নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
অন্য এক রুশ গ্রীষ্মের ছুটিতে –আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধু আনিস তার সদ্য বিবাহিত রুশ রমণী আর বন্ধুর চেয়েও আপন শিক্ষিত শেফার্ড কুকুরকে নিয়ে যাবে দাচা'য় বা গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপনের জন্য গ্রামের বাড়িতে। মস্কো থেকে বেশ খানিকটা দুরে জানা অজানা গাছ গাছালি আর বুনো ফলের ঝোঁপে ঢাকা ছোট্ট হ্রদের পারে সুদৃশ্য ছিমছাম কাঠের তৈরি দোতলা তাদের সেই অবকাশ নিকুঞ্জ।
বিয়ের পরে ওদের আর হানিমুন করা হয়ে ওঠেনি। এই গ্রীষ্মে নিজেদের মত করে সেই নির্জনে উপভোগ করবে বলে আর যায়নি কোথাও। সারা শীতকাল জুড়ে শুয়ে বসে থেকে কুকুরটার তেজী শরীরে এসেছে জড়তা- শিথিলতা।
এই সুযোগে ওকেও দাবড়িয়ে তেজী করতে হবে। সারাদিন ঘুরে ঘুরে তাজা মাশরুম কুড়াবে, হ্রদের জলে মাছ ধরবে আর তীব্র রোদে শরীর পোড়াতে রোদ্র স্নান। আহা কি উপভোগ্যই হবেনা ওদের মধুচন্দ্রিমার দিনগুলি।
চারিদিকে চোর ডাকাতের যে উপদ্রব! সেখানে তার শহরের সেই সু-সজ্জিত নীচতলার ফ্লাটখানা খালি রেখে যেতে মন সায় দেয়না।
আমি ঝাড়া হাত-পায়ের লোক,না ঘরকা না ঘাটকা। বিয়ে করিনি –বান্ধবীও নেই একখানা! গাঁও গেরামে নেই বাড়ি। শহরই একমাত্র ঠাঁই। পুরোপুরি এতিম/অনাথ বাস্তু-ভিটা-হীন বলা চলে।
বন্ধু এসে বেশ খানিক্ষন ভদ্রতা করে ‘দয়া’ করে শব্দখানা জুড়ে বলল,থাকতে পারবা? মাত্র তো পনের/বিশ দিনের ব্যাপার!
আমার আর কি-নিজের ফ্লাটে বা বন্ধুর বাসায় থাকা একই কথা। রাতটুকু শুধু ঘুমানো। সারাদিন-তো বাইরে টো টো করে ঘুরব। গ্রীষ্মে পাগল আর রোগী ছাড়া কেউ ঘরে বসে থাকেনা।
বন্ধু আমার যাবার বেলায় ফ্রিজ ভর্তি করে খাবার দিয়ে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে গেল। তখন মোবাইল ফোনের দৌরাত্ম তেমন শুরু হয়নি-তার দাচা’তে কোন ল্যান্ড ফোন ছিল না। অতএব পনের বিশ দিন বাদে ফের দেখা হবে কথা হবে বলে সে বিদায় নিল।
রান্না ঘর সহ তিনখানা রুম। আমার ছোট্ট ফ্লাটে থাকি দুইজনে শেয়ার করে। আর এখানে শুধু আমি একা।
আঃ হাত পা ছড়িয়ে হেসে খেলে যাবে কয়দিন!
সকালে ঘুম থেকে উঠেই বিদেয় নিল আনিস। আর আমি রইলাম পাহারাদার হিসেবে।
কাজ থাকলে সাধারণত সকাল দশটার দিকে বাইরে বের হই। গ্রীষ্মের বেশ বড় ছুটি। শহর খালি হয়ে গেছে। কাজকর্ম নেই বিশেষ। যেতেই আরেক দফা ঘুম দিলাম। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে রেডি করলাম নিজেকে। আমার মতই এমন অভাগা একগোছা বন্ধুদের নিয়ে ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে কোন এক লেকের পাড়ে বসে বিয়ার আর মুরগি চিবাবো বলে বের হতে চাইলাম।
বাড়ির দরজা জানালা ভাল করে চেক করে ও যেখানটায় বাইরের দরজার চাবি রাখে সেখানটায় হাত দিয়েই চমকে উঠলাম-চাবি নেই সেখানে! নেইতো নেই!! সারা বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম। আমার জামা কাপড় থেকে শুরু করে ওর দেরাজ কপাটও হাতড়ালাম। কোথাও নেই।
মুল প্রবেশ দ্বারখানা আবার সেইরকম! চোর দস্যুর ভয়ে-স্টিল কাঠ ফোম আর পি ইউ দিয়ে এমন কারিশমা করে বানানো যে হাতি ঠেললেও ভাঙতে পারবেনা। এমন ধারা দরজা একখানা না মুখোমুখি দুইখানা। মনে হয় বাড়ির থেকে দরজার দাম বেশী! বাইরে বেরুতে চাইলে ভিতর থেকেও চাবি ঘোরাতে হয়। এ দুখানা দরজা খুলে বেরুলেই রক্ষে নেই- সবার জন্য কমন একটা লোহার দরজারও ব্যবস্থা আছে। আমি নব্য আগত অপরিচিত আরেকজনের কাছে চাবি আনতে গেলে সন্দেহ হওয়াটা খুব বেশী স্বাভাবিক।
এখন আমি কি করি। ভীষণ পেরেশানিতে আের। ওদিকে আবহাওয়া আচমকা দ্রুত পাল্টাতে শুরু করল শীত এখনো পুরোপুরি কাটেনি-আবহাওয়া ঠাণ্ডা। তার উপরে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে! এর মধ্যেও আমি ঘামছি!
তখন মোবাইলের যুগ শুরু হলেও সেটা বড় মহার্ঘ্য! অতি ক্রুতোই লোকের হাতেই শোভা পায় সাধারণের দর্শনীয় সে বস্তুখানা!
আনিস যেখানে গেছে –মোবাইলের নেটওয়ার্ক তো দুরের কথা ল্যান্ডফোন তক নেই। কোন মতেই তার ফিরে আসার আগে যোগাযোগ করা সম্ভব নয়।
একবার দুবার তিনবার সারা বাড়ির সম্ভাব্য অসম্ভাব্য সবখানেই খুঁজলাম- কমোড বাথটব কিছুই বাদ দিলাম না। অযথা পণ্ডশ্রম!!!
