নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
আমি সাধারনত কোন লেখা রি-পোস্ট করি না। এই লেখাটা ১২ বছর আগে সামুতে পোষ্ট করেছিলাম। সে সময়ের মন্তব্যকারী একজন ব্লগারও ব্লগে আর নিয়মিত নন। ভীষন অনিয়মিত প্রিয় 'জুলভার্ন' ছাড়া আর সবাই হারিয়ে গেছেন। আমার খুব প্রিয় একটা লেখা-ফের পোস্ট দিচ্ছি;
ওই কাইল্যা শোন, স্টিশনে গিয়া কুলি নিয়া আয়। মুলায় নিস। পোকরে কইছি হাইত্যা ফুটি নিবে-আরচ্যা ফুটির বেশী দিবি না।
দুজন হোটেলের কর্মচারির কথপোকথন। আপনি কি পুরোপুরি বুঝেছেন ওরা নিজেদের মধ্যে কি কথা বলা বলি করছে? সম্ভবত বেশীর ভাগ লোকই বুঝতে পারবেনা এই ভাষা। এটা ওদের নিজেদের উদ্ভাবিত।
সবাই প্রায় মুখ্য সুখ্য ওরা, বেশিরভাগই নিজের নামটাও লিখতে পারেনা। এক'শ টাকাকে গোনে পাঁচ কুড়ি ভাগ করে।
বখে যাওয়া,অবিভাবকহীন,ঘর পালানো ছেলেগুলো ভাগ্যান্বেষনে ঘুরতে ঘুরতে এই ঘাটে এসে বসতি গড়ে। কারো হয়তো খোঁজ নেবার কেউ নেই- কেউ হয়তো ইচ্ছে করে নাম পরিচিতি ভাড়ায়। মাছ অথবা সব্জি বোঝাই ট্রাকের তাবুর উপর চড়ে কেউবা বাসের ছাদের রেলিং আকড়ে দুয়েকজন হেল্পার ড্রাইভারের হাতে পায় ধরে ~গলা ধাক্কা খেয়ে কিংবা ফুট ফরমায়েশ খেটে বিনে পয়সায় এখানে এসে জুটেছে।
প্রথম কদিন ছন্নের মত এদিক ওদিক ঘুরে চেয়ে চিন্তে এক আধ পেট খেয়ে ফেরির পল্টুনে স্টেশনে কিংবা সিরিয়ালে থাকা ট্রাকের পেটের নীচে রাত কাটায়।
দু’দিনেই ফন্দি ফিকির ছোট খাট চুরি-চামারি বাটপারি শিখে যায়। এদের মধ্যে বোকা-সোকার সংখ্যা নগন্য।বেশীর ভাগই দুরন্ত ও বুদ্ধিমান! দুয়েকজন ঘাটের দালালদের হেল্পার হয় প্রথমে। চাঁপাবাজি আর ভুজুং ভাজং এর যোগ্যতা থাকলে দু-য়েক বছরেই পুরোদস্তুর দালাল হয়। দু-য়েকজন হয় মলম বা গাছ গাছড়া বিক্রেতা কেউবা গাঁট কাটে বা মুট বয় কেউ হয় হোটেলের বয় বেয়ারা।
ঘাট বড় খারাপ জায়গারে বাপ! বারোয়াড়ি বাটপারের আড্ডা ওখানটায়। ছোট খাট ছল চাতুরি তো আছেই একটু বেতাল হলেই সর্বশান্ত হওয়া বিচিত্র নয়। যাত্রীরা তাই ভয়ে ভয়ে থাকে। দালালদের শত প্রলোভন এড়িয়ে চলে। তবুও অনেক চতুর যাত্রীও ধরা খায়, হর হামেশাই।
পেশা ভিন্ন হলেও জোটবদ্ধ ওরা সবাই-বিচিত্র ভাষায় কথা বলে।একদম নিরীহ চেহারার আড়ালেও একটু শয়তানী লুকিয়ে থাকে। তবে ওদের বন্ধু হল মাস্টার,সারেঙ, সুকানী,বাস-ট্রাক ড্রাইভার, ঘাটের সুপারভাইজার,পুলিশ আর পতিতা। এদের সাথে ছল চাতুরি প্রায় করেনা বললেই চলে। তবে দুয়েকজন থাকে ছন্ন ছাড়া। তাদের অপরাধের কোন বাপ-মা নাই। সুযোগ পেলেই ব্যাস! তাই ঘাড়ানি কিংবা নলী ছোটা (মাইরের রকমফের) ওদের ভাগ্যেই জোটে বেশী।(শুনেছি ওরা নাকি পুলিশ জি আর পি’র ও পকেট কাটত!)
