ষন ঝিম মরে বসে থেকে মৃদু স্বরে আমাকে অনুরোধ করে একশলা সিগারেট দেবার।
মইন যেন এই অপেক্ষায় ছিল-সে লাফ দিয়ে উঠে গিয়ে ড্রয়ার থেকে নতুন সিগারেটের প্যাকেটটা বের করে আমার হাতে দিয়ে বলবে-যান পুরাটা খাওয়ান।
আমি লারিসাকে সিগারেট দিতে গেলে সে আমাকে তার পাশে বসতে বলে। কখনো খানিকটা নিচু কন্ঠে ছাড়া ছাড়া কখনোবা উচ্চ কন্ঠে তড়বড় করে।
মইন ঘরে বসে অপেক্ষা করে ওর মুড বোঝার।
মুড ভাল বুঝলে ওয়াইনের বোতল নিয়ে হাজির হয় বিগলিত হেসে আর পরিবেশ থমথমে হলে কোন এক ছুতোয় আলতো করে গিয়ে আমার পাশে বসে। উদ্ভট আলাপ জুড়ে দেয়। লারিসাকে উদ্দেশ্য করে তার প্রশ্ন সব; অর্থ বিত্ত প্রেম বিয়ে নিয়ে।'
জিজ্ঞেস করেননারে ভাই,ওর কোন পছন্দের ছেলে আছে?
আমি প্রশ্ন করি তেমনটাই- লারিসা সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে ফিক করে হেসে উড়িয়ে দেয়।
কথার ফাঁকে আসে আস্তে মইনের প্রসঙ্গে আসি। ভ্রু কুঁচকানো ভাবটা কমেছে তার- এখন বেশ খানিকটা সহজ হয়েছে সে। মানুষ কিভাবে অর্থ কামায় এরা জানেনা-তাই বেশ ভাল রোজগারপাতি করা মানুষদের এরা অন্য চোখে দেখে।মইন এদের কাছে বেশ কেউকেটা একজন। এমন একটা মানুষ ওর জন্য এত সব ত্যাগ স্বীকার করে ভেবে ও দারুন গর্বিত হয়। আমি যে অন্যের উচ্ছিস্টে মানুষ সেটা ভেবে সে হৃদয়ের আকুলতাকে সন্তর্পনে পাশে সরিয়ে খানিকটা করুনার দৃষ্টিতেই দেখছে ইদানিং।
আমি অবশ্য বেশ আনন্দিত আমার প্রতি ওর দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টে গেছে দেখে।
ভাবি এবার তাহলে বরফ গলবে।
মইন এমনিতে খানিকটা ভিতু,স্নায়বিক দৌর্বল্যগ্রস্ত আর লাজুক টাইপের-যেটা লারিসার সামনে প্রকট হয়। তবে এলকোহল পেটে পড়লে সে অনেক বেশী সাবলীল।
তাই বিকেল থেকেই তার চোখের কোনে রঙ লাগতে শুরু করে। লারিসা আমাদের রুমে আসার আগেই সে নার্ভাস ভাবটা অনেকখানি কাটিয়ে ওঠে।
আমাদের সাথে গল্পে বসে আরো দু-চার পেগ গিলে বেশ চনমনে উৎফুল্ল হয়ে যায়। তখন তার মুখে কথার তুবড়ি ছোটে। শেষমেষ সে রুমানিয়ান ভাষাতেই শুরু করে লারিসার সাথে গপ্পো-মেয়েটা কিছুই বোঝেনা বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে থাকে তার দিকে। ব্যাপারটা বেশ করুন হাস্যকর! লারিসার অনুরোধে আমাকেই ফের উদ্ধারকর্তা হিসেবে ছুটে যেতে হয়-ভাষার ঝামেলা মেটাতে।
আমার ধারনা ভিতু লাজুক ভাবটা আর স্নায়বিক দৌর্বল্য কাটানোর জন্যই মইনের অ্যালকোহলের আসক্তির শুরু। যে কোন পার্টিতে যাবার আগে- কোন মিটিং এর আগে দু-চার পাত্তর ওয়াইন ভদকা কিংবা কনিয়াক পান না করে সে বের হত না। লারিসার সাথে পরিচয়ের পরে সেটা এখন নিয়মিত হল।
