নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
দস্তয়ভস্কি,তলস্তয়,চেখভ পড়ে আমাদের অনেকেরই ধারনা ছিল যে রুশ সমাজে নিচু শ্রেণীর কিছু নারী বাদে বাকি সবাই ঘর সামলানো সাজগোজ পার্টি সন্তান উৎপাদন পুরুষদের মনোরঞ্জন নিয়ে ব্যস্ত থাকে(লেখাগুলো বেশীর ভাগই ছিল কমিউনিজম আমলের আগেকার)। কিন্তু আমি গিয়ে দেখলাম অন্য এক রাশিয়াকে।
যেখানে সমাজের মুল চালিকা শক্তিই নারী। যুদ্ধ বিগ্রহ,পুরুষ সন্তানের প্রতি অনাগ্রহ আরো বেশ কিছু কারণে রাশিয়াতে আনুপাতিক হারে নারীর সংখ্যা এমনিতেই বেশী ছিল।তবে আমার প্রিয় শহর তাম্বুভে তুলনামূলক এই সংখ্যাটা মনে হয় আরো বেশী।
সারারাত তুমুল বরফ ঝড় হয়েছে –সবকিছু বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে গেছে – জীবনযাত্রা বন্ধ হবার উপক্রম।আপনি হয়ত ঝড়ের তাণ্ডব শুনে দুপুর অবধি কম্বল ছেড়ে বের হতে চাইছেন না। দিনের পাতলা আলোয় জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখুন। দেখুন রুশ নারীদের কর্ম তৎপরতা! কত রমণী এই ভয়ঙ্কর আবহাওয়া উপেক্ষা করে এমন কঠিন শীতে ভারি পোষাক পড়ে বেলচা হাতে রাস্তা থেকে বরফ সরিয়ে দিচ্ছে। স্কুল কলেজের শিক্ষিকা থেকে শুরু করে দারোয়ান,বাস, ট্রাক, ট্রেনের ড্রাইভার সব পেশাতেই মেয়েরা ছিল-দিন কি রাত উদয়াস্ত তারা খেটে চলছে। কোথাও তাদের কোন বৈষম্যের হতে হয়েছে বলে আমার জানা নেই। বরঞ্চ মেয়েদের দাপটে পুরুষরাই কোণঠাসা হয়ে ছিল!পরিবার সমাজ রাষ্ট্র সবকিছুর দায়িত্ব যেন নিজেদের কাঁধে তুলেছিল মেয়েরা। সংসারের সব কর্তৃত্ব আর দায়িত্বই যেন ছিল তাদের হাতে।
আড়াইশ পাউন্ড ওজনের এক পৌঢ় মহিলা ঠোটে চকচকে লাল লিপস্টিক লাগিয়ে উঁচু হিল পরে বাসে ধরতে দৌড়াচ্ছে এ দৃশ্য হরহামেশাই চোখে পড়ত।
আমরা রাস্তা হারিয়ে ফেলল বা কোন বিপদে পড়লে সাহায্য চাইতাম কোন নারী বা পৌঢ়ার কাছে। তাদের মমত্ববোধ ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার সহজাত প্রবৃত্তি নারী জাতির প্রতি শ্রদ্ধা আমার অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল।
রুশ পরিবারে কোন বিধিনিষেধ না থাকার পরেও প্রায় সবারই একটা সন্তানের বেশী নেবার আগ্রহ দেখা যায় না। তবে দুটো তিনটে থেকে শুরু করে বারোটা পর্যন্ত সন্তান নিয়ে থাকা পরিবারও দেখেছি আমি। একটা সন্তান সেটা ছেলে বা মেয়ে হোক তা নিয়ে কাউকে আফসোস করতে দেখিনি। মায়েদের কাছে বরংচ ছেলে সন্তানের থেকে মেয়ে সন্তানের গ্রহণযোগ্যতা বেশী ছিল।
কুমারী মাতা স্বামী পরিত্যক্তা তালাক প্রাপ্ত বিধবা ছিল অগুনতি। পুরুষের সহযোগিতা ছাড়াই এইসব নারীরাই মূলত তাদের সন্তানকে আগলে রেখে পরিবারটা টিকিয়ে রাখত বাকি জীবন। মেয়েদের সাথে মায়েদের এমন হৃদ্যতা আমার ধারনা পৃথিবীর অন্য কোন দেশে তেমন করে চোখে নাও পড়তে পারে। মা মেয়ের কি দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। এমন দৃশ্য বিরল ছিলনা মা মেয়ে দুজনেই তাদের বয়-ফ্রেন্ড নিয়ে একই ছাদের নীচে মাসের পর মাস কাটাচ্ছে পুরুষ সঙ্গী পরিবর্তন করছে অথচ কারো কোন অভিযোগ নেই। মা মেয়েদের পরামর্শ দিত- প্রভাব বিস্তার, করত কিন্তু স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করত না। মেয়েরাও মা ন্যাওটা হয়ে থাকত সব সময়। পিতৃহীন সমাজটাকে তারা মেনে নিয়েছিল অবলীলায়। কোন অভিযোগ অনুযোগ ক্ষোভ ছিলনা কারো। আমার যতদূর মনে পড়ে স্কুল কলেজ চাকরিতে শুধু মায়ের নাম দিলেই চলে পিতৃ পরিচয়ের প্রয়োজন পড়েনা।
আমাদের ইন্সটিটিউটের অতি প্রিয় শিক্ষিকা তাতিয়ানা পাবলানা রুশ ভাষা শিক্ষার কোর্স শেষ করার পরে বার বার অনুরোধ করেছিলেন সবার মেয়ে বান্ধবী যোগাড় করার জন্য বা মেয়েদের সাথে বেশী বেশী মেশবার জন্য- কেননা একমাত্র নারীরাই পারে শিশুর মত করে অতি যত্নে কাউকে ভাষা শেখাতে।
কোন সমস্যা নেই -নেই কোন মান অভিমান কিংবা বাগ বিতণ্ডা! মা আর যুবতী মেয়ে তাদের পুরুষ সঙ্গী নিয়ে পাশাপাশি রুমে রাত কাটাচ্ছে-এই দৃশ্য অতি সাধারণ ছিল! কেন যেন মেয়ে সন্তান থেকে ছেলে সন্তানদেরকে মায়েরা একটু বেশী শাসন করত-হয়ত সহজেই তারা উচ্ছন্নে চলে যেতে পারে সেই ভয়ে!
১৮ বছর বয়সে পাগল আর অসুস্থতা ব্যতীত সব রুশ যুবকের আর্মি ট্রেনিং বাধ্যতামূলক ছিল(এখনো আছে কিনা জানা নেই- শুধু রাশিয়ায় নয় পরে জেনেছি অনেক দেশেই এই রকম আইন আছে।)। ট্রেনিং এর সময়টাতে কোন যুদ্ধ বেঁধে গেলে সেখানে তাদের অংশগ্রহণও বাধ্যতামূলক ছিল!
আর্মি ট্রেনিংটা আমি কেন সবাই-ই সাপোর্ট করে। একজন পুরুষের শারীরিক গঠন ও কর্ম তৎপরতার জন্য এমন একটা ট্রেনিং এর প্রয়োজন আছে- কিন্তু যুদ্ধ বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। আর এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় সোভিয়েত ইউনিয়ন হারিয়েছে শত সহস্র সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ টগবগে তরুণদের। মায়েরা হারিয়েছে একমাত্র সন্তানদের। রুশ মায়েদের পুরুষ সন্তানের প্রতি অনাগ্রহতার মনে হয় এটা একটা বড় কারন।
রুশ সমাজে ধর্ষন অপহরণ একরকম ছিলনা বললেই চলে(আমি তেমন কখনো শুনিনি)। তাই মায়েদের মনে ভয় কিংবা শঙ্কা ছিলনা তেমন!মেয়েদের তারা ঘরে একা রেখে কিংবা বাইরের দুনিয়ায় নিশ্চিন্তে নিঃসঙ্কোচে পাঠাতে পারত!মেয়েদের যত ভয় তাদের শরীর নিয়ে –রুশ নারীরা শরীর নিয়ে অত ভাবিত ছিল না কোন কালে। শুচি-অশুচি আর ভার্জিনিটি নিয়ে তারা কখনো ভাবেনি বিশেষ। কাউকে ভাল লাগলে বিছানায় যেতে দ্বিধা নেই-হোক সেটা প্রথম দিনেই। সমস্যা কি- বিষয়টা নিয়ে বেশী ভাবলেই সমস্যা-কোন কিছু না ভেবে উপভোগ কর।
রাশিয়ার বেশীরভাগ পুরুষেরা অন্যান্য পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মত নারীদেরকে মুখ্যত ভোগের সামগ্রী মনে করত যা আমাকে বরাবরই বেশ পীড়া দিয়েছে। কিন্তু প্রেমের প্রথম পর্বে ওরা এত বেশী আদিখ্যেতা করে যা দেখে গা জ্বলে। ঢলাঢলি গলাগলি চুম্বন লেহন আর বিপরীত লিঙ্গের প্রতি মমত্ববোধ দেখে মনে হয় পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রেমিক জুটি!
