নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
আপনাকে যদি জিগ্যেস করি ; কয়েকজন রুশীয় কবি সাহিত্যিকের নাম বলুনতো? আপনি গড়গড় কর দশ-বারোটা নাম বলতে পারবেন অনায়াসে। বাহ বেশ! এবার আসি দ্বিতীয় প্রশ্নে। আচ্ছা দু-জন রুশ বৈজ্ঞানিকের নাম বলুনতো? দু-চারজন বলতে পারলেও বেশির ভাগ লোকই মাথা চুলকাবেন নিশ্চিত! এখন না হয় ডিজিটাল যুগ, অন্তর্জালে খোঁচা দিলে মূহুর্তেই হাজির হবেএকগাদা নাম। তবে ভাবুন একবার প্রায় দুইযুগ আগের কথা! কলেজ অব্দি পড়ে আমি জেনেছিলাম সাকুল্যে একজন রুশ কবি আর জনাচারেক সাহিত্যিকের নাম। এর মধ্যে আবার শুধু মলাটের উপর দু-একজনের নাম পর্যন্ত দেখেছি, ব্যাস। খটমট হবে ভেবে পাতা উল্টাইনি। জানার বহর ছিল ঐ পর্যন্তই। তবুও আত্মপ্রসাদে ভুগতাম। আমরাতাও ওদের দু-চারজন কবি সাহিত্যিককে চিনি, কিন্তু ওরাতো আমাদের দেশটাকেই ভালো করে চেনেনা।
আমাদের একাডেমিক ভবন থেকে প্রশাসনিক ভবনের দূরত্ব ছিল অনেকখানি। বাসে করে যেতে হতো। শান্ত নিস্তরঙ্গ সানা নদীর পাড় ঘেঁষে দারুণ ছিমছাম একখানা দালান। ভবনের দো-তলার সিঁড়ির মুখেই প্রায় পুরো দেয়াল জুড়ে বিশাল এক অয়েল পোট্রেট। ভদ্রলোকের রাজকীয় ভঙ্গী দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম, “এই ইনিস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা হয়তো তিনি”। কালে ভদ্রে সেখানে যাই। দোতলায় উঠেই ছবিটার কথা মনে পড়ে। আমার এক রুশ বন্ধুর কাছে একবার জিজ্ঞেস করলাম, “লোকটাকে, রে?”
সে এমন অবাক বিস্ময়ে আমার দিকে ফিরে তাকালো যে, আমি ঘাবড়ে গেলাম!
কিছুক্ষণ তার জবানবন্ধ ! এমন থাকলেই মনে হয় ভাল হতো। কন্ঠ দিয়ে শব্দ যখন বেরোলো, তখন সেটা এত অপমানজনক হবে আমি ভাবিনি।
-তুমি একে চেনোনা?! -ছাগল কোথাকার!
-তুমি নিউটন, আইনস্টাইনকে চেন?
হ্যা, চিনি।
তাহলে একে চেননা কেন? ইনি হচ্ছেন রাশিয়ার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী 'আন্দ্রে লোমানসভ।'
প্রারম্ভিকজীবন ও পরিবার
লমোনোসভ জন্মেছিলেন রাশিয়ার সর্ব-উত্তরে আরকানজেলস্ক শহরের দেনিসোভকা গ্রামে। পরবর্তী সময়েসেই গ্রামের নাম পাল্টে হয়ে যায় লমোনোসভ। তার বাবা ভাসিলিদোরো ফেয়েভিচলোনোসভ ছিলেন মৎসজীবী, যদিও বেশ ধনী, নিজের জাহাজে করে মাছ ধরতেন আর তা বিক্রি করতেন বড় বড় শহরে। লমোনোসভের মা ইলেনাসিভকোভা ছিলেন ভাসিলির প্রথম স্ত্রী।
বেশ অল্পবয়েসেই তাঁর বাবা তাকে নিজের ব্যবসায় নিযুক্ত করেন। লমোনোসভও বেশ দক্ষ তার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করতে সমর্থ হন।
কিন্তু ব্যবসাবাণিজ্য কখনোই তাকে টানেনি। তাঁর মুলত আগ্রহ ছিল নতুন নতুন কিছু জানার বা শেখার। দুঃখজনকভাবে তার বাবা তাকে কোন পড়ালেখা শেখায়নি- তিনি বালক-বয়সে তাঁর এক হিতাকাঙ্ক্ষী পড়শীর কাছে পড়াটা শিখেছিলেন। পড়ার প্রতি তাঁর ছিল অদম্য টান। একটুখানি সময় পেলেই বই পড়তে বসতেন। তাকে তাঁর এক গ্রাম্য ডেকান সব সময়ই পড়াশোনায় সাহায্য করেছেন। কিন্তু কৈশোরের একটা বড় অংশ তিনি শুধু ধর্মীয় বই পড়তে বাধ্য হয়েছেন।
১৭২৪ সালে ভাসিল (লমোনোসভের বাবা) তৃতীয়বার বিয়ে করেন। লমোনোসভের এই সৎ মা ইরিনার সাথে সম্পর্ক চরম তিক্ততায় পৌছে। এমনিতেই উচ্চশিক্ষার সুযোগনা পাওয়ায় তিনি বরাবরই ছিলেন প্রচণ্ডরকমের হতাশ আর অসুখী তারপরে তাঁর এই সৎ মায়ের ব্যবহার তাকে বাধ্য করে গ্রাম ছাড়তে।
১৭৩০ সালে মাত্র উনিশ বছর বয়সে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে মস্কোগামী এক কারাভানের সাথে রওনা হন। মস্কো পৌছানোর অল্প ক-দিনবাদেই ‘স্লাভিকগ্রীক ল্যাটিন একাডেমিতে’ একজন যাজকের সন্তানের মিথ্যে পরিচয়ে ভর্তি হন।
কিন্তু তাঁর এই মিথ্যে পরিচয় গোপন থাকেনি বেশীদিন। একাডেমি কর্তৃপক্ষ যখন সত্যি ঘটনা জানতে পারলেন তখন তাকে সেখান থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষার প্রতি তাঁর চরম দুর্বলতা আর তাঁর দুর্দান্ত মেধাই তাকে সে যাত্রায় বাঁচিয়ে দেয়।
সেই কঠিন সময়ে লমোনোসভ প্রতিদিন মাত্র তিন কোপেক (রাশিয়ান পয়সা) দিয়ে দিন নির্বাহ করতেন। শুধুমাত্র কালো পাউরুটি (সবচেয়ে স্বস্তা রুশ রুটি) আর কাভাস খেয়ে তিনি মাসের পর মাস কাটিয়ে দেন।
মেধাবী এই মানুষটি চরম দৈন্য সয়ে শিক্ষার প্রতি যে একাগ্রতা দেখিয়েছেন তা নিশ্চিতরূপে অনুকরণীয়। তার প্রতিভার প্রকাশ হতে দেরি হয়নি। সেই একাডেমিতে তিনবছর শিক্ষালাভের পর একাডেমি কর্তৃপক্ষ তাকে উচ্চতর শিক্ষার জন্য কিয়েভের মোহাইলা একাডেমিতে পাঠায়। বিস্ময়কর এই মানুষটি ১২ বছরের শিক্ষা (টুয়েলভথক্লাস) মাত্র পাঁচ বছরে শেষ করেন এবং গ্র্যাজুয়েশন করেন শ্রেষ্ঠতম ছাত্র হিসেবে। (১৭৩৬ সালে) সেন্টপিটার্সবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপ লাভ করেন। সেন্টপিটারর্সবুর্গের শিক্ষা শেষে তাকে পাঠানো হয় জার্মানির বিখ্যাত এবং পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় ‘মারবুর্গ ইউনিভার্সিটিতে (শুরু:১৫২৭)’।
