নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
(কথাশিল্পী আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দিন'কে অনেক পাঠক বা ব্লগার ভাল করে চেনেনই না। কেউ কেউ তাঁর কিছু গল্প, সাহিত্য, কবিতা বা ছোটদের গল্পের সাথে পরিচিত হলেও রম্য গল্পের সাথে পরিচিত নন। তিনি যে, দুর্দান্ত একজন রম্য লেখক সে অনেকে জানেনই না। কেউ কেউ রকমারি বা অন্য কোথাও তাঁর রম্য গল্পসমগ্র খুজতে গিয়ে দেখেন আউট অফ স্টক। তাদের সবার জন্য তাঁর একটা রম্য গল্প তুলে দিলাম। ভাল লাগলে ভবিষ্যতে আরো দেব না-হয়।)
দাওয়াই- আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দিন
আমার দাদা ভোর পাঁচটার ট্রেন ধরার জন্য রাত এগারোটার সময় ষ্টেশনে গিয়ে বসে থাকতেন। তাঁর ভয় ছিলো, ঘুমিয়ে পড়ে যদি ট্রেন মিস করে ফেলেন। সেই দাদার নাতি তো! কোন কাজে লেট করার অভ্যেস নেই আমার । রেল ষ্টেশন , এয়ারপোর্ট , অফিসের মিটিং, সিনেমা , পাবলিক ফাংশন ,সব কিছুতে কম সে কম ,পনেরো বিশ মিনিট আগে পৌছে যাই। আগে - ভাগে গিয়ে ভাল সিট পেতে। কোনদিন অসুবিধা হয়নি আমার ।
নান রুটি, শুকনো কাবাব আর কাঁচা পেয়াজের চাটনি খেয়ে ঠিক রাত নয়টার সময় গিয়ে হাজির হলাম রাওয়ালপিণ্ডি স্টেশনে। ট্রেন দশটায় । তেজগাম। করাচীগামী মেল ট্রেন । করাচীতে একটা জরুরী ইনসপেকশন ছিলো,ট্যুরে যাচ্ছি। ট্রেন চড়ে । ষ্টেশনে এক ঘণ্টা আগাম। তেমন কি আর আগে এসেছি!
ছোট্ট দুই বার্থওয়ালা ট্রেনের কামরা । নীচের বার্থটা দখল করলাম আমার কম্বলবালিশ পেতে। ঢাকা থেকে এক বন্ধু কয়েকটা সাময়িক পত্রিকা এনে দিয়েছিলো। এতদিন পড়ার সময় পাইনি। তারই একটা খুলে নাড়াচাড়া করতে লাগলাম হাত পা ছড়িয়ে দিয়ে।
দশটা বাজি বাজি করছে। ট্রেন ছেড়ে দেবে একটু পরে। মনে মনে খুশী হলাম পুরো কামরাটায় আমি একা যাত্রী ভেবে। বেশ আরামসে যাওয়া যাবে লুঙ্গি পরে খালি গায়ে শুয়ে বসে।
হঠাৎ কামরার দরজা খুলে গেলো। সঙ্গে সঙ্গে এক ঝলক কড়া বসরাই আতরের গন্ধে বাতাস ভুরভুর করে উঠলো। নতুন যাত্রীর আবির্ভাব । লম্বায় সোয়া ছয় ফুটের মত,মা শা আল্লাহ,চওড়ায় তার ওয়ান থার্ড,পরিপুষ্ট নাদুস নুদুস চেহারা,জোব্বাজব্বাধারী আগন্তুক প্রবেশ করলেন স্মিতমুখে। মুখভর্তি মেন্দিরঞ্জিত দাড়ির ছড়াছড়ি,তেলপাকানো গোঁফ,মাথায় জরিদার সোয়াতী টুপি ,পায়ে ঢোলাঢালা সালোয়ারের নীচে বুটিদার পেশোয়ারী চপ্পল। আগন্তুকের পেছনে কুলির মাথায় বাক্স -পেঁটরা,পাঁচতলা টিফিন কেরিয়ার।
সালাম আলায়কুম। মুখভরা হাল্কা হাসির রোদ ছড়িয়ে দু’হাত বাড়িয়ে দিলেন আমার দিকে। হাতের তালু যেন মাখনের দলা। কি নরমরে! একটু আড়ষ্ট হয়ে করমর্দন করলাম আমি। গরীবের নাম নবাব মির্জা শেখ হায়বত জঙ্গ। চর্বিত পানের সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ল কামরাময়। আমিও আমার পরিচয় পেশ করলাম। নবাব সাহেবও করাচী যাচ্ছেন।