রিল্যাক্স –রিল্যাক্স! নিজেকে নিজে সান্ত্বনা দিচ্ছি; কিছু একটা উপায় হবে।
মাথা থেকে সব দুঃচিন্তা ঝেড়ে ফেলে রান্না বান্নায় মনোনিবেশ করলাম! গরুর মাংস পাতা কপি দিয়ে কশালাম সাথে ভাতের থেকে ভাল হবে মাখন লেপটে দেয়া বাতোনের( এক ধরনের পাউরুটি) মোলায়েম টোষ্ট!
বাইরে রোদ বৃষ্টির খেলা চলছে। যে ঠাণ্ডা পড়েছে এই অসময়ে ফের বরফ পড়ে কি-না কে জানে। মাত্র তো
আমি আয়েশ করে খেয়ে দেয়ে খানিক বিশ্রাম নিয়ে বিকেল নাগাদ বন্ধু ও পরিচিতদের কাছে রসিয়ে আমার এই আইসোলেশোনের গপ্পো করার জন্য ল্যান্ড ফোনের রিসিভারটা কানে ঠেকাতেই ভয়ানক শক খেলাম!! কোন শব্দ নেই- সে পুরোপুরি মৃত!
বাইরের পৃথিবীর সাথে এখন আমার যোগাযোগ প্রায় বন্ধ। আমি চিৎকার চেঁচামেচি করলে পাশের ফ্লাটের কারো কানে যাবার সম্ভাবনা কম। জানালা খুলে চেঁচালে মাত্র ৫০ মিটার দুরের আরেকখানা ইজদানিয়ের(বড় দালান) কেউ শুনবে বলে মনে হয় না!
টেনশনে আমার হাত পা অসাড় হয়ে এল! রাত নেমে এল ঝুপ করে- টেনশনে শুধু পায়চারী করছি আর আকথা-কুকথা ভাবছি!
রাতের খাবার বহু কষ্টে গলঃধকরন করে- বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছি। একটু তন্দ্রা এলেই ভয়ংকর সব স্বপ্ন দেখে জেগে উঠি।
বাইরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে- এপাশ ও পাশ করে তন্দ্রা আধা ঘুম জাগরণে ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের মাঝে কেটে গেল আমার আইসোলেশনের প্রথম রাত্রি।
সকালটা কেটে গেল বেশ ভাল মতন। ঘরের মধ্যে, হাঁটাহাঁটি করলাম-হালকা ব্যায়াম করলাম! দীর্ঘ সময় ধরে পদ্মাসনে বসে ধ্যান (ভুয়া) করার চেষ্টা করলাম। এরপরে ধীরে সুস্থে নাস্তা বানালাম- মাখন আর গোল মরিচের গুড়ো দিয়ে এক দমে আলু ভাজি, খেলেব( কালো পাউরুটি),স্লাইস সালামী আর কফি দিয়ে প্রাতরাশ সারলাম। তারপর খানিকক্ষণ বই-পত্র ঘাটাঘাটি আর টিভি দেখা। সকাল বেলায় রুশ চ্যানেলগুলোতে সব একঘেয়ে ক্লান্তিকর অনুষ্ঠান চলত তখন।
এগারটা বাজতেই ভেতরের অস্থিরতা টের পেলাম- বাইরে বেরিতে হবে। বন্ধুরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে...
কিছুতেই মন বসছিল না। শুরু করলাম এ রুম থেকে ও রুমে পায়চারী। টিভিতে একঘেয়ে অনুষ্ঠানের ঘ্যানর ঘ্যানর বিরক্তি ধরাচ্ছে।
মাঝে মধ্যে টেলিফোনের রিসিভার উঠিয়ে কানে ঠেকাচ্ছি- রিং-টোন শোনা যায় কিনা?
পায়চারীর ফাঁকেই লক্ষ্য করলাম আনিসের বেডরুমের ডিভানের পাশের ছোট্ট টেবিলটার উপরে এক তোড়া কাগজ আর একটা খাপ খোলা বল পয়েন্ট।
আনিসের গিন্নি তখন জার্নালিজমে পড়ছিল সম্ভবত। প্রচুর লেখালেখি করত সে। সে-ই সম্ভবত সেখানে রেখে গেছে ওখানে।
আমি হাঁটছি আর ভাবছি-বার বার নজর যাচ্ছে সেই কাগজের তোড়াগুলোর দিকে।
ঘণ্টা খানেক কেটে গেল এভাবে। ক্লান্ত হয়ে অবশেষে সেই কাগজ আর খাপ খোলা কলম আমার বিছানার উপরে রেখে আমি কার্পেটের উপরে বসলাম। কাগজের উপরে ছায়া কলম ঘোরাচ্ছি- কিছু একটা লিখতে চাচ্ছি, কিন্তু কি লিখব?
শুরুটা কোত্থেকে করব, ভাবছি আর আঁকিবুঁকি কাটছি। ভাষা-গত দুর্বলতা আমার প্রথম থেকেই- বাংলা বানানরীতি আর ব্যাকরণে চরম দুরবস্থা আমার! বাংলা পড়েছি শুধু পরীক্ষায় পাশ করার জন্য। ডায়েরি-ফায়েরি লিখি আমি বেশ আগে থেকেই কিন্তু সেটা গৎবাঁধা রোজ নামচা ছাড়া কিছুই নয়। ভুলে সেই ডায়েরীটা এবার আমার ভাড়া ফ্লাটে রেখে এসেছি।
এক সময় কেমন যেন ঘোরের মধ্যে চলে গেলাম-কাটছি, লিখছি! ফের কাটছি, লিখছি...
সম্বিৎ ফিরলে দেখি দুপুর গড়িয়ে গেছে- ক্যামনে? কিভাবে? ভীষণ আশ্চর্য হলাম!!
