নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মস্কোর ঘণ্টা

২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩৫


স্কোর ক্রেমলিনের ইভান গ্রেট বেল টাওয়াররে অনতিদুরে দেখা মিলল সপ্তম আশ্চর্যর এক আশ্চর্য যাকে আমরা মস্কোর ঘন্টা বলে জানি আদপে তা ‘জার বেল’(Tsar Bell) নামে পরিচিত।
দৈত্যাকৃতি ঘন্টা আর বিশাল এক ক্যানন বা কামান সেটা 'জার কামান' নামে পরিচিত যা এযাবৎকালের বড় কামানের একটা।আমি প্রথমে যার পর নাই হতাশ হয়েছিলাম এ দুটো শিল্পকর্ম দেখে। আমি ভেবেছিলাম আমার ধারনার থেকে বিশাল ঘন্টা ঝুলে আছে ততোধিক কারুকার্য খচিত গ্রেট বেল টাওয়ারের বারান্দায়। চোখ তুলে ঘন্টার বিশালতা আর কারুকার্য দেখে বিস্ময়ে হা হয়ে যাব- সপ্তাশ্চর্য বলে কথা! বিমুগ্ধ দৃষ্টিতে কাটিয়ে দেব ঘন্টার পর ঘন্টা- অপেক্ষা করব জলদগম্ভীর কন্ঠে তার ধ্বনি! বুকে কাপন ধরাবে সে ঘন্টার মুর্ছনা! গীর্জা ঠিকই আছে কল্পনার সাথে মেলে কিছুটা, কিন্তু একি-ঘন্টার এ হাল কেন?
একটা গ্রানাইডের বেদীর উপর কাত হয়ে দাড়িয়ে আছে বিশ্বের এক অন্যতম বিস্ময়। ভাঙ্গা ঘন্টা-এটা বাজবেনা কখনো।পরে জেনেছি এটা বাজেওনি কখনো! অর্থ আর প্রতিপত্তির কি নিদারুন অপচয়!
বিশ্বের এক বৃহত্তম ঘন্টা যার থেকে একবারো ধ্বনিত হয়নি কোন মূর্ছনা আর বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম কামান,যেটা থেকে একটা গোলাও বর্ষিত হয়নি।লেনিনের সমাধি মন্দির দেখে যতটা বিমোহিত হয়েছিলাম ঠিক ততটাই হতাশ হলাম মাথামোটা জারদের এমন অসহ্য কর্মযজ্ঞ দেখে।
এমন দুটো মহান(!) শিল্পকর্ম মানব জাতির কাজে আকাজে কোনকিছুতেই আসেনি। তবে ঘন্টা বাজা না বাজার উপর মানবজাতির কোন কল্যান অকল্যানের ব্যাপার জড়িত থাকার কথা নয় কিন্তু কামান থেকে যে একটা গোলাও বের হয়নি এটা নিঃসন্দেহে ভালো খবর।
জার বেলের ওজন মতভেদে ২০০ থেকে ২১৬ টন। উচ্চতা নিয়েও মতভেদ আছে- উচ্চতা ৬ থেকে ৬.১৪ মিটার আর ব্যাসার্ধ ৬.৬ মিটার।
জার পিটার দ্যা গ্রেটের ভাতিজি সম্রাজ্ঞী আন্নার অনুমতিক্রমে তৈরি করা হয় জার বেল।
রাজকুমারী আন্না প্রথমে ফ্রান্সের রাজকীয় কারিগর দিয়ে ঘন্টাটি তৈরি করতে চেয়েছিলেন কিন্তু জার্মানীর আদালত এটাকে অসম্ভব কর্ম বলে প্রত্যাখান করার ফলে,আন্না কাজটি করার দায়িত্ব দেন তৎকালীন বিখ্যাত রুশ কারিগর ইভান মতরিন আর ছেলে মিখাইল মতরিনকে।
প্রথমবার দুবছর কাজ করার পরে এক রহস্যময় অগ্নিকান্ডের ফলে ঘন্টাটি নষ্ট হয়ে যায়,যার শোকে মারা যায় মুল কারিগর ইভান মতরিন।(মতৈক্য বিদ্যমান)
পরবর্তীতে মিখাইল মতরিন পুরো দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নেয়। দুইশত নামিদামী কারিগরের এক বিশাল বহর নিয়ে ১৭৩৫ থেকে ৩৭ সালে এই বিশাল কর্মযজ্জ্ঞটি শেষ করে। কিন্তু জনশ্রুতি আছে,ঘন্টাটি তৈরির পরে মাটির গর্তে যখন ঠান্ডা করা হচ্ছিল তখন আবার ক্রেমলিনের ফের ভয়ঙ্কর এক অগ্নিকান্ডে ঘন্টা’টির ক্ষতিসাধন হয়। রাজকীয় কর্মচারিরা উত্তপ্ত সেই ঘন্টাখানা অতুদ্রুত শীতল করেত গিয়ে সবচে বড় ক্ষতিটা করে ফেলে।
অন্য এক সুত্র মতে,আচমকা মুষল ধারায় বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তপ্ত ঘন্টাটি অতিদ্রুত ঠান্ডা (overheating and uneven cooling) হওয়ার ফলে ভেঙ্গে যায়। ঘন্টা থেকে ১১.২ টনের একটা খন্ড আলাদা হয়ে যায়।
অন্য আরেক সুত্র থেকে জানা যায় সুইডিসদের সাথে এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধে জয়ী হয়ে পিটার দ্যা গ্রেট যখন মস্কোতে ফিরে আসেন তখন তিনি আদেশ করেন তার বিজয় সেলিব্রেট করতে মস্কোর সব ঘন্টা বাজাতে।কিন্তু সারা মস্কের সব ঘন্টা যখন টুংটাং স্বরে বাজছিল তখন নিশ্চুপ ছিল শুধু জার বেল। পিটার দ্যা গ্রেটের গার্ড রেজিমেন্টের সব সৈন্য মিলে বহু চেস্টা করেও সেই ঘন্টা থেকে একটা ঢং শব্দ বের করেত পারেনি!
জার বলে কথা-তখন পিটারের সব গোস্যা গিয়ে পড়ল সেই ঘন্টার্ উপর! তার ধারনা ছিল তার এই মহান বিজয় উৎসবের বিরোধীতা করছে এই ঘন্টা-অতএব সেটাকে ভেঙ্গে নিক্ষেপ কর গর্তে।
সুত্রমতে ‘জার বেল’ ঠিক একশত বছর ১৮৩৫ সাল পর্যন্ত অনাদর অবহেলায় পড়ে ছিল সেই গর্তে। ফরাসী স্থপতি অগুস্তে মন্তফ্রেন্দ সেটাকে উত্তোলোন করে গ্রানাইড ভিত্তিস্থম্ভে স্থাপন করেন-আর ভাঙ্গা সেই টুকরোটিকে রেখে দেন তার পাশেই।
এর আগে একই নামে আরো দুটো ঘন্টা তৈরি করা হয়েছিল। প্রথমমটা তৈরি হয় ১৬৫৫ সালে যার ওজন ছিল ১৩০টন। সেটাও কখোনো বাজেনি চার্চের বিরোধীতার কারনে আর পরেরটা তৈরি হয় ১৭০১ সালে সেটারো হাল হয়েছিল ওমনি।
(মাঝের ছবিটি ১৯৯২-৯৩ সালে পোলারয়েড ক্যামেরায় তোলা)
(রি-পোষ্ট)

