নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবনিক -নবম ও দশম পর্ব

০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ১০:৩৪


আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
[সুপ্রিয় ব্লগার, বাবনিকের প্রথম পর্বে বলেছিলাম; বাবনিক' এর কাহিনী প্রায় দু'যুগের বেশী সময় ধরে চলমান।এখানে অনেক বেশী চরিত্র,স্থান ও কালের বিন্যাসের জন্য আমার মত মামুলি লেখকের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা কষ্ট। আর ব্লগার লেখক পাঠকদের জন্য এর সাথে তাল মিলিয়ে চলাতো আরো বেশী দুরুহ। যে দু'চারজন ব্লগার নেহায়েত আমাকে ভালবেসে এখনো বাবনিকের সাথে নিজেদের বেঁধে রেখেছেন তাদের প্রতি আমার আন্তরিক ভালবাসা আর কৃতজ্ঞতা। আমার ধারনা বেশী দিনের ব্যাবধানে এ লেখার পর্বগুলো পোষ্ট করলে এ'কজনও আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন!! তাই আমার চরিত্রের বিপরিতে গিয়ে অতি দ্রুত প্রথম খন্ডের সবগুলো পর্ব নিয়ে হাজির হচ্ছি। এজন্য অনেকে হয়তো বিরক্তবোধ করতে পারেন- তাই আগেভাগে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি- শুভ ব্লগিং]
বির এবারেরটা টেকে নি- নাকি সে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল জানা হলনা! দিন পনের যেতেই আরেকজনকে বগলদাবা করে হাজির! তার কথায়; এটাও নাকি চরম শৈল্পিক রুচির আর মোহনীয় দেহসৌষ্ঠবের অধিকারিনি!!!
আমার মাথায় আসে না এ ব্যটা এত দ্রুত পটায় ক্যম্নে!
রনি ভাই সেদিনের পর থেকে মাঝে মধ্যেই রেনেতার বাবা মায়ের সাথে গল্প গুজব করতে আসে। প্রতিবারই হাতে থাকে কিছু উপহার সামগ্রী। প্রতিবারই বেশ রাত অব্দি গল্প গুজব আর খাওয়া দাওয়া চলে।
ওদিকে আমার আর রেনেতার প্রেমের ঘুড়ি যেন আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে। তাঁর উদ্দাম প্রেম আর শারিরিক আবেদনের কাছে আমি নতজানু-দিশেহারা! ও বাসায় আমার অবাধ যাতায়াত। ওর মা ও আর তেমন কুটিল চোখে তাকায় না।
আমি এবার হাঁফ ছড়ে বেঁচেছি! কি সুক্ষনেই না রনি ভাই এসে হাজির হয়েছিলেন।
মাসখানেক হয়ে গেল- আমিতো ব্যাবসার কিছুই বুঝছি না, ববি কতটুকু বুঝেছে আল্লা মালুম!
রনি ভাই এক সন্ধ্যায় লাল পাণীয়ের আসরে আমাদের দু’জনের প্রতি তাঁর ভালবাসা ও মুগ্ধতা জানিয়ে বললেন; আমাদের প্রতি তাঁর অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস আছে। আদম ব্যাবসার অতি গুরুত্বপূর্ন কাজে তাকে আরো বেশ কিছুদিন এখানে থাকতে হবে।সে না থাকায় মস্কোর ব্যাবসার দেখ ভাল করার কেউ নেই। আমাদের দুজনের এখন সেখানে গিয়ে হাল ধরতে হবে। ববি একথা শূনে বেশ খুশী- এখানে তাঁর যেন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে।
আমি চরম বিমর্ষ ও মর্মাহত হলাম! কি সুখেই না দিন কাটছে এখানে- ফালতু ব্যাবসা বানিজ্য দেখার সময় আছে!
কিন্তু ববি নাছোড়বান্দা! সে তাঁর বড় ভায়ের আশে পাশে থাকবে না। আমকে বহুত ভুজুং ভাজং দিল; চল দোস্ত যাই। মাসখানেক পরেতো রনি ভাই ফিরেই আসছে। তদ্দিনে সজলও থাকবে না। এখানকার ব্যাবসা তখন আমরা ছাড়া দেখবে কে?
কথা মন্দ নয়! রেনেতাকে ছেড়ে যেতে ভীষণ কষ্ট হলেও- মাত্র মাসখানেকের ব্যাপার ভেবে কয়েক সহস্র চুম্বনের স্বাদ নিয়ে আর বাষ্পীভূত কন্ঠে গদ গদ হয়ে অমর প্রেমের ফুলঝুরি ছুটিয়ে মস্কোর পথে ছুটলাম।
পর পর দু’রাত তো রেনেতা কেঁদে কেটে নির্ঘুম কাটাল।
