নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
Little darling, don't shed no tears
No, woman, no cry
Little sister, don't shed no tears
No, woman, no cry
গুরুর বারোয়ারী বাড়ি!
মস্কোর পেত্রোবোভাস্কাইয়া স্টেশনের অদূরে একটা ১২ তলা পুরনো এপার্টমেন্টের আট তলায় একটা মাত্র বেশ বড় একটা রুমে ওরা দশ বারোজন মিলে থাকে। রুম লাগোয়া ছোট্ট একটা কিচেন কাম ডাইনিং, ডাইনিং এ গোল একটা টেবিল আর চারপাশ ঘিরে চারটে ওকে কাঠের চেয়ার –সাথের করিডরে পাশাপাশি দুজন মানুষ যেতে কষ্ট হয়।
ওদের দশ বারোজনের সেখানে থাকতে বিশেষ একটা কষ্ট হয়না- মাঝে মধ্যে গেস্ট বেড়ে যায় দু’চারজন, তখন আরো বেশী মজা হয়। সারা রাত পান ভোজন হেঁড়ে গলায় গান আর ভোরের দিকে জড়াজড়ি করে দুপুর অব্দি ঘুমানো। ওদের কোন চাকুরী নেই ব্যবসা নেই কাজ কর্ম কিছু নেই। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরুতে হয় না বিশেষ- বাজার আনার লোক আছে। শুধু রান্না করা খাওয়া আর ঘুম- ও হ্যাঁ আরো কিছু একটার জন্য প্রতীক্ষা করা।
ছেলেগুলোর বয়স বাইশ থেকে পঁচিশের মধ্যে। তখন টগবগে যৌবন সবার।
গুরু আব্দুল্লাহর গল্প এর আগেও করেছি আমি। ছোট খাট গড়ন,ঝাঁকড়া কোঁকড়ানো চুল, একটু চাপা গায়ের রঙ,উজ্জ্বল দুটি চোখ আর টিকালো নাকে তাকে অন্যরকম লাগে। কথা বলে কম-মুচকি হাসি আর চাহনীতে অনেক কিছু বুঝিয়ে দেয়।
ব্যক্তিত্বহীন মানুষেরও ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে পরিবেশ ও তাঁর অবস্থানগত কারণে। গুরু ব্যক্তিত্ববান ছিলেন নিঃসন্দেহে- কিন্তু তাঁর অবস্থানগত কারনে সেটা আরো বেশী পোক্ত মনে হোত। তিনি যা বলতেন সবাই সেটাকে বেশ গুরুত্বের সাথে নিত- তাঁর কথা বলার স্টাইল,খাওয়ার স্টাইল, চলাফেরা সবাই অনুকরণ ও অনুসরণ করার চেষ্টা করত। তিনি যে খাবারটার প্রশংসা করতেন সেটার প্রশংসা বাকি সবাই মিলে আরো দশগুণ বেশী করত।
আবদুল্লাহ এখানে থাকত না বিশেষ- সে অন্য বন্ধুদের এপার্টমেন্টে না হোস্টেলে থাকত। তিনি মাঝে মধ্যে কয়েকজন সাঙ্গ-পাংগ নিয়ে সবার দুহাত ভর্তি বাজার আর লিটার লিটার মদের বোতল নিয়ে আসতেন। তখন একটানা সপ্তাহ খানেক পান ভোজনের উৎসব হোত।