১৮ শতকে মারবুর্গ ছিল ইউরোপের সবচাইতে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়। জার্মানির তৎকালীন প্রথিতযশা দার্শনিক ‘কিশ্চিয়ানউলফ’ এর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও প্রিয় ছাত্রদের একজন ছিলেন লমোনোসভ। লমোনোসভের প্রিয় এই দার্শনিকের দীর্ঘদিনের সহচর্য লমোনোসভের বাকি জীবনকে প্রভাবিত করেছে।
লোমোনোসভ দ্রুত জার্মান ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন এবং দর্শন ছাড়াও, রসায়নে গুরুত্ব সহকারে অধ্যয়ন করেন,১৭ শতকের ইংরেজ ধর্মতত্ত্ববিদ এবং প্রাকৃতিক দার্শনিক রবার্ট বয়েলের কাজ আবিষ্কার করেন, এমনকি কবিতা লিখতে শুরু করেন। তিনি জার্মান সাহিত্যেও মনোনিবেশ করেছিলেন। বলা হয় যে তিনি গুন্থারের গুণমুগদ্ধ ছিলেন। ১৭৩৯ সালে রচিত সাহিত্যকর্ম ‘Ode on the Taking of Khotin from the Turks’সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রচুর মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল।
জার্মানিতে বসবাসের সময়, লোমোনোসভ ক্যাথারিনা জিলচের বাড়িতে উঠেছিলেন।তিনি ক্যাথারিনার মেয়ে এলিজাবেথ ক্রিস্টিন জিলচের প্রেমে পড়েন।১৭৪০ সালের জুন মাসে তাদের বিয়ে হয়।‘রাশিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্স’ কর্তৃক প্রদত্ত স্বল্প এবং অনিয়মিত ভাতা তাঁর ক্রমবর্ধমান পরিবারের জন্য অপ্রতুলছিলো। যখন তাঁর আর্থিক পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে ওঠে, তখন তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
রাশিয়ায় প্রত্যাবর্তন
১৭৪১ সালে তিনি রাশিয়ায় ফিরে আসেন। এক বছর পরে রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেরপদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অ্যাডজুট্যান্ট হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়।১৭৪৩ সালের মে মাসে, লোমোনোসভকেএকাডেমির সাথে যুক্ত বিভিন্ন ব্যক্তিকে অপদস্ত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।তাকেগ্রেপ্তার করে আট মাস ধরে গৃহে অন্তরীণ রাখা হয়।অভিযোগকারীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর ১৭৪৪ সালের জানুয়ারিতে তাকে মুক্তি দেয়া হয় এবং ক্ষমা করা হয়। ১৭৪৫ সালে তিনি একাডেমির একজন পূর্ণ সদস্য এবং রসায়নের অধ্যাপক হিসেবে মনোনীত হন। তিনি একাডেমির প্রথম রসায়ন গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন। রাশিয়ার শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে১৭৫৫ সালেমস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি্র প্রতিষ্ঠায় লোমোনোসভ তাঁর পৃষ্ঠপোষক কাউন্ট ইভান শুভালভের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ১৭৬০ সালে, তিনি রয়েল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সের একজন বিদেশী সদস্য নির্বাচিত হন।১৭৬৪ সালে, তিনি Bologna Institute এর বিজ্ঞান একাডেমির বিদেশী সদস্য নির্বাচিত হন।
পদার্থবিদ
লোমোনোসভ ১৬৭৩ সালে সংঘটিত রবার্ট বয়েলের পরীক্ষাগুলো পুনরায় করার চেষ্টা করেন।তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে সাধারণভাবে গৃহীত ফ্লগিস্টন তত্ত্ব মিথ্যা। অ্যান্টোয়াইন লাভোয়সিয়ার আবিষ্কারগুলো সম্পর্কে পূর্বানুমান করেতিনি তার ডায়েরিতে লিখেছিলেন: " বিশুদ্ধ তাপের ক্রিয়ার ফলে ধাতুর ভর বৃদ্ধি পায় কিনা তা নির্ণয় করতেআজ আমি রূদ্ধ (হারমেটিক) কাচের পাত্রগুলিতে একটি পরীক্ষা করেছি। ১৩ তম পৃষ্ঠায় আমি যে পরীক্ষাগুলোর তালিকা সংযুক্ত করেছি তা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, শ্রদ্ধেয় রবার্ট বয়েলকে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল, কারণ বাইরে থেকে বাতাসের প্রবেশাধিকার না থাকলেওপোড়া ধাতুর ভর একই থাকে "। তিনি তাপকে গতির একটি ধরণ হিসেবে গণ্য করেছেন, আলোর তরঙ্গ তত্ত্বের ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন, গ্যাসের গতিতত্ত্ব প্রণয়নে অবদান রেখেছেন এবং পদার্থের নিত্যতার ধারণাটি নিম্নোক্ত কথায় বর্ণনা করেছেন: "প্রকৃতির সমস্ত পরিবর্তন এমনই যে, এক বস্তু থেকে যতখানি নেয়া হয়তার বিপরীতে অন্য বস্তুর সাথে ততখানিযুক্ত হয়।তাই, যদি পদার্থের পরিমাণ এক জায়গায় হ্রাস পায়, তবে তা অন্যত্র বৃদ্ধি পায়।প্রকৃতির এই সার্বজনীন নিয়মটি গতির নিয়মকেও গ্রহণ করে, কোনোবস্তু যদি নিজের শক্তিতে অন্যের স্থানান্তর ঘটায় তাহলে বস্তুটি যে শক্তি হারায় তা অন্য বস্তুটিতে স্থানান্তরিত হয়।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী
১৭৬২ সালে, লোমোনোসভ রাশিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সেস ফোরামে একটি অনুধ্যায়ী (রিফ্লেক্টিং) টেলিস্কোপের উন্নত নকশা উপস্থাপন করেছিলেন। তার টেলিস্কোপের মূল প্রতিফলকটি টেলিস্কোপের অক্ষের সাথে চার ডিগ্রি কোণে সমন্বয় করা হয়েছিল।ফলে এটি মূল ইমেজ ফোকাসকে টেলিস্কোপ টিউবের পাশে নিয়ে এসেছে, যেখানে পর্যবেক্ষক ইমেজটিকে ব্লক না করে এক চোখ ব্যবহার করেই দেখতে পারে।এই আবিষ্কারটি 1827 পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি, তাই এই ধরনের টেলিস্কোপের নকশা উইলিয়াম হার্শেলবাহার্শেলিয়ান টেলিস্কোপের অনুরূপ নকশার সাথে সংযুক্ত হয়েছে। লোমোনোসভ প্রথম ব্যক্তি যিনি ১৭৬১ সালে শুক্রগ্রহের কক্ষপথে শুক্রের অতিক্রমণ পর্যবেক্ষণ করে শুক্রের বায়ুমণ্ডলের অস্তিত্ব অনুমান করেছিলেন।