আর মেয়েরাও তেমন। আমর ধারনা,রুশ নারীরা আর সব ব্যাপারে বিচক্ষণ হলেও প্রেম আর যৌনতার ব্যাপারে তারা ভীষণ বোকামির পরিচয় দেয়। ভাল করে পরিচয় পর্বের আগেই শারীরিক সম্পর্ক ওদের প্রণয়ের শুরুতেই গোল বাঁধিয়ে দেয়।
ওরা শরীর দিয়ে মনকে বাঁধতে চায়-যেটা নিঃসন্দেহে বোকামি। তবে ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়-ছেলে মেয়ে দু-পক্ষেই উল্টো চরিত্রের খুঁজলে গুটিকতক মিলবে। তির্যক চাহনি,বক্র হাসি,ভ্রুর নাচন আর ধরা দিতে গিয়ে না দেয়ার যে দারুন স্নায়বিক উত্তেজনা। হৃদয়ের প্রগাঢ় বন্ধনের পর প্রিয়ার শরীরের সামান্য স্পর্শের যে স্বর্গীয় অনুভূতি-সেটা ক’জনের ভাগ্যে জোটে খোদা জানে।
পেরোস্ত্রোইকার পরবর্তী কয়েকবছর সময় সারা রুশ জাতিই দিকভ্রান্ত ছিল। কি উপায়ে প্রকাশ করলে মনের সত্যিকারের স্বাধীন ভাবটা ফুটিয়ে তোলা যাবে এই ভেবে পুরো যুব সমাজ ছিল দিশেহারা। আর বয়স্করা তাল মেলাতে না পেরে ঝিম মেরে ছিল।
নতুন ধরনের চলচ্চিত্র আসছে,অন্যরকম সুর আর কথার মেলবন্ধনে কিছু ভাল আর কিছু উৎকট গান। হাটা চলা কথা পোশাক খাদ্য রুচি সবকিছুতেই দ্রুত পরিবর্তনের ছোঁয়া। এত দ্রুত যে বেশীরভাগই তাল মেলাতে না পেরে হোঁচট খাচ্ছে।
টিভি চ্যানেলগুলো কি করবে-দর্শকদের কি দেখাবে খুঁজে না পেয়ে ঝুঁকে পড়ল নিত্য নতুন ভিডিও গান প্রচারে।
গায়ক কিংবা গায়িকা এলোমেলো সুর লয়ে উৎকট মিউজিকের সাথে স্বল্প বসনার গাদা গাদা মেয়েদের(ছেলেরাও থাকত কমবেশি) লম্ফ ঝম্প-ই ছিল সেই সব ভিডিওর মুল আকর্ষণ।
ঠিক সেই সময়টাতে রাশিয়ার জনপ্রিয় একটা গান ছিল,
সেক্স সেক্স কাক এতা মিলা
সেক্স সেক্স বেজ পেরেরিভা…
'কাক এতা মিলা' শব্দের অর্থ দারুণ অনুভূতির কিংবা ভীষণ মজার
আর 'বেজ পেরেরিভা' অর্থ বিরতিহীন
গানের কথা খারাপ না ভাল সেই তর্কে আমি যাবনা- ভালবাসা আর সেক্স কে যে যেই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে, সেটা একটা দেশ বা জাতি কিংবা কোন ব্যক্তি বিশেষের নিজস্ব ব্যাপার। তবে সেক্স বিষয়টা ওদের কাছে এত-বেশী খোলামেলা সাদামাটা ছিল যে শরীর থেকে মনের দূরত্ব বড্ড বেশী মনে হত।
আমি নারী পুরুষ অনেকের মুখেই শুনেছি- বিশেষ করে নারীদের মুখেই বেশী,
স্পাতস ম্বোজ্বনা স্ ম্নোগম নু লুবভ ম্বোজ্বনা স্ আদনোম।
অনেকের সাথেই বিছানায় যাওয়া যায় -কিন্তু ভালবাসা যায় একজনকেই।
আহা কি মহান বাণী! শুনলে শরীর জুড়িয়ে যায় !
পুরো সোভিয়েত ইউনিয়নে একটা প্রবাদ প্রচলিত ছিল এক সময়;
ইয়েস্তে তাকোই জ্বেনসিনা ইখতো নি স্পালি স্( উচ্চারণ হবে খুব ছোট করে ‘এস’) দ্রুগোম -কাগদা ইম মুশিনা বিলি ভায়োন্নে? есть ли женщины, которые никогда не спала с другим, когда те, муж был на войне
কথাগুলো ছিল নারীদের জন্য ভীষন অবমাননাকর। ভাবখানা এমন যে সুযোগ পেলে পুরুষেরা নারী সান্নিধ্যে যায়না।
‘আছে তেমন কোন রমণী যে, অন্য পুরুষের সাথে বিছানায় যায়নি -যখন তাদের স্বামীরা ছিলেন যুদ্ধে?’
তবে এই কথা শুনে কোন নারীর ঠোট বাঁকাতে দেখিনি। তারা যেন কথাগুলো উপভোগ-ই করত।হেসে বলত, হতে পারে।
সেক্স আর এমন কি বিষয় –এই নিয়ে হল্লা –চিল্লা করার কি আছে। হুম ভালবাসা বটে একখানা জিনিস- তারাতো সেক্স করেছে ভাল-তো বাসেনি?
এটা অনস্বীকার্য যে রুশ নারীরা ভালবাসার জন্য বুভুক্ষু ছিল! তারা যেকোনো উপায়ে –অনেক ত্যাগের বিনিময়ে তার প্রিয়জন তাকে ভাল বাসুক এইটেই কামনা ছিল।কিন্তু প্রায়ক্ষেত্রেই তারা অসফল হত। রুশীয় নারীরা ইউরোপের অন্য যেকোনো নারীদের তুলনায় অনেক বেশী আবেগপ্রবণ। অল্প কষ্টেই ওরা মন-খুলে কাঁদতে পারে।আর রুশীয় পুরুষদের একটা বড় অংশ বরাবরই তাদের সেই আবেগ আর ভালবাসার মূল্যায়ন করেনি। শরীরটাকে যদ্দিন ভাল লেগেছে তদ্দিন মনের খোরাক মিটিয়েছে। শরীরের আবেদন শেষ-তো ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে তাদের দৃষ্টিতে সস্তা ভালবাসাকে।
ভারতীয় বাস্তব বিবর্জিত ভালবাসার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ বা হরহামেশা জান দিয়ে দেয়া চটুল কাহিনী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো দেখে কিছু অংশের ধারনা জন্মেছিল যে সত্যিকারে ভালবাসতে পারে এরাই। এই ভেবে কেউ কেউ ঝুঁকেছিল ভারতীয় তথা আমাদের দিকেও। কেউবা একটু ভাল খাবার বা পোশাকের আশায় কিংবা নতুনত্বের খোজে।
যেই পুরুষ পয়সা দিলেও পতিতাও(!) ফিরিয়ে দেয়- তাদের হাতে ধরা দিল দুর্দান্ত সব অপ্সরীরা। স্বপ্নের ঘোর কাটতেই তারা তাদের জাত দেখাল!
কেউ কেউ ক্যালেন্ডারের পাতায় ত্রিশ দিনে ত্রিশটা নাম লেখে কেউবা আরেক কাঠি সরেস নারী শরীরের খাঁজে খাঁজে আরো কোন বিস্ময় লুকিয়ে আছে কিনা সেই খোজা মত্ত অবস্থায় অন্যজনের করাঘাত! একে জানালা দিয়ে ভাগিয়ে দরজা খুলে হাসিমুখে সদ্যাগতাকে সম্ভাষণ।
খোলামেলা বললে অনেককিছুই বলা যায়। এগুলো যদি নোংরামি হয় তবে তা দেখে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। পাঠকের স্নায়ুকে আঘাত করা আর ঠিক হবেনা বলে আর কিছু না লিখে ক্ষান্ত দিই।
একটা মাত্র শ্যাম্পেন যা ডলারে চার পাঁচ বোতল পাওয়া যেত সাথে ফুল কিংবা একটা পাউরুটির মূল্য দিয়ে নির্ধারণ করা হত এক রুশ নারীর শরীরের মূল্য! ভালবাসার ছলনায় ভুলে কতশত রুশীয় নারীরা তথাকতিথ ভারতীয়(পাকিস্তান নেপাল বাংলাদেশ সহ)কর্তৃক অন্তঃসত্ত্বা এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছে তার কোন ডাটা কারো কাছে নেই।
তাইতো একসময় বলতাম,‘সুযোগের অভাবে সব শালাই(!) চরিত্রবান।’
সদ্য রাশিয়া ফেরত আমার এক বন্ধুর কাছে রাশিয়ার হাল হকিকত জানতে চাইলে সে এক পর্যায়ে বলল,সেই দিন আর নাইরে-কোন ফকিনন্নিও ফিরে তাকায় না!
---------------------------------------------------
*এর মানে এই নয় যে রুশীয় নারীরা এত বেশী সহজলভ্য ছিল।এগুলো ঘটত মূলত হোস্টেলগুলোতে-যেখানে নারী পুরুষের অবাধ স্বাধীন বিচরণ!কেউ কেউ বহু চেষ্টাতেও রুশ জীবনে একটা বিগতা যৌবনা নারীর সান্নিধ্যও পায়নি( বিশেষ করে অন্য দেশে যাবার ধান্দায়-যাকে বলা হয় ডাঙ্কির জন্য যারা রাশিয়াকে ট্রানজিট হিসেবে বেছে নিত, কেউ কেউ ওখানে দু-চার পাঁচ বছরও কাটিয়েছে)। মূলত; ছাত্র নামধারী অর্থবানদের বখে যাওয়া সন্তানরাই এসবের সাথে জড়িত ছিল।
~মুল লেখার সংক্ষিপ্তাকার~
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে-
চেষ্টা করেছি আমার দেখা রুশ সমাজের নারীদের সত্যিকারের অবস্থা বা চালচিত্র ফুটিয়ে তুলতে
কতখানি সঅফল হয়েছি জানি না। কিছু বিষয়ে হয়তো অনেকের দ্বীমত থাকতে পারে।
কিন্তু আমার মনে হয়েছে ওরাও এমনটাই ভাবে
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পুরো লেখা পড়ে যা বুঝলাম যে রাশিয়ানরা ব্যভিচারকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে বা নিয়ে গিয়েছিলো। রাশিয়ান পুরুষদের জন্য মনে হয় রাশিয়ান নারী মোটামুটি সুলভ ছিল/ আছে। কোন জিনিস বেশী সুলভ হোলে আকর্ষণ কমে যায়। এই কথাগুলি আমার মত একজন ভেতো বাঙ্গালীর রাশিয়াকে বোঝার প্রয়াস মাত্র। আপনি ভালো বলতে পারবেন। তবে অনেক কিছু জানার আছে আপনার পোস্ট থেকে।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা আপনার মন্তব্যের জন্য,
দেখুন যে যেই দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখে। আমি উদার যৌনতাকে পজেটিভলি নিয়েছি
প্রথমত যে সমাজে দিনে কি রাতে কোন মেয়ের শ্লীলতাহানি বা অপহরণের ভয় যদি না থাকে তবে নিশ্চিতভাবে সেটা নারীদের জন্য
স্বর্গরাজ্য বটে। তদুপরি রাশিয়ান মেয়েরা খুব বেশী অবলা নয়-ছেলেরা খুব বেশী তেদের ঘাটাতে সাহস পায়না। তবে এখন সবকিছু
পাল্টে গেছে। সবাই প্রায় সেখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। ক্যাপিটালিজম সাথে করে অনেক রোগ আর দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে।
আপনি বেশ ভালই বোঝেন- বই পত্রের জ্ঞানতো বেশ সুগভীর। বাস্তবিক অভজ্ঞতা নেই দেখে এই কথা বলছেন।
সামনের দিনগুলোতে আরো অনেক কথা হবে। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি সেখানে প্রবাসী হিসেবে ছিলেন; আপনি যে, সেই সমাজকে পুরোদমে বুঝতে পেরেছেন, তা পুরোপুরি সঠিক নয়।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০১
শেরজা তপন বলেছেন: সেটা নিশ্চিত পুরোপুরি সঠিক নয়। আমি সমাজের একদম মুলে ঢুকতে পারি ন!
সেটা দু-চার দশ বছরে একজন আগে থেকে ভাষা না জানা প্রবাসীর জন্য অসম্ভব!
তবুও আমি চেষতা করেছি আমার দৃষ্টিকোন থেকে- দ্বীমত বা সমালোচনা থাকতেই পারে। একদম মুলে প্রবেশ করেও অনেকে ভুল বোঝে, ভুল জানে, ভুল তথ্য দেয়
ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
২ নং মন্তব্য কি আপনার লেখার উপর নির্ভর করে লিখলো, নাকি এমনিতে কিছু একটা ছেড়ে দিলো?