আর নামের কি ছিড়ি ওদের! বাপ দাদার আকিকা দেওয়া নামের উপর অনেক পুরু ময়লা জমে কেউ হয় কাইল্যা কেউ ট্যাবলেট কেউ নুনজান কিংবা মাইনক্যা আর বুলেট- বন্দুক- টায়ার- টিউব তো আছেই। সিনিয়র কিংবা পালের গোদাদের নামের আগে পরে গুরু কমন।খিস্তি খেউড় ওদের মুখে খইয়ের মত ফোটে।
একসময়ের বিখ্যাত রেল ও স্টিমার ঘাট পরবর্তীতে স্টিমার বিলুপ্ত হয়ে ফেরি লঞ্চঘাট। সেই গোয়ালন্দী জাহাজের কথা কত বিখ্যাত লেখকের লেখাতেই না পাওয়া যায়। এখান থেকে ট্রেন যেত সরাসরি পশ্চিম বঙ্গের শিলিগুড়িতে। সেই শিলিগুরি ট্রেন তার পুরোনো নাম নিয়ে এই সেদিনও টিকে ছিল।য দিও তার চলার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃস্ট হয়েছিল অনেক আগেই।
সেদিনের সেই দুরন্ত কৃর্তিনাশা পদ্মা নাব্যতা হারানোয় বিখ্যাত সেই ঘাটও উজান বেয়ে চলে এসেছে দৌলতদিয়ায়। ঘাট তার রুপ লাবন্য আদি ঠিকানা হারিয়েছে, সেই সাথে দালালরা হারিয়েছে তাদের স্বকীয়তা।
আমি বলছি সেই আশির দশকের কথা!
বহু পথ জার্নি করে আসা যাত্রীরা জাহাজ ফেরি কিংবা লঞ্চ থেকে নেমে যখন ছুটছে স্টেশনের পানে ট্রেন ধরার উদ্দেশ্যে-অনেকেই জানেনা ট্রেন কখন ছাড়বে। স্টেশন-ও সবাই চিনতনা। আনাড়ির মত দিকভ্রান্ত হয়ে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করত আর একে তাকে ধরে জিজ্ঞেস করত ট্রেন কখন আসবে? সেই সযোগে কুলিরা ট্রেন এখুনি ছাড়বে বলে তাড়াহুড়ো করে মুটে নিয়ে কয়েকগুন পয়সা কামিয়ে নিত। সামনে কুলির মাথায় মাল দিয়ে যখন মিয়া বিবি পরিজন নিয়ে উর্ধশ্বাসে ছুটছে তখনি পথ রোধ করে দাড়াত হোটেলের দালালরা। কুলির সাথে কথা হত সেই সাঙ্কতিক ভাষায়!
যত্রীর পথ আটকে বলত কই দৌড়ায় যান ছার- টেরেনতো এহনো আসে নাই। যাত্রীরা থমকে গিয়ে হতভম্ব হয়ে জিজ্ঞস করত ‘তার মানে?’
মানে ওইটা হইল মাল গাড়ির ইঞ্জিনের হুইসেল! ওই ব্যাটা ভাবছিল আপনার টেরেনের!
কুলি তখন কাঁচুমাচু হয়ে দুঃখ প্রকাশ করত। কিন্তু ভাড়ায় ছাড় দিতনা এক পয়সা। হোটেলের সেই দালাল তাদের হোটেলের গুন কীর্তন করে কোনক্রমে ভিতরে সেঁধিয়ে বেয়ারার হাতে বুঝিয়ে দিয়েই আরেকজন ধুর পোক(বোকা কাস্টমার) ধরার উদ্দশ্যে বেরিয়ে পড়ত।
ট্রেনের হুইসেলেরও রকমফের আছে। ইঞ্জিন সানটিঙ(ট্রেনের বগি পরিবর্তন কিংবা ইঞ্জিনের দিক পরিবর্তন)এর হুইসেল একরকম ট্রেন ছাড়ার হুইসেল অন্যরকম। ট্রেন ছাড়ার আগে ফলস্ হুইসেল বাজে যা যাত্রীদের সতর্ক করে বা সংকেত দেয় ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে এসেছে। ওদিকে সিগন্যালে আটকে গেলে( স্থানীয় লোকদের মুখে এই শব্দটা কখনো আমি শুদ্ধ ভাষায় শুনিনি-কেউ বলে সিনগেল কেউবা সিংগ্যাল বলে। ছোট বেলায় এই ধরনের অশুদ্ধ শব্দ শুনতে শুনতে আমারও ধারনা হয়েছিল এইটে সিনগেলই হবে।) হুইসেলের ধ্বনি পাল্টে যায়;
অনেকটা টেলিগ্রামের টরে টক্কা টক টক টক্কার মত -যা আমাদের মত অজ্ঞদের কানে একই রকম ধ্বনি মনে হলেও অভিজ্ঞরা এ ধ্বনির মর্ম বোঝেন। আবার চলন্ত পথে চালক বিপদের আভাস পেলে অন্যস্বরে হুইসেল বাজায়। ট্রেন লাইনচ্যুত হলেও হুইসেল বাজে আর্ত কন্ঠে , আমাকে বাঁচাও বাঁচাও বলে!