রসায়নবিদ
লোমোনোসভ প্রথম ব্যক্তি যিনি পারদের হিমায়িত হওয়াকে তালিকাভুক্ত করেছিলেন।তিনি প্রকৃতির পরিবর্তনের সাপেক্ষে নিয়মিত এবং ক্রমাগত বিবর্তনকে বিশ্বাস করতেন।তিনি মাটি, পিট, কয়লা, পেট্রোলিয়াম এবং অ্যাম্বারের জৈব উৎসের বর্ণনা করেছিলেন। ১৭৪৫ সালে, তিনি ৩,000 এরও বেশি খনিজের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিলেন এবং ১৭৬০ সালে তিনি হিমশৈলের (আইসবার্গ) গঠন ব্যাখ্যা করেছিলেন।
ভূগোলবিদ
লোমোনোসভের হিমশৈল গঠনের পর্যবেক্ষণ তাকে ভূগোলের ক্ষেত্রে তাঁর অবিস্মরণীয় কাজের দিকে ধাবিত করে। তিনিমহাদেশীয় সঞ্চরণ বা কন্টিনেন্টাল ড্রিফট তত্ত্বের কাছাকাছি গিয়েছিলেন, তিনি তাত্ত্বিকভাবে অ্যান্টার্কটিকার অস্তিত্বের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন (তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে দক্ষিণ মহাসাগরের হিমশৈলগুলোর নিচে শুষ্ক ভূমি আছে।) এবং সমুদ্রের দিক ও দূরত্ব নির্ণয়ের সরঞ্জাম আবিষ্কার করেছিলেন যা সমুদ্রযাত্রায় দূরত্ব ও দিক নির্ণয়কে সহজতর করেছিল।১৭৬৪ সালে, তিনিঅ্যাডমিরাল ভাসিলি চিচাগভের নেতৃত্বে সাইবেরিয়ার উত্তর উপকূলেএকটি অভিযানের আয়োজন করেছিলেন যার উদ্দেশ্য ছিলো আটলান্টিক এবং প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যেকার উত্তর-পূর্ব দিকেরগমনপথ খুঁজে বের করা।
মোজাইকশিল্পী
লোমোনোসভ মোজাইকশিল্পের প্রাচীন ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের একজন গর্বিত অংশীদার ছিলেন। ১৭৫৪ সালে, লিওনার্ড ইউলারকে লেখা তাঁর চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন যে, খনিজ পদার্থের রঙের ওপররাসায়নিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তাঁর তিন বছরের পরীক্ষা-নিরীক্ষা তাকে মোজাইক শিল্পে তার গভীর সম্পৃক্ততার দিকে ধাবিত করে। ১৭৬৩ সালে, তিনি একটি কাঁচের কারখানা স্থাপন করেন যা ইতালির বাইরে সর্বপ্রথম স্টেইনড গ্লাস মোজাইক তৈরি করে। লোমোনোসভের কাছে চল্লিশটি মোজাইকচিত্রকর্ম ছিল, যার মধ্যে মাত্র চব্বিশটি আজ অবধি অক্ষত আছে। এদের মধ্যে পিটার দ্য গ্রেট এবং পোল্টাভার যুদ্ধের পোর্ট্রেট সেরা, যাদের পরিমাপ ৪.৮× ৬.৪ মিটার।
কবি
১৭৫৫ সালে, তিনি একটি ব্যাকরণ লিখেছিলেন যাওল্ড চার্চ স্লাভোনিককে স্থানীয় ভাষার সঙ্গে যুক্ত করে রাশিয়ার সাহিত্যিক ভাষাকে পুনর্গঠিত করেছিলো। তাঁর সাহিত্যচর্চাকে আরও এগিয়ে নিতে, তিনি ২০ টিরও বেশি গম্ভীর গাঁথারচনা করেছেন, এদের মধ্যে‘Evening Meditation on the God's Grandeur’বিশেষভাবেউল্লেখযোগ্য।তিনি তাঁর পরবর্তী কাব্যগুলোতে একটি স্বতন্ত্র তত্ত্ব প্রয়োগ করেছিলেন। কোমল বিষয়গুলোর জন্য সামনে E, I, U স্বরবর্ণধারণকারী শব্দগুলির প্রয়োজন ছিলযাতিনিপ্রয়োগকরেছেন ।আবারযেখানে এমন কিছু পরিস্থিতি যা ভয়ের সৃষ্টি করতে পারে (যেমন "রাগ", "হিংসা", "ব্যথা","দুঃখ")সেসব ক্ষেত্রেপিছনে O,U,Y স্বরধ্বনিযুক্ত শব্দ ব্যবহার করা। যাকে এখন শব্দের প্রতীকবাদ (সাউন্ড সিম্বলিজম) বলা হয় তারই একটি সংস্করণ ব্যবহার করেছেন তিনি।তিনি ১৭৬০ সালে রাশিয়ার একটি ইতিহাসগ্রন্থ প্রকাশ করেছিলেন। উপরন্তু, তিনিভার্জিলের Aeneid এর উপর ভিত্তি করে পিটার দ্য গ্রেট সম্পর্কে একটি মহাকাব্য লেখার ব্যর্থ প্রচেষ্টাও করেছিলেন।১৭৬১ সালে, তিনি রয়েল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সের একজন বিদেশী সদস্য নির্বাচিত হন।১৭৬৪ সালে, তিনিসেক্রেটারি অফ স্টেট পদে নিযুক্ত হন।
তিনি এক বছর পরে সেন্ট পিটার্সবার্গে মারা যান।তার মৃত্যুর পর অনেক সময় পর্যন্ত তার বেশিরভাগ অর্জন রাশিয়ার বাইরে অজানা ছিল। রাশিয়ার লোমোনোসভ শহর,চাঁদ ও মঙ্গলের একটি জ্বালামুখের নামকরণ করা হয়েছে তাঁর নামানুসারে এছাড়াও, 1379 Lomonosawa গ্রহাণুটিও তাঁর নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে উৎক্ষেপণ করা একটি রাশিয়ান স্যাটেলাইটের নাম ছিল মিখাইলো লোমোনোসভ।দ্য ইম্পেরিয়াল পোর্সেলিন ফ্যাক্টরি, সেন্ট পিটার্সবার্গ (১৯২৫-২০০৫) তাঁর নামে নামকরণ করা হয়। মস্কোর ডোমোডেডোভো বিমানবন্দরের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে লোমনোসভের নামে রাখা হয়েছে। Lomonosov স্বর্ণপদক ১৯৫৯ সাল থেকে প্রচলিত হয় এবং প্রতিবছর রাশিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সেস কর্তৃক একজন রাশিয়ান এবং একজন বিদেশী বিজ্ঞানীকে এই পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়। সেন্ট পিটার্সবার্গ মেট্রোর নেভস্কো-ভ্যাসিলিওস্ট্রোভস্কায়া লাইনের লোমনোসভস্কায়া স্টেশনের নামকরণ করা হয়েছে তাঁর নামে।
তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গে ১৭৬৫ সালের ৪ এপ্রিল (আনুমানিক) মারা যান।তিনি "রাশিয়ান বিজ্ঞানের জনক" হিসাবে বিবেচিত। যদিও তাঁর অনেক বৈজ্ঞানিক কৃতিত্ব রাশিয়ার বাইরে তাঁর মৃত্যুর পর অনেকদিন পর্যন্ত অজানা ছিল এবং শুধু ঊনিশ এবং বিশেষত বিশ শতকের শেষের দিকে তাঁর কাজ যথাযথ প্রশংসা অর্জন করেছিল।