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১১
শেরজা তপন বলেছেন: আমার ধারনা উনি বেশ পড়াশুনা করেন
কিছু ব্যাপারে অল্প সল্প গোঁড়া হলেও সদাশয় ভাল মানুষ( ধারনা করছি)। না পড়ে উনার মন্তব্য করার কথা নয়।
৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটা সঠিক যে, সোভিয়েতের সময় নারীরা ছিল পরিচালকের সীটে; সোভিয়েত ভাংগার পর, বেশ কয়েকটি দেশে ( বিশেষ করে ইউক্রেন, উজবেক,বেলারুশ ) অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয়ে মেয়েদের সন্মানের হানি ঘটেছে। এরপরও সেসব দেশে নারী পুরুষের সম্পর্ক ( এমন কি শারীরিক ) নীচু মানের নয়, যা ২ নং মন্তব্যকারী বলতে চেয়েছেন।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: উনার বক্তব্য উনি উনার দৃষ্টিভঙ্গী থেকে দিয়েছেন- খুব বেশী নোংড়া মন্তব্যে করেছেন বলে মনে হয় না।
আপনার সমসাময়িক হলে হয়তো আরেকটু ভেবে-চিন্তে বলতেন
আমি আপনার কথাই বলতে চেয়েছি- রুশ বলতে আমি সোভিয়েত ইউনিয়নকে বোঝাতে চেয়েছি।
৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫
সাসুম বলেছেন: সুন্দর লিখা!!
বাই দা ওয়ে,বাংগালি মজিদ গুস্টি সব কিছুতেই সেক্স আর সেক্স খুজে পায়। আপনার লিখায় পাইলেও অবাক হব না।
রাশিয়ান পুরুষ রা সেক্স বুঝলেও ভালোবাসা বুঝত না। সত্য।
রাসিয়ান দের সাথে মিশার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, রাশিয়ান মেয়েগুলো অনেক টা প্রেমিকা শ্রেনীর হয়।
আর কিছু পারুক আর না পারুক- হাতে সিগারেট মুখে ভদকা!
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২১
শেরজা তপন বলেছেন: আমার বল্গে আপনার আগমন আমার জন্য দারুব আনন্দের!
লেখার প্রশংসা করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
কিস্যু করার নাই - আমরা যতদিন সেক্স বিষয়টা নিয়ে যতদিন আমরা কঠিন পর্দার আড়ালে রেখে ফিসফিস করে গল্প করব তত
আমরা বিষয়টা নিয়ে ক্রেজি হয়ে পড়ব।
রাশিয়ার বসবাসকারী রাশিয়ান আর বাইরের দেশে মাইগ্রেট করা বা কর্মসংস্থয়ানের জন্য যাওয়া রাশিয়ানদের মধ্যে একটু
ভিন্নতা আছে।
রাশিয়ার বাইরে থাকা রাশিয়ান মেয়েরা একটি বেশী উসৃঙ্খল বলে আমার মনে হয়েছে। বেশীরভাগ রাশিয়ান মেয়েরা প্রচুর
সিগারেট খায়। তবে একটু ভদ্রগোছের মেয়েরা ভদকার পরিবর্তে ওয়াইন, লিক্যোর বা শ্যম্পেন পান করে।
ভাল থাকুন
৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
@সাসুম ,
আপনি রাশান মেয়ে কোথায় দেখলেন?
৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৭
সাসুম বলেছেন: @গাজিসাব
বাসার নীচে রাশিয়ান বার। রেগুলার কাস্টমার গত ২.৫ বছর ধরে। অফিস শেষে আড্ডা সেখানেই। ভদকা খাওয়ার কায়দা কানুন রাশিয়ান মেয়েদের থেকে শিখেছি কিনা।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: বাঃ বেশ ভাল জিনিস শিখেছেনতো ভ্রাতা! ফ্রি-তে খাওয়াতে হয় নাকি ?
৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
@সাসুম,
কোন দেশের কোন শহরের বারের কথা বলছেন?
১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭
সাসুম বলেছেন: @গাজিসাব
হংকং এ রুম্মেট ছিল রাশান।
এখন চায়নার শেঞ্জেন আছি-
এখানে সিবিডি ( সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট) এ আমার অফিসের নীচে এক বিশাল রাশান বার।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২
শেরজা তপন বলেছেন: @সাসুম শেন্জেনে কত সাল থেকে আছেন। আমি ২০১০ তে গিয়েছিলাম।
মোবাইলে আছি বলে মন্তব্যের উত্তর দিতে পারছিনা। সামু যে কেন এ সমস্যার সমাধান করে না ??
১১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
@সাসুম,
জেনে নিয়েন তো, ওগুলো কি রাশান, নাকি ইউক্রেনের ইহুদী!
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: জনাব চাঁদগাজীর কথায় যুক্তি আছে। রাশানরা মাইগ্রেটেড কম হয়েছে- ইহুদীদের সংখ্যা বেশী
১২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
@সাসুম,
আপনি চীনে কি করছেন?
১৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫২
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: তৎকালীন সমাজব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ান নারীদের অবস্থা তুলে ধরেছেন। তখনকার সংস্কৃতি সম্পর্কেও ধারণা পেলাম। এখন নিশ্চয়ই সবকিছু বদলে গিয়ে আধুনিক ইউরোপের সংস্কৃতির দিকে ঝুঁকেছে তারা হয়তো।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: তাতো অবশ্যই আমি রাশিয়ান সমাজের নব্বুই দশকের অবস্থা তুলে ধরার চেস্টা করেছি
এখন সব আমুল পাল্টে গেছে নিশ্চিত। ফের যেতে হবে
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে তমাল ভাই বরাবরের মত সাথে থাকার জন্য।
ভাল ও সুস্থ্য থাকুন।
১৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪
শাহ আজিজ বলেছেন: রাশিয়া যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন এর আয়ত্তে ছিল ৮০ তে তখন প্রস্তুতি ছিল মস্কোতেই যাব উচ্চ শিক্ষার জন্য । চীনা বৃত্তি এলে আমার শিক্ষক বললেন এটাতেই যাও । আরেকজন বলল রাশিয়ায় যে চান্স পাবে তার কোন গ্যারান্টি নেই , প্রথম যেটা আসে সেটাই ধর । ৬ দিনের ট্রেন জার্নি করে মস্কো যাব এমন স্বপ্ন দেখতাম । হয়নি , তবে সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নতিতে চীন যে শো ডাউন করেছে তা আমার জীবনের শিক্ষণীয় বিষয় । রাশিয়ার মেয়েরা স্বর্গের অপ্সরীর থেকেও সুন্দর । পৃথিবীতে এই একটা জাতি আছে যাদের রাজসিক সন্মান দিতে রাজী ।
ভাল লাগলো রাশিয়ার গল্পে।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: ভুল করেছেন মনে হয় রাশিয়ায় না গিয়ে। আমারতো মনে হয় পাঁচ বছরে পঞ্চাশ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছি
তবে নব্বুইয়ের ওই দশকের কথা ভিন্ন ছিল। পুরো সমাজ রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙ্গেচুড়ে নতুন করে তৈরি করা সে এক মহাযজ্ঞ!
তবে আপনি চীনের উত্থানের সময়কার অনেক কিছুর সাক্ষী এটা অনস্বীকার্য!
স্বর্গের অপ্সরী আমি দেখি নাই তাই কেমন রুপ বলি কেমনে- তবে রাশিয়ান থেকে কিয়েভের মেয়েরা বেশী সুন্দরী। ওদের গায়ের
রঙ, পেলবতা কমনীয়তা অন্য মাত্রার!
ধন্যবাদ শাহ আজিজ ভাই ফের আমার ব্লগে এসে লেখা পাঠ করে মন্তব্যের জন্য।
১৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২১
সাসুম বলেছেন: @শাহ আজিজ ভাই! রাশিয়ান মেয়েরা হুর পরীর চেয়ে সুন্দর
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: দুইটারে পাশাপাশি রাখতে পারলে ভাল হইত
(বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ. খুঁজিতে যাই না আর)
১৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পুরো লেখা পড়ে যা বুঝলাম যে রাশিয়ানরা ব্যভিচারকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে বা নিয়ে গিয়েছিলো।
-ইহা উনার পড়াশোনার স্বাক্ষর? আসলে, কুপের ব্যাঙ
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কাছে আমার সদয় অনুরোধ চাঁদগাজী ভাই, আমাকে নিয়ে যা খুশী বলুন।
আপনারা সবাই আমার কাছে দারুন সম্মানিত। দয়া করে আমার পোষ্টে অন্য ব্যক্তিবর্গকে হেয় করবেন না
১৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্ম মানলে মানুষ মানুষকে গোঁড়া কেন বলে এটা আমি বুঝি না। আমি ধর্ম সঠিকভাবে মানার চেষ্টা করি। কেউ যদি বলে আমি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করি সেই ক্ষেত্রে তাকে আমি এই ব্যাপারে বিতর্কে আহবান করতে রাজি আছি। কারণ মিথ্যা অপবাদ খুব খারাপ লাগে। ধার্মিক আর গোঁড়া আসলে এক জিনিস না। গোঁড়া বলতে বুঝায় যে ধর্মের অপব্যাখ্যা করে এবং সেই অনুযায়ী ধর্ম পালন করে। আমি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করি এটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না বলে আমার বিশ্বাস।
আপনি আমার পক্ষেই বলার চেষ্টা করেছেন, এটা ঠিক। এই জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আমাকে গোঁড়া বলা মানে আসলে আমাকে বুঝতে না পারা অথবা ধর্মকে বুঝতে না পারা। কে কিভাবে জীবন যাপন করবে এটা যার যার ব্যাপার। পশ্চিমের দেশ আমি না দেখেলেও কিছুই জানি না বা বুঝি না এমন না। যারা বিদেশে থাকে তারা মনে করে এই দেশের সব মানুষ গণ্ডমূর্খ। চাঁদগাজীর কথায় মনে হয়েছে। উনি ব্লগে দেশী এবং প্রবাসী ব্লগারদের দুই দৃষ্টিতে দেখতে চান। এই ব্যাপারে উনি আলাদা পোস্ট দেন। এই ধরণের বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি মানুষের অহংকার নির্দেশ করে। ব্লগে একজন মানুষের লেখার ভিত্তিতে তাকে মূল্যায়ন করা উচিত। সেই ব্যক্তি লন্ডন থাকে না আমতলি থাকে এইটা বিষয় না। আমি আপনাকে আঘাত করে কিছু বলতে চাই নাই। ভালো থাকবেন।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে গোঁড়া বলার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি
কষ্ট পেয়ে থাকতে ক্ষমাপ্রার্থী!
আপনিও ভাল থাকুন -সুন্দর থাকুন।
১৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: রুস নারী সমাজ সম্পর্কে একতরফা একটি ধারনা পেলাম।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা এটা একতরফাই বটে।
এই পোষ্টে যে কোন ভুল ধারনা ও আলোচনার জন্য আমার জানা দেখা বোঝার সংকীর্নতা দায়ী
পোষ্টে আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ- ভাল থাকুন।
১৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪১
কামাল১৮ বলেছেন: আপনি কি কমিউনিষ্ট রাশিয়া দেখেছিলেন?