... আমি তিনদিন ধরে একটানা লিখছি। লেখার সময়ে শরীরে বেশ জ্বর অনুভব করি- কিছুটা ঘোরের মধ্যে থাকি! আমি জানি এই অনুভূতিগুলো ব্যতিক্রম কিছু নয়। একটানা লিখতে গেলে অনেকেরই এমন হয়। মাঝে মধ্যে ব্রেক দিই- কিছুক্ষণ টিভি দেখি, দীর্ঘ সময় নিয়ে রান্না করি, নিজের সাথে নিজে কথা বলি।
লিখতে বসলে শুরুতে বিরক্ত লাগে- কোন কিছুই মাথায় আসে না।
চতুর্থ দিন থেকে আমার ইলিউশন বা বিভ্রম শুরু হোল। লিখতে লিখতে ডিভানে মাথা রেখে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। স্বপ্ন আর জাগরণে মনে হল যেন আনিসের কুকুর ‘জো’ আমার বাহু লেহন করছে।
তার গরম নিঃশ্বাস ও ভেজা কিছুটা ধারালো জিহ্বা বাস্তব উপস্থিতি আমি এখনো টের পাই। ঘুম ভেঙ্গে আমি ‘জো’ কে খুঁজতে লাগলাম। ঘরের কোনায় কোনায়, ডিভানের নিচে, বাথরুমে সবখানেই চাবি খোঁজার মত করে খুঁজলাম তাকে। কোনভাবেই আমার বিশ্বাস হল না যে, জো এখানে নেই!
রাত তখন বেশ গভীর- চারিদিকে শুন শান নীরবতা। আমার একটু একটু ভয় করতে শুরু করল। ঘরের সবগুলো বাতি জ্বালিয়ে- টিভির ভলিউম বাড়িয়ে দিয়ে ঝিম মেরে বসে রাতটা কোন মতে কাটিয়ে দিলাম।
ভোরের দিকে তন্দ্রা মত এসেছে-টেলিফোনের ক্রিং ক্রিং শব্দে ধড়মড় করে উঠে দৌড়ে গেলাম। রিসিভার কানে ঠেকাতেই কোন শব্দ নেই-ডেড!!
সারাদিন ভুলে গেলাম সেসব কথা- স্বপ্ন ভেবে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলাম।
ফের শুরু হোল লেখা-লেখি!
পঞ্চম রাতে শুরু হোল তুমুল বৃষ্টি- সাথে ঝড়ো বাতাস! রাত বারোটার দিকে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
তিনটের দিকে ফের সেই অনুভূতি! জো’(আনিসের শেফার্ড) আমার ডিভানের কাছে দাঁড়িয়ে হাত চেটে দিচ্ছে। ফের সেই গরম নিঃশ্বাস আর ভেজা ধারালো জিহ্বার বাস্তব অনুভূতি। ঘুম ভেঙ্গে গেল- আশেপাশে জো’কে খুঁজলাম। বাইরে তখন তুম ঝড় আর বৃষ্টি- ঘরের মৃদু আলোয় লক্ষ করলাম জানালার কাছের পর্দা নীচের দিকে নড়ছে। প্রথমে পাত্তা দিলাম না – ভাবে নিলাম বাইরে ঝড় বাতাসে নড়ছে। অন্যদিকে ফিরে শুতেই মনে হোল আমিতো জানালা ভাল করে আটকে রেখেছিলাম। এয়ার টাইট জানলা- বাতাস আসবে কোত্থেকে? আর বাতাসে নড়লে পর্দা শুধু ওখানটায় নড়বে কেন?
ভাবতে ভাবতেই লাফ দিয়ে উঠে বসলাম। ভয় লাগেনি তখন কৌতূহলী ছিলাম!
বেশ স্বাভাবিক ভাবেই ওখানে গিয়ে পর্দাটা তুলতেই ভীষণ চমকে উঠলাম!
সারা গায়ে লালচেটে হলদে লম্বা পশমের বিশাল একটা বিড়াল তার তার চার পাঁচটা বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বড় বিড়ালটা এভাবে তাকাল আমার দিকে – আমার অন্তরাত্মা কেপে উঠল! এত বড় বিড়াল আমি এই জিন্দেগিতে দেখিনি!!
চিরকালের ভিতু আমি তবুও ভয় পাইনি। প্রতিটা জানালা আর তার লক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলাম-কোথাও ফাঁক ফোঁকর আছে কিনা?
এত বড় একটা বিড়াল তার বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে আসল কিভাবে? কোত্থেকে আসল? বাইরে থেকে আসলে তো শরীর ভেজা থাকবে!!
আর বেশি ভাবনা চিন্তা না করে বিড়ালের মত বিড়ালকে রেখে আমি ফের ঘুমাতে গেলাম। ঘুম কি আর আসে। ঘুরে ফিরে বার বার নজর যায় সেই পর্দার দিকে। মাঝে মাঝে অতি নিচুস্তরে বাচ্চাদের মিঁউ মিঁউ আর নড়াচড়া টের পাই।
উল্টা পাল্টা ভাবতে ভাবতে ফের ঘুমিয়ে পড়লাম। ভোর বেলা ঘুম ভাঙ্গতেই দৌড়ে গেলাম জানালার কাছে। ঝড় থেমে গেছে – টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে তখনো। পর্দা উঁচু করতেই দেখি একদম ফক ফকা- কিস্যু নেই।
আসল টেনশন শুরু হোল তখন? বিড়াল ফাঁক ফোঁকর দিয়ে আসলই না হয় কিন্তু গেল কেন আর কোথা দিয়ে গেল? ফের সারা ঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখলাম- এবার ফ্রিজ আর ওভেনের ভেতরেও বাদ দিলাম না। নাহ নেই কোথাও নেই... ভোঁজবাজির মত হারিয়ে গেল!
~ঘরের মধ্যে এভাবে আটকে যাওয়াকে হয়তো 'কোয়ারেন্টিন' বলা ঠিক হয়নি- কিন্তু আমার মনে হোল হয়-তো! হবে না কেনয়
মুল ছবিঃ নেট থেকে না বলে নিয়েছি।
১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি কোথায় ছিলেন এতদিন- কোথা থেকে উদয় হইলেন?
