নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি- প্রায় ভুতের গল্প

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬


সামুতে এখন দিন রাত জুড়ে জ্বীন ভুতদের সদর্প পদচারনা! সামুর পাতায় এখন চোখ বোলাতে গেলেই ভয় লাগে- রাতে ভাল ঘুম হবে কিনা এই দুশ্চিন্তায় অস্থির থাকি।
আমাদের গ্রাম্য একটা কথন আছে- চ্যাং ওঠে ব্যাং ওঠে খইলস্যা বলে আমিও উঠি!
সবার দেখাদেখি আমিও স্মৃতি হাতড়াতে শুরু করলাম; মগজের ফাঁকে কোন ভুতের গল্প জমা আছে কিনা? সেই চেষ্টায় ফের ভুত ঘুম(ভাতঘু ম) হারাম! অবশেষে একখানা না দু দু’খানা ভুতের গল্প খুঁজে পেলাম!
মনে যখন পড়েই গেছে- এই ভুতের হাত থেকে ব্লগারদের আর নিস্তার নেই!! তবে লেখা শুরুর আগে বলে নিই; আমি কিন্তু ভুত-প্রেতে বিশ্বাস করিনা, তবে চরম ভয় পাই!
১৯৮১/৮২ সালের কথা! স্বভাবতই আমি তখন শৈশব থেকে কৈশরে ড্রাইভ মারার পায়তারা করছি।বেড়াতে গিয়েছিলাম যশোর আমার ফুফুর বাড়িতে। আমাকে সাথে নিয়ে আমার দুই বোন সঙ্গে কয়েকজন কাজিন মিলে সেই সময়ের যশোরের বেশ জনপ্রিয় শীতকালীন মেলায় ঘুরতে গিয়েছল। সেই মেলাতেই জীবনের প্রথম মোগলাই পরোটা খেয়ে আমি পৃথিবীর বাকি সব খাবারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম!
মেলায় ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ আমার ছোট আপা বড় আপাকে জিজ্ঞেস করল,
-জেসমিন-তোর কি গরম লাগছে?
ডিসেম্বর মাস!বাইরে প্রচন্ড শীত হলেও প্রচুর লোক সমাগমের কারনে মেলায় একটু শীতের তীব্রতা কম- তাই বলে গরম লাগার কথা না। বড় আপা অবাক বিস্ময়ে তার দিকে চেয়ে বলল,
-নাতো। তোর কি গরম লাগছে?
ছোট আপা রীতিমত ঘামছে তখন। সে বলল,
-হ্যরে- একটু আগে আচমকা একটা গরম দমকা বাতাস লাগল গায়,আমি ভাবলাম এমনিতেই।পাত্তা দেই নাই। কিন্তু তার পর থেকেই ঘাম শুরু হোল।
বড় আপা একে একে সবাইকে জিজ্ঞেস করল;কারো গায়ে গরম বাতাস লেগেছে কিনা? কিংবা কারো গরম লাগছে কিনা?
সবাই বলল,না,তেমন কিছু অনুভব হচ্ছে না।
ওদিকে ছোট আপার অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে দেখে বড়রা সবাই বাকি মেলা না ঘুরেই 'গোল মার্কেটে'র কাছে ফুফুর বাড়িতে বাড়িতে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিল।
আমার ভীষণ মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল সবাই বাড়িতে ফিরছে দেখে- ছোট আপাকে পাঠিয়ে দিলেইতো হয়, অযথা আমরা কেন ফিরব? কিন্তু আমার মত পিচ্চির কথার কে-ই বা দাম দিবে।
সে রাতে ছোট আপার কাপুনি দিয়ে ভীষন জ্বর আসল। পরদিন সকাল হতেই সে ফের সুস্থ!
পরের রাতে আবার তার জ্বর! ঘুমের ঘোরে বার বার কেঁপে কেঁপে উঠছিল-সেই সাথে আবোল তাবোল বকছিল। আমার বড় আপা রসিক, সাহসী আর কর্মঠ। সে রাত জেগে ছোট বোনের সাথে মজা করল আবার সেবাও করল।
পরদিন যশোর বেড়ানো অসামপ্ত রেখে সবাই আমাদের বাড়িতে ফিরে আসলাম। চরম মন খারাপ আমার তখন। আহা কত কিছু দেখার কত জায়গায় যাবার বাকি রয়ে গেল!
বাড়িতে ফিরে এসে ছোট আপা সারাদিন ভাল- কিন্তু সন্ধ্যের পড়েই শুরু হয় জ্বর আর কাঁপুনি।
স্থানীয় ডাক্তারদের ওষুধ পথ্য আর আর তাবিজ কবজ ফু ফা তে কাজ হচ্ছিল না।
৫ম রাতে ছোট আপা মাঝরাতে প্রচন্ড ভয়ে চিৎকার করে উঠল!
আমাদের ছিল বারোয়ারি বাসা। ছোট চাচা আর রেলওয়েতে চাকুরিরত এক ফুফা স্থায়ীভাবে আমাদের বাসায় ডেরা বেঁধেছিল। সাথে ছিল জায়গীর মাস্টার বিশ্বনাথ দা। ওদিকে দু-চার দশজন আত্মীয় পরিজনের ভীড় লেগেই থাকত সারা বছর। বড় ঘরে পার্টিশান করে এক পাশে আমার বোনদ্বয় ঘুমাত আর অন্য পাশে দুটো খাটে আব্বা মা আর আমরা ছোট ভাই দু’জন ঘুমাতাম!
বোনের চিৎকারে ঘরের মধ্যে সবাই ঘুম জড়ানো চোখে ছুটে গেল বোনের কাছে।
বোন তখন বড় বড় চোখ করে খোলা জানালার দিকে চেয়ে থর থর করে কাঁপছে। শরিরে তখন তার জ্বর নেই- গা টা একদম ঠান্ডা।
সেই অবস্থা থেকে তার ধাতস্ত হতে লাগল পাক্কা মিনিট দশেক।উপায়ান্তর না দেখে মা চড় থাপ্পড় দিয়ে হুশ এনেছিল।
বাস্তবে ফিরে আসার পরে সে যা বলল সেটা হচ্ছে; ঘুমের ঘোরে সে অনুভব করছিল অতি তুলতুলে বিড়ালের মত একটা নরম হাত তার সারা শরির হাতড়ে বেড়াচ্ছে! ঘুম ভেঙ্গেও তার সেই একই অনুভুতি। ভয় পেয়ে গায়ের লেপ সরাতেই কি যেন একটা ধুপ করে বিছানা থেকে নেমে খোলা জানালা দিয়ে বেড়িয়ে গেল!
লে ঠেলা! আর কি ঘুম আসে- এ কাতে শুলে মনে হয় ওপাশ দিয়ে ভুত আসছে ও-কাতে শুলে মনে হয় এ পাশ দিয়ে ভুত আসছে!! বিছানায় শুয়ে সারারাত জানালা আর দরজার ফাঁকের দিকে বার বার তাকাই! গায়ের লেপ মনে হয় সেই বিড়ালের মত কোম্ল হাতে বার বার সুড়সুড়ি দেয়।
সারারাত আমরা কেউ ঘুমালাম না। সকাল হতেই সব ঠিক- ছোট আপা পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে। আর বড় আপা তাকে নিয়ে মজা করছে;সে সবাইওকে বোঝাচ্ছে যে,এইটা আইরিনের কাম চুরির ফন্দি!
ওদিকে আমার চরম সাহসী আর ভীষন শক্তিশালী মা্যের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ! তার কিশোরি মেয়ের ঘাড়ে জ্বীন ভুতের আসর হয়েছে এটা জানাজানি হয়ে গেলে এ মেয়ের বিয়ে দিতে কষ্ট হয়ে যাবে।
তিনি ডাক্তারের পাশাপাশি গোপনে পীর ফকিরদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেন।
ওদিকে আমরা ছোটরা পড়লাম ভীষণ বে-কায়দায়। এমনিতেই সন্ধ্যের আগে ঘর ফিরতাম- এখন বিকেলেই ফিরে আসি। সন্ধ্যে হতেই ঘরে বন্দী। তখন দিনে রাতে ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকত না। সারারাত প্রায় ভরসা ছিল হারিকেন আর কুপি। আমাদের বন্দিদশা জোর করে নয় স্ব ইচ্ছায়। ঘর থেকে বের হবার মত বুকের পাটা আমাদের ছিল না।
পরের রাতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি – এক বার নয় কয়েক বার!সে রাতে শুধু আমাদের নয় পুরো বাড়ির সবার ঘুম হারাম হয়ে গেল!
আমার ফুফাজান খুব ধার্মিক মানুষ ছিলেন। তাকে কোনদিন ঘরের মধ্যে ঘুমাতে দেখিনি। তিনি সারারাত বারান্দায় পাতা জলচৌকিতে এবাদত করতেন আর বিশ্রাম নিতেন! প্রচন্ড বৃক্ষ পাগল সেই মানুষটাকে দেখেছি একটা মানুষ যতটা কৃচ্ছতা সাধন করতে পারে ততটাই কৃচ্ছতা সাধন করতেন।
আমার দুই বোনকে প্রচন্ড ভালবাসতেন তিনি। সারাক্ষন ছোট আম্মা আর বড় আম্মা বলে ডাকতেন।
আমার ভয়ঙ্কর রাগী বাবাকে বশে আনতে হলে আমার বোনদ্বয় ফুফাজানকে কাজে লাগাতে!
সেই ফুফা সারা রাত ধরে আমার ছোটা পার মাথার কাছে বসে দোয়া দরূদ পড়ে ফুঁ দিয়ে গেলেন।
কিন্তু বোন আমার একটু ঘুমের মত আসলেই সেই একই অনুভূতি।
সপ্তমদিন বিকেল থেকেই বোনের অবস্থা ভয়াবহ রুপ নিল! তার হেলুসিনেশন শুরু হোল। সে ঘরে বিভিন্ন প্রান্তে কারো সরব উপস্থিতির কথা জানিয়ে চিৎকার করতে লাগল।