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: আমি সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙ্গনের সময়ে ওখানে ছিলাম
ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাবার পরেও প্রায় তিন বছরের অধিক সময়- কম্যুনিস্ট শাসনামলের মতই চলছিল।
২০| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষের কাছে এই লেখা সহজে হজম হওয়ার কথা না । এই লেখা পড়েই তাদের মনে হবে হায় হায় ঐ দেশের মেয়েরা এতো খারাপ !
আপনার রাশিয়ার স্মৃতি গুলো লেখা আমার বেশ লাগে । নিয়মিত এই স্মৃতি গুলো লিখতে থাকুন ।
পোস্টে প্লাস ।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন ভাই- আমাদের দেশের আম জনতার কথা বলতে পারিনা তবে ব্লগারদের হজমশক্তি এখন যে কোন সময়ের থেকে উত্তম
মনে হচ্ছে।
কোন প্রকার বদহজম ব্যতিরেকেই অনেকে অনেক সিরিয়াস বিষয় নিয়ে খুব ঠান্ডা মাথায় আলোচনা করে যাচ্ছে
জেনে ভাল লাগল। চেষ্টা করছি নিয়মিত তখনকার সময়ের স্মৃতিকথা লিখতে।
আন্তরিকতার সাথে সাথে থাকবার জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ। ভাল থাকুন নিরন্তর!
২১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫২
সোহানী বলেছেন: অসাধারনভাবে লিখেছেন রুশ সামজকে নিয়ে।
রাশিয়াতে যাওয়া হয়নি কিন্তু কাছের ক'জন বন্ধু-বান্ধব রাশিয়ান। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শুনেছি। এক সময় রাশিয়ান মেডিকেলে পড়ার ক্রেজ তৈরী হয়েছিল আপনার নিশ্চয় মনে আছে। সে সময় ক'জন আত্বীয় সেখানে পড়তে যেয়ে রাশিয়ায় স্যাটেল হয়। তাদের কাছ থেকেও অনেক কিছু শুনতাম।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: *অফটপিক
আপনার পোষ্টে গিয়ে চুপি চুপি একটা লাইক দিয়ে ভেগেছি। মন্তব্য করলেই জেরার সম্মুখিন হতে হোত
আজকে রকমারিতে গিয়ে দেখলাম আউট অফ স্টক ! পুরোটা পড়ে মন্তব্য করতে চেয়েছিলাম!
হ্যা অনেকেই সেইসময় রাশিয়াতে পড়াশুনার জন্য গিয়েছিল- মানে অনেকেই, কয়েক হাজার হবে। সেই ভিড়ে আমিও ছিলাম
অন্য এক বন্ধুর প্ররোচনায় গিয়েছিলাম ওখানে। প্রথম প্রথম মনে হোত ভুল করেছি- ধীরে ধীরে ভাল লেগে গেল, ভীষণ ভাল!
সেই ভালোর মায়া আর ছাড়াতে পারছি না।
এই লেখায় প্রথম নারী মন্তব্যকারীকে সবিশেষ ধন্যবাদ। ভাল থাকুন
২২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বেশ তথ্যপুর্ণ বিশ্লেষনাত্বক একটি লেখা । রুশ সমাজের নারী চিত্র সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে ।
তবে সেখনকার নারীদেরকে নিয়ে নেতিবাচক অলোচনা দেখা যায় অনেক জায়গাতেই।
মনে পড়ে বছর তিনেক আগে বিবিসির একটি অনলাইন সংবাদ ভাষ্যে দেখেছিলাম
বিশ্বকাপ ২০১৮ কে সামনে রেখে রুশ নারীদের নিয়ে হয়েছিল ব্যপক আলোচনা ।
রুশ নারীদের সম্পর্কে অবমাননামূলক প্রচারণার অভিযোগ ছিল দেশটির গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ।
সে সময় ফাস্ট ফুড চেইন বার্গার কিং'য়ের রাশিয়ান বিভাগ রুশ নারীদের পুরষ্কার দেয়ার একটি বিজ্ঞপ্তি
দিয়ে আবার সেটির জন্য ক্ষমাও প্রার্থনা করেছিল।
বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়েছিল কোনো রাশিয়ান নারী বিশ্বকাপে খেলা কোনো খেলোয়াড়ের মাধ্যমে গর্ভবতী হতে
পারলে তাকে ৩০ লাখ রুবল (৩৬ হাজার পাউন্ড; ৪৭ হাজার ডলার) ও সারাজীবনের জন্য বিনামূল্যে হুপার
বার্গার দেয়া হবে।বিজ্ঞাপনটিতে বলা হয়েছিল যে নারী ফুটবলারের জিন শরীরে বহন করবে, সে রাশিয়ান দলের
ভবিষ্যত প্রজন্মের সাফল্যের প্রবর্তক হবে।
এখানে উল্লৈখ্য যে ১৯৯২ সাল থেকে রাশিয়ার জনসংখ্যার বৃদ্ধির হারও ছিল পড়তির দিকে। যার অর্থ প্রতিবছর
মৃত্যুর সংখ্যা শিশু জন্মের সংখ্যার চেয়ে বেশী। কয়েকটি গবেষণা অনুযায়ী এমনও ধারণা করা হচ্ছে যে রাশিয়ার
জনসংখ্যা ১৪.৩ কোটি থেকে ২০৫০ সালে এসে ১১.১ কোটিতে নেমে আসতে পারে। উচ্চ মৃত্যুহার, নিম্ন
জন্মহার ও জীবনযাপনের নিম্নমানের জন্য জনসংখ্যায় হ্রাস ঘটতে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যাহোক, ঐ বিজ্ঞাপনটি দেয়ার পর রাশিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভ তৈরি হয়। বার্গার কিং বাধ্য হয়
বিজ্ঞাপণটি সরিয়ে নিতে। সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে একটি নারীবাদী সংস্থা মন্তব্য করে যে, "আমাদের
সমাজে নারীদের অবস্থানের প্রতিফলন এই বিজ্ঞাপন।" তবে বিজ্ঞাপন ও মিডিয়ায় রুশ নারীদের যৌন
শিকারী হিসেবে উপস্থাপনের চিত্রই ফুটে উঠে।
ক্রেমলিন সমর্থিত গণমাধ্যমের লেখায় রুশ নারীরা কিভাবে 'বিদেশীদের প্রলোভন' দেখাতে পারেন তা
বিশেষভাবে চিত্রায়ন করা হয়। রুশ নারীরা কীভাবে বিদেশীদের প্রলুব্ধ করতে পারেন তা নিয়ে ব্যাপক
বিশ্লেষণও করা হয় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ।
এই ধারার আলোচনাও কিন্তু কমিউনিস্ট পরবর্তী রাশিয়ায় খুব একটা নতুন নয়। নারীবাদী মতবাদ রাশিয়ায়
খুব একটা শোনা যায় না। লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে রাশিয়ান টিভির অনুষ্ঠানগুলো গতানুগতিকের বাইরে খুব একটা
সরব নয় এখনো।এমনকি কোনো অনুষ্ঠান যদি নারীবাদ বিষয়ে একটু সোচ্চারও হয়, সেটিকে রাশিয়ান
ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র বলে সমালোচনা করা হয়। এতকিছুর পরও এসবের বিরুদ্ধে রুশ নারীদের
পক্ষ থেকে খুব একটা প্রতিবাদ দেখা যায় না।পুরুষরা যখন নারীকে দেহসর্বস্ব উপাধি দেয়, তখন নারীরাও
বিশ্বাস করা শুরু করে যে সেগুলোই আসলে সত্যি এবং এটিই নিয়ম।
নারী অধিকার কর্মীরাও বলে থাকেন যে রুশ নারীদের মধ্যে দৃঢ়তার অভাব রয়েছে।
নারী অধিকার কর্মীরা তাই অভিযোগ করেন যে রাশিয়ার আইন 'রুশ নারীদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে দেখার'
ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করে বিদেশীদের।
দেশটির নারী অধিকার কর্মীরা আরো অভিযোগ করেন যে রাশিয়ার গণমাধ্যম নারীদের সম্পর্কে ভুল ধারণা
দেয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। তাই মানুষের কাছে রাশিয়ান নারীদের নতুন ভাবমূর্তি তৈরী করার জন্য
তাদেরকে লড়তে হবে । এমন একটি যুগসন্ধিক্ষনে আপনার লেখাতে ফুটে উঠেছে সেখানকার নারী
সমাজের সত্যিকার অবস্থা এবং তাদের কে নিয়ে সত্যিকার বিষয় উপলব্দি করার কথামালা।
মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।
পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।
শুভেচ্ছা রইল
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: ডঃ এম আলী ভাই,
ধারনা করছি আপনিকিছুটা সুস্থতা বোধ করছেন!
আপনার মন্তব্য সবসময় মন্তব্যকে ছাপিয়ে অনেক বড় কিছু হয়ে ওঠে- আপনার লেখা বাদ দিলেও শুধু মন্তব্য পড়েওযে কত
নিত্যনতুন বিষয় জানতে পারি শিখতে পারি তার ইয়ত্ত্বা নেই।
আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে বেশ একটা বেকায়দায় পরে যাই! নিজের লেখাকে চরম তুচ্ছ মনে হয়!
আপনার সংযোজিত তথ্যগুলো ও রুশ নারিদের নিয়ে যে ব্যাপক নেতিবাচক ধারনা আছে সারা বিশ্বজুড়ে( বিশেষ করে খোদ
রাশিয়াতেই) সেসব জেনে বেশ উপকৃত হলাম। ভবিষ্যতে আমার কোন লেখায় রেফারেন্স হিসেবে প্রয়োজন হতে পারে।
এভাবে পাশে থেকে আন্তরিকতা ও ভালবাসার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আমাদের সঠিক সুন্দর পথ দেখাবেন বলে আশা রাখছি।
ভাল থাকুন- আপনার পরিপুর্ণ শারিরিক সুস্থ্যতা একান্ত কাম্য।
২৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১২
করুণাধারা বলেছেন: আরেকটা যে বর্ণমালায় কিছু লিখেছেন, সেটা কোন ভাষা, রাশান নাকি উক্রানিয়ান? এটা পড়তে পারেন এমন একজন ব্লগার ছিলেন তার নাম মনে করতে পারছি না, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগে আসছেন না। তিনি কিন্তু অনেক সিনিয়র, সত্তুরের দশকে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন। তিনি যদি এখন লিখতেন, তবে সেই সময়ের সোভিয়েত নারীদের কথা জানা যেত... আপনার সময়ের সাথে মিলিয়ে দেখতাম!!