-----------------------------------
লোমোনোসভের লেখা কবিতা 'মেরু জ্যোতি' দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নীচের কবিতাটি রচনা করেছেন সর্বজনপ্রিয় ও শ্রদ্ধেয় ব্লগার ডঃ এম আলী ভাই; (তাঁর অনুমতি সাপেক্ষে লেখাটি মুল নিবন্ধের সাথে জুড়ে দিলাম)
ঈশ্বরের মহত্ত্বের উপর একটি সন্ধ্যার ধ্যান,
(কবিতাটি মেরু জ্যোতি হতে অনুপ্রাণিত)
মূল : মিখাইল লমোনসভ [১৭১১-১৭৬৫]
দিবস মুখ লুকিয়েছে সন্ধায়;
মাঠ শুয়ে আছে রাতের আঁধারে;
সূর্য রশ্মি আমাদের থেকে সরে গেছে দুর,
কালো ছায়া রেখেছে ঢেকে পাহাড়ের ধার।
অগণিত তারাগুলি আনন্দে ঝলমল করে
গভীর অতল গহ্বরে।
ছোট ছোট দাগের মতো সাগরের তরঙ্গ
অনন্ত হিমের মাঝে একটি স্ফুলিঙ্গ,
অগ্নিশিখার একটি পালক,
ঘূর্ণি হাওয়ায় ধুলোর কুঁচি ছুঁড়ে গেল,
এসবের মধ্যে এভাবেই নীজকে হারিয়ে ফেলি
বিশাল স্থানিক ব্যপকতায়!
জ্ঞানীরা করেন ঘোষণা সেখানে আছে
নাবলা বৈচিত্রময় বিশ্ব,
অতীতের সূর্যের সাথে গণনা বা তুলনা,
এবং প্রাচীন ইতিহাস সহ জাতিস্বত্যা:
তাদের প্রকৃতি, পৃথিবীর সাথে করে যা লড়াই,
সমান মূল্য দিয়ে কর ঈশ্বরের প্রশংসা ।
হয়েছে কি তোমাদের, প্রকৃতির নিয়ম?
উত্তরে হয় ভোর!
সেখানে কি জ্বলছে সূর্যের সিংহাসন
নাকি সমুদ্রের বরফ জ্বলন্ত আনন্দে উদ্ভাসিত?
রাতের আঁধার ভেদ করে আসে উজ্জ্বল প্রভাত,
তার শীতল শিখা আমাদের করে আবৃত.
হে জ্ঞানীগন, তোমাদের দ্রুতগতির নয়ন
অবিনশ্বর আইনের বইয়ে কর নিবদ্ধন
সামান্যতম লক্ষণে উপলব্ধি কর
সমগ্র মহাবিশ্বের চিহ্নসকল ।
গ্রহগুলি কোথায় যায় সেই পথগুলি কি জান:
তখন প্রার্থনা কর আর বল এত নিদর্শন কে দেয়!
কোথা থেকে আসে এই আলোর রশ্মিগুলো,
নহে বজ্র, পৃথিবী থেকে শীর্ষে ঊর্ধ্বমুখী,
পরিষ্কার মেঘহীন শীতের রাতে,
সকলই কি স্বর্গে বোনা পাতলা আলোক শিখা ?
রহস্যময় প্রকৃতি কেমন করে বহন করে
হিমায়িত বাতাস থেকে এমন আতশবাজি?
হয়তো সেসব কিছু সূর্যোদয়ের রশ্মি
কিংবা হেলান দেওয়া ভুল কুয়াশার চাদর;
সিঞ্চিত জলধারায় আলোড়িত নিকশ আঁধার;
অথবা ভোরের -জ্বলন্ত পর্বতচূড়া;
কিংবা সমুদ্র নিঃশ্বাসিত পশ্চিমা শূন্য বাতাশ ,
যা মসৃণ তরঙ্গ ইথারকে করে ফেলে দৃঢ়।
বিজ্ঞানীগন ,তোমাদের কথাতেও সন্দেহের বলয়
অনন্ত জিনিস দূরেও যায়না করা গোপন.
তাহলে পৃথিবীটা কত বড়?
পশ্চিমের তারার পিছনে কী আছে লুকিয়ে?
তোমরা কি কেয়ামত দিবসের কথা করেছ গণন ?
কিংবা স্রষ্টার মাহাত্ম্য করেছ কি পরিমাপন ?
--------
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: কাভাস একসময়ে রাশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় একটা পানীয় ছিল। খুব কম এলকোহল যুক্ত গম যব বা বার্লি তিন থেকে পাঁচ দিন গাঁজিয়ে অনেকটা ওয়াইন এর মত এই পাণীয় হয়। সস্তা ও সহজলভ্য পাণীয়কে রাশিয়ায় এক সময় জাতীয় পাণীয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আপনাকে পেয়ে অনেক ভাল লাগল আপু। আমিও ফের আসছি সময় করে।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৭
সোবুজ বলেছেন: রাশিয়াতো দুরের কথা। আমাদের দেশের কয়জন বিজ্ঞানীরা নাম আমরা জানি।পাটের জীবন রহস্য যে উন্মোচন করছে তার নামই হয়তো আমরা জানি না।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: কথাটা বেঠিক বলেননি তবে আমরা অনেকেই অনেক এলেবেলে মানুষকে চিনি কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষের নাম ই জানিনা।
আরেকটা তথ্য দিই- লোমানোসভ বিশ্বে প্রথম হেলিকপ্টারের মডেল করেছিলেন।
ধন্যবাদ আপনাকে সাথে থাকার জন্য।
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৫
সাসুম বলেছেন: খুব ভাল একটা জিনিষ তুলে ধরেছেন দাদা। তবে রাশিয়ান দের সাধুবাদ জানাতে হয় তারা বীর কে সম্মান দিতে কার্পন্য করেনাই।
আপনি অনেক গুলা তুলে ধরেছেন, আরো কয়েক্টা তুলে ধরি। ১৭৫৫ সালে তার হাত ধরে প্রতিষ্টিত মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির নাম এম ভি লোমোনোসব স্টেট ইউনিভার্সিটি রাখা হয় ১৯৪০ সালে।
এছাড়া খুব রিসেন্টলি আলোড়ন সৃষ্টিকারী ফ্লোটীং নিউক্লিয়ার ভেসেল ফ্লিট এর প্রথম ভেসেল এর নাম করা হয় তার নামানুসারে- আকাদেমিক লোমোনোসভ। রাশিয়ান পাওয়ার সুপ্রিমেসি অর্জনের অন্যতম একটা জায়ান্ট পদক্ষেপ এই ফ্লোটীং নিউক্লিয়ার ভেসেল ফ্লিট।
আপনার রাশা প্রেম আমার ভাল লাগে। লিখুন, আরো জানি আমরা
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: লোমানোসভকে নিয়ে গত দশ বছরের ও বেশী সময় ধরে আমি চেষ্টা করে বেশ বড় পরিসরের একটা নিবন্ধ লেকার।
কিন্তু মুল রুশ ভাষা থেকে অনুবাদ করা বেঈশ্রভাগ সায়েন্টিফিক টার্মস ও ল্যাঙ্গুয়েজ আমি বুঝতে পারিনি। ইংরেজী ভাষায় তাঁর সন্মন্ধে নেহায়েত অপ্রতুল তথ্য ছিল নেটে। কয়েকজন বিজ্ঞানের ছাত্রদের কাছ থেকে আমি এ বিষয়ে সহযোগীতা নিতে চেয়েছিলাম- কিন্তু এক সময় তারাও অনেক চেষ্টা করেও অপারগতা প্রকাশ করেছিল। তবুও তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ!