খোশ মেজাজের সঙ্গে বললেন,বেশ গালগল্প করে যাওয়া যাবে দীর্ঘ পথ। ঢিলেঢালা কোর্তার পকেট থেকে একটা শিশি বের করলেন। আতরের, কারুকার্যখচিত শিশি। আমার গায়ে কয়েক ফোটা ছিটিয়ে দিলেন। সরম পেয়ে গেলাম,অনেক বছর আগে বিয়ে করতে যাওয়ার সময় ছাড়া আমি আর কোনদিন আতর ব্যবহার করিনি। আতরের খুশবুর সাথে আমার তদানীন্তন নববধুর কোমল মুখখানা চোখের সামনে ভেসে উঠলো এতকাল পর।
রূপোর একটা বড়োসড় পানের ডিব্বা বের করলেন নবাব হায়বত জঙ্গ । পানদান ভর্তি সাঁচি পানের তবক মোড়ানো খিলি। নীচে আট দশটা খুপরি। একটাতে মিহি করে কাটা সুপোরি,জর্দা,কিমাম,মৌরী,এলাচি,লবঙ্গ,মেশক, আম্বর ইত্যাদি অন্যগুলোতে।
একটানা পান খাচ্ছিলেন নবাব সাহেব একটার পর একটা। আমি অনুরোধ রক্ষা করতে গিয়ে তানসেন গুলির মত দু'একটা গুলি মুখে পুরলাম। খুশবু ছড়িয়ে জিহ্বায় মিলিয়ে গেলো সেগুলো।
পানের ডিম্বাটার ইতিহাস বললেন নবাব সাহেব। সাতপুরুষ থেকে আছে তাদের পরিবারে। মোগল দরবারে পারিষদ ছিলেন তাঁর কোন পূর্বপুরুষ। বাদশাহ থেকে এনাম পেয়েছিলেন তার স্তুতিতে কাসিদা পাঠ করে। তখন থেকে বংশানুক্রমে রক্ষিত হয়ে আসছে উপঢৌকনটি। বর্তমান গদ্দিনশীন নবাব হিসেবে নবাব সাহেব এখন সেটার হেফাজত করছেন । তার পরে সেটা পাবে তার প্রথম সাহেবজাদা। তার পরবর্তীকালে তাঁর দৌহিত্র।
সাহেবজাদার প্রশ্ন উঠতেই জিজ্ঞেস করলাম,নবাব সাহেব ,কত ছেলে মেয়ে আপনার ? পূর্ণচন্দ্রের মত খুশীতে গোল হয়ে উঠল নবাব সাহেবের মুখমণ্ডল। লাজুক হাসিতে ঘাড় বাঁকিয়ে বললেন,খোদার মেহেরবানিতে ছয় লাড়কী আওর সেরেফ চার লাড়কাক। আপকা?
আমার তিন কন্যা। নায়লা,শায়লা,আর লায়লা।
চমকে উঠলেন নবাব সাহেব। আঙ্গুল দিয়ে দাড়ির অরণ্যে চিরুনী চালালেন। আফসোসের সঙ্গে বললেন,তিন লাড়কী! বেটা নেহী হ্যায়? সাহেবজাদা?
বেটা দিয়ে কি হবে ? আমাদের সমাজে ছেলেও যা মেয়েও তা। বরং ছেলের চেয়ে মেয়েই ভালো। আজকাল কি আর বাপমা ছেলের কামাইয়ের উপর নির্ভর করে ? ছেলেরা তো লেখাপড়া শিখে বাপমাকে ছেড়ে চলে যায় দেশবিদেশে। কয়জন খোঁজখবর করতে পারে পিতামাতার? বরং মেয়েরাই-
জোরাল বক্তৃতা দিয়ে দিলাম,বরং মেয়েরাই আজকাল বুড়ো বাপমার সেবাযত্ন করে। খোঁজখবর করে। ভালো কিছু রান্না হলে বাপের বাড়ি নিয়ে আসে । ছেলের চেয়ে মেয়ে অনেক ভালো আজকের সমাজ ব্যবস্থায়।
অর্ধ বৃত্তাকারে মাথা নাড়লেন নবাব হায়বত জঙ্গ। না- য়ের ভঙ্গিতে। বেটা চান না আপনি ? বলেন কি জনাব? ছেলে না হলে বংশ রক্ষা করবে কে? জমিদারী,নবাবীর মসনদ সামলাবে কে? আপনার পরিবারের টাইটেল কি ? একগাদা প্রশ্ন করলেন নবাব এক সঙ্গে।
চৌধুরী । বিরক্তি চেপে রেখে জবাব দিলাম । ব্যক্তিগত প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছেন উনি । চৌদুরী সাহেব । আপনার মেয়েরা কি আপনার পরিবারের উপাধি ব্যবহার করতে পারবে ?
