নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
এলিনাকে নিয়ে প্রথম পর্বঃ Click This Link
আমি থাকি আমার এক বন্ধুর বাসায় তাঁর গলগ্রহ হয়ে- তাঁর আমন্ত্রনেই সপ্তাহ খানেকের কথা বলে প্রায় মাস হতে চলল- আমিও মস্কো ফিরে যাবার গাঁ করিনা! সেও আমাকে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রাখে।
গভীর রাত অব্দি বিয়ার, লিক্যোর কিংবা লাল মদের সাথে বাহারি সব জাকোজকা( মদের সহযোগী খাবার) চলে। কখনো আমরা দু’জন কখনো ইয়ার দোস্ত মিলে।
ফের কোন কাজ কাম নেই তাই অনেক বেলা-তক ঘুমাই। তখন সবে সকাল সাড়ে নয়টা কি দশটা বাজে- বন্ধু সুমনের ডাকে ঘুম ভাঙল, ‘এই তোর ফোন...
ফোন কানে ঠেকিয়ে ‘আ-লো’( রুশীয়রা ‘হ্যালো’ উচ্চারন করে আ-লো’র মত করে) বলতেই ও পাশ থেকে এক রমণীর লাজুক দ্বিধান্বিত কন্ঠস্বর,’সদ্রাস্তোবিইচে’-ভি সৌম্য স্তো-লে? ( এতদিন ধরে রাশিয়ান গল্প বলছি- এটুকু রুশ ভাষা ব্লগারদের বোঝার কথা)
-দা-ইয়া
-এতা এলিনা, ইজভিনিচে(দুঃখিত)-সকালে আপনার ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য’- এরপরে ভাঙ্গা ভাঙ্গা হাসি।
এলিনা’র এই হাসিটা আমার বড় বিরক্তি ধরায়। ইতস্তত বোধ করলে,মন খারাপ হলে, দ্বিধান্বিত হলে সে এই রকম করে পস দিয়ে দিয়ে কন্ঠনালীর ভিতরে বাতাস রেখে রেখে হাসে। হাসির সাথে কেমন কান্নার মত একটা শব্দ বের হয়।
এই সাত সকালে এলিনার ফোন পেয়ে আমি চরম পুলকিত; কিন্তু তাকে সেটা বুঝতে না দিয়ে, বেশ বড় একটা হাই তুলে-ঘুম জড়ানো কন্ঠেই তাকে বললাম,
-ওহ এলিনা! আমার কি সৌভাগ্য- ঠিক আছে সমস্যা নেই বল?
-তুমি সজলের কোন খবর পেয়েছ?
- আ-হ্যা পেয়েছি ( অকারনেই মিথ্যা কথা বললাম)
ফের সেই ভাঙ্গা হাসি।
-তাই নাকি! আমাকে বললে না-যে কিছু? তোমার কথা হয়েছে ওর সাথে?
-নাহ আমার কথা হয়নি-, আমার বন্ধু উজ্জ্বল থাকে জার্মানিতে, সে বলেছে। ওর সাথে নাকি দেখা হয়েছিল।
সভ্য মেয়ে আবেগকে কন্ট্রোল করতে জানে।
- তুমি কি আজ সন্ধ্যায় আমার বাসায় চা খেতে আসতে পারবে?
আমিতো মনে মনে এটাই চাচ্ছিলাম। তাঁর কথা লুফে নিয়ে বললাম
- হ্যা হয়তো পারব। তা একাই আসব না-কি আমার বন্ধুকে নিয়ে আসব?
ফের সেই খট খটে হাসি দিয়ে বলল,
- দ্যাখো তুমি যেটা ভাল মনে কর।‘ আসছতো তা হলে?