ভুল ভাল লাখার থেকে আমার আয়ত্বের মধ্যে যতুটুকু ছিল তাই থেকে চেষ্টা করেছি সে ও তাঁর কর্মজীবন নিয়ে সংক্ষিপ্ত একটা নিবন্ধ তুলে ধরার। তবে ভবিষ্যতে আশা আছে আমাদের ভীষন অপরিচিত এই সুপার ও মাল্টি ট্যালেন্ট মানুষটাকে নিয়ে বিষদ কিছু লেখার।
আপনার তথ্যের জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
ভাল লেগেছে জেনে আমি আনন্দিত ও প্রীত হলাম। ভাল থাকুন।
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: লোমোনসভ সম্পর্কে অল্পবিস্তর জানতাম। বছর দুই আগে "কর্পসকুলার দর্শন" নামে একটা বই পড়েছিলাম ছোট ছেলের সংগ্রহ থেকে। সেই বই পড়েই লোমনোসভ এবং তার আবিষ্কার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি। আপনার এই পোস্ট পড়ে লোমোনসভ সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানতে পারলাম।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার জানার বহর দেখে আমি বরাবরই বিস্মিত হই।
সত্যিই আপনি ব্লগের একজন অমুল্য রত্ন।
অনেকদিন পরে ব্লগে এসে আপনার পদধুলিতে ধন্য হলাম। ভাল থাকুন ভাই
৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীতে কি রাশিয়া ছাড়া আর কোনো দেশ নেই?
যাই হোক, কেমন আছেন? অনেকদিন পর ব্লগে এলেন।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: আছে নাকি??
থাকলে ওসব নিয়ে আপনি না হয় অন্য কেউ লিখুক!
আমার প্রথম যৌবনের স্বর্ণ সময়টা রাশিয়াতে কেটেছে। তাই ওই দেশ নিয়ে ন্যাকামো করি বেশী
আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল ভ্রাতা। হ্যা অনেকদিন পরে আসলাম। ব্যাবসাটাকে একটু মেরামত করছি।
৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৮
জোবাইর বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে এসে চমৎকার ও ব্যতিক্রমধর্মী একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। লোমোনসভ নামটি আগেও অনেকবার শুনেছি, তবে লোকটি সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা ছিল না। আপনার পরিশ্রমী এই লেখা পড়ে উনার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৭০'এর দশকে কোলকাতার বামপন্থী চিন্তাধারার বুদ্ধিজীবীরা রুশ সাহিত্য ও মার্কস-লেনিনের রাজনীতি বিষয়ক অনেক বই অনুবাদ করেছিল। সেই বইগুলো বেশিরভাগই পড়েছিলাম। তবে রাশিয়ার বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক বিষয়ক তথ্যসমৃদ্ধ বই মনে হয় বাংলায় খুব একটা অনুবাদ হয়নি।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা আপনাকে ব্লগে অনেকদিন পরে দেখলাম। যদিও আমিও এসেছি বেশ কয়েক সপ্তাহ বাদে
আমি সানা(ৎসানা) নদীর পাড়ের সেই প্রশাসনিক ভবনে না গেলে তাঁর সন্মন্ধে হয়তো জানতামই না কোনদিন।
আমি সত্যিই এই লেখাটা নিয়ে অনেক পরিশ্রম করেছিলাম কিন্তু মুল প্রবন্ধটা লিখতে পারিনি। এইটা তাঁকে নিয়ে অতি ক্ষুদ্র একটা
রচনা মাত্র। রসায়ন, জীব বিজ্ঞান আর জ্যোর্তিবিদ্যা বিষয়ে আমি ভীষন অজ্ঞ থাকার কারনে মুল লেখাটা আর এগুতে পারলাম না।
ঠিক বলেছেন। রাশিয়ার বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক বিষয়ক তথ্যসমৃদ্ধ বই মনে হয় বাংলায় খুব একটা অনুবাদ হয়নি।
চমৎকার এই মন্তব্যের জন্য আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ। ভাল থাকুন নিরন্তর।
৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২০
ফারহানা শারমিন বলেছেন: তাঁর কথা আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটা বিষয়ে লেখার জন্যে।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: বহুদিন বাদে আমার ব্লগবাড়িতে আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল। জেনে প্রীত হলাম।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা
৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০
সোনাগাজী বলেছেন:
প্রায় সব ব্লগারই বলছেন যে, তাঁরা বিজ্ঞানী লোমানেসভের নাম আপনার কাছ থেকে শুনছেন; কিন্তু তাঁরা নিউটন, আইষ্টাইন, এডিসন, হকিং, লুই পাস্তুর, আর্কিমিডিস, গ্যালেলিও প্রমুখের নাম আপনার কাছ থেকে না শুনেও জানেন; ইহার ব্যাখ্যা কি?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: আমার থেকে মনে হয় এই উত্তরটা আপনিই ভাল দিতে পারবেন। না জানা নিশ্চয়ই কোন অপরাধ নয়।
আমার কাছে এর কোন ব্যাখ্যা আপাতত নেই।
নতুন নিকে আমার পোষ্টে প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৪২
জটিল ভাই বলেছেন:
অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম শের-এ-সামুর দেখা। পোস্ট বরাবরের মতোই জটিল হয়েছে।
তা এতোদিন কোথায় ডুবে পানি খেয়েছিলেন প্রিয় ভাই?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এই মনোহর মন্তব্যের উত্তর দিতে বেশী দেরি হয়ে গেল!
