নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
মইনের আবেগ উচ্ছাস যত বাড়ে- অর্থের আমদানী তত কমতে থাকে। ও এখন ঋনের ভারে গলা অব্দি ডুবে গেছে। ভেবেছিল লতিফের হয়তো কোন খোঁজ পাবে?
সে তার এখানে যেই জনা ত্রিশেক লোক আছে পারাপারের লোক আর ওপারের রোমানিয়ান ব্যাপারির সাথে দেন দরবার করে আপাতত বাকিতে পাঠানোর বন্দবস্ত করেছে। কিন্তু যে বিশাল দেনার ভার তার কাঁধে – সেটাকে সামাল দিয়ে গিয়ে আরো দেনার জালে জড়িয়ে গেছে।
একদিন মদের ভান্ডারে টান পড়ল। বাজারের খরচ কমল- লারিসার কপাল খানিকটা কুঞ্চিত হল।
ধীরে ধীরে নামী-দামী লেবেলের মদের পরিবর্তে সস্তার মদ আসতে লাগল- সাথে খাবার যেটুকু না হলেই না।
সবাই বলে না, বিধাতা অলক্ষ্যে বসে মুচকি হাসলেন; ঠিক তেমনি আমাদের অদৃষ্ট ও যেন অলক্ষ্যে মুচকি হাসছিল!
মইন হেরে গেল শেষ মেষ, পরাজিত হলাম আমিও। একদিন মদ কেনার টাকা আর অবশিষ্ট রইল না। সারাদিন পার্কে ঘুরে দু’বন্ধু বেশ রাত করে খালি হাতে বাড়ি ফিরলাম!
লারিসা বুদ্ধিমতি মেয়ে; গুরুতর একটা সমস্যা আঁচ করতে পেরেছিল। মইনের বাড়াবাড়ি ধরনের সস্তা মদ গেলা, লারিসার থেকে চোখ সরিয়ে রাখা আর খিটখিটে মেজাজ ওর সুক্ষ অনুভুতিকে নাড়া দিয়েছিল।
আমাকে কয়েকবার জিজ্ঞেস করেছে- কিন্তু আমিও সযতনে এড়িয়ে গেছি। কিন্তু আজ চোর যেন ধরা পড়ল হাতে নাতে! এই প্রথমবার সে আমাদের জন্য খাবার সাজিয়ে বসে ছিল।
তবুও সে মইনকে এতটুকু জেরা করেনি।এবার যেন তার মইনের এতদিনের উদ্দাম ভালবাসার প্রতিদান দেবার পালা।
অবশেষে অর্থবিত্ত সব খুইয়ে মইন তখন তার প্রেমিকার আঁচল তলে সেঁধিয়ে ভালবাসাকে শক্ত করে আকড়ে ধরে যেন নতুনভাবে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরনা খুজতে চাইল। ওদিকে আমি যেন হতাশার আরো অন্ধকার ভীষন গভীরে হারিয়ে যেতে থাকলাম ।
সেই কস্টকর দিনগুলো আজো আমায় ভয়ংকর দুঃসপ্নের মত তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। দু —চার —পাঁচটা ডলারও যত তখন আমাদের কাছে মহামুল্যবান মনে হত। কষ্টেসৃষ্টে বেঁচে থাকাও ছিল বড় কস্টের! সামান্য একখানা শুকনো রুটি আর কয়েক কাপ বিস্বাদ চা খেয়েও দিন কাটিয়েছি সঙ্গে দুয়েক টুকরো সেদ্ধ আলুও মেলেনি। দিনের পর দিন ক্ষুধার্ত পেটে শুকনো মুখে ঘুরে বেরিয়েছি নতুন ব্যাবসার ধান্ধায় কিন্তু অহংকারী মন কারো পরিচিত কাছে হাত পাততে দেয়নি সাহায্যের আশায়। দুঃশ্চিন্তায় সারারাত ঘুম হয়নি, কথা বলতে বলতে যখন কথা ফুরিয়ে যেত। আধো—অন্ধকারে তখন উদাস ফ্যাকাসে দৃস্টিতে তাকিয়ে থাকতাম আধাময়লা কাগজে মোড়া দেয়ালের দিকে। মনে পরে একটা সিগারেটের জন্য দুজনে কিই—না হা—পিত্যেশ করতাম।
সিগারেটের কথা মনে হলেই বুকের ভিতরটা শুকিয়ে যেত! রাত যত গভীর হত আকাঙ্খা ততই তীব্রতর হত- নেশার টান সইতে না পেরে কোন কোন রাতে চুপিসারে বেরিয়ে পরতাম রাস্তায়। ফ্যাকাসে নিয়নের আলোতে চোখ রেখে রাস্তার কোনে পড়ে থাকা কোন পথিকের ফেলে দেয়া আধপোড়া সিগারেট কুড়িয়ে খেতাম। ফুটপাথের উপর বসে যখন সেই নোংরা পোড়া সিগারেটে দুটো কষে দম দিলেই যেন শরির মনে দারুন প্রশান্তি পেতাম। ফিরে আসতাম চুপি চুপি চোরের মত মাথা নিচু করে,তখন দু-জনে দু'জনার দিকে চাইতেও যেন লজ্জা পেতাম!
মইনের সন্ধ্যে না নামতেই গলা শুকিয়ে যায়। মদ এতদিনে তার ভেল্কি দেখাতে শুরু করল। বহু চেষ্টা করে- নিজেকে শাসায় খিঁচুনি ওঠে প্রায়- দাত কিড়মিড় করে শুন্যে ঘুষি ছূড়ে মারে। মদ তাকে আলকাশ করেছে!
এ ঘোরটোপ থেকে বের হবার কোন উপায় তার জানা নেই। বিশ -বাইশ বছরের একজন যুবক এর থেকে আর বেশীই বা কি জানবে? খাবারে তার রুচি নেই! সারা বাড়িতে তন্ন তন্ন করে খোজে; আশা তার বেশি নয়, বোতলের তলানীতে জমে থাকা একটুখানি মদ। কোন কোন দিন সে ঘর থেকে উন্মাদের মত বের হয়ে যায়। আমি ওর পেছনে ছুটে যাই – রাস্তার পাশে জঙ্গল বা ডাস্টবিনে আঁতি-পাতি করে খোজে কারো ফেলে যাওয়া বোতল। যে মইনকে কখনো আমি ব্রান্ড-বিহীন কন মদ খেতে দেখিনি। সে এখন রাত-বিরেতে রাস্তায় ছন্নের মত ঘুরতে থাকা পাঁড় মাতালদের ফেলে দেয়া (যারা মদের বোতল চিপড়ে খায়)বোতলে দু’ফোটা মদ খোঁজে।
নিজেদের এই ভয়ংকর শোচনীয় অবস্থা লারিসার পরিবারকে বুঝতে না দেয়ার দুর্বল প্রচেস্টা সহজেই ভেস্তে গেল- না বলে মইন সহজেই ভেস্তে দিল বলা চলে। লারিসা আগে থেকেই অল্প বিস্তর জানত মইনের সাথে লতিফের(পাকি সেই ব্যাবসায়ী) প্রতারণার কথা। বাকি থাকল ব্যাবসা আর অর্থনৈতিক অবস্থা! কিছু বলতে হোলনা-
সে আমাদের রহস্যজনক চাল-চলন আর চেহারার জৌলুস দেখেই বুঝে ফেলল ।
শেষ রাতটুকু বাদে প্রায় সারক্ষনই আমাদের রুমে লারিসার প্রবেশ ছিল অবাধ। হঠাৎ করে মইনের উচ্ছাস আর আবেগে ভাটা পরায় ওর সন্দেহ হল,তার উপরে কাজকর্ম ফেলে সারাদিন ঘরে বসে পানসে মুখে বড় বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলায় ধারনা বদ্ধমুল হল।
তবে লারিসাতো বটেই সেই সাথে তার বাবা—মা,ছোটভাই সহ পুরো পরিবারের কাছ থেকে সাহায্য সহানুভুতি ও নতুন করে উদ্দীপনা সৃস্টির জন্য যে সাহস ও উৎসাহ তখন পেয়েছিলাম,তা ছিল আমাদের জন্য অভাবনীয়।
আমি সত্যিই ওই রুশ পরিবারটির কাছে বড় বেশী ঋনী হয়েগেছি । আজ হয়তো সেই ঋন শোধরানোর কোন উপায় নেই,তবুও সেই উপকারের কথা স্মরণ করে সেই ঋনভার কিছুটা লাঘব করার চেস্টা করতে দোষ কি।
প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে ক্ষুধার্ত পেটে কান উৎকর্ণ করে বসে থেকেছি রান্না শেষে তারা খেতে ডাকবে এই আশায়। ক্ষুন্নবৃত্তির পরেই এসে ভর করত লজ্জা —দ্বীধা!
