নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনার্য শেখ ও বেড়াভাঙ্গা সৈয়দের গল্প

০৮ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:৪৬


মার দাদার পিতামহের নাম ছিল কালাই শেখ। গায়ের রঙ ঘোর কৃষ্ণ বর্ণ হবার কারনে সম্ভবত তার নাম কালা শেখ রাখা হয়েছিল। সেই নাম পরে কালাই শেখে রুপান্তরিত হয়। তার গ্রামের বাড়ি দুর্গাপুর! নাম শুনে বোঝা যায় হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। তার পুর্বপুরুষ ধর্মান্তরিত হবার পরে সম্ভবত কিছুদিন কোনঠাসা হয়ে থাকলেও ধীরে ধীরে খানিকটা প্রাভাবশালী হয়ে ওঠে। তাই কালা শেখের নাম ইজ্জতদার হয়ে কালাই শেখ হয়েছে।
শাহ শেখ ফরিদ- জনশ্রুতি আছে এই আউলিয়ায়ার নামানুসারেই ফতেহাবাদ নাম পালটে ফরিদপুর হয়ে যায়। এইসব পীর আউলিয়ারা ধর্মান্তরিত করবার জন্য মুলত টার্গেট করতেন নিন্মবর্ণের শোষিত ও অতি দরিদ্র জনগন। পরবর্তীতে খৃষ্টান পাদ্রীরাও এদেশে ধর্ম প্রচার করতে এসে টার্গেট করে ধর্মান্তরিত এইসব মুসলমান আর পুর্বের মত হিন্দু নিন্মবর্ণের সেইসব মানুষদের।
আমার পিতামহের পিতামহের গাত্রবর্ণের কারনেই আমি ধারনা করি তারা আদি ভারতীয় ও আর্য ব্রাহ্মনদের শোষনের স্বীকার নিন্মবর্ণের হিন্দু ছিল। এরা বংশ পরম্পরায় বারবার ধর্মান্তরিত হয়েছে এবং বহিরাগত আর্যদের দ্বারা শোষিত হয়েছে।
যেহেতু আমার বংশের পদবী শেখ সেহেতু ধরে নিই, আমার পুর্ব পুরুষ শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের হাতে বাইয়্যাত গ্রহন করে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন এব শেখ ফরিদ তার পদবী শেখ তাদের পদবী হিসেবে ব্যাবহার করার অনুমতি দেন । জনশ্রুতি আছে যে, ফরিদপুরের বেশীরভাগ আদি শেখ বংশের উতপত্তি এখান থেকেই- আউলিয়া শেখ ফরিদের হাত ধরে। যাক এই বিতর্কে আর নাই গেলাম।
আমার সপ্তম বা অষ্টম পূর্বপুরুষ ধর্মান্তরিত হয়েছিল ধরে নিলে 'শেখ' উপাধীটা আমাদের খাঁটি হয়ে যাবার কথা এতদিন।
আমার বাবার গাত্রবর্ণ সাত পুরুষের পরিক্রমায় শ্যাওলা ধরাতে পারেনি-আমার দাদী আদর করে তাকে শাম, শ্যাম (কৃষ্ণ) বলে ডাকতেন। সেই নামেই এক সময় তিনি পরিচিত হয়ে যান তার গাও-গেরামে। তবে গাত্রবর্ন নিয়ে তার আক্ষেপ করতে শুনিনি। কিন্তু আফসোস ছিল আমাদের!
হুমায়ুন আহমেদ তার এক নাটকে রস করে বলিয়েছিলেন; পৃথিবীতে তিনটে সেরা বংশ আছে; সৈয়দ, খুনকার আর শ্যাখ।( সম্ভবত এইসব দিনরাত্রি কিংবা বহুব্রীহি’তে)
সৈয়দ তার আদি নাম ধরে রেখেছে। খোন্দকার, খু্নকার(সম্ভবতঃ খুন= রক্ত, কার) হয়েছে কিন্তু এদেশ জুড়ে শেখ হয়েছে কখনো কখনো সেক, কিংবা শেক, শেইক,শায়খ, শাইখ অথবা শ্যাখ!!
আমার মাতুল বংশ কাজী- মা বলে তার পুর্বপুরুষ সুদূর আরব দেশ থেকে এসেছিল। আমার মায়ের বিয়েই নাকি প্রথমবার হয়েছিল তার বংশের বাইরে। অন্য সবার নাকি তাদের মুল ধারার জ্ঞাতি গুষ্টি আত্মীয় পরিজনের সাথে হয়েছে। বাবা মায়ের গাত্রবর্ণের চরম অমিল থাকলেও আমরা বাবাকে খুশী রাখার স্বার্থে তার কৃষ্ণের দলে যোগ দিয়েছি। এ প্রজন্মের গায়ে একটু শ্যাওলা বা ছ্যাতা ধরেছে এই যা- কিন্তু আরবীয় এক আর্য শেখ এমনধারা গায়ের রঙের এই আদমের 'শেখ' পদবী শুনে নাক কুচকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার পরে পদবীটা বেঁচে দেবার ক্লায়েন্ট খুজছিলাম।