-মা ওখানে কে দাঁড়িয়ে আছে? মা দেখ আমার দিকে কেমন কটমট করে তাকাচ্ছে?
-মা আমাকে শাসাচ্ছে! বলছে যাবেনা – মাকে মেরেই নাকি যাবে। মা আ আ বলে সে চিৎকার করে কাঁদছে।
ছোট মফস্বল শহর এ খবর বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে! সন্ধ্যা থেকে ভীড় বাড়তে শুরু করল আমাদের বাড়িতে। শত শত পরিচিত অপরিচিত মানুষের ঢল!
আমার চাচা ভায়েরা বাবা ছুটল একেকজন একেক দিকে। যে যাকে পারছে ধরে নিয়ে আসছে। বিশ্বনাথ দা নিয়ে আসল ‘মহেন্দ্র ডাক্তার’কে। খুব নাম করা ডাক্তার নয়,কিন্তু সাহসী।
তিনি এসেই মাছি তাড়ানোর মত করে হাতের তালু ঝেড়ে ভুত-টুত সব উড়িয়ে দিলেন।
বড় ভাই সরকারি হাসপাতাল থেকে ধরে নিয়ে আসল তার পূর্ব পরিচিত ‘সিভিল সার্জন’ ডঃ; ফারুক’কে( তিনি পরবর্তীতে মহাখালী কলেরা হাসপাতালের বড় ডাক্তার ছিলেন- এখন অবসরে)
চাচা নিয়ে আসল -জয়নাল ডাক্তারকে। জয়নাল ডাক্তার ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। ঠিক এম এ জি ওসমানীর মত চেহারা ছিল তার। গোঁফজোড়াও ছিল তেমন শুভ্র ও পাকানো! অনেকেই তাকে ‘ওসমানী’ বলে ডাকত। তবে কু জনেরা তকে ডাকত আজ্রাইল বলে। ডাক্তার হিসেবে তিনি মোটামুটীই ছিলেন,কিন্তু কাটা ছেড়ায় তার নাম ছিল সাংঘাতিক! কারো গ্যাংগ্রিন হয়েছে আঙুল কেটে ফেলে দিতে হবে- কারো মাথায় ফেটে চামড়া হা হয়ে গেছে, অজ্ঞান না করে আটখানা সেলাই দিতে হবে। সেই সব কাজে ডাক পড়ত জয়নাল ডাক্তারের।
তিনি এসেই একধমকে রোগীর জবান বন্ধ করে দিতেন। উল্লেখ্য তিনি ভুত প্রেতে একদম বিশ্বাস করতেন না।
ওদিকে মা খবর দিয়ে এনেছেন সবার শ্রদ্ধেয় অতি বয়স্ক এক সুফি ডাক্তারকে। ডাক্তারিতেও ছিলেন তিনি নামকরা আবার আধ্যাত্মিকতায়ও ছিলেন তিনি নামকরা! ফর্সা ঋজু দেহ। শুভ্র শ্মশ্রু গোঁফ সাদা পাঞ্জাবী আর পাজামায় তাকে দেখেয় ভক্তি করতে ইচ্ছে হত। তিনি সাধারনত তুক-ফাক করতেন না। কিন্তু সবাই জানত তার সাথে নাকি জ্বীন থাকে। প্রমত্তা পদ্মা শুকিয়ে গেলে তার বাড়িতে যেতে দীর্ঘ এক বিরান চর পাড়ি দিতে হত। আমাবস্যা পূর্ণিমায় একখান টর্চ-ই ছিল তার ভরসা। রাত করে রোগী দেখে বাড়ি ফিরয়ার সমায় রোগীর আত্মীয় স্বজনরা তাকে পৌছে দিতে চাইলে তিনি নিষেধ করতেন। বলতেন আমার সাথে লোক আছে!
অনেকেই নাকি দেখেছেন সেই চরের রাস্তা দিয়ে বাড়ির পথে হেটে যেতে যেতে কার সাথে যেন কথা বলছেন!
বোনের চারিদিকে ডাক্তার কবিরাজ ঘিরে বসে আছে। আরো সেখানে ছিল রাজবাড়ির বর্তমান যিনি জেলা চেয়ারম্যান সেই ফকির জব্বার সাহেব! সাথে স্থানীয় অনেক গন্যমান্য লোক ছিল আমি মনে করতে পারছি না।
সিভিল সার্জন থেকে শুরু করে সবাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছেন ছোট আপার এই অবস্থা দেখে! কি করবে তারা বুঝে উঠতে পারছে না। জয়ানাল ডাক্তারের বিরাশি সিক্কার ধমকেও কাজ হয়নি।
সেই মুহূর্তে আসলেন সেই সুফি ডাক্তার কাদের সাহেব।মুরুব্বি দেখে সবাই তাকে স সন্মানে জায়াগা করে দিলেন। বাড়ির বাইরে তখন কয়েক হাজার লোকের জমায়েত।
তিনি একখানা টুলে বসে আমার আপার দিকে অতি শান্ত ভঙ্গীতে কিছুক্ষন চেয়ে রইলেন।তারপরে সিভিল সার্জনের দিকে ফিরে জিজ্ঞেস করলেন;
-আপনাদের ডাক্তারি করা কি শেষ?
কোন উত্তর খুঁজে না পেয়ে ইয়াং সিভিল সার্জন আমতা আমতা করতে লাগল।
-যদি হয়ে থাকে তাহলে আমাকে চিকিৎসা করতে দেন। দয়া করে চুপ চাপ বসে থাকবেন।
একজনকে তিনি বললেন,- এক গামলা পানি আনতে সাথে একটা গামছা।
পানি আর গামছা আনা হোল।
পানিতে অনেক্ষন দোয়া দরূদ পরে ফুঁ দিয়ে তিনি গামছাটা ভিজিয়ে হালকা চিপরে আমার মাকে বললেন, ভাবি সাহেব আপনি শক্তিশালী মানুষ আপনি মেয়ের পেছনে গিয়ে বসেন।
মা গিয়ে বসলে,তিনি মায়ের হাতে গামছা দিয়ে বললেন এটা দু-ভাঁজ করে ওর পুরো মুখে পেঁচিয়ে পেছনে শক্ত করে ধরে রাখুন।
সঙ্গে সঙ্গে সিভিল সার্জন বাধা দিলেন,
-এ কি করছেন জনাব? ভেজা গামছা দিয়ে এভাবে পেঁচিয়ে ধরলেতো ও নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যাবে।
কাদের সাহের ওনার দিকে ফিরে মৃদু হেসে বললেন,
-আপনারা আছেন কি করতে? জ্বীন-ভুতে বিশ্বাস নেই না? সবে ডাক্তারি শুরু করেছেন। জীবনের এখনো অনেক পথ বাকি- বাকি জীবনে আজকের ঘটনা মনে রাখবেন এই গ্যারান্টি দিচ্ছি। চুপ থাকেন শুধু।আমাকে আমার কাজ করতে দিন।
সিভিল সার্জন তার কথায় এই যে চুপসে গেলেন বাকি সময় আর কোন টু শব্দ করেননি।
মা আমার বোনের মুখ ভেজা গামছা দিয়ে শক্ত করে পেঁচিয়ে ধরতেই ছোট আপা নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার ভয়ে কাঁদতে শুরু করল!
কাউকে আর কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে কাদের ডাক্তার সামনে রাখা গামলার পানিতে দোয়া পড়ে ফুঁ দিয়ে সেই পানি হাতের তালুতে করে উঠিয়ে আমার বোনের মুখে ঝাপটা দিতে লাগলেন।
প্রথম ঝাপটাতেই ছোট আপা একদম চুপ মেরে গেল।
দু-তিনবার ঝাঁপটা দেবার পরে হঠাত সে শিরদাড়া সোজা করে গোঙ্গানীর মত করে দুর্বোধ্য ভাষায় কি যেন বলল। ভেজা গামছার জন্য আমরা শুধু শব্দ পেলাম কোন কথা কেউ বোঝেনি।
ফের পানির ঝাঁপটা দিতেই যেন হিংস্র ভয়ঙ্কর এক চেহারা গামছা ফুঁড়ে বেড়িয়ে আসতে চাইল।তার সেই ভয়ঙ্কর চেহারা আর পৈচাশিক গোঙ্গানি শব্দে সেখানে উপস্থিত সবারই চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে গেল!
এভাবে চলল মিনিট পাঁচেক।
ডাক্তার সাহেব প্রশ্ন করে যাচ্ছেন,আর সে দুর্বোধ্য ভাষায় উত্তর দিচ্ছে। আমি ভয় পেয়ে কুঁকড়ে মুকড়ে বড় আপার কোলের মধ্যে গিয়ে বসলাম।সে এক থমথমে ভয়াবহ পরিবেশ!
আচমকা ডাক্টার সাহেব মা’কে বললেন,
-ভাবি সাহেব ওকে এখন ছেড়ে দেন- ও অজ্ঞান হয়ে যাবে।'
মা তাকে ছাড়তেই ভীষণ এক ঝড় হাওয়ার মত ঘড় দাপিয়ে কি যেন ছুটে গেল – ঠিক তখুন আমাদের টিনের চালে প্রচন্ড জোরে দড়াম করে শব্দে আশেপাশে দাঁড়ানো প্রতিটা মানুষ কেঁপে উঠল। আর আমার বোন এক পাশে ঢলে পড়ে গেল…