তাদের করুনা ও সহানুভুতির ভার সইতে না পেরে মাঝে মধ্যে অতি প্রত্যুষে সবার অগোচরে বেরিয়ে পড়তাম অনির্দিস্ট উদ্দেশ্যে। বাসী মুখে দু—চার ঘন্টা এদিক ওদিক ঘুরে,লারিসার বাবা—মা অফিসের কাজে বেরিয়ে গেলে ফিরে আসতাম। বরাবরই সে সময়টা দরজা খুলত লারিসা। সে সময়টা ছিল বড় অসস্তির। ঘরের মধ্যে পা বাড়াতেই সে প্রশ্ন করত, নাস্তা করেছি কিনা?
সেই পরিস্থিতিতে ব্যাপারটা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য হাস্য-কৌতুকের নিস্ফল প্রচেস্টা আর মইনের ভুরি—ভোজন শেষে কৃত্তিম ঢেকুরের ক্লান্তিকর চেস্টা ছিল হরিষে-বিষাদের সামিল!
সেই আনাড়ী দুই অভিনেতার ফ্লপ অভিনয়ের পুরস্কার নিয়েই একটু পরে দু’হাতে ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার হাজির হত দেশ থেকে কয়েক হাজার দুরের সেই বিদেশীনি ভগ্নিটি আমার।(এখানে উল্লেখ্য যে সে মইনের ‘ফিয়াঁসে’ পরিচয়ের থেকে আমার বোন হিসেবে নিজেকে ভাবতেই বেশী সাচ্ছন্দ বোধ করত।)
দিনের পর দিন সে আমাদেরকে বিশেষ করে মইনকে সাহস,পরামর্শ,ভালবাসা,আদর দিয়ে উৎসাহিত করেছে- পেছনের সব ব্যার্থতা ঝেড়ে ফেলে নতুন করে সবকিছু শুরু করার জন্য।
লারিসার বাবা মায়ের ভালবাসা- আন্তরিকতার কথা বলে শেষ করা দুরূহ! আমরা দু’জনেই প্রথম দিন থেকে তাদেরকে পাপা মামা বলে ডাকতাম। মইনের ভাষাগত সমস্যার জন্য আমার সাথেই তাদের হৃদ্যতা! লারিসার সাথে বোন পাতানোর পরে তারা আমকে নিজেদের সন্তানের মতই স্নেহ করেছেন। মইন আর লারিসাকে প্রেম করার সুযোগ দিয়ে আমি এসে তাদের সাথে গল্প জুড়ে দিতাম। লারিসার বাবা বেশ রসিয়ে গল্প করতে পারেন;
বিয়ের পর তিনি নাকি লারিসার মা’কে কোলে তুলতে গিতে ঘেমে-নেয়ে একাকার হয়েছিলেন, তবু তুলতে পারেননি! অবশেষে লারিসার মা নাকি নিজেই স্বামীকে কোলে তুলে গাড়ি অভিমুখে ছুটেছেন! এর পরে বেশ কয়েকদিন সে নাকি লজ্জায় বন্ধু আর কলিগদের সামনে চোখ তুলে তাকাতে পারেননি। দু’জনই তাদের ফেলে আসা স্মৃতির কথা বলেছেন- আমি কতক বুঝেছি,কতক বুঝিনি।
দেশ থেকে কয়েক সহস্র কিলোমিটার দূরে , মলদোভিয়ার কিষিনেও এর ক্ষুদ্র এক কোনে চির অচেনা ভিনদেশী মা-বাবা আমাদের জন্য ভালবাসার ডালি সাজিয়ে বসেছিলেন। অর্থের প্রাচুর্য তাদের ছিলনা- কিন্তু হৃদয়ের ঐশ্বর্য ছিল। মাসের পর মাস একটা টাকাও রুম ভাড়া তো দাবী করেইনি উল্টো নিজেদের সামান্য আয় থেকে আমাদের যথাসাধ্য সাহায্যের চেস্টা করেছেন!
‘সু-সময়ের ঘাড়ে প্রতিনিয়ত বিষ নিশ্বাস ফেলে দুঃসময় আর দুঃময়ের পিছু পিছু হেলে দুলে এগিয়ে আসে সুসময় বরাবরই।’
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
এই নিয়মের ব্যাতিক্রম না করে আমাদেরও সেই দুঃখের দিনের পরিসমাপ্তি ঘটল এক সময়। তবে আগের মত সচ্ছলতা নয় কিন্তু তিনবেলা গ্রাসাচ্ছদনের ব্যাবস্থা হল সাথে দু চার প্যাকেট ‘বন্ড’ সিগারেট।
এতদিন পাছে অন্য সবাই আমাদের দুরবস্থার কথা জেনে ফেলে এই ভয়ে দাওয়াত পেলেও কারো বাসায় যেতাম না। এবার শীতঘুম ভেঙ্গে গুহা ছেড়ে বেরিয়ে আসার পালা। আবার শুরু হল আড্ডা ,কার্ডখেলা আর সবাই মিলে হৈ— হুল্লোড় করে যথেচ্ছা ঘুরে বেড়ানো,সেই সাথে পার্ক কালচার,বইপড়া,সিনেমা দেখাতো চলল-ই।
...মাস দুয়েক বাদে মস্কোতে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। বড় ভাই টাকা পাঠিয়েছে। আগের দুই’ সেমিষ্টার মিস করেছি। এবার আর নয়। মইনের অবস্থার দিন দিন উন্নতি হচ্ছে ,জোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল লারিসার সাথে বিয়েটা দ্রুত সেরে ফেলার জন্য। মইনের কথা না হয় বাদই দিলাম লারিসা আন্দ্রে ওর বাবা মা সহ পুরো পরিবারের সাথে এ ক’মাসের ঘনিষ্ঠতার সুত্র ধরে যেন আত্মীয়তার গভীর বন্ধনে জড়িয়ে গেছি। ওদের কে ছেড়ে আসতে বড্ড কস্ট হচ্ছিল!
আমার এই হুট ফিরে আসার পরিকল্পনা মইনের ঠিক মনঃপুত হয়নি। সে বার বার আমাকে আটকানোর চেস্টা করে ব্যার্থ হয়ে অবশেষে লারিসাকে রিক্রুট করেছিল। লারিসা প্রচুর ঝগড়া মান অভিমান আর চোখের জল ঝড়িয়ে আমাকে রুখতে না পেরে অবশেষে তাকে ছুইয়ে ওয়াদা করিয়ে নিয়েছে ‘যেন ওদের বিয়েতে আসি।’
ট্রেন ছাড়ার মুহুর্তে দরজার হাতলটা বাহাত দিয়ে ধরে ওদের দিকে তাকিয়ে বিদায় নিতে গিয়ে তীব্র একটা কস্টের ঢেউ সারা বুকে ছড়িয়ে পড়ল। মইন লারিসা আন্দ্রে আর তার ছোট্ট বেকুব কুকুরটা 'রো' যেন স্তানুর মত দাড়িয়ে। ওদের সবার চোখের কোলেই যেন নোনতা জলের ভীড় জমেছে। আচমকা কেন যেন মনে হলো এই শেষ দেখা আর কখনই দেখা হবে না...
গাড়ি ছাড়তেই বোকা কুকুরটা দৌড় শুরু করল আমার কাছে আসবে বলে। কিন্তু ষ্টেশনের শেষ মাথায় এসে সে বাধ্য হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল-হতাশায় পেছনের দু'হাটু মুড়ে বসে উদ্ভ্রান্তের মত তাকিয়ে রইল ছল ছল চোখে- যেন সে তদন্ডে বুঝে এঈ শেষ গেল আর দেখা হবে না!
ট্রেনের কামরায় নিজের বিছানায় শুয়ে চোখ বুজতেই হুড়মুড় করে স্মৃতিরা এসে হাজির হল দৃশ্যপটে। রোন্দ্রে’কে নিয়ে কতই না মজার ঘটনা ঘটেছে। আন্দ্রের ছেলে মানুষী- আর ওর প্রথম প্রেমের হাস্যকর স্মৃতি। লারিসার সাথে প্রথম পরিচয় থেকে শুরু করে মইনের সাথে প্রেম পর্যন্ত সব আনন্দ বেদনার মিশ্র স্মৃতি জমাট বেধে একফোঁটা চোখের জল হয়ে গড়িয়ে পড়ল নিঃশব্দে।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে ট্রেনের মৃদু ঝিক ঝিক শব্দের সাথে লিয়েনার কণ্ঠে; তে লুবেস্তে, তে লুবেস্তে...তে লুবেস্তে’... সেই ভালবাসার আহ্বান যেন আমার সব ইন্দ্রিয়কে বিবশ করে দিল;
Oceans apart day after day
And I slowly go insane
I hear your voice on the line
But it doesn't stop the pain
If I see you next to never
How can we say forever
Wherever you go
Whatever you do
I will be right here waiting for you
Whatever it takes
Or how my heart breaks
I will be right here waiting for you...----------হয়তো সমাপ্ত কিংবা নয়...