বেশ কিছু বছর আগে শেখ, সেক বা শেক পদবী মুছে ফেলার বা গায়েব করে দেবার হিড়িক পড়েছিল- আর শাইখ সাহেবেরা বলেছিলেন; তারা আদি খাঁটি, এদেশের শেখের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। কেউ শরমে, কেউবা পদবীর খাতিরে কখন কোন গজব নেমে আসে সেই ভয়ে বা শঙ্কায়। কিন্তু এখন সে পদবী ফিরিয়ে আনার জোর চেষ্টা তদবীর চালাচ্ছে তাদের অনেকেই।
আমাকে মাঝে মধ্যে কেউ বলে আপনারা আদি গোপালগঞ্জের শেখ। শুধু শেখ উপাধি বা গোপালগঞ্জের নাম ভাঙ্গিয়ে কত লোক কত কিছু করে নিচ্ছে- আর আপনাদের এই ল্যদা প্যাদা অবস্থা কেন?
আমি ভীষন লজ্জা পাই তাদের কথা শুনে। ক্যামনে বলি, আমরা খাটি আর্য শেখ নই, আমরা ঘোর কৃষ্ণ বর্নের আদি বাঙ্গাল! কয়েক হাজার বছরে খাঁটি বাঙ্গালী হতে পারলাম না আর মাত্র পৌনে তিনশ বছরে ক্যামনে খাঁটি শেখ হব!!!!
---------------------------------------------------------------------------------------------------
বেড়াভাঙ্গা সৈয়দের গল্পঃ তখন সৈয়দদের রমরমা অবস্থা! সৈয়দরা নাকি নবীর বংশ এই বয়ান শুনে মুসলিমরাতো বটেই অনেক হিন্দুরাও সৈয়দদের সম্মান করত বিশেষ নজরে দেখত।
কোন এক মুসলিম রাজা এহলান করলেন যে, নবীর বংশ সৈয়দরা ভীষন সম্মানিত এদের দিয়ে কাজ কর্ম করানো গর্হিত অপরাধ! এখন থেকে সৈয়দ বংশের লোকেরা ধর্ম কর্ম আর আরাম আয়েস করে কাটাবে। তাদের দেখভালের দ্বায়িত্ব সব রাজ্যের।
তার এহলানের পরেই সে রাজ্যে হু হু করে সৈয়দদের সংখ্যা বাড়তে লাগল।
প্রতিদিন শত শত এপ্লিকেশন পড়ছে, আমি অমুক সৈয়দ, বাবার নাম তমুক সৈয়দ। আমাকে নিশ্চিন্তে ধর্ম কর্মে মনোনিবেশ করার নিমিত্তে মাসিক ভাতার ব্যাবস্থা করা হোক।
এভাবে সৈয়দদের বাড়তে বাড়তে এক সময় পুরা রাজ্যের সবাই সৈয়দ হয়ে গেল!
পুরো রাজ্যের সব নাগরিক পায়ের উপর পা তুলে খাচ্ছে।
রাজার কপালে চিন্তার ভাঁজ- এভাবে চললে তার রাজ্য লোপাট হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
তিনি বসলেন তার গুটিকতক সভাসদ নিয়ে জরুরী রাজ সভায়। কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় এর উপায় জানতে চাইলেন।
প্রধান উজির পরামর্শ দিলেন, বিশাল একটা মাঠে ঘর বানিয়ে সেখানে সব সৈয়দ দের জড়ো করতে হবে। এরপরে সেই ঘরে আগুন ধরিয়ে দিতে হবে। নবীর বংশ সৈয়দদের গায়ে নাকি আগুন স্পর্শ করে না। তাই সত্যিকারে সৈয়দদের খুঁজে বের করতে সহজ হবে।
যেই কথা সেই কাজ- রাজ্যে ঢেড়া পিটিয়ে সব সৈয়দদের জড়ো করা হোল বিশাল মাঠের সেই ঘড়টাতে
যথারীতি সবাই ঢোকার পরে মুল ফটকে তালা লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হোল।
আগুনের ভয়ে দু’চারজন সত্যিকারে সৈয়দ বাদে বাকি সবাই ঘরের বেড়া ভেঙ্গে হুড়মুড় করে দৌড়ে পালাল!
সেই থেকে সৈয়দ হোল দু’ধরনের। একটা খাঁটি আরেকটা- ’বেড়াভাঙ্গা সৈয়দ’!!!- গল্পটা বলেছেনঃ আমার বাবা

