নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোয়ালন্দী জাহাজের \'মুরগির ঝোল\'

১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:১৪


গোয়ালন্দ স্টিমারে রান্না করা মুরগির কারি বাঙালির লোককাহিনীতে ঢুকে গেছে। যারা এই পথে ভ্রমণ করেছেন তারা এখনও স্বাদ রোমন্থন করেন। তারা আফসোস করেন; হারিয়ে যাওয়া সেই গোয়ালন্দী জাহাজের মুরগীর ঝোলের স্বাদ আর কি ফিরে পাওয়া যাবে?
বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখকের এবং পণ্ডিত সৈয়দ মুজতবা আলী। তার আকর্ষণীয় রম্য সাহিত্য প্রবন্ধ ও নিবন্ধে সর্বদা বাঙ্গালীর হেঁশেলের খাবার-দাবার আর রন্ধন প্রণালী নিয়ে আলচনা করেছেন।অন্য সব বিষয়ে প্রশংসা করলেও একদম স্পষ্টভাবেই,একটি ভাল মাংসের তরকারি রান্না করতে বাঙালি অক্ষমতার সমালোচনা করে তিনি তাঁর একটি প্রবন্ধে লিখেছিলেন: বিক্রমপুরের রমণীদের রান্না এক সময় সুনাম কুড়িয়েছিল;বিক্রমপুরের মহিলারা পুরো বাংলার সেরা রাধুনি হিসাবে খ্যাতি পেয়েছিলেন। ভোজন রসিক আলী সাহেব বলেছিলেন “আমি অবাক হয়েছি যে বিক্রমপুরের রমণীরা নিয়মিত গোয়ালন্দী স্টিমারে কলকাতায় তাঁর কলেজ-হোস্টেলে যাতায়াত করে,যাওয়া আসার পথে তারা সেই স্টিমারেই আহারাদি সারে। তবুও- সাধারণ নৌকাওয়ালার রান্না করা স্টিমারের অতি মামুলি মুরগীর তরকারি কখনও রান্না করতে পারেনি! ”
তাঁর পর্যবেক্ষণের আরও একটু ছিল - "৩০ বছর ধরে আমি গোয়ালন্দ স্টিমারে ভ্রমণ করেছি। সেখানে অনেক কিছুই পালটে গেছে আর আগের মত নেই । কিন্তু পাল্টায়নি সেই খালাসিদের মুরগীর ঝোলের গন্ধ। রান্নার স্টাইল পাল্টেছে- ঝোলের ঘনত্ব, অতি রন্ধন, একটু মিষ্টি স্বাদ, কিন্তু ঘ্রাণটা রয়ে গেছে সেই আগের মতই। আমি প্রায়শই পুরো স্টিমারটিকে কল্পনা করেছিলাম যে, পুরো জাহাজ জুড়ে একটা দৈত্যাকৃতির মুরগি রান্না হচ্ছে, চাঁদপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ হয়ে গোয়ালন্দো পর্যন্ত পুরো পথটা সে ঘ্রানে মৌ মৌ করত ”।

উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ থেকে, পূর্ববাংলা, আসাম বা বার্মা ভ্রমণকারীরা পদ্মা এবং ব্রহ্মপুত্রের সংযোগস্থল একটি ছোট অথচ গুরুত্বপুর্ন স্টেশন গোয়ালন্দ থেকে স্টিমার নিয়েছিল, যেখানে শিয়ালদা থেকে পূর্ববঙ্গ এক্সপ্রেসের যাত্রা শেষ হয়েছিল।
গোয়ালন্দ ঘাট থেকে স্টিমারে চড়ে যেতে হোত নারায়ণগঞ্জ। সেখান থেকে লোকেরা সেখান থেকে ঢাকা সিলেট বা চট্টগ্রাম কিংবা আরও কিছুদুরে বার্মায় এবং অন্যদিকে আসামের চা বাগানে চলে যেত।
এক রাত ভ্রমনে, স্টিমারের পরিবেশন করা, জাহাজের মুসলমান খালাসীদের রান্না করা মুরগীর ঝোল বাংলার উত্তম পান-ভোজন সংক্রান্ত ইতিহাসে ঢূকে গেছে যা কিংবদন্তীতুল্য। এটি ঐতিহ্যবাহী ‘ডাক বাংলোর চিকেন কারি’ বা ‘মাদ্রাজ ক্লাব কোরমা’ অথবা প্রসিদ্ধ্ব ‘রেলওয়ে মাটন কারি’র মতো অন্যান্য ঐতিহাসিক খাবারের সাথে ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় খাবারে জায়গা করে নিয়েছে। অতি সাধারন মশলা সহযোগে সাধারণ মাঝি মাল্লাদের রান্না করা এই খাবারের স্বাদ যারা পেয়েছে এবং এখনও এ সম্পর্কে কথা বলতে জীবিত রয়েছেন, তারা জোর দিয়ে বলছেন যে তারা আর কখনও কোথাও এর মতো সুস্বাদু তরকারি স্বাদ পাননি। "কেন?" একজন বিখ্যাত ভারতীয় লেখককে জিজ্ঞেস করে উত্তর পাওয়া যায়নি।
পৃথা সেন নামে একজন বিখ্যাত রন্ধন বিশেষজ্ঞ এবং খাদ্য ইতিহাসবিদ;এই খাবারটা রান্নার জন্য চ্যালেঞ্জ গ্রহন করেছিলেন। তিনি খুঁজে খুঁজে গল্প করেছিলেন সেই সময়কার জাহাজে ভ্রমন করা বিখ্যাত ও সাধারন মানুষদের সাথে। তাদের মধ্যে দাদী- নানীর বয়েসী উল্লেখযোগ্য পরিমান মহিলাও ছিলেন। তিনি সম্ভবত গোয়ালন্দ থেকে বিক্রমপুর চষে বেড়িয়েছেন!
তিনি বেঙ্গল গেজেটে, ইম্পেরিয়াল গেজেট, চা রোপনকারী এবং বন রেঞ্জারদের পুরাতন জার্নাল, ইম্পেরিয়াল রেলপথ এবং জয়েন্ট স্টিমার কোম্পানির সাথে সম্পর্কিত নথিগুলিতে এবং অবশ্যই বাংলা সাহিত্যে এ বিষয়ক আলোচনা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েছেন।
সবাই এক কথা বলেছেন যে " তেলের উপরে ভাসমান লাল মরিচের পাতলা তরকারি"।কিন্তু কেউ বলেননি যে, এটা কখনো ডিম বা আলু দিয়ে রান্না করা হয়েছে।
তিন বছর ধরে যে যে সমস্ত তথ্য পেয়েছেন তা যাচাই বাছাই করে দেখলেন যে-"এটি পাটায় পেষা পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং প্রচুর মরিচ এবং সরিষার তেল দিয়ে তৈরি একটি দেহাতি তরকারি ছাড়া কিছুই ছিল না।"
গোটা গ্রাম বাংলায় মাংসের তরকারি ঠিক আজ অবধি এইভাবে রান্না করা হয়। কিন্তু দেশ বিদেশের অনেক স্বাদের রান্না করা মুরগীর মাংসের বিভিন্ন পদ আস্বাদন করা ভোজন রসিক সাহিত্যক সৈয়দ মুজতবা কেন এই অতি সাধারন মুরগীর ঝোলকে সবার উপরে রেখেছেন? এর ওম্প ফ্যাক্টরটি কী ছিল?
তিনি গোয়ালন্দী জাহাজের আরো কিছু বিখ্যাত খাবারের উপরে গবেষনা করে আবিষ্কার করলেন – এই সকল জাহাজে বিখ্যাত স্মোকড ইলিশ বা ভেটকি রান্না করতেন অত্যন্ত দক্ষ মগ বড়ুয়া কুক; কলকাতার রাজকীয় রান্নাঘরে যা পরবর্তিতে সফলভাবে জায়গা নিয়েছিল। অথবা সেই প্রথম-শ্রেণীর যাত্রীদের 'মুরগীর কারি' যা অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের সৃষ্টি! কান্ট্রি ক্যাপ্টেনের যা ভীষন পছন্দ ছিল এবং নাফ রিভার স্টিমার, চট্টগ্রাম এবং বার্মার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত,অতি উচ্চবংশীয় যাত্রীদের বেশ প্রিয় খাবারের তালিকায় ছিল।
তবে এসব ছাপিয়ে কেন গোয়ালন্দী জাহাজের এই মুরগীর ঝোল অনন্য সাধারন হয়ে উঠেছিল?
সেই দিনগুলিতে, বেশিরভাগ হিন্দু রান্নাঘরে ‘মুরগির মাংস’ বা মুরগি নিষিদ্ধ ছিল। তাদের পছন্দের তালিকায় ছিল সম্ভবত খাসির মাংস। সেজন্য ধারনা করা হয় যে, মাঝি-মাল্লাদের রান্না করা এই মুরগীর ঝোল সম্ভবত বাঙালি মুসলমানের খাবার ছিল- এবং এর রাঁধুনি ছিল মুসলমান। সীমিত মশলা দিয়ে রান্না করতে ব্যবহৃত নৌকাওয়ালারা একটি সাধারণ মুরগির তরকারি তখন গোয়ালন্দো স্টিমার কারি ও গোয়ালন্দো ঘাটের মুরগি'র ঝোল হিসাবে জনপ্রিয় ছিল। এটি মুরগির মুরগির তরকারীগুলির একটি সহজতম রূপ।
গোয়ালন্দ স্টিমার চিকেন কারির গল্প!
"গোয়ালন্দ-নারায়ণগঞ্জ" স্টিমারেএক রাতের ভ্রমণ ছিল। জাহাজের খালাসীরা তাদের নিজেদের খাবার জন্য এই মুরগির ঝোল রান্না করত। সেই তরকারিটি কোন ভাবে ভ্রমণকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছিল। অতি উপাদেয় এই পাতলা ঝোলের মুরগির তরকারি তখন গোয়ালন্দী নৌকার মাঝিদের খাবা হিসেবে খ্যাত ছিল। তবে কালের বিবর্তনে এই খাবারের রন্ধন প্রণালী বা রেসিপি একেবারে হারিয়ে গেছে!