অতীব দুঃখিত ভ্রাতা! করোনার ধাক্কায় পলেস্তার খসে পড়া ব্যাবসাটা ফের মেরামত করছি। রোজার ঈদ পর্যন্ত অনিয়মিত থাকব।
আপনার চমৎকার জটিল মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ভালবাসা ভ্রাতা।
১০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বিজ্ঞানী লোমানসভ সম্পর্কে জানলাম। উনি বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিক এবং আরও অনেক কিছু। রাশিয়ান ভাষার creator ও বলা হয় তাঁকে। মাত্র ৫৪ বছরের জীবনে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। ওনাকে একজন বিস্ময়কর প্রতিভা বলা যেতে পারে। ওনার মত প্রতিভাশালীরাই সম্ভবত রাশিয়ার বিজ্ঞান গবেষণার বুনিয়াদ তৈরি করে গেছেন।
১৮ শতকে বা তারও অনেক আগে থেকে রাশিয়াতে বিশ্ববিদ্যালয় ছিল জ্ঞান আহরনের জন্য। ঐ সময় এই উপমহাদেশে সেরকম কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল বলে মনে হয় না। আমাদের এই অঞ্চল জ্ঞান বিজ্ঞানে কত পেছানো। পৃথিবীর পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ৭০০ বা ৮০০ বছরের পুরনো। ১০০ বছরের পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়কে ধরা হয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে। ১৯২১ সালের আগে পূর্ববঙ্গে কোন বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। জ্ঞানের কারণেই উন্নত দেশগুলি আজকে এগিয়ে আছে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
আপনার মন্তব্যে সব সময় খানিকটা ইতিহাস গল্প কৌতুক জোড়া থাকে। সেটা আমার বড্ড ভাল লাগে। মন্তব্যে করতে হলে এমনই করতে হয়।
কিন্তু আমি আমার করা মন্তব্যে এমন এমন্ধারা চেষ্টা করেও পারিনি। সাধুবাদ আপনাকে ভাই।
অনেক ধন্যবাদ- দেরির জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। ভাল থাকুন নিরন্তর।
১১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৯
অক্পটে বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগল অজানাকে জানতে পেরে। আপনার লেখা পড়লে কোন না কোনভাবে কিছু জানা হয়েই যায়।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: কি যে বলেন ভ্রাতা- লজ্জা পেলাম!
পোষ্ট দেবার সময়ে আমি ভয়ে ভয়ে থাকি কার কাছে বকা খাই জানি।
আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল বেশ। ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন।
১২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: আমার প্রিয় বিজ্ঞানী আইনস্টান এবং নিউটন। এদের নিয়ে লিখবেন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: তাহলেতো ফরমায়েশী লেখা হয়ে গেল রাজীব ভাই!!
ওদের নিয়ে কত লোক লিখেছে। আরো অনেকেই হয়তো ভবিষ্যতে লিখবে। কিন্তু লমানোসোভ-কে নিয়ে লেখার লোক ভীষন কম!
ধন্যবাদ আপনাকে। দু'বার এসে মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা।
১৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনি ডুব দিলে মুক্তা ই তুলে আনেন!
আরও একটি অসামান্য পোস্ট!
শুভ কামনা ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: হেঃ হেঃ ভালই বলেছেন।
অনেক ভেবে চিনতে দেখলাম মাসে দু'মাসে এক দুখানা পোষ্ট দেয়াই ভাল। যদিও ভাল না হলেও সময়তো পাব না
আপনার প্রতি ফাল্গুনের একরাশ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
( ব্যস্ততা ও অসুস্থতা এই দুই সতীনের জন্য এতদিন ব্লগে আসতে পারিনি তাই দেরি হোল উত্তর দিতে)
১৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: দুঃখজনক হলেও লোমোনসভ এর নাম আমি এই প্রথম শুনলাম। মনোযোগ দিয়ে লেখাটা পড়লাম।
উনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি শুধু নন আপনার আমার চারপাশের শতকরা নিরানব্বুই ভাগ লোক নিশ্চিতভাবে তাঁর নাম কখনো শোনেননি।
রাশিয়ার জারেরা তাদের নিজেদের বিশেষ স্বার্থে তাঁর আবিস্কার ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের কথা প্রচার ও প্রসারে বাধা দিয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর পর বৈজ্ঞানিক আবিস্কার ও নথিপত্রের একটা বড় অংশ জার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত, ধ্বংস বা অতি গোপন স্থানে সংরক্ষন করা হয়েছিল, যার বেশীরভাগ আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়। এমনকি তাঁর বাড়ি ও গবেষনাগারটা নাকি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল
১৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৬
জ্যাকেল বলেছেন: উনাকে নিয়ে আরো জানার ইচ্ছে থাকল। নেটে উনাকে নিয়ে ঘাটব সময় হাতে নিয়ে। প্রিয়তে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: উনাকে নিয়ে অনেক অনেক কিছু লেখার ইচ্ছে ছি। তথ্যের অরতুলতা। ভাষাগত ও তাত্ত্বিক ব্যাপার-স্যাপারে আমার অজ্ঞতা, সময়ের অভাবের জন্য সেটা আর এখন হোল না। সবাই এত আগ্রহ নিয়ে পড়বে জানলে আরেকট গুছিয়ে দিতাম।
প্রিয়েতে নেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও ও ভালবাসা ভাই।
ভাল থাকুন সবসময়
১৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এই বহুমুখী প্রতিভাধর বিশ্ব বিখ্যাত রাশিয়ান বিজ্ঞানীকে নিয়ে খুবই তথ্যপুর্ণ অতি পরিশ্রমি একটি পোষ্ট ।
বহুমুখী বিশালাকার কর্মযজ্ঞে নিবেদিত এই বিজ্ঞানীর জীবনগাথা ও অবদানগুলিকে অতি সংক্ষেপে
পাঠকের কাছে তুলে ধরা খুবই কঠিন একটি কর্ম । আমাদের জানার পরিধিকে আরো বিস্তৃত করার
মহতি প্রয়াসের জন্য অন্তরের অন্তস্থল হতে রইল ধন্যবাদ ।
পোষ্টের লেখাগুলি দীর্ঘক্ষন লাগিয়ে মনযোগ দিয়ে পড়লাম । তাঁর কৃতিতে ভিষনভাবে অভিভুত ।
একজন মানুষ কিভাবে এতসব বিষয়ে তাত্বিক ও প্রায়োগিক উভয় ধরনের গবেষনা , পান্ডিত্য ,
উদ্ভাবনি এবং এবং আবিস্কারে শ্রেষ্টত্ব অর্জন করতে পারেন তা ভাবতে গেলে বিষ্ময়াবিভুত না হয়ে
পারা যায়না ।
বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারঙ্গমতা অর্জনের পাশাপাশি সৃষ্টি রহস্য নিয়ে তার আধ্যাতিক ধ্যান ধারণা
ও সৃস্টি কর্তার অপার সৃস্টি রহস্যের প্রতি তাঁর উদার দৃষ্টিভঙ্গী সত্যিই উচ্চমাত্রার প্রসংসার দাবী রাখে।
তাঁর লেখা বিখ্যাত সেই An Evening Meditation on God’s Grandeur
শীর্ষক কবিতাটি ( ode ) অনেক খুঁজে পাঠ করলাম । সৃষ্টি ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি তাঁর বিনয় দেখে
অভিভুত হলাম । কবিতাটি মেরুজ্যোতি ( নদার্ণ লাইট) হতে অনুপ্রানীত । এই মেরু জ্যোতির
বিষয়ে সেই প্রাচীন কাল হতেই সাধারণ মানুষজন হতে পন্ডিতবর্গ সকলেই ছিলেন প্রকৃতির রহস্য
উন্মোচনে প্রবৃত । এর বিষয়ে নানা ধরণের ধারণা ছিল প্রচলিত । সেই তিনশত বছর আগে লমোনসভ
দিয়েছেন একটি সুন্দর কার্যকারণের বিবরণ যা পরবর্তীকালে বিজ্ঞানে হয়েছে প্রমানিত ।
লমোনসভ রচিত অতি উচ্চমানের কবিতাটির একটি মামুলী সাধারণ মানের বাংলা আনুবাদ
এখানে মন্তব্যের ঘরে পাঠক হিসাবে শেয়ার করে গেলাম । আমার দৃঢ় বিশ্বাস অনুবাদটি
আপনার হাতে আরো পরিপুষ্টতা পাবে ।
ঈশ্বরের মহত্ত্বের উপর একটি সন্ধ্যার ধ্যান,
(কবিতাটি মেরু জ্যোতি হতে অনুপ্রাণিত)
মূল : মিখাইল লমোনসভ [১৭১১-১৭৬৫]
দিবস মুখ লুকিয়েছে সন্ধায়;
মাঠ শুয়ে আছে রাতের আঁধারে;
সূর্য রশ্মি আমাদের থেকে সরে গেছে দুর,
কালো ছায়া রেখেছে ঢেকে পাহাড়ের ধার।
অগণিত তারাগুলি আনন্দে ঝলমল করে
গভীর অতল গহ্বরে।
ছোট ছোট দাগের মতো সাগরের তরঙ্গ
অনন্ত হিমের মাঝে একটি স্ফুলিঙ্গ,
অগ্নিশিখার একটি পালক,
ঘূর্ণি হাওয়ায় ধুলোর কুঁচি ছুঁড়ে গেল,
এসবের মধ্যে এভাবেই নীজকে হারিয়ে ফেলি
বিশাল স্থানিক ব্যপকতায়!