প্রথম দ্বীতিয় মন্তব্য বুঝি না- এসেছেন এতেই ঢেড় খুশি। ওক্কে সামনে আগাই..।
২| ১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:২৪
জটিল ভাই বলেছেন:
ইহাকে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন না বলে "মুড়ির টিনে ছিলেন" বলাটাই বেশ আরামদায়ক বোধ করি খালি শব্দ আর শব্দ
পাঠে জার্গনগত কিছু সমস্যায় ভুগলেও আপনার ব্যাখাতে অনেকটা দূর হয়েছে। অভারঅল আপনার মত মানুষও ভীত-সন্তস্ত্র হয় এটাই ভেবে অবাক হই। এটাতো আপনার জন্য অন্তত একটা এ্যাডভেঞ্চার হবার কথা
১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন- বরাবরই আমি চরম ভিতু- এখনো বাসায় কেউ না থাকলে রাতে পারলে বাতি জ্বালিয়ে ঘুমাই।
আসলে তখন কেন তেমন ভয় পাই নাই জানি না- মনের মদ্যে হয়তো বাই ডিফল্ট ধারনা ছিল; ভুত প্রেত শুধু বাংলাদেশের বাঁশঝোপ, শেওড়া তলায়, আর ডোবা নালার পাশে থাকে। রাশিয়ায় থাকতে পারে সেটা ধারনাত ছিলনা
৩| ১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওগুলি নির্ঘাত জীনের কাজ ছিল। বিড়ালটগুলি কি কালো রঙের ছিল? কালো হোলে আরও সম্ভবনা বেশী। বড় বাঁচা বেঁচে গেছেন।
১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১২
শেরজা তপন বলেছেন: হইতে পারে! কালো বিড়াল ছিল না পলে রক্ষে! আর শুটকা পটকা হলে তো কথাই ছিল না- সাথে সাথে অক্কা পেতাম!!!
ভাগ্যিস বিড়ালেটার গায়ের রঙ লালচে বাদামী ছিল- আমিও আগে পড়িনি কখনো এই রঙের বেড়াল ভুত হয়
ধন্যবাদ আপনাকে ফের সাথে থাকার জন্য। সময় খারাপ- সাবধানে থাকবেন।
৪| ১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:২৬
অশুভ বলেছেন: কী ভয়ংকর। আপনার লেখা পড়ার সময় আমারই বারবার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। শেষ করলেন নাতো। আরও পর্ব আছে? শেষে মুক্তি মিলল কীভাবে?
১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: আরেক পর্ব আছে কিন্তু কবে দিতে পারব সেটা আমি জানিনা বলে প্রথম পর্ব লিখিনি।
সেই পর্বে থাকবে- 'ভুত আমাকে কিভাবে লেখক বানাইল' তার ইতিহাস
আপনাকে অনেকদিন বাদে আজ পেয়ে ভাল লাগছে ভ্রাতা। আপনার নতুন লেখা কি এখনো মাথায় ঘুরছে শুধু?
৫| ১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এক পর্ব লিখে আরেক পর্বের জন্য পাঠককে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অপেক্ষায় রাখার বিষয়টা অত্যন্ত বিরক্তিকর। এই অভ্যাস বাদ না দিলে আপনাকে ভুয়া না, জেনুইন ভুত দিয়ে দৌড়ানী খাওয়াইতে হবে। ভালো চাইলে দ্রুত পরের পর্ব পোষ্ট করেন।
একটানে পড়লাম। চমৎকার লাগলো। বৃটিশ ভুত জগৎবিখ্যাত। আমার কিছু ভুতুড়ে অভিজ্ঞতা আছে। আপনারটা পড়ে উৎসাহ পেলাম। আপনার মতো দারুন করে লিখতে না পারলেও চেষ্টা করতে হবে।
আমি নিজে খুব সাহসী না, আবার ভীতুও না। তবে আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে কিছুটা ভয় পেলাম। ইয়ে.....এটা কি সত্য ঘটনা, নাকি বানানো? গল্পকারদেরকে বিশ্বাস করা কঠিন!!
১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: একদম সত্য! কাহিনী লিখতে গেলে কেমন যেন জমে না বোরিং কিছু মনে হয়
সেলিম আনোয়ার ভাইয়ের মন্তব্যে লিখেছি- আমি গল্প লিখতে পারিনা- তবে সত্য মিথ্যার মিশেল কিছু হয়।
আমি কিন্তু পর্ব হিসেবে দেই নাই ভুয়া ভাই- সেজন্যই এই লাখাটা লিখতে আমার ১২ বছর লাগল- অর্ধেক লিখে রেখেছিলাম ২০০৯ সালে।
এখন যে হারে পোস্টাইতেছি- সুস্থ্য সবল থাকলে শিঘ্রী সব পর্ব পেয়ে যাবেন ( চারিদিকে নিকটজন মরে সাফ হয়ে যাচ্ছে- আমাদ লটারি কবে আসে!)
আপনি যে সুন্দর লেখেন লিখলেই দেখবেন হিট - ভাই লিখুন। আমারটাও দিব -আপনারটার ও অপেক্ষায় রইলাম.।
৬| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: শেষটাও পড়িবার চাই। মুক্তির কাহিনী আসুক তাড়াতাড়ি। ভাগ্যিস ফ্রিযে খাওন দাওন ছিল
১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা আপু ছুটির ঘন্টা হয় নাই- সেইরকম সমস্যা হইলে চ্যাঁচামেচি করে এলাকা গরম করে দিতাম - না হয় জানালা খুলে লাফ দিতাম, গ্রীল তো নাই
তাতে হাত পা ভাঙ্গলেও জীবনতো বাঁচত!