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

জটিল ভাই বলেছেন:
এতো গাম্ভীর্যপূর্ণ লিখার মর্মার্থ কি বর্তমান বেড়াভাঙ্গাদের উপলব্ধ হইবে?
হইলে আপনার খবর আছে বৈকি =p~ =p~

০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন - এতো এলেবেলে রম্য লেখা!!
এমন দামী ও নামী দুই বংশের মান্যবর লকদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে এমন লেখা ঠিক হয়নি। মানহানির কেস খেতে পারি :)

আমার কি যে হবে- বিপদে পড়লে একটু হেল্পাইয়েন

২| ০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২৬

জটিল ভাই বলেছেন:
সেটাই..... তারচাইতে ভালো ছিলো যদি আপনার জন্মসূত্রে প্রাপ্ত পদবিটির যথাযথ মূল্যায়ণপূর্বক একটি সনদ যোগাড় করিতেন। তবে পরলৌকিক না হইলেও, ইহলৌকিক বহুত ফায়দা হাসিল করিতে পারিতেন =p~

০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: এক লৌকিক ( পর নয় শুধু ইহ) জীবন সেটা আগে জানতাম না।
এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি- দুঃখে আত্মাটা হা হুতাশ করে পাঁজরের ভিতরে খাবি খায়। বড় ভুল হয়ে গেছে ভ্রাতা - এখন উপায় আছে নাকি কোন?

৩| ০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

জটিল ভাই বলেছেন:
আপনাকে কি উপায় বাতলাইয়া দিবো হে ভ্রাতা! আমি নিজেইতো বেড়াভাঙ্গাদের বহুত ট্যাগে জর্জরিত রহিয়াছি =p~ =p~
কি হবে তা হলে পরে দেখা যাবে ক্ষণ। আপাতত আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখতে যাবার দরকার নেই :P
তারচেয়ে ভালো আসুন সৈয়দ আর খন্দকারের ভিডিওচিত্র উপভোগ করি। আশা করি আপনি পূর্বেও ইহা দর্শন করিয়াছেন :)

০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০০

শেরজা তপন বলেছেন: বড়ই আফসুস যে, এমন একখান সরেস ক্লাসিক্যাল ছবি এখনো দেখা হয়নি।
ধ্যাত্তেরি জীবনটাই বৃথা!
নিজেকে নিয়ে এত টেনশন করিয়েন না- প্রতিদিন কমপক্ষে দু'খানা পোষ্ট দিবেন।