জ্ঞানীরা করেন ঘোষণা সেখানে আছে
নাবলা বৈচিত্রময় বিশ্ব,
অতীতের সূর্যের সাথে গণনা বা তুলনা,
এবং প্রাচীন ইতিহাস সহ জাতিস্বত্যা:
তাদের প্রকৃতি, পৃথিবীর সাথে করে যা লড়াই,
সমান মূল্য দিয়ে কর ঈশ্বরের প্রশংসা ।
হয়েছে কি তোমাদের, প্রকৃতির নিয়ম?
উত্তরে হয় ভোর!
সেখানে কি জ্বলছে সূর্যের সিংহাসন
নাকি সমুদ্রের বরফ জ্বলন্ত আনন্দে উদ্ভাসিত?
রাতের আঁধার ভেদ করে আসে উজ্জ্বল প্রভাত,
তার শীতল শিখা আমাদের করে আবৃত.
হে জ্ঞানীগন, তোমাদের দ্রুতগতির নয়ন
অবিনশ্বর আইনের বইয়ে কর নিবদ্ধন
সামান্যতম লক্ষণে উপলব্ধি কর
সমগ্র মহাবিশ্বের চিহ্নসকল ।
গ্রহগুলি কোথায় যায় সেই পথগুলি কি জান:
তখন প্রার্থনা কর আর বল এত নিদর্শন কে দেয়!
কোথা থেকে আসে এই আলোর রশ্মিগুলো,
নহে বজ্র, পৃথিবী থেকে শীর্ষে ঊর্ধ্বমুখী,
পরিষ্কার মেঘহীন শীতের রাতে,
সকলই কি স্বর্গে বোনা পাতলা আলোক শিখা ?
রহস্যময় প্রকৃতি কেমন করে বহন করে
হিমায়িত বাতাস থেকে এমন আতশবাজি?
হয়তো সেসব কিছু সূর্যোদয়ের রশ্মি
কিংবা হেলান দেওয়া ভুল কুয়াশার চাদর;
সিঞ্চিত জলধারায় আলোড়িত নিকশ আঁধার;
অথবা ভোরের -জ্বলন্ত পর্বতচূড়া;
কিংবা সমুদ্র নিঃশ্বাসিত পশ্চিমা শূন্য বাতাশ ,
যা মসৃণ তরঙ্গ ইথারকে করে ফেলে দৃঢ়।
বিজ্ঞানীগন ,তোমাদের কথাতেও সন্দেহের বলয়
অনন্ত জিনিস দূরেও যায়না করা গোপন.
তাহলে পৃথিবীটা কত বড়?
পশ্চিমের তারার পিছনে কী আছে লুকিয়ে?
তোমরা কি কেয়ামত দিবসের কথা করেছ গণন ?
কিংবা স্রষ্টার মাহাত্ম্য করেছ কি পরিমাপন ?
--------
উল্লেখ্য এই ব্লগে উত্তরের যাত্রা - ১ম পর্ব : মেরুজ্যোতি দর্শন শিরোনামে আমার একটি পোষ্টে
মেরু জ্যোতি সৃষ্টি বিষয়ে একটি সচিত্র বিবরণ দেয়া হয়েছে । দেখা যাচ্ছে মেরু জ্যোতি সৃস্টি প্রক্রিয়ার সাথে
তাঁর কবিতার কথামালার রয়েছে দারুন মিল ।
ছবি – মেরুজ্যোতি সৃষ্টি প্রক্রিয়া
সলোনসভ ঠিকই বলেছিলেন মেরু জ্যোতির সৃস্টি প্রক্রিয়ায় শেষ কালে মানুষের দৃষ্টিতে
পৃথিবী পৃষ্ঠ হতে উধর্ধমুখী শিখা পরিলক্ষিত হতে দেখা যায় ।
অনু পরমানুর মাত্রা ও উচ্চতার বিভিন্নতায় মেরু জ্যোতির রং ও বিভিন্ন হয়
যেমন চার্জড পার্টিকেলগুলি ১৫০ মাইল উচ্চতায় অক্সিজেনে আঘাত করলে লাল রঙের আলোর সৃস্টি হয় ।
An Evening Meditation on God’s Grandeur পাঠে প্রতিতি জন্মায়
সৃস্টি জগতের সৃষ্টি রহস্য নিয়ে জগত সৃষ্টিকর্তার প্রতি সন্ধাকালীন ধ্যানে সলোনসভের স্তুতিমাখা
কাব্যখানি সাহিত্য জগতে একটি অমুল্য রত্নগাথা হয়ে থাকবে কাল হতে কালন্তরে ।
বিশ্ব বিখ্যাত এই রাশিয়ান বিজ্ঞানীর প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলী ।
পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।
আপনার প্রতি রইল শুভেচ্ছা
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমারতো মনে হচ্ছে আমার থেকে আপনি পরিশ্রম করেছেন বেশী।
আপনার মন্তব্য বরাবরই লেখকের মুল লেখাকে ছাপিয়ে যায়। উত্তর দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়- ভাবতে ভাবতে সময় চলে যায়।
কি চমৎকার একটা কবিতার অনুবাদ করেছেন; ভাবছি কবিতাটা মুল পোষ্টে জুড়ে দেব কি-না?
আপনার অনুমতি পেলে অবশ্যই দিব।
আমার ব্লগে আপনাকে অনেক দিন পর পেয়ে দারুন প্রীত হলাম ভাই।
সাথে থাকুন সুস্থ্য থাকুন আনন্দে থাকুন সব সময়।
১৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ পোস্টটি পড়ে যারপরনাই বিস্মিত ও মুগ্ধ হ'লাম!