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: বাহ চমৎকার লিখেছেন। বেশকিছু নতুন বিষয় জেনে নিজেকে সমৃদ্ধ করলাম। +

২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সকালের প্রথম মন্তব্যের জন্য। বাবনিক একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছিল- তাই রুচি ও স্বাদের পরিবর্তন :)

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৫৩

ইসিয়াক বলেছেন: আমাদের বাসায় একসময় রাশিয়ান পত্রিকা ( বাংলায়) রাখা হতো। সেই পত্রিকা পড়তো আমার আব্বা । সেখান থেকে সম্ভবত এই ঘন্টা সম্পর্কে জেনেছিলাম।
যদিও মনে নেই তেমন কিছু। আবারও ঝালিয়ে নিলাম।

পোস্ট ভালো লাগলো।
শুভ সকাল।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: যদিও অনেকেই এর থেকে বিশদ অনেককিছু জানে কিংবা অর্ন্তজালে ঢুঁ দিলে বহু তথ্য মিলবে তবুও নিজের চোখে দেখে গল্প করার মজাই আলাদা!
পুরনো পোষ্ট ১৩ বছর বাদে দিলাম- তখন ইন্টারনেট দুনিয়ায় তথ্য অপ্রতুল ছিল! এটুকু বের করতেই বেশ কষ্ট হয়েছিল।

অনেক ধন্যবাদ ফের বরাবরের মত সাথে থাকার জন্য। ভাল থাকুন

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমদের বাসায় একটা চোট্ট মস্কোর ভাংগা ঘন্টা আছে।আমার শালী পড়াশুনা শেষ করে আসার সময় নিয়ে আসে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার শ্যালিকা কি রাশীয়াতে পড়াশুনা করেছে?

