নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
রুশ সাহিত্যের দিকপাল বলতে আমরা যাদের জানি;এর মধ্যে গোর্কি, ক্রিলভ আর তলস্তয় বাদে প্রায় সবাই ছিলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ!
পুশকিন বেচেছিলেন মাত্র ৩৮ বছর!লেমন্তরভ বেঁচেছিলেন ২৭ বছর, গোগল ৪৩ বছর, দস্তয়েফস্কি তবু ৬০ বছর বেঁচেছিলেন কিতু আন্তন চেখভ মারা যান মাত্র ৪৪ বছর বয়সে দুরারোগ্য ক্ষয়রোগে(যক্ষা)!
চেখভ তার সাহিত্যিক জীবনের বেশিরভাগ সময়ে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন, যদিও এ থেকে তিনি সামান্যই উপার্জন করতেন। তিনি অধিকাংশ রোগীর চিকিৎসা করতেন বিনামূল্যে। তাই জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান আসতো তার লেখালেখি থেকে। তিনি লেখালেখি মুলত শুরু করেছিলেন টাকা উপার্জনের জন্য কিন্তু লেখা লেখির শুরুর দিক থেকে তার আত্ম বিশ্বাসের ব্যাপক ঘাটতি ছিল। নিজেকে নিয়ে নিজে মজা করতেন; বলতেন, তার কোন সাহিত্য প্রতিভা নেই-নিজের লেখাকে কখনো ‘গাভনো’( ময়লা আবর্জনা) , কখনো ‘ চিপুখা’ ( অতি তুচ্ছ) বলে ব্যঙ্গ করতেন! যদিও স্বয়ং লিয়েভ তলস্তয় তার কয়েকটা লেখাকে রুশ সাহিত্যের সেরার মর্যাদা দিয়েছেন।
ডাক্তারি করার জন্য তার পোশাকি নাম ছিল; ডা. আ. প. চেখভ আর লেখালেখিতে ব্যবহার করতেন ছদ্মনাম ‘ আন্তোশা চেখন্তে’। ‘আন্তন চেখভ’ নামটা তিনি রেখে দিতে চেয়েছিলেন ভবিষ্যতের জন্য যখন তিনি ডাক্তারি বিদ্যা নিয়ে কোন বই লিখবেন তার লেখকের জন্য।
১৮৮০ থেকে ১৯০৩ সালের মধ্যে তিনি সর্বমোট ৬০০টি সাহিত্যকর্ম রচনা ও প্রকাশ করেন যদিও লেখালেখির শুরুতে তিনি গল্পের কাহিনি যোগার করতে বন্ধু বান্ধব ও পরিবার লোকজনের কাছ থেকে থিম কিনতেন! শুধু ধারনা দেবার জন্য ১০ কোপেক আর কাহিনীর জন্য ২০ কোপেক দিতেন!
তার সেরা ছোট গল্প গুলোর মধ্যে, জনৈক আমলার মৃত্যু, চুকলি, গুজবেরি, ভালবাসার কথা, ৬ নং ওয়ার্ড,মেয়েলি পুরুষ, বহুরুপী, প্রজাপতি,কুকুরসঙ্গী মহিলা, ইয়োনিচ, খোলসের লোক,চুম্বন,সে বুঝতে পেরেছিল, বিরস কাহিনী, সুন্দরিরা, ঘুম পাচ্ছে অন্যতম। এ ছাড়াও আরো শতাধিক ছোট গল্প, নাটক, গল্প গ্রন্থ বিশ্ব সাহিত্যে উপরের দিকে স্থান পেয়েছে! বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে এমন নাট্যকারদের মাঝে শেকসপিয়ার ও ইবসেনের পাশাপাশি চেখভের নামও উল্লেখ করা হয়।
চেখভ মারা যান ১৯০৪ সালে জার্মানিতে!
১৯০৮ সালে ওলগা তার স্বামীর শেষ মুহূর্তগুলো নিয়ে লিখেছেনঃ
খুব অদ্ভুতভাবে আন্তন শায়িত অবস্থা থেকে একেবারে সোজা হয়ে উঠে বসলেন এবং জার্মান ভাষায় (অথচ তিনি জার্মান ভাষা বলতে গেলে জানতেনই না) স্পষ্ট ও জোরগলায় বলে উঠলেন, “আমি মারা যাচ্ছি।” ডাক্তার তাঁকে শান্ত করলেন। একটি সিরিঞ্জের সাহায্যে তাঁকে কর্পূরের ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করলেন এবং আদেশ দিলেন শ্যাম্পেন আনার জন্য। চেখভ একটি পুরো গ্লাস ভর্তি শ্যাম্পেন নিয়ে তা পরীক্ষা করলেন কিছুক্ষণ, মৃদু হেসে আমাকে বললেন, “বহুদিন হলো আমি শ্যাম্পেন পান করিনা।” শ্যাম্পেন শেষ করে তিনি নীরবে শুয়ে পড়লেন এবং আমি শুধুমাত্র বিছানায় ঝুঁকে পড়ে তাঁর নাম ধরে ডাকার সময়টুকু পেলাম। কিন্তু ততক্ষণে তাঁর জীবনের সমাপ্তি ঘটেছে। একটি শিশুর মতো শান্ত হয়ে তিনি ঘুমাচ্ছেন.. আঃ কি দারুন মৃত্যু!!