ওরা তো, খোদা হায়াত দারাজ করলে,ককেউ হবে বেগম খান,কেউ বেগম মজমাদার,কেউ মিসেস সারকার । আর তা ছাড়া,একটা ডবল সাইজ পানের খিলি মুখে পুরে দিয়ে যোগ দিলেন , তা ছাড়া আপনি কি চান আপনার জমি - জিরাত পরের বেটার মালিকানায় চলে যাক?
কোন নালায়েকের বেটা এসে আপনার ভিটিতে আসন গাড়ুক । আলোচনার বিষয়বস্তু আমার মনঃপুত হচ্ছিলনা। রাত বাড়ছে তেজগাম ছুটে চলেছে পাহাড়ের ফাঁক দিয়ে। হুশ হুশ শব্দ হচ্ছে ইঞ্জিনের । শোয়ার আয়োজন করলাম। অসহায়েরর মত আমার মুখের দিকে বার বার চাইলেন নবাব সাহেব। অত বড় বপু টেনে উপরের বাঙ্কে উঠবার উপায় নেই ওঁর। দু - একবার মৃদু চেষ্টাও করলেন। মনে মনে ভাবলাম,যদি জনাব উপরে উঠতেও পারেন,একবার বাঙ্ক ছিড়ে আমার উপর পড়ে গেলে অত বড় একটা মানুষ,আমি তো চেপ্টে রূপচাঁদা মাছ হয়ে যাবো। সুতরাং নবাব সাহেবকে নীচে শুতে দিয়ে আমি কম্বল নিয়ে উপরে উঠে গেলাম। বহুত শুকরীয়া জানালেন উনি।
শুতে শুতে বললেন,ফিকির করবেন না চোরী সাহেব। এরও এলাজ আছে। খুব সহজ এলাজ। বেটা হওয়ার এলাজ। তেজগামের বাঁশীর সঙ্গে দিয়ে নাক ডাকতে লাগলো আমার সহযাত্রীর । একটা বাংলা ম্যাগাজিন উল্টাতে লাগলাম আমি। মেয়েদের ফরমাস মত বৌরীবাজার থেকে কি কি জিনিষ কিনব তার ফিরিস্তি আর বাজেট মেলাতে মেলাতে আমারও চোখের পাতা ভারী হয়ে এলো। ট্রেনের জানালা গলিয়ে ভোরের আলোর ঝলমলানি।
পাঁচ তলা টিফিন কেরিয়ার খুলে বসেছেন নবাব সাহেব। মোগলাই পরাটা,মোরগ মুসল্লম পেশোয়ারী কাবাব,তিতিরের ভুনা আণ্ডা,আরো কতো সব নবাবী খাবাৎ। কাবাবের খুশবুতে আমার জিভে জল এলো। নবাব সাহেবের অনুরোধে ওর সঙ্গদান করলাম সঙ্কোচের সাথে ।খেতে খেতে নবাব সাহেব সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন, তিন লাড়কী! ছেলে হতেই হবে আপনার । এলাজ খুব সোজা। আমি নিজে ফল পেয়েছি। সাক্ষাৎ ধন্বন্তরী! চুপ করে থাকলাম আমি বাইরের গমক্ষেতের আলে ভেড়ার পালের দিকে চেয়ে থেকে । অপ্রীতিকর প্রসঙ্গ । ক্ষেপে যাচ্ছিলাম মনে মনে । একটা বড় ষ্টেশনে ট্রেন থামল দশ মিনিট। নবাব সাহেব নেমে গিয়ে উর্দু আখবার কিনলেন। আমি এক ঝুড়ি আপেল,আঙ্গুর আর আখরোট কিনে আনলাম।
এগারোটার দিকে নবাব সাহেবের ব্রেকফাস্টের প্রতিদান দেওয়া যাবে। চায়ের সাথে । খেতে ভালই লাগবে ফলগুলো। উর্দু পত্রিকাটা পড়তে পড়তে নবাব সাহেবের মুখখানা যাদুকরের মুখের মত হঠাৎ গম্ভীর হয়ে উঠলো। বললেন , আমারও পর পর ছয় লাড়কী জন্মালো। কত হেকিম কবিরাজ - ডাক্তার দেখালাম। কতো এলাজ,কতো দাওয়াৎ। কাউয়ার গোস্তের হালুয়া পর্যন্ত খাওয়ালাম বেগম সাহেবাকে না বলে। হেকিম আজমল খাঁর কুদরতী টনিক এনে খেলাম নিজেও। কিন্তু কিছু ফল হলো না । একটার পর একটা লাড়কী পয়দা হতে লাগলো। বহুত খুবসুরত লাড়কী,বেহেসূতের হুর - পরীর মত সুন্দরী। কিন্তু তাতে কি মন ভরে? বাপ কা বেটা সিপাহী কা ঘোড়া।
-কি বলেন চোদ্রী সাহেব?