আসরের শুরুতেই আব্দুল্লাহ বলত মাগ্নিতোলায় তাঁর প্রিয় গানটা বাজাতে। বাংলাদেশ টিভিতে তখন শুরু হয়েছে হুমায়ুন আহমেদের চরম জনপ্রিয় নাটক কোথাও কেউ নেই। তারা জানতও না এর খবর। এখানে বাকের ভাই শুনছেন- হাওয়া মে উড়তা যায়ে মেরা লাল দুপাট্টা মল মল কি আর আট হাজার কিলোমিটার দূরে রিয়েল লাইফে আব্দুল্লাহ শুনছে ~ নো উইম্যান নো ক্রাই~সাথে সে পেগের পর পেগ গিলছে ,হাতে তাঁর গাঁজার স্টিক।
গাঁজায় কষে দম দিয়ে মুদিত চোখে ঝাঁকড়া কোঁকড়ানো চুল দুলিয়ে দুলিয়ে হেঁড়ে গলায় চীৎকার করছে ~ নো উইম্যান নো ক্রাই~ তাঁর সাথে সাথে সবগুলো ছেলে পিলে মলে কোরাসে চীৎকার করছে ~নো উইম্যান নো ক্রাই। এর মধ্যে লাউয়া ফরহাদের গলার জোর সবচেয়ে বেশী। পাঠানদের মত বিশাল দশাসই ফিগার আর কোমর অব্দি লম্বা চুলের জন্য সবাই তাকে স্পেশাল খাতির করে। গুরু বাইরে গেলে এমন একটা ছেলেকে নিয়ে হাটতে বেশ গর্ব বোধ করে- তাই তাঁর প্রিয়ভাজন সে,স্পেশাল কোন অকেশানে লাউয়া’র ডাক পড়ে(কেউ কেউ ‘চুলা’ ফরহাদ ও বলে)।
গুরুর আরেকজন শিষ্য আছে,নাম ফেরদৌস। কেউ জিজ্ঞেস করলে খুব ভাব নিয়ে বলে ফেরদাউস! ভীষণ চাপা গায়ের রঙ- অন্ধকারে না হাসলে ঠাহর করতে কষ্ট হয়। বেশ হৃষ্টপুষ্ট শরীর- বয়সেও সবার থেকে বড়, বঁপুখানা বেশ পুষ্ট।
তাঁর বিশেষ বৈশিষ্ঠ হল,তিনি আমেরিকা যাবার জন্য রাশিয়া থেকে কেমনে কেমনে কিউবা গিয়ে পৌঁছেছিলেন। কিউবার সমুদ্রতট থেকে মায়ামি বিচ মাত্র তিনশ মাইল পথ। দ্রুতগামী নৌযানে মাত্র দশ/বার ঘণ্টা লাগে। তিনি সেরকম এক দুঃসাহসিক যাত্রার অভিযাত্রী ছিলেন আন্তর্জাতিক নৌ-সীমানা পেরিয়ে একটু এগিয়ে যেতেই ফ্লোরিডার কোষ্টগার্ডের নজরে পড়ে যান। প্রথমে তারা হ্যান্ড মাইকে হুশিয়ারি করে – তারপরে হেলিকপ্টার থেকে নৌকার গা ঘেঁষে গুলি বর্ষণ। সবার লাইফ জ্যাকেট ছিল। ভয়ে তারা মাঝ সমুদ্রে ঝাঁপ দেয় সবাই- সেই খালি নৌকা নাকি কোষ্টগার্ড গুলি করে ডুবিয়ে দেয়। স্থানীয় জেলেদের তৎপরতায় কোন রকম জীবন বাঁচিয়ে ফরতে পেরেছিলেন নাকি। ঘটনা সত্য নাকি চাঁপাবাজি- সেটা বোঝা মুশকিল ছিল তখন। তাদের পরিচিতদের কেউ কখনো কিউবাতে যায়নি- তারপরে আমেরিকার এত কাছ থেকে ফিরে আসার জন্য সবাই তাকে নিয়ে বেশ গর্বিত ছিল। আব্দুল্লাহ নতুন কোন আড্ডা বা আসরে তাকে নিয়ে যেতেন। সবখানেই তিনি আমেরিকা আর কিউবার গল্প করে জমিয়ে দিতেন।