‘সত্যি যে সুখী বা শোকার্ত, বিশুদ্ধ কথায় প্রায়ই সে তৃপ্তি পায় না। সেজন্যই নীরবতা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুখ বা দুঃখের চরম প্রকাশ! প্রেমিক-প্রেমিকা পরস্পরকে তখনই ভাল করে হৃদয়াঙ্গম করতে পারে যখন তারা নির্বাক! সমাধিক্ষেত্রে আবেগপূর্ণ আন্তরিক ভাষন যাদের স্পর্শ করে তারা অনাত্মীয়। মৃতের স্ত্রী বা সন্তান সন্তদির কাছে তা নিষ্প্রাণ ও অবান্তর!’
‘যখন আপন জনকে হারাবার ভয় থাকে , তখন তাকে যতটা ভালবাসি, সাধারন অবস্থায় তার কিছুই বাসি না।‘
‘দুঃখীমাত্রেরই অহংবোধ প্রবল, তারা রাগী নিষ্ঠুর, ন্যায় বিচারে অক্ষম, বোকাদের চেয়েও তারা পরস্পরকে কম বোঝে! দুর্ভাগ্য মানুষকে কাছেত আনেই না, বরং দূরে সরিয়ে দেয়। আমরা ভাবি, একই প্রকার দুর্ভাগ্যের ফলে মানুষে মানুষে ঐক্যবোধ বেড়ে যায়!’- শত্রু
‘টাকা ভোদকার মতই মানুষকে খামখেয়ালী করে তোলে। আমাদের শহরে ছিল এক বনিক, মৃত্যু শয্যায় সে একবাটি মধু চেয়েছিল! সেই মধু দিয়ে তার সমস্ত ব্যাঙ্কনোট ও লটারির টিকেট খেয়ে ফেলেছিল, যাতে আর কেঊ সেসব না পায়।
আমি একদিন রেলস্টেশনে কাজ করছিলাম, এমন সময় এক ভদ্রলোক পড়ে গেল ইঞ্জিনের তলায়- পা-টা তার দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল! রক্তে মাখা লোকটিকে আমরা ধরাধরি করে নিয়ে গেলাম হাসপাতালে, সে এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য!লোকটা ব্যাথার যন্ত্রনায় চিৎকার করতে করতে তার কেটে যাওয়া পা-টার খোজ করছিল, কেটে যাওয়া পায়ের বুটের মধ্যে বিশটা রুবল নাকি ছিল তার। ভয় পাচ্ছিল সে-টাকাটা বেহাত না হয়ে যায়!!!’
-গুজবেরি
...চলবে
* কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ মশিউল আলম, রাদুগা প্রকাশনী ও নেট দুনিয়া
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন, আপনি মনে রেখেছেন কতদিন পরে ফিরলাম?! আপনাকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা। অনেকেইতো ছেড়ে চলে গেছে এই প্লাটফরম- পুরনোদের মধ্যে আপনাকে পেয়ে দারুন ভাল লাগছে!
হ্যা তাই-ইতো, বেশ কিছু নতুন পুরনো মৌলিক পূর্ণ বা অংশবিশেষ লেখা কম্পিঊটারের হার্ড ডিস্ক ক্রাস করায় মনে হয় হারিয়ে ফেলেছি। খুব শীঘ্রই আসছি মৌলিক কিছু নিয়ে- দোয়া রাখবেন।
২| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ভালোলাগার মতো লেখা।
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ- ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন।
৩| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০১
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: নিদারুণ সুন্দর +
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: ভাই ব্লগার_প্রান্ত, ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য। পরের পর্বে ফের আপনাকে পাব বলে আশা রাখছি। ভাল থাকুন- সুস্থ থাকুন
৪| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৭
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আবার স্বাগত ভাই
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: সবসময় সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই। আশা করি ভাল আছেন?