ওই ঘটনা না ঘটলে আমার আর লেখালেখি করা হইত না- কি মজা!! লেখালেখি মানে স্মৃতি জমিয়ে রাখা- যত স্মৃতি তত বেশী কষ্ট
ভাল থাকুন আপনি সবসময়।
৭| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আ্যামেরিকান স্ট্যান্ডার্ড ডোর লক! উভয় দিক থেকে চাবি দিয়ে খুলতে হয়। আমার কাছে এই লক ছিলো আমি দেশে আনিনি তার কারণ প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটতো। একটি হিন্দি সিনেমা দেখেছি বেশ কয়েক বছর আগে ট্র্যাপড - যাতে নায়ক এমন একটি বাসায় আটকা পরে যান।
আপনার গল্প বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: তখন যে রাশিয়ান ওই মাল গেছে তাই বেশী ঠাকুরমাহমুদ ভাই-
রাশিয়া সবে তখন আধুনিক হচ্ছে
হ্যা ট্রাপড আমিও দেখেছি- টানটান উত্তেজনার ছবি। মুল অভিনেতাকে আমি পছন্দ করি
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। দারুন অনুপ্রাণিত হলাম
ভাল থাকুন
৮| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মোটামুটি ভাল লিখেছেন । কিছু টাইপো আছে। কিন্তু বিড়ালতো এতো ভয় পাবার কথা নয়। যাই হোক এটা আমার দোষ ভয় কম যে। দেখবো অন্যরা কেমন ভয় পেল । জার্মান শেফার্ড আমার কাছে পরিচিত মনে হয় । আপনি তো গল্পও ভালো লিখেন।
১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০
শেরজা তপন বলেছেন: এটা ঠিক গল্প নয়- নব্বুই ভাগ সত্য ঘটনা! এখান থেকেই আমার লেখালেখির শুরু
আমি কোনদিন গল্প লিখিনি লিখতে পারব বলেও মনে হয় না
আমার টাইপো মিসটেক এটা চিরায়ত অভ্যাস! যত দেখি তত ভুল ধরা পড়ে
আপনার মন্তব্যে টক ঝাল মেশানো থাকলেও আমি দারুন আপ্লুত হলাম- ধন্যবাদ ভাই
৯| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০
জুন বলেছেন: দারুন এক রোমাঞ্চকর সাথে রহস্যময় ঘটনার সংগী হোলাম শেরজা তপন।
পরের পর্ব দিতে দেরি করবেন না কিন্ত
একা বাসায় থাকতে এই বুড়ো বয়সেও সাঙ্ঘাতিক ভয় পাই আমি। তাঁর উপর ছেলে বলেছে আম্মু ঘরে যে এইসব বিভিন্ন দেশ থেকে এনে মুর্তির ডেকোরেশন পিস সাজিয়ে রাখছো যার মাঝে এলিয়েনও আছে তারা কিন্ত্ রাতে সবাই জীবিত হয়ে উঠে ঘরের মাঝে হাটা চলা করে। বুঝলেন তো কি সাংঘাতিক
১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি কি শুরু করেছেন বএলনতো জুন আপু! চোখের সমস্যা- হার্টের সমস্যা, সারাক্ষন ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকা, বুড়ো হয়ে যাচ্ছি- প্রতিদিন কথায় যেন কেমন হাসি ঠাট্টার মাঝেও বিষন্নতার সুর।
এখনো আপনার এই জগতের অনেক দেশ ঘুরে দেখার বাকি- আর আমদের খুটি্যে খুটিয়ে সেই গল্প শোনানোর জন্য সুস্থ্য সবল আর দৃঢ় মনোবল থাকতে হবে। ভার্জিনের ওই বুড়ো ব্যাটা যদি এই বয়সে মহাশুন্য ঘুরে আসতে পারে- তাহলে আপনি এই সকালে কেন নিজেকে বুড়ো ভাববেন!
আপনি যে ভুতের ভয় পাননা সে আমি বিলক্ষন জানি
ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন।
১০| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ২০০৯ তে অর্ধেক লিখেছেন!! তাহলে আর দেরী করবেন না.....বাকীটা দ্রুত লিখে ফেলেন। ২০১৯ এও পারেন নাই যেহেতু, ২০২৯ পর্যন্ত আমার এই দুনিয়ায় থাকার চান্স কম।
আপনি যে সুন্দর লেখেন লিখলেই দেখবেন হিট - ভাই লিখুন। কথাটা সত্য না হলেও আপনের প্রশংসায় মোগাম্বো খুশ হুয়া!! লিখে ফেলবো আশা করছি। এই খুশীতে আমার ভুত সংক্রান্ত তিনটা পোষ্ট দিলাম। মন্তব্য করা জরুরী না, আপনি পড়লেই আমি খুশী। আর মন্তব্য যদি করেই ফেলেন, সেটা হবে বোনাস!!!
গল্প: বর্ণবাদী ভুত
তিনটি আধা-ভৌতিক মিনি গল্প
পাচটি সন্দেহজনক ভৌতিক মিনি গল্প
১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন- আরে ভাই বাঁচা মরার কথা আসছে কেন?
চান্স কার কম কার বেশি কে জানে ভাই। আমি আপনার দেয়া লিঙ্কের গল্পগুলো পড়ব তবে আজ নয়
গত কাল করোনায় আমার এক অতি আপনজনের মৃত্যুতে মনটা ভারি হয়ে আছে ভীষণ। চেষ্টা করছি একটু হালকা থাকার কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছি বার বার-স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছি,
ভাল থাকবেন, সাবধান থাকবেন! সুস্থ্য থাকুন নিরন্তর।
১১| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫৮
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: চমৎকার। এমন হতে পারে!
১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে অনেক দিন বাদে পেলাম উদারজী ভাই- আপনার নিষ্পাপ কথামালা শোনা হয় না অনেকদিন।
সুস্থ্য আছেন ভাল আছেন আশা করি।
অনেক ভাল লাগল আপনাকে পেয়ে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
১২| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪১
কামাল১৮ বলেছেন: আপনার গল্প বলা খুব সাবলীল ধরনটাও ভালো।একটু বড় বলে অনেক সময় শেষ তক পড়া হয় না তবে ভাল লাগে।
১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: শেষতক না পড়লে ভাল লাগার কথা নয়- মেইন ট্যুইস্ট-টাতো বেশীরভাগ লেখায় শেষে গিয়ে থাকে
আমি দারুন প্রীত হলাম জেনে যে আপনি বেশ সুন্দর করে সত্য কথাটা বলেছেন। এইটেই হোল অন্য সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে ব্লগ আর ব্লগারের পার্থক্য!
আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হলাম আপনার মন্তব্যে কামাল ভাই।
ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন নিরন্তর।
১৩| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৮
শায়মা বলেছেন: কি ভয়ংকর কি ভয়ংকর।
এই বার ভূতটা আসলে আমার পরীর দেশে পাঠিয়ে দিও ভাইয়া। এমনকি জ্বিন ভূত পরীর আছর কালা যাদু এই দুনিয়ায় যা কিছু বদ খত আছে আমার কাছে একদম ওষুধ আছে। বোতলে বন্দী করে সাগরে ফেলে দেবো। সাগর না পাই আমার চৌবাচ্চার নীচে মাটি খুড়ে একদম আজিবনের জন্য চাপপা দিয়ে রাখবো!
১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: আরে আমি কি বুঝেছিলাম ভুতের পাল্লায় পড়েছি
একবার বুঝলে ওখান থেকে জান নিয়ে ফিরে আসতাম না নিশ্চিত!