কারো হাতে মদের গেলাস –কারো হাতে গাঁজার স্টিক। সবাই গুরুর দেখাদেখি মাথা ঝাঁকিয়ে নিবিষ্ট মনে গাইছে ~ নো উইম্যান নো ক্রাই~
গাইতে গাইতে আবেগ কন্ট্রোল করতে না পেরে কেউ কেউ আবেগে কেঁদেও ফেলছে। ওদের মাঝে অর্ধেকের বেশী প্রথম লাইনটা বাদে বাদবাকি গান মন দিয়ে শোনে ও না- শুনলেও মানে বোঝেনা বিশেষ। তারা সবাই অপেক্ষা করে গানের ওই লাইনটার জন্য~ নো উইম্যান নো ক্রাই~
মদ খেতে খেতে পুরো লোড হয়ে গুরু মাঝে মধ্যে উঠে টয়লেটে যায়। গোপন খবর এসেছে তিনি নাকি গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করতে যান।এজন্য নাকি সারারাত মদ গিলে, গাঁজা টেনেও তিনি কখনো মাতাল হন না।
টয়লেট থেকে সত্যিই সে একদম একটুখানি না টলে সোজা এসে বসে হাঁক দেন ফরহাদ খাবার দাবার কি আছে? ফরহাদ হম্বিতম্বি করে খুব কিন্তু নিজে চরম ফাঁকিবাজ! সে একে ওকে জিজ্ঞেস করে হুকুম করে। যার হাতের রান্না ভাল তাকে ইশারা করলেই -সে উঠে গিয়ে রান্না চড়ায়।
রান্নার ফাঁকে ফাঁকে শেফ ফিরে এসে একপেগ গলায় ঢেলে দাঁড়িয়ে দাড়িয়েই সবার থেকে জোড় গলায় চীৎকার করে গায়~ নো উইম্যান নো ক্রাই~ সাথে সাথে ফেরদৌস আর ফরহাদ তাঁর দিকে গ্লাস তুলে মুচকি হেসে সুর করে আহা হা করে বলে ~ নো উইম্যান নো ক্রাই~
শেফ মহাশয় ভীষণ উদ্বেলিত হন নিজেকে বেশ সন্মানিতবোধ করেন। রান্নাটা যাতে আরো ভাল হয়, সে জন্য দ্রুত চুলার কাছে ফিরে যায়। সে রান্নার তালে তালেই রান্নাঘরে বসে সুর তোলে ~ নো উইম্যান নো ক্রাই~তখন সে এত আবেগী যে দু’এক ফোটা চোখের জল গানের সাথে গড়িয়ে পড়া বিচিত্র নয়।
শেফ মহাশয় অনেক্ষন আসছেন না – ফরহাদ একটা গ্লাসে খানিকটা মদ ঢেলে এক টুকরো লবনে জারান শসা বা পনির নিয়ে এগিয়ে যায় রান্না ঘরে- ‘ওস্তাদ এইটা মাইরা দেন।‘ বলে তাঁর হাতে গ্লাস আর জাকোজকা দিয়ে ব্যাপক বুদ্ধিমত্বার সাথে মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে গেয়ে ওঠে~ নো উইম্যান নো ক্রাই~
সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত অব্দি একটা গানই বাজে আর সবাই মিলে ওই লাইনটার প্রতীক্ষায় থাকে ...