৫| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৭
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আবার স্বাগত ভাই
৬| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল লেখা। ধন্যবাদ আপনাকে
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই নেওয়াজ আলি। আশা রাখছি পরের পর্বে ফের দেখা পাব?
ভাল থাকুন সর্বক্ষণ!
৭| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪১
মাহিরাহি বলেছেন: The Bet বা বাজি তার সবচাইতে বিখ্যাত ছোট গল্পের একটি বলে আমি মনে করি।
মুসলিমদের নিয়ে চেখভের একটি উক্তি শুনলে অনেকেই অবাক হবেন। চেখভ মুসলমানদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হওয়ার কথা বলেছিলেন।
Chekhov wrote the following words in his notebook: "To save his soul a muslim digs a well. It would be good if each of us could leave behind a school, a well or something like that, so that life would not pass and end up with no trace."
চেখভ তার নোটবুকে নিচের কথাগুলো লিখেছিলেন: "তার আত্মাকে বাঁচাতে একজন মুসলমান একটি কূপ খনন করে, এটা ভাল হবে যদি আমরা প্রত্যেকে একটি স্কুল, একটি কূপ বা এরকম কিছু রেখে যেতে পারি, যাতে করে কোন ধরণের পদচিহ্ন ছাড়াই আমাদের জীবনের অবসান না ঘটে।
১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমার দুর্ভাগ্য যে তার সব গল্প এখনো পড়া হয়নি-আপনাকে অনেক ধন্যবাদ তথ্য দিয়ে শেয়ার করার জন্য। এর পরের পর্বে চেষ্টা করব 'বাজি' নিয়ে কিছু আলোচনা করার। তবে একেকজনের ভাল লাগা একেক রকম- আমার দৃষ্টিতে 'গুজবেরী' তার অন্যতম গল্প!
ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে আমার ধারনা অনেক কম- এই জন্য ওই বিষয়গুলো পাশ কাটিয়ে চলি। ইদানিং ধর্ম নিয়ে একটু(খড়ের গাদায় সুই খোঁজার মত) পরাশুনা করছি- খানিকটা জেনে তারপর না হয় উদ্ধৃতি কিংবা আলোচনায় আসব। তবে ওই উক্তিটা ভাল লেগেছে;
অনেক ধন্যবাদ- ভাল লাগল আপনাকে পেয়ে - ভাল থাকুন।
৮| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৪
মাহিরাহি বলেছেন: আমি জাপানে প্রায় সাড়ে ছয় বছর প্রবাস জীবন কাটিয়েছে, টোকিওতে, যেখানে আপনার ছোট ভাইয়ের মৃত্যুও ঘটেছিল, খুবই দু;খজনক।
১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি কি তরুন'কে চিনতেন? আমার বড় ভাইও থাকে ওই শহরে-তিনি জাপানে বিয়েও করেছেন।
এখন কি বাংলাদেশে আছেন? তবে যেখানেই থাকেন- ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।ওন্য কিছু না-হোক সাহিত্য নিয়ে অন্তত কথা হবে আশা করি
৯| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি ভালো লাগলো।
১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:২০
শেরজা তপন বলেছেন: ভাই রাজিব নুর, ভাল আছেন আপনি? ধন্যবাদ ফের আমার ব্লগে ঢুঁ দেবার জন্য- ভাল থাকুন
১০| ১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী দারুণ ভাবেই না ফিরলেন !!
ফিরে আসায় শুভেচ্ছা।
১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি বলছেন, দারুন ভাবে! আমার মনে হচ্ছে 'আলকাশ' নিয়ে ফিরলে মনে হয় সেটা বেশী ভাল হত কি বলেন?
আপনার পরিবার সবাই ভাল আছেতো?
১১| ১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাজ্জাদ হোসেন, ভাল থাকুন সবসময়
১২| ১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩
মাহিরাহি বলেছেন: আমি জাপান ত্যাগ করেছি, ৯৬ সালের মাঝামাঝিতে।
১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক আগের কথা! আমি তখন রাশিয়া থেকে ফিরেছি। এখন তবে কোথায় থাকেন?
১৩| ১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার নতুন লেখা পড়ার তেমন আগ্রহ পাচ্ছি না। আলকাশ শেষ করবেন কিনা আগে জানতে চাই......তারপরে অন্য কথা।
১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে অতি চেনা চেনা লাগছে! নতুন নামে এসেছেন কি?