আমি মস্কোর ঘন্টার রেপ্লিকা তখন দেখিনি। এখন বিক্রি হয় হয়তো

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

জগতারন বলেছেন:
২০০০ সালে আমি এই ঘন্টা মস্কোতে বাস্তবভাবে দেখে বিস্ময়ে আর ভাবতে পারি নি।
কী ভাবে সম্ভব এতো বড় আকৃতির একটি বস্তু তৈয়ারী করা তাও অতি নিখুঁতভাবে।
এর আগে বাল্য বেলায় সহপাঠীদের সাথে অপরিনামদর্শি গল্প করতাম এবং ধাঁধা দিতাম একে অপরকে;
বলতো মস্কোর ঘন্টা ভাঙ্গছে কে ?
তারাও একেক জনে একেক অপরিনাম দর্শি উত্তর দিতোঃ
এতো বড় বিশাল আকৃতির ঘণ্টা এক জায়গা থেকে অন্যত্র সরাতেই সেই ঘণ্টা ভেঙ্গেছিল।
আমি মস্কোর সেই ঘন্টার বাস্তবতা দেখে বাল্যকালের সেই অপরিনাম দর্শি উত্তরের
সত্যতাই উপলব্ধি করা ছাড়া কিছু ভাবতে পারি নি।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল লাগল আপনার অভিজ্ঞতার গল্প শুনে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ -ভাল থাকুন

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮

শোভন শামস বলেছেন: বিশাল দেশ রাশিয়ার জানা অজানা কথা তুলে ধরার প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: আমার সাধ্যমত চেষ্টা চালাচ্ছি- দেখি কতদুর যেতে পারি :)

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৫৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আহারে

মাকাল ফল ঘন্টা।

না বাজুক। তবুও দেখতে সুন্দর হোক।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ ঠিক বলেছেন; মাকাল ফল!

তবে ভাঙ্গা জিনিষ যতই ভাল দেখতে হোক- আমার ভাল লাগেনি! তবুও এর ঐতিহাসিক ভ্যালু মনে হয় বিবেচনা করেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে- অনেকদিন পরে পেলাম আমার ব্লগ বাড়িতে।

৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৫৬

জটিল ভাই বলেছেন:
বহুদিন আপনার এক পর্বের লিখার অপেক্ষায় আছি। বাবনিক এর মত বহু পর্বের লিখায় এলার্জি থাকায় বহুদিন আপনার লিখা পড়া হয়নি। আপনাকে মিস করি সেটা বলার সুযোগও হয়নি। আশা করি ভাল আছেন। পোস্ট +

২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: বাবনিক লিখে লিখে আমিও ক্লান্ত- একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছিল!
অনেক লেখা জমে আছে। বাবনিকের জন্য সেগুলোর পোষ্ট দিতে পারছিনা।
আপনি মন্তব্যের জন্য এক পর্বের একটা লেখার অপেক্ষায় ছিলেন জানলেতো আরো আগেই দিতাম :)

আপনাকে ফের পেয়ে ভাল লাগল।
'জটিল কথন' দেখেছি- পড়ে সকালে মন্তব্য করব। ভাল থাকুন।

৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অলিম্পিকের সময় করেছিল মনে হয় ।ও চলে আসে ৮১ তে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: ওরে বাবা সে-তো অনেক আগের কথা!
তখন থাকলে আমাদের সময় কেন পেলাম না- নাকি খুঁজিনি, কে জানে হয়তো ছিল!
ধন্যবাদ ফের এসে মন্তব্য করার জন্য।

৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনার মন্তব্য পেয়ে আপ্লুত হলাম- ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ

১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ভিন দেশ নিয়ে লিখেন। নিজের দেশ নিয়ে কিছু লিখতে ইচ্ছা করে না?

৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যটা হজম করতে কষ্ট হোল। আপনি নিয়মিত আমার ব্লগ বাড়িতে আসেন- টাচে থাকেন। এই ভুল আপনার কেমনে হোল!!!