এমনিতে, রাশান বই পড়ে সেদেশের নারীদের সম্পর্কে ভালো ভালো বিশেষণ যুক্ত ধারণা মনে ছিল সবসময়। সেই ধারণায় চিড় ধরে যখন ৯৪/৯৫ সালে দুবাইতে থাকাকালীন সেখানকার পত্রিকা জুড়ে হঠাৎ করে সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরা মেয়েদের ছবি ছাপা হতে লাগলো। শুনলাম প্রতিদিন প্লেন ভরে রাশিয়া থেকে দলে দলে মেয়েরা আসছে দুবাইয়ের সৈকতে গায়ে রোদ লাগাতে!! অদ্ভুত লাগতো দেখে যে দুবাইয়ের জোব্বা ধারী শাসকেরা এদের আগমনকে প্রশ্রয় দিতেন...
আপনার লেখা পড়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলল।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি ব্লগে ভীষণ অনিয়মিত ইদানিং! আপনার মত ব্লগারদের ব্লগে খুব প্রয়োজন
রুশ ও উক্রাইনের ভাষার খুব বেশী পার্থক্য নেই- অনেকটা উর্দু আর হিন্দির মত। কিছু বর্ণ ও ব্যাকারনেও পার্থক্য আছে। আমার
ওই উক্তিটা রাশান।
হ্যা তেমন একজন ছিলেন- তাঁকে দেখছিনা বহুদিন। রমিজ ভাই ও ছিলেন( এখনো লিখেন মাঝে মধ্যে- আমাদের কিছু সিনিয়র)
শুধু দুবাইতে না- এশিয়ার ধনবান প্রায় প্রত্যেকটা দেশে ওরা ছড়িয়ে গেছে। তবে সেখানে খাঁটি মস্কোভিচ বা মস্কোর মেয়েরা
তুলনামুলক কম। ওরা তুলনামুলক গরিব শহর, বেলারূশ, মলদোভিয়ান, কিয়েভের রমণী।
সুন্দরী রমনীদের জন্য ওদের দুয়ার সবসময় খোলা
দারুন এই মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ভাল থাকুন , সুন্দর থাকুন, ব্লগের সাথে থাকুন।
২৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রুশ সমাজ সম্পর্কে চমৎকার গঠনমূলক আলোচনা। ভালো দিক মেয়েদের মায়েদের মমত্ববোধ দিয়ে সমাজকে আগলে রাখা। অসম্ভব কর্মঠ। কোনো কাজকে ছোট না মনে করা।আর প্রেমের ব্যাপারে ভেবেচিন্তে না এগোনো বা কিছুটা খোল্লামখুল্ল প্রেমাবেদন ভালো লাগে নি। অবশ্য সবার সবকিছু ভালো লাগবে এমন কোন কথা নয়। আপনার রুশ শিক্ষিকার প্রস্তাবটি বেশ ভালোো লেগেছে । সবমিলিয়ে যতটা আপনি ওদের ভিতরে ঢুকতে পেরেছেন তুলে ধরেছেন।++
পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২১
শেরজা তপন বলেছেন: অমন ধারার সমাজ ব্যবস্থায় ওরা অভ্যাস্ত হয়ে গিয়েছিল
আমাদের কাছে প্রথমে অস্বাভাবিক মনে হলেও একসময় ভীষণ স্বাভাবিক লাগল। ওই পরিবেশে আপনারও ধীরে ধীরে মানিয়ে
নিতে সমস্যা হবে না।
তাচিয়ানা পাব্লানা আমার দেখা সবচেয়ে স্মার্ট ও চোস্ত ইংরেজী জানা রাশান মহিলা ছিলেন! উনারা জানতেন কিভাবে গাধাদের
পড়াতে হয়
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় পদাতিক ভাই- সবসময় সাথে থেকে আন্তরিক ভালবাসা দিয়ে যাবার জন্য। ভাল থাকুন আপনি।
২৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৪৮
বারবোসা বলেছেন:
শেরজা তপন ভাই,
আপনার ববনিক সিরিজ পড়ছি।রাশিয়া নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি আপনি অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে তুলে ধরেছেন।
আপনি কি আপনার রুশ অভিজ্ঞতা নিয়ে কোনো বই বের করেছেন ইতোমধ্যে?
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: সুপ্রিয় বারবোসা, আপনি কি এই প্রথম আমার কোন লেখায় মন্তব্য করছেন?
সম্ভবত- তাহলে স্বাগতম আপনাকে।
আপনি না বললে জানি হোত না যে আপনি নিয়মিত বাবনিক সিরিজ পড়ছেন- ধন্যবাদ আপনাকে।
এবছরই প্রথমবার আমার একটা বই বেরিয়েছে; রুস্কাইয়া ব্লুদা- নামে
মুলত রাশিয়ার অভিজ্ঞতা নিয়েই বিভিন্ন বিষয়ের উপরে ছোট ছোট নিবন্ধ! -চাইলে 'রকমারি'তে একটু পড়ে নিতে পারেন।
ধন্যবাদ আপনাকে- ভাল থাকুন সবসময়।
২৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫২
বারবোসা বলেছেন: দুঃখিত,বাবনিক হবে
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:০০
শেরজা তপন বলেছেন: কোন সমস্যা নেই- আমি বুঝেছি। আমার নিজের লেখাতেই ভুলের ছড়াছড়ি!
২৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫৮
অধীতি বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ আহা কি মান বাণী!
সেক্স বিষয়টা রুচির বিষয়। কেউ ভার্জিনিটিকে সর্বোচ্চ কিছু মনে করে, কেউ করেনা। সব পেশার মানুষ যখন স্থান কাল পাত্রে একসঙ্গে কাজ করে তার থেকে সুন্দর আর কি হতে পারে?
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: নিশ্চিতভাবে সেই প্রশংসা আমি বার বার করেছি, আমার বিভিন্ন লেখায়। তবে রাশিয়ান পুরুষেরা নারীদের মুল্যায়ন করতে চায়না- তারা এদের শুধু ভোগ্য সামগ্রী মনে করে।
তবে ভেঁতো বাঙ্গালীতো প্রথম প্রথম ভীষণ ধাক্কা খেতাম, এসব কথা শুনে কিংবা দেখে!
আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল প্রিয় অধীতি। ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন
২৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ভাই ভালো বলেছেন। আমি সরাসরি বলেছি বলে হয়তো আপনার কিছুটা নোংরা লেগেছে। আমি যে শব্দটা ব্যবহার করেছি এটা হোল অভিধানে পাওয়া একটা শব্দ। ব্যভিচার খারাপ না ভালো সেটা নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নাই। কিন্তু বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে ব্যভিচার বলে। এটা হোল ব্যভিচারের সংজ্ঞা বা অর্থ। বাংলা বা ইংরেজি অভিধানে এই ভাবেই আছে। রাশিয়ান অভিধানে ব্যভিচারের অনুরুপ কোন শব্দ বা সংজ্ঞা আছে কি না আমি জানি না। এমন হতে পারে জাতিগতভাবে ওরা ব্যভিচার বিশ্বাস করে না এবং ওদের অভিধানে ব্যভিচার বলে কিছু নেই, সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন। পৃথিবীর সব উন্নত দেশেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পরককে ব্যভিচার বলে। যদিও ব্যভিচার ওদের দেশে স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। ব্যভিচার কোন গালি বা খারাপ শব্দ নয়। কাজেই আমি যখন বলেছি ব্যভিচার তখন আমি সম্পর্কটার ধরণ বুঝাতে ব্যভিচার শব্দ ব্যবহার করেছি। এটা কোন নোংরা শব্দ না বা গালি না। আপনি বলতে পারেন যে ব্যভিচারের ওদের সমাজে গ্রহণযোগ্য। সেটা ভিন্ন বিষয়। ওরা উদার সেক্সে বিশ্বাস করে ( যতদূর আপনার লেখা এবং ডঃ এম এ আলীর কথায় বুঝলাম। আমার ভুলও হতে পারে)। এই উদার সেক্সটাকেই ব্যভিচার বলে। তাই আমি ব্যভিচার শব্দটা কোন নোংরা অর্থে ব্যবহার করিনি। ওদের অধিকাংশ নর- নারীর সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করার জন্য আমার কাছে মনে হয়েছে এটার জন্য ব্যভিচার শব্দটাই উপযুক্ত। ব্যভিচারের নৈতিকতার দিক নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নাই। কারণ শুধু রাশিয়া না আমরা জানি যে বেশীর ভাগ উন্নত দেশে এগুলিকে কোন অনৈতিক কিছু মনে করা হয় না। তবে হয়তো সবাই এই ধরণের সম্পর্কে জড়ায় না। এটা আপনি ভালো জানেন। রাশিয়ান বিভিন্ন বইয়েও রাশিয়ান মেয়েদের এই ধরণের ইমেজ ফুটে ওঠে। ব্যক্তিগতভাবে আমি পছন্দ করি কি না করি সেটা এখানে আলোচনার বিষয় না।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১২
শেরজা তপন বলেছেন: ভাই সাড়ে চুয়াত্তর,
আমি আপনার 'ব্যাভিচার' শব্দ চয়নের কোন সমালোচনা করিনি
হ্যা আমার প্রতিউত্তরে এই বিষয়ে একটু ইঙ্গিত ছিল কেননা ব্যাভিচারের পুঁথিগত ব্যাখ্যা যা-ই হোক আমাদের সমাজে এই
শব্দটাকে চরম নোংড়ামি কার্যকালাপ হিসেবেই পরি পরিগণিত হয়। অনেকটা সেই গণ্ডগ্রামের মত! সত্য বলতে কি এর সঠিক
অর্থটা আমি নিজেও জানতাম না।
আমার বাবনিক সিরিজের শুরুতে বাবনিকের অর্থ নিয়ে কিছু কথা আছে- আশা করি পড়েছেন। সেখানে রাশিয়ান সমাজের
খানিকটা ব্যাখ্যা পাবেন।
যোউন সম্পর্ককে আমরা যতটা সিরিয়াসভাবে নিই- এবং সতীত্ব কৌমার্য নিয়ে জীবনটা তোলপাড় করে ফেলি- সেটা নিয়ে ওদের তেমন মাথা ব্যাথাই নেই। তবে বাবনিকের এলিনার মতও কিছু চরিত্র আছে যারা বিষয়টাকে বেশ মুল্যায়ন করে- তবে ~ব্যতিক্রম কখনোই উদাহরন নয়।
আপনার জানা ও ভাবনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। আপনি কখনোই ভাববেন না যে ' আমি আপনার মতামতকে খাটো করে দেখছি।
মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হবার জন্য দুঃখিত
২৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৪:০৪
সোহানী বলেছেন: আবার আসছি যেহেতু এ নিয়ে কিছু কথা বলে যাই। আমি যতটুকু শুনেছি তা আলী ভাইয়ের সাথে হুবুহু মিলে যাচ্ছে। এখনো নাকি সেখানে মেয়েরা বাবার কোন সম্পত্তি ভাগ পায় না। শুধুমাত্র ছোট ছেলে পাবে। তবে ছেলে না থাকলে সেটার হিসাব ভিন্ন হবে। আর বিয়ে, সন্তান, বিদেশীদের দিকে ঝোঁকা একই কথা ওরাও বলেছে। তবে তার কারন অর্থনৈতিক অস্থিরতা, ছেলেদের দায়িত্ব না নেবার প্রবনতা অনেকটা দায়ী।
আপনি এ জীবন প্রত্যক্ষ করেছেন ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন তা অবশ্যই অসাধারন।
আর হাঁ, বইটি না পেলে আমি বিকল্প উপায়ে বাতলে দিবো
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: ডঃ এম আলী ভাই এর বক্তব্যকে আমি ফের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
কম্যুনিজম আমলে মুলত স্থাবর সম্পত্তি কারোই ছিল না। শুধু নগদ অর্থ ও সোনা-দানা ছাড় সব কিছুই সরকারের সম্পত্তি- আপনার
বরাদ্দের অংশটুকু শুধু আপনি ব্যাবহার করতে পারবেন। এটা একটা ভাল আইন ছিল যে বাবার সম্পত্তি ছেলেরা পায়
সিংহভাগ রাশান পুরুষেরা তাদের জমানো অর্থ ভদকার পেছনে ঢেলে দিত। হুট করে না মারা গেলে -খুব একটা অর্থকড়ি থাকার
কথা নয় তাদের!