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
গল্পের শেষটুকু পড়তে চাইলে প্রথম পর্বে যেতে হবেঃ Click This Link
এবার আসুন পরিচিত হই গল্পের মুল কিছু চরিত্রের সাথেঃ
গল্পের মুল চরিত্র লারিসা এখন যেমন।
আমার গল্পের কোথাও এ নেই- তবুও এর গুরুত্ব অপরিসীম। লারিসা ও মইনের ভালবাসার একমাত্র ফসল। একদম মইনের কার্বন কপি!
মিশু জনম জনম ধরে যার অপেক্ষায়...
প্রিয় ব্লগারঃ 'আলকাশ'- সবচেয়ে সুদীর্ঘ সময় ধরে আমার লেখা সিরিজের অবশেষে সমাপ্তি টানতে পারলাম সেইটেই আমার সবচেয়ে বড় প্রশান্তি! ‘আলকাশ’( যার সম্ভাব্য অর্থ: বদ্ধ মাতাল) শুরু করেছিলাম খালি চোখে। এখন ভারী চশমার বেড়া। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আবেগ কমে আসে। পুরনো উন্মাতাল প্রেম-ভালবাসাকে মনে হয় ছেলেমানুষি পাগলামি! সততা, নীতি-বোধ বেশ প্রগাঢ় হয়। আমি ভাবিনি এই লেখাটা কোনদিন শেষ করতে পারব! লেখাটা ভাল হয়েছে না মন্দ হয়েছে সেইটে এখন আর কোন বিবেচ্য বিষয় নয়।
আলকাশ প্রথম পর্বঃ Click This Link
আলকাশ দ্বীতিয় পর্বঃ Click This Link
আলকাশ তৃতিয় পর্বঃ Click This Link
আলকাশ চতুর্থ পর্বঃ Click This Link
আলকাশ পঞ্চম পর্বঃ Click This Link
আলকাশ ষষ্ঠ পর্বঃ Click This Link
আলকাশ সপ্তম পর্বঃ Click This Link
আলকাশ অষ্টম পর্বঃ Click This Link
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: আরেকটা শুরু করব খুব শীঘ্রই... বেচে থাকলে সেটা ২০৩০ এর দিকে শেষ হবে!!! ভেবে দেখেন পড়বেন কিনা?
দেখুন আমার এই সিরিজটা ও পরের সিরিজ( যেটা শুরু করতে চাচ্ছি) আমার চারপাশে খুব ঘনিষ্ঠভাবে বেঁচেবর্তে আছে তেমন আপনজনদের নিয়ে লেখা। প্রায় সিঙ্ঘভাগ সত্য কাহিনী! লেখার সময় অনেক কিছু ভেবে চিনতে লিখতে হয় যাতে তাদের গোপনীয়তা ক্ষুন্ন না হয়! তা ছাড়া এই কাহিনীগুলো পুরো একটা জীবনের চলমান কাহিনী- প্রায় শেষটা না দেখে লেখা মুশকিল!
দুঃখিত যে এত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করালাম বলে। আশা করি পরের সিরিজগুলোতে আপনাকে সাথে পাব। সময় সুযোগ পেলে একসাথে সবগুলো পর্ব পড়ে একটু মন্তব্য রেখে যাবেন।
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৪
করুণাধারা বলেছেন: অনেক বড় অভিনন্দন! ছয় বছর বিরতির পর কাহিনী এত সুন্দর ভাবে শেষ করার জন্য, যে আগ্রহ নিয়ে প্রথম পর্ব পড়েছি শেষ পর্ব পর্যন্ত তা একই রকম ছিল। তবে শেষ পর্বে মঈনের নাম কখনো রিপন লিখেছেন। গতকাল আপনি পোস্ট করে তুলে নেবার আগেই আমি পড়েছিলাম, মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি পোস্ট নেই।
আপনার বর্ণনা খুব চমৎকার, মনে হচ্ছিল যেন রাশিয়ান গল্প পড়ছি! মানুষের বর্ণনা, মনস্তত্ত্ব, শহরের বর্ণনা, লারিসার বাসা- সব এত চমৎকার ভাবে দিয়েছেন! আমি ভেবেই নিয়েছিলাম প্রথম পুরুষে বর্ণিত এ গল্পের মিশু আপনি! পরে প্রতিমন্তব্য পড়ে জানলাম তা সত্যি নয়। আলকাশের সবকটি পর্ব আর অধিকাংশ মন্তব্য পড়েছি। যখন মাঝপথে বন্ধ করে দিলেন তখন পাঠকদের আকুলতা বেশ অনুভব করতে পারছি, আর নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করছি এমন গল্প পুরোটা পড়তে পারায়।
আমি বিশ্ব সাহিত্য ততটুকু পড়েছি (অনুবাদ) তাতে মনে হয়েছে রুশ সাহিত্য বিশ্ব সেরা, তাদের লেখার স্টাইল অন্যরকম। আমার মনে হয় আপনি অনেক রুশ সাহিত্য পড়েছেন, নাহলে এমন লিখতে পারতেন না!! আমার একসময় খুব রাশিয়ান ভাষা শেখার ইচ্ছা ছিল যাতে মূল ভাষায় সাহিত্য পড়তে পারি।
মঈনের জীবনের এক পর্ব বললেন, পতনের গল্প বলেন নি! আমার ধারণা ছিল রাশিয়ায় কেবল পড়তে যায়, এত অল্প বয়সী কেউ আদম ব্যাপারীর মত দুই নম্বরি ব্যবসা করে... মঈন কীভাবে মলদোভিয়া গেল বা তাকে ৫০০ ডলার দিলেন কিনা সেসব নিয়ে লিখলে পুরো বই হবে। লারিসা যখন মঈনের মিথ্যা জানতে পারল তখন কি ডিভোর্স হলো?
জানি না বই প্রকাশিত হলে আর আপনার নাম পরিচয় বইয়ে থাকলে কী অসুবিধা হবে। যদি এই কারণে আপনার বই প্রকাশ না করেন, তবে রুশদেশে বাঙালির জীবনের এই চমৎকার গল্পগুলো কেউ জানবে না...
অনেক শুভকামনা রইল।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১১
শেরজা তপন বলেছেন: সুপ্রিয় করুনাধারা,
আপনার মন্তব্যে আমি বিমোহিত ও বাকশুন্য হলাম। কেউ একটা দীর্ঘ সময় ক্ষেপন করে কোন লেখায়, এত সুন্দর করে প্রতিটা প্যারা ধরে ধরে মন্তব্য করতে পারে তা আমার ধারনাতে ছিল না।
নামের ভুল শুধরে নিব।
মিশু কে এইটা একটা ধাধা! আমি নই সেটাও হলফ করে বলতে পারি না। এইটা একটা স্যন্ডুইচ গল্প বা কাহিনী। কিননা।আমার দেখা, কিছুটা শোনা আর কিছু অংশ নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা।
সিরিজটার নাম আলকাশ' যার অর্থতো জেনেছেন! বহু বছর আগে যেভাবে গল্পটা শেষ করার ইচ্ছে ছিল সেটা এখন এসে পাল্টেছে- আমি আর বেশি এগুনো ঠিক মনে করলাম না। তাই সবাইকে প্রথম পর্ব পড়ার জন্য অনুরোধ করলাম- সেখানে শেষটার একটা আঁচ পাবেন। এর পরের অংশটুকু ভয়াবহ!
রাশিয়ান সাহিত্যের প্রতি আপনার দুর্বলতা ও ভালবাসার কথা জেনে আমি মোহিত হলাম!