রেল স্টেশনের অদুরে আমার বাড়ি থাকায় ছোট বেলা থেকেই এমন ধারার ভিন্ন ভিন্ন ধারায় হুইসেলের শব্দ শুনেই চোখ বুজে বলে দিতে পারতাম রেল গাড়ির হাল-হকিকত। কোথাও যেতে হলে ট্রেনের সেই সানটিঙ এর হুইসেল শুনে বাড়ি থেকে বের হতাম।
ক্লান্ত ক্ষুধার্ত যাত্রী যখন ট্রেন ছাড়তে দেরী হবে ভেবে আয়েস করে হাত মুখ ধুয়ে বহুদিন বাদে পদ্মার টাটকা ইলিশের স্বাদ নেবে বলে খেতে বসে গরম গরম ঝোল সবে পাতে ঢেলেছে ঠিক তখুনি বেজে উঠল হুইসেল- আর বেয়ারার তখুনি তারস্বরে চিৎকার- 'ছার টেরেন ছাইড়া গেল!'
- হায় হায় একি অলুক্ষনে কথা? শালার ট্রেন ছাড়ার আর সময় পেলনা। টাটকা ইলিশের গরম ঝোলের স্বাদ ভুলে যাত্রীরা তখন লাফিয়ে উঠে হুমড়ি খেয়ে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করত। হাত ধুবে না ব্যাগ গোছাবে নাকি সব ফেলে ট্রেন ধরতে ছুটবে এই নিয়ে দিশেহারা? কিন্তু বিপত্তি বাঁধত অন্যখানে- বেরুনোর মুখেই বেয়ারা গিয়ে পথ আগলে দাড়াত।
-ছার খাওয়ার টাকা?
যাত্রী তখন ভুলে গেছে কি খেয়েছে কি খায়নি! বড় নোট দিলে ভাংতি নাই- ছোট নোট গুনতে গেলে ট্রেন হারানোর ভয়! বিলের টাকা কোন মতে তার হাতে গুজে দিয়ে পড়ি-মড়ি করে স্টেশনে গিয়ে দেখে ট্রেন নেই।
হায় হায় এখন কি হবে? হতাশ ক্লান্ত দিশেহারা যাত্রীরা তখন হাতের কাছে যাকে পায় তাকেই ধরে বলে ভাইজান ট্রেন কি চলে গেছে। পুংটা কেউ হলে তাকে আরো ঘাবড়ে দেয়। কিন্তু সহৃদজন হাসতে হাসতে বলে, নারে ভাই ট্রেন ছাড়তে এখনো অনেক দেরি- কেবল সানটিঙ করতেছে। যাত্রীদের তখন ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ত-ভাবত বেয়ারা হয়তো ভুল করেছে।
এমনি কত ধরনের জোচ্চুরি বাটপারি জালিয়াতি হত প্রতি দিন।
সব হোটেল মালিক আর সব বয় বেয়ারা দালালরা যে খারাপ ছিল তা কিন্তু নয়। দু-চারজনতো অবশ্যই ভাল ছিল।
বলছিলাম এদের ভাষা নিয়ে। সেই ভাগ্যান্বষনে বের হওয়া মুখ্য সুখ্য পোড় খাওয়া মানুষগুলো নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করার জন্য উদ্ভাবন করেছিল নতুন নিজস্ব এক ভাষার। এমন কিছু শব্দ তারা ব্যাবহার করত যা বোঝার সাধ্যি বাইরের কারো ছিলনা- শুধু তাইনা এর পরিবর্তন হত দ্রুত। একই শব্দ বেশীদিন ব্যাবহারের ফলে এর গুঢ় অর্থ বুঝে ফেলা ধুর্তদের অসম্ভব নয়। অনেকেই যাত্রীদের কৃপাদৃষ্টি লাভের আশায় কিংবা হৃদ্যতা গড়ে তোলার বাসনায় গোমড় ফাঁস করে দিত।
ছোটবেলায় শোনা সেই ভাষার অনেকটাই ভুলে গেছি আজ। মনে আছে অল্প কিছু শব্দ। ভুলভ্রান্তি হতেই পারে-তাই ত্রুটি মার্জনীয়।