সন্তান নেয় একটা থেকে সর্বোচ্চ দুটো।তাদের দেখভাল করে মুলত মা-ই, বাবা ছেলে বা বাবা ম্যের বন্ধন খুব আলগা! বেশীরভাগ
ছেলেরা অপদার্থ হয় দেখে তাদের সম্পত্তি দরকার পরে। প্রতিটা মেয়েই তখন সাবলম্বি ছিল। ছেলেরা উপার্জনের টাকা উড়িয়ে
দিয়ে মাস শেষে বউ অথবা মায়ের কাছে হাত পাতে ( বেশিরভাগ ক্ষেত্রে)।
সামনে আরো অনেক কথা হবে আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ফের আসার জন্য এবং অকৃত্রিম প্রশংসা করার জন্য।
~আমার ফেসবুকে' শেরজাতপনের' ম্যসেঞ্জারে বিকল্প উপায়টা বাতলে দিলে কৃতার্থ হব।
৩০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:৩০
খোলা জানালা। বলেছেন: আপনি এ জীবন প্রত্যক্ষ করেছেন ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন তা অবশ্যই অসাধারন। মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় খোলা জানালা, আমার ব্লগে আসার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
সবিশেষ ধন্যবাদ ও ভালবাসা নিবেন। আমি দারুনভাবে অনুপ্রাণিত হলাম আপনার মন্তব্যে।
ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন, সুস্থ্য থাকুন সব সময়।
৩১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি "বাবনিক"এ, বিশাল একটা জাতির অতি নগন্য একটা গ্রুপের নারীদের নিয়ে লিখে, সেখানকার নারীদের সম্পর্কে বেশ ভুল ধারণা দিয়েছেন বলে আমার ধারণা।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমি আমার অভিজ্ঞতার আলোকে আমার চারপাশের ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা নিয়ে লিখেছি।
~আমাদের ব্লগে এখনো রাশিয়াতে বসবাস করা কিংবা বহুবছর রাশিয়ায় বাস করা ব্লগার ছিলেন বা আছেন। কেউ কখনো আমার
লেখার বক্তব্যের সাথে দ্বীমত পোষন করেন নি।
হয়তো আমার পর্যবেক্ষন ক্ষমতা খারাপ- কিংবা আমি যেসব মানুষদের সাথে মিশেছি তারা সমাজের নিচুস্তরের ছিল বা খারাপ
মানুষদের সাথেই মিশেছি। হতে পারে- তবে আমি যা বলেছি তার শতভাগ সত্য- সেটা পছন্দ করা না করা, মেনে নেয়া বা না নেয়া
পাঠকের ব্যাপার।
৩২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভাই আমার মন্তব্যের জবাব দিলেন না। মাইন্ড করলেন না কি? মাইন্ড করলে সেটাও বলতে পারতেন।
৩৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: @ সাড়ে চুয়াত্তর, স্যরি- আপনার মন্তব্যের উত্তরদেবার আগেই ব্যাস্ত হয়ে পড়েছি! এখন মোবাইলে
উত্তর দেয়া কষ্টকর। ফ্রি হলে অবশ্যই দিব। অপ্রাসঙ্গিক কথা না আসলে মাইন্ড করার প্রশ্নই আসে না
৩৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:০৭
জুন বলেছেন: শেরজা তপন আপনার লেখাটি খুব মনযোগ দিয়েই পড়েছি কিন্ত আত্মস্থ হতে কিছুটা সময় লাগলো। আপনার চোখে এক সময়ের পরাক্রমশালী সোভিয়েত ইউনিয়ন যা বরিস ইয়েলেতসিনের হাতে পরে ভেংগে চুরে চুর চুর হচ্ছিল। আমেরিকানরা সবসময় এমন একজন এজেন্ট নিয়োগ দেয় যারা হাতে পিরে সেই দেশের চরম সর্বনাশ হয়, হয় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক আর সামাজিক ক্ষেত্রেও। যেমন কম্যুনিজম থেকে বের করে আনতে পোল্যান্ডের অন্যতম চেনা মুখ লেস ওয়ালেসাকে ছুড়ে ফেলেছিল তাকে ব্যাবহারের পর। এই নড়বড়ে সময়ই মনে হয় সমগ্র দেশ জুড়ে এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেয় যার প্রধান শিকার হয় সমাজের মেয়েরা। তারা নানা ভাবে নিজেদের স্বাধীনতা বলেন আর নিরাপত্তা বলেন তা পাওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যায়।
আমি রাশিয়ান দেখেছি কাছ থেকে একজনকে কিন্ত অজস্র রাশিয়ান বই পড়ে জেনেছি অসংখ্য নারীকে। আন্না কারেনিনা থেকে মাশাকে। একটা জিনিস খেয়াল করেন গোর্কির ছেলেবেলা বইতে গোর্কিকে কিন্ত নানীর কাছে রেখে তার মা চলে গেল। এখানে নানীর চেয়ে কিন্ত নানাই আদর করতো বেশি, পিতাপুত্র বইতে ছোট সেরিওজাকে রেখে মা যখন নব বিবাহিত স্বামীর সাথে সুদুর কোন এক জায়গায় যাবার জন্য ট্রাকে উঠেছিল তখন কিন্ত সেরিওজাকে তার খালাখালুর কাছে রেখে যাচ্ছিল। খালু বেশি ভালোবাসতো আর নতুন পিতাও শেষ মুহূর্তে ট্রাক থেকে নেমে সেই সৎ পুত্রকে বুকে জড়িয়ে ধরে ট্রাকে উঠেছিল। এখন দেখা যাচ্ছে পুরুষরা ভদকা খেয়ে টাকা উড়িয়ে দিয়ে স্ত্রী পুত্রকে বঞ্চিত করলেও দিন শেষে কিন্ত পুরুষরাই মমতাময়ী। বাবা মা ছেড়ে যাওয়া ইভানের নানীর বকা খেতে খেতেই দিন কাটতো।
অনেক আজাইরা কথা বললাম। এই কারনে যে মেয়েরা হঠাৎ স্বাধীনতা পাওয়া আর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে ভুগতে অনেক কিছুই করতো। কিন্ত দিন শেষে ভদকা আর সিরকায় জারানো কচি শসা খেতে খেতে পুরুষরাই মমতার হাত বাড়িয়ে দিতো অন্যের দিকে ।
ভালো থাকুন আর লিখতে থাকুন।
ভালো লাগা রইলো অনেক অনেক।
+
যাইহোক রাজনীতি আমার
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:০১
শেরজা তপন বলেছেন: আমি আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম জুন আপু
আপনার মন্তব্যে ব্যতিক্রম কিছু পাব সেটা নিশ্চিত ছিলাম- পেয়েছি ও তাই।
রাশিয়াতে আমি শত শত রুশ মানুষের সংস্পর্শে আসলেও - সাকুল্যে ২০টা পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে পেরেছিলাম।
যা মোটেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যা নয় একটা দেশের পু্রো স্মজ ব্যাবস্থা নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
তবে আমি সৌভাগ্যবান যে, মুষ্টিমেয় কিছু বিদেশীদের মত আমিও সমাজের এতটুকু গভীরে যেতে পেরেছি।
আমি যেসব পরিবারের সাথে মিশেছি- কাছ থেকে অবলোকন করেছি তার মধ্যে মোট চারটা ফ্যামিলি ছিল বাবা-মা উভয়ের দ্বারা
শাসিত। দুটো দাদী বা নানীর আশ্রয়ে নাতি( ছেলে -মুলত মা হয়তো ফের বিয়ে করেছেন কিংবা অন্য শহরে চাকুরি করেন ) আর
বাকিগুলো মা আর মেয়ের( দু'জনের মেয়ে -ছেলে উভয়ই ছিল) সংসার! বাবা মা যে ফ্যমিলিতে ছিল তাদের পারিবারিক বন্ধন
অনেক জোরাল ছিল- কিন্তু মুল শাসন ক্ষমতা মায়ের হাতে ছিল। তবে বাবার সাথে মেয়ে সন্তানের থেকে ছেলে সন্তানের সম্পর্ক
দৃঢ় ছিল। তাদের আশে পাশের অনেককে দেখেছি অনেকটা একই রকম- তবে ঘনিষ্ঠ হবার সুযোগ পাই নি।
আমি যে সময়টাতে গিয়েছিলাম সেটা একটা ভীষণ অস্থির সময়! সে অস্থিরতা আজ ত্রিশ বছর অতিক্রান্ত হবার পরেও পুরোপুরি কাটেনি বলে আমার বিশ্বাস! তবুও এর আগের ও পরের সমাজ ব্যবস্থার খানিকটা গড়মিল খুঁজে পাওয়া যাবেই- আমার বর্ণিত সময়কালের আগের ও পরের লেখকদের লেখায় সেই বিষয়গুলো পাবেন না।
রাশিয়ায় বাবার সাথে ছেলেদের সম্পর্ক বরাবরই ভাল তাদের জেনেটিক ক্যারেক্টারের মিল থাকার জন্য সম্পর্কটা সুদৃঢ় হয় সম্ভবত।
ধন্যবাদ আপু ফের -আপনার সুদীর্ঘ ও সুচিন্তিত মতামতের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আপনার সুসাস্থ্য কামনা করছি।
৩৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫৫
হাবিব বলেছেন: বেশ ভালো মন্তব্য প্রতিমন্তব্য উপভোগ করছি।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে হাবিব স্যার। আপনি এসেছেন দেখে ভাল লাগল
লেখার থেকে মন্তব্য অনেক সময় মুখ্য হয়ে ওঠে- এখানে তেমনই হয়েছে আর কি
ভাল থাকুন।
৩৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: হিট পোষ্ট।
আপনার পোষ্ট এবং মন্তব্য পড়ে আমি মুগ্ধ!