- হ্যা আসব। দাস বিদানিয়া
- পাকা(বাই)
শরতের শুরু তখন। গাছের পাতায় হলুদ আভা। সন্ধ্যে এখনো নামে বেশ দেরিতে। আমার কোন কাম কাজ নাই। সারাদিন সাজ-গোজ আর ভাব সাবেই গেল। ছ’টা বাজতেই একতোড়া ফুল আর এক বোতল রেড ওয়াইন নিয়ে হাজির হলাম ওর দরজায়।
আমাকে দেখে ঝক ঝকে একটা হাসি দিল। ফুল পেয়ে বেশ উৎফুল্ল হয়ে তৎক্ষণাৎ নিপুন হাতে কৃস্টালের ফুলদানিতে সাজিয়ে ফেলল। তবে মদের বোতল দেখে খুব খুশি হয়েছে বলে মনে হয় না। তেমনি একটা খ্যাক হাসি দিয়ে আলগা করে ধন্যবাদ দিল।
ওদের বাসায় ঢুকলে চোখ আর মনের একটা আরাম ও প্রশান্তি আসে। দারুন পরিচ্ছন্ন ও ছিমছাম করে সাজানো সবকিছু। আমি গিয়ে বসতেই সে বাটিতে করে গরম গরম রুশ প্লিমেন্নি আর চা এনে রাখল।
ভেড়ার মাংসের প্লিমেন্নির(মম’র মত এক ধরনের পিঠা) স্বাদ মুখে লেগে থাকে। ওকে জিজ্ঞেস করলাম, কে বানিয়েছে?
উত্তর দিতে গিয়ে কপোলদ্বয়ে রক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়ল, ‘কে আর আমি’।
তাঁর কথায় মনে হল এ বাসার সব রান্না বান্না সে-ই করে। আজো বাসা এক্কেবারে খালি! খালি বাসা শুনলেই মনের ভেতরে চিনবিন করে।
আজ তাঁর পরনে নীল রঙ্গের জিন্স আর লম্বা সাদা শার্ট। শার্টখানা যদিও বেশ ঢিলে ঢালা তবুও ওর ভরাট বক্ষের উদ্ধত্বক্বে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।শার্ট পরহিত কোন রমনীর কন্ঠার নীচে বুকের অনবৃত অংশটুকু আমাকে বরাবরই টানে-এরপরে সে যদি হয় এলিনার মত সুন্দরী তন্বী।
কথার ফাঁকে ফাঁকে আমার চোখ চলে যাচ্ছে ঘুরে ফিরে সেখানটায়। তবে সে আজ মনে হল নিজেকে নিয়ে বেশ উদাসীন। হেসে হেসে কথা বললেও হাসিতে বিষাদ মাখা।
সজলের প্রসংগ আমি ইচ্ছে করে উঠাচ্ছি না- এলিনাও ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছে।
আমি ভেবেছিলাম মিথ্যে কথা বলার সময়ে একটু মদির নেশা থাকলে জমত ভাল- চোখের পাতা কাঁপত না। কিন্তু সে বোতলখানা কুখনিয়া( কিচেন)তে রেখে এসেছে- সেটা দিয়ে আর আপ্যায়ন করবে বলে মনে হয় না।
এ মেয়ের নান হলে ভাল হত। এত শুচিতা-আদিখ্যেতা রুশীয় মেয়েদের মানায় নায়।
সজলের প্রসংগ এক সময় এসেই গেল কথায় কথায়- আমি বললাম যথাসম্ভব বানিয়ে গুছিয়ে। প্রতিশোধের প্রথম ধাপে আমি সফলকাম হলাম মনে হয়।
~সজল! -সজল আর ফিরে আসবে না... নাগরিকত্ব পাবার জন্য কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ করেছে........
-এলিনা মাথা ঝুঁকে শুনছিল... একসময় কয়েকফোঁটা অশ্রু সরাসরি চোখের পাপড়ি চুইয়ে নীল জীন্সের উরুদেশে আলতো করে ঝড়ে পড়ল। যদিও এ প্রসংগ এলে সল্প বিস্তর কান্নাকাটি হবে সেটা আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম-তবুও খানিকটা বিব্রত ও অপরাধবোধ নিয়ে উঠে দাড়িয়ে তাঁর মাথায় হাত রাখতেই সে ঝর ঝর করে কেঁদে ফেলল। অল্প কয়েক সেকেন্ড মাত্র – আমি চেয়েছিলাম এই সুযোগে আরেকটু ঘনিষ্ঠ হতে, কিন্তু সে আমার হাতটা সরিয়ে দিয়ে ধীর পদক্ষেপে রান্না ঘরের দিকে চলে গেল!