এই মুরগির তরকারিটির বৈশিষ্ট্য হ'ল সাধারন মসলা ব্যবহার। বেশ স্বাভাবিকভাবেই, মাঝি মাল্লাসের দামী মশলা ব্যাবহারের সক্ষমতা ছিল না। এটি ছাড়াও, খুব বেশি রান্নার জন্য সময় দেওয়ার সম্ভব ছিল না। সুতরাং তারা মুরগির একটি সহজ রেসিপি তৈরি করেছিল গোয়ালন্দ স্টিমার কারি বা বোটম্যান স্টাইলের চিকেন কারির রেসিপিটির জন্য সরিষার তেল আবশ্যক ছিল। এতে কোন গরম মসলা ব্যাবহার করা হোত না।

গোয়ালন্দ স্টিমার চিকেন কারির স্বাদঃ

আপনি যখন এই খাবারটির দিকে প্রথম চোখ বুলাবেন- দেখবেন; সরিষার তেলে ভাসমান শুকনো মরিচের গুঁড়া -আগুন রাঙ্গা লাল ঝোল। একটি চামচ নিন এবং গরম ধোয়া ওঠা সেই ঝোল গরম ভাতের উপর ছড়িয়ে দিলে মনে হবে লালচে হলুদ রঙের পানি ছড়িয়ে দিয়েছেন! যদিও সেখানে রশুন পেয়াজ আর বাটা লাল মরিচের উপস্থিতিও টের পাবেন।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে এক অজানা লোভনীয় সুগন্ধ আপনাকে মাতাল করে দিবে। ধারনা করা যায়; আপনার ঘ্রানেন্দ্রিয় এর আগে কখনোই দুর্দান্ত ঘ্রানের স্বাদ পায়নি!
আপনি বুভুক্ষের মত ঝাঁপিয়ে পড়বেন সেই স্বাদ নেবার জন্য। যদিও পাটায় পেষা শুকনো মরিচের ঝালের তীব্রতা আপনার নাখ মুখ দিয়ে লালা ঝড়াবে তবুও আপনি এই স্বাদ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে চাইবেন না।
গোয়ালন্দী চিকেন কারি টাটকা গরম গরম পরিবেশন করা হোত। এটা সংরক্ষন করলে বা ঠান্ডা করে খেলে তার মুল স্বাদ ও গন্ধ হারিয়ে যেত।
সেই সময়কালে এদেশে পোল্ট্রি ফার্মের অস্তিত্ব ছিল না। পুর্ববঙ্গের মানুষ লোকাল চিকেন বা গৃহপালিত মুরগী (দেশী মুরগী) রান্না করে খেত এবং প্রতিটি স্টিমারেই শীল-নোড়া ( ফ্ল্যাট মর্টার এবং পেস্টেল,যা সাধারণত ওড়িশায় ব্যবহৃত হয়) ব্যাবহার করা হোত মশলা পেষার জন্য। তারা শিল-নোড়ায় মরিচ, হলুদ, রসুন, আদা পিষে রান্নায় ব্যাবহার করত।

অন্য একটা সুত্র থেকে জানা যায়;
যে বিশেষ উপাদানটি তরকারিটিকে তার যাদু দিয়েছিল তা হ'ল শুটকি মাছ। তারা সেই শুটকি মাছ শিল-নোরায় পিষে একটি পেস্ট তৈরি করত এবং সেই পেষ্ট মুরগী রান্নায় ব্যাবহার করত।
কিছু কিছু রেসিপি রয়েছে যা কেবলমাত্র অনির্বচনীয়ভাবে আশ্চর্যজনক, তার প্রতিটি প্রতি উপাদান বা ডিশ নিজেই নয়, বরং এর ঐতিহ্যের কারণে আরও বেশি। গোয়ালন্দো স্টিমার চিকেন, বা বোটম্যান-স্টাইলের চিকেন কারি স্বাধীনতার পূর্বের একটি অন্যতম আইকন যার ইতিহাস ভারতীয় আইকনিক খাবারের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ন স্থান দখল করে নিয়েছে।
শেষ কথাঃ পৃথা সেন দাবি করেন যে, অবশেষে তিনি এই রান্নার মুল রেসিপি( প্রায়) আবিষ্কার করেছিলেন। তার সেই মুরগীর কারি খেয়ে পুরনো দিনের অনেকেই বলেছেন; স্বাদ অবিকল তেমনই হয়েছে( আমি তার কৃতিত্বকে কোনভাবেই খাটো করে দেখছি না)।। তবে আমার কেন যেন মনে হয় দীর্ঘ প্রায় অর্ধ শতকের পরিক্রমায় সবাই গোয়ালন্দী জাহাজের সেই মুরগীর ঝোলের স্বাদ বিস্মৃত হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে তার রান্না করা মুরগীর ঝোল সেটার কাছাকাছি ছিল তা নির্দ্বীধায় বলা যায়।
গোয়ালন্দের পদ্মায় ইলিশ আহরণকারী নৌকায় মাঝি মাল্লার রান্না করা তাজা ইলিশের পাতলা গরম গরম ঝোল( শুধু হলুদ, কাচামরিচ, লবন আর পেয়াজ দিয়ে) দিয়ে আউস চালের গরম ভাত যারা খেয়েছে- তারা এজীবনে আর ভুলতে পারেনি সে খাবারের স্বাদ আর গন্ধের কথা।
আপনি বাড়িতে যেভাবেই সে রান্নার চেষ্টা করে থাকেননা কেন – নিশ্চিতভাবে তার তার ঘ্রান আর স্বাদ সেই ইলিশের ঝোলের ধারে কাছে পাবেন না।
কেন?
শুনেছিলাম শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ের বাতাস না পেলে নাকি মুসলিন শাড়ি বুননের সুক্ষ সুতা তার স্বকীয়তা পায় না।
তেমনি সেই রান্নায় পদ্মার জল দু'ঘটি না দিলে যে স্বাদ-গন্ধের হেরফের হতে পারে সেটা কেউ এখনো আবিষ্কার করেননি।