গত কয়েক মাসে আমি, বাংলাদেশের চামড়া শিল্প নিয়ে ধারাবাহিক লিখেছি। আলেকজান্ডারের ব্যর্থ বাংলা অভিযান থেকে শুরু করে, সৈয়দ মুজতবা আলী, আবুল খায়ের মুসলেউদ্দিন, বেড়াভাঙ্গা সৈয়দ ও অনার্য শেখ , ফের রসগোল্লা, ঘাটের ভাষা, টাকার নেশা, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ফিলিস্তিনের ভুমিকা সহ অসঙ্খ্য লেখা দেশ ও দেশীয় বিষয় নিয়ে লিখেছি- এরপরে একথা কে যে বললেন, ভেবে পাচ্ছি না???
যাই হোক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুনর ভুমিকা সহ অসঙ্খ্য লেখা দেশ ও দেশীয় বিষয় নিয়ে লিখেছি- এরপরে একথা কে যে বললেন, ভেবে পাচ্ছি না???
যাই হোক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




ছেলেবেলা সাধারণ জ্ঞানের বইতে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য্য মিশরের পিরামিড, ব্যাবিলনের শূন্যদ্যান, চীনের প্রাচীর, আগ্রার তাজমহল ইত্যাদির পাশাপাশি মস্কোর ঘন্টার নামও শুনেছি আর এই বুড়োবেলা মাত্র সেই ঘন্টা সম্পর্কে অনেকখানি জানা হলো। মস্কোর ঘন্টার মতো ছেলেবেলা থেকে বুড়ো বেলার দীর্ঘ সময় ধরে আমার জ্ঞানের সে ঘন্টাটাও বাজেনি। :(

যদিও প্রাচীন, মধ্যযুগীয় আর আধুনিক যুগের সপ্তাশ্চর্য্যের মধ্যে মস্কোর এই ঘন্টাটির উল্লেখ নেই তবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ঘন্টা তালিকায় এটা শীর্ষে। সম্ভবত বিশ্বের বড় ঘন্টা যেটা এখনও বাজে, সেটা চীনে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১২

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা আমরাও এগুলো পড়েছি আর মনে মনে ভেবেছি সেইরকম কিছু হবে!!
সেই সময়ে এসবের ছবি দেখার সৌভাগ্য হয়নি- তাহলে এতটা হতাশ হতাম না :)

~ মস্কোর ঘন্টার মতো ছেলেবেলা থেকে বুড়ো বেলার দীর্ঘ সময় ধরে আমার জ্ঞানের সে ঘন্টাটাও বাজেনি।- আপনার যদি না বেজে থাকে তাহলে আমাদের ঘন্টাই নেই :(
আপনার শেষের কিছু তথ্য আমার জানা ছিল না। ধন্যবাদ ফের আমার ব্লগে আসার জন্য- ভাল থাকুন নিরন্তর

১২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সোহানী বলেছেন: খুব দেখতে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে। জানি না সম্ভব হবে কিনা।

দারুন কিছু জানলাম।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: দুরত্বটা একটু বেশী -কিন্তু আপনার জন্য খুব বেশী অসম্ভব নয়তো দেখা।
ইচ্ছে থাকলে অবশ্যই হবে।
অনেক ধন্যবাদ- বরাবরের মত আপনাকে পেয়ে আনন্দিত হলাম।

১৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঘণ্টাটা ঢাকার ধোলাই খালের মিস্তিরিদের দিলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘণ্টা ঠিক করে দিতে পারবে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:১০

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ
ধোলাইখালের মিস্ত্রীদের নিয়ে বেশ উচ্চ ধারনা পোষ করেন আপনি :)

রাশিয়ানদের অফারটা দিতে হবে। অনেকদিন বাদে আপনাকে পেলাম- ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।

১৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমত- অন্যতম আশ্চর্য হিসেবে রাশান ঘন্টার বিবরণ পড়ে সমৃদ্ধ হলাম। সত্যি কথা বলতে ইতিপূর্বে এসম্পর্কে বিশেষ কিছু জানতাম না।সেদিক দিয়ে অজানা অনেক কিছু শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। সঙ্গে বাড়তি পাওনা রাশান কামান।
তবে সবকিছু স্থাপনার পিছনে একটা নির্দিষ্ট কারণ থাকে। সেক্ষেত্রে আন্নার খেয়াল বশত ঘন্টার স্থাপনার চেয়ে সুইডেনের সঙ্গে যুদ্ধের জয়লাভকে স্মরণীয় করাটাকেই বেশি যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে। বিতর্ক যাই হোক সুন্দর তো সুন্দরই। তবে আপনার দেওয়া ছবিটি দেখে কিন্তু বোঝার উপায় নেই যে ঘন্টাটা খুব বড়। জানিনা বড় ঘন্টার জন্য আরও বড় ক্যামেরায় ছবি তুলতে হয় কিনা.....হেহেহে