আলকাশ' লেখাটা আরো খান দুই পর্ব লিখেছিলাম- কিন্তু হার্ড ডিস্ক ক্রাস করায় ওর সাথে আমার সব লেখা হারিয়ে গেছে! এক্সপার্ট কে দিয়েছি- কিন্তু মহা অলস সেই ভদ্রলোক। আমিও মাস খানেক পর পর ফোন দেই, সেও বলে, কালকে পেয়ে যাবেন! বছরের উপরে এই খেলা চলছে! কোরেন্টাইনের এই তিন মাস আবার ফোন দেয়া হয়নি- ভাল কথা মনে করেছেন, দেখি আজকেই দিব
৪/৫ বছর যখন হল , না হয় আর একটু অপেক্ষা করেন- লেখা পেয়ে যাবেন শিঘ্রী।
কি আশ্চর্য- আমি ভেবেছিলাম 'আলকাশে'র কথা সবাই ভুলে গ্যাছে!
১৪| ১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অদ্ভুত তাঁর উক্তিগুলো। তাঁর মৃত্যুর ঘটনাটা খুব ভাবাচ্ছে। একজন মানুষ কি মৃত্যুর কিছু আগে বুঝতে পারে- এখন তার মৃত্যু হচ্ছে?
টাকার প্রতি আকুলতা বা আকর্ষণ খুবই সহজাত। তাই পুরো একটা পা কাটা যাওয়ার পরও লোকটা কাটা পায়ের বুটের নীচে পড়ে থাকা ২০ রুবলের কথা ভুলতে পারে নি।
খুব ভালো লাগলো পড়ে। আর ভালো লাগছে বহুদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে।
শুভেচ্ছা শেরজা তপন ভাই।
১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: ভ্রাতা- আপনাকে দেখে দারুন আমোদিত হলাম! ভাল আছেন আপনি?
আমারো ভাল লাগছে আপনাদের মত বিদগ্ধ ব্লগার'দের সান্নিধ্য পেয়ে!
ভাল থাকুন সবসময়
১৫| ১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার রিপ্লাইয়ে বেশ লজ্জা পেলেও বলতে এলাম- জি শেরজা তপন ভাই, আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আপনারাও ভালো থাকুন, এই কামনা রইল।
১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: কেন রে ভাই লজ্জা পেলেন কেন? ভাল থাকবেন-সাবধানে থাকবেন
১৬| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২১
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
নিশ্চয় ভালো আছো অনেক অনেক .......
তোমাকে দেখলেই তোমার জন্মদিনের কথা মনে পড়ে।
যাইহোক আন্তন চেখভ ও তার কিছু বিখ্যাত উক্তিগুলি কি সাংঘাতিক। ২০টা রুবলের জন্য কাটা পায়ের গল্পটা ভয়ংকর। আর তার মৃত্যু এত শান্তির কি করে হলো? মৃত্যু না যন্ত্রনাময় সব সময়ই!
১৫ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী আপু - শারিরিকভাবে এখনো ভাল আছি, কিন্তু মানসিকভাবে খানিকটা অসুস্থ!
আমার কথা মনে আছে দেখে দারুন প্রীত হলাম, আপনিও ভাল আছেন নিশ্চয়ই?
সুযোগ পেলে আপনার লেখায় একটু আধটু চোখ বুলাই, তথাকথিত নাগরিক ব্যাস্ততায় মন্তব্য আর করা হয়ে উঠে না!
ভাল থাকবেন আপনি- সামনের আপনাকে এইভাবে সাথে পাব বলে আশা রাখছি-
১৭| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩১
রাকু হাসান বলেছেন:
প্রথম কোনো লেখা পড়লাম আপনার । স্বাগতম । নিয়মিত পড়তে চাই । আজ শুভেচ্ছা পর্ব হলো।
১৫ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকেও আমি প্রথম দেখলাম। অনেক ধন্যবাদ, আপনাকেও স্বাগতম! সাথে থাকবেন- ভাল থাকবে---
১৮| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা নিয়ে ফিরেছেন !
আর ফিরে আসা মানেই “আলকাশ” এর পরের পর্ব গুলো পাবার সম্ভাবনা !!
সম্ভাবনার চাইতে দারুন আর কি আছে !!!
তবে হ্যাঁ আলকাশ নিয়ে ফিরলে সেটা দূর্দান্ত একটা ব্যাপার হত ; পড়তে গিয়ে হত দ্রুত পানিপানের মত নাকে মুখে উঠে কাশি শুরু হয়ে যেত
আলহামদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত আল্লাহর ইচ্ছায় ভালো আছি সবাই। আশা করছি আপনি / আপনারা ও ভালো ছিলেন।
১৫ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: আমার কম্পিউটার থেকে হারিয়ে যাওয়া লেখা গুলো খুজে ফিরছি! শুধু 'আলকাশ' নয়, মুলত সেটা একটা ত্রয়ী উপন্যাস হবে- বাকি দুটোর সম্ভাব্য নামঃ বাবনিক ও ইউ সে তু(রোমানিয়ান)। কিন্তু একটার অর্ধেক লিখতেই ৭/৮ বছর চলে গেল- বাকি গুলো কি আর লেখা হবে????