সুত্রঃ গুগোল, উইকি
টাইমস অফ ইন্ডিয়া
কিচেন অফ দেবযানী
• সৈয়দ মুজতবা আলীর বচনটুকু সরাসরি তার বই থেকে নেয়া নয়। ভাষান্তর হয়েছে- অতএব লেখায় আলী সাহেবের নিজস্ব ঢং আসেনি।
ছবির মুল সোর্সঃ নেট
* আমার 'মুরগির ঝোল' লেখায় অনুপ্রাণিত হয়ে প্রিয় ব্লগার মরুভুমির জলদস্যু 'কেমন টানলাম' শিরোনামে গোয়ালন্দী ফেরির একটা গল্প বলেছেন। তার প্রতি রইল আমার আন্তরিক ভালবাসা

লেখাটার জন্য ক্লিক করুন; Click This Link

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৩০

স্প্যানকড বলেছেন: ভাই, লোভ লাগায় দিলেন। বুঝলাম একদিন আইতে অইব ! ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকুন।

১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: আমি গোয়ালন্দের মানুষ কিন্তু এই ঝোল খাবার সৌভাগ্য এখনো হয়নিরে ভাই :(
দেখি পৃথা দিদির সাথে যোগাযোগ করে কোন ব্যাবস্থা করা যায় কি না?

ধন্যবাদ ভ্রাতা মন্তব্যের জন্য

২| ১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: মাছের ঝোল মুভি দেখার পরই আপনার পোষ্ট পেলাম মূরগীর ঝোল। এবং আজ দুপুরে মূরগী দিয়েই ভাত খেয়েছি। দেশী মূরগী।

১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: মাছের ঝোল' দারুন মুভি- আমার বেশ ভাল লেগেছিল!
তাহলেতো বেশ ঝোলে ঝোলে মিলে গেল :) দেশী মুরগির স্বাদ-ই আলাদা।

৩| ১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৪১

জুন বলেছেন: আপনার লেখায় সেই মুরগীর তরকারীর ঘ্রান নাকে এসে লাগলো শেরজা তপনয়। খুব সুন্দর ভাষায় লিখেছেন। আমি লঞ্চে বহুবার চড়েছি, তবে স্টিমার পি এস মাসুদে করে খুলনা বরিশাল হয়ে ঢাকা এসেছিলাম দু রাত একদিন। সেই অসাধারণ স্টিমার ভ্রমণ নিয়ে আমার লেখাও আছে ব্লগে। সেই দীর্ঘ স্টিমার ভ্রমণে খাওয়া দাওয়াও ছিল অসাধারণ।
মনে পরে অনেক ছোট বেলায় একবার ঢাকা থেকে দাদার বাড়ি গিয়েছিলাম। সেখান থেকে একদিন ছই আলা নৌকায় করে সারাদিন লাগিয়ে আড়িয়াল বিল পাড়ি দিয়ে আব্বার ফুপুর বাড়ি গিয়েছিলাম। দুপুরে মাঝি নদীর টাটকা মাছ আর মাটির পাতিলে ঘন ডাল রান্না করেছিল। কি যে তার স্বাদ সেই ছোট মুখে লেগেছিল যে আম্মা বহু বছর মাঝির ডাল রান্না করেছি বলে বলে আমাদের ভাত খাওয়াতো। ওদের হাতে মনে হয় যাদু থাকে, নাকি নদীর বাতাসে শ্রীকান্তের নতুনদার মত ঘন ঘন খিধে পায় আর যা খাই তাই ভালো লাগে B-)

১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: আমার দাদাবাড়ি দুর্গাপুর( গোপালগঞ্জ) আগে টেকেরহাট হয়ে লঞ্চে যেতে হোত। সেই ভ্রমনের সুখস্মৃতি এখনো মনকে দোলা দেয়।
আপনার মত আমারও কিছু নৌকা ভ্রমনের স্মৃতি আছে। গাঙ্গে জেলেদের সাথে তাজা ইলিশ ধরে খাবার স্মৃতি!
আমি লেপচা, রকেট, অষ্ট্রিচে বেশ কবার ভ্রমন করলেও একরাতের ভ্রমনই ছিল সবগুলো- তাই আপনারটা বেশী মজার। যদিও আমাদের সবগুলো ভ্রমন
ছিল বন্ধুদের সাথে :)

আপনার পুরনো লেখা নিয়ে একবার বসব।





অফ টপিকঃ আপনি কি ব্লগের কিছু ব্যাপার নিয়ে বিরক্ত?? আমি একটু অন্য ধারার পোষ্ট দিচ্ছি মনটা একটু ভাল করার জন্য- আপনিও দিন না কিছু।

৪| ১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সময়ের আগের গল্প, মনে আমার সময়ের আগের গল্প।
তাছাড়া ঐ পথের যাত্রীও ছিলামনা কখনো। তবে অস্ট্রিচ স্টিমারে চড়ে একবার ঢাকা থেকে মঙ্গলা পর্যন্ত গিয়ে ছিলাম। খাবার দাবারের কথা তেমন একটা মনে নেই।

১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ভায়া, বিষয়টা বেশ আগের তবে নতুন করে সামনে এসেছে।
আপনি যদি ইন্টারনেটে একটু সার্চ দেন তো দেখবেন এই কারি নিয়ে কত কেচ্ছা কাহিনী আর কত শত রেসিপি!!!
ঢাকা থেকে মংলা বেশ দীর্ঘ ভ্রমনের কাহিনী। মনে থাকলে ভাল হত- মরুভুমির জলদস্যুর জলের কাহিনী শুনতে পারতাম :)

৫| ১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কাহিনীতো মনে আছে। পথ দীর্ঘ হলেও মূল কাহিনী হচ্ছে আমাদের যাত্রার শুরু থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত। আমরা এসি কেবিনের যাত্রী ছিলাম। ওদের ডাইনিং-এ রাতের খাবার খেয়েছিলাম। স্বাদের কথা আহামরি কিছু মনে নেই, তবে দাম বোধহয় কিছুটা বেশী ছিলো। সেই সময় আমরা ছিলাম ইন্টার বা অনার্সের ছাত্র। ট্রিপ ছিলো সুন্দরবন পর্যন্ত বেরাবার।

১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: যেটুকু মনে আছে তাই দিয়ে কল্পনার মিশেলে কিছু মশলা দিলেই উত্তম পাঁক হবে।
আপনার মত ঝানু লেখকের সব কি মনে রাখবার প্রয়োজন আছে?
সেই সময়ে বন্ধুদের সাথে গিয়েছিলেন? তাহলেতো চরম জার্নি ছিল :)