৪| ০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫০

শাহ আজিজ বলেছেন: :D এই কি সেই শেখ ফরিদ যার বগলে ইট থাকতো ? গোপালগঞ্জ ছিল বিশাল জেগে ওঠা চর । এই গোপালদের বগলে চাপাতি থাকতো । B-))

০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কাছে আমাদের বংশের এই আদি পিতার কন হিস্টোরি আছে নাকি বড় ভাই?
আমি বহু খুজেও তাকে নিয়ে মিনিট তিনেকের ডকুমেন্টারি বানানোর মতও কোন তথ্য পাই নাই।
থাকলে দিন - আমাদের মত অনার্য শেখেরা বড়ই উপকৃত হইত:)

৫| ০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:





দরিদ্র মানুষের বংশ থাকে না।

০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: সেইজন্যই বংশীয় পদবী বিকিয়ে দেবার পায়তারি করছি।
আপনার কাছ থেকে আরেকটু দীর্ঘ মন্তব্য আশা করেছিলাম...

৬| ০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫১

জোবাইর বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। জাত-পাত, কালো-ধলো, ধনী-গরীব ইত্যাদি বৈষাম্যিক মনোভাব আমাদের রক্ত-মাংস ও চিন্তা-ভাবনায় অতপ্রোতভাবে মিশে আছে। আমারা মুখে যতই সাম্যবাদী ও অসাম্প্রদায়িক বুলি আওড়াই না কেন, কাজে-কর্মে কিন্তু আসল চরিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত।

ইতিহাস ভালোভাবে পর্যালোচনা করলে বুঝা যায় যে, বাঙ্গালি জাতি একটি সংকর জাতি ও দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী আদিতম মানবগোষ্ঠীসমূহের মধ্যে একটি। আর্যরা এদেশে এসে যখন শাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো তখন আমাদের পূর্বপুরুষদের অনেকেই যে কোনো উপায়েই হোক আর্য্য বা ব্রাহ্মণ হয়ে সমগোত্রীয়দের থেকে উপরে উঠার চেষ্টা করলো।

মুসলমানেরা বাংলা জয় করার পর বিশেষ করে আরব থেকে অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসার উদ্দ্যেশ্যে এবং কিছু সুফি-আউলিয়া ধর্ম প্রচারের উদ্দ্যেশে এ দেশে এসেছিলেন। নিম্নবর্ণের শোষিত হিন্দু ও দরিদ্র লোকেরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তাদের মধ্যেও আবার অনেকে সৈয়দ, শেখ ও আরব বংশের রক্তবাহী মুসলমান সেজে সমগোত্রীয়দের থেকে উপরে উঠার চেষ্টা করলো। সে ধারা এখনো অব্যাহত আছে।

আমরা আসলে একটা হীনমন্য জাতি। তাই নিজেদের আদি ও অকৃত্রিম পরিচয় আমরা যে 'বাঙালি' - তা এড়িয়ে কেউ খাটি আর্য্য বংশীয় ব্রাহ্মণ, কেউ খাটি আরব বংশীয় মুসলমান হিসাবে পরিচয় দিতে পছন্দ করি। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে, বাঙালি জাতির ইতিহাসে এই হীন মন-মানসিকতার পরিবর্তন একবার হয়েছিল।

গত শতাব্দীর ৭০ দশকের শুরুতে স্বাধীনতাত্তোর অসহযোগ আন্দোলনের সময় হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আর্য-অনার্য, ব্রাহ্মণ-শূদ্র, শেখ-সৈয়দ, ধনী-গরীব এবং বর্ণ-গোত্রহীন হিন্দু-মুসলমান সবাই এক মিছিলে শরিক হয়ে হাতে হাত ধরে বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলেছিলেন: (ব্যতিক্রম: হাতে গোনা কিছু রাজাকার)
জেগেছে জেগেছে, বাঙালিরা জেগেছে
তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা


কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, বাঙালির সে গৌরবোজ্জল দিন ও মন-মানসিকতা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর বাংলাদেশের তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর কেউ ক্রীম কালারের সাফারি আবার কেউ পাকিস্তানের শেরওয়ানী পরিধান করে বাঙালি আম-জনতাকে জানিয়ে দিলেন, তারা বাঙালি হলেও রক্ত ও বর্ণে উচ্চ মার্গীয় পাকিস্তানী এবং মুসলমান হলেও রক্ত-মাংসে আরব বংশীয়।

বাঙালি জাতির ইতিহাসে স্বাধীনতাত্তোর অসহযোগ আন্দোলনের সেই গৌরবোজ্জল মন-মানসিকতা আবারো ফিরে আসুক - সেটাই কামনা করি।

০৮ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সুদীর্ঘ মন্তব্যে আমার লেখার সার্থকতা খানিকটা খুঁজে পেলাম।
নিজেদের জাত পাত আর জাতিগত পরিচয় নিয়ে বড় মনঃকষ্টে আছি? কোথায় যাচ্ছি আমরা- কিসের আশায় এই মরিচিকার পেছনে ছুটে বেড়ানো?

আমরা নিজেদের স্বত্তাকে- জাতিগত পরিচয়কে তুচ্ছ করে অন্যের রং-চঙ্গে পোষাক গায়ে চড়িয়ে জাতে ঊঠার চেষ্টা করছি।

আর কতদিন শুধু নামে বাঙ্গালী হয়ে থাকব মানুষ হব না?
আমার আন্তরিক ভালবাসা ও ধন্যবাদ নিবেন। আপনিও আমার প্রিয় একজন লেখক জানবেন

৭| ০৮ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বাবা মায়ে নাম রেখেছিলো সৈয়দ আলী
যদিও তার জন্ম সৈয়দ বংশে না । পরবর্তীতে
সৈয়দ আলীর বংশধররা সৈয়দ বংশের রমরমা
অবস্থা দেখে নিজেদের নমের শেষে সৈয়দ লিখতে
শুরু করলো। আমা্র বিশ্বাস তাদের ঘরে আগুন
লাগিয়ে দিলে তারাও সৈয়দ উপাধি ত্যাগ করবে।

০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ
এইরকম সৈয়দ, শেখ খন্দকার অহরহ মিলবে!
বহুদিন বাদে আমার ব্লগে আসলেন নুরু ভাই।
ভেবেছিলাম এইসব বংশীয় পদবি নিয়ে একখানা উত্তম ছড়া রচনা করবেন আপনি:)

৮| ০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো।

০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: কেমন আছেন ভাই সাড়ে চুয়াত্তর?
আপনাকে পেয়ে আনন্দিত হলাম।

এটা সার্বজনীন সত্য!
ধন্যবাদ আপনাকে- ভাল থাকুন

৯| ০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: শিক্ষনীয় গল্প।

০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: আমরা সবাই সবার কাছ থেকে শিখছি ...

ফের ধন্যবাদ আপনাকে- ভাল থাকুন নিরন্তর

১০| ০৯ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:০১

কামাল১৮ বলেছেন: আমিই ভাল আছি,নামের আগে পিছে কোন লেজ রাখি নাই।পদবি ছিল মুন্সী জীবনেও ব্যবহার করি নাই। অনেক মজা পেলাম।

০৯ ই জুন, ২০২১ সকাল ৭:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: মুন্সী পদবী ব্যাবহার না করে ভাল করেছেন মনে হয় - খুনকার সৈয়দ আর শ্যাখ হইলে চিন্তা ভাবনা করতে পারতেন :)
ল্যাজ থাকলেতো শাখামৃগ হয়ে যাইতেন- ভাগ্যিস!!!