আম দালালেরা ব্যাবহার করত প্রচলিত কিছু শব্দ! যেমন ‘পুরুষ যাত্রী’কে বলত-পোক, মেয়ে যাত্রীকে-ভাতি, টাকাকে-ফুটি। কেউ সর্বস্বান্ত হলে বলত- ‘মালে হুপড়ি খাইছে’ এমনি আরো কত-শত শব্দ ছিল তাদের অভিধানে। দুই টাকাকে বলত- দয়লা ফুটি, চারকে-আইরচ্য, পাঁচকে- হাইত্যা।
তবে বুদ্ধিমান বা চাল্লু ভাষাবিদ দালালেরা ছিল এক কাঠি সরেস। তারা কথা বলত কখনো ভাষাকে উল্টে পাল্টে আন্ধা কুন্দা ব্যাবচ্ছেদ করে, যেমন ‘উইতু ওইকো এছিল্যগ্যা?’ এমন কথা শুনে মনে হত বিজাতীয় ভাষা। প্রথমে খটকা লাগলেও একটু বুদ্ধি খাটালে মর্মদ্ধার করা সম্ভব-মুল শব্দ গুলোকে উল্টে ফেলে স্বর বর্ণের কিছু অতিরিক্ত ব্যাবহার হয়েছে! উইতু-তুই –বাকি শব্দ গুলো আলাদা করে কয়েকবার উচ্চারন করলেই আসল কথা বেরিয়ে আসবে! কিন্তু মুল ব্যাপার হচ্ছে এর অতিদ্রুত ব্যাবহার আর বোঝার ক্ষমতা। সেইখানেই ছিল ওদের এক্সট্রা অর্ডিনারি বুদ্ধিমত্বা!
এত দ্রুত ওরা এই ভাষায় কথা গুলো বলত যে অতি বুদ্ধিমানরাও হকচকিয়ে যেত! পাঠক তুমি এইটে বুঝে ফেললে কি হবে ওদের ঝুলিতে আরো অনেক কারিশমা ছিল। একই সাথে দুজনের কথপোকথন হত এই ভাবে,
‘আলেরমা আথেসা আতিভাডা ওসজো’এর উত্তরে ‘স্লেইরম, ইলামার ল্লোল প্লড়তেছে।‘‘শব্দার্থ শোভন নয় তাই পাঠকের হাতে ছেড়ে দিলাম এর মর্ম উদ্ধারের ভার।
সেই আগের দিন আর নেই। ঘাট মরে গেছে। সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থা হয়েছে অনেক উন্নত- সেই সাথে মান নেমে গেছে আমাদের বি আর বা বাংলাদেশ রেলওয়ের। এখন আর কেউ পঞ্চাশ মাইল পথ পেরুতে দিন কাবার করেনা। নদীগুলো শুকিয়ে গেছে-কিংবা এর দু পারের দৈর্ঘ্য কমে গেছে। ব্রিজ হয়ে গেছে অনেকখানেই বাকিগুলো হবে হবে করছে। ব্যাবসার এই আকালে দালারেরা ভিন্ন পেশায় চলে গেছে।
তবু একসময়ের প্রমত্ত পদ্মা পাড়ের ক্লান্ত বিধ্বস্ত রুগ্ন সেই ঘাটের বাতাসে এখনো ভেসে বেড়ায় দেশের সুদুর প্রান্ত থেকে ভাগ্যান্বেষনে আসা ঘর পালানো একগুয়ে চতুর-চঞ্চল সদাহাস্য একদল তরুনদের উদ্ভাবিত ভাষার টুকরো শব্দগুলি।
০৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় কামাল ভাই।
ভাল থাকুন -সুন্দর থাকুন, সুস্থ্য থাকুন!
২| ০৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই বিষয়ে আপনার ভালো অভিজ্ঞতা আছে মনে হচ্ছে। অনেক কিছু জানলাম। লেখার স্টাইল খুব ভালো ছিল।
০৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: অভিজ্ঞতা আছে দেখেই এতটা বক বক করলাম
বরাবরের মত সাথে থাকার জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা!