পরে মনে করে মাঝে মধ্যেই গায়ে কাঁটা দিত- এখনো একলা শুতে ভয় পাই
তবে রাশিয়ান ভুত বলে কথা ওদের রাশিয়ান মন্ত্রে বশ করতে হবে- বাংলা মন্ত্র বুঝবে কিনা বলা যায়না।
আহারে এই জীবিনে একবার যদি পরির দেশে যাইতে পারতাম!!!
আপনি আশে পাশে থাকলে সেখানে জ্বীন ভুত আসার সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না
১৪| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওরে বাবা! বলেন কি? বদ্ধ ঘরে একসঙ্গে এতগুলো বিড়াল? দারুণ ইন।্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্
কমেন্টে একটা আপদ চলে এসেছে। এটাকে দূর করতে পারলাম না। উল্টে ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে।
যাইহোক আজ আর বেশি কিছু লিখলে পারলাম না।
ভালো থাকুন সবসময়।
১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০১
শেরজা তপন বলেছেন: চার পাঁচটা বাচ্চা আর এক ধামরা ওরাং ওটাং টাইপের বিড়াল!
ভুতের গল্প পড়তে পড়তে ভুত বাবাজী নিজেই আপনার কি বোর্ডে ভর করেছে- এইটাও একটা ভিন্নতর গল্প হতে পারে।
আপনি এসেছেন- ছোটত হলেও মন্তব্য করেছেন এতেই আমি দারুন আনন্দিত।
ভাল থাকবেন দাদা- সাবধানে থাকবেন।
* লেখা লেখি কম পাচ্ছি ইদানিং
১৫| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইশ দারুণ মজা তো !!! আপনার যেমন শুনে ই দিল খুশিতে বাগ বাগ হয়ে গেছে, আমার ও ভাবতেই দারুণ লাগছে। এক্কেবারে একা !! কোন বাঁধাধরা কাজ নেই, কারো সাথে কথা না বলে ও থাকা যাবে !! এইটা আমার জন্য ড্রিমি সময়।
এবারে লেখায় আসি - হুম আপনার সিগনেচার স্টাইল লেখা,
মস্কো থেকে বেশ খানিকটা দুরে জানা অজানা গাছ গাছালি আর বুনো ফলের ঝোঁপে ঢাকা ছোট্ট হ্রদের পারে সুদৃশ্য ছিমছাম কাঠের তৈরি দোতলা তাদের সেই অবকাশ নিকুঞ্জ।
বিয়ের পরে ওদের আর হানিমুন করা হয়ে ওঠেনি। এই গ্রীষ্মে নিজেদের মত করে সেই নির্জনে উপভোগ করবে বলে আর যায়নি কোথাও। সারা শীতকাল জুড়ে শুয়ে বসে থেকে কুকুরটার তেজী শরীরে এসেছে জড়তা- শিথিলতা।
এই সুযোগে ওকেও দাবড়িয়ে তেজী করতে হবে। সারাদিন ঘুরে ঘুরে তাজা মাশরুম কুড়াবে, হ্রদের জলে মাছ ধরবে আর তীব্র রোদে শরীর পোড়াতে রোদ্র স্নান। এত দারুণ বর্ণনা !! মনে হচ্ছিলো সেই আগের মত কোন রাশিয়ান বই পড়ছি।
মাঝে দারুণ গোছানো বাসা, খাবার ভর্তি ফ্রিজ , টিভি হাতের কাছে বই !! বিন্দাস জীবন। আপনার রান্না আর বিভিন্ন ধরনের ব্রেডের বর্ণনা ও যথেষ্ট লোভনীয় ইয়াম্মমি। হ্যাঁ বাঁধ সাধল সেই যে ইচ্ছেমত যাওয়া আসা করতে না পারা। আমি হয়ত বের হতাম ই না কিন্তু বের হওয়া যাবে না এই ভাবনাটুকু ই বিরক্তিকর হতাশার ও।
এরপর আপনার দিনারাত্রির লেখালিখি আর কল্পলোক ও বাস্তবতার আধ ঘুম জাগরণের বর্ণনা ও চমৎকার এবং আগ্রহ উদ্দীপক। দেখেন প্রায় সবাই এরপর কি হল? কি হয়েছিলো কি হয়েছিলো ?
ইয়ে মোটেও ভূতভাত কিছুমনে হয়নি আমার। তবে বাকি গল্প ও শোনার অপেক্ষায় অবশ্যই।
১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: আমি এখনো নিশ্চিত এটা ইলিউশন ছিল
একাকী ঘরে দীর্ঘ সময় অনেকটা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন-বাইরে না যেতে পারার ভয়, লেখালেখি নিয়ে দীর্ঘক্ষন মজে থাকা সব কিছু মিলিয়ে একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। সেখানে ইলিউশন হোয়া বিচিত্র নয়। তখন ভাল করে এসব বুঝতাম না দেখে- একসময় ভয় পেয়ে ছিলাম। আসলে ওই অবস্থায় কতক্ষন আপনার নার্ভ শক্ত রাখতে পারবেন?
প্রতিটা প্যরা ধরে ধরে এত দীর্ঘ মনোহর মন্তব্যে বহুদিন বাদে আমার অতি প্রিয় ব্লগার 'মনিরা সুলতানা'কে ফিরে পেলাম।
আমি চাচ্ছিনা বাকিটুকু লিখতে - এর শেষ দেখার থেকে যদি কিন্তুতে আটকে থাকা ভাল। অসমাপ্ত গল্প মাঝে মধ্যে লেখক স্বত্বাকে অন্যরকম এক আরাম দেয়
ভুত টুত বলে কিছু নাই সেটা আমি আপনি দুজনেই জানি কিন্তু এমন কিছু ব্যাপার জিবনে ঘটে যেটার ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না কোনদিন।
ভাল থাকুন- সাবধানে থাকবেন। অনেকদিন বিদেশ করে ভাল খাবার আর পরিশুদ্ধ জল বায়ুতে অভ্যাস্ত হয়েছিলেন।
১৬| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এরপর ? তারপর কি হয়েছিলো তো সবাই কে জানাচ্ছেন ই আমার কেবল জানতে ইচ্ছে করছে কি লিখলেন সে ক' দিন ? পাঁচদিন !! সে লেখাগুলো কোথায় ?