অনেক ধন্যবাদ কামাল ভাই- মন্ত্যব্যের জন্য - ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন

১১| ০৯ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা.........এ তো দেখছি হুলুস্থুল ল্যাদা প্যাদা অবস্থা শেখ ও বেড়াভাঙা সৈয়দদের.........। :P

তা যাই বলেন এখন কিন্তু শেখ-সৈয়দেরই যুগ.........। বাকিরা বেড়াভেঙে দিকবিদিগ ছুটছে....... :-B

চমৎকার লেখা.......।

০৯ ই জুন, ২০২১ সকাল ৮:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি এয়েছেন!!
রাতে টাটকা ভ্রমন কাহিনীটা পড়ে ঘুমাতে গিয়েছিলাম 'লাল কাকু'রেতো সপ্নেও দেখলাম :) :)

আপনি বেশ করেছেন- একদম খাঁটি মিশরীয় নাম সেঁটে দিয়ে নিশ্চিন্ত।
আমরা যাই কই? আর্য শেখ হলে কথা ছিল। ধারে কিংবা ভারে কিছু একটা হোত :(

১২| ০৯ ই জুন, ২০২১ সকাল ১০:০৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভাই আমিও তো নামের আগে একখান সৈয়দ লেখি কিন্তু সে সৈয়দ খাঁটি না বেড়াভাঙ্গা তা তো বলতে পারলুমনা; এতো আমি দেখে আসছি তিন পুরুষ ধরে তার আগের খবর আমার কাছে নেই। শেষ পর্যন্ত এতো কাছের মানুষের পক্ষথেকে বংশ নিয়ে এমন টানা হ্যাছড়া মোটেও আশা করিনি। :(

০৯ ই জুন, ২০২১ সকাল ১০:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: আমি ভীষন লজ্জিত ও দুঃখিত আপনার মাত সৈয়দ বংশকে ব্যাঙ্গ করার জন্য!
তবে যদি এখন জেনে ফেলেন আপনি 'বেড়া ভাঙ্গা সৈয়দ' তাহলে কি উপায়?? :)
সৃজনশীল ও ব্যাক্তিত্ববান মানুষেরা পদ পদবি নিয়ে মাথা ঘামায় না? আপনিও এর ব্যাতিক্রম নন।

কাছের মানুষ বলেছেন দেখে আপ্লুত হলাম!!

১৩| ০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:২৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গল্পটা ভাল্গাগছে।

জাত, পাত, বংশ অংহার এগুলো বাংগালদের যাবেনা।

০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই মাইদুল সরকার- বরাবরের মত মন্তব্য করে অনুপ্রাণিত করার জন্য।

সহমত আপনার সাথে-তবে অপেক্ষায় আছি কোন একদিন আমরা এর উর্দ্ধে উঠে খাটি বাঙ্গালী হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করে গর্ববোধ করব

১৪| ০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

লেখক বলেছেন: নুরু ভাই
ভেবেছিলাম এইসব বংশীয় পদবি নিয়ে একখানা উত্তম ছড়া রচনা করবেন আপনি:)

তপন দাদা অচিরেই আপনার এই মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিবার ব্যাপারে সদা সচেষ্ট রহিবো।
আসলে আমার এক সজ্জনকে খোঁচাইতে গিয়ে নাওয়া খাওয়া শিকেয় ওঠে তাই আর সবার কথা
বিস্মৃত হই। কিছু মনে নিবেন না দাদা। আজ আপনার লেখায় দুটি মন্তব্য করে কিছুটা পুষিয়ে দিলাম। =p~

০৯ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমি চরম পুলকিত বোধ করছি ও আনন্দিত হলাম - আপনি আমার অনুরোধ রক্ষা করবেন জেনে :)
এত ঝামেলা কাধে নিয়ে দু-দুটো মন্তব্য যেন বাংলালিংক :)

অপেক্ষায় রইলাম...