------------------------------
ফিরে আসল বেশ সময় বাদে – এলিনা এমনিতেই অতি মামুলী সাজগোজ করে, ফিরে আসল একেবারে ন্যাচারাল চেহারায়। পরিস্কার করে মুখ ধুয়ে এসেছে-এবারে স্ফইকের মত চকচক করছে তাঁর মুখ মণ্ডল। চুল আগছালো পনিটেল করে বাঁধা। মামুলি কিছু বেয়াড়া কালচে সোনালী কুন্তলরাশি কপালে এসে লুটোপুটি খাচ্ছে। সে ভ্রু প্লাগ করে না। তাঁর গাঢ় ভ্রুর অগ্রভাগে শিশিরবিন্দুর মত জল জমে আছে এখনো। চক্ষুদ্বয় খানিকটা ফোলা- আর অক্ষিগোলকে রক্তিম আভা! আমার অলক্ষ্যে বেশ কান্নাকাটি করেছে বোঝা যায়। আমি নিস্পলক নেত্রে চেয়ে আছি তাঁর দিকে।
-তবে বেশ আমোদের খবর যে ফিরে এসেছে সে শুধু নতুন রুপেই নয়- তাঁর এক হাতে ধরা দুটো গেলাস আর আরেক হাতে সে লাল মদের বোতল। আমি নিজের মনে ধেই ধেই করে দু-পাঁক নেচে নিলাম।
রিয়েল লাইফের কাহিনীর প্লটে আমি তখন এন্টি হিরো। ওর দুঃখ কষ্ট আমাকে খুব বেশী স্পর্শ করছে না। আমি শুধু কল্পনায় তখন ওর শরিরের গলি অলিন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
শশা টম্যাটো আর কালো রুটির মত সামান্য কিছু জাকোজকা সহযোগে আমরা দুজনে মিলে আধ ঘন্টাতেই পুরো বোতলটা সাবাড় করে দিলাম। অবশ্য রেড ওয়াইন গেলাস ভরে খেতে কারো আপত্তি নেই। নিন্ম অ্যালকোহল যুক্ত মদ-দু এক বোতলে জম্পেশ নেশা ধরে না!
মদ্যপান শেষে এলিনা আরো বেশী গম্ভীর হয়ে গেল –নিজেকে নিজের ভেতরে আরো বেশী গুটিয়ে নিল। থম ধরা পরিবেশটা নর্মাল করার জন্য আমি তাকে নাচার প্রস্তাব দিলে সে অতি ভদ্রভাবে বিনয়ভরে প্রত্যাখ্যান করল।
অবশ্য আমি ফিরে আসার মূহুর্তে –রাগ করে চলে যাচ্ছে ভেবে, সেই ভাঙ্গা হাসি দিয়ে বলল, আসো না হয় নাচি।
রাগের সাথে আমার আত্মভিমান ও হল খানিকটা।
-না আজ থাক অন্য কোনদিন হবে বলে চলে আসলাম।
পরের পর্বের জন্যঃ Click This Link
২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:২২
শেরজা তপন বলেছেন: আমি ১৯৯১ সালের শেষ দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নে গিয়েছিলাম!
৯৫ সালে বাংলাদেশে আসি। ফের ৯৮ সালে রাশিয়ায় যাই।
প্রথমবার গিয়েছিলাম ছাত্র হিসেবে- দ্বীতিয়বার ব্যবসায়িক কাজে( সেবার বছরখানেক ছিলাম)
২| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১১
শেরজা তপন বলেছেন: আমি ১৯৯১ সালের শেষ দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নে গিয়েছিলাম! ( সেলফোন থেকে উত্তর দিলাম)
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ঠিকই তো আজ আর নাচের পরিবেশ নেই।অ্যান্টি হিরোকে হিরো বনতে গেলে আরেকটু অপেক্ষা করতেই হবে। গ্যালরীতে বসলাম পরবর্তী পর্বের হিরোজিম দেখতে....
শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভ্রাতা- আপনার আশির্বাদ আরেকটু আগে পাইলে সৌম্য নামক সেই অ্যান্টি হিরো হিরো হইতে পারত
কিন্তু ত দুর্ভাগ্য এই কাহিনীতে সে শেষ-মেষ অ্যান্টি হিরোই রয়ে গেছে।
বাবনিকে কোন হিরো নাই- সব খল নায়কদের কারবার। আলকাশ ছিল মিষ্টি ভালবাসার গল্প আর এটা ভয়ঙ্কর সব প্রতারণার
গল্প!!!
আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ বরাবর সাথে থেকে উতসাহিত করার জন্য!
* রোটাং পাসের সেই আলেকজান্ডার গ্রাম নিয়ে আমি কিন্তু বেশ বড় পরিসরের উপাখ্যান রচনা করছি- আপনার অনারে।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সোভিয়েতের ভয়ংকর বিশাল সম্পত্তির ভাগ মানুষকে দেওয়ার কথা বলেছিলো?
২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: মাতাল ইয়েলিতসিনের সময় সেরকম ভাগ বাটোয়ারা হয়েছে বলে শুনিনি।
সোভিয়েত আমলে সব কিছুই পরিচালিত হোত কেন্দ্রের মাধ্যমে-তখন একে একে সরকারি কল কারখানা সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, বন্ধ হচ্ছিল সরকারি অনুদান, দ্রব্য মুল্যের ভয়ঙ্কর উর্ধগতি আর মুদ্রার মান পড়ে যাওয়ায় জনগন ছিল দিশেহারা!সবাই মাইগ্রেট করে মস্কোর দিকে ধাবিত হচ্ছে। ওরা কেউ ব্যাবসা জানেনা- সাধারন মানুষ চাষাবাদ জানেনা, প্রয়োজন তখন নগদ টাকা। সম্পত্তি দিয়ে হবে কি তখন! কে কিনবে কার সম্পদ?? দু বিঘা কিংবা দু'শ বিঘা জমি দিলেই কি- চাষাবাদ করবে কে, সা পাব কোথায়,বীজ আসবে কোত্থেকে, যন্ত্ররপাতিই বা কোত্থেকে যোগাড় করবে তারা।সে এক বিষম পরিস্থিতি ভাই- এখন বোধগম্য হওয়া কঠিন!!!
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার এলাম। আপনার বড় পোস্ট মানে হিমাচল প্রদেশের রোটাং থেকে মানালির পথে আলেকজান্ডারের মূল সেনাবাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া গ্রীকদের একটুকরো গ্রামকে কেন্দ্র করে রচিত উপখ্যানের অপেক্ষায় রইলাম।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী দাদা- সেই গ্রামের গল্পই! আপনি যে মাথার মধ্যে একটা পোকা ঢুকিয়ে দিলেন।
যদিও তথ্য অপ্রতুল- সেখানে একবার গিয়ে ঘুরে আসতে পারলে ভাল হোত। তবে আপনি কিন্তু দারুন মিস করেছেন, অবশ্যই
সেখানে একবার যাবার দরকার ছিল!
অপেক্ষা করবেন জেনে উৎসাহিত হলাম। ভাল থাকুন-সুস্থ্য থাকুন
৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: প্রথম পর্ব আর দ্বিতীয় পর্ব এক সাথে পড়ে নিলাম।
লেখকের বেশ দেখার চোখ আছে। বর্ণনাগুলো খোলতাই হয়েছে। ভালোলাগল।
কল্পনা বা বাস্তব যাই হোক বাঙালি চরিত্র বড় বেশি ধোকাবাজ বিদেশে। আর বিদেশের মেয়েরা কেন যে বাঙালদের তাদের দেশের পুরুষদের চেয়ে বিশ্বাস করে। সবাই না তবে সত্তর থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত বাঙাল ছেলেরা বিদেশি মেয়েদের সাথে সম্পর্ক করে বেশ সুযোগ কামিয়েছে। শুধু রাশয়িায় নয় অনেক দেশে। বর্তমানের মেয়েরা এত পাত্তা দেয় না।
রাশান শব্দগুলোর অর্থগুলো আলাদা করে মন্তব্যে দিলে কপি করে রেখে দিতাম। অনেক আগে সোভিয়েট নারী আসত আমাদের বাসায় তখন শব্দ শিখতাম এখন ভুলে গেছি। আ লো টা একদম কানে বাজল। আমার কিছু বন্ধু আছে এভাবেই বলে।
শুভেচ্ছা রইল
২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: আমার আরেকটা লেখায় আপনার ঢাউস একটা মন্তব্যের উত্তর রয়েসয়ে দিব বলে আর দেয়াই হলনা! দুঃখিত সেজন্য।
কারো মন্তব্যের উত্তর না দিতে পারলে মনের মধ্য খচ খচ করে।
এটাও ভেবেছিলাম ধীরে সুস্থে দিব- পরে মনে হোল সংক্ষেপে হলেও এখনি উত্তর দেয়া উচিৎ।
আপনি সময়কালটা ঠিক ধরেছেন- তবে রাশিয়ার মত এত বেশী সুযোগ সুবিধা বাঙ্গালীরা কস্মিনকালে আর কোথাও পেয়েছে বলে
মনে হয় না। সুন্দরি নারীদের সাথে ঘনিষ্ঠ হবার অবারিত সুযোগ। দু-দশ টাকায় ফুটানি দেখানো, গোটা বিশ্বের আর্থ সামাজিক
অবস্থা সন্মন্ধে ভীষণ অজ্ঞ রাশিয়ানদের সামনে নিজেদের ব্যাপক ধনী আর সভ্য হিসেবে জাহির করার এক স্বর্ণ যুগ ছিল সেটা।
সোভিয়েতদের সাথে সখ্যতা তাহলে অনেক আগে থেকেই আপনার- পারিবারিক কোন সম্পর্ক ছিল কি?