স্কোতে ফেরার দু’দিন বাদের ববির উক্রাইনের সে বান্ধবী এসে হাজির। একখানামাত্র রুমের সেই বাসায় অগত্যা আমাকে করিডরের ডিভানেই শুয়ে রাত্রি যাপন করতে হয় । বন্ধ দুয়ারের ওপার থেকে শীৎকার চিৎকার হাসি ঠাট্টার শব্দে আমি বেতাল হয়ে মদ খেয়ে হুঁশ ফেরাই।
কিসের ব্যাবসা কিসের কি- ববি ব্যস্ত তাঁর বান্ধবী নিয়ে আর আমি ব্যাস্ত সারাদিন টেলিফোনে রেনেতার সাথে গল্প নিয়ে! রেনেতা আমার ভাষাগত দুর্বলতা কোন ধর্তব্যের মধ্যে ফেলে না- যেন কোন শিশু কথা কইছে এই ভেবে সে আমার ভুল-ভাল কথায় হাসিতে গড়িয়ে পড়ে। এই শুনে আমিও আমার জানা শব্দগুলো বিকৃত করে উচ্চারন করি।
রনি ভায়ের একমাস এভাবে দু’মাসে গড়িয়ে গেল। মস্কোর ব্যাবসা নিয়ে তাঁর কোন মাথাব্যাথা আছে বলে মনে হয় না। তাঁর ঘাড়ে এখন আদম ব্যাবসার ভুত সওয়ার!
ইদানিং তিনি বেশ ঘনঘন রেনেতাদের বাসায় যাচ্ছেন। ফুল চকোলেট মিষ্টি আর এর ওর জন্য টুক টাক উপহার নিয়ে যান। রেনেতা এ বিষয়ে কিছু বলার আগেই রনি ভাই সবিস্তারে বলেন সব কথা, যাতে আমার মনে কোন সন্দেহ না জাগে। ছোট ভায়ের ভাবি শ্বশুরবাড়িতে বো ভাই যেতেই পারেন- এই নিয়ে আর দুঃচিন্তার কি আছে।
দীর্ঘদিন দূরে থাকলে ধীরে ধীরে ভালবাসার উত্তাপ কমে আসে! আমরাও তাঁর ব্যতিক্রম নই।
তবে রেনেতাকে আমি আর আমাকে রেনেতা মনে প্রানেই ভালবেসে ফেলেছি! ওকে নিয়ে নিকট ভবিষ্যতে সংসারি হবার কল্পনা করি। তবে ডাইনে বায়ে যে আড় চোখে তাকাইনা তা কিন্তু নয়। ববির জিগার দোস্ত আমি একটু আধটু ছোঁকছোঁক করা জায়েজ আছে!
তবুও দিনে দু’চারবার কথা হয়। আবেগের উচ্ছাস কমে ধীরে ধীরে। একসময় তিনবার ফোন করলে একবার ওকে ওপাশে পাই- বাকি সময় তাতিয়া কিংবা নাতাশার সাথে কথা হয়।
তাতিয়ার সাথে কথা জমে বেশ। ছোট্ট মানুষ গড় গড় করে সব সত্যি কথা বলে দেয়! মাঝে মধ্যেই শূনি রেনেতা রনি ভায়ের সাথে বাইরে গেছে।
রনি ভাই কিংবা রেনেতাকে জিজ্ঞেস করলে কাজের কথা বলে পাশ কাটায়। তবে রনি ভায়ের কথায় বুঝি টুক টাক মিথ্যা কথা বলেন আমাকে- রেনেতার সাথে কথায় মেলে না। রেনেতার আবেগে বেশ ভাটা পড়লেও কথা বলে যখন ঘন্টা পেরিয়ে যায়। কথার শুরুতে মনে একটু সন্দেহ জাগলেও শেষের দিকে সেটা হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।
রনি ভাইকে নিয়ে খারাপ চিন্তার জন্য নিজেকে গালি দেই।
পর্ব-১০
র মাঝে উজ্জ্বল একেবারে পাততাড়ি গুটিয়ে জার্মান চলে গেছে! আমার স্থায়ী আবাস হারালাম আমি।
রনি ভাইকে তাগাদা দেই কবে তিনি মস্কো আসবেন। তিনি না আসলে আমিতো অডেসায় যেতে পারছিনা।
তিনি আসবেন আসছেন, কাজের চাপ এইসব বলে ধানাই পানাই করেন আর আমার সন্দেহ দিনে দিনে আরো বেশী ঘনীভূত হয়।
ববিকে বললে ও হেসে উড়িয়ে দেয়। রনি ভায়ের প্রতি তাঁর অগাধ বিশ্বাস! এমনটা ভাবা আমার ক্ষুদ্র দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচায়ক।
অবশেষে রনি ভাই ফিরে আসলেন; দীর্ঘ তিন মাস পরে। তিনি আসতেই আমি তল্পি তল্পা গুছিয়ে ওখানে যাবার ট্রেনে উঠতে চাইলাম। কিন্তু রনি ভাই বিভিন্ন কাজের কথা বলে আমাকে আটকে রাখার চেষ্টা করেন।
কিন্তু আমার গোয়ার্তুমির কাছে তিনি হার মেনে অবশেষে আমাকে যেতে দিলেন। তবে ববি আটকে গেল! তাঁর সে কি আফসোস!
তবে আমি আসার সময়ে রনি ভাই আরেকটা একটা গেইম খেললেন। আমার সাথে আরেকজনকে জুটিয়ে দিলেন। আমি একা যদি পথ ভুলে যাই কিংবা অন্য কোন বিপদ আপদ আসে সেই ভেবে তিনি স্থানীয় অভিভাবকের গুরুদ্বায়িত্ব পালন করলেন।