৬| ১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭

জটিল ভাই বলেছেন:
আমারতো মনে হচ্ছে নদীর পানির কারিশমা :P
ভালো লাগলো :)

১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যারে ভাই- মুখ্য কথা কেউ বুঝল না! ভাগ্যিস আমার বাড়ি ছিল পদ্মার পাড়ে।
পদ্মার পানি দিয়েই তো ঝোল খেয়েছি হরদম :)

আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল। মাথা ঠান্ডা করে জটিলস কাহিনী আর বাণী ব্লগাইতে থাকেন

৭| ১০ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯

জটিল ভাই বলেছেন:
আপনার মতামত পাইয়া ধন্য হইলাম। কিন্তু চলমান অবস্থায় তা মানে এখানে লেখালেখি আর বুঝি সম্ভব হইলো না। যাই লেখি তাই কারো না কারো বিপক্ষে দাঁড় করায়া দেয় :( তাই এখন হইতে লেখা বাদ দিয়া বাকি লেখকদের সেবায় মলম বেচমু। ব্লগিং কইরা কে বড়লোক হইছে?
তারচাইতে মলম বেচলে নিরপেক্ষও থাকা যাইবো, আবার ইনকামও করা যাইবো =p~

১০ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: আরে ধুর মিয়া- ব্লগ না আপনার না আমার।
নিজের ভিতরে কিলবিল করা প্রতিভার চুলকানি সহ্য করতে না পেরে এখানে এসে বোলচাল ঝাড়ি আরকি!
আপনি ব্লগে না থাকলে- ব্লগের কিঞ্চিৎ ক্ষতি হবে কিন্তু আপনার হবে অপরিসীম! আপনার প্রতিভার সঠিক যাচাই বাছাই করার
জন্য ব্লগ ছাড়া আর কোন মাধ্যম নেই বলেই আমার ধারনা।
কে কখন থাকে না থাকে- কে কোথায় যাবে তার ঠিক আছে? মজা করেন, ফুর্তি করেন, রাগ করেন, ক্যাচাল করেন , মন খারাপ করেন কোন সমস্যা নাই- লেখা লেখি বন্ধ করলে নিজের ক্ষতি অপরিসীম। এই ক্ষতি নিরূপণ আপনি নিজে ছাড়া কেউ করতে পারবে না, নাভাই, বন্ধু, স্ত্রী, মা বাবা কেউ নয়।
ক্যাচাল যদি বন্ধ করতে পারেন তবে অতি উত্তম না পারলে সেইটা চলুক নিজের গতিতে লেখাও চলুক তার আপন ছন্দে।

৮| ১০ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই, খাবারের ছবি দিছেন,পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন এবং বর্ণনাও দিয়েছেন। সবই ঠিক আছে ।তয় একখান কথা। ইসব দেখে যে অভাবী মানুষের খাবার জন্য ইচছা জাগতে পারে অথচ খাইতে পারবেনা তাদের জন্য কোন কিছু লিখলেন না - ইডা কি ঠিক অইল? পার্সেলের ব্যবস্থা আছে কিনা জানবার মুনচায়?

আরিচা-দৌলতদিয়া ঘাটের ইলিশ ভাজা খেয়েছিনু - সে ব্যাপারে আর কি বলব? মুনচায় আবার খাইতে,তয় এখন আর সুযোগ হয়না। আর আপনার গোয়ালন্ধি ঘাটের মুরগীর ঝোল খাইতে নারায়ণগঞ্জ যাইতে হবে ,এই যা ।

আবার এইভাবে ও করতে পারেন, আপনি যেহেতু প্রায়ই ঐদিকে( নারায়ণগঞ্জ) যাতায়াত করেন আসার সময় নিয়ে আসলেন এই গরীবের জন্য আর যাওয়ার সময় রুপগঞ্জ থেকে মেলামাইরা (নিক্ষেপ করি ) বসুন্ধরায় ফেলে দিলেন আর আমি খাই আপনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করলাম। কাউকে খাওয়ানো কিন্তু :P পূণ্যের কাম ভাইজান।অনেক সওয়াব হাসিল হইব।

১০ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:১০

শেরজা তপন বলেছেন: আমিই শুধু সব কিছু করবেন আর আপনি শুধু খাইবেন না-কি!!!
আমার বাড়ি একদম আসল জায়গায়- যেখানকার ঝোল নিয়ে আজকের গল্প!
তবে এ অধ্মের আজ অবধি স্টিমার চিকেন কারির স্বাদ নেয়া হয়নিঃ)
জাহাজ চলাচল বন্ধ হবার সাথে সাথে হারিয়ে গেছে এই রেসিপি।

আমি আগে নিজে একবার চেখে দেখি তারপর না হয় মেলামাইরা আপনারে দিব ভাই।

রম্য ঢঙ্গে এমন সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ।

৯| ১০ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০

ইসিয়াক বলেছেন: ঝালে ঝোলে বেশ মজার।

পোস্টে ভালো লাগা।

শুভ কামনা রইলো।

১০ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:১২

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা - আলী সাহেব বলেছিলেন;
ঝাল লাগে
ভাল্লাগে...

নতুন রাধুনীদের জন্য তিনি একটা উপদেশ দিয়েছিলেন; বেশী করে লঙ্কা বাটা একটু বেশী লবন দিলে স্বাদ নিয়ে আর কেউ মাথা ঘামায় না :)

ভাল থাকবেন আপনিও

১০| ১০ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সেই সময়ে বন্ধুদের সাথে গিয়েছিলেন? তাহলেতো চরম জার্নি ছিল

জ্বী সেই সময়ের বন্ধরা, এই সময়েও তাই আছে। আমরা ৬ বন্ধু এখনো সেই প্রায় আগের মতোই আছি। কারো চুল কমেছে-কারো চুল সাদা হয়েছে। কারো ভুড়ি বেড়েছে, কারো প্রায় তেমনই আছে। বন্ধু্ব প্রায় সেই আগের যায়গাতেই আছে। একজন বাড্ডা ছেড়ে মিরপুরে চলে গেছে বলে, একজন ব্যবসায় ব্যস্ত আছে বলে, একজন ঝামেলায় পরে ঘরকোনো হয়ে গেছে বলে দেখা-আড্ডা একটু কম হয়। বাকি সব ঠিকই আছে।

১০ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:০১

শেরজা তপন বলেছেন: আহা রিয়েল ফ্রেন্ডশিপের বন্ধন চিরদিন অম্লান থাকে।
খানিকটা ভ্যাজাল হয় বিয়ের পরে :)

এখনো আড্ডা চলছে সেই ঢের। ভাল থাকুক আপনার বন্ধুরা- চিরদিন অটূট থাকুক আপনাদের বন্ধুত্ব

১১| ১০ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:০৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:

অস্ট্রিচ স্টিমারের সামনের ওপেন ডেকে আমরা ৬ জন। ছবিটা কে তুলে দিয়েছিলো এখন আর মনে নাই।

১০ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: মধ্যিখানে ঠ্যাং উচিয়ে বসে আছেন যিনি সেটা কি আপনি?

তখন মনে হয় কনিকা/ ফুজি/ কোডাক ১০০/২০০ ফিল্ম ব্যাবহার হোত?