সদ্রাইস্তোবিচে( সালাম জনাব)- ভি( আপনি) সৌম্য( সৌম্য) স্তোলে (স্তো-কি, লে -ই) - এটা ছাড়া বাকি সবগুলোর অর্থ লেখার
মধ্যেই আছে মনে হয়।
কুখনিয়া- রান্নাঘর
ইজ্বভিনিচে- দুঃখিত( যখন সন্মান করে বলা হয় মানে আপনি সন্মোধোন করলে- তুমিতে 'চে' টা উঠে যাবে শুধু ইজ্বভিনি, যেমন
দায়ে' মানে দাও, দায়েচে' মানে-দিন)- তি কুদা ইয়েজ্বিস( তুমি কোথায় যাও), ভি কুদা ইয়েজ্বিচে( আপনি কোথায় যান)
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে( স্পাসিভা ভাম বালসোই) সাথে থাকার জন্য। শুভকামনা রইল।
৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:১২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রাশিয়ান ভাষা টুকু বুঝিনি। বাকি টুকু ভাল লেগেছে।
সুন্দর।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:০০
শেরজা তপন বলেছেন: সদ্রাইস্তোবিচে( সালাম জনাব)- ভি( আপনি) সৌম্য( সৌম্য) স্তোলে (স্তো-কি, লে -ই)
এখন বুঝেছেন নিশ্চিত!
আপনাকে ফের পেয়ে ভাল লাগল। সেলিম আনোয়ার ভাই-ভাল থাকুন নিরন্তর।
৮| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:২৫
সুদীপ কুমার বলেছেন: ভালো লাগলো।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:০২
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সুদীপ কুমার। ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন
সম্ভবত আমার ব্লগে প্রথম এলেন- আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম!
৯| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:২৪
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অনেক সাবলীল লেখা! মুগ্ধ হয়ে পড়লাম দুটি পর্বই !
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: ভ্রাতা ফের অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক শুভেচ্ছা আপনার উৎসাহমুলক মন্তব্যের জন্য-
তাঁর উপরে একসাথে দুই পর্ব পড়ার জন্য আমি কৃতার্থ
ভাল থাকুন -সুন্দর ও সুস্থ্য থাকুন।
১০| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: প্রাপ্তির তুলনায় চাওয়াটা বেশি থাকলে মনে একটু কষ্টই লাগে তাই হয়তো রাগে অভিমানে এলিনার নাচের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ভগ্ন হৃদয়ে প্রস্থান । যাক চমৎকার বর্ণনাশৈলী; পড়ে যে কেউ মুগ্ধ হবেই। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: খারাপ মানুষেরও মান অভিমান থাকে- হৃদয় আন্দোলিত হয়
সৌম্য চারিত্রিকভাবে খানিকটা বাবনিক টাইপের হলেও বেশ আবেগী ছিল।
আপনার আন্তরিকতা নিশ্চিতভাবে তাঁর হৃদয় স্পর্শ করবে। আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এমন দারুন হৃদয়গ্রাহী মন্তব্যের জন্য।
ভাল থাকুন নিরন্তর!