আমার সহযাত্রীর নাম সুমন। এর আগে তাঁর সাথে দেখা হয়নি। ওডেসার বিখ্যাত আই আই মেখনিকভ ন্যাশনাল ভার্সিটিতে পড়ে। ১৮৬৫ সালে নির্মিত ভার্সিটি এটা- ওর বাপ বেশ পয়াসাওয়ালা মনে হয়। কিয়েভে নিজে আলাদা বাসা ভাড়া করে থাকে। নিরিহ ভদ্র ছেলে। কথা বলে কম তবে বেশ আন্তরিক। নিজে যেচেই আমার সাথে খাতির জমাল। আমি বাঁচাল হলেও আজ যেন কেমন চুপ চাপ রইলাম।
সারারাতের ট্রেন জার্নি।ঘুম টুম সব উধাও- বুকের মাঝখানটা আবেগে খালি হয়ে যায়। কন্ঠতালু শুকিয়ে আসে বারবার। শীতের শুরু তখন – গাছের পাতা সব ঝড়ে গেছে। একটানা বৃষ্টি নামে ঝুম ঝুম করে। ট্রেনের কাচের জানালা কুয়াশায় ভিজে যায়- বাইরের দিনরাত ঠাহর করা মুশকিল!
সন্ধ্যা রাতে কিছুক্ষন বাৎচিতের পর ম্যাক ডোনাল্ডস-এর ঠান্ডা বার্গার খেয়ে সুমন এক প্রস্থ ঘুমিয়ে নিল। আমাকে অফার করেছিল- আমি পরে খাব বলে রেখে দিয়েছি।
ট্রেন ভোরে এসে ওডেসায় থামল। সাকুল্যে বার/তের ঘন্টার জার্নি। ট্রেন থেকে নামার আগে থেকেই সুমন বারংবার অনুরোধ করল তাঁর ফ্লাটে যেতে। কিন্তু আমি তাঁর সন অনুরোধ উপরোধ উপেক্ষা করে ছুটলাম রেনেতার বাসার উদ্দেশ্যে!
রেনেতার আমার আসার খবর আগে থেকেই জানত। ডোর বেলের সুইচে একবার মাত্র হাত ছোঁয়াতেই দরজা হাট করে খুলে গেল। রেনেতা হাসিমুখে আমাকে প্রিভেত জানাল। হাতের ব্যাগটা দরজার কাছে রেখেই জড়িয়ে ধরলাম ওকে। ঠোটে ঠোট ডোবাতেই পরম শান্তি! মনে হল নাহ সবইতো ঠিক ঠাক আছে- সেই ঘনঘন হৃদস্পন্দন , ভেজা ঠোটের সেই উষ্ণতা! আমি ওদিকে কত আকথা কুকথা ভেবে আসছি।
প্রণয়ের প্রথম পর্ব শেষে পোষাক ছেড়ে, হালকা নাস্তা সেরে রেনেতার বিছানাতেই পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়লাম। পাশের বিছানায় তাতিয়া আর নাতাশা-ও গভীর ঘুমে তখন।
ঘুম ভাঙল দুপুর নাগাদ। উঠে দেখি আশে পাশে কেউ নেই, দরজাটা ভেজানো। ঘরের বাইরে বেরিয়ে দেখি রান্নাঘরের ডাইনিং এ রেনাতা খাবার সাজাচ্ছে। আমাকে দেখে মোহনীয় হাসি দিল। তাতিয়া আমার শব্দ পেয়েই কোত্থেকে দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কিঁচির মিঁচির শুরু করে দিল।
একটুখানি ফ্রেশ হয়ে রেনেতার বাবা-মায়ের রুমে গেলাম। তারা উভয়ে সাদরে সম্ভাষণ করলেও রেনেতার মায়ের কপালের ভাঁজ আমার দৃষ্টি এড়াল না।
দুপুরের খাবার শেষে ওদের রুমে তিন বোনের সাথে তুমুল গল্প আর আড্ডা। এর মধ্যে ভারোনিকা এসেও জুড়ল। উজ্জ্বল চলে যাওয়ায় বেচারীর বেশ মন খারাপ। কথায় কথায় উজ্জলের প্রসংগ আনছিল সে- আর আমি এড়িয়ে যাচ্ছিলাম সাধ্যমত।
রাতের খাবার শেষে আমরা সেই আমাদের অতি পরিচিত কমন বারান্দায় গেলাম! আমি আর রেনেতাই শুধু আর কেউ নয়। মস্কোর সাথে ওডেসার ক্লাইমেটের ব্যাপক পার্থক্য। ওডেসা উষ্ণ শহর। শীতকালে এখানে কদাচিৎ বরফ পড়ে। বছরের তিনের দুই ভাগ সময় সুর্যালোকিত থাকে- যেখানে রাশিয়ার অন্য শহরগুলো বরফের চাদরে ঢেকে থাকে আট মাসে অধিককাল! এখন হালকা শীত আর কুয়াশা।
এই মনোরম শীতে আমাদের প্রেমলীলা সেখানে জমল বেশ।
ক্লান্ত থাকায় রাতে ঘুমিয়ে পড়লাম আগে ভাগেই।
ঘুম ভেঙ্গে গেল রাত তিনটের দিকে। পাশে হাত দিয়ে দেখি রেনেতা নেই! ভেবেছিলাম ওয়াশ রুমে গিয়েছে- কিন্তু আধাঘন্টা অতিক্রান্ত হবার পরেও সে আসছে না দেখে আমিই উঠে পড়লাম ওর খোঁজে!
দরজাটা ভেজানো ছিল- দরজাটা খুলে একটু আলতো পায়ে এগোতেই শুনি ফিস ফিস কন্ঠস্বর!
আবছা আলোতে মালুম হোল রেনাতা-ই দাঁড়িয়ে আছে। রিসিভারটা কানে ঠেকিয়ে কার সাথে যেন ফিস ফিস করে কথা বলছে!