১২| ১০ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই জাহাজ/ স্টিমার সার্ভিসের নাম রকেট সার্ভিস মনে হয়। বেশ কয়েকবার আসা যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। আমার আব্বার কাছেও এই সার্ভিসের প্রথম শ্রেণীর প্রশংসা শুনেছি। ব্রিটিশ আমল থেকে চলছে। এখন মনে হয় মুরগীর ঝোলে পদ্মার পানি দেয়া হয় না ফলে সেই স্বাদ আর পাওয়া যায় না। গাজী, টার্ন, পি এস মাসুদ, লেপচা সহ আরও কিছু স্টিমার কয়েক দশক আগে ছিল। এখনও বিআইডব্লিউটিসির স্টিমার সার্ভিস আছে। তবে স্টিমারের সংখ্যা মনে হয় কম।

১০ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ঠিক বলেছেন।
আমার বেশ কয়েকবার সৌভাগ্য হয়েছিল এর শেষ বেলায় প্থছমশ্রেনীতে ভ্রমনের। ততদিনে দেশী মুরগী তার আদি ঝোলের স্বাদ আর গন্ধ নিয়ে চিরতরে জাহাজের ডেক ছেড়ে ভেগেছে। বেশীরভাগ স্টিমার নষ্ট পড়ে আছে না হয় ভাসমান রেস্টুরেন্ট হিসেবে ভাড়া দেবার বন্দোবস্ত হয়েছে।

আমার ব্লগে ফের আসার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ

১৩| ১০ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব, আমি ঠিক করেছি আর ফার্ম বা কক মূরগী খাবো না।
দেশী মূরগী খাবো।
আমার মা বলেছে, বাবা দেশী মূরগীর ঝোল খেতেও অনেক মজা। ফার্ম টার্ম বাদ দে।

১০ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: বিয়ে বাড়িতে গেলে বাধ্য হয়ে কক বা সোনালিকা মুরগি খেতে হয়-তারপরেও চারপেয়ে থাকলে সেটা এভয়েড করি।

চেষ্টা করেছি কিন্তু ভক্তি আসেনা আর স্বাদ পাইনা।
আপনার আম্মা ঠিকই বলেছেন

১৪| ১০ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৮

কামাল১৮ বলেছেন: স্টিমারে ভ্রমন করতে করতে যখন প্রথম শুনলাম বরিশাল থেকে ঢাকা সরাসরি বাস চলছে আনিস পরিবহনের ।এটা খুব সম্ভব ৭৩ এর প্রথম দিকে।প্রথম দিনের ভ্রমনে কতো বার যে বাসথেকে নামতে উঠতে হয়েছে তার কোন হিসাব নাই।তাই আবার নদি পথে ফিরে গেলাম।খারাপ অভিক্ষতা আছে চরে স্টিমার আটকে যাওয়া। পরবর্তি জোয়ার না আসা পর্যন্ত নদির মাঝখানে আটকা পরে থাকতে হতো।আমার ভালো লাগতো স্টিমারের পুড়িং আর ভাগ্যকুলের দৈ ও মিষ্টি।অগণিত ভ্রমন করেছি ঢাকা খুলনা,ঢাকা বরিশাল এবং নারায়নগঞ্জ গোয়ালনন্দ।

১০ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার স্টিমার যাত্রার অভিজ্ঞতা অনেক পুরনো। বৃটিশ আমলের ভ্রমনের অল্প বিস্তর স্বাদ পেয়েছেন।

আমি কুয়াকাটা যেতে মনে হয় ৫টা কি ৬টা নদী পার হয়েছি।
চরে আটকানোর অভিজ্ঞতা বরাবরই তিক্তকর।
আমার ফেরিতে ওপার যেতে হয়- এখনো ফেরি আটকে যায় মাঝে মধ্যে
অনেক ধন্যবাদ কামাল ভাই আপনার মুল্যবান মন্তব্য ও অভিজ্ঞতা বয়ানের জন্য।
ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন

১৫| ১০ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:০৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখক বলেছেন: মধ্যিখানে ঠ্যাং উচিয়ে বসে আছেন যিনি সেটা কি আপনি?

তখন মনে হয় কনিকা/ ফুজি/ কোডাক ১০০/২০০ ফিল্ম ব্যাবহার হোত?


না, হয়নি।
আমি ছবির বাম পাশের প্রথমজন পায়ের উপর পা তুলে বসে আছি।
তখন ফিল্ম/রিল ক্যামেরার যুগ ছিলো। কার ভাগে কয়টা ছবি তা গুনে গুনে তুললাত।

১০ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:১৩

শেরজা তপন বলেছেন:
মাঝখানের দু'জনের একজন টার্গেট করেছিলাম- হুমায়ুন আহমেদের টেকনিক!
একটু মনমরা লাগছিল বলে তার কথা বলিনি। :)
ডেভলপের কতই না ঝক্কি ছিল!!!

১৬| ১০ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:২৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: বরিশালে ৬ বছর থাকলেও কখনো স্টীমারে যাতায়াত করা হয় নি।তবে নিয়মিতই লঞ্চে যাতায়াত করেছি। লঞ্চের খাবারের স্বাদ একটু অন্যরকম ভালো। আর খাবারের দামও দ্বিগুণ।

১০ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: কি ভ্রাতা এত দেরিতে দর্শন পেলাম যে?
ব্যাস্ততা বেড়েছে বেশ বোঝা যায়-

স্টিমারের টিকেট পাওয়াটা বেশ কঠিন ছিল- বিশেষ করে উপরের শ্রেণীর। বি আই ডাব্লিউ টি সির একজন সচীব আমার বেশ
ঘনিষ্ঠজন থাকায় টিকেট পেতে তেমন কোন সমস্যা হয়নি।
আপনি কি ইচ্ছে করে ফেরিতে ওঠেননি? তাহলে মিস করেছেন...

১৭| ১০ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৫৫

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আমার জন্য লঞ্চে যাতায়াত সুবিধার ছিলো। তাই লঞ্চেই যাতায়াত করেছি বেশি। স্টীমারে সময় অনেক বেশি লাগে। বাসে যাতায়াত করার সময় মাওয়ার ফেরীগুলোতে যাতায়াত করেছি। সেখানকার খাবারের স্বাদও ভালো ছিলো একটা সময়ে বিশেষ করে তেলে ভাজা ইলিশ মাছের। কিছুদিন আগে গিয়ে খেয়ে বুঝতে পারলাম না কী খাচ্ছি!! কোনো স্বাদ নেই। ঘ্রাণ তো দূরের কথা।

একটু ব্যস্ত আছি। তবে ব্লগে ঢু মারা হয়। খুঁজে খুঁজে পোস্ট পড়ি। এমনিতেও আমার বিচরণের ক্ষেত্র খুবই কম।সব পোস্টে কমেন্টও করতে পারি না জ্ঞানের অভাবে।তার ওপর ব্লগে ঢুকেই ক্যাচাল পোস্ট দেখে একটু হতাশ লাগে। একটু পরে আসবো চিন্তা করে বের হয়ে যাই।কিন্তু আর আসা হয় না। আমি কমেন্ট না করলেও ব্লগে আছি।

১১ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:০২

শেরজা তপন বলেছেন: এক সময়ে লঞ্চের খাবারও মজাদার ছিল- ঠিক বলেছেন এখন আর সেই স্বাদ নাই।
সবাই জোচ্চুরি করে!
সংসার থাকলে যেমন ঝগড়াঝাটি হয় তেমন ব্লগেও এইসব ক্যাচাল অতি মামুলি। সব ঠিক ঠাক হয়ে যাবে।
ভাল বলেছেন ; আপনার জ্ঞানের অভাব!!! তাইলেতো আমাদের নাই-ই
ভাল থাকুন আর বেশী বেশী পোষ্ট দিন( মন্তব্যও ) :)


ঘাটের ভাষা নিয়ে সম্ভব হলে এই লেখাটা পড়বেন;
https://www.somewhereinblog.net/blog/sherzatapon/28977113

১৮| ১১ ই জুন, ২০২১ রাত ১:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

গোয়ালন্দ ঘাটে মুরগীর ঝোল খাইনি
তবে ইলিশের ঝোল চেখে দেখেছি খানিকটা।
খানিকটা বললাম এই কারণে যে পরিবেশনকারী
বয় বাবুর্চী গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছে বলে তাড়া দিয়ে অর্থেক
খাবার রেখেই ছুটতে হতো। এটা নাকি তাদের ব্যব্সায়িক
ফন্দি !!