আমার এর ধারাবাহিকতায় আরো দুটো সিরিজ লেখার ইচ্ছে ছিল! কিন্তু তার একটাকে সরিয়ে দিয়ে পরের সিরিজটাকে স্টিচ (সেলাই করা)ফোটোগ্রাফির মত স্টিচ সিরিজ লিখে শেষ করে দেবার ইচ্ছে রইল ! এটা তো বটেই এর পরের সিরিজটাও হয়তো কোনদিন ছাপার অক্ষরে প্রকাশ পাবে না। এখানে অনেকেরই মান-সন্মান ও ব্যক্তিগত বিষয় জড়িত। তিনজন বিদেশীর ছবি দিলাম এই কারনেই যে তাদের হয়তো কেউ খুঁজে বের করতে পারবে না।
আরো গল্প হবে অন্যকোন সময়। আপনার প্রতিও রইল আমার শুভ কামনা। ভাল থাকবেন সর্বক্ষণ
৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২০
জুন বলেছেন: এক নিশ্বাসে পড়ে গেলাম আপনার গল্পটি । মনে হলো সব কিছুর সাক্ষী আমি । দূর বিদেশে টাকা পয়সা না থাকা যে কি ভয়ংকর তা ভাবতেও ভয় হয় । যাই হোক লারিসার পরিবারের ভালোবাসায় আপনারা উতরে গেলেন বিপদ থেকে । সাধারন রুশ পরিবার মনে হয় আমাদের মতই আবেগপ্রবন। চুল্লীর উপর দিনমান বসানো সামোভর, কাপে চা ঢেলে নিয়ে সসেজ আর বাধাকপির স্যুপ খেতে খেতে গল্প যেন এক রুশ আবহাওয়া ফুটে উঠলো আপনার না লেখা লেখায় ।
সবটা লিখেছেন , এখন আস্তে আস্তে বসে পুরোটা পড়বো শেরজা তপন । আমি মনে হয় প্রথম দিকে কিছুটা পড়েছিলাম । যাই হোক আবার পুরোটাই পড়বো ।
+
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: আমার লেখায় আপনার মন্তব্য আমাকে কতটা অনুপ্রেরণা যোগায় তা যদি জানতেন...
হ্যা সেটা ভয়ঙ্করের থেকেও খারাপ ছিল। সে সময় যদি আমার ডায়েরিখানা হারিয়ে না ফেলতাম তাহলে হয়তো
সেই দুঃসময়ের গল্প নিয়ে পুরোদস্তর একখানা বই হয়ে যেত!
ঠিক রুশ পরিবার আর রুশীয়রা অনেকটা আমাদের মতই- যদি ওদের ভিতরে ঢোকা যায় তবে তা ভাল করে অনুধাবন করা যায়।
দয়া করে সময় করে পুরো লেখাটা পড়ে কোন একদিন সময় করে জানিয়ে গেলে আনন্দিত হব।
ভাল থাকুন সব সময়- সুন্দর থাকুন
৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পের শেষটা জানার জন্য প্রথম পর্বটা পড়ে এলাম। আলকাশ অর্থ কী, এ পর্ব পড়তে পড়তে কেবল মন উশখুশ করছিল, যদিও আগের পর্বগুলোতে এর অর্থ জানার ইচ্ছে হয় নি, তবে ধরে নিয়াছিলাম - আকাশের সাথে সম্পর্কিত কিছু হবে
গল্পের শেষটা জানার জন্য প্রথম পর্ব পড়ে এলাম। এ পর্বে মইন-লারিসার ছেলেকে দেখে বুঝেছিলাম, ওদের বিয়ে হয়েছে। ওরা ভালো আছে সুখের সংসার নিয়ে, কিন্তু প্রথম পর্ব পড়ে ওদের সেপারেশনের বিষয়টা মনকে খুব ব্যথিত করলো।
এ পর্বের প্রায় পুরোটা জুড়ে অর্থসংকটের বিষয়টা বর্ণিত হয়েছে। এবং বিষয়টা এতই করুণভাবে ফুটে উঠেছে যে, আমার নিজেরই মনে হচ্ছিল, বিদেশের মাটিতে আমি খুব দৈন্যদশার মধ্য দিয়ে বাস করছি। বিশেষ করে না খেয়ে থাকা, সকাল বেলা লজ্জা এড়ানোর জন্য বাইরে চলে যাওয়া, আবার ফিরে এসে লজ্জা এড়াতে চেয়েও লজ্জায় পড়ে খেতে বসা, সবকিছু জীবন্ত দুঃখগাঁথা হয়ে যেন কথা বলে উঠেছে।
শুরুর পর্বগুলো পড়া হয় নি। যেখান থেকে পড়েছি, ভালো লেগেছে। এ পর্বে ভালো লাগাটা পূর্ণতা পেল।
এ পর্বের ছবি-পরিচিতি পড়া'র পর প্রথম পর্ব পড়ে আবার ফিরে এসে ছবির দিকে তাকালে ছবিগুলোকে কেমন করুণ বিষণ্ণ মনে হয়। মিশু যার জন্য জন্য জনম জনম অপেক্ষায় - এ কথাটা বুক তোলপাড় করে।
প্রথম পর্ব পড়ে বোঝা যায়, গল্পের কথকের নাম মিশু।
একটা অসাধারণ ট্র্যাজিক উপন্যাস।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা শেরজা তপন ভাই।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: এত সুন্দর বর্ণনায় বেশ দীর্ঘ একটা মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভালবাসা ও ধন্যবাদ ভাই সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই।
মইন ও লারিসার জীবনের শুধু বিয়ের সময়টুকু বাদে বাকি পুরো সময়টা খুব কষ্টের ও বঞ্চনার! তাই পরের গল্পে না গিয়ে লেখাটা শেষ করে দিলাম।
যদিও এদের কারো সাথেই আমার আর কোনদিন দেখা হয়নি-তবে দূর থেকে ভাসা ভাসা খবর পাই। লারিসাকে খুজে পেলাম এই ক'দিন আগে ফেসবুকের কল্যানে-তারপরেও বন্ধু হইনি। মনে হল ও পুরনো পরিচিত সব মানুষ থেকে দূরে থাকতে চায়।
ওদের সম্পর্ক টিকে ছিল মাত্র ৩ বছর।
আপনার আন্তরিকতা ও এই সিরিজের প্রতি এমন ভালবাসার প্রকাশ আমাকে বিমোহিত করল।
ভাল থাকুন ভাই।
৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: জাস্ট গ্রেট।
আপনাকে পুরস্কার দেওয়া উচিত।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: কি পুরস্কার দেয়া উচিত বলে আপনার মনে হয়?
এইসব এলেবেলে আবজাব লেখা। বরংচ লেখককে তিরস্কার করা উচিৎ এমন দারুন একটা কাহিনীকে লেজে- গোবরে করে ফেলার জন্য।
আপনার আন্তরিকতা ও মতামতকে শ্রদ্ধা জানাই। ভাল থাকুন- আরো লিখুন
৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৭
মা.হাসান বলেছেন: আমার ধারণা ছিলো (এবং এখনো আছে) আপনিই মিশু। মইনের অ্যালকোহলিক হওয়াই কি বিচ্ছেদের কারণ? প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের কিছু পরিবারের সাথে সখ্য আছে। মদ ওখানে ভয়াবহ সমস্যার কারণ। কিছু দিন আগেও অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে ১৭-১৮ বছরের ছেলেদেরকে তাদের কাজের বেতন মদ দিয়ে দেয়ার কথা শুনেছি। একটা বাচ্চা ছেলের জীবন ধ্বংস হয়ে যাবার কথা।
কিন্তু মিশুর সাথে লিয়েনার সম্পর্কে বাধা কি ছিলো বুঝে উঠতে পারি নি।
২য় বার শুরু করার পর সব গুলো পর্ব পড়েছি, সময়াভাবে কমেন্ট করা হয় নি। পরে কোনো সময় যাবার ইচ্ছে আছে। ভুয়া মফিজ ভাই সহ অন্য যারা আপনাকে দিয়ে এই অসাধারণ সিরিজটি শেষ করিয়ে নিলেন তাদের অনেক ধন্যবাদ।
শুরুতে আমার ধারনা ছিলো ঐ সময়ে আপনাদের বয়স ২৬-৩২ এর মতো হবে। আমারো মাথায় আসেনি ২০-২২ বছরের কেউ রুশ দেশে যেয়ে আদম ব্যবসা বা যে কোনো করতে পারে। এখন ধারনা পাল্টালো।
আমার মনে হলো ইচ্ছে করেই কষ্টের বর্ননা কমিয়ে, মূল ঘটনা কমিয়ে কাটছাট করে শেষ করলেন। আমার হিসেবে এভারেজ পাঠকের কথা চিন্তা না করে যারা লেখকের লেখাকে ভালোবাসে তাদের জন্য লেখা ভালো। পুরোপুরি বর্ননা, কাটাকাটি কিছু নয়। লেখাটা সাক্ষ্য হয়ে থাক। পরের সিরিজের জন্য কাটছাট না করার অনুরোধ রইলো। এই সিরিজটাও বই আকারে বের করলে এখানে যে বিষয় গুলো এড়িয়ে গেলেন সেগুলো না এড়ানোর জন্য অনুরোধ থাকলো।
অসামান্য সিরিজ। আমার শ্রদ্ধা ও অভিবাদন নিন।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: এই প্রশ্নটা আমাকে খানিকটা বিব্রত করে তবে ভাল লাগে শুনে।
হ্যা মদ আর মইনের তিরিক্ষি মেজাজ সেই জন্য দায়ী ছিল সম্ভবত। সম্ভবত বললাম যে, কেননা আমি ওদের ভাষ্য আর পাইনি।
বিয়ের পরপরই ওরা দেশে একবার এসেছিল। তখন আমার সাথে শেষবার দেখা হয়েছিল।
হ্যা কিছু ব্লগারের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ থাকব যে তাদের অনুপ্রেরনায় এই সিরিজটা অবশেষে সমাপ্তির মুখ দেখল। যদিও সমাপ্তিটা আমার মনঃপুত হয়নি।
জ্বী কষ্টের কথা লিখলেই আরো কয়েক পর্ব হয়ে যেত- থাকনা, একবার তো শুধু কষ্টের কথা দিয়ে পুরো একটা সিরিজ লিখেছি ( কাগদা তো-ভ রাশিয়া)। আর কি দরকার।
ও মিশুর তখন মনে হয় বয়স ছিল ২২/২৩ আর মইন একটু খানি বড় ছিল হয়তো ২৩/২৪ হবে। কাছা কাছি গিয়েছেন
আপনার আন্তরিকতাপূরঃ), ভালবাসায় ভরা সময় নিয়ে এমন সুদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য আমি ভীষন আপ্লুত হলাম।
আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানানোর মত কোন ভাষা এই মুহূর্তে আমি খুজে পাচ্ছিনা...
৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৭
কাতিআশা বলেছেন: ইস্স্! আলকাশ শেষ হয়ে গেল?!..আপনার লেখ পড়ে মনে হত ভাসিলি শুকসিনের লেখা পড়ছি...করুনাধারা আপুর সাথে আমি একমত, রুশ সাহিত্যের তুলনা নেই..মনটা বিষন্নতায় ছেয়ে গেল লিয়েনার অ্ভুত, মায়াময় সৌন্দর্য দেখে (আহারে মিশুর না জানি কেমন লেগেছিল তখন, অথবা এখনও বুকটা টনটন করে কিনা কে জানে!)...আপনার লেখার জন্যই শত ব্যস্ততায় সামুতে লগ ইন করি! (কমপ্লিমেন্ট হিসেবে নিন ভাইয়া!)..নাইস জব!
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন এই কথা জানলেতো আমি এটা টেনে টুনে আরো বিশ পর্ব লিখতাম
আপনার কষ্টটা আমাকেও ছুয়ে গেল!
লিয়েনার ছবি শুধু আপনার কথা ভেবে দিলাম। এখন যাচাই করেন? মিশুর বুক তো আজো ব্যাথায় টনটন করে নাহলে তার ছবি প্রায় দুই যুগ ধরে অতি সযতনে রেখে দেয়???
আপনার ভালবাসাপুর্ণ আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ হলাম। ভাল থাকুন সব সময়ের জন্য- সুস্থ্য থাকুন
৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১
জুন বলেছেন: আলকাশ প্রথম পর্ব পড়েছি কিন্ত মনে হয় আপনি নোটিফিকেশন পান নি শেরজা তপন পুরনো পোস্ট বলে ।
আমি সবগুলো একে একে পড়ছি । আপনি মাঝে মাঝে একটু চেক করে দেখতে পারেন যদি খোজ না পান তাই এখানে বলে গেলাম।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২২
শেরজা তপন বলেছেন: দ্বীতিয় পর্বে আপনার মন্তব্য দেখলাম- উত্তর দিয়েছি।
আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম গত দু'দিন সেজন্য, সেজন্য মন্তব্যের উত্তর দেয়া হয়নি বলে দুঃখিত।
আপনার ভালবাসা ও আন্তরিকতায় আমি অভিভুত জুন আপু- ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন নিরন্তর
৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩১
অশুভ বলেছেন: যদি IMDB এর মতো এই সিরিজের প্রতিটি পর্বের রেটিং করা হয়, তাহলে overall rating হবে ৯.৮ (আমার কাছে সবগুলোই ১০/১০)। আর শেষের পর্বটা নিশ্চিতভাবেই ১০/১০। অসাধারণ একটা বায়োগ্রাফির সাক্ষি হলাম। মনে যত প্রশ্ন জমা ছিল, এই পর্বে যেন তার সব উত্তর উগড়ে দিয়েছেন। তবে ক্যারেক্টার গুলোর ভিজুয়াল দিয়ে চমকে দিয়েছেন। যাকে বলে, Nailed it!!! একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল।
আরও অবাক লাগছে লিয়েনাকে দেখে, একটা মানুষের পক্ষে কীভাবে সম্ভব তার মতো কারও ভালবাসার এমন উদাত্ত আহবান উপেক্ষা করা?
আবারও আন্তরিকভাবে দুঃখিত একটু দেরিতে আসায়।
ভাল থাকুক গল্পের চরিত্রের সব বাস্তব মানুষগুলো। অসাধারণ এক সমাপ্তি!!!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: পুরো সিরিজে ঘুরে ফিরে আপনার আপনার ভালবাসা আগ্রহ আর দারুন সব মন্তব্যের কথা না বললেই নয়। যে ভাবে আপনি আমাকে সংগ দিয়েছেন- আমার অন্য যে কোন লেখায় খোচা দিয়ে আলকাশের খবর জানতে চেয়েছেন, সেরকমটা না হলে হয়তো আলকাশ সিরিজটা কখনোই শেষ হল না।
আমি চীর কৃতজ্ঞ থাকলাম আলকাশ সিরিজে আপনি ও আপনার মত আরো দু'চারজন ব্লগারের ভালবাসা ও আন্তরিকতার জন্য।
শেষ পর্বটা আরেকটু টানতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ভাবলাম অযথা টানলে এটা বাড়তেই থাকবে- কিছু কথা তোলা থাক ভবষ্যতের জন্য।
রেটিং এর জন্য ধন্যবাদ।লিয়েনাকে উপেক্ষা করা আদপেই সহজ বিষয় নয়। তার মোহণীয় আকর্ষণ নিস্প্রান একটা ফটোগ্রাফ দিয়ে বোঝানো সম্ভব নয়। কিন্তু এ মেয়েকে বেঁধে রাখার মত তুমুল পুরুষ মিশু নয় এটা হয়ত সে মাঝপথেই বুঝে গিয়েছিল!
আমিও ভীষন ব্যস্ত ছিলাম এ কদিন ব্লগে দিন তিনেক বাদে আজকেই আসলাম।
আপনাকে পেয়েছি এইওতো ঢের আর কি চাই।
অনেক ভাল থাকুন-তবে হ্যা এ সিরিজে আমাকে মিশু ঠাউরেছেন সমস্যা নেই তেমন কিন্তু পরের সিরিজে আবার ভাববেন না আমিই সৌম্য
পরের সিরিজে এমনি করে সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় রইলাম...
১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যা বাবা!
শেষ হয়ে গেল!
লিযেনার সাথে প্রেম, রোমান্স তে লুবেস্তের পালে লাগে হাওয়ায় দোল খেতে না খেতেই শেষ!!!
মানিনা মানবো না
মানিনা মানবো না
জীবনের চড়াই উৎরাই বুঝি এমনই। কখন যে কে কোথা থেকে কোথা চলে যায় কেউ জানে না।
কষ্টের দারুন বর্ণণাগুলো একেবারে নিরেট বাস্তবতা মাখানো! আহারে!
আবার দিনশেষে সুসময়ের গল্পে মনটা ফুরফুরে হয়ে ওঠে। আবার স্বপ্ন দেখে মন
ফিনিক্স পাখির মতো ছাই থেকেই আবার জীবনের স্পন্দনে, প্রাণের স্পর্শে সবুজ হয়ে ওঠে পৃথিবী
সবচে বড় চমকের জন্য ধন্যবাদ
লারিসা, মুইন লারিসার ফসল আর স্বপ্নময়ী লিয়েনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ায়
দারুন মাংকি সিরিজের জন্য (জাম্পিং ৬ বছর ধরে) ধন্যবাদ
আমরাও ব্যাকুল পাঠক শেষ না দেখে ছাড়ছিনা টাইপ! আমাদের তৃষ্না মেটানোয় কৃতজ্ঞতা।
ভাল থাকুক সবাই। ভাল থাকুক মিশু
+++++
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: আলকাশ- সিরিজে আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া দুর্দান্ত, চমৎকার আর আপনার সুনিপুণ হাতের অঙ্কিত মন্তব্যগুলো!