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা।
কিছু অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য ছাড়া বেশ দারুন কিছু মন্তব্যে লেখাটাকে বেশ সমৃদ্ধ করেছে। আমি ও আমরা অনেক কিছু শিখতে পারছি।
৩৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৬
সাসুম বলেছেন: @গাজিসাব এবং @শেরজা তপন ভাইজান- আপনাদের কোশ্চেন এর জবাবঃ
আমি দেশে জব করতাম। রাগ করে জব ছেড়ে ৬ মাস বাসায় বসে থেকে জীবনে বেকারত্ব বুঝলাম। জমানো টাকা গাড়ি ডিপিএস সব শেষ। শেষে বাধ্য হয়ে দেশের বাইরে এপ্লাই করা শুরু করলাম। ৩ টা আলাদা আলাদা দেশ থেকে জব অফার পাই- রোমানিয়া, মাদাগাস্কার আর হংকং। রোমানিয়া তে যাইনাই- ইস্ট ইউরোপের পরিবেশ তেমন ভাল না, মাদাগাস্কার সন্ত্রাসী এলাকা আর খুব কিছু করার সুযোগ নাই জবের বাইরে। হংকং চায়নার জবে জবের বাইরে অনেক সুযোগ। সেজন্য- এখানে জয়েন করি ২০১৯ এ। এসেই কোভিড এ আটকে যাওয়া। হাহাহা,
প্রথমে হংকং এর পর চায়নায় সিলিকন ভেলি সেঞ্জেন ( হংকং থেকে ১০ মিনিটের ড্রাইভ) এ সেটেল হই। আজ ২.৫ বছর। এপল এর ব্যাক ওয়ার্ড লিংকেজ এ কাজ করি, আইফোন ডিসপ্লে নিয়ে।
সেহেতু এখানে থাকা। আশে পাশে প্রচুর রাশিয়ান রা কাজ করে। অন্তত ৫০ জন এর উপর রাশিয়ান দের সাথে জানাশোনা আছে। রাশিয়ান দের কালচার অন্য রকম। মেয়েরা প্রেমিক টাইপ, ছেলেরা মিলিটারি টাইপ। শেঞ্জেন ইউনিতে আমার এক ফ্রেন্ড শিক্ষকতা করে, প্রায় সেখানে আড্ডা দেই, সেখানেও বিদেশী ছাত্র দের মধ্যে রাশিয়ান রা অনেক। রাশিয়ার সাথেই চীনের বর্ডার, এছাড়া ভ্লাদভস্টক হয়ে মঙ্গোলিয়ার উলান বাটর হয়ে ট্রান্স সাইবেরিয়ান ট্রেনে মস্কো ট্রাভেল করার অভিজ্ঞতা আছে । সো, রাশিয়া আমার কাছে আরেক পরিচিত দেশ। বার আছে অফিসের নীচে রাশিয়ান, সেহেতু ভদকা খেতে শিখেছি রাশিয়ান স্টাইলে। আর রাশিয়ান মেয়েদের সাথে উঠাবসা তো আছেই। এই হল আমার রাশার কাহিনী।
জব এর কন্ট্রাক্ট প্রায় শেষ। এই ডিসেম্বর এ শেষ হবে, দেশে ফেরার প্লান আছে। আপাতত একটা হেলথ স্টার্টাপ নিয়ে কাজ করছি। দেশে এলে সেটাকে বড় করার প্লান আছে। এইতো।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ডিটেলে এত কিছু জানানোর জন্য
- যদিও আমি আপনার ব্যক্তিগত বিষয়াদি জানতে চাইনি। আমি শুধু জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি কত বছর আছেন শেঞ্জেনে?
যদিও মুল প্রশ্নগুলো ছিল জনাব @ চাঁদগাজীর'র। আশা করি তিনি উত্তর পেয়ে গেছেন।
ভ্লাদিভস্তক- হয়ে মস্কো তক ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথে ভ্রমন করার সৌভাগ্য আমাকে কিঞ্চিত ইর্ষান্বিত করল
আমার খুব সখ ছিল ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথে ভ্রমন করার। দারুন কিছু অভিজ্ঞতার সাক্ষী আপনি।
ভাল লাগল জেনে- ধন্যবাদ ফের
৩৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৯
রোকসানা লেইস বলেছেন:
ভালোলাগল খুব আপনার দেখা রুশ নারীদের গল্প।
অনেকটা যেন চেনা ছোঁয়া পেলাম। রাশানদের একটা স্বভাব অনেকটা আমাদের দেশিদের মতন মনে হয়, আমার কাছে। একসাথে গল্প আড্ডা আর খাওয়া দাওয়া খুব পছন্দ। আন্তরিকতায় ভরপুর। আবার ঈর্ষাও বেশ আছে।
রুশ রুপকথার পর রাশান লেখকদের লেখা পড়ে রুশ জীবনের অনেকটা চিনেছিলাম।
তারপর শুরু হলো মুভিতে চেনা, ফিডলার অন দ্যা রুফ যেন আমাদের চির চেনা জীবন কে উপস্থাপন করে।
কনে দেখা বিয়ে দেওয়ার চিন্তাগুলো আমাদের সমাজ থেকে খুব দূরের কিছু নয়।
পুরুষদের নারীদের ভালো না বাসা শুধু দেহের চাহিদায় ব্যবহার করা। বিষয়টাও মনে হয় পৃথিবী ব্যাপী একই।
কোন দেশে নারীরা অধিকার নিয়ে জীবন যাপন করেছে শুরু থেকে এ পর্যন্ত বলতে পারেন?
নারীরা যুদ্ধ করেই তাদের অবস্থান সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছে। স্বাধীন হয়ে গেছে মনের সুখ না পেলেও দেহের সুখ মিটিয়েছে।
নারীদের ভোগ্য পন্য হিসাবে আগেও দেখা হয়েছে এখনও দেখা হচ্ছে।
আপনি হয় তো দেশে আছেন এখন। রাশায় যে অবস্থা নব্বই শতকে দেখে গেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে সে চর্চা হচ্ছে, খেয়াল করে দেখবেন ।
শুধু পার্থক্য এখনো ধর্ম এবং সামাজিকতার দোহাই দিয়ে রক্ষণশীলতার প্রলেপ দিয়ে রাখা হচ্ছে কিন্তু ঘটনা সব এখন বাংলাদেশেও ঘটছে, প্রকাশ্যে না হলেও ওপেন সিক্রেট সব।
আর বাংলাদেশের পুরুষ সমাজ আগেও হেরেমে নারী রাখতেন। বাইজী খানা ছিল পুরুষের জন্য। বেশ্যা খানা তৈরি হয় পুরুষের জন্য কিন্তু দোষী নারী। অপবাদ নারীর। অফিসে কাজ করা নারী এবিউস থেকে ঘরে দাসী ব্যবহার কিন্তু সচল।
তবে আমরা সাফাই গাই নিজেরা ভালোমানুষ বলে।
আর সে জন্যই সাউথ এশিয়ান পুরুষরা রাশান মেয়েদের সাথে তাদের ওপেন হওয়ার সুযোগে বা প্রেম চাহিদার সুযোগে দেহ ব্যবহার করে পালিয়েছে।
ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়ার মেয়েরা স্বাধীনতা অনেকটা তাদের দেশের নিয়মের জন্য এবং নিজেদের ডেসপারেট ভাবে বের হয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে। তাই ওদিকে এখন সময় বদলে গেছে।
কিন্তু সাউথ এশিয়ায় এখনো নিপিড়িত হচ্ছে নারীরা। আর যারা নারী স্বাধীনতার কথা বলছেন তারাও সঠিক ভাবে অনেকে এখনো অনুধাবন করেন না স্বাধীনতাটা আসলে কি। আরো এক দুই যুগ পরে হয় তো নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
অথবা নাও হতে পারে যে ভাবে পিছনের দিকে হাঁটছে কিছু মানুষ এখন।
শুভেচ্ছা রইল।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: ~আরো এক দুই যুগ পরে হয় তো নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
অথবা নাও হতে পারে যে ভাবে পিছনের দিকে হাঁটছে কিছু মানুষ এখন।~
আমি খুব শীঘ্রই এমন কিছু হবার আলামত দেখতে পারছি না অন্তত আমাদের সাবকন্টিনেন্টের মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে।
বাকি দেশ গুলোর অবস্থাও তথবৈচ!
আপনার প্রথম কথাগুলোর সাথে একমত- এজন্যই ওদের সাথে আত্মিক মিলটা হছে বেশ দ্রুত।
রাশানরা উচ্চস্বরে কথা বলে-আড্ডাবাজ , আন্তরিকতাপূর্ন( নারীরা একধাপ এগিয়ে আছে), কৌতুকপ্রিয় ও স্পর্শকাতর জাতি।
সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবার পরে রাশিয়ান মেয়েদের বুকফাটা কান্না আমাকে স্পর্শ করেছে বার বার। মেয়েদের বিশ্বস্ততা তুলনাহীন।
পুরুষেরা যেন কোন কিছুতেই সন্তুষ্ট নয়। কিছু সমাজে শুধু কুমারিত্ব নিয়ে আলোচনা কৌমার্য সেখানে মুল্যহীন!
মেয়েদেরকে পুরুষদের সমান তালে চলতে হলে পুরুষদের অনুকরন করে নয় মেয়েদের নিজস্ব সত্তা নিয়ে লড়তে হবে।
পুরুষরা তাদের উৎসাহ দেবে, মাথায় হাত বোলাবে, এগিয়ে যাবার জন্য অনুপ্রাণিত করবে, একসাথে হাটবার ওয়াদা করবে- কিন্তু দিন শেষে স্পেস দিবে না।
ভীষণ ব্যাস্ততা থাকার পরেও আপনি এত দীর্ঘ আন্তরিকতাপূর্ন ও তথ্যবহুল মন্তব্য করেছেন সে জন্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সামনে আশা করছি এ বিষয় নিয়ে বিশদ আরো কথা হবে।
৩৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯
অগ্নিবেশ বলেছেন: ব্যাপার স্যাপার সব হজম করা যায় না মাঝে মাঝে বদ হজম হয়, কি হুন্তি কি হুনি। দেশে সবাই বলত, ইওরোপ আমেরিকা ফ্রী সেক্সের দেশ, পোলারা রাস্তা ঘাটে বার হইলেই মেয়েরা জোর করে চুমা চাট্টি দেয়, এমন কি চায়না জাপান কোরিয়া থাই ফিলিপিনেও সবাই খুলে বসে ডাকে আও আও আও। বিদেশে আইয়া দেহি কেউ তো ডাকে না, আমার কপাল পোড়া , এর চেয়ে তো দেশের গ্রাম গঞ্জে ঝোপ ঝাড়ে বেশী কাম কাজ হয়, পাড়া পড়শি ভাবীরাই কত ইঙ্গিত দেয়, জামাই বিদেশে থাকলে তো কথাই নাই। আর টাহা পয়সা খরচ করলে তো বাঘের চোখ মেলে, তার জন্য কি আর বিদেশ যাওন লাগে?