ভাল থাকুন- সুস্থ থাকুন।
৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০০
জুন বলেছেন: অজানা এক জগতে নিয়ে গেলেন যেন শেরজা তপন , ভারী সুন্দর করে লিখেছেন ঘাটের চালচিত্র । সেই সাথে সেই দুর্ভাগা ছেলেগুলোর কথা যারা নিয়তির কাছে আত্মসমর্পন করে ঘাটে এসে হাজির হয়েছে। অনেক ভালোলাগা রইলো।
উইতু উছিলুর মতন স্টাইলটা আমরাও ব্যাবহার করতাম ছোটবেলায় এমন কারো সামনে যাকে আমরা বুঝতে দিতে চাইতাম না যে আমরা কি প্ল্যান করছি । আর আমাদের বেশিরভাগ প্ল্যান থাকতো লুকিয়ে তাকে আচার বা বড়ই কিনে খাওয়া টাইপ
আমাদের জীবনের একটি সময় কেটেছে স্টেশনের আশেপাশে তাই এখনো ট্রেনের হুইসেল শুনলে বুকটা হু হু করে উঠে।
+
০৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: এই পোস্ট যখন প্রথমবার করেছিলাম -তখন আপনি ছিলেন কোথা?
ব্লগের লেডি ইবনে বতুতার এ বিষয়ে যে, একটু আধটু অভিজ্ঞতা থাকবে সেটা আগেই ভেবেছিলাম
আমরাও বলতাম- কিন্তু ওদের মত এত ফ্লুয়েন্টলি বলতে পারতাম না- এর উপরে ওরা প্রায় সবাই ছিল প্রায় ব কলম!
তাদের উল্টা পাল্টা এমন ভাষার দক্ষতা নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত ছিল।
আহারে কতদিন শুনিনা শেষ রাতে সেই ট্রেনের হুইসেল! জীবন থেকে এভাবেই একসময় অনেক ভাললাগার বিষয়গুলো হারিয়ে যায়
ফের ধন্যবাদ আপু আপনাকে এমন চমৎকার মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন নিরন্তর!
৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ঘাটের শব্দ বিশারদকে আন্তরিক
অভিনন্দন। গোয়ালন্দের হোটেলের
খাওয়া নিয়ে আমারও তিক্ত অভিজ্ঞতা
আছে, তবে সেটা ট্রেনের যুগ নয় বাসের
সময়কালের কথা! ধন্যবাদ আপনাকে পুরানো
কথা স্মরণ করিয়ে দেবার জন্য।
০৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ লজ্জা দিলেন ভাই!!
আমি যেটুকু জানি সেটা যৎকিঞ্চিত।
গোজামিল আর রিফু দিয়ে চালিয়ে দিলাম আরকি
বাসের যুগ শুরু হবার সাথে সাথে সেই বুদ্ধিমান ছেলে গুলোও হারিয়ে গেছে।
আপনার অভিজ্ঞতা একদিন বয়ান করবেন।
ভাল থাকুন-সুন্দর থাকুন প্রিয় নুরু ভাই।
৫| ০৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভাল লাগলো লেখাটা।
ছোটবেলায় আমরা কয়েক বন্ধু শব্দ ঊল্টে কথা বলতাম।
এই ভাষায় আমরা অনর্গল কথা বলতে পারতাম।
০৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: এই নিয়ে কত মজা করেছি- ওদের টেকনিকটা ধরতে পারলেই রাতারাতি তারা স্টাইল পালটে ফেলত!
এই ভাষার একটা সুবিধা ছিল - বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষাভাষী লোকদের এক ভাষায় এক সুতোয় গেঁথে রাখত!
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
৬| ০৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৪
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ভাষার গল্প পড়ে ভালো লাগলো। ভাষার এই ঐতিহ্য একেবারে মিলিয়ে যায় নি। ট্রেনের জায়গায় বাস এসেছে। এদের ভাষায়ও বিবর্তন এসেছে। যে অংশটুকু পাঠকের জন্য রেখে দিয়েছেন সেটার মানে আমি বুঝতে পেরেছি। আমার সর্বশেষ লেখাটার সাথে এর মিল আছে। মাওয়া-কাওড়াকান্দি রুটের ফেরিঘাটে হোটেলওয়ালাদের বাটপারি সম্পর্কিত আমার একটা অভিজ্ঞতা আছে।
০৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ তমাল ভাই, আপনাকে পেয়ে দারুন প্রীত হলাম!
আপনার সেই লেখাটায় আমি মন্তব্য করেছিলাম মনে হয়।
হতে পারে -সেই পথ ছেড়ে এগিয়ে গেছি অনেক দুর। নাড়ির বন্ধন আলগা হয়ে গেছে।
মাওয়ার সেই গল্পটা কি বলেছেন? স্মরণে আসছে না!!!
বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন- সুস্থ্য থাকুন সব সময়...