১১| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:০৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনেক দিন পর আজ আবার পড়লাম ভালো লাগলো
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: আরে নেওয়াজ আলী ভাই যে, আপনাকে তো আমি মনে মনে খুঁজছিলাম!!
বিশ্বাস করুন দু'একদিনের মধ্যে আপনার ব্লগবাড়িতে হানা দিতাম।
আচমকা হারিয়ে গেলেন কেন?
ফের আপনাকে ব্লগে পেয়ে ভাল লাগল- আশা করি সব সহিহ সালামতে আছে। ভাল থাকবেন
১২| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৩১
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে আবার শব্দগুলো লেখার জন্য। কপি করে রেখেদিলাম।
আসলে এমন হয় ব্যস্ততা সবারই। আমার পড়ার ইচ্ছা হলেও মিস করে যাই অনেক ভালো লেখা।
অনেক লেখার ভাবনা মাথায় থাকলেও পোষ্ট করাও হয় না অনেক সময়।
আসলে রাশান রেভুলুশন পর কৃচ্ছতা সাধন জীবন, নারীরা মনে হয় একটু লোভী প্রকৃতিরও ছিল।
তাই বাঙালি ছেলেদের ফুটানি আর বাড়ি জিরাতের খবর জেনে ওরা জমিদার ভেবে নিত।
নাহ কোন সম্পর্ক নেই। তবে পরিচিত নানা সূত্রে অনেক আছেন।
শুভেচ্ছা থাকল
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: ফের মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
রাশিয়ান মেয়েরা বেশ আন্তরিক ও ভালবাসার কাঙ্গাল! একটু ভাল বিলাস ব্যাসন খাদ্য কার না দাবী থাকে বলু। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে তখন তাদের বিস্তর ফারাক। সম্বলের মধ্যে ছিল শুধু শরিরখানা- যেটাতে তাদের শুচিতা ছিল না কস্মিনকালেও!
প্রায় প্রত্যেকটা রুশীয় মেয়েই বিদেশীদের সাথে প্রেম করে ঘর বাধতে চেয়েছে, সেজন্য তারা আত্মীয়-পরিজন, দেশ, ভাষা, ধর্ম( ছিল বললেই চলে) সব ছাড়তে রাজী ছিল।
আমরা ভুখা নাঙ্গা বাঙ্গালী সুযোগ বুঝে ডলারের মুলো ঝুলিয়ে তাদের সাথে প্রতারনা করেছি।
আপনার আন্তরিকতায় মুগ্ধ হলাম! লেখালখিতে বিরতি দিবেন না- ব্যাস্ততার মাঝেও লিখুন- জীবন আর ক'দিনের...
১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভিগলিয়াদেলো অচেন’ খরসু
পজদ্রাভিলয়ায়ু স যাপুসকম’ ২ইয়া সিরি বাবনিকা
[Vyglyadelo ochen' khorosho
Pozdravlyayu s zapuskom 2-y serii Babonik ]
ছোট বাচ্চাদের মূখে কথা ফোটার স্টাইলে হা হা হা
অনেক ভাল লাগলো-
বাবনিকের ২য় পর্ব শুরু করায় অভিনন্দন
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: আরেব্বাস- ভৃগু ভাই দেখি নতুন রুপে হাজির- এবারের ছবিখানা জোশ হয়েছে- উল্টো দিক ঘুরে থাকলে সুবিধা হইত
যাক আমি জীবনে গোঁফ রাখি নাই! এইবার দেখি কে কি বলে
এবার তবে জমল- ব্লগের অনেকেই রুশ ভাষা শেখার ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে উঠছে
আপনিতো ফাটিয়ে দিলেন হে ( ইভতারোই সেরি বাবনিকা) - চলবে, শুরুতো হচ্ছে!!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই- ভাল থাকুন।
১৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: দীর্ঘদিন ব্যান থাকার কারনে আপনার এই ধারাবাহিকের খেই হারিয়ে ফেলেছি। আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে।,
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি ব্যান থাকার সময়ে আমি বাবনিকের আর নতুন কোন পোষ্ট দেইনি
এখন এই ধারাবাহিক পড়তে হলে আলিনাকে নিয়ে আগের দুই পর্ব পড়লেই হবে- বাকিটুকু আপাতত স্কিপ করে যান।
আপনার মেয়েকে নিয়ে লেখা গতকালের লেখাটায় মন্তব্য করব করব বলে সম্য করে উঠতে পারিনি।
অনেক ধন্যবাদ - আপনাকে ব্লগে ফের নিয়মিত ও আগের মত প্রানবন্ত দেখতে চাই।
১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হায়!! জীবনে কিছুই করতে পারলাম না!!