লারিসার খানিক ব্যস্ততায় আমরা খানিকটা উপকৃত হলাম। ছুটি ছাটার দিনগুলো বাদে আমরা গুহাবাস থেকে বের হওয়া শুরু করলাম।মইন কিছুটা ইচ্ছে অনিচ্ছায় আর আমার তাড়ায়। এ শহরে যে জনা বিশেক বাঙ্গালী আছে তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ শুরু হল-ব্যাবসাকে খানিকটা প্রসার করার নিমিত্তে যেটা ভীষন জরুরী। আদম রাখার জন্য নতুন বাড়ি খুজে বের করা পুরনো আদমগুলোর খোজ খবর নেয়া একটা রুটিন ওয়ার্ক যেটা এদ্দিন ভুলে ছিলাম। গ্রীস্মের এই এই মধ্যিখানে ঘরে বসে থাকার কোন মানেই হয় না।
পার্কের পরিবেশ এখন দারুন মনোরম। কোন কাজ না থাকলে পার্কে বসে আড্ডা দিই। কিষিনেভের সেই পার্কটার সাথে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। কখনো দু-জন কখনো চারজন কখনোবা মলদোভির সব বাঙ্গালী এসে জড়ো হত সেই পার্কে। সবার সাথেই সবার ঘনিষ্ঠতা যা প্রায় বন্ধুত্বের পর্যায়ে পড়ে। পৌঢ় বৃদ্ধ নয় কেউ যৌবনের প্রারম্ভ সবার- সংসার পাতেনি তখনো কেউ। প্রায় অবসর সবারই সারাদিন -বাড়িতে ফেরার তাড়া নেই। গালগপ্পো, কৌতুক, গান, নিত্য নতুন বাহারী খাওয়া চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দর্শনীয় কিছুকে উপভোগ করাই ছিল সেই আড্ডার অনুসঙ্গ।
এখানে মুলত আসে প্রেমিক জুটি, বৃদ্ধা আর শিশুর হাত কিংবা পেরাম্বুলেটার ধরে গর্বিত মায়েরা। পেরাম্বুলেটার-এ শুয়ে থাকা বাচ্চাগুলো যেন মোমের পুতুল-একদম শান্ত নিরীহ। চুপ চাপ শুয়ে থেকে শুধু এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে। কাউকে টুঁ-ফ্যা করতে শুনিনি কোনদিন। আমাদের চোখ ঘুরে ফিরে যেত জুটিগুলোর দিকে। কত ধরনের রঙ তামাশা, চুম্বন আদর আর খুনসুটি যে চলত তাদের মধ্যে তার ইয়ত্বা নেই। পুরো পার্কে আমরাই কয় বান্দর তাদের সেই কান্ড কারখানা দেখে নিজেদের মধ্যে গুজুর ফুসুর করতাম আর ঠা ঠা করে হাসতাম। প্রেম করে ওরা- বাপরে! এতবেশী গলাগলি ঢলাঢলি দেখে মনে হত মানুষ এ্যত্তো ভালবাসে ক্যামনে?
তবে মইন এসব দেখে কখনো উদাস-বিমর্ষ হয়। সে হয়তো ভাবে লারিসার কথা-ওকে নিয়ে সেকি কোনদিন এমনি উদ্দাম প্রেমলীলায় মেতে উঠতে পারবে?
সপ্তম পর্ব শেষ।
আগের পর্বের জন্য: Click This Link
আলকাশ প্রথম পর্বের জন্য:
http://www.somewhereinblog.net/blog/sherzatapon/29732358
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই 'শরৎ'।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৮
ফেরারী রাইন বলেছেন: ভালও লাগলও
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আগের পর্বগুলো কি পড়েছেন?
ভাল থাকুন।
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০০
সোহানী বলেছেন: এতো ছোট কেন???? আরেকটু বড় করেন .. পড়ে মনে হলো কিছুইতো জানা হলো না...