আমি/ এবং আমরা এখনো ভালই আছি। ধন্যবঃ)- ভাল থাকবেন
১৯| ১৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে অতি চেনা চেনা লাগছে! নতুন নামে এসেছেন কি? না, আপনি আমাকে চিনেন না। তবে আমি আপনাকে চিনি। আমি একজন মফিজ। মফিজরা এতোই সাধারন যে তাদেরকে সবারই চেনা চেনা মনে হয়। দীর্ঘদিন ব্লগে বিভিন্ন লেখা পড়েছি। তারমধ্যে আপনার আলকাশের সাতটা পর্বও ছিল। খুবই ভালো লেগেছিল, কিন্তু আপনি আর পর্ব না দেয়াতে আমার ভালো লাগা পূর্ণতা পায় নাই।
যা হোক, ব্লগে পড়তে পড়তে একসময়ে আমারও লেখার খায়েশ হয়। তারই ধারাবাহিকতায় অতি সম্প্রতি একশত পোষ্ট দেয়া শেষ করে আমার একটা সংকলন পোষ্ট দিয়েছিলাম, ভুয়া মফিজের ব্লগবাড়িতে স্বাগতম!!!
যদিও জানি সময় পাবেন না, তারপরেও দাওয়াত দিয়ে গেলাম; কারন, অলৌকিক ঘটনা পৃথিবীতে এখনও ঘটে।
১৫ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২২
শেরজা তপন বলেছেন: ঘুরে এলাম আপনার ব্লগ! দু-একটা মন্তব্যও করলাম, দেখবেন আশাকরি
আলকাশ নিয়ে ফের আসব, যদি সুস্থ থাকি। ভাল থাকবেন
২০| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগে এলাম। মন্তব্যের ঘরে আপনাকে দেখে আপ্লুত হলাম।
আপনার পোষ্ট প্রচুর পড়েছি একসময়। ভাল আছেন নিশ্চয়ই?
পোষ্টে ভাল লাগা রইল। চেখভ প্রিয় লেখক।
১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও এলাম অনেকদিন বাদে, আপনাকেও দেখলাম অনেকদিন পর! ভাল আছেনতো?
পোষ্টে ভাল লাগা রেখে যাবার জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন সারাক্ষন
২১| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৪
আখেনাটেন বলেছেন: ছোটকালে বাড়িতে রুশ সাহিত্যিকদে অসংখ্য বই পেয়েছিলাম। তখনই এই চেখভ মহাশয়ের সাথে পরিচয়। উনার ছোটগল্পে মোহবিষ্ট হওয়া ছাড়া উপায় নেই।
১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনিতো অনেক ভাগ্যবান- ছোট বেলায়-ই রুশ সাহিত্যের সাথে সখ্য! আমি তেমন ভাগ্যবান নই।
চেখভ এর লেখার সাথে পরিচয় অনেক পরে। এখনো রুশ লেখকদের অনেক লেখা পড়ে আছে বই এর আলমারিতে- পড়া হয় না।
পরের লেখাগুলোতেও আপনার সান্নিধ্য পাব সেই আশা করতেই পারি। ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন
২২| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪৪
কাতিআশা বলেছেন: চেখভ হলেন গল্পের যাদুকর!..ভাসিলি শুকসিন, ভেরা পানোভা, মিখাইল সলোখভ...এত ভালো ভালো লেখক রাশিয়া তে!
চুক আর গেক দিয়ে শুরু করেছিলাম....এখন তো বুড়োই হয়ে গেলাম, তবুও মস্কোর অলিগলি এখনো টানে আমাকে!
২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মস্কোর সেই দিনগুলোর লেখা পাব আশা রাখছি। অপেক্ষায় রইলাম...
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উরব্বিাস...
প্রায় দু বছর বছর ফিরলনে ভায়া
ওয়েলকাম ব্যাক
আবার আপনার দারুন দারুন লেখা পাবো, ভাবতেই ভাল লাগছে।
প্রায়ই মনে হয় আমরা নতুন কিছূই করছি না। সবই যেন কোথাও না কোথাও প্রকাশিত, চর্চিত, অনুভুত
আমরা কেবলই রিপিটেশন করছি! বা সেই গোপন প্রকাশ কে খূঁজে ফিরছি নিজের মতো করে অনুভব করতে।
++++