খানিক বাদেঃ
*দুঃসাহসী জয়নাল ডাক্তার থতমত খেয়ে গেছেন! বিদায় নেবার সময় আমার বাবাকে একপাশে ডেকে বললেন; আমার সাথে কি দু’চারজন লোক দেয়া যায়, না হলে আমি বাড়ি যেতে পারব না!! সিভিল সার্জন কেও কয়েকজন মিলে তার বাসায় পৌছে দিতে হয়েছিল। শুধু ডক্তার মহেন্দ্র একাই বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।

বর্তমানঃ
ছোট আপা তারপর থেকেই সুস্থ এখন তিনি তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে দিব্যি সংসার করছেন। সেদিনের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি শুধু হাসেন; বলেন,- তার নাকি কিস্যু মনে নেই।

কৃতজ্ঞতাঃ কিছু কথা স্বরণ করিয়ে দিয়ে আমাকে সহযোগীতা করেছে- অসম্ভব স্বরন শক্তির অধিকারী আমার মেঝভাই আর আমার বড় আপা।

মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

জুন বলেছেন: রাত করে এই ভয়ংকর সত্য ঘটনা পড়ার পর কি আজ কি ঘুম আসবে :-&
ডিটেইলস বর্ননায় আরো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে শেরজা তপন।
প্রথম ভালোলাগা রইলো।
+

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: লেখা আরো বড় হতে পারত আপু- কিন্তু পড়তে গিয়ে মাঝ অথে কেউ ছেড়ে না যায় সেই ভয়ে ছোট করে দিলাম!

অনেক দিন পরে আমার ব্লগে। এসেই ফের ভয়ে পেয়ে গেলেন :) আর কি এমুখো হবেন?

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


পুরো মুখে কাপড় দিয়ে পানি ঢেলে দেয়াকে বলে "ওয়াটার ট্রিটমেন্ট"; সিআইএ, এফবিআই এই টেকনিক ব্যবহার করে ক্রিমিনালদের থেকে কথা আদায় করে; আপনার বোন বেঁচে গেছে, এটাই বড় কথা; আপনাদের পরিবার বেকুবী করেছে।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: বুঝলাম বেকুবী- কিন্তু আমার বোন-তো পরদিন থেকে ভাল হয়ে গেল- তার কি করবেন?