৭| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০২
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: না ভাই। আমি মাওয়ার গল্প বলি নি।
০৬ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:২১
শেরজা তপন বলেছেন: তাহলে আপনার মাওয়া ঘাট নিয়ে লেখার অপেক্ষায় রইলাম...
৮| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:১৮
নীল আকাশ বলেছেন: আরিচা, গোয়ালন্দ, নগরবাড়ি ঘাটেও খাবার খেতে বসলে এই ঘটনা ঘটাতো। নিজের চোখেই আমি অনেকবার দেখেছি।
জুলভার্ন ভাই ভালোই আছে। ব্লগের বাইরেও নিশ্চয় যোগাযোগ আছে?
০৬ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:২০
শেরজা তপন বলেছেন: নাহ জুলভার্ন- ভাই এর সাথে আমার ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ নেই। তবে তার ব্যাপারে জানার আগ্রহ আছে
গত কয়েকদিন আগে আমার এক সুহৃদ ফোন করে বলল, জুলভার্নের তার মাঝে যোগাযোগ হয়েছিল। আচমকা তিনি যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন নাকি। আমি জানতাম না যে তিনি ২০০৮ সাল থেকে ক্যান্সারে ভুগছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে তিনি ও তার স্ত্রী চাকুরি হারিয়ে ভীষণ দুরবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।
আপনার অভিজ্ঞতা শোনার ইচ্ছে রইল।
ভাল থাকুন ভাই- অনেক ধন্যবাদ
৯| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: আমি তখন অনেক ছোট ছিলাম। হাই স্কুলে পড়তাম। যমুনা ব্রীজ করে ফেলার পর আর এইসব দৃশ্য দেখা হয় নি। প্রায় ২৭ / ২৮ বছর আগের কথা।
আচ্ছা ঠিক আছে, দেখি পুরাতন স্মৃতি মনে করে লেখা যায় নাকি।
সুন্দর প্রতিমন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
০৬ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ আগের কথা!
আমার গল্পটা আরেকটু আগের! যখন গোয়ালন্দে ঘাট ছিল! ঘাট দৌলতদিয়া চলে যাবার পড়ে সবকিছু পালটে গেছে
এত পুরনো স্মৃতি মনে করা বেশ কষ্টের!
তারপরেও দেখুন- আমরা অন্যরকম কিছু জানতে পারব- লিখলে লিঙ্ক দিয়েন। অনেক পোস্ট-ই মিস হয়ে যায়।
ভাল থকুন
১০| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:২৪
ইসিয়াক বলেছেন:
ফেরিঘাটে মাছভাত খেতে গিয়ে ক্ষিদে পেটে সব ফেলে বিল মিটিয়ে দৌড় মারার অভিজ্ঞতা আছে। তবে একবার আমার এক নিকট আত্নীয়র কান্ড দেখে কদিন ধরে আমরা হেসেই অস্থির হয়েছিলাম।
তিনি তার কেনা ভাত মাছ টিফিন বক্সে ভরে এনেছিলেন। সামান্য তো মাছ ভাত। তবে তিনি এমনটা হতে পারে ভেবে যাত্রা পথে টিফিন বক্স নিয়ে রাখতেন। হা হা হা।
শুভ কামনা রইলো প্রিয় ব্লগার।
০৬ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: এটা বেশ দারুন আইডিয়া ছিল
পছন্দ হৈসে!
অনেক ধন্যবাদ কবি ভাই আপনার মন্তব্য ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
ভাল থাকুন-সাবধানে থাকুন।
১১| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: যুগেযুগে কালেকালে এমন সাংকেতিক ভাষা সব পরিবেশ আর সমাজেই প্রচলিত আছে বলে মনে হয়। জুন আপুর মত স্কুলে দেখেছি বুদ্ধিমতী দের এমন ভাষায় কথা বলতে, মর্ম উদ্ধার তো খুব বেশি ঝামেলার ছিল না। কিন্তু আমার কখনো ওভাবে কথা বলা হয় নি।
পেছনের বেঞ্চের অকাল পক্কদের কথা বলাই বাহুল্য!