১৫| ০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: পোস্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন দেখলাম। জানলাম।

০৯ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমিও খুশি হলাম আপনাকে ফের পেয়ে - ধন্যবাদ

১৬| ০৯ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

লেখক বলেছেন: আমি চরম পুলকিত বোধ করছি ও আনন্দিত হলাম - আপনি আমার অনুরোধ রক্ষা করবেন জেনে :)

'তথাস্তু' আপনার অনুরোধটি সফল হয়েছে

এতদিন আপনার ব্লগে না আসার মাশুল কড়ায় গণ্ডায় বুঝিয়ে দিলাম। :-P

১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা নুরু মোহাম্মদ নুরু ভাই

১৭| ১০ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:৪৫

জুন বলেছেন: আপনার রম্য পড়ে হাসতে হাসতে মরি শেরজা তপন B-)
তবে দুঃখের বিষয় এই যে না হইতে পারলাম বেড়াভাংগা সৈয়দ,
না হইতে পারলাম শায়খ ওরপে শেখ :(
আমার দাদার বাড়ির একজন পুরনো কর্মচারী বলেছিল আমরা নাকি মোগল বংশ, আমাদের পুর্বপুরুষ ফেরগানা থেকে ঘোড়ার পিঠে এই বংগে আসছিলো =p~

১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:০২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি কই ছিলেন- শরির স্বাস্থ্য সহি সালামতে আছে তো?
এ খল্টে( এ পাড়ায়'- গোপালগঞ্জীয়';) আপনার পদার্পন না পরিলে- লেখার স্বার্থকতা খুজে পাইনা বুনডি(আপা) :)

তাইতো কই আপনি রঙ ব্যাঙ্গে,ভোজনে আর ভ্রমনে এত্তো রাজকীয় কেতা পাইলেন কোত্থেকে?? মোঘলের বংশ বলে কথা!!!
এখন থেকে সন্মান আর খাতিরটা একটু বাড়তি করতে হবে আপনাকে :)

১৮| ১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:১৯

অশুভ বলেছেন: ভাল রম্য। বেড়াভাঙ্গা সৈয়দের গল্পটা জানা ছিল না।
আচ্ছা, খান বা খাঁ বংশ সম্পর্কে কোন তথ্য আছে নাকি? (আমি আবার খান বংশের কিনা। ;) )

১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: এইসব গল্প প্রায় সবই আমার বাবার মুখ থেকে শোনা! খাঁ বংশ নিয়েও তিনি কি যেন আলাপ করেছিলেন- এখন স্মরণে আসছে না ।
বাবা নেই- আমারো এসব গল্প জানার কেউ নেই। দেখি মনে পড়লে বলব আপনাকে -
দেখে ফের ভাল লাগল- ইদানিং ঘন ঘন পোষ্ট দিচ্ছি। কষ্ট হলেও পড়লে প্রীত হব।
ভাল থাকুন

১৯| ১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

অশুভ বলেছেন: কী বলেন ভাই। আপনার লেখা কষ্ট করে পড়তে হবে!!!
উল্টো আপনার লেখার জন্য অপেক্ষায় থাকি।
মাঝে মাঝে ব্লগে কম ঢোকা হয়, এই আর কি। :)

১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: আহা জেনে বড় শান্তি পেলুম! :)
কোন সমস্যা নেই যখন আসবেন- একটু জানান দিয়ে যাবেন আর কিছু লেখা আপনিও দিন। শুধু পড়ে গেলে হবে

ভাল থাকুন নিরন্তর

২০| ১১ ই জুন, ২০২১ রাত ৩:১০

অপু তানভীর বলেছেন: আমি নিজেরাও শেখ, যদিও নামের আগে পিছে শেখ নাই। তবে কতখানি আসল শেখ বংশ সেটা বলতে পারি না । আমার দাদার বাবা নাকি ইন্ডিয়া থেকে ঢাকার বিক্রম এসেছিলেন। তার অন্য সবাই এখনও সেখানেই রয়ে গেছে ।

রম্য পড়ে মজা পেলাম !

১১ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে ফের আমার ব্লগে পেয়ে ভাল লাগল অপু তানভীর ভাই,

অনেক ধন্যবাদ আপনার বংশ পদবীর টুকরো তথ্য শেয়ার করবার জন্য- এবং লেখাটা ভাল লেগেছে জানিয়ে মন্তব্য করার জন্য।

ভাল থাকুন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.