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: তা ঠিক-একটু ছোটই হয়ে গেছে
কি করব লিখতে ইচ্ছে করেনা!
তবুও ধন্যবাদ বরাবরের মত আমার ব্লগে আসার জন্য। ভাল থাকুন।
৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০২
অশুভ বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার লেখা পেলাম। ভালো লাগলো।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: লেখক বলেছেন: হ্যা সেই কারনেই অনেকদিন পরে আপনারও দর্শন পেলাম। আনন্দিত হলাম দেখে।
ভাল থাকুন ভাই অশুভ।
৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৫
রবিউল ৮১ বলেছেন: মইন এসব দেখে কখনো উদাস-বিমর্ষ হয়। সে হয়তো ভাবে লারিসার কথা-ওকে নিয়ে সেকি কোনদিন এমনি উদ্দাম প্রেমলীলায় মেতে উঠতে পারবে?-----সবার ভিতরেই এমন মইন বসবাস করে।সুযোগ পাইলে বের হয়ে আসে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২০
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা ঠিক তাই- আমরা সবাই-ই প্রায় একই রকম চিন্তা করি।
মন্তব্যের জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ- ভাল থাকুন নিরন্তর।
৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
ঘাসফুল বলেছেন: গুড গড- কোন ফাঁক দিয়ে পোষ্টটা চলে যাচ্ছিলো... বর্ণনা পড়ে কিষিনেভ পার্ক টা দেখতে ইচ্ছে করছে...
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: হুম মন খারাপ করার মত ব্যাপার হয়ে যেত!
চলেন যাই ফের একবার দেখে আসি মন ভরে মিশু'র সেই কিষিনেভ কে
৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লাগলো ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে পেয়ে বেশ ভাল লাগল মামুন ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ -ভাল থাকুন সব সময়ের জন্য।
৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭
মুহিব বলেছেন: vai ektu mail dien.
[email protected]
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: কি ব্যাপার জরুরী কিছু নাকি?ঠিক আছে দিলাম এবং প্রতি উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম...
৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেকদিন পর আলকাশ !! প্রায় ভুলেই যেতে বসেছিলাম। যা হোক, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আশা করি ভাল আছেন
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: সেরকমটাই হবার কথা।
মনে রাখার জন্য অনেক ধন্যবাদ- ভাল থাকুন সারাক্ষন।
হ্যা ভাই ভাল আছি।
১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫০
ধানের চাষী বলেছেন: কোন ফাঁকে যে পোস্ট দেন !
আপনার পোস্ট চেক করার জন্যই লগইন করলাম ...
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: বরাবরের মত ধন্যবাদ পোষ্ট পড়ে মন্তব্যের জন্য। দেখেন উত্তর দিতে মাত্র আট মাস দেরি করলাম। কত সিরিয়াস লেখক আমি। হিসাব কিতাব করে লেখা দিলে আইজ মনে হয় একজন লেখক হইতাম!
১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৭
বেলা শেষে বলেছেন: আগের পর্বগুলো কি পড়েছেন? yes i had read them, all of them are very beautiful-marvelous....
you are a very super good writer-
up to next time...
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: থ্যাংকু... জেনে দারুনভাবে প্রীত হলাম! ভাল থাকুন
১২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
তূর্য হাসান বলেছেন: অনেক দেরি হয়ে গেল আসতে
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: সমস্যা নাই- উত্তর দিলাম আরো দেরিতে!
১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩২
মুহিব বলেছেন: ভাই কি আলকাশ এ আছেন?
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: হ্য সেইরকমই। দিনের নব্বুই ভাগ সময় যাচ্ছে আকামে- আর বাকি কামের দশ ভাগ সময় ভাবছি কি করব?
আপনার অনলাইন পত্রিকার কি খবর। আপডেট নাই যে?
১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮
সবুজ সাথী বলেছেন: তপন ভাই, হারাইলেন কোথায়। ফেবুতেও আর দেহিনা।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: হারাই নাই- এইতো আছি। একবারে হারানোর অপেক্ষায় আছি...