আপনার লেখার স্টাইল অনেক ভালো।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: হায়রে ভাই আমিও কত কিছুই করতে পারলাম না- তাইতো আফসোস করে দেয়ালে লিখেছি
~ মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল~ লাইফটাই ফুল অফ আফসোস!!!!
জেনে ভাল লাগল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আপনি ভাই বহুত বদ আছেন। কারো মন ভাংগা আর মসজিদ ভাংগা সমান ।মন ভাংগা বহুত বেদনার - আর সেই সময়েও (ছেকা খেয়ে বেকা হয়ে যাওয়া যাওয়া মাইয়া) কিনা আপনার অক্ষিযুগল ঘুরে বেড়াচছে এলিনার কণ্ঠার নীচের অনাবৃত অংশের সাথে সাথে তার বক্ষযুগলে।আর তার সাথে মনে চলছে শিয়ালের চতুরতার সাথে সাথে হায়েনার লালসা ভরা খায়েশ " খালি বাসা " চিন্তা - আহা কিছু একটা হবে ,কচি মুরগীর বাচচা খাব টাইপের।
তবে চা খাওয়া আবদার প্রত্যাখান করলেও এলিনার নাচের অফার খারাপ ছিলনা ।দুধের স্বাদ ঘোলে কিছুটা হলেও মিটত। কি যে করেন না ভাই?
২৯ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যারে ভাই ইটাই হোল বাবনিক আর সাধারননিকের মধ্যে পার্থক্য
বড় মাছ বড়শিতে ধরতে হলে সুতা ঢিল দিতে হয়। এক টানে ওঠে পুটি, চ্যালা, বাঁচা বা টাকি ষোল!
সৌম্য ব্রো সেটা ভাল জানে। সেতো সেখানে একটা মিশন নিয়ে গিয়েছে। শিখেন শিখেন তাঁর কাছ থেকে কিছু শিখেন
রুশীয় মেয়েদের সাথে একান্তে একটু ছোঁয়াছুঁয়ির জন্য বাসা খালি আর ভর্তি কোন ব্যাপার নয়। তবে খানলি বাসায় আলাদা একটা
রোমাঞ্চ আছে
মজাক পাইলাম আপনার রসালো মন্তব্যে ভ্রাতা।
১৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:২৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: শুনে ছি ১৮ বৎসর পার হবার আগেই তাদের
আবেগ নানাহ কর্মকান্ডের মাঝে দুর করে দেয়,
.......................................................................
দেশ পরিচালনার জন্য তারা আবেগ বর্জন বিশ্বাস করে,
আপনার কাছে কি এমন কিছু মনে হয়েছে ???
৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: এমন কিছু শুনিনি বা দেখিনি কখনো।
তবে ১৮ বছর বয়স হলে বাধ্যতামুলক আর্মি ট্রেনিং নিতে হয়- সেই ট্রেনিং এ হয়তো আবেগ টাবেগ দূর হয় কিছুটা।
তবে সেটা ছেলেদের ব্যাপারে প্রযোজ্য মেয়েদের নয়
আমার ব্লগে আপনাকে স্বগতম! মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে- ভাল থাকুন।
১৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: আরেব্বাস- ভৃগু ভাই দেখি নতুন রুপে হাজির- এবারের ছবিখানা জোশ হয়েছে- উল্টো দিক ঘুরে থাকলে সুবিধা হইত
আইিডয়া পসন্দ হইছে
দিলাম ঘুরায়া
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: বহুত আচ্ছা ভ্রাতা- বহুত খুব
এইবার দেখি কেডায় কয় ~হামসাকল
১৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০১
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: প্রতিশোধ শুরু হলো তাহলে। দেখা যাক প্রতিশোধের মাত্রাটা কেমন হয়! ববি কই?
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: এসেছেন তাহলে -হারিয়েছিলেন কোথায়?