কি দারুন করে আপনি মন্তব্য করেন। আমার চরম ঈর্ষা হয়। আমি চেষ্টা করেও পারিনা এমন করে মন্তব্য করতে
আপনার এমন আন্তরিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে - শীঘ্রই 'বাবনিক' (লম্পট) শুরু করব, যেটা এর পরিপূরক
হ্যা কষ্টের দিনগুলো বড়ই কষ্টের ছিল! এমন কষ্ট মানুষের লোভ ও লালসাকে কমিয়ে দেয়- পরবর্তী জীবনের সবকিছুই সহজ ও তুচ্ছ মনে হয়।
ছবি দেখে তৃপ্ত হয়েছেন জেনে আনন্দিত হলাম। ভাল থাকবেন ভৃগু ভাই- চীরদিন এমনি প্রেমময় শান্ত বিদ্রোহী থাকুন
১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১০
কল্পদ্রুম বলেছেন: ব্লগে চলমান সিরিজ লেখা এড়িয়ে চলি। সিরিজের সাথে তাল রাখতে পারি না সময়ের অভাবে। শেষ হয়ে গেছে জেনে এখন পড়া শুরু করবো ভাবছি। বিশেষ করে শেষের ছবিগুলো কৌতুহল এক লাফে অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে। আপনি আট বছর ধরে এটা লিখেছেন। আপনার ধৈর্যের প্রসংসা না করে উপায় নেই।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী শুধু আপনি নন আমিও সিরিজ লেখা সাধারনত এড়িয়ে চলি। আর নিজের লেখা সিরিজ নিয়েও একসময় বিরক্ত লাগে-একটানা লেখার ধৈর্য বা সময় থাকেনা। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে বার বার পুরনো লেখা রিভাইস করতে হয়-যা বেশ ঝামেলার ও বিরক্তিকর। তারপরে লেখার মুড আসে না সব সময়।
আপনি এমনিতে খুব কম লেখেন- বছরে দশখানার ও কম লেখা আসে ব্লগে! বোঝা যায় আপনি বেশ ব্যাস্ত মানুষ।
এত ব্যাস্ততার মধ্যে আমার এই সিরিজের পুরোটা পড়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ।
অপেক্ষায় রইলাম আপনার শেষ অনুভূতি জানার জন্য।
ভাল থাকুন নিরন্তর
১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭
অশুভ বলেছেন: ভুল সবই ভুল, এই সামুর পাতায় পাতায় যা লেখা সবই ভুল।
এতদিন ধরে ভেবে আসলাম আপনিই মিশু আর আজকে এইটা কী শুনলাম!!! আপনার সব সিরিজ প্রথম পুরুষে লেখা। এই জন্য আমিতো ভাবছি সবগুলোই আপনার নিজের জীবনী। সেই "শুন্যের গর্ভে"ই বলেন বা "ডান্কি রুট" অথবা "কাগদা ভ রাশিয়া" কিংবা "আলকাশ"। আমি তো ভাবছি সবগুলোর লেখকের ক্যারেক্টার আপনি।
যাই হোক নতুন সিরিজের ট্রেলার ক্যারেক্টার সৌম্যকে পেয়ে গেলাম। আগাম অভিনন্দন।
তবে একটা প্রশ্ন, সত্যিই কি আপনি মিশু নন? যদি না হন তাহলে এত ডিটেইল লেভেলে ঘটনাগুলোর বর্ণনা করা কীভাবে সম্ভব? মাথাতো তো এলোমেলো করে দিলেন।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০
শেরজা তপন বলেছেন: না না ভুল নয় কোন কিছুই ভুল নয়- হয়তো নিজেকে বাঁচানোর ফন্দি
এই লেখাগুলো খুব স্পর্শকাতর তাই কিছু পরিচয় সযতনে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু কই আর কি আপনারা খুঁচিয়ে বের করবেনই আমার কোন লেখাই গল্প নয় সবই প্রায় সত্য কাহিনী! মনগড়া গল্প আমি লিখতে পারিনা সে যোগ্যতা আমার নেই।
মিশু হয়তো আমি কিংবা আমার সৃষ্টি! এইটা একটু রহস্যই থাকুক আর আপনার মাথা কিছুটা এলোমেলো হোক না সমস্যা কি
আমার এতগুলো সিরিজের কথা মনে রাখার জন্য আন্তরিক ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা রইল।
এরপরে সৌম্যকে নিয়ে ঘুরব বাবনিক' এর সাথে- আপনিও সাথে থাকবেন
১৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটার জন্যই অপেক্ষা ছিল। আপাততঃ লাইক দিয়ে কাজ এগিয়ে রাখলাম। সম্পূর্ণটা পড়ে আবার আসবো। মনে একটা ক্ষীণ সন্দেহ ছিল, আবার শেষ না করে হাওয়া হয়ে যান কিনা! হন নাই......সেইজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: যাক অবশেষে আপনি আসলেন!!!
না এবার এত সহজে যাচ্ছি না-সিরিজ লেখা আগে শেষ করে পরে পোষ্ট দিয়েছি
তবে মাঝে মধ্যে হতাশ হয়ে সিরিজটা আর কন্টিনিউ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম- কিন্তু আবেগকে বশ করে ফিরে এসেছি।
আপনার আন্তরিকতায় আমি বিমোহিত। পুরোটা পড়া শেষে মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম.......
১৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রথমেই অভিনন্দন নিন দুর্দান্ত এক সিরিজের পরিসমাপ্তি তে !
যদিও আপনার আলকাশের শুরুর পাঠক আমি নই, কয়েক পর্ব পর এ লেখার সন্ধান পেয়েছিলাম। কিন্তু আগ্রহ আর অপেক্ষায় ক্লান্তি ছিল না। আপনার সাবলীল বর্ণনা নিঃসন্দেহে যে কাউকে ধরে রাখতে সক্ষম, তার সাথে এত এত ঘটনার ঘনঘটা লেখা কে অন্য মাত্রা দিয়েছে।
কস্টের বর্ণনা কমিয়েছেন বলে ধন্যবাদ, অনুভব করাই যাচ্ছিলো সামনে রয়েছে এক কালো অন্ধকার সময়। সে সময় পেরিয়ে জীবন স্রোতে মিশেছে তাতেই স্বস্তি!
লারিসার পরিবারের প্রতি লারিসার প্রতি আমরা পাঠক রাও কৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম। হাজার মেইল দূরের একজন তাদের সম্পর্কে পড়েই তাদের ভালোবেসে ফেলেছে, এ তথ্য টুকু হয়ত তারা কখনোই জানবে না।
খুব খুব ভালো লাগলো অনেক গল্প শোনা লারিসা তাদের ছেলে আর মিশু ভাই এর লিয়েনা'র ছবি দেখে।
শুভ কামনা নিন একজন মুগ্ধ পাঠকের !