১৫| ০২ রা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২
ঘাসফুল বলেছেন: মিস ইউ ম্যান...
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: আই মিস ইউ টু ব্রো...
১৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮
লিখেছেন বলেছেন: excellent
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: ভীষন দেরিতে ধন্যবাদ- মাফ করে দিয়েন
১৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬
অন্যনায়ক বলেছেন: ছোটবেলায় রাশিয়ার প্রেমে পড়েছিলাম রাঁদুগা প্রকাশনীর বিভিন্ন বই পড়ে। আতিয়া, পাভেল, নাতাশা, ইভান, চুক প্রভৃতি নাম যেন অনেক পরিচিত হয়ে উঠেছিল। আর তরুণ বয়সে এসে আমার সেই প্রেমকে উস্কে দিয়েছিল আপনার ‘রুস্কাইয়া ব্লুদা’ শিরোনামের ধারাবাহিক ব্লগ। আর ‘আলকাশ’ সেটা বজায় রেখেছে সফলভাবে। অনেক ভাল লাগে ভাই… খুব চমৎকার লেখনী আমার রুশ প্রেম গুণ ভাগে একাকার করে তোলে।
১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। জেনে দারুন আনন্দিত হলাম। সাথে থাকুন -সামনে সময় পেলে আরো কিছু রুশীয় গল্প শোনাব।
সবসময় ভাল থাকুন-সুন্দর থাকুন।
১৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
অন্যনায়ক বলেছেন: আপনার লেখার ভক্ত হয়ে গতবছর ফেবুতে ঢু দিয়েছিলাম। সেখানে আপনার একটা পেইজ পাই। যদিও খুব একটা আপডেটেড নয়। এখন আর সেটাও খুঁজে পাই না। ব্লগ ছাড়া কোনভাবে কি টাচে থাকা যায় আপনার। আপত্তি না থাকলে যদি বাতলাতেন।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: কেন ভাই ফেসবুকেতো মাঝে মধ্যে ঢু মারি! আলকাশ আমার লেখার সর্বনাশের মুল। এই একটা ধারাবাহিক লিখতে গিয়ে আমার অন্য সব লেখায় জগা খিচুড়ি পাকিয়ে গেছে- সময় করে একটু লিখতে বসলেই আরো দশটা লেখামাথায় এসে গুতোগুতি করে। তাই কোনটাই লেখা হয় না।
এমনকি রোজনামচা লেখাটাও বন্ধ হয়ে গেছে।
আরেকটা সমস্যা অবশ্য আছে সেটা হল অভ্র'র নতুন সংস্করন। পুরনো অভ্যেস ভেঙ্গে নতুন ধাঁচে লিখতে গিয়ে মেজাজ খিচড়ে যায়। সব মিলিয়ে সাকুল্যে এ বছর দশ-বারো পাতা লিখেছি!
আগে ফেবু আর ব্লগে বেশ খানিকটা সময় দিতাম। এখন প্রায় সারাক্ষনের সঙ্গী ট্যাব আর আই ফোনে বাঙলায় উত্তর দিতে গিয়ে নাজেহাল হই - তাই একটু দুরে দুরে থাকি। শুধু অফিসে এসে ডেক্সটপে যতক্ষন বসি তার খানিকটা সময় এখানে এসে কাটে-তাও ব্যাস্ততা এই সময় টুকুও কেড়ে নেয়।
ভয়ঙ্কর বিপদে আছি রে ভাই! কত গল্প ভিতরে জমে আছে- সারাক্ষন নতুন লেখার প্লট নিয়ে ভাবি কিন্তু লেখা আর হয় না। সে ভীষন এক যন্ত্রনা-এ যন্ত্রনা থেকে মুক্তির উপায় কি জানিনা...