আপনার মন্তব্য ভাল লাগে- হোক সে ত্যড়া ব্যড়া :)

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " বুঝলাম বেকুবী- কিন্তু আমার বোন-তো পরদিন থেকে ভাল হয়ে গেল- তার কি করবেন? "

-কোন একটা ভয়ে উনার মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিলো; "ওয়াটার ট্রিটমেন্টে"র নিশ্বাস কষ্টে উনার মগজ কোনভাবে "রিসেট" করেছে; তবে, মৃত্যও হতে পারতো, কিংবা মগজের ক্ষতি হতে পারতো অক্সিজেনের অভাবে।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: হতে পারে- আমি বলছি না সেটা নিশ্চিত জ্বীন ভুতের ব্যাপার!

কিন্তু ঠিক সেই সময়ে টিনের চালে ভয়ঙ্কর শব্দ( মনে রাখবেন বাড়ির চারদিকে তখন হাজার হাজার মানুষ) আর ঘরের মধ্যে আচমকা দমকা হাওয়ার কোন ব্যাখ্যা?
সেই সিভিল সার্জন ঘোটনার পরে তার স্ত্রী-কে নিয়ে বহুবার আমাদের বাসায় এসেছেন। তার স্ত্রী খুটিয়ে খূটিয়ে প্রশ্ন করেছেন। তারা ঘরে বাইরে সবখানে ঘুরে ফিরে দেখেছেন। কিন্তু কুল কিনারা করতে পারেননি। কয়েক বছর আগে আমি ফের তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম? কিন্তু তিনি এখনো আঁধারে আছেন।
ওদিকে কাদের সাহেব কিন্তু এলোপেথিক ডাক্তার ছিলেন।

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। যেহেতু সত্য ঘটনা, ভাবতেই অবাক হচ্ছি কি অমানুষিক চাপ সে সময় আপনাদের উপর দিয়ে গিয়েছে।‌সুফি ডাক্তার ঘটনার কোনো ব্যখ্যা দেননি? ভালো লাগলো শুনে মে ছোট আপার সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে এখন তিন সন্তান নিয়ে সুখে। ঘরসংসার করছেন। স্মৃতিচারণমূলক আধাভৌতিক কাহিনীতে ভালো লাগা।
শুভেচ্ছা নিয়েন প্রিয় তপন ভাই।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: ভাই পদাতিক চৌধুরি, আন্তরিক ভাবে দুঃখিত দেরিতে মন্তব্যের উত্তর দেবার জন্য।
সুফি ডাক্তার এ বিষয়ে কি বলেছিলেন তা আমার ঠিক স্মরণে নেই।
হ্যা নিশ্চিতভাবে ঘটনাটা আমাদের পুরো পরিবারের উপরে সাংঘাতিক মনস্তাত্তিক চাপ সৃষ্টি করেছিল।
অনেক ধন্যবাদ আপনার সহমর্মিতার জন্য।
ভাল থাকুন সবসময়।

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: অদ্ভুত!!
বড় অদ্ভুত।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী অদ্ভুত তো বটেই।
আপনারতো এমন অদ্ভুত ধরনের অনেক ঘটনা আছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ- ভাল থাকুন।

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




একদম জম্পেশ একটা লেখা লিখেছেন।
বর্ণনা ভয় ধরানো, শ্বাস রুদ্ধতা বাড়িয়ে দেয়ার মতো।

বললেন , দু-দু'খানা ভুতের গল্প খুঁজে পেয়েছেন। তো, আরেকখানা কই ?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপন বর্ণিত ঘটনাগুলোও মনে ভয় ধরিয়ে দেয় :) সেগুলোরও ব্যখ্যা খুঁজে পাওয়া দুস্কর!


আরেকখানা ভুতের গল্প মাঝখান থেকে খানিকটা স্বরণ করতে পারছিনা। তাছাড়া সময়ের খানিকটা খামতিতো আছেই।
সময় পেলে অবশ্যই দিব। ভাল থাকুন - সুন্দর থাকুন।

৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এখন ভূত জ্বিনের আসর কমে গিয়েছে। আগে মানুষ বোকা ছিল বলে বিশ্বাসী ছিল এইসবে

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: মানুষ এখনো বোকা আছে। যে কোন ভৌতিক আধি ভৌতিক ঘটনা বিশ্বাস করা লোকের অভাব নেই।
তবুও চিন্তাশীল কিছু লোক চেষ্টা করে যাচ্ছে কিছু একটা ব্যাখ্যা দাড় করানোর জন্য। এটা ভাল লক্ষন।

৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখায় টান টান উত্তেজনা ও ভয়ের আবহ ছিল। লেখার শৈলীও মনকাড়া।

যেহেতু আমি জিনে বিশ্বাস করি, এটা জিনের আছরও হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে ছোটো আপার জীবনে ঘটে যাওয়া ঐ ঘটনাটা জিনের দ্বারাই ঘটেছিল বলে ধরে নেয়া যায়।

এবার অন্যদিকটা, মানে প্র্যাক্টিক্যাল দিকটা আলোচনা করি।

মেলায় বিভিন্ন রকম রান্নাবান্না হয়, যেমন পেঁয়াজু বানানো, মিষ্টি বানানো, ইত্যাদি। বাতাসের ঝাপটায় চুলার গরমও গায়ে এসে লাগতে পারে। ওগুলো এত ব্যাপক না যে একসাথে অনেক মানুষের গায়ে সেই গরম বাতাসের ছোঁয়া পাওয়া যাবে। হাঁটে বা বাজারেও পাওয়া যায় এমন গরম হাওয়া। রাস্তায় হাঁটার সময়ও নেচার থেকেও ঠান্ডার মধ্যে যেমন গরমের একটা দমকা পাওয়া যায়, রোদ থেকে আসা, কিংবা কোথাও চুল্লি জ্বলছে বা কিছু পোড়ানো হচ্ছে; আবার গরমের মধ্যেও কখনো বা ঠান্ডা কিছু হাওয়ার পরশ পাওয়া যায়, অদূরে বৃষ্টিধোয়া বাতাস আর কী। ছোটো আপা যে গরম ভাঁপটা পেয়েছিলেন, সেটা কোনো চুল্লির আগুনের আঁচ হতে পারে।

রাতের বেলা কম্বলের নীচে বিলাই ঢুকেছিল :) বাই চান্স ইঁদুর বা চিকাও হতে পারে। অন্য সম্ভাবনাও আছে।

গায়ে কু-বাতাস লাগা - আমাদের দেশে এরকম কথা প্রায়ই শোনা যায়। এই কুবাতাস লাগার পর মানুষ অসুস্থ হইয়া যায়। কুবাতাসের রোগে বেশিরভাগই পীর-ফকিরগণ চিকিৎসা করে থাকেন। এটা সেই আগের যুগের ব্যাপার ছিল, যখন আমাদের দেশে মেডিকেল ডিপার্টমেন্ট, টেস্টিং ফ্যাসিলিটিজ এত উন্নত ছিল না। আজকাল আমার গ্রামেও পীর-ফকির একেবারে শূন্যের কোঠায়, কারণ, হাতের কাছে এলোপ্যাথিক ডাক্তার, ডায়াগনোসিস সেন্টার আছে।