চুপ করে থাকলাম আমি। নায়লা শায়লা লায়লার ফরমাসের লিষ্টটা তখনো আমার মনে খোঁচা দিচ্ছে । ছোটটার বড়সড় ওয়াকি টকি ডল পেলেই হয়। যা জেদী মেয়ে রে বাবা! আমার নীরবতায় উৎসাহে ভাটা পড়লো না নবাব সাহেবের।
সুগন্ধি পানের এক ঢোক পিক গিলে যোগ দিলেন , বহুত পীর - দরবেশের কাছে গেছি বিবিকে নিয়ে । বহুত মাজারে সিন্নি দিয়েছি। পানি - পড়া , তাবিজ , ঝাঁড় - ফুঁক কিছু বাকী রাখিনি। তবুও পরওয়ারদিগার ফিরে চাইলেন না। অবশেষে তকদীর ফিরলো আমার। অতি সাধারণ এলাজ। আল হামদুলিল্লাহ,ছয় লাড়কীর পর চার চারটা সাহেবজাদা পয়দা হয়েছে আমার।
এতক্ষণে ক্ষীণ কৌতূহল চাড়া দিয়ে উঠছে আমার মনে। কি হতে পারে নবাব সাহেবের টোটকা? কি এত সোজা এলাজ ? পাছে কোন অশ্লীল দাওয়াই বাতলে দেন , সেজন্য চুপ করে থাকলাম উৎসাহ চেপে রেখে। দীর্ঘ পথ। দুপুরের লাঞ্চেও দু’জনে পাঁচতলা টিফিন কেরিয়ারের সামগ্রী সব খেয়ে শেষ করতে পারলাম না। খেয়ে - দেয়ে ভুড়ি মেলে শুয়ে পড়েছেন নবাব হায়বত জঙ্গ। আজরাইলের সিঙ্গার মত নাক ডাকাচ্ছেন তালে তালে। আর আমি বসে বসে ভাবছি,কি সে দাওয়াই যা খেলে স্ত্রী পুত্রসন্তান গর্ভে ধারণ করবেই! কৌতূহল বাড়ছে আমার। অপেক্ষা করছি কখন কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙ্গবে? রাত্রের খাবার খেয়ে কাশ্মীরী মনাক্কার হালুয়া খেলেন একগাদা। অসম্ভব মিষ্টি। খেলে নাকি তাকত বাড়ে। যৌবন অক্ষয় থাকে আশি বছর বয়সতক।
অন্ধকার সিন্ধুর মরুভূমি। আমি চুপচাপ বসে আছি বাইরের দিকে চেয়ে। ভাবছি ,নবাব তাঁর কুদরতি দাওয়াইটা কখন বাতলাবেন। কথা উঠালেন উনি নিজেই,অনেক সিন্নি মানত জিয়ারত করেও যখন কোন ফায়দা হলো না, তখন খোদা কি কসম,কসামান্য একটা টোটকায় আমার মকসুদ হাসিল হয়ে গেলো। অতি সস্তা এলাজ,মাত্র পাঁচ টাকা ফি,সঙ্গে সোয়া সের বাসমতি চাল। উৎসাহে মেরুদণ্ড খাড়া করে বসলাম। চেয়ে থাকলাম, নবাব সাহেবের কাঠালি চাপা রং মুখের দিকে । বোঁচকা থেকে এই বুঝি তেলেসমতি দাওয়াইয়ের পুরিয়া বের করবেন আমার জন্য।
বলে গেলেন উনি,এলাজটা বাতলে দিয়েছে মীরপুর খাসের এক গণক ঠাকুর। মাথা মুণ্ডানো, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ,সাদা ধুতিপরা, খালি বদন মন্মোহন ঠাকুর। বড় মামুলি এলা। বৃন্দাবনের মন্দিরে স্বপ্নে পাওয়া ঔষধ। মাঝপথে থেমে গেলেন নবাব হায়বত জঙ্গ। শোয়ার আয়োজন করতে লাগলেন রাতের পোষাক সালোয়ার কামিজ পরে। তর সইছিল না আমার ।
তিন মেয়ের পর যদি সত্যি সত্যি একটা ছেলে হয়, মন্দ কি তাতে? আমার বড় মামুর এগারোটা,মেজো চাচার তেরোটা। ঝুঁকে পড়ে বললাম, -বলুন না দাওয়াইটা কি ?