এখানকার জোশ মাঝে মধ্যে একটূ কমে এলে গুরু লং ডিস্ট্যান্সে ফোন লাগায়- প্যারিস বা রোমে স্পিকারে দিয়ে তাদের বন্ধুদের গান শোনায় ~ নো উইম্যান নো ক্রাই~ ওদিক থেকে ওরাও মদ খেয়ে চীৎকার করে ~ নো উইম্যান নো ক্রাই~
-----------------------------------------------
গুরু, লাউয়া, আর ফেরদাউসের দেখা নেই অনেকদিন। দশ বারোজন যুবক ছেলের বদ্ধ ওই ঘরে রাত গুলো কেমন নিস্প্রভ মনে হয়- ওদের ছাড়া জোশ আসতে চায় না যদিও ওরা প্রতি রাতেই মদ খেয়ে মাতাল হয়, রান্না চলে ঢিমেতালে।~ নো উইম্যান নো ক্রাই ~গানের সাথে যথেষ্ট আবেগ নিয়ে সুর মেলায়- শূধু গানের তালটা আর গাঁজাটা মেলে না। সেটা গুরুর স্পেশাল ট্রিট! এখানে গাঁজা খাওয়া ও রাখা দুটোই বড় ধরনের ক্রাইম। এই অপরাধে নাকি কেউ কেউ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও ভোগ করছে।
বিষয়টা তবে গাঁজার অভাব নয় মুল সমস্যা গুরুর সঙ্গ। তাকে ছাড়া সবকিছু কেমন যেন ম্যাড়মেড়ে লাগে। তবুও দিন যায় রাত যায়- কেটে যায় কোন মতে।
* মাগ্নিতোলাঃ টেপ রেকর্ডার/ ক্যাসেট প্লেয়ার/ ডেক সেট
* জাকোজকাঃ মদের সহযোগী খাবার।
গানের লিঙ্ক( ব্লগার অপু তানভীরের আদেশে): https://www.youtube.com/watch?v=pHlSE9j5FGY
২৮ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: আহা কি বললেন ভাই- এত ভরসা যে অগ্রীম লাইক, এ যে অন্ধকারে মাছ কেনার মত
মাত্র দুই পর্বের- অন্য দেশে যাবার জন্য মস্কোকে রুট হিসেবে ব্যাবহার করতে গিয়ে আটকে যাওয়া কিছু বং যুবককে নিয়ে ছোট্ট একটা কাহিনী। ব্যতিক্রম
স্বাদ পাবেন আশা করি। অপেক্ষায় রইলাম... বিস্তারিত মন্তব্যের।
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২৮
সাজিদ! বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। চমৎকার।
২৮ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই সাজিদ! অনুপ্রাণিত ও আনন্দিত হলাম।
পরের পর্ব বেশ ইন্টারেস্টিং হবে আশা রাখছি- থাকবেন সাথে
৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪০
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এটা খুবই প্রিয় একটা গান। বব মার্লে গাঁজার পিনিকে ঢুলে ঢুলে কী দরদ দিয়েই না গানটা গাইতো!!!
এরকম আসর জমানো গুরু মেলা ভার!! মনোযোগ দিয়ে না শুনলে এই গানের লিরিক বোঝা আসলেই কষ্টের।
২৮ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি এসেছেন দেখি আজকে চট জলদি! ভাল লাগল দেখে
আর বলবেন না - পিনিকের কিছু গান আছে, তুলনাহীন! যেই উৎসবের যেই ভোজ হাঃ হাঃ
৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভুয়া মফিজ ভাইয়ের সাথে মিল রেখে বলতে চাই আপনার এই লেখা আমার অবশ্যই ভালো লাগবে তাই আমিও অগ্রিম লাইক দিলাম। কারণ আমি আলোর গতিতে একবার চোখ বুলিয়েছি। রাতে সময় করে পড়বো। লাইক এখনই দিয়ে দিলাম। পড়ার পর আরেকটা মন্তব্য করবো ইনশাল্লাহ।
২৮ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: ওরেব্বাস তাই নাকি- আমি আনন্দিত বিমোহিত
বড় কৃতার্থ হলাম- অপেক্ষায় রইলাম।
আর পরের পর্ব পড়তে কিন্তু ভুলবেন না
৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
মস্কো থেকে কোন কোন দেশ হয়ে বাংগালীরা পশ্চিমের দিকে যেতো? অনেকেই মস্কোতে থেকে গেছে?
২৮ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: ৯২ এর মাঝামাঝি পর্যন্ত স্টুডেন্টদের( বিদেশী রাশিয়ায়) জার্মান-ইতালীর ভিসা মিলত!