১১ ই জুন, ২০২১ সকাল ৮:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ সেতো অনেক আগের কথা নুর ভাই।
এটা কি দৌলতদিয়ার ঘটনা নাকি -গোয়ালন্দ ঘাটের?
ঘাটের লোকেরা ধুরন্ধর ও চাপাবাজ হয়! জ্বী এইটাই ওদের ব্যাবসার স্টাইল, মাফ করে দিয়েন।

আমি নিজেই খাই নাই আপনি কি খাবেন :)
যদি সময় পান 'ঘাট' নিয়ে আমার বেশ পুরনো একটা লেখা পারলে পড়বেন;

Click This Link

১৯| ১১ ই জুন, ২০২১ রাত ১:৪৪

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: সুস্বাদু উপাদেয় লেখাটি পড়ে এখন ঐ রাননাটি খেতে ইচ্ছে করছে।

আসলে কি জানেন আমার মতে বংগ দেশীয় স্টাইলের খাবার ই উপমহাদেশের বেষ্ট । আজকে আমার এক সাউথ ইন্ডিয়ানের বাড়ি দাওয়াত খেলাম ডিমেরঝোল আর মাছের ঝোল। নাঊজুবিললাহ ।
আর কখনো ঐ দেশী খাবারের ধারে কাছে যাবো না ।

১১ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: বহুদিন বাদে মনে হয় আমার ব্লগে আপনাকে পেলাম!!
বড় আনন্দিত হলাম
লেখাটার অকুন্ঠ প্রশংশা করার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!
সাউথ ইন্ডিয়ান রান্নার কথা আর বলবেন না- তাও ডিমের ঝোল!!!

দোসা-ফোসা ইডলি তাও খাওয়া যায়। ভাত ঝোল তেমন :(

ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন নিরন্তর

২০| ১১ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

শাহ আজিজ বলেছেন: ১৯৭২ সালের নভেম্বরের ১ তারিখে জাতীয় সাতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গাজী রকেটে খুলনা - ঢাকা চড়ে ভ্রমন করলাম । রাতে কি খেয়েছিলাম মনে নেই । তবে ফেরার সময় নতুন জাহাজে চড়ে পরদিন ভোরে সুন্দরবনের দৃশ্য দেখতে দেখতে ঢুকে গেলাম ডাইনিঙে । ক্ষুধা পেয়েছে খুব । পাউরুটির স্যান্ডউইচ দেখে খেতে ইচ্ছে করল , দাম ১ টাকা চার আনা । প্রথম খেলাম জীবনে । কাচের জানালা দিয়ে সুন্দরবনের অপূর্ব দৃশ্য দেখা গেল । তবে আপনার বর্ণিত মুরগির ঝোল খাওয়া হয়নি । আরিচার পারাপার লঞ্চে ইলিশ , মুরগি খেয়েছি , ভাল লেগেছে তবে গ্রামে চাচির রান্নার মত নয় । আমাদের রান্নার মুল বিষয় ছিল পাটায় বাটা মশলা দিয়ে মুরগির ঝোল । সম্ভবত ওই শুটকি বাটা দেওয়াতে ঝোলের স্বাদ ভাল হয়েছে ।

ভাল লাগলো লেখা ।

১১ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি তাহলে জাতীয় পর্যায়ের সাতারু ছিলেন-এটা জানতাম না! সাতারুদের দেহের গড়ন বেশ পেটা হয়- সম্ভবত আপনারও তেমন ছিল।
১টাকা ৪ আনা স্যান্ডুইচের দাম!!! ভাবা যায়?
আপনি অনেক অভজ্ঞতায় ঋদ্ধ- আপনার স্মৃতিচারন ভাল লাগে।

গোয়ালন্দের মানুষ তাজা মাছ খেয়ে অভ্যাস্ত! তারা শুঁটকি মাছ পছন্দও করে না রান্না করতেও জানেনা সে জন্য মাংসে শুটকি মাছের বাটা দেয়ার কথা জেনে আমি কিছুটা বিস্মিত! এমন হবার সম্ভাবনা কম- তবে বিক্রমপুরের ছোঁয়া থাকতে পারে।
আমাদের ওখানে শোল মাছের মত কিছু মাছ কেটে লবন হলুদ দিয়ে তারে গেঁথে রোদে শুকিয়ে শুঁটকি বানায়- সেটার স্বাদ গন্ধ বাজারে কেনা শুঁটকির মত নয় মোটেও।
আপনার চাচীর হাতের মুরগীর মাংস নিশ্চিতভাবে তেমন স্বাদ হবে বোঝা যাচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনার মন্তব্য ও কিছু স্মৃতিকথা শেয়ার করার জন্য- ভাল থাকুন

২১| ১১ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার সব সময় বি আই ডব্লিউ টি এ এর যে সকল জাহাজ আছে, তাদের খাবার ভালো লাগে। আমি রকেট স্টিমারের খাবারের ফ্যান। বিশেষ করে তাদের একটা মুরগীর মাংস রান্না হয়, যেমনটা আপনি বললেন, সেটা অমৃত!!!

আরেকবার আমি এমভি বারো আউলিয়া নামক একটা জাহাজে করে হাতিয়া যাচ্ছিলাম। আহা!! সে কি অপুর্ব খাওয়া!!! কি অপুর্ব স্বাদের মুরগীর মাংস!! স্বাদ এখনও মুখে লেগে আছে।

১১ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: বি আই ডাব্লিউ টি এ এর জাহাজগুলোর খাবার সবসময়ই স্বুসাদু ছিল।
আমার অভিজ্ঞতা খুব বেশী দিনের পুরনো নয়। জাহাজে যাত্রা শুরু হয়েছিল নব্বুয়ের দশকে।
এ বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা আমার থেকে অনেক বেশী কাভা ভাই।
বারো আউলিয়া জাহাজের নাম শুধু শুনেই ছিলাম - এখনো কি সেটা ওপথে যাতায়াত করে?
ওই জাহাজের খাবারের গল্প শুনে আমি বেশ উত্তেজিত- খাইতে মন চাচ্ছে! হয়তো গোয়ালন্দী জাহাজের মুরগির ঝোলের আদি স্বাদ এখনো সেখানেই লুকিয়ে আছে।

আপনাকে পেয়ে ভীষন আনন্দিত হলাম! ভাল থাকুন -সুস্থ্য থাকুন নিরন্তর!