তপন ভাইয়ের পোস্ষ্ট পইড়া, ফ্রী সেক্সের লোভে আমাদের অনেক ভাই ব্রাদারাও বিদেশে আসে, ফ্রীতে একটা চুমাও না পেয়ে তারা ভাদ্র মাসের কুত্তার মত আচরণ করে। একবার জাপানের এক ড্যান্স বারে ঢুকছি, এমন সময় দেখি কয়েকটা জাপানি মাইয়া মাইরে বাপ কইয়া এদিক ওদিক ছুট দিচ্ছে, ব্যাপার কি জানার আগেই কালা পাহাড়ের মত এক বাউন্সার এসে আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দিল, বাইরে এসে দেখি আমার মত আরো পাচটা দেশী ভাই ব্রাদারও চিত কাত হয়ে পড়ে আছে,
এদের কাছ থেকে শুনলাম তারা বাংলাদেশের নওজওয়ান, ভিটা মাটি বন্ধক রাইখ্যা দালাল ধইরা বিদেশ আইস্যা কষ্ট করতেছে, তারা মনোরঞ্জনের জন্য বারে আইছে, আর ফ্রীতে কিছু না পাইয়া আশেপাশে যত মাইয়া দেখছে জোর করে চাইপ্যা ধরছে, একজন তো আবার এক জাপানির নীচের অন্তরবাসে টান দিছে, মাইয়ারা সব মাইরে বাপ চিৎকার দিছে, আর বাউন্সার সব কটারে পাছায় লাত্থি মাইরা বার কইরা দিছে, আমারেও ওগো একজন ভাবছে। তাই সবাইরে কই দুর থাইকা কাশ বন ঘনই দেখা যায়। দেশে যা করে কম্মে খাচ্ছেন তাই খান, বিদেশে তাও পাইবেন না। তপন দাদার নায়ক রাশি তার কি আর নায়িকার অভাব হয়?? কি দেশে আর কি বিদেশে।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: ব্রাদার শেষের বাক্যটা কি দেখেছেন?
~ আমার দোস্ত কইল, এখন আর কোন ফকিন্নিও ফিরে তাকায় না !!!
এই গল্পগুলা সেই শায়েস্তা খাঁর আমলের বলতে পারেন। তখন সেখানে টাকায় আট মন না হোক দুই'কেজি চাল আর চার বোতল বিয়ার মিলত!
তখন আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম আর ওরা বেশ খানিকটা এগিয়ে ছিল-
এখন আমরা এগিয়ে গেছি- ওরা পেছনে পড়ে গেছে। ~ও দিন গুজার গ্যায়া!!
সে সময় ভাদ্দর মাসের কচি ডগার ঘাস মিলত প্রচুর। তখন খেয়েছিলাম( মুলত দেখেছিলাম)- এখন শুধু জাবর কাটি।
জাপানে বাউন্সারের প্যাদানীর দৃশ্য মনে পড়ে আমার চরম হাসি পাচ্ছে!
সত্যিকারে নায়ক ছিল বাবনিকে'র( পড়েছেন?) ববি- দেশে কি বিদেশে সমান তালে এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। পাগলা
ষাড়কে আর থামানো যাচ্ছে না।
~দেশে সবাই বলত, ইওরোপ আমেরিকা ফ্রী সেক্সের দেশ, পোলারা রাস্তা ঘাটে বার হইলেই মেয়েরা জোর করে চুমা চাট্টি দেয়, এমন কি চায়না জাপান কোরিয়া থাই ফিলিপিনেও সবাই খুলে বসে ডাকে আও আও আও। বিদেশে আইয়া দেহি কেউ তো ডাকে না~ বড় মজা পাইলাম ভাই। তবে রাশিয়া তখন সত্যিকারেই অন্যরকম ছিল। পৃথিবীর অন্য কোন দেশের সাথেই তাকে আর মেলানো যাবে না।
মজার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ভালবাসা। শুনেছিলাম বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে- আর সেই জন্যইতো আমি দেশে এসে থিতু হয়েছি!!
৪০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯
রানার ব্লগ বলেছেন: রাশিয়া যাই নাই, তাই রাশিয়া সম্পর্কে ভালো কোন ধারনাই নাই, আপনার লেখা পড়ে কিছু ধারনা পাইলাম, ভালো লেগেছে।
সাসুম ভাইয়ের কথা শুনে হুরপরি দেখার ইচ্ছা প্রবল হলো, মরার পরে পাওয়ার চান্স শুন্যের কোঠায় তাই যদি পৃথিবীতে থেকেই হুরপরি দেখে যেতে পারি বেশ ভালই হয়।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: হুরপরি কি শুধু দেখলেই মন ভরবে??
আমার দেখা রাশিয়া নিয়ে যতটুকু সধ্যে কুলোয় -লিখে যাচ্ছি। হতে পারে এমন খানিকটা ভুলভাল তথ্য দিচ্ছি।
সবকিছু আবার বীশ্বাস করতে যাবেন না
ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটা পরে মন্তব্যের জন্য।
৪১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫৯
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: রুশ নর নারীদের ব্যপারে অনেক কিছু জানা হলো আপনার লিখায়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকবেন।
০৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা- লেখাটি পড়ে
সুন্দর মন্তব্যের জন্য
ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন নিরন্তর!
৪২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর তথ্যবহুল পোস্ট। রুশ সমাজে নারীদের অবস্থান দারুন ভাবে চিত্রায়ন করেছেন। ভালোবাসা আসলেই যতটা দামী শরীর ততটা নয়। মা মেয়ের অটুট বন্ধনও বেশ ভালো লাগলো।
০৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকেও পেয়ে ভাল লাগল কবি ভাই।
ভাল কথা বলেছেন; এটাই ওরা বলে। ভালবাসা অন্য সবকিছুর উর্ধ্বে
ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন
৪৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫০
মিরোরডডল বলেছেন:
এটা অনস্বীকার্য যে রুশ নারীরা ভালবাসার জন্য বুভুক্ষু ছিল!
ছিলো কেনো ? এখন নেই ?
শুধু বুঝি রুশ নারী, সকল নারী এবং সকল পুরুষ, মানুষ মাত্রই ভালোবাসা চায় ।
কে চায়না শেরজা ?
রাশান মেয়েরা দেখতে অনেক সুন্দর । মানুষ হিসেবেও ভালো ।
ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে অনেক কিছু জানলাম ।
২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০
শেরজা তপন বলেছেন: হয়তো অবশ্যই চায়- আমি আমার দেখা সেই সময়ের কথা বলেছি।
এখন ওরা পালটে গেছে ভীষন- ভাল্বাসা চায়- হয়তো আগের মত করে নয়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম! ভাল থাকুন
* মন্তব্যটা আমার চোখে পড়েনি দেখে- উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল।
৪৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩
জুন বলেছেন: প্রেতাত্মা মায় নাক ও তার মন্দির ওয়াট মহাভুতে একদিন -
পড়তে চাইলেন, তাই লিংক দিয়ে গেলাম, সময় করে আস্তে ধীরে পড়বেন ।
মন্তব্য করতেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই কিন্ত
আগাম ধন্যবাদ জানিয়ে গেলাম
৪৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: সে সময়ের রুশ সমাজে নারীর বর্ণনাটা খুব মনোগ্রাহী হয়েছে। নারীদের মমত্ববোধ এবং বিপদগ্রস্তের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার সহজাত প্রবৃত্তিটা যে সে দেশে নতুন প্রবাসী হিসেবে এতটা সূক্ষ্মভাবে আপনি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, এটাও ভাল লেগেছে।
"একমাত্র নারীরাই পারে শিশুর মত করে অতি যত্নে কাউকে ভাষা শেখাতে" - কি সুন্দর করেই না কথাটা বলেছিলেন আপনার শিক্ষিকা তাতিয়ানা পাবলোনা! তাতিয়ানা নামটা শুনে আমার এক বন্ধুর রুশ পত্নীর কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সে তার বউকে তাতিয়ানার বদলে সংক্ষেপে তানিয়া নামে ডাকতো। তাতিয়ানা ছিল তার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর সাথে তার সংসার দুঃখজনকভাবে বেশিদিন টিকে নি। তবে তাতিয়ানা তার সতীনের ছেলেকে পরম যত্নের সাথে স্বীয় পুত্রদের নিয়ে একসাথে মানুষ করেছেন বলে আমরা জানি। বন্ধুর মুখে তাতিয়ানার অনেক প্রশংসা আমরা শুনেছি। আপনার এই পোস্ট পড়ে অনেক কিছুরই মিল পেলাম। ২০২০ এর এপ্রিলে আমাদের সে বন্ধুটি চেক রিপাবলিকে বসবাসরত অবস্থায় কিডনী রোগে ভুগে মারা যায়। এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা হয়তো তার মৃত্যুটাকে ত্বরান্বিত করেছিল। ওর মৃত্যুর পর এই ব্লগেই আমি ওকে নিয়ে একটা স্মৃতিচারণমূলক পোস্ট লিখেছিলামঃ ফাহিয়ানের গল্প। পোস্টটা একটু বড়। তবু সময় করে আপনি পড়লে খুশি হবো।
আবারো আসি রুশ নারী প্রসঙ্গে। "অল্প কষ্টেই ওরা মন খুলে কাঁদতে পারে" - অত্যন্ত আবেগময়ী রুশ নারীদের প্রতি সমবেদনা! ভালবাসার অবমাননা করে এ অঞ্চলের (দক্ষিণ এশীয়) লোকেরা তাদেরকে প্রতারণা করেছেন, এ কথাটা জেনে বেশ খারাপ লাগছে বৈকি।
ডঃ এম এ আলী, করুণাধারা, জুন, রোকসানা লেইস, অগ্নিবেশ, মিরোরডডল প্রমুখের মন্তব্যগুলো বেশ ভালো লাগল।
২৪ নং প্রতিমন্তব্যটি দারুণ হয়েছেঃ "উনারা জানতেন কিভাবে গাধাদের পড়াতে হয়"!
পোস্টে পনেরতম প্লাস। + +
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: প্রচন্ড আগ্রহ ও ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ব্লগে সময় দিতে পারছি না
আপনার সুদীর্ঘ, বিস্তারিত ও হৃদয়গ্রাহী মন্তব্যের উত্তর বেশ সময় নিয়ে ধীর্ব সুস্থে দেবার ইচ্ছে ছিল কিন্তু আপাতত পারলাম না বলে
ক্ষমা করবেন।
আপনার বন্ধু 'ফাহিয়ানের গল্প' অবশ্যই পড়ব। লিঙ্কটা শেয়ার করার জন্য অজস্র ধন্যবাদ।
আপনাই ভাল থাকুন, সুস্থ্য ও সুদর থাকুন। স
৪৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:১৭
রেজা৭০ বলেছেন: ভাইজান
আপনার সাহায্য / পরামর্শ খুব জরুরী দরকার । দয়া করে একটা কল দিবেন প্লিজ। আমার নম্বর ০১৯৩২৭৮০৩৭০। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা রাশিয়ান সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।