কি ছিলেন না লমোনোসভ! পদার্থবিদ, রসায়নবিদ, ভূগোলবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, পোরসেলাইন/মোজাইক শিল্পী এবং সর্বোপরি একজন 'কবি'! তিনি প্রমাণ করে গেছেন, বিজ্ঞানী হলেই কবিতাবিমুখ হতে হবেনা, কিংবা ভাইসি ভার্সা!
সাসুম বলেছেন: "আপনার রাশা প্রেম আমার ভাল লাগে। লিখুন, আরো জানি আমরা" - একদম ঠিক বলেছেন তিনি। আমারও একই কথা!
মনিরা সুলতানা বলেছেন: "আপনি ডুব দিলে মুক্তা ই তুলে আনেন! আরও একটি অসামান্য পোস্ট!" - এমন সুন্দর করে আমি বলতে পারতাম না, তবে এটাও আমার মনের কথা। মনিরা সুলতানাকে আপনার হয়ে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, মন্তব্যে এমন চমৎকার একটি কমপ্লিমেন্ট রাখার জন্য।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১
শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমেই অনেক দেরিতে উত্তর দেবার জন্য আন্তরিক দুঃখিত!
(ছোট্ট একটা দুর্ঘটনা, অসুস্থতার কারনে বিরক্তি আর ব্যস্ততার জন্য কিছুদিন ব্লগেই আসিনি)
আপনার মুল লেখা আর মন্তব্যগুলো ধরে ধরে চুম্বক অংশগুলো নিয়ে এমন দারুন আকর্ষনীয় মন্তব্য আমাকে বিমোহিত করে সব সময়।
ব্লগে মন্তব্যে আপনি সেরাদের একজন নিঃসন্দেহে।
আমি যে, দেশ জাতি ও তাদের সংস্কৃতির সাথে সল্প বিস্তর পরিচিত তাদের নিয়েই লেখা উচিৎ। ওদের নিয়ে আমার লিখতে ভাল লাগে।
আপনার প্রতি রইল অতল শ্রদ্ধা, ভালবাসা।ভাল থাকুন নিরন্তর
১৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: দেখুন তপন ভাই, আজকের আগে আমি কখনো আন্দ্রে লোমানসভ এর নামই শুনিনি।
এটা আমরা যারা দাবী করি যে, আমি সব কিছু-সব বিষয় জানি তাদের জন্য কিছুটা হলেও বোধোদয়ের ঔষধের মত কাজ করবে। কারন, একজন মানুষ কখনো সব কিছু জানেনা বা জানতেও পারেনা।
আর রাশিয়ানদের সম্পর্কে কম জানার কারন আপনার মত আমারও মনে হয় তাদের খটোমটো নাম এবং পশ্চিমাদের মত মিডিয়ার প্রচারণা রাশিয়ায় না থাকাও কিছুটা হলেও দায়ী।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক ঠিক একদম ঠিক!
আমারতো মবে সব্জান্তা দাবি করা কোন ব্যক্তি আসলে সবকিছুর ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ ও জানে না। সবকিছুর কাছাকাছি জানাও অসম্ভব।
শেষের কথাগুলোর সাথে আমি সহমত ভ্রাতা। ভাল লাগল আপনাকে পেয়ে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ- ভাল থাকুন।
১৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শেরজা তপন ভাই, আপনি এখন কোন দেশে? আপনার অবস্থানটা জলদি জানান।
নিরাপদে আছেন, এই কামনা করছি।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২২
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আন্তরিক ভালবাসা ও শঙ্কা প্রকাশের জন্য।
আমি এখন বেশ নিরাপদে দেশেই আছি। আপনি ভাল ও সুস্থ্য থাকুন
২০| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: অজানা কিছু জানা হল ।
০৭ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৭:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: জেনে ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে - ভাল থাকুন।
২১| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ব্যাকপেইন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে শয্যাসায়ী থাকায়
ব্লগে বিচরণ খুবই কম , তাই আমার মন্তব্যের উপর করা
আপনার প্রতিমন্তব্য দেখতে বিলম্ব হয়ে গেছে ।
যাহোক , কবিতার অনুবাদটি আপনার কাছে ভাল লাগলে
তা আপনার মুল পোষ্টে যুক্ত করে দেয়ার জন্য সানন্দ চিত্তে
আমার সম্মতি জ্ঞাপন করলাম, আমার পরিশ্রম স্বার্থক বলেও
গন্য করব ।
শুভ কামনা রইল
০৭ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৮:০০
শেরজা তপন বলেছেন: ব্যাক পেইন আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে বেশ ভোগাচ্ছে।
আপনি কি ফিজিও থেরাপি নিচ্ছেন নিয়মিত? দয়া করে সবখানে ব্যাক সাপোর্ট রাখুন- সাথে হাওয়া দেওয়া বালিশ রাখুন।
আমিও খানিকটা ভুক্তোভুগী!
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এমন চমৎকার একটা কবিতা আমার পোষ্টে সংযুক্ত করার অনুমতি দেবার জন্য।
২২| ০৭ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:২৮
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: আপনার সব লেখাই আমি নিয়মিত পড়ি, কিন্তু লগইন করতে সমস্যা হওয়ায় কমেন্ট করতে পারছিলাম না।
আপনি ভালো থাকবেন প্রিয় লেখক।
০৮ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: আহা কতদিনবাদে আপনার দেখা পেলাম আমার ব্লগ বাড়িতে!!
ভাল আছেন তো প্রিয় ভাই?
জেনে দারুণ প্রীত হলাম।
মন্তব্য ও অনুপ্রেরণার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
২৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২১
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: লোমানসভের কথা আপনার মাধ্যমেই জেনেছিলাম এই পোস্টের বহু আগে। বহুমুখী প্রতিভাধর মেধাবি মানুষটির এই বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
২৪| ২৩ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৪১
নাজনীন১ বলেছেন: উনার তত্ত্বগুলো আমরা পদার্থবিজ্ঞানে বা রসায়নে পড়িনি কেন?
"রাশিয়ার জারেরা তাদের নিজেদের বিশেষ স্বার্থে তাঁর আবিস্কার ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের কথা প্রচার ও প্রসারে বাধা দিয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর পর বৈজ্ঞানিক আবিস্কার ও নথিপত্রের একটা বড় অংশ জার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত, ধ্বংস বা অতি গোপন স্থানে সংরক্ষন করা হয়েছিল, যার বেশীরভাগ আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়। এমনকি তাঁর বাড়ি ও গবেষনাগারটা নাকি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল।"
রাশিয়ান জারের কেন ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন? উনার কি গ্যালিলিওর মতো পরিস্থিতি? এ ব্যাপারে আরো কিছু জানেন কি? লিখবেন সেসব নিয়ে দয়া করে?
ব্লগের বাম বিজ্ঞানমনস্কদের দায়িত্ব দিয়ে দেন না উনার বিজ্ঞান লেখাগুলো অনুবাদ করতে।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৫
জুন বলেছেন: শেরজা তপন আপনার বই এর মলাটের চেহারা দেখে মনে পরলো আমাদের