পরের পর্বের জন্যঃ Click This Link

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ১১:১০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এইটা কিছু হলো!! রনি ভাই আসলেই ববির বড়ো ভাই। ববির চেয়েও বড় খেলোয়াড়। এখনো কিছুই ভাববো না।

০৪ ঠা জুন, ২০২১ সকাল ৭:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: তিনি বেশ বৈষয়িক ও বুদ্ধিমান মানুষ। নিজের লাভের জন্য যে কোন কিছু করতে পারেন।
কিন্তু ববি লম্পট হলেও ধান্ধাবাজ ছিলনা তখন- সে বেশ উদার ও বন্ধু বৎসল মানুষ।

ভাবাভাবি আর না করে সাথে থাকুন ব্রাদার :)

২| ০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ১১:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



সোভিয়েত ভাংগার প্রাক্কালে, ষেখানে মনে হয়, চরম বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়েছিলো।

০৪ ঠা জুন, ২০২১ সকাল ৭:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথম বছর দুই সবকিছু চলছিল আগের মত। কেউ তেমন করে কিছু উপলব্ধি করেনি
১৯৯৩ সাল থেকে শূরু হয় বিশৃঙ্খলা( পশ্চিমাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ইয়াং জেনারেশনের অস্থিরতা , দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি ও
সরকারী অনুদান কমে যাওয়া ইত্যাদি কারনে।)
পুতিন আসার পরে সব কিছু ধীরে ধীরে ঠিক ঠাক হয়ে যায়।

৩| ০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত ইট রইখ্যা গেলুম।সময় নিয়ে আবার আসছি..

০৪ ঠা জুন, ২০২১ সকাল ৭:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম...
উপস্থিতি জানান দিয়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই ধারাবাহিকটা কি আপনার অনেক আগের লেখা?