জালিয়াতির জন্য ভিসা প্রদান বন্ধ হয়ে গেল! এরা ছিল ভুঁইফোড় ইনিস্টিটিউটের জাল ছাত্র। ভিসা না পেয়ে আটকে গিয়েছিল।
৮৬/৮৭ সালে আবদুল্লাহ রাশিয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়েছিল। মস্কোর অন্যতম চৌকস ও প্রতিভাবান বাংলাদেশী ছাত্র
ছিল সে। কিন্তু ক্যামনে যেন আদম ব্যাবসায় জড়িয়ে পড়ে সে।
এই সব আদমদের মস্কো থাকার রেকর্ড খুব কম। শাহারিয়ার নামে একজনকে জানি যে পাদ মস্কোতে( ডাউন টাউন) এক
মফস্বলের মেয়েকে বিয়ে করে দোকান-পাট দিয়ে বেশ ভালই আছে- আরো কিছু আছে তবে সব মিলিয়ে জনা পঞ্চাশেকের বেশী হবে না।
৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪
মিরোরডডল বলেছেন:
বব মার্লে মাত্র ৩৬ বছরে চলে গেছে, তার চমৎকার একটা গান ।
গুরু, লাউয়া, আর ফেরদাউসের দেখা নেই অনেকদিন।
কোন যোগাযোগ নেই তাদের সাথে ?
শেরজা, গাঁজার অভিজ্ঞতা আছে?
২৮ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: বব মার্লির অনেক গানই দুর্দান্ত। অন্য রকম টোন!
লাউয়া আর ফেরদৌস ভাই ইংল্যান্ডে আছে। লাউয়ার সাথে যোগাযোগ কন্টিনিউ আছে। ফেরদৌস ভাই দু তিন বছর বাংলাদেশে এসে দেখা করেছিল। ১৫/২০ বছরে তার এত পরিবর্তন হয়েছে যে চিনতেই পারিনি।
আর গুরুর খবর- সে বড় ট্রাজেডি!! তার পুরো ক্থা একবারে বলব।
আমার পুরনো রাশিয়ান বন্ধুরা এখন মদ ছেড়ে গাঁজা ধরেছে- বাড়িতে রিস্ক কম
একসময় টেনেছি। আপনি?
৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১
কামাল১৮ বলেছেন: এমন একটা সম্প্রদায় রাশিয়ায় অনেক আগে থেকেই ছিলো।দস্তয়েভস্কির উপন্যাসে ,খুব সম্ভব ব্রাদার কারমাজভে বা অন্য কোথাও এমন কাহীনি দেখেছি।অনেকটা হিপ্পি টাইপের।
উপভোগ করলাম আপনার লেখা।
২৮ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল ভাই- এরা সেই হিপ্পি নয়! হ্যা এমন একটা গ্রুপ ছিল
তবে এরা সবাই আমার দেশি ছেলেপিলে।
জেনে ভাল লাগল- পরের পর্বে থাকলে প্রীত হব।
৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আচ্ছা ভাই!! বব মার্লের গাঞ্জা গাঞ্জা গান নিয়ে কোনো আসর হতো না? ঐটা যেকোনো আসর উচ্চমার্গে তুলে দিতে পারে।
২৮ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: না রে ভাই সেই ~নো উইম্যান নো ক্রাই~ মাস ছয়েক চলেছিল। তারপরেও কি ফিলিস( ফিলিংস)
ভরা পুর্ণিমায়, বিলের মাঝখানে নৌকার পাটাতনে শুয়ে মৃদুমন্দ বাতাস আর দূর থেকে ভেসে আসা গানের সুরে গাঞ্জার পিনিক জমে
ভাল
৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭
জুন বলেছেন: সেই তখন থেকে এখনো তৃতীয় বিশ্বের যুবশক্তির আর মেধার কি অনর্থক অপচয় শেরজা তপন । এখনো সার্বিয়ার জঙ্গলে শীতে ঠান্ডায় না খেয়ে মরে, ভুমধ্যসাগরের অতলে তলিয়ে যায় । আপনার লেখা থেকে উঠে এসেছে সেই সব যুবকদের কথা যারা নিজেদের ও পরিবারের জীবনের মান উন্নয়ের জন্য বাবা মা এর শেষ সম্পদ বিক্রি করে দেখে কোথায় এসেছি তারা !! ফিরে যাবার পথ থাকে না , সেই সময় এক খুপড়ি ঘরে সবাই মিলে গাদাগাদি করে ক্ষুধার পেটে বিনে পয়সার মদ আর গাজায় ভুলে থাকতে চায় সব কিছু । মন খারাপ লাগে এসব পড়লে ।
+
২৮ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: তখন এদের দেখে ভালই লাগত- এদের সঙ্গ মজার ছিল। কত ধরনের আঞ্চলিক ভাষা , গান, চুটকি কৌতুক আর রান্না এদের কাছ থেকে শিখেছি তার ইয়ত্তা নেই।
এখন বুঝি সত্যই এটা যুবশক্তির চরম অপচয়! ওদের কারো কারো সাথে এখনো আমার যোগাযোগ আছে- সময় পেলে বলব দু-একজনের কথা(অবশ্যই সেটা বড় কষ্টের)।
তা-ও ভাল আব্দুল্লাহর মত ভাল মানুষের হাতে এসে পড়েছিল। কত অমানুষ দেখেছি...