অধৈর্যের সুর আমার কণ্ঠে। হাঁ রবাতলায়েঙ্গে জরুর। বলতে বলতে বিশাল বপুটার উপর কম্বল টেনে দিলেন। আর ট্রেনের দোলা খেতে খেতে কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যেই অর্ফিউসের বাঁশি বাজাতে লাগলেন নবাব সাহেব।
অস্বস্তিতে একটুও ঘুম এলো না আমার। যেন খেজুর কাঁটা বিঁধছে পিঠে । আচ্ছা ভদ্রলোক তো! সিক্রেটটা না বলেই ঘুমিয়ে পড়লেন।
করাচী স্টেশন। সূর্য উঠি উঠি করছে। শাহী লেবাস পরে সারা গায়ে আতর ছড়িয়ে নেমে পড়লেন নবাব হায়বত জঙ্গ। আমিও নেমে পড়লাম পেছন পেছন । ষ্টেশনে রিসিভ করতে এসেছে ওঁর চার সাহেবজাদা । বাপের মতই লম্বা শরীর । সুন্দর খুবসুরত চেহারা । ফুটন্ত বসরাই গােলাপ যেন এক একটা । সালাম করো বেটা লোগ ,বাঙ্গালী চাচ্চা কো সালাম করো। বাঙ্গালী সাহেব। মেরা জার্নি কা দোস্ত। দরাজ কণ্ঠ নবাব সাহেবের। সেভ ইম্পালা গাড়ি এসেছে ওঁর জন্যে।
দরজা খুলে ধরলো সোফার। আমাকে নিতেও গাড়ি এসেছে। স্থানীয় অফিসের লোক এসেছে। রাগে জ্বলছি আমি মনে মনে। লোকটা ওষুধটা না বলেই কেটে পড়ছে।
গাড়িতে উঠবার পূর্বমূহুর্তে নবাব সাহেব আমাকে জড়িয়ে ধরে কানে কানে বললেন,দাওয়াই বহূত সোজা,একদম আসান। এ চার বেটা আমার দোসরা বিবির থেকে। দোসরা সাদী কা মেওয়া। ২১. ৬.১৯ ৮১
# প্রিয় লেখক মুসলেহউদ্দিন এই লেখায় তাঁর তিন কন্যা নায়লা,শায়লা,আর লায়লা'র কথা বলেছেন। জনাব আদিল মাহমুদ নামে এক লেখকের কাছ থেকে জানতে পারলাম; ওনার এই ৩ মেয়ের মধ্যে,শুধু বড় মেয়ে যিনি বায়োকেমিষ্ট দেশে থাকেন, বাকি দুইজন আর্কিটেক্ট ও প্রকৌশলী আমেরিকায় থাকেন।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: কাউয়ার গোস্তের হালুয়া রন্ধন প্রণালী আমার ও জানা নাই ভাই আমিও শেখার ধান্দায় আছি
মনাক্কাটা ট্রাই করতে পারি!
গ্রামে কেন শহরেও অনেকে করতে চায়- দ্বীধাদ্বন্দে থাকে। যাদের সহায় সম্পদ বেশি- তাদের ছেলে সন্তানের লোভ বেশী।
আমার গেরামে এক লোকের ছেলে বাচ্চার চেষ্টায় আট মেয়ে হয়েছিল! শেষ দিকে নাম রাখা নিয়ে বেকায়দায় পড়ে যায়- সব শেষটার নাম ছিল 'বুড়ি'
অবশেষে ছেলে একটা হয়েছিল। কিন্তু বেশী আদরে বাঁদর হয়ে গেছে
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম বিফলে মূল্য ফেরত টাইপ দাওয়া !
কথাশিল্পী আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দিন'কে আমি নিজেও জানতাম না। ধন্যবাদ চমৎকার শেয়ারের জন্য।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি তাঁকে জানতেন না জেনে ব্যাপক আবাক হইলাম!!!
কপি রাইট আছে কিনা জানিনা- শেয়ার করে আবার বিপদে পড়ব নাতো?
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার রম্য লেখার স্টাইল চমৎকার। আপনি ওনার আরও কিছু গল্প দিতে পারেন। কারণ ওনার বই নাকি পাওয়া যাচ্ছে না। তাই দুধের সাধ ঘোলে মিটাতে চাই।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী হা সে জন্যইতো উঁনার লেখার আমি এত ভক্ত। প্রীতিলতা, কড়ে আঙ্গুলের ছাপ, অসতী-ও ভাল উপন্যাস!
তবে সব ছাপিয়ে রম্যটাই আমার প্রিয়।
নিজের অনেক লেখা জমে আছে- তারপরেও চেষ্টা করব।
৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দিন এঁর লেখার সাথে আমি পরিচিত। তার গল্প গুলো আমাকে মুগ্ধ করে। কোলকাতার নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্পের সাথে আবুল খায়ের সাহেবের লেখার অদ্ভুত মিল আছে,।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা ঠিক বলেছেন ভ্রাতা নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখার সাথে মিল আছে! যদিও আমি মুসলেহউদ্দিকে বেশী পড়েছি- নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়কে কম পড়েছি।
ধন্যবাদ এই মিলের কথাটা মনে করিয়ে দেবার জন্য।
৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:০২
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: বড়ো মোক্ষম দাওয়া। দুসরি বিবি। যদিও সবাই একমাত্র বিবি।
আপনি বলেছিলেন পিডিএফ দেবেন। আমি সেটার অপেক্ষায় আছি কিন্তু।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২১
শেরজা তপন বলেছেন: পিডিএফ করা সহজ ও দ্রুত পদ্ধতি আমার জানা নেই
আপনি আমাকে হেল্পাইতে পারবেন কি? কৃতার্থ হব
৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৮
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি। গল্পের মধ্যে এক জায়গায় আজরাইলের শিংগার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শিংগা তো আজরাইলের না, ইসরাফিলের।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: ভাল বিষয়টা ধরেছেনতো-ব্যাপারটা আপনার চোখ এড়ায়নি!
মুল বইতেই আজরাইলের কথা লেখা আছে- ভুলটা লেখকের অথবা ছাপার। আমার ঠিক করে দেয়া কি উচিৎ হবে?
৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ২:৪৩
সোহানী বলেছেন: যতটুকু মনে পড়ে দু একটা বই পড়েছিলাম। পুরোপুরি মনে করতে পারছি না। আশা করি আপনার লিখনীতে পড়বো অনেক দিন পর।
দুসরা বিবির গল্পে ভালো লাগা........
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ হায় হায় দুসরা বিবির পক্ষে আপনিও মত দিলেন!!!!
সুযোগ পেলে পড়বেন। তবে এখন আর সময় করে পড়া হয়ে উঠবেনা হয়তো -তাইনা? কত কাম
৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:১৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মানুষের ভুলে একজন ভালো লেখক নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী আফসোস বড়ই আফসোস। আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা দিয়ে তাকে যৎকিঞ্চিত হলেও পাঠকদের সাথে পরিচয় করাতে চাচ্ছি
ধন্যবাদ ভাই।
* লেখালেখি নাই কেন?
৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫২
জুন বলেছেন: আপনার কি অবস্থা শেরজা তপন? আপনার কি হায়বত জং এর শেখানো এলাজের দরকার আছে শেষের দিকে আমার মনেও এমন একটা সন্দেহ হচ্ছিল।
কষ্ট করে আমাদের জন্য লেখাটি টাইপ করেছেন আপনার কষ্ট স্বার্থক। সত্যি মজার গল্প।
পান জর্দার সুবাস নিয়ে আমারও একটা ভয়ংকর অভিজ্ঞতা আছে কিন্তু বললেই বলবেন এহ জুন আপার অভিজ্ঞতার ভান্ডার দেখি সীমাহীন
+
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: নারে আপু ওই কথা মুখে আইনেন না!
(এই সেইদিন গিন্নীরে গর্ব করে বললাম আমার চৌদ্দগুষ্টিতে কেউ দুই বিয়া করে নাই। - সে কয়, তুমিই মনে হয় পয়লা করবা
চৌদ্দগুষ্টির রেকর্ড ব্রেক করবা।)
একটা বিশেষ ফর্মুলায় ওয়ার্ড-এ রুপান্তর করেছি শুধু ও'কার গুলো আর লাইন ঠিক করে দিতে হয়। খুব বেশী কঠিন কর্ম নয়। পুরা লিখতে হইলে আমার নিজের কত গল্প আছে
কি কন তাই নাকি- কি অভিজ্ঞতা নাই আপনের হেইডা কন!!!!
১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: বিসৃতপ্রায় কথাশিল্পী আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দিন'কে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই সাথে থাকবার জন্য- ভাল থাকুন।
১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০২
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: বইয়ে থাকলে ওটা ওভাবেই থাক। ঠিক করাটা ঠিক হবে না। এক্ষেত্রে লেখকের অথবা যার কাছে কপিরাইট আছে তার অনুমতি লাগবে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও তাই ভেবেছি - ওভাবেই থাকা উচিৎ! ধন্যবাদ আপনাকে ফের এসে মন্তব্যের জন্য
১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কথাশিল্পী আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দিন'কে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। আপনাকে পড়েই আমি আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দিন-এর বই রম্য গল্পসমগ্র অর্ডার করেছি। পড়বো সময় নিয়ে।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: বাঃ তাই নাকি- অনেকেই নাকি উঁনার রম্য গল্প খুঁজে পাচ্ছে না! স্টক আউট
হাতে পেলে জানাবেন। অনেক ভাল লাগল জেনে- ভাল থাকুন আপনিও
১৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮
হাবিব বলেছেন: আজকাল মন দিয়ে পোস্ট পড়ার সময় পাচ্ছি না। তবে আপনার পোস্ট পড়বো। তাই একটা মন্তব্য রেখে গেলাম দায়সারা গুছের
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: কেন কি সমস্যা হোল ব্যস্ততা বেড়ে গিয়েছে নাকি?
জেনে ভাল লাগল- সময় করে পড়বেন।
১৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
পাঠক মহলে উনার পরিচিতি কেমন?
unction at() {
[native code]
}
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এইটা কি হইল- সমস্যা যায় নাই?
আপিনিই বললেন কোনদিন উনার নাম শোনেননি- তেমন অনেকেই শোনেনি তাঁর নাম। সেজন্য তিনি -স্বাধীনতাত্তোর বাঙলা সাহিত্যের সবচেয়ে অবমুল্যায়িত লেখকের ট্যাগ পেয়েছেন।
১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫১
হাবিব বলেছেন:
ভাইজান, আরো আরো পোস্ট চাই। পড়তে পড়তে লেখার মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম। জম্পেস রম্ম। লেখাটি পড়েছি আর একা একাই হেসেছি। ভালো লাগলো। এমন লেখার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ তপন ভাই।
জ্বি ভাই, ব্যস্ততা বেড়ে গিয়েছে। পোস্ট করার সময় পাচ্ছি না। পড়ার সময়ও কম পাচ্ছি।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: মনে হচ্ছে দাওয়াই কাজে লাগবে?
চেষ্টা করব লেখকের আরো কিছু রম্য লেখা উপহার দিতে।
হুম আপনার লেখা মিস করছি।
১৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৪
হাবিব বলেছেন: আর যাই হোক ঐ লেখকের লেখায় পাঠক ধরে রাখার ক্ষমতা শতভাগ বলে মনে হয়।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমি এই কথাই বলতে চাইছি- সহমত ভ্রাতা
১৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: স্বনামধন্য কথাশিল্পী 'আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দিন' এর সাথে এ ব্লগের পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য য়াপনাকে সাধুবাদ! তিনি যেমন ছিলেন একজন দক্ষ, উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা, তেমনি একজন উচ্চমানের কথাশিল্পী এবং রম্যকথনে বিশেষ পারদর্শী লেখক।
গল্পের একদম শেষে বলা হযরতের দাওয়াইটার ব্যাপক প্রচার না হওয়াই শ্রেয়ঃ। হলে, অনেক অবলা নারীর কপাল পুড়তে পারে।
পোস্টে দ্বাদশ প্লাস। + +
২৮ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ।
তবে লিখেতো পড়েছি বিপদে। এক ভদ্রলোক মুসলেউদ্দিন সাহবকে নিয়ে সল্প বিস্তর গবেষনা করছেন সম্ভবত।
তিনি আমার কাছে তার বিষয়ে আমার কাছে জানতে চাইছেন- বিশেষ করে তার লেখা 'নাত' এর বিষয়ে। এই নিয়ে নাকি একটা সংকলন বের করবেন। বহু আগের লেখা রেভারেন্স সব হারিয়ে গেছে- কি যে করি?
অষ্ট্রেলিয়ায় আপনার দিন বেশ ভাল কাটছে আশা করি। সিডনি ইউনিভার্সিটিতে হেলথ এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ডঃ তানভীর হুদা, ও বেশ পরিচিত মুখ জিপি ডাঃ মোঃ আল ফারুক ভাস্কর আছে। কোনভাবে যোগাযোগ হলে আমার কথা বলবেন(তপন)।
ভাল থাকুন নিরন্তর!
১৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:৪১
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের সমসাময়িক শিক্ষিত বাঙালি আবুল খায়ের মুসলেহ উদ্দিনের গল্প পড়া দূরে থাক, তাঁর নাম পর্যন্ত শোনেননি, অথচ সবাইকে জ্ঞানের দাবড়ানি দেন, এর চেয়ে বড় রম্য, প্রহসন আর কী হতে পারে! টুকলিফাই ব্যাচ নির্ঘাত।
৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: আরে মামুন ভাই, অনেকদিন বাদে আপনার দর্শন পেলাম!!!
এভাবে ব্লগ-বিমুখ হলেন কেন?
উনার কথা বাদ দেন। অবসরে থাকা বয়স্ক মানুষ- ব্লগ নিয়েই পড়ে আছেন। থাকুন তার মত- জানলে জানল না জানলে কার কি
এসে যায়।
উনি যদি না চিনেও বলতেন চিনি তাহলে আমরা কি বলতাম? এমনটা অনেকেই বলেন
আপনি ফের ব্লগে নিয়মিত হউন ভাই।
১৯| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: "অষ্ট্রেলিয়ায় আপনার দিন বেশ ভাল কাটছে আশা করি" - আমি ইতোমধ্যে দেশে ফিরে এসেছি। আর মেলবোর্ন ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার অন্য কোন শহরে যাই নাই। পরে আবার কখনো গেলে সিডনী যাবার আশা আছে, কারণ ২০১৯-২০ আর ২০২২ এ পর পর দু'বার অস্ট্রেলিয়া গেলাম, সিডনী অবস্থানরত আমার বন্ধুদের এবং আত্মীয় স্বজনের আমন্ত্রণ রক্ষা করে সিডনী যেতে পারি নাই। আগামীতে চেষ্টা থাকবে যেন অন্ততঃ সপ্তাহখানেক সময় সেখানে কাটাতে পারি।
৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: আমি ভাবেছিলাম আপনি সিডনি গিয়েছিলেন।
পরে কখনো গেলে ওদের সাথে দেখা হবে না হয়। আমার আরো কিছু বন্ধু আছে সেখানে এমনকি এক বন্ধুর ছেলেও পড়তে গিয়েছে
সেখানে!!!
ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কাউয়ার গোস্তের হালুয়ার নাম আগে শুনি নাই। কাশ্মীরি মনাক্কার হালুয়া সব পুরুষের খাওয়া উচিত। এই দুইটা খাবারের রান্নার পদ্ধতিটা ভিডিওসহ মেহেরবানী করে শিখিয়ে দেবেন ব্লগারদের।
আর গল্পের শেষের লাইনের উপদেশ আমাদের দেশের গ্রামের অনেক লোকই অনুসরন করতো এক সময়। এখনও কদাচিৎ অনেকে করে থাকেন। তবে এখন জমানা বদলে গেছে এখনকার নীতি হোল 'দুটি সন্তানের বেশী নয় একটি হলে ভাল হয়'। আমার খালু পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অফিসার ছিলেন। ওনার নিজেরই ৬ মেয়ে আর ১ ছেলে ছিল। ভাগ্য ভালো উনি নবাব সাহেবের এই গল্প পড়েন নাই।