আপনার লেখক হবার গল্পে ভালোলাগা।
১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২০
শেরজা তপন বলেছেন: ১৯৯৩ সালে রাশিয়াইয় জমানো সব ছবি, ডায়েরি পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেছিলাম!
এটা ছিল ১৯৯৮ সালের ঘটনা আমার দ্বীতিয়বার রাশিয়া ভ্রমনের সময়ে। হারিয়ে ফেলা সেই দিনলিপিগুলো নতুন করে লিখেছিলাম।
তারই খন্ডিত অংশ নিয়ে আলকাশ, ডাঙ্কি রুট, কাগদা তো-ভ রাশিয়া,বাবনিকের অংশ বিশেষ,রুস্কাইয়া ব্লুদার মত বিভিন্ন আবজাব লেখালেখি করি ব্লগে ঃ)
আরো কিছু আছে পরে বলব। তবে ওই পনেরদিনে যা লিখেছিলাম এখন পনের মাসেও তা লেখা সম্ভব নয়
১৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:১৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনার বন্ধু খুব বুদ্ধি করে সারাক্ষণের পাহারাদার রেখেছিল আপনাকে। চাবি না দিয়ে।
ভালো একটা অভিজ্ঞতা। তবে লেখার জন্য ভালো অবস্থা কিন্তু বন্দী কারাগারে বসে কার ভালোলাগে। তাও দোষ না করে বন্দী।
কিছু শব্দ পড়ে চলে যাচ্ছিলাম রাশান অনুবাদ গল্পগুলোর ভিতর।
রাশিয়ায় কি এখনো কটেজ আর শহরে বাড়ির নিয়মটা আছে। খুব শিগ্রী রাশিয়া যাবো বলা যায়না দেখা হয়ে যেতে পারে আপনার সাথে ঘুরতে ঘুরতে। আপনি কি এখনো আছেন ওখানে।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: কি আশ্চর্য! বিশ্বাস করবেন কি না জানিনা- গতকালই আপনার কথা ভাবছিলাম।
অনেকদিন ব্লগে অনুপস্থিত দেখে ভেবেছিলাম আপনার বাড়িতে গিয়ে একটা নিখোঁজ সংবাদ দিয়ে আসব
রাশিয়া থেকে প্রায় সব বাঙ্গালী ধীরে ধীরে অন্যদেশে চলে গেছে বা নিজ ভুমে প্রত্যাবর্তন করেছে। দুধের মাছিরে সব উড়ে গেছে। আমি তার মধ্যে একজন।
রাশিয়ায় এখন আর কোন বাঙ্গালী খুঁজে পাওয়া দুস্কর। তবুও ওখানে গিয়ে কোন সহযোগীতার প্রয়োজন হলে জানাবেন।
আপনার মন্তব্যে দারুন অনুপ্রণিত হলাম ফের। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
১৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:২০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ওহ্ ! আবারো অপেক্ষা করতে হবে আমার ভাইজান কনডেম সেল থেকে মুক্তি পেল কি ভাবে? সে যাইহোক আপনার বর্ণনাশৈলী অসাধারণ যে কেউই পড়লে মুগ্ধ হবেই হবে।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার আন্তরিক মন্তব্যে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত হলাম।
বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য-ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন ভাই
১৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার গল্পটা ভৌতিক না হলেও আমার মধ্যে একটা ভৌতিক অনুভুতি কাজ করছে। কালকে রাতে ভয় লেগেছে আপনার গল্পের জন্য। দিন দিন সাহস কমে যাচ্ছে। কি যে করি।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১০
শেরজা তপন বলেছেন: হের লাইগাই কালকে মন্তব্য করেন নাই
ভুতের ভয় আমাকে এখনো দাবড়ায়। তাইতো দিনের বেলায় পোস্ট দিয়েছি
আমিতো ছোট বেলায় সন্ধ্যের পরে বারান্দা থেকে নামতে ভয় পাইতাম। এখন অন্য ভয় হয়
অনেক অনেক ধন্যবাদ - ভাল থাকবেন। শায়মা আপু ভাল ভুতের মন্ত্র জানে। বিপদে উনার সাথে যোগাযোগ করবেন
২০| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শায়মা আপুর মন্ত্র পড়া লাগবে না। ওনাকে দেখলেই ভুত ছুটে পালাবে। ভুতেরও তো ভয় ডর আছে। কি বলেন। আমার মনে হয় শায়মা আপুর নাম বললেই ভুত আমার কাছে ঘেঁষবে না। তাই 'শায়মা' 'শায়মা' 'শায়মা' এইভাবে জপ করবো চিন্তা করছি। তবে ওনার অনুমতি ছাড়া এই রকম জপ করা ঠিক হবে কি না বুঝতে পারছি না। আপনার সুন্দর পরামর্শের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন:
শায়মা আপু আপনাকে অনুমতি দিবেন।
হ নাম জপলেও কাম হইতে পারে! বড়ই আফসুস সামনা সামনি একটা ভুত দেখতে পারলাম না
২১| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫২
হাবিব বলেছেন: ভৌতিক না তাই এই রকম, ভৌতিক হলে যে কি হইতো ....!!!
১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: সবার ভুত দর্শনই আসলে ইলিউশন!
তবুও আমি মারাত্মক ভুতের ভয় পাই!!!
পরের পর্বে কি আরেকটু কমায় লিখব না বাড়ায় গা ছম ছম করা গল্প লিখব? কোনটা লিখলে ভাল হয়বলেন হাবিব স্যার
২২| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৪
হাবিব বলেছেন:
লেখার দৈর্ঘ ঠিকই আছে ভাই।
প্যারা করে লিখলে পড়তে আরেকটু আরাম লাগবে।
গা ছম ছম কাহিনী আমার বেশি ভালো লাগে।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমি সেইটা বলি নাই- আমি জানতে চেয়েছি ভুতের ডোজ টা আরেকটু বাড়িয়ে দিব না কমিয়ে দিব?
মানে খুব বেশি গা ছমছমে ব্যাপার থাকলে কি ভাল হয়?
২৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৬
অশুভ বলেছেন: মাথায় অনেক কাহিনী ঘুরোঘুরি করলেও লিখতে গেলে সব এলোমেলো হয়ে যায়। এই ভয়ে লিখতে ইচ্ছে করে না।
ভায়া আপনার এই লেখার যবনিকা না পেলে মনের ভেতর একটা অপুর্ণতা থেকে যাবে। ভয় মিশ্রিত লেখক হওয়ার গল্পটা অসাধারণ হচ্ছে। আমি আসলে ভুতের চেয়ে একলা থাকাটাকে ভয় পাই বেশি।
আমারও একবার প্রায় বিশ দিনের মত একা থাকার দুর্ভাগ্য হয়েছিল। জাপানে তখন ক্রিসমাস আর নিউ-ইয়ার ছুটি থাকায় আমার আশেপাশের কোন প্রতিবেশী পর্যন্ত ছিল না। তখন কিছুটা দুর্বিষহ সময় পার করেছি। যদিও আপনার মত ইলিউশন হয় নি তারপরও খুব ভয়ে ছিলাম। সে সময়টায় রাতে সব লাইট জালিয়ে ঘুমিয়েছি। যদি কোনদিন গুছিয়ে লিখতে পারি সে-গল্প করব একদিন।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: আরে ভাই লেখা শুরু করে দিন কিছু একটা হয়ে যাবে।
আমিতো লেখা শুরু করার আগে ভেবে অস্থির হতাম আগে- এমনে না তেমনে লিখব!!!!
এখন শুধু শুরু করি- ভেতরে গল্প থাকলে বের হবেই, হয় কুৎসিত হাঁসের ছানা না হয় সোনাবীজ
তবে এখন আমি পরের পর্ব নিয়ে ভাবতে পারছি না- ব্যাপন মানসিক চাপে আছি! আর একটা বড় প্লটে হাত দিয়েছি-তথ্য উপাত্ত সংরহ করতে করতে অস্থির!!
আপনাকে নিয়মিত দেখতে চাচ্ছি ভ্রাতা
১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার ফরমায়েশিতে শেষে লিখতে বসলাম। দেখি কতদুর আগাতে পারি।
২৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:১৪
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: সাবলীল লিখা।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ কষ্ট করে লেখাটি পড়ে উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য।
ভাল থাকুন নিরন্তর!
২৫| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা তপন
আমা.র কথা ভাবছিলেন জেনে খুব আনন্দিত হলাম। আসলে আমরা অদেখায় নিজেদের মধ্যে বেশ সুন্দর একটা সম্পর্ক তৈরি করে ফেলেছি এই ব্লগ ঘিরে।
এ জন্য একটা ধন্যবাদ সামু ব্লগ কতৃপক্ষকেও অবশ্যই দিতে হয়। এমন সুন্দর একটা প্লাটফর্ম আমাদের দেয়ার জন্য।
হ্যাঁ বেশ কিছু দুধের মাছির সাথে দেখা হয়েছে এবং তাদের কাছেই শুনেছি অভাব ছিলনা আনন্দে স্বস্থিতে থাকত মানুষ।
করোনাকাল বিস্তৃত হচ্ছে আরো দু এক বছর অপেক্ষা করতে হবে মনে হয়। গত বছর যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
এক সময় যাবো আশা করি।
আহা দেখা হওয়ার আশায় ছাই ঢেলে দিলেন। হঠাৎ অপরিচিত জায়গায় কিছু চেনা মানুষ পেয়ে গেলে কি ভালোলাগত।
আমার বাড়ি আইসেন দেখা হবে কথায় কথায়। একটা লেখা পোষ্ট দিয়ে হাওয়া হয়ে গেছলাম আনন্দ নিকেতনে।
আপনার হেল্প করার কথা মনে থাববে যদি প্রয়োজন পরে।
১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্য পড়েছি- ব্যস্ততার জন্য গুছিয়ে উত্তর দিতে পারলাম না সুপ্রিয় ব্লগার।
আশা করি কালকে উত্তর দিব- ভাল থাকুন
২৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩৯
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এটা আসলে অনৈচ্ছিক আইসোলেশন। আমি ভয় পাই নি। আমার একা থাকার অভ্যাস আছে। তবে চাইলেও বের হতে পারব না এটা জানার পর আসলেই একটা আতঙ্ক কাজ করে। এমনিতে হয়তো আমি সাত-আটদিনেও বের হতাম না। কিন্তু যদি জানতে পারি যে চাইলেও বের হতে পারবো না, তখন ঠিকই মিনিটে মিনিটে বের হবার জন্য মন হাঁসফাঁস করবে।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: তবে আমার এখনো ধারনা কোন না কোন ভাবে বিড়ালটা তার বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে এসেছিল!
ওই ব্যাপারটা ভুল হবার কথা নয়। হতে পারে কত রহস্যজনক ঘটনা-ই তো ঘটছে আমাদের সাথে প্রতিমুহুর্তে!
আপনি মনে হতে দুর্দান্ত সাহসী! এই নিয়ে কিছু লিখুন আমরাও শুনি
২৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪২
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: না! না! আমি দুর্দান্ত সাহসী নই মোটেও। কিছু ক্ষেত্রে আমার ভয় নেই । যেমন অন্ধকার, পোকা-মাকড়, বিছে, জলপথ ভ্রমণ এসব। আবার কিছু জিনিসে মারাত্মক ভয়।যেমন উচ্চতা, আগুন আর বিদ্যুৎ। আগেরগুলোও ভয় পেতাম। কিন্তু সেগুলো বারবার ফেস করে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমি অন্ধকার দেখলে জায়গা থেকেই নড়তাম না আগে। ভয় লাগতো যে লাইট অন করতে গেলেই কেউ এসে ঘাড় মটকে দেবে। এভাবে ভয়ে ভয়ে অন্ধকারে থাকতে থাকতে অন্ধকারের ভয় চলে গেছে।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: আমিতো বাসায় একা ঘুমাতে এখনো ভয় পাই
আমি আগে ভেবেছিলাম- রাস্তা ঘাটে সাপ দেখলে মনে হয় ভয় টয় পাবনা। একবার গ্রামের বাথরুমে ৯ ইঞ্চি সাপ দেখে শরিরের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল
অভিজ্ঞতাই আপনাকে সাহসী করেছে। ধন্যবাদ ফের আসার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১৬
অশুভ বলেছেন: আপনার কোন পোস্টে প্রথম মন্তব্য আমার। তাই লোভ সামলাতে পারলাম না। এখন পড়ে নেই, ফের মন্তব্য করব।