০৪ ঠা জুন, ২০২১ সকাল ৭:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: না ভাই অনেক আগের লেখা না। গত বছর লক ডাউন থেকে শুরু করেছিলাম। অর্ধেক লেখা হয়েছে-
তবে চুম্বক অংশগুলো আগে থেকে নোট করে রেখেছিলাম যাতে ভুলে না যাই।সমসাময়িক বিষয়গুলো ছাড়া আমার প্রায় সব
লেখারই কিছু অংশ নোট করে রাখা আছে। তাছাড়া আমি বেশ ছোট থেকে ডায়েরি লিখি।

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৫২

অশুভ বলেছেন: ছুটির দিনগুলোতে সাধারণত ব্লগে আসা হয়না। আজকে কী মনে করে যেন মোবাইল থেকে চোখ বুলাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি বাবনিকের দুপর্ব একসাথে। আর পায় কে! মোবাইল থেকে পড়ে আরাম পাই না, তাই ল্যাপটপ অন করতে হলো। পড়ে নেই পরে মন্তব্য করি।

০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ৮:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: আমিও কম আসি- কালকে রাতে দিয়েছিলাম। দু'পর্ব একসাথে দেয়া মনে হয় ঠিক হয় নাই।
আমার অনেক লেখা জমে আছে- অনেকগুলো পর্ব মাঝপথে থেমে আছে- ফের লেখালেখির মুড হারানোর আগে বাবনিকের বড়
অংশ সেরে ফেলতে চাইছি।
মন্তব্যের উত্তর পরের টায় দিচ্ছি।

৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০২

অশুভ বলেছেন: রেনেতার আর রনি ভাইয়ের ব্যাপারে গত পর্বেই কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলাম। এখনো বুঝতে পারছিনা অনুমান ঠিক কিনা। হয়তো অন্য কোন চমকও থাকতে পারে।

প্রথম খন্ড শেষ হয়ে গেলে পরে যে আবার কবে দ্বিতীয় খন্ড পাব। (আবার না আলকাশের মত ৬-৭ বছর অপেক্ষা করতে হয় ;) )

০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ৮:১১

শেরজা তপন বলেছেন: আঁচ যেটা করেছেন সেরকমই কিছু হচ্ছে। বাবনিকের এইটা একটা ভাইটাল পার্ট।
না না দ্বীতিয় খন্ডের অনেকটুকু লেখা হয়ে আছে- সমস্যা হতে পারে শেষ খন্ডে! অনেক বেশী ভেবে চিন্তে লিখতে হবে- ঝামেলা
আছে :)

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ৮:৪৮

জুন বলেছেন: আমি বাবনিক সিরিজ পড়ি আর ভাবি কি অবস্থা ছিল সেই সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের :-*
আমার মনে হয় পাশ্চাত্যের স্বাধীনতা আর এশিয়ার রক্ষনশীলতার এক টানাপোড়েন চলছিল সেই সময় সেই সময়টিতে। সোভিয়েত ইউনিয়নের অনেক উপন্যাস পড়েছি কিন্ত এমন লাগামছাড়া জীবন যাপনের কথা (ভিনদেশী যুবক তাদের মেয়েদের বেডরুম শেয়ার করছে) পড়িনি কোথাও। নাকি লেখকরা উহ্য রেখেছিল কে জানে।
আছি সাথে শেরজা তপন :)

০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১১:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদান্তে আপনার সাথে একটা ডটা শেয়ার করি;