অনেক ধন্যবাদ আপু- আপনাকে দেখে বড় আনন্দিত হলাম। ভাল থাকুন
১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৯৮৭ সালের দিকে বব মারলি এন্ড অইলারসের একটা ক্যাসেট কিনেছিলাম। বাফেলো সোলজার খুব ভালো লাগতো। নো ওম্যান নো ক্রাই ভালো লাগতো। আরও কয়েকটা গান ভালো লাগতো। বব মারলির সাথে সেটাই প্রথম পরিচয়।
আপনার গুরুর গল্প বেশ ভালো লাগলো। জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু জানার আছে এই গল্পে। চালিয়ে যান। আশা করি সাথে থাকবো।
২৮ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: বাফেলো সোলজার-দারুন একটা গান! কতবার যে শুনেছি ইয়ত্তা নেই
জেনে ভাল লাগল যে বব মার্লি আপনারও প্রিয় একজন শিল্পী।
গুরুর বেশ চমকপ্রদ জীবনের একটা গল্প আছে- কিছু তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি। যদি সম্ভব হয় তাকে নিয়ে বড় ক্যানভাসে একটা লেখা দিব।
সাথে থাকবেন জেনে আনন্দিত হলাম
১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৫৫
কলাবাগান১ বলেছেন: "No, woman, no cry
No, woman, no cry
No, woman, no cry
No, woman, no cry
'Cause, 'cause, 'cause I remember when we used to sit
In the government yard in Trenchtown
Oba observing the 'ypocrites
Mingle with the good people we meet
Good friends we have, oh, good friends we've lost
Along the way
In this great future, you can't forget your past
So dry your tears, I seh..."
২৮ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০০
শেরজা তপন বলেছেন: Good friends we have, oh, good friends we've lost
Along the way
In this great future, you can't forget your past~ আহা কি লিরিক্স!!!
ধন্যবাদ আপনাকে- ভাল থাকুন নিরন্তর!
১২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: মাথা ব্যথা নিয়ে আপনার লেখাটা পড়লাম। এখন ঘুমাতে যাচ্ছি।
২৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: এত কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা! ব্লগে আপনার এক্টিভিটি কম
আপনার সুস্থ্যতা কামনা করছি।
১৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ২:১৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: না মেয়ে, কেঁদো না।---- চমৎকার পোস্ট । অপেক্ষায় থাকলাম ।
২৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: সবিশেষ ধন্যবাদ আপনাকে- জেনে আনন্দিত হলাম।
ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন
১৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:১৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পোস্টটি খুব ভালো লাগলো ! বব মার্লির 'বাফেলো সোলজার'ও আমার খুব প্রিয়।
এই সকল দুঃসাহসী বাঙালিদের সম্পর্কে কে কি বলেন জানিনা, তবে আমি এদের সব সময় স্যালুট জানাই। এদের এই দেশত্যাগের জন্য রাষ্ট্র কম দায়ী নয় - কোনো চাকুরী, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ অথবা জীবিকার ব্যবস্থা করতে রাষ্ট্র চরমভাবে ব্যর্থ হলে যে কোনো নাগরিকেরই দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। অন্তত এরা দেশের অপরাধের গড্ডালিকায় গা না ভাসিয়ে কিছু একটা করার জন্যই এই ধরণের ঝুঁকি নিচ্ছে।
২৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৪২
শেরজা তপন বলেছেন:
শতভাগ সহমত- এরকম একটা মন্তব্য আশা করেছিলাম! ধন্যবাদ আপনাকে
এরা যেভাবেই হোক চেষ্টাতো করছে-আমরা অতি দুর্ভাগা জাতি এই টগবগে যুবশক্তিকে দেশের উন্নয়নে কাজা লাগাতে পারছি না বলে।
আপনার মন্তব্য ভাল- লাগল। পরের পর্বে আশা করব আপনাকে।ভাল থাকুন
১৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৪৮
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি নাস্তা খেয়ে আপনার লেখা পড়ছি আর বব মারলির গান শুনছি । ৭৭ থেকে ববের গানের সাথে পরিচয় ।
ভাল্লাগছে কিছু খোরদের কাহিনী । সবার জীবনে এরকম খোর হওয়ার কাহিনী আছে ।
২৯ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ তা আছে ঠিক বলেছেন- কিন্তু পরের ঘটনাটা ব্যতিক্রম হবেই আশা রাখছি, সাথে থাকবেন
দেখেন মিলে যায় কিনা
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল।
১৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: একেকটা গান একেক সময় তুমুল জনপ্রিয় হয়।
২৯ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০১
শেরজা তপন বলেছেন: এই গানটা যে একটু আঁতেল খোরদের এত জনপ্রিয় ছিল সেটা সম্ভবত সেই যুবকদের কেউ জানত না!
গুরুর পছন্দের তাই ওদেরও পছন্দ ছিল
গুরু আবার তার গাড়িতেও গাজার চাষ করত- এই রকম খোর ছিল। এভারেজ ৩০ স্টিক প্রতিদিন
ধন্যবাদ মাইদুল সরকার ভাই- পরের পর্বে সাথে থাকবেন।
১৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:০৭
রানার ব্লগ বলেছেন: মিরোরডডল @ নো উইমেন নো ক্রাই ইহাই চিরঞ্জীব সত্য।
গল্প বেশ লাগছে।
২৯ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০২
শেরজা তপন বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে- গল্পটা ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। পরের পর্বে আমন্ত্রন
ভাল থাকুন নিরন্তর!
১৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
পেশাগত কারণে গত দু'দিন ব্যস্ত থাকায় ব্লগে আসতে পারিনি।আজ এসেই কমেন্ট সেকশনে আপনার পোস্টটি পেলাম। খুব নস্টালজিক লাগে অতীতের মধুর স্মৃতিবিজড়িত ঘটনাগুলো মনে করলে। শতাব্দীর শুরুতে আমিও তিনবছর মেসে থাকতাম।তার মধ্যে শেষ দু'বছর একটা মেসে কাটিয়ে দেই।কি মধুর দিন পার করেছি। ভাবলে খুব অসহায় লাগে। দশজনের মধ্যে আমরা চারজন বুড়ো ছিলাম।বাকি ছেলেগুলো কিছুদিন থাকতো আবার কিছু দিন থেকে চলেও যেতো। আমাদের চারজন বুড়ো বর্ডারের মেসে মায়া পড়ে গেছিল। প্রতি রাতে খাওয়ার পর জমিয়ে আড্ডা না দিলে মন খারাপ লাগতো। এমনকি বাড়িতে এসেও ঐ সময়টা মিস করতাম। তারপর একে একে আমরা কর্মজীবনে প্রবেশ করি।একটা গ্রান্ড ফিস্টের স্পন্সর করি ঠিকই। মরে বার বার বাজতে থাকে মান্না দে বিখ্যাত কবি হাউসের সেই আড্ডাটা' গানটি।
যাইহোক আপনার মনে এসময় স্থান করে নেওয়া আব্দুল্লা ভাইয়ের বিশেষ ব্যক্তিত্ব ও সেই মধুর সুখগাথা যে পরবর্তী কালে আপনাকে স্মৃতিবিজড়িত করে তুলেছে তা পোস্টে স্পষ্ট। এমনি সুখগাথার পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম...