২২| ১১ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭

জুন বলেছেন: খাবারের বর্ননা নেই আমার লেখায় কিন্ত খুলনা থেকে ঢাকা স্টিমার ভ্রমন আছে :)
চোখ বুলাতে পারেন শেরজা তপন, আশাকরি খারাপ লাগবে না ।
স্টিমারে ভ্রমন

১১ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: পড়েছি- মন্তব্যও করে এসেছি।

ধন্যবাদ লেখাটা শেয়ার করবার জন্য। ভাল থাকুন

২৩| ১১ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৬

আরইউ বলেছেন:



জাহাজের রান্না কখনো খাইনি, অদুর ভবিষ্যতে খাবার সুযোগ হবে বলে মনে হয়না। দেশী মুরগীর সালুন খেয়েছি কতকাল হয়ে গেল--শেষ কবে মনে নেই। তবে একদম মাটির চুলোয় রান্না করা সামান্য তেল আর দুই এক পদের মশলা দেওয়া সাদামাটা দেশী মুরগীর ঝোল আর সাথে সাদা ভাত বা খিচুরী। একবাটি ঝোল, তেমন রং নেই, তেল ভাসছে না, পাতে মাংস পরেছে মাত্র দু' এক টুকরা, তাও আবার হাঁড়। কিন্তু, সেই খাবারের যে কী স্বাদ-কী গন্ধ; আহ! কি যে অসাধারণ। সঙতকারণেই এখন আমার ডায়েট খুব রেস্ট্রিকটেড এবং বোরিং। অন্যরা শুনলে হয়ত মুচকি হাসবে।

আমার টিপিকাল দিনের (বছরের ৯৫ ভাগ সময়ই সম্ভবত) খাবার রুটিন এমনঃ
-- সকালের নাস্তা ৪ টা খেজুঁর [বড় সাইজের], ২ টা কলা, একগ্লাস ঘরে বানানো জুস।
-- দুপুরের খাবার বড় এক বাটি সালাদ (ঘাস লতা-পাতা), ২ টা ডিম, এক সার্ভিং বাদাম, ২ সার্ভিং ফল, ডার্ক চকোলেট (৪ টা কিউব)। কখনো কখনো একটা রুটি থাকতে পারে।
-- রাতের খাবার এক বাটি ওটস (ফুলক্রিম দুধে সেদ্ধ) ও ফল, সাধারণত কোন এক পদের মাছ। কখনো কখনো স্বাদ পাল্টাতে ল্যাম্ব মিট খাওয়া হয়।

খাবার নিয়ে আমি অ্যাডভেন্চারাস নই। ঐ যে বললাম সঙতকারণে সেট ডায়েটের বাইরে খুব একটা যাওয়া হয়না বা যেতে পারিনা! দু' একবার শখ করে পাফিন ট্রাই করে দেখেছিলাম -- খুব একটা মন্দ লাগেনি। তিমি মাছের স্টেক ট্রাই করেছি -- মোটামুটি। আমি যেখানে থাকি সেখানে এক ধরণের ফার্মেন্টেড শার্ক পাওয়া যায়, খুবই ট্র‌েডিসনাল ডিশ -- চেষ্টা করেছ একবার; খুব একটা মন্দ না, তবে সল্টি বিধায় একবারই চেষ্টা করেছি।

১১ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:১০

শেরজা তপন বলেছেন: এতো ভীষন বোরিং ডায়েট ভাই।
যেখানে সাত দিনে সাত পদের তরকারি না হলে আমাদের মুখে রুচে না সেখানে দিনের পর দিন এই খাবার!!!
সকালের খাবারের মেন্যুটা তাও চলন সই- দুপুরে ওই খাবার ... নাহ হইল না :(
আপনার জন্য আমার গভীর সমবেদনা। সবকিছুর উর্দ্ধে আমরা বেঁচে আছি এইতো ঢের

যেহেতু মাছ খাবার বারন নয়, সেজন্য টুনা, স্যামন, শার্ডিন হালকা ভেজে পাতলা ঝোল করে রুটির সাথে খেতে পারেন।
শার্ক আর পাঙ্গাস একই স্বাদের। তাজা শার্ক পেলে মন্দ হয় না।
সেই জাহাজ এখন আর নেই- ভ্রমনে কষ্ট বাড়বে। কোন এক সময় ছিল গরম ভাতে সালুন হলেই প্লেট সাবাড়।

* আপনাকে একটা অনুরোধ করি; আমি নিশ্চিত আপনার অভিজ্ঞতার ভান্ডার দারুন পুর্ন। আপনি চাইলে আমাদের অনেক অজানা তথ্য, গল্প, নিবন্ধ উপহার দিতে পারেন। দয়া করে কিছু লিখুন

২৪| ১১ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,





আপনার এলেখা যখন পড়ে মন্তব্য করছি ততোক্ষনে " মুরগীর ঝোল" ব্লগাররা চেটেপুটে শেষ করে ফেলেছেন! আমার ভাগে যা রইলো তা দিয়েই শুরু করি-
লঞ্চের তুলনায় ষ্টিমার সার্ভিস যেমন গাজী, অস্ট্রিচ, লেপচা, মোহমন্দ ইত্যাদির খাবারের স্বাদই ছিলো আলাদা। খুলনা থেকে ঢাকা যাওয়ার ফিরতি পথে এসব ষ্টিমার বরিশাল ঘাটে রাত ৮টার দিকে ১ ঘন্টা ষ্টপেজ দিতো। আমরা প্রায়ই খাবার লোভে রাতে সেখানে খেতে যেতুম দল বেঁধে। গরুর মাংশ বা স্মোকড হিলসার স্বাদ মুখে লেগে থাকতো কয়েক দিন। এই অপূর্ব স্বাদ হতো পীট কয়লায় রান্না হতো বলে কারন অনেক আগে ষ্টিমার চলতো ঐ কয়লা পুড়িয়েই। ডিজেল ইঞ্জিন লেগেছে পরে। তখন এদের খাবারের স্বাদ আর আগের মতো ছিলোনা।

স্মৃতি কাতর করে দিলেন...............

১১ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: ভাই আহমেদ জী এস- বহুদিন বাদে আমার ব্লগে আপনাকে দেখে আনন্দে আপ্লুত হলাম!
বেশ মজা করে শুরু করলেন- 'মুরগীর ঝোল' ব্লগাররা চেটেপুটে শেষ করে ফেলেছেন :)

পিট কয়লার ব্যাপারটা আমার মাথায় এসেছিল একবার- কিন্তু বিশেষত এটা যখন মাঝি- মাল্লাদের রান্না সেহেতু শুরুটা হয়ে ছিল সম্ভবত লাকড়ির চুলা দিয়ে। পরে সম্ভবত জাহাজে গিয়েজাতে উঠে কয়লায় পুড়েছে।
আপনি কি বরিশালে ঘাটের বাইরে এই খাবার খেয়েছেন? ওরা কি পিট কয়লায় রান্না করত?

এখন এ রান্নার ৪টা রুলস ফলো করতে হবে; ১। পেষা বা বাটা মসলা ২। খাটি দেশী মুরগি( রাতা মুরগি) ৩। পিট কয়লায় রান্না আর আবশ্যক ৪। :) পদ্মার এক ঘটি জল।
আপনাকে মাঝে মধ্যে আমার ব্লগে পাব বলে আশা রাখছি। ভাল থাকুন

২৫| ১২ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬

আরইউ বলেছেন:



হ্যা, চরম মাত্রায় বোরিং! কিন্তু, সহ্য হয়ে গেছে, সমস্যা হয়না। বরং রুটিনের বাইরে গেলেই ঝামেলা।

আমি "তাঁজা" শার্ক খেয়েছি। শার্ক কেউ খেতে চাইলে আপনি যে বলেছেন "তাঁজা" শার্ক সেই "তাঁজা"টাই হলো কিওয়ার্ড। বেশি সময় হয়ে গেলে শার্ক থেকে এমোনিয়ার গন্ধ আসে।

মাছ ঝোল-ঝাল করে রান্না করি মাঝে মাঝে। কিন্তু আমার করা ঝোলা আর ঐ ঝোল কী আর এক হয়!! আমার মনে আছে অনেক আগে গ্রামে ছোট পাঁচমিশালী মাছ (পুঁটি, খলশে, ছোট টাকি, চিংড়ি, টেংরা, কাইকলা এসব) হালকা লবন, সামান্য গুড়ো হলুদ আর মরিচ, আর একটু তেল দিয়ে কলা পাতায় রান্না করেছিলেন আমার কোন এক আত্মীয়। আমার জীবনে কোন মাছ খেয়ে আমি এত স্বাদ পায়নি যেটা পেয়েছিলাম সেদিন। আমি নিজে ঐ রান্না রেপ্লিকেট করার চেষ্টা করেছি অন্য বিভিন্ন ধরণের ছোট মাছ দিয়ে। কিন্তু মিঠাপানির মাছ আর সাগরের মাছতো আর এক না।

কখনো সময় হলে লেখার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ!