আমার চাচির কাছ থেকে শোনা কাহিনি। আমার এক চাচাতো বোনকে জিনে ধরেছিল। একদিকে তার শরীরে প্রচণ্ড যন্ত্রণা, অন্যদিকে সে নানা রকম ভূতুড়ে কাজকাম করে। একসময় সে প্রায় পুরোটাই পাগলের মতো হয়ে যায়। কোনো ডাক্তার-কবিরাজই তা সারাতে পারছে না। অবশেষে এক ফকিরের দ্বারস্থ হলেন চাচি। ফকির এক আসর বসালেন। কোনো এক পদ্ধতিতে তার নাভি থেকে নাকি চুল বা জঙ্গলের মতো একদলা হাবিজাবি জিনিস বের করা হয়, আর ওগুলো বের করার সাথে সাথেই চাচাত বোন অজ্ঞান হয়ে যায়। কিছু পর জ্ঞান ফিরে আসে এবং এরপর সে সুস্থ হয়ে যায়।

ছোটো আপা প্রথমবার গরমের ভাঁপ পাওয়ার পর থেকেই তার মনের অবস্থা পরিবর্তন হতে থাকে, হয়ত কোনো ভয় থেকে। এর পর ঘটে যাওয়া সবগুলো ঘটনা একটার উপর আরেক্টার চাপ বা প্রভাবের ফলে ঘটে থাকতে পারে।

গ্রাম বাংলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অজস্র রোমহর্ষক কাহিনি। বাংলার প্রকৃতিতে কাহিনিগুলো মোটামুটি অভিন্ন। চৈতিবিবির দিঘির কাহিনিও যুগ যুগ ধরে মুখে মুখে শুনে আসা কাহিনিগুলোর একটা।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: বাপরে! আপনার যে কত শত কাহিনী জমে আছে 'সোনাবীজ' ভাই!!!

এমন আন্তরিক ও হৃদয়গ্রাহী মন্তব্যে যে কোন লেখক অনুপ্রাণিত হবে নিঃসন্দেহে!

মজা পেলাম সবটুকু পড়ে। আপনার লিংক গুলোতে সময় করে গিয়ে ঢুঁ মেরে আসব নিশ্চিত।

ভাল থাকুন সবসময়ের জন্য।

৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: একটানে পড়ে ফেললাম, তেমন আপনার অন্য লেখাগুলো পড়ি...

ভালো লাগলো বরাবরের মতই। সম্ভবত এটা জ্বীনের আছর, আপনি চমৎকার ভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। আপনার ছোট আপার এই দুর্যোগ পুরোপুরি কাটাতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার পোস্টে মন্তব্য করা হয়না, কারণ বেশিরভাগই অফলাইনে পড়ি। তবে আপনার সব পোস্টেই আমার "লাইক" থাকে মনে মনে, এবার বাস্তবে লাইক।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে ফের পেয়ে দারুন আপ্লুত ও আনদিত হলাম!

এতটুকু ভালবাসা আমার জন্য অনেক পাওয়া। এখন থেকে কল্পনায় আপনার মন্তব্য পড়ে নেব :)
সুস্থ থাকুন -ভাল থাকুন

১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৪

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এরকম একটা ঘটনা আমাদের এখানেও ঘটেছিলো অনেক বছর আগে।এক ছেলে গার্মেন্টস থেকে নাইটশিফটের কাজ শেষে ফেরার পথে এমন গরম হাওয়া অনুভব করে।পরের দিন থেকেই যাকে পায় তাকেই মারতে যায়।তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিলো।

গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপনি কি ব্লগের পাতায় সেই ঘটনাটা শেয়ার করবেন বা করেছেন। লিখুন না আমরাও নতুন কিছু ভৌতিক ঘটনার কথা?

ভাল থাকুন- সাথে থাকুন সব সময়।

১১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: ভয়ঙ্কর ঘটনা। আপনার বর্ণনাতেও জাদু আছে। একেবারে গ্লুর মতোই চোখ আটকে ছিল লেখাতে শেষ না হওয়া পর্যন্ত। :D

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: কি যে বলেন ভাই- আপনার কি দারুন লেখার হাত। আমি পড়ে বার বার মুগ্ধ হই।

আমি দারুন অনুপ্রাণিত হলাম আপনার মত গুণী ব্লগারের এমন মন্তব্যে।

আপনার প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভকামনা।

১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় ব্লগার, আমি সাধারণত কেউ মন্তব্য করার কিছুক্ষনের মধ্যেই প্রতি মন্তব্য করার চেষ্টা করি- কিন্তু পোস্ট দেবার পরপরই ঢাকার বাইরে আসায়, সানুর সীমাবদ্ধতার কারনে সবার মন্তব্যের উত্তর দিতে পারছিনা।
যে সব প্রিয় ব্লগারবৃন্দ মন্তব্য করেছেন তাদের প্রতি সবিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আমি হাতের কাছ কম্পউটার পেলেই সবার মন্তব্যের প্রতিউত্তর দিব।
সবাই ভস থাকুন

১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৬:৩৬

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার সাবলীল বর্ণনা। একটানে পড়ে ফেললাম। বেশ ভালো লাগলো আপনার সত্য কাহিনী।এক সময় আমাদের বাসায় চিত্রবাংলা নামে ম্যগাজিন রাখা হতো। সেখানে এধরনের ঘটনা প্রায় থাকতো।
শুভসকাল।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা চিত্রবাংলার কথা আমারও মনে পড়ে।

আপনার কিছু লেখা আমাকে দারুন অনুপ্রাণিত করে এবং ভিতরটা নাড়িয়ে দেয়। ভাবি এত গুছিয়ে এরা কেমন করে লেখে।
আমার প্রতিটা লেখাই মনে হয় খাপছাড়া। তাই বহু ভেবে চিন্তে পোষ্ট করি।
মন্তব্যে প্রীত হলাম। ভাল থাকুন

১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি ভয়ংকর!