শুভকামনা প্রিয় ভাইকে।
৩০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পদাতিক ভাই আপনার সুদীর্ঘ আন্তরিকতাপুর্ণ মন্তব্য ও নিজের স্মৃতি চারনের জন্য
হোস্টেল আর মেস দুটোতেই আমার থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছে
কিছু তিক্তকর অভিজ্ঞতা থাকলেও মধুর, মজার ও সারাজীবন স্মৃতিকাতর করার মত অনেক ঘটনা ঘটে।
ভাল লাগল আপনাকে পেয়ে- ভাল থাকুন, সুন্দর থাকুন।
১৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০০
মিরোরডডল বলেছেন:
একসময় টেনেছি। আপনি?
একবার, একটা টান দিয়েছিলাম ।
একটানে সুখটান !
৩০ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: মাত্র একটান তাইলে তো যেমন তেমন পর্যায়ে ছিলেন
~একটানেতে যেমন তেমন
দুই টানাতে মজা
তিন টানেতে উজির নাজির
চার টানেতে রাজা!!!!!
২০| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মিরোরডডল বলেছেন:
হা হা হা...... আরেহ নাহ, সেরকম কিছুনা ।
জাস্ট একটা টান দিয়ে দেখা হাউ ডাজ ইট টেস্ট লাইক, এই আর কি
৩০ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ
~বাঙ্গালী মাত্রই কবিতা বুঝুক না বুঝুক, পড়ুক না পড়ুক, কবিতা তার মজ্জাগত। জীবনে অন্তত একখানা কবিতা (হোক সেটা খাদ্য কিংবা অখাদ্য) লিখেনি-এমন বাঙালী পাওয়া দুষ্কর!
আমিও লিখাছিলুম, কি করব বল; প্রায় মধ্যরাতে গঞ্জিকা সেবন করে লাজুক রক্তিম নয়নে উর্ধ্বাকাশে চেয়েছিলুম- একাদশীর চাঁদ আকাশে। আচম্বিতে সে আমার নাকের ডগায় নেমে এসে কাতর নেত্রে বলল, চল তোমাতে আমাতে মিলে একখানা ভাবের কবিতা লিখি। লিখে ফেললুম অত্যুত্তম একখানা ভাবের কবিতা- নেশার রেশ কেটে গেল, কবিতাটাও ভুলে গেলুম! না হলে লক্ষ কোটি কবিতার ভীড়ে আরাকখানা মূষিকের হস্তি প্রসব হত!~ ঘটনা কিন্তু সত্যি
২১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: যে শিরোনামে এতো বড় পোস্ট সেই গানের লিংক কই ! আপনার লেখা না পছন্দ হয়ে পারেই না । শেষ পর্বের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম । একসাথে পড়বো বলে ।
গানের লিংক যুক্ত করে দ্যান ।
No women no cry
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার আদের শিরোধার্য। দিলাম যুক্ত করে
ফের আপ্লুত হলাম আপনার মন্তব্যে
দুটো পর্বই একসাথে পড়েছেন জেনে ভাল লাগল- ভাল থাকুন নিরন্তর!
২২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ- আপনাকে পেয়ে আনন্দিত হলাম
২৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পুরোনো পথে পরিভ্রমন শুরু করলাম শুরু
২০ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:০১
শেরজা তপন বলেছেন: আসসালামুয়ালাইকুম!
আপনি এভাবে হারিয়ে যাচ্ছেন কেন?
ব্লগে এসে খুঁজে খুঁজে হয়রান...
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার লেখা আমার পছন্দ না হয়েই পারে না, তাই না পড়েই এডভান্স লাইক দিয়ে খানিকটা কাজ এগিয়ে রাখলাম। এই মূহুর্তে বাইরে যাচ্ছি। এসে পড়বো। এটা কয় পর্বে শেষ করবেন, জানিয়ে বাধিত করবেন!!