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্য পেয়ে ধন্য হলাম।
বিস্তারিত উত্তর পরে সময় করে দিব
১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৪
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এক বসায় পুরো সিরিজটা পড়ে ফেলললাম। পরিস্থিতি মানুষকে কোথায় নিয়ে যায় তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ মঈন। প্রথমদিকে মদ ছিলো তার নার্ভাসনেস কমানোর বা স্বাভাবিক থাকার একটা অনুঘটক মাত্র,এরপর সেটা পরিণত হলো দুঃখ ভোলার উপায়ে এবং তখনই সে আসক্ত হলো,তারপর হলো ধ্বংসের সঙ্গী। পুরো সিরিজটি উপভোগ্য ছিলো।লারিসা ও মঈনের সেপারেশনের ব্যাপারটা খারাপ লাগলো।রুশ মুল্লুকের সংস্কৃতি, আচার-আচরণ আর প্রকৃতির সৌন্দর্য খুব চমৎকার করে ফুটিয়ে তুলেছেন। তবে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নারীর সৌন্দর্য বর্ণনায় আপনার দক্ষতা।পড়তে গিয়ে পুরোটা উপভোগের সাথে গভীরভাবে অনুভব করেছি। লিয়েনার জন্য মিশুর জনম জনমের অপেক্ষাই প্রকৃত রোমান্টিসিজম। তবে খুব তাড়াহুড়োয় শেষ হলো সিরিজটি। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: দেখে গেলাম-পরে সময় করে উত্তর দিব।
শেষদিকে বিরক্ত লাগছিল মনে হচ্ছিল যেন এটা শেষ করতে পারলেই বাঁচি! তাই এমন তাড়াহুড়ো
১৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৯
কল্পদ্রুম বলেছেন: একটানে পড়ে ফেললাম৷মূল চরিত্র মইন হলেও কেন যেন মিশু এবং লিয়েনার প্রতিই বেশি টান অনুভব করেছি। সম্ভবত লেখক নিজেও এদের প্রেমের বর্ণনায় তুলনামূলকভাবে বেশি যত্নশীল ছিলেন। শুরুর পর্বগুলো একটা বৃহৎ প্লটের ইঙ্গিত দিয়ে শুরু হয়েছিলো। একটা মোটা সাইজের উপন্যাসের জন্য চমৎকার সূচনা। প্রেম বাদেও সেখানে আরো অনেক কিছু ফুটে উঠতে পারতো। আমার ধারণা হয়েছে আপনার কাছে পর্যাপ্ত রসদও ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে দ্রুত শেষ হয়ে গেছে এবং সেটা যে ইচ্ছাকৃত আগের প্রতিউত্তর থেকে জানতে পারলাম। আপনার লেখার এবং ভাবনার ধরণ দুটোই ভালো লেগেছে। শুরুর পর্বগুলোতে ব্যক্তিগত তথ্য যাতে না আসে তার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষে ছবি আপলোড করেছেন। যদিও ছবি দেখে ব্যক্তিগতভাবে চরিত্রগুলোকে চেনার কোনই সুযোগই নাই। তারপরেও ব্যাপারটা আমার কাছে কৌতূহলজনক মনে হয়েছে।
নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তি রাশিয়ানদের কাছে হয়তো আরো ভালো ছিলো। মইনের মতো মানুষদের জন্যেই বাংলাদেশিদের প্রতি তাদের একটা বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে। আপনার লেখা পড়ে আমার এরকমই মনে হয়েছে। আসলেই তাই?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে আমি দারুন প্রীত ও আনন্দিত হয়েছি।
উত্তর দিতে দেরি করার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত! আমি সময় করে আপনার মন্তব্যের প্রতিউত্তর করব
১৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
এত ভালো গল্প আমি আগে কখনো পড়েছি বলে মনে করতে পারছি না। প্রথিতযশা সাহিত্যিকদের কথা মাথায় রেখেও।
বাস্তব জীবনের ঘটনা হওয়াতে পাঠক হিসেবে হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। তাই হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে মলডোভায় আর্থিক সংকটে পড়ে ভিনদেশী পাপামায়ের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় লাভ কিম্বা ব্রাতের(ভ্রাতা) ভূমিকা নিয়ে সত্যিকারের বোনকে খুঁজে পাওয়া কিম্বা আন্দ্রেকে নিজের ভাই হিসেবে পাওয়া সবকিছু যেন চোখের সামনে দেখতে পেলাম। ছোট্ট আন্দ্রে একটু একটু করে বড় হয়ে আঠারো বছর বয়সে পা দিল,যে বয়সে সে পেল বড় হওয়ার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রকাশ্যে মদ পানের সুযোগ। ভিন দেশী সংস্কৃতি হলেও সবকিছু মানিয়ে নেওয়ার মধ্যে সুন্দর একটা পরিবেশ গল্পে তৈরি করেছেন।এমনি পারিবারিক আড্ডাতে পাপামায়ের একে অপরকে কোলে তুলে নেওয়ার প্রচেষ্টার মধ্যে বিদেশীকে আপন করে নেওয়ার ছবি ধরা পড়েছে। মস্কোতে ফিরে যাওয়ার সময় বিদায়ের মূহুর্তে নিজেকেই যেন মিশু ভেবে বিষণ্ণ হলাম। মিষ্টি রোন্ডার চিৎকার ও ছুঁটে আসা যেন একলহমায় চোখের সামনে ভেসে উঠল।কি নিখুঁত চিত্র তুলে ধরেছেন। ++
আর প্রাপ্তির হিসাব নিকাশ! মঈন পেল লরিসাকে। কিন্তু মিশু! তাকে যে শূন্য হৃদয়ে ফিরতে হয়েছে। এ শূণ্যতা যেন পাঠক হিসেবে নিজেরই অনুভব করলাম। তাইতো লিয়েনা যে মিশুর হৃদয়ে গভীর শূণ্যতা সৃষ্টি করেছে,তা অন্য কাউকে দিয়ে পূরণ হওয়ার নয়। তবে শেষে লিয়েনার ছবিটাই যা মিশুর সঙ্গে পাঠকের সান্ত্বনা। জানিনা হাজার মাইল দূরে লিয়েনার অতৃপ্ত হৃদয়ে আজও প্রতিধ্বনিত হয় কিনা মিশুর আগমনী বার্তা।
মঈন ও লরিসার পুত্রকে শুভেচ্ছা। শুভেচ্ছা মিশুর ব্রাতা লরিসাকে। সঙ্গে শুভেচ্ছা মিশুর নেপথ্যে তপন ভাইকে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: ভাই পদাতিক চৌধুরি,
আমি সত্যিই দারুন লজ্জিত ও দুঃখিত দেরীতে আপনার মন্তব্যের উত্তর দেবার জন্য।
আপনার যে সহমর্মিতা ভালোবাসা ও আন্তরিকতা দেখিয়েছেন আমার প্রতি ও এই লেখাটার প্রতি সজন্য যে কোন শব্দ চয়নে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অসম্ভব!
কিছু দিন আমি চরম ব্যাস্ত- তাছাড়া ডান হাতে ব্যাথা- লিখতে কষ্ট হয়, সেজন্য ইচ্ছে থাকলেও উত্তর দেয়া সম্ভব হয়নি।
দু-চার কথায় উত্তর দিতে পারতাম কিন্তু সেটা চরম অন্যায় হত।
আপনার মন্তব্যে যেন আমার অতি মামুলি লেখক জীবনের সেরা পাওয়া।
লেখালেখি করে আমি কোনদিন বিখ্যাত হতে চাইনি- ধান্ধা কিংবা রুটিরুজির ও ইচ্ছে নেই। আগে কোনদিন ইচ্ছে হয়নি ছাপার অক্ষরে একটা বই প্রকাশ হোক( ইদানীং সে দুরাশা খানিকটা জেগেছে মনে- বয়সের কারনেই হয়তোবা)। বিশ্বাস করুন আমার অনেক নিকটজনও জানেনা আমি লেখালেখি করি! ব্লগ আমারই একমাত্র শান্তির জায়গা।
ব্লগারদের ভালোবাসা আন্তরিকতা আমাকে শত ব্যাস্ততার মাঝে কিছু লেখার অনুপ্রেরণা যোগায়।
আমার লেখার জন্য অনেক অনেক গল্প জমা আছে- তার দু-একটা হয়তো আলকাশের থেকেও ভাল। কিন্তু ভাল করে গুছিয়ে লেখার সময় আর পেলাম কই।
অন্যকোন সময় আলকাশ নিয়ে দু-ছত্র আলাপ করব। আলকাশের মিশু একটা ধাঁধা -সে খানিকটা অগচোরেই থাকুক ...
১৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্ল্যান ছিল, এক বসায় পুরোটা শেষ করবো। সেজন্যে একটা ছুটি দরকার। সাধারন দিনে সম্ভব না। আজই সেই দিন.....এবং শেষ করলাম। মনে একটা অতৃপ্তি কাজ করছে।
আপনি হয়তো কৌশলগত কারনে স্বীকার করছেন না, কিন্তু আমার স্থির বিশ্বাস, আপনিই মিশু। নয়তো, এতো নিখুতভাবে স্থান-কাল-পাত্রের বর্ণনা সম্ভব না।
আপনি বলেছেন, আপনি মইনের প্রতি কৃতজ্ঞ। কেন? সে আপনাকে ওর ওখানে নিয়েছিল নিজেরই স্বার্থে। ভালো বন্ধু হলেই কৃতজ্ঞ হতে হবে.....বিষয়টা কি এমন? ১৫ পর্বে ''তে লুবেস্তে'' মানে কি ''আই লাভ য়্যু'' জাতীয় কিছু? বুঝি নাই। ১৬ পর্বে এসে নিশ্চিত হলাম, মইন আসলে ছাগল প্রকৃতির। নয়তো মাঝরাতে আরেক কাপলের ঘরের দরজা নক করে ''সে তো রাজি হয় না'' জাতীয় কথা বলতো না। এমন মানুষের সাথে দীর্ঘকাল একসাথে থাকা অসীম ধৈর্যের ব্যাপার। আপনার আর লারিসার সেটা ছিল। জুনিয়র মইনকে দেখে ভালো লাগলো। দুঃখের বিষয় হলো, তার ছাগল বাবার সাহচর্য সে ঠিকমতো পেলো না।
শেষের পর্বে লিয়েনার ব্যাপারটা সযত্নে এড়িয়ে গেলেন মনে হলো। স্টেশানে বিদায় দিতে লিয়েনা না আসাতে বুঝলাম, ওই পাঠ আগেই চুকেবুকে গিয়েছে। কারনটা কি ছিল......কিউরিয়াস মাইন্ড জানতে চায়। কোন প্রেম যখন শেষ পরিণতি পায় না, আমার খুব রাগ হয়। কেন বলেন তো? আমার মতে, প্রেম হবে ডেসপারেট। পরিণতিহীন প্রেম মানুষ কেন করে?