আমরা যেমন এক প্রকার আত্মা, আরো বহু বহু বহু প্রকার আত্মা আছে।
কখনো শরীরি, কখনো অশরীরি। তবে সহসা তারা মানুষকে বিরক্ত করে না। আবার করলে তার জন্য বিচার সালিশও আছে।

আমার দাদাজানের বশীভুত ছিল এক জ্বিনের বাদশা। মুরিদ হয়েছিল। কত গল্প যে শুনেছি ছোটকালে গ্রামে গেলে!
মুরুব্বীরাই বেশি বলতেন। তারা প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন অনেক ঘটনার। এবং উনার প্রতিশ্রুতি মতো আজো তাদের বংশধররা আমাদের পরলে উপকার করে। ক্ষতি হতে দেয় না।

আর মুসলমান আর বিশ্বাসীদের জন্য অবিশ্বাসের স্থান নেই। সূরা জ্বিন তাদের নিশ্চয়তা দেয়। আর সত্যবাদী আল আমিন নবীর বানী । জ্বিনদেরই বিভিন্ন ধারা বিভিন্ন নাম নিয়েছে মানুষের মতো- মানুষই যেমন, চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসী, ধর্ষক, তারাও তেমনি ।

আপনার রুদ্ধশ্বাস গল্পে +++++++


০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় ভ্রাতা বিদ্রোহী ভৃগু,
আমার লেখায় যেমন আপনি +++++ দিলেন তেমনি আপনার মন্তব্যেও প্লাস প্লাস প্লাস!
আপনার মন্তব্য তো সাধারন মন্তব্য নয় মাঝে মাঝে লেখকের লেখাকে ছাপিয়ে অন্য উচ্চতায় চলে যায়।

আমার ভৃগু'দার মন্তব্য আমাকে আরো ভাল কিছু লেখার জন্য অনুপ্রাণিত করে।
ভাল থাকুন- সবসময়, সুস্থ থাকুন

১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: এক্কেরে ক্লাসিক ভূতের কাহিনী। মারদাঙ্গা।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী টিচার- আপনার পাঠশালায় মাঝে মধ্যে ত্যাড়াবেড়া মন্তব্য করলেও শিখছি অনেক কিছু :)
অনেক ধন্যবাদ আমার বলে আসার জন্য।

১৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

ওমেরা বলেছেন: আপনার সত্য কাহিনীর মত অনেক কাহিনী শুনেছি আম্মুর কাছে, কোন দিন এরকম দেখার সুভাগ্য হয়নি আমার আম্মুও দেখেনি অন্যের কাছে শোনা। আপনি তো নিজের চোখে দেখেছেন শুনেছেন তাহলে মনে হয় সেগুলোও সত্যি।

খুব ভালো লাগলো আপনার ঘটনা।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: শোনা ঘটনা থেকেই বলুন না দু-চারটে

না লিখলে কিন্তু সামু ব্লগের ভুতেরা গোস্যা করবে!
লেখা পড়ে আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার প্রতি শুভ কামনা রইল।

১৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভংঙ্কর অভিজ্ঞতা। সুন্দর হয়েছে বর্ণণা।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন ভুতের সাথে থাকুন।

১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:



এরকম ঘটনাগুলো আসলেই ভাবায় ।
তখন সাময়িকভাবে কোনও লজিক কাজ করেনা ।
যদিও জানি কোনও অজানা কারণ অবশ্যই আছে ।
পড়তে ভালো লেগেছে ।


০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার @ মিরোরডডল ( ঠিক ভুতের মত কি কঠিন নাম রে বাবা):

আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করল- আরেকটা ভুতের গল্প লেখার জন্য :)

শুধু সাময়িক নয় যতদিন পর্যন্ত এর ব্যাখ্য না মেলে ততদিন রহস্যই হয়ে যায়!
ভাল থাকুন সর্বক্ষন ।

১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২২

শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগার @ মিরোরডডল কে বলছি( ঠিক ভুতের মত কি কঠিন নাম রে বাবা):

আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করল- আরেকটা ভুতের গল্প লেখার জন্য :)

শুধু সাময়িক নয় যতদিন পর্যন্ত এর ব্যাখ্য না মেলে ততদিন রহস্যই হয়ে যায়!
ভাল থাকুন সর্বক্ষন ।

* মোবাইলে প্রতিউত্তর দিতে বিরক্ত লাগছে।

২০| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪

লাবনী আক্তার বলেছেন: গল্প গতকাল পড়া শুরু করেছিলাম কিন্তু কাজের চাপে ভুলে গিয়েছিলাম । যাইহোক, এখন পড়ে ফেললাম। ভালো লাগল। বিশেষ করে শেষে জয়নাল ডাক্তারের অবস্থা দেখে হেসেছি অনেক।

জ্বীন আছে সে কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক আমি বিশ্বাস করি। কারন এমন ঘটনা অনেক আমি দেখেছি। আমার আপনজনদের সাথে এমন হয়েছে। আমার মা, নানা, খালুর সাথে জ্বীন ছিল। আমার মা অনেক কিছু বুঝতে পারতেন, এবং আমাদেরকেও অনেক কিছু দেখাতেন। আমি নিজে দেখেছি যার কারনে বিশ্বাস করি। অনেক মজার মজার গল্প আমি মা এবং খালুর কাছ থেকে শুনতাম। এসব ঘটনা সাধারণত অনেক মানুষই বিশ্বাস করতে চায়না। কিন্তু যারা ভুক্তভোগী তারাই জানেন এর সত্যতা।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: মাঝে মধ্যে কোথায় হারিয়ে যান বলেনতো? আমার লেখায় আপনাকে কত খুঁজি ...
হ্যা জয়নাল ডাক্তারের ঘটনা তখন মুখে মুখে ভাইরাল হয়েছিল :) বেচারা!

আপনার সেই শোনা গল্প গুলো আমরা শোনার অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকুন সবসময়-আর ব্যাস্ততার মাঝেও সময় বের করতে হবেই কিন্তু ব্লগিং করার জন্য

২১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৪

আকন বিডি বলেছেন: বস ভালো আছেন? আমি ব্যাথা নিয়া আছি। আজ সকালে মশারী গোছাতে গিয়ে সিলিং ফ্যানে হাতের বারটা বাজছে। তাই আর কিছু লিখলাম না। বাসায় বসে আছি কিন্তু কিছু লিখতে পারছি না। :((

চাঁদগাজীর মন্তব্য "কোন একটা ভয়ে উনার মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিলো; "ওয়াটার ট্রিটমেন্টে"র নিশ্বাস কষ্টে উনার মগজ কোনভাবে "রিসেট" করেছে; তবে, মৃত্যও হতে পারতো, কিংবা মগজের ক্ষতি হতে পারতো অক্সিজেনের অভাবে।"

বাঙালীর মগজ রিসেট করা যায় না? হাসুপাকে দিয়ে শুরু করে সবাইরে রিসেট মারলে দেশে পরিবর্তন আসতো।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: আহারে আপনি সেই কবে ব্যাথা পেয়েছেন আর আমি সমবেদনা জানাতে বসেছি আজ!!

জরুরী কাজে ঢাকার বাইরে গিয়েছিলাম। ফিরতে দেরি হয়ে গেল। আপনার মন্তব্য মোবাইলে পড়েছিলাম- কিন্তু উত্তর আর দিতে পারিনি।

হাতের কি অবস্থা এখন? লিখতে পারছেন তো। আমার এরকম দু তিন বার হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই ভাল হয়ে উঠবেন

২২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমার মনে হয় বাংলাদেশেও ঘটা করে আয়োজন করে 31 শে অক্টোবর হ্যালোইন উৎসব পালন করা উচিত।
বিশেষ করে স্কুল কলেজে এটা করা হলে বাংলাদেশ থেকে ভূতের ভয় অনেকটাই কমে যাবে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা এত শত উৎসব হুদাই পালন করি- ওইটে করতে আর দোষ কি।

ঠিক বলেছেন বাচ্চা কাচ্চাদের চরম ভুতের ভয় বড়দের খুব যন্ত্রনা দেয়!( আচ্ছা মানুষ ছাড়া অন্য প্রানী কি ভুতের ভয় পায়?)

২৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এই রকম ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য মানুষের কাছ থেকে যে কয়টা শুনেছি বা জেনেছে, আমি অবিশ্বাসও করতে পারিনি, আবার মেনে নিতেও পারি নি। তপন ভাই, আপনার বোনের এই ঘটনাও আমি মাথা থেকে ফেলে দিতে পারব না..............

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২১

শেরজা তপন বলেছেন: কতদিন পরে আপনাকে পেলাম ব্রো - ব্লগে খুব কম দেখি ইদানীং?

আমিতো নিজেই লিখেছি চরম অবিশ্বাস নিয়ে- তবুও ভয় লাগে :)
এভাবে ডুব দিলে হবে রে ভাই। আপনাদের মত পুরনো ব্লগারদের সামুতে অনেক বেশি প্রয়োজন।

২৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৩১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি খুবই সুন্দর পোস্ট পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মত গুণী ব্লগার সুন্দর বললে আর কি চাই-

আমি দারুন পুলকিত ও আনন্দিত। ভাল থাকুন সাজ্জাদ ভাই

২৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২২

কাতিআশা বলেছেন: উফ্‌ কি ভংঙ্কর অভিজ্ঞতা!... আপনার সাবলীল, সুন্দর বর্ণণায় আরো ভয় পেয়ে গেলাম..জানা অজানার মাঝেই তো আছি আমরা!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: অসুখ থেকে সেরে উঠে এখন তো আর একা থাকতে হয় না। খানিকটা ভয় পেলে ভালইতো :)

ভয়ের মাঝেও মজা আছে কি বলেন?

২৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২০

মা.হাসান বলেছেন: মানুষ ছাড়া অন্য প্রানী কি ভুতের ভয় পায়?
অন্য প্রানি ভুতের উপস্থিতি বুঝতে পারে, তবে ভয় পায় কি? নিশ্চিত না।

যা হোক যুক্তিবাদিরা অনেক থিওরি দিয়েছেন, কিন্তু টিনের চালের শব্দের বিষয়ে নীরব।

এরকম অনেক ঘটনাই আছে। কিছু ঘটনা ভন্ডামি। কিছু সত্য। ভন্ডামিওয়ালা ঘটনা গুলোর জন্য সত্য ঘটনাগুলোরও দুর্নাম হয়ে যায়।
আমি প্রতিটি বর্ন বিশ্বাস করেছি। তবে ইদানিং ভয় পাবার ক্ষমতাটা কমে গেছে।

আপনি নিরাপদে ঢাকায় ফিরেছেন যেনে ভালো লেগেছে।

অনেক শুভ কামনা।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: আমরা যতই সব্জান্তার ভাব নেই না কেন- সত্যিকারে আমরা মহাবিশ্বের অসীম রহস্যের সন্মন্ধে কতটুকুই বা অবগত!

কত কিছুইনা আমাদের দেখা/জানা/চিন্তার গন্ডির বাইরে রয়ে গেছে।
কাদের সাহেবকে শুধু আমার পরিবার নয় আমাদের সমগ্র উপজেলার মানুষ ভক্তি শ্রদ্ধা করত। তিনি মুলত এয়ালোপেথিক ডাক্তার ছিলেন। কারো কারো খুব বেশী অনুরোধে তিনি ঝাড় ফুকের কাজ করতেন-তবে এর বিনিময়ে একটা পয়সাও নিতেন না।
তাকে এবং তার কথা অবিশ্বাস করতে মন চায় না।
মা হাসান ভাইয়াপনার সু চিন্তিত মতামত পড়ে দারুন প্রীত হলাম। সাথে থাকবেন ভাই সবসময়।

ভাল থাকুন- সুন্দর থাকুন

২৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আপনাকে নিয়মিত হতে দেখে সত্যি আবার নিয়মিত হতে ইচ্ছে হচ্ছে ভাই। ফেসবুকে রিকু পাঠাচ্ছি, সেথা আপনার দেখা পাচ্ছি ইদানিং। আমার নামের প্রথম অক্ষর ইংরেজী এম, আর শেষ অক্ষর ইংরেজী এন। ব্লগের মজা ফেসবুকে নেই, ফেসবুকের সিংহভাগ আইডিই যা তা। আর নিজের নামে যেহেতু লিখি, যা মন চায় তা লিখতে পারি না..........

২৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার @ মিরোরডডল ( ঠিক ভুতের মত কি কঠিন নাম রে বাবা):

আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করল- আরেকটা ভুতের গল্প লেখার জন্য :)


আরেকটা ভুতের গল্প লেখা কিন্তু পেন্ডিং আছে।


০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি ভুতেরমত ঘুরতে ঘুরতে ফের এতদিনপরে এখানে আসলেন কেন???
নতুন ভুত আর আসছে না যে!!
আসলেতো লিখব - আপনি একটু দোয়া দরূদ পড়ে ঝাড় ফুঁক দেন!


শুনেন আমি আমার মত করে সেদিন কি আবোলতাবোল ভাবলাম আপনাকে নিয়ে ( হয়তো সব ভুল- লেখকেরা মানুষকে নিয়ে এমনি করেই ভাবে- এখানে আর কেউ সেভাবে মনে হয় আসবে না তাই এখানেই দিলাম ); সম্ভবত আপনি নিঃসন্তান। আমার ধারনা আপনি বিয়ে সাদি করেন নি করলেও বিচ্ছেদ হয়েছে না হয় উইডো। আপনি আপনার বিছানা আর কোন পুরুষ মানুষের সাথে শেয়ার করতে চাননা সম্ভবত। আপনি চরম রোমান্টিক হলেও মনের মত কাউকে খুঁজে পাননি- কখনো পেয়েছেন ভাবলেও আসলে কাছাকাছি আসার পরে তাঁকে আর আট দশটা মানুষের মতই আবিস্কার করেছেন সম্ভবত। স্পষ্টভাষীতার জন্য বেশ বিপদে পড়েন তবে ব্যাক্তিত্ববাদী ও শিক্ষা, আপনার প্রফেশন ও সম্পদের জন্য আপনাকে সবাই সমীহ করে চলে। আপনি ভীষণ আড্ডাপ্রিয়, সবার সমস্যা সমাধানে ঝাঁপিয়ে পড়েন জানপ্রান দিয়ে ( ১০০ ভাগ নিশ্চিত)। ভ্রমণপ্রিয় হলেও কেন যেন মনে হচ্ছে খুব হুলস্থুল জায়গা পছন্দ করেন না। আপনার পরিবারের সবাই আপনাকে ভালবাসলেও মনে মনে সবাই চায় আপনি তাদের থেকে দূরে থাকুন।

২৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: আপনি ভুতেরমত ঘুরতে ঘুরতে ফের এতদিনপরে এখানে আসলেন কেন???

কারণ আমি ভুত :) সেই কমেন্টের তিন বছর পূর্তি, তাই মনে করাতে এসেছিলাম যে গল্পটা আর লেখা হয়নি।

লেখকেরা মানুষকে নিয়ে এমনি করেই ভাবে

হুম তাইতো দেখছি লেখকের ভাবনার দৌড়।

আমার ধারনা আপনি বিয়ে সাদি করেন নি করলেও বিচ্ছেদ হয়েছে না হয় উইডো।

হা হা হা........ সব অপশন একসাথে এটা কোন গেইজ হলো?