মনে হচ্ছে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন??
সৌম্য ভুল করে হয়তো কঠিন প্রতিশোধ নিয়েই ফেলবে। ভাল লাগল আপনাকে ফের পেয়ে
২০| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: বহুত আচ্ছা ভ্রাতা- বহুত খুব
এইবার দেখি কেডায় কয় ~হামসাকল :
উনকা ভি ক্যায়া কাসুর
উস লোগোনে বালোমে ধোঁকা খায়া থা
বাল কি গেহরাইওমে খো গায়া থা
হা হা হা
হিন্দী ’বালে’ বা আওয়ামী (BAL) এ বার ভুল না বোঝে তাই অনুবাদ করে দিই
তাদেরই বা কি দোষ
তারা চুল দেখেই ধোঁকা খেয়েছে
চুলের গভীরতাতেই হারিয়ে গেছে
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ
কি আর করার আসেন হিন্দি আর উর্দুতেই বাত চিত করি
ঠিক বলেছেন বালোমে ধোঁকা খায়া গ্যায়া- বহুত বহুত শুকরিয়া
২১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৪৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার পরিচিত একজন রাশিয়া থেকে ডাক্তারি পাশ করে আসবার পর, আম্রা যাতে না বুঝি তাই এক্স এর সাথে রাশান এ মেসেজ চালাচালি করত। আম্রা ও সেইটা কপি পেস্ট করে ট্রান্সলেট করে নিতাম তবে সমস্যা হত যখন রাশান ভাষা ইংরেজি অক্ষরে লিখত। বাকি ফাস্টক্লাস ছিল
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি!!
তাহলেতো ব্যক্তিগত তথ্য চুরির দায়ে আপনার সাজা পাওনা হয়ে আছে
অনেক মজা পেয়েছেন নিশ্চয়ই? সে কি বোঝেনি কখনো?
২২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১১
অশুভ বলেছেন: প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এত দেরীতে আসার জন্য। গরম গরম বাবনিক মিস করে ফেললাম। এলিনার ভূমিকা ভুলে গেছি। আবার প্রথম খন্ড পড়ে আসি তার পর দ্বিতীয়টা শুরু করি।
২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: কি যে বলেন, আপনি যে এসেছেন এতেই আমি পরম কৃতজ্ঞ!
বাবনিক বরাবরই ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে- একতা পোষ্টের সাথে আরেকটার বড় গ্যাপে গরম হবার সময় পাচ্ছে না।
আমিও আসছি আপনার পিছু পিছু...
২৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রথম পর্ব আর দ্বিতীয় পর্ব এক সাথে পড়ে নিলাম। আপনার দেখার যেমন ব্যাপ্তি আছে-তেমনি উপলব্ধিও দীপ্তিময়। সত্যিই দেখার চোখ অসামান্য। ভালো লাগল।
আমাদের রমিত আজাদ(ডঃ রমিত আজাদ, প্রফেসর এপ্লাইড ফিজিক্স, এআইইউবি,(এক্স ক্যাডেট) রাশিয়া থেকে পড়াশোনা করেছে। রমিত রাশিয়া নিয়ে অনেক লিখে-ওর সাথে পরিচয় আছে? একদা সামু ব্লগেও নিয়মিত লিখতো।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: লেখালেখি মারফত রমিত ভাইয়ের সাথে আমার বেশ যোগাযোগ ছিল সামুতে। উনি আমার সিনিয়র। তবে আমার মত করে রাশিয়ার এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্ত
যাযাবরের মত ঘুরে ঘুরে সাধারন মানুষ ও পরিবারের সাথে মেশার সুযোগ তার হয়নি।
তার লেখা অন্য ধারার।
ভাষাগত, বানান, ও ব্যাকারনগত দুর্বলতা আমার অপরিসীম, সেজন্য যা চাই যেমন করে চাই তা ঠিকভাবে লিখতে পারিনে। লিখে যাচ্ছি আটপৌড়ে স্টাইলে। অনেকের ভাল্লাগে অনেকের লাগেনা তাই এড়িয়ে যান।
ভাল লাগল আপনার একসাথে এতগুলো মন্তব্যে পেয়ে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
সোভিয়েত ভাংগার( ১৯৯৩ সাল) সময় আপনি ওখানে ছিলেন?