ধারনা করা হয় ১৯৯৩/৯৪ সালে মস্কোতে মোট বাঙ্গালী ছিল পঁচিশ হাজার!!! এরা প্রায় সবাই ছিল অবাবাহিত ও যুবক, যাদের বয়স
২১ থেকে ২৫শের মধ্যে( পুরনো ছাত্র বাদে)
এদের অধিকাংশ মস্কোকে টানজিট( ডাঙ্কি রুট) হিসেবে ব্যাবহার করত ইঊরোপের প্রবেশ করার জন্য। সংখ্যা হিসেবে ২০ হাজারের অধিক। কিছু ছেলেপেলে সত্যিকারে উচ্চশিক্ষার্থে গিয়েছিল(৩০০০) আর কিছু গিয়েছিল আদম ব্যাবসায়ী ও তাদের সাঙ্গ-পাংগ হিসেবে। বেশ কিছু ছেলে গিয়েছিল বিদেশে পড়ার নাম করে বাবা- মায়ের অর্থের অপচয় ও মৌজ মাস্তি করার জন্য।
কিন্তু এদের সবাই হয় এখান থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে গিয়েছিল না হয় ট্যুরিষ্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা করেছিল। রাশিয়াতে তখন শত শত নাম সর্বস্ব ইনিস্টিটিউট গড়ে উঠেছিল শুধু এদেরকে কেন্দ্র করে।
কমিউনিজম থেকে পুঁজিবাদীর অর্থনীতিতে প্রবেশ করা নব্য রাশীয়ার মানুষ তখন দিশেহারা! সরকারী চাকুরি ছাড়া অন্য কোন অর্থ উপার্জনের মাধ্যম তাদের জানা ছিলনা।
হাজার হাজার যুবক বাংগালী/ভারতীয়/ শ্রীলংকান সদ্য যুবক ছেলেদের মুঠোয় অনেক অনেক বিদেশী মুদ্রা। সে টাকার গরমে তারা ধরা কে সরা জ্ঞান করত। তাদের হাতে আসলেই কি অনেক বেশী টাকা ছিল? দু/চার হাজার ডলার এমন কি অর্থ ছিল- প্রশ্ন থাকতে পারে?
ধরে নেই এক ডলারের তখন বাংলাদেশের মুল্যমান ছিল ৪৫ টাকা- রাশিয়াতে ১২০ রুবল। সেই ১২০ রুবলে ১০ বোতল স্তালিস্নাইয়া ভদকা কেনা যেত অথবা ৪ বোতল শ্যাম্পেন( খান চল্লিশেক মুরগী অথবা ১০০ ডজন ডিম)। তবে ভাবুন একবার; ১০০০ ডলার সমান এখন ২০ লক্ষ টাকার অধিক।
শাসন বারনের কেউ ছিলনা- ছিলনা জবাবদিহিতা। শারিরিক ব্যাপারে ভীষন উদার রুশীয় ললনারা একটু ভাল খাবার, ভাল পোষাক আর ভালবাসা ও গোছানো সংসারের লোভে তথাকতিথ এইসব অর্থবান ছেলেদের জালে সহজেই জড়িয়ে পড়ল।
নিজেদের বেহায়াপানা/ লাম্পট্য অথবা প্রতারণার গল্প সেধে কে বলতে চায়? বাকিটুকু আমার লেখায় বুঝে নিবেন।

ভাল থাকুন- সুন্দর থাকুন, বাবনিকের সাথে থাকুন

৮| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ৯:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'বাবনিক' পড়তে পড়তে আমার ধারণা বিশ্বাসে পরিণত হচ্ছে - আমাদের বাংলাদেশের পোলাপানগুলোর মস্কোতে প্রধান বিজনেস ছিল প্রেম করা। তবে, কেউ যেমন বিরাট লাভবান হয়েছে, কেউ আবার বিরাট লোকসানও দিয়া ফালাইছে মনে হয়।

--

ববি ভাই এক সন্ধ্যায় লাল পাণীয়ের আসরে আমাদের দু’জনের প্রতি তাঁর ভালবাসা ও মুগ্ধতা জানিয়ে বললেন; আমাদের প্রতি তাঁর অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস আছে। আদম ব্যাবসার অতি গুরুত্বপূর্ন কাজে তাকে আরো বেশ কিছুদিন এখানে থাকতে হবে।সে না থাকায় মস্কোর ব্যাবসার দেখ ভাল করার কেউ নেই। আমাদের দুজনের এখন সেখানে গিয়ে হাল ধরতে হবে। ববি একথা শূনে বেশ খুশী- এখানে তাঁর যেন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে।

এখানে একটু কনফিউশন আছে। প্রথমটা মনে হয় 'রনি ভাই' হবে :)

--

লেখার পরতে পরতে রস চুইয়ে চুইয়ে পড়েছে। লেখকের কলমের কালি নহে, শুধু রস আর রস, সুমিষ্ট আঁখের রস।

শিয়ালের কাছে মুর্গি বর্গা দিতে নেই। অবশ্য এখানে মুরগি বর্গা দেয়া হয় নাই, শিয়াল নিজেই মুরগি শিকার করেছে।

রেনেতা যে দুই ট্রেন চালাইতেছে এটা বুঝতে পেরেছিলাম রনি ভাইয়ের আগমনেই এবং রেনেতা-রনি মাঝে মাঝেই বাইরে যায়, তা থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। রাত্রি গভীরে রনির সাথে টেলিফোনে ফুসুর-ফাসুর করার মধ্য দিয়ে গল্পে দারুণ উত্তেজনা শুরু হলো। এখানে যেন 'পরকীয়া' প্রেমের একটা উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে, যদিও কেউ কাউরে বিবাহ করে নাই :)

আমি কত আকথা কুকথা ভেবেছি। এই কথায় খুব মজা পেয়েছি। শেষের দিকে সেই আকথা সত্য হওয়ার মধ্য দিয়ে লেখার একটা দারুণ মুন্সীয়ানা দুটে উঠেছে।

সৌম্য, রনি, ববি- রেনেতারা - সবারই জীবনে প্রেম ছাড়া আর কিছু নাই। এমন একটা জীবন পাইলে আর কিছু লাগে না :)