১২ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: আহা! আপনার জন্য সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কি উপায় বলুন
ওই খাবারটার নাম সম্ভবত 'পাতুরি' ! আমিও খেয়েছি- তবে সেজন্য একদম টাটকা মাছ, পেষা মশল্লা আর লাকড়ি অথবা কয়লার
চুলা লাগবে। এর সবগুলো একসময় গ্রামে আপনাতেই মিলত বলে মুল্যহীন ছিল।

হ্যা দুটো মাছে স্বাদ সম্পূর্ন ভিন্ন। নদীর মাছের একটা গন্ধ আছে যা সাগরের মাছে মিলে না।
আপনি কি শোল মাছের 'দোসসা' খেয়েছেন কখনো কিংবা টাকি মাছ ছেঁচা দিয়ে কলাই শাক? এমন আরো অনেক চরমতম সুস্বাদু
কোর বাঙ্গালীয় মজার খাবার আমাদের বাঙ্গালীদের জীবন থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে।

ফের আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আবার লেখার অনুরোধ রইল

২৬| ১২ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৪৯

আরইউ বলেছেন:



**২৪ এর জবাব দেখলাম। হ্যা, পাটায় বাটা মসলা; আমার মন্তব্যে ভুলে গুড়ো হলুদ-মরিচ লিখেছি।

১২ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী তেমনটাই হবার কথা

২৭| ১৩ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:৪১

কল্পদ্রুম বলেছেন: নদীপথের পরিবেশও হয়তো রুচির উপর প্রভাব ফেলে।

১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ৮:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ভাল একটা পয়েন্ট ধরেছেন। নদীর বাতাসে খিদে লাগে বেশ :)
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।
ভাল থাকুন

২৮| ৩০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৪০

অশুভ বলেছেন: দেরী করে দেখা দিলাম সেজন্য আগেই ক্ষমাপ্রার্থী। :)

আমি মোটামুটি ভোজন রসিক। গল্প-উপন্যাস পড়ার সময় খাবারের বর্ণনা থাকলে জীভে জল এসে যায়। আপনার মুরগীর ঝোলের আর্টিকেল পড়ে আমাদের গ্রামের মুরগীর ছালুনের কথা মনে পড়ে গেল। সেই ছালুনের বৈশিষ্ঠও ছিল সরিষার তেল আর অল্প মসলা দিয়ে রান্না করা। আমি মাঝে-মাঝে রান্না নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করি। অধিকাংশ এক্সপেরিমেন্টের রেজাল্টই খাওয়ার অযোগ্য।

ভোজন বিষয়ক রচনায় ভাল লাগা।

৩০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: এই মুরগীর ঝোল দেখে অনেকে লোভ সামলাতে পারেনি- আপনি এসেছেন শেষ বেলায়!
সব চেটেপুটে খাওয়া শেষ :)

- অনেকদিন কোন খবর না পেয়ে~আপনার ওপাড়ায় যাব ভাবছিলাম!

চেষ্টা চালিয়ে যান একদিন শিখে যাবেন। একটু বেশী লবন আর শুকনো লঙ্কা দিবেন- অন্য স্বাদ টের পাবেনা কেউ(মুজতবা আলীর ফর্মুলা)

খুব ভাল লাগল আপনাকে পেয়ে।
*তবে কোন নতুন লেখা কি দিবেন শীঘ্রই- সে গত বছরের আগষ্টে দিয়েছিলেন- তারপর আর খবর নাই???

২৯| ৩০ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার তো এব্যাপারে শূন্য অভিজ্ঞতা :(
নদীর পানিতে রান্নার স্বাদ এখন কিভাবে যে অর্জন করি !!
আমার পাশাপাশি যে ভদ্রলোক বসবাস করেন উনাকে বললাম মনের খবর । পাল্টা যে লুক দিয়েছে তাতে আপাতত এই ইচ্ছে চাপা পরে গেছে। তবে মাথায় যখন এসছে ঠেকায় কে !!

৩০ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ
ভদ্রলোকের এখন পাগল হওয়া বাকি আছে- পাশে এমন্ ধারার সরসিক, ক্ষ্যাপাটে, গোঁয়ার রমনী থাকলে ওইসব লুক ফুক দিয়ে
কাজ হবেনা - কালকেই পাঠান পদ্মার একঘটি জল আনতে। সেটা যেন আবার যমুনা থেকে না আনে :)

রান্না খেয়ে জানাবেন? ওহ আউশ চালের গরম ভাত লাগবে কিন্তু। তবে কেউ বলেনি সেটা আউশ না কাটারিভোগ ছিল তবে সে
এলাকায় একসময় সবাই আউশ চালের ভাত খেত।

৩০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:০০

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার স্টিমার বা বি আই ডাব্লিউ ডি এর খাবার খাওয়া হয় নাই কিন্তু একবার মাওয়া রুটের ভি আই পি ফেরিতে সিম্পল ডাল ভাত আর আইড় মাছের একটা ম্যানু খাবার সুযোগ হয়েছিলো । আমার মনে হচ্ছিলো ওই ফেরিতেই থেকে যাই খাবারের লোভে। এতো স্বাদ যে কি করে এরা করে আল্লাহ মালুম। এর পর আমি এমন স্বাদের খাবার খাই নাই বা পাই নাই।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: নদী পথে ভ্রমনের সময়ে খাবার স্বাদ বেশী লাগে বলে মনে হয়।
সম্ভবত নদীর বাতাস স্বাদ বর্ধককারী ও ক্ষুধা উদ্রেগকারী। আমিও যে কবার খেয়েছি ব্যাপক স্বাদ পেয়েছি।
আমরা একসময় গয়নার নৌকা করে পদ্মায় পিকনিক করতাম। কোন চরে নেমে সিম্পল খিচুরি আর ইলিশের ঝোল রান্না করে নদীতে ঘুরতে ঘুরতে নৌকায় বসে খেতাম। আপনার মত সেই স্বাদ ভোলবার নয়।
পদ্মায় ইলিশ ধরার নৌকায় মাটির হাড়িতে আউস চালের ফেনা ফেনা ভাত আর শুধু হলুদ পেয়াজ আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে টাটকা ইলিশের ঝোলে একবার যে খাবে সে মনে রাখবে আজীবন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভ্রাতা।

৩১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:২৭

শায়মা বলেছেন: বাপরে!!

মাংসের মধ্যে মাছ! তাও আবার শুটকি মাছ!!! গেছি!

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: খেয়ে দেখবেন সেইরকম স্বাদ! সব রথী মহারথীরা এর প্রশংসা করে গেছেন।
আমিও অবশ্য এটা কখনো খাই নি :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.