আমি ফুল
একটি ফুল
ছেলে ফুল
ভালো ফুল
বাসি ফুল
তার ফুল
নাম ফুল
সাগর ফুল।
আমাদের এলাকার এক জনপ্রিয় শাড়ির দোকানে গেলে অমন অনেক মজা দেখতাম। উনারা চার ভাই মিলে দোকান চালাতেন সবচেয়ে বড় ভাই ছিলেন হাসিমুখ এবং সরল মুখের। উনার দায়িত্ব ছিল শহরের বাইরে থেকে আগতদের ম্যানেজ করা বেশির ভাগ সময়। এমন গল্প জুরে দিতেন আবার কনফার্ম করার জন্য জিজ্ঞেস করতেন মালিক কে জিজ্ঞেস কর তো দেয়া যাবে কিনা। কতশত চাতুরী। এক ক্রেতা শাড়ির দাম পরিশোধ করার পর ৫ টাকা ফেরত পাবেন , উনি ক্যাশে আগেই বলে দিলেন টেন টিক দিয়েন আর জোরে বললেন দাম টা রেখে বাকি টাকা দেন। ক্যাশ থেকে ১০ টাকা আসার পর বললেন দেখছেন আপনার কপালে ছিল তাই দশ ই আসলো, দিয়ে যখন ফেলেছে আর ফেরত নিবো না, কেনা দামে দিলাম।
বাংলাদেশ, ভারত , সিঙ্গাপুর , দুবাই সব পার্লারে ই দেখেছি এটেন্ডেন্টরা নিজেদের ভাষায় কথা বলে সবাই এক দেশ বা এক জাতি না হয়ে ও।
সুতরাং এমন রমরমা ঘাটের যে নিজস্ব ভাষা থাকবে সে তো বলাই বাহুল্য, তবে আপনার অভিজ্ঞতার বর্ণনায় আমাদের ও সেটুকু জানা হল। না হয় হয়ত কোনদিন ও জানতাম না এ ভাষার ব্যবহার।
ছোটবেলায় লঞ্চে ছুটিতে গ্রামে যেতাম, বাস জার্নি ও ছিল তবে ঐ যে ঢাকা টু মুনশিগঞ্জ । ট্রেনের অভিজ্ঞতা একেবারেই ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে মাঝে মাঝে নারায়ণগঞ্জ টু কমলাপুর করেছি ট্রেনে খুব বেশি না। তাই ট্রেনের হুইসেল বা শব্দের ঝিকঝিক বই তে পড়া অভিজ্ঞতা ই ছিল বরাবর। এবারে দেশে থিতু হবার পর যে বাসায় উঠেছি ব্যালকনি থেকে এয়ারপোর্ট ট্রেন স্টেশন স্পষ্ট দেখা যায়। এ অভিজ্ঞতা সত্যি ই আলাদা অন্য রকম অপার্থিব! বিশেষ করে ঝুম বৃষ্টিতে যখন বাঁশি বাজিয়ে ট্রেন আসে বা যায়। আর এইটুকু ছোট স্টেশনের ও ভাষা আছে বুঝতে পারি দূর থেকে দেখে। যদিও শুনতে পাই না কিন্তু ছিন্নমূল শিশু, ভাতের হোটেল ট্যাক্সি সি এন জি।
আপনার অভিজ্ঞতায় ভালোলাগা।
০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০০
শেরজা তপন বলেছেন: তা এই সাগরটা কে শুনি??? এটা কোন কবির কাজ- মহিলা কবি নিশ্চিত
মন্তব্যের প্রথম অংশে দারুন লিখেছেন- পুরো লেখায় আস্ত একটা পোষ্ট হয়ে যেত!!
শাড়ির দোকানের গল্পটা/ বৈদেশের গল্প আর আপনার নারায়নগঞ্জ টু কমলাপুরের স্মৃতিকথা পড়ে ভাল লাগল।
আপনার পর্যবেক্ষন ক্ষমতার আলাদা করে প্রশংসা করতেই হয়।
এমন দারুন মনোগ্রাহী মন্তব্যে আমারও ভাললাগা। ভাল থাকুন -সাবধানে থাকুন
১২| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১০
সোহানী বলেছেন: অসাধারন লিখেন আপনি। সবাই এতো সুন্দর মন্তব্য করেছে যে আমি আর বেশী কিছু লিখার সাহস পেলাম না।
০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: দারুন অনুপ্রাণিত হলাম!
আপনি ভাল আছেন তো? কানাডার সমস্যা নিয়ে অনেক ব্লগারই আপনাকে নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিল( মন্তব্য যখন করেছেন তখন সহি
সালামতে আছেন বলে ভেবে নিচ্ছি)।
আপনার মনের কথাগুলো লিখলে আরেকটু ভাল লাগত- কত ভাল লিখেন আপনি।
ভাল থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ
১৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪০
জটিল ভাই বলেছেন:
মনে হচ্ছে আগেও পড়েছি। তবুও নতুন করে পড়ে ভালোই লাগলো
০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: এক যুগ আগে কি ছিলেন আপনি সামুতে- নাকি পড়ে পড়েছেন?