ফেবু-তে আমি আছি কোন কিছু বলতে চাইলে বলবেন সময় করে উত্তর দিব। আমি খুব কুঁড়ে মানুষরে ভাই। দেরি দেখে হতাশ হতে পারেন।
১৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৯
অন্যনায়ক বলেছেন: সমস্যা নেই আইডিয়া যখন আছে সেগুলো একটা একটা করে বেরিয়েও আসবে। তবু তো আপনার লেখাটা হয়। আমি তো ফরমায়েশি লেখায় হারিয়েছি। ভাই আপনাকে আমি ফেসবুকে খুজে পাই না। আমাকে এখানে একটু নক করলে খুশি হতাম ছোট ভাই হিসেবে...
১২ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: আমি হারিয়ে যাইনি- আছি বেঁচেবর্তে এখনো! কেমনে যেন লেখালেখিটা একেবারে বন্ধ হয়ে গেল ভাই! এই লকডাউনে একটু ফুসরত পেয়ে ভেবেছিলাম, এবার হবে! আটঘাট বেঁধে বসেছিলাম- কিন্তু কাজ হল না! তারপরও হাল ছাড়িনি, ফেসবুকে আমি ভীষন অনিয়মিত! এত বেশী স্যোশাল নেটওয়ার্কিঙয়ে জড়াতে ইচ্ছে করে না। তবে নিজের একটা সাইট চালু করছি শীঘ্রই, সেখানে আশা করছি খানিকটা নিয়মিত হব- তখন ভাব আদান প্রদান হবে। ভাল থাকবেন
২০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭
আব্দুর রহমান িরকো বলেছেন: আলকাশ এর পরবর্তি পর্ব চাই
১৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এখনো আলকাশ কে মনে রাখবার জন্য। লেখার মুড নাই- কি হবে এইসব ছাইপাশ লিখে!
২১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮
অশুভ বলেছেন: তপন ভাই যদি কখোনো লেখার সময় পান, প্লিজ আলকাশ টা শেষ করবেন। আপনার প্রতিটা লেখাই আমার কাছে প্রিয়। মাঝে মাঝেই লেখাগুলো আবার পড়ি। জানি ব্যস্ত থাকেন, তারপরও সময় পেলে আপনার রাশিয়ার জীবন নিয়ে নতুন নতুন লেখার অনুরোধ রইল।
২২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নান করার তাগিদে একটু দ্রুত শেষ করলাম। সময় নিয়ে আবার পরের পর্বে যাবো। যদিও শেষ পর্ব ইতিমধ্যে শেষ করেছি।
শুভেচ্ছা প্রিয় তপন ভাইকে।
২৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০
শেরজা তপন বলেছেন: অতি ব্যাস্ততার জন্য মন্তব্যের উত্তরগুলো আমি একটু ধীরে ধীরে দিই- আপনি যান স্নান করে আসুন
আপনি যেমন সারাদিনে আলকাশ শেষ করেছেন তেমন আমারও মনে হয় একটা গোটা দিন লাগবে সবগুলোর উত্তর দিতে
২৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬
আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:০২
শেরজা তপন বলেছেন: জেনে আনন্দিত হলাম। আপনাকে ধন্যবাদ- ভাল থাকুন
২৫| ০৭ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: মলদোভা থেকে অলিম্পিকে যোগ দেয়ার মত সম্ভাবনাময়ী ছিল লারিসা! বাপ রে!
অবৈতনিক দোভাষী হিসেবে আপনাকে ভালোই ব্যস্ত রেখেছিল মইন।
সোহানী এর মত আমারও মনে হলো, এবারের পর্বটা বেশি ছোট হয়ে গেছে।
আপনার ভেতরে যেমন অনেক গল্প জমা হয়ে আছে, তেমনি আপনি লিখেও চলেছেন যথাসাধ্য, ব্যস্ততা সত্ত্বেও। আপনার লেখার কলম/কী বোর্ড যেন কখনো নিষ্ক্রিয় না হয়, সেটাই কামনা করছি।
০৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: ওটাতো আমি নই 'মিশু' ভাই! সে বেশ ভালই দোভাষীর কাজ করেছে।
লেখালেখিতে এখনো সচল আছি, চেষ্টা করে যাব যতক্ষন পারি। বুকের মধ্যে একগাদা গল্প জমে আছে, যার কিছু হয়তো কোনদিনই আর বলা হবে না
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০২
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ভেরি গুড।