হ্যাঁ, ইউটিউবিং নিয়ে একটু ব্যস্ত থাকায় এদিকে সময় একটু কম পাচ্ছি :(

সিরিজ সত্যিই জমে উঠেছে ত্রিভূজ প্রেমের সম্ভাব্যতায়

০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১১:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি গুরু মানুষ- ধারনা মোটামুটি ঠিক হয়েছে। তেমন সুযোগ পেয়েছে শতকরা কমবেশী দশজন।
যেসব ছেলেরা আদম হিসেবে গিয়েছিল তাদের গৃহবন্দী করে রাখা হোত। তারা মাসে একবার বাইরের আলো দেখতে পেত না।
জুন আপুর মন্তব্যের উত্তরে আমি খানিকটা লিখেছি।

ভুলটা আমি ঠিক করে দিচ্ছি।
আপনার মন্তব্যের মুন্সীয়ানা আমার লেখাকে ছাপিয়ে যায় প্রতিবার- তাই উত্তরে কি লিখব ভেবে মাথা চুলকাই। :)
রেনেতা আসলে ভীষন বোকা ও বৈষয়িক মেয়ে। ওর মা বেশ চালাক চতুর মহিলা। তিনি জালটা গুটিয়েছেন বেশ সন্তর্পনে!
সরাসরি।
শেষমেষ দেখা যাচ্ছে, রনি ভাই ধান্দাবাজ, ধুরন্ধর হলেও মানুষ খারাপ না! উনার নিয়ে আলোচনা শেষ হয়ে আসছে।
সম্ভবত রনে ভংগ দিয়ে একভুজ কেটে পড়বে শীঘ্রই :)
সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, ভালবাসা ও কৃতিজ্ঞতা।
ভাল থাকুন- পরের পর্বগুলোতে আপনার দিদার চাই

৯| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য।

০৬ ই জুন, ২০২১ সকাল ১০:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: ফের আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ ব্রাদার

১০| ০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:১৫

আরাফআহনাফ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে যাচ্ছি - সময়ের অভাবে মন্তব্য করতে পারছি না (এটা একধরনের কস্টও বটে)।
আবারো হাজার প্রশ্ন ভীড় করছে মনে -

ভাবাভাবি না করে সাথেই আছি ব্রো - চলুক।

+++++

০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: :) জেনে চরম পুলকিত বোধ করলাম ও অনুপ্রাণিত হলাম!
যে কোন প্রশ্ন করতে পারেন। রাশীয়ান সেরা কৌতুকের স্রষ্টা ' ইরেভান রেডিও'র বক্তব্য ছিল; পাঠকরা আমাদের যে কোন প্রশ্ন করতে পারেন- আমারা এর
যে কোন উত্তর দিতে পারি :)
সাথে থাকার জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ।

১১| ০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৫৩

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: মেয়েরা আসলেই ছলনাময়ী, তবে কোন কোন ছেলেদের চেয়ে একটু কমই! এমন মমতাময়ী (নাকি ছলনাময়ী) একজন রেনেতাকে আপনি হারাবেন!
লেখায় ভাললাগা।

০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: সৌম্য বেচারা(!) ধরা খেয়ে গেছে ব্রাদার!
মেয়েদের স্টাইল আর ছেলেদের স্টাইলে পার্থক্য আছে। সুযোগ ছেলেরা পায় বেশী :)
পরের পর্বে মানে ধরা খাওয়ার পর্বে মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম..।

১২| ০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বড়ভাই তথা রনি ভাই শেষ মেষ ছোট ভাইয়ের সম্পদে হস্তক্ষেপ করলো!

০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: তা আর যা বলেছেন- সব বাবনিকের চরিত্র এমনই।
সুযোগ পেলে কেউ ছাড়েনা :)

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। পর্বে মন্তব্যের প্রতীক্ষায়...

১৩| ০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তুমি আর নেই সে তুমি !!

০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: আছিতো আগেরই মত এখনো আমি :)

১৪| ২৪ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি টেনশনেই না শেষ করলেন!!!!!!!!!

সৌম্যর হার্টবিট যেন শুনতে পাচ্ছি......

২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ৭:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ একবারে এতদুর আসার জন্য।
আপনার ধৈর্য ও আন্তরিকতার জন্য আমি কৃতজ্ঞ!

হ্যা সৌম্য খানিকটা বেকায়দায় আছে :) ওর হার্ট আছে কি-না সেইটা একটা ব্যাপার!!!

১৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




ভেবেছিলুম চার চারটে পর্ব পড়ে একত্রে মন্তব্য করবো, আগে করা মন্তব্যের মতো। কোন পর্বে শেষ মন্তব্য করেছিলুম তা আবছা মনে আছে- অষ্টম পর্ব।
সেই ভেবে আপনার ব্লগে ঢুকেই স্ক্রল করে দেখি "বাবনিক-৯ ও ১০ (শেষ খন্ড)"। হিসেব মতো এই পর্বই এখন পড়ার কথা। তার পরে দেখি "বাবনিক-৮ (শেষ খন্ড)"। তাই বাবনিক-৮ (শেষ খন্ড) ঢুকে দেখতে গেলুম কি মন্তব্য করেছিলুম আগে। ওম....মা... মন্তব্য নেই। কিন্তু যদ্দুর মনে পড়ে এই ৮ পর্বেই মন্তব্য করেছিলুম। ঘটনা কি ? মন্তব্য নেই কেন ? এরপরে বাবনিক-৭ (শেষ খন্ড) থেকে শুরু করে আধঘন্টা ধরে সব পর্ব খুঁজলুম, কোথায় গেল আমার মন্তব্য আর আসলেই শেষ কোন পর্ব পড়েছিলুম তা বুঝতে। এখানে ওখানে গুতোগুতিতে গেল তো আমার আধাঘন্টা ফাঁও !!! :((
কি উল্টো পাল্টা করে পর্বের সিরিয়াল সাজিয়েছেন, মাথা খারাপ অবস্থা। :||
শেষমেশ যখন মনে হল, আপনি এতো এতো ঘন্টা ধরে যদি এটা লিখতে কীবোর্ড টিপতে পারেন সেখানে আমার এই আধঘন্টা কোন ব্যাপার না। :P
যাকগে ....এই মন্তব্য করতে গিয়ে রনি ভায়ের একমাসের জায়গায় তিন মাস লাগার মতো যদি আমারও সময় লেগেই যায় , যাক.....

আপনার অবস্থা দেখে বরিশালের একটি প্রবচন মনে পড়লো - "ডিম পাড়ে হাসে, খায় বাঘডাশে( বন বিড়াল)" :(

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই,
আপনার মুল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য আসলেই আমি দুঃখিত ও বিব্রত!
আমি নিজে ঘেটেও দেখলাম এ পর্বগুলোতে আপনার কোন মন্তব্য নাই! ব্লগে ১৩ বছর ৯ মাসে আমি একটা মন্তব্যও মুছিনি, হোক সেটা আমার অপছন্দের।
আমার ধারনা আপনি( পরে খুঁজে দেখছি) আগের কোন খন্ডে মন্তব্য করেছেন বা মন্তব্য করার ইচ্ছে পোষন করেছিলেন সেটা আর হয়ে ওঠেনি।
~যাকগে ....এই মন্তব্য করতে গিয়ে রনি ভায়ের একমাসের জায়গায় তিন মাস লাগার মতো যদি আমারও সময় লেগেই যায় , যাক.....
এই ভাইটা কে? ক্যামনে কি হয়েছিল?
আপনার যে কোন মন্তব্য আমার কাছে অতীব মুল্যবান। সেটা মুছে ফেলার প্রশণই আসেনা। আর ভুল সিরিয়ালে পর্ব সাজানো এটা
আমার লাইফ স্টাইলের মতন; কোন কিছুই আমি ঠিক ঠাক করে গুছিয়ে উঠতে পারিনি।
ভাল থাকবেন ভাই- অবশেষে রাগ করেননি দেখে আশ্বস্ত হলাম।

১৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




আধাঘন্টা ধরে খুঁজে পেতে "বাবনিক- পর্ব ৮" এ এসে আমার মন্তব্য পেয়েছি। সেটা দেখেই তো এই পর্বে এসে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পেরেছি। নইলে কিছু পর্ব বাদ পড়ে যেতো।

আর এই ভাইটা কে? ক্যামনে কি হয়েছিল? হায়রে..... নিজের গল্পের একটা চরিত্রের নাম যে "রনি" তা নিজেই ভুলে গেলেন ? :( আপনারও তো দেখি একমাসের জায়গায় তিন মাস লাগবে মনে করতে !!!! মনে পড়ছেনা আপনি লিখেছেন - "রনিভাই ফিরলেন দীর্ঘ তিনমাস পরে..." ?????

শুভেচ্ছান্তে ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ আমি ভেবেছিলাম,
আপনি কোন 'ব্লগার রনি' ভায়ের কথা বলছেন!!

আমি সব ভুলে যাই দেখে- টুকে রাখি। নিজের লেখা অনেক গল্প কাহিনী কয়েক বছর পরে পড়ে চিন্তায় পড়ে যাই এই ভেবে, এটা কি আসলেই আমার লেখা?

ফের আসার জন্য ফের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। পরের পর্বে আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.