ফের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনার মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকবেন
১৪| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৫
জটিল ভাই বলেছেন:
এক দশক আগে ছিলাম। তখন যাঁদের আর্কাইভস ঘাটতাম তাঁদের মাঝে আপনিও একজন। জটিলবাদ
০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০২
শেরজা তপন বলেছেন: আহাহা কি সৌভাগ্য আমার! বেশ প্রীত হলাম জেনে প্রিয় ভ্রাতা
আপনার সৌভাগ্যময় কল্যান কামনা করছি।
১৫| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:১৯
ঢুকিচেপা বলেছেন: গল্প শুরুর পর তিন নম্বর বাক্য যখন পড়ি তখন মনে হলো এমন কঠিন শব্দ হলে বুঝবো কিভাবে ?
এরপর গোয়ালন্দী জাহাজের মতো একটানে পড়ে গেলাম।
রেল স্টেশন, বন্দর, বর্ডার এলাকাতে টাউট শ্রেণীর লোকজনের আনাগোনা বেশি।
লেখাটা রিপোস্ট করে ভালো করেছেন, সুন্দর একটা লেখা পড়া হলো।
০৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:২২
শেরজা তপন বলেছেন: তাও ভাল ভয় পেয়ে পড়া বন্ধ করে দেননি! না হলে এত সুন্দর একটা মন্তব্য মিস করতাম
উতসাহব্যাঞ্জক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। এ শ্রেণীর আরো কিছু লেখা আছে রিপোস্ট করব কি না ভাবছি?
পরে আবার কেউ কেউ না বলেন হার্ড ড্রাইভ খালি হয়ে গেছে
ভাল থাকুন নিরন্তর
১৬| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:৫১
নতুন বলেছেন: একবার আমার এক বন্ধুর জন্য বাসস্টান্ডে অনেক ক্ষন অপেক্ষা করছিলাম। বসে বসে মানুষ কি করে সেটা দেখছিলাম।
সেইদিন একটা জিনিস উপল্ভধি করেছি । পথের মানুষদের জীবনের খুবই অল্প কয়েক মিনিট আমরা সবাই দেখি। আমাদের থেকে তাদের জীবন সম্র্পন আলাদা।
০৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: তাতো বটেই একটু চোখ কান খোলা রাখলে বোঝা যায়-
আপাত দৃষ্টিতে ওদের জীবনটা খুব বেশী একঘেয়ে মনে হলেও বাস্তব কিন্তু ভিন্ন!
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য সুপ্রিয় নতুন- ভাল থাকুন,সুন্দর থাকুন।
১৭| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৪
ঢুকিচেপা বলেছেন: এ শ্রেণীর আরো কিছু লেখা আছে রিপোস্ট করব কি না ভাবছি?
খুঁজে খুঁজে পড়তে হলে সময় বেশি লাগবে তারচেয়ে রিপোস্ট করেন।
০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১০
শেরজা তপন বলেছেন: চেষ্টা করব- কিন্তু হাতে যে লেখা জমে আছে সেগুলোর কি হবে???
কেউ কেউ পরে বলবে- হার্ড ডিস্ক খালি হয়ে গেছে
ফের আসার জন্য ফের ধন্যবাদ।
১৮| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৫
ঢুকিচেপা বলেছেন: ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার জন্য যেমন ২টা লাইন থাকে একটা পুরুষ একটা মহিলা।
৩ জন পুরুষের পর ১জন মহিলা টাকা জমা দিতে পারে। তেমনি হাতে যা আছে সেগুলো জমা দিতে থাকুন শুধু মাঝে মাঝে রিপোস্ট করবেন।
০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: দুঃখিত দেরিতে উত্তর দেবার জন্য।
চেষ্টা করব- আপনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকবেন
১৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫৩
মেহবুবা বলেছেন: এই লেখাটা মনে হয় আগে পড়েছিলাম ।
এক সময়ে ব্লগে এমন অনেক পোষ্ট আসতো !
রবীন্দ্রনাথকে অনুভব করবার একটা পোষ্ট এবং রুস্কাইয়া না এ ধরনের কি শব্দ ছিল একটা শিরোনামে সে সব মনে পড়ছে আপনার নাম দেখে।
১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ঠিক ধরেছেন;
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- এক অন্যরকম অনুভুতি!
রুস্কাইয়া ব্লুদা
কাগতা তো-ভ রাশিয়া..... এইসব
দুয়েকটাতে মনে হয় আপনার মন্তব্যো আছে।
অনেক ধন্যবাদ আপু সেসব দিনের কথা মনে রাখার জন্য। ভাল থাকুন
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৯
কামাল১৮ বলেছেন: অনেক মজার লেখা।পড়ে আনন্দ পেলাম।