যাই হোক, এতো চমৎকার একটা লেখা বই আকারে বের হবে না, ভাবতে খারাপ লাগছে। দরকার হলে সব চরিত্র এবং স্থান-কাল বদলে লিখেন, আরো নতুন ঘটনা আর চরিত্র এনে। আপনি চাইলেই পারবেন। এতে করে কারো ব্যক্তিগত ইমেজ প্রভাবিত হওয়ার চান্স থাকবে না। তাছাড়া, মূল পাত্র-পাত্রীরা তো এদেশের না। তারা জানতেও পারবে না। খালি মইন সমস্যা.....কিন্তু সে তো এখন আলকাশ!!!
বই আকারে আলকাশ পড়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করলাম......বাকীটা আপনার মর্জি!!
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমি অভিভুত, আপ্লুত !
ভাল লাগায় দারুন উজ্জীবিত! খানিকটা সময় করে আপনার মন্তব্যের উত্তর দিব। কিছু মনে করবেন না- এমন মন্তব্যের উত্তর দু প্যারায় হয় না
১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত আপনার এতসুন্দর -সাবলীল ও আন্তরিক মন্তব্যের উত্তর আমি মাত্র তিন লাইনে দিয়েছি বলে।
আগেই বলে রেখেছিলাম সময় করে আপনার উত্তর দিব।
মনের ভুলে আর আলসেমিতে সেই উত্তর আর দেয়া হয়নি- সেজন্য অন্তর থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি।
মিশু আমাকে ভাবলে আফসোস নেই। যখন আমি লেখাটা শুরু করেছিলাম তখন বেশ আতঙ্কিত ছিলাম! সবাই আমাকে মিশু ভাবছে দেখে লেখাটাই মাঝপথে বন্ধ করে দিয়েছিলাম! সংসারি ছা-পোষা মানুষের লেখক হবার অনেক ঝামেলা! ভয় হয় শুধু ভয় হয়। তাইতো ব্লগে অনেকেই ছদ্ম নামে আসে।
মইনের ওখানে আমি মানে মিশু যখন যায় তখন সে কপর্দক শুন্য চরম হতাশ একজন মানুষ!
মইন তাকে ভালবাসা আন্তরিকতা, ওর্থ সবকিছু দিয়ে সহযোগিতা করেছে। হ্যা স্বার্থ কিছুটা ছিল কিন্তু সেই বয়সে স্বার্থের বিষয়টা মুখ্য হয়ে ওঠে না। লারিসার সাথে পরিচয় মিশুর যাবার পরে- অতএব এখানে সেই স্বার্থের ব্যাপারটা ছিল না।
সে কিছুটা পাগল কিংবা ছাগল ছিল সেটা সত্যি - তবে লারিসার প্রেমে এতই বুঁদ ছিল যে প্রেমের আতিশয্যে অনেক ছাগলামি কিংবা পাগলামি করেছে।
লিয়েনা এক পুরুষে বাঁধা থাকার মেয়ে নয়- তার শৈল্পিক দিকটাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কুৎসিত দিকটা নয়।
আলকাশ বই হিসেবে বের হতে পারে তবে সেটা বাবনিক সিরিজ শেষ হবার পরে ভাবব। কেননা দুটো লেখা একই মলাকে প্রকাশ হবার দাবী রাখে। এই গ্রন্থ বের হলে আমার নিজের সংসারে আগুন লাগার সম্ভাবনা আছে। ছাই দিয়ে আগুন চাপার চেষ্টা করে লাভ হবে না
আপনাদের না হয় সাত পাঁচ দিয়ে বুঝাইলাম কিন্তু অন্দরমহলে সেটা সম্ভব কি?
ভাই -অবশেষে আপনার সব প্রশ্নের উত্তর মনে হয় পেয়ে গেছেন।
আমি দারুন কৃতজ্ঞ আপনার প্রতি আলকাশের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালবাসার জন্য -লেখক হিসেবে আমি সত্যি ভাগ্যবান!
১৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৯
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: পড়ে খুব ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্যে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: যাক অবশেষে পেলাম আপনাকে!! ভাল আছেনতো?
ফের ব্লগে অনিয়মিত হয়ে পড়েছি- আপনার মন্তব্য দেখার পরেও উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল।
আপনার উপস্থিতি জানান দেবার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে- ভাল থাকুন নিরন্তর!
২০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩০
আরাফআহনাফ বলেছেন: সবগুলো পর্ব আবারো পড়লাম - একদম প্রথম থেকে..... (১-১৭)।
২০১৩তে সম্ভবত আপনার লেখা পড়েছিলাম -তখনো পর্বের পর পর্বের অপেক্ষায় থাকতাম - মন্তব্যও করেছিলাম - যতটুকু মনে পড়ে- কিন্তু এখন পড়তে গিয়ে আমার মন্তব্য খুঁজে পেলাম না !!! ৭/৮ বছর আগের কথা - তখন মনে হয়েছিল - এত বড় পৃথিবীতে কোথায় আছেন আপনি - হৃদয়ের কোথা থেকে লিখতে পারেন এমন করে?
ভেবেছিলাম হারিয়ে ফেলেছি - আবার এই সেদিন আপনার লেখা চোখে পড়লো - তাও আবার আলকাশ সিরিজ!
এতো ভালো লাগার একটা সিরিজ - শেষ হয়ে গেল - আফসোস!
বেশি তাড়াহুড়োই করলেন - কত প্রশ্ন- কত অজানা - অজানাই রয়ে গেল!!!
ভালো থাকুন - শেরজা, খুব ভালো থাকুন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১১
শেরজা তপন বলেছেন: ভাই আরাফআহনাফ,
আপনার মন্তব্য আগেই পড়েছিলাম কিন্তু গড়িমসি করে উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল।
আমি দুঃখিত যে, আপনার এই নিকে এযাবৎ কেউ আলকাশ-এ মন্তব্য করেছে বলে মনে পড়ছে না-
'৭/৮ বছর আগের কথা - তখন মনে হয়েছিল - এত বড় পৃথিবীতে কোথায় আছেন আপনি - হৃদয়ের কোথা থেকে লিখতে পারেন এমন করে?' আপনার মন্তব্যের এই অংশটুকু পড়ে আমি খানিক্ষন স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলাম। কে কখন কাকে কিভাবে ভালবাসে বোঝা মুশকিল! লেখক তাঁর বিশেষ আবেগ নিয়ে একটা লেখা লিখেই খালাস-কিন্তু পাঠকের কোন আবেগ বা অনুভুতির সাথে সেটা মিলে মিশে যায় তা সেই লেখকের কোনদিন ও জানা হয় না। ব্লগ আমাদের সে সুযোগ কিছুটা হলেও করে দিয়েছে।
আমার আলকাশ লেখাটা আপনার এত ভাল লাগত তা আমার কখনো জানা হয়নি।
কন কোন প্রশ্ন অজানা রয়ে গেলেইলেখার আবেদন থেকে যায় বহুদিন- নয় কি?
হ্যা একটু তাড়াহুড়ো করেই শেষ করেছি। কেন-তার উত্তর ও দিয়েছি।
আপনিও ভাল থাকবেন- সুন্দর ও সুস্থ্য থাকুন নিরন্তর।
২১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৮
আরাফআহনাফ বলেছেন: আমার মেইল এড্রেস দিলাম - [email protected]
আশা করি যোগাযোগ হবে।
আবারো শুভ কামনা রইলো।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১২
শেরজা তপন বলেছেন: অবশ্যই করব- তবে আমি ইদানিং বেশী আত্মকেন্দ্রিক ও অসামাজিক হয়ে গেছি। এইটেই ভয়ের- কবে করব বুঝতে পারছি না
ভাল থাকুন
২২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৩
আরাফআহনাফ বলেছেন: কন কোন প্রশ্ন অজানা রয়ে গেলেইলেখার আবেদন থেকে যায় বহুদিন- নয় কি?
সহমত তবে পাঠকের উপর আবেদনের ভার চাপিয়ে দিলে পাঠকের উপর কিছুটা অবিচারও হয় বৈকি - এটা একান্তই আমার মত।
অবশ্যই করব আশ্বস্ত হলাম - হোক না দেরি।
ভালো থাকুন সুহৃদ - অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: ফের আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল ভ্রাতা। জ্বী যগাযোগ হবে নিশ্চিত- মেইল এড্রেস তো পেলাম
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১১
ওমেরা বলেছেন: আপনি ২০১২ ডিসেম্বরে এই লিখা শুরু করে ২০২০ এ শেষ করলেন !! আপনাকে যে কেমন করে অভিনন্দন জানানো উচিত আমি বুঝতে পারছি না ভাইয়া ।
এ জন্যই ব্লগে আমি সিরিজ কোন লিখা পড়ি না কারন আমার ধৈর্য অনেক কম, অপেক্ষা ভালো লাগে না। এখন যেহেতু আপনার লিখা শেষ হয়ে কোন এক সময় বসে লিখাটা পড়ার ইচ্ছা রাখি।
লিখাটার শেষ করার জন্য অনেক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ ভাইয়া।