চিন্তার পরিধি আরও প্রসারিত করতে হবে।

এনিওয়ে, যেগুলো মিলেছে সেটা নিয়ে বলি।

আপনি ভীষণ আড্ডাপ্রিয়,

হ্যাঁ তবে সেটা কমফোর্ট জোনের মধ্যে। অল্পকিছু পছন্দের ফ্রেন্ডস ও কলিগ, আর ফ্যামিলির সাথে।

সবার সমস্যা সমাধানে ঝাঁপিয়ে পড়েন জানপ্রান দিয়ে ( ১০০ ভাগ নিশ্চিত)।

জানপ্রান দিয়ে কিনা জানিনা তবে প্রিয়জন, পরিচিতজনের সমস্যা আমার সমস্যা হয়ে যায়।
সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে চাই, কেউ ভালো না থাকলে সেট আমাকেও এফেক্ট করে।

ভ্রমণপ্রিয় হলেও কেন যেন মনে হচ্ছে খুব হুলস্থুল জায়গা পছন্দ করেন না।

দশে দশ শেরজা :)

আপনার পরিবারের সবাই আপনাকে ভালবাসলেও মনে মনে সবাই চায় আপনি তাদের থেকে দূরে থাকুন।

হয়নি, উল্টোটা হবে, তারা চায় আমি তাদের কাছে গিয়ে থাকি।
কিন্তু আমি মনে করি দূরে থাকলে সম্পর্ক ভালো থাকে।
আমি চলে যাবার সময় তাদের কষ্ট কম হবে।

অনেক বলে ফেলেছি, আর না।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: ভেবেছিলাম আপনার সাথে একান্তে কথা কইব - এখন দেখি নিবর্হন চলে এসেছে :)
যাক কিছু কিছু মিলেছে এইবা কম কিসে!
'হয়নি, উল্টোটা হবে, তারা চায় আমি তাদের কাছে গিয়ে থাকি।
কিন্তু আমি মনে করি দূরে থাকলে সম্পর্ক ভালো থাকে।' এখানে আমার ভাবনার ভুল হওয়াতেই আমি খুশী হয়েছি। তবুও খটকা আছে। বহুদিন বাদে আসেনতো কিংবা দূরে থাকেন তাই বোঝেন না।

# খেলাঘরের প্রতি আপনার বিশেষ দুর্বলতার কারণ আমি উদ্ধার করতে পারিনি। আর খেলাঘর কেন আপনাকে এতটা সমীহ করে সেটাও আমার কাছে ধাঁধার মত।
# আপনার বয়স নিয়ে আমি সত্যিই খুব দ্বীধান্বিত।
# আপনি এতবেশী খোলামেলা কথাবার্তা বলেন যে নারীরা (পুতু পুতু, ন্যাকা, ভাল সেজে থাকার চেষ্টারত বাঙ্গালী) আপনার সাথে সম্ভবত খুব বেশী সহজ হতে পারে না। আপনার পুরুষ বন্ধু বেশী মনে হচ্ছে?

যাক লাইন ক্রস করা উচিৎ নয়। ব্যক্তিগত এত বেশী কিছু জানতে চাওয়া উচিৎ নয়। তবে একটা ব্যাপার আপনার স্বীকার করতেই হবে সেদিনের লেখা থেকে আমি আপনার ব্যাপারে অনেক কিছুই ধারনা করতে পেরেছি ঠিক কি না?

৩০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: জয়নাল ডাক্তার দেখছি হুমায়ূন আহমেদের নাটকের চরিত্র , হা হা হা হা হা

০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ হ্যাঁ তা কিছুটা তো বটেই। এই মিয়া আপনে এই ভুতের আড্ডায় কি করেন!!!!

৩১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ইয়ে শেরজা ভাই আমারে নিয়া কী ভাবসিলেন হেইডা যদি কৈতেন ।

আপনিও তো দেখি কামেল কিছিমের মানুষ !!

০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি এখনো সেই বয়সে গিয়ে পৌছাননি!
মিরোর আপুর বয়সে গিয়ে পৌছান আর আমিও আরেকটু কামেল হৈ তারপরে কমুনে :)
ইয়ার্কি মারেন। এই ভুতের আড্ডায় আপনার ফের দেখলে ওই জ্বীনরে পাঠায় দিমু।

৩২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এই মিয়া আপনে এই ভুতের আড্ডায় কি করেন!!!!

হেহে হেহে হেহে , আমি প্রথম থেকেই অতিপ্রাকৃত থ্রিলার লিখে এসেছি । আর প্লট মাথায় আসে না বলে এখন আর লিখি না !

০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: গল্প লিখে কি হবে কাহিনী লিখেন। নিজের এক জীবনের কাহিনী লিকে শেষ করে যেতে পারছি নারে ভাই আর আপনি গল্পের প্লট খুঁজছেন।
বাড়ির থেকে বের হয়ে যান উদ্দেশ্যবিহীনভাবে- গল্পের প্লট আপনাপনিই আসবে।

৩৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:২২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এই ভুতের আড্ডায় আপনার ফের দেখলে ওই জ্বীনরে পাঠায় দিমু।

আমার মাতৃবংশে ও পিতৃবংশে জ্বীনদের সাথে সেই রকমের ফ্রেন্ডশীপ , দেন আরেকটা পারিবারিক বন্ধু বাড়বে !!

৩৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:




সবার কাছেই ফ্যামিলি ইম্পরট্যান্ট, আমারও তাই।
Family means everything to me.

আমরা ভাইবোনরা হচ্ছি বেষ্ট ফ্রেন্ডস।
we're close to each other's heart.

মা আমার দেখা সবচেয়ে সহজ সরল মা। আমি যখন ওখানে থাকতাম, বাসার বাইরে গেলে সন্ধায় ফেরার সময় দেখতাম মা ব্যালকনিতে অপেক্ষারত কখন ফিরবো। এখনও যখন যাই, বাইরে কোথাও গেলে কি যে টেনশন, একটু পরপর ফোন করে খবর নিবে। মায়ের জন্য আমার যে কেমন মন পোড়ে! আমাদের পরিবারের সবার মাঝে সম্পর্কের যে মধুরতা এটা আসলে বলে বোঝানো সম্ভব না, এটা অনুভবের বিষয়।

অথচ শেরজা বলছে:
আপনার পরিবারের সবাই আপনাকে ভালবাসলেও মনে মনে সবাই চায় আপনি তাদের থেকে দূরে থাকুন।

এমন মনে হবার কারণ?
আমি যখন বললাম 'হয়নি, উল্টোটা হবে, তারা চায় আমি তাদের কাছে গিয়ে থাকি।

তারপরও শেরজা বলছে:
তবুও খটকা আছে। বহুদিন বাদে আসেনতো কিংবা দূরে থাকেন তাই বোঝেন না।

এখন তো আমাকে জানতেই হবে কিসের ভিত্তিতে শেরজার এমন নেগেটিভ চিন্তা?


০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: আমি আর কিছু বলব না। বাদ দেন।
এ আলোচনার এখানেই সমাপ্তি টানেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.