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: ~সেক্ষেত্রে আন্নার খেয়াল বশত ঘন্টার স্থাপনার চেয়ে সুইডেনের সঙ্গে যুদ্ধের জয়লাভকে স্মরণীয় করাটাকেই বেশি যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে।- মনে হয় শেষ জার ছাড়া বেশীরভাগ জার গিন্নীদের মাথায় ঝামেলা ছিল!
তবে হ্যা জার বেলটা দেখতে সুন্দর!
তখন রাশীয়ায় পোলারয়েড ক্যামেরার যুগ শূরু হয়েছে। এসব বিখ্যাত জায়গার আশেপাশে দুয়েকজন প্রফেশোনাল ফটোগ্রাফার অপেক্ষায় থাকত ভ্রমনার্থীদের ছবি তোলার জন্য। তাদের একজনেরই তোলা। হুমায়ুন আহমেদের থিউরিতে আমি ছিলাম মাঝখানে :)
ক্যামেরাতো দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে- অমন বড় ক্যামেরা পাব কোথায়??

অ।ট। আপনার লেখালেখি বন্ধ কেন??

১৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:০০

কালো যাদুকর বলেছেন: দারুন বর্ণনা। জানা ছিল না যে ওগুলো অকেজো। একটি দারুন কথাও লিখেছেন - এগুলো মানুষের কাজে / অকাজে আসেনি।
এ কথাটিই সবচেয়ে মূল্যবান মনে হয়েছে। আমাদের চারিপাশে এরকম কত উদাহরন আছে।
এখন সেটিই ভাবছি - কেবল ভাবছি।

ধন্যবাদ।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: দেরিতে উত্তর দেবার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি!
অনেকদিন পরে আপনাকে আমার ব্লগবাড়িতে পেলাম। ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল -ভাল থাকবেন।

১৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা। বেশকিছু দিন ধরে ঘর ও পেশায় এতোটা ব্যস্ত যে সামান্যতম সুযোগ পারছিনা। যে ব্যস্ততা আমার লেখালেখিতে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।কি আর বলব...দেখি কবে আবার চাপ মুক্ত লাগে...
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় তপন ভাইকে।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: চাপ সামলে ফের প্রানবন্তভাবে ব্লগে ফিরে আসুন। ব্লগটা কেমন ঝিমিয়ে গেছে!!!

যদিও এটা স্বাভাবিক- এখন সবার ব্যস্ততা চরম বেড়েছে, চাইলেও অনেকে সময় দিতে পারেনা :(

১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৮

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: জানা ছিল না এত কিছু। জানা হল আপনার পোস্টের মাধ্যমে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: আমার ব্লগবাড়িতে এসে মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাল থাকুন সাথে থাকুন।

১৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: যদিও অনেকেই এর থেকে বিশদ অনেককিছু জানে কিংবা অর্ন্তজালে ঢুঁ দিলে বহু তথ্য মিলবে তবুও নিজের চোখে দেখে গল্প করার মজাই আলাদা! - সেই পার্সোনাল ফ্লেভার থাকার কারণেই আপনার এই পোস্ট পড়তে খুব ভালো লাগল। আমার অনেক বন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে পরেই রাশিয়া গিয়েছিল উচ্চতর শিক্ষার জন্য, সরকারী বৃত্তি লাভ করে। ওদের মুখে অনেক গল্প শুনি, যার কিছু কিছু প্রতিফলন আপনার লেখাতেও পাই।

শোভন শামস বলেছেন: "বিশাল দেশ রাশিয়ার জানা অজানা কথা তুলে ধরার প্রচেষ্টা চালিয়ে যান" - আমারও একই কথা!

১০ নং মন্তব্যটি মোটেই ভালো লাগেনি। তবে প্রতিমন্তব্যটি ভালো লেগেছে।

পোস্টে প্লাস। + +

০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তর এত দেরিতে দেবার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ক্ষমা করবেন।
পরে উত্তর দিব ঠিক করে ভুলে গিয়েছিলাম।

অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভালবাসা ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল আপনার প্রতি।

১৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৬

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মস্কোর ঘন্টার কিংবদন্তীগুলো চমকপ্রদ। এতবড় অপচয় হয়েছে বলেই এর মাহাত্ম্য আরো বেড়ে গেছে বলে মনে হয় আমার।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এতদিনের পুরনো পোষ্টে মন্তব্যের জন্য।

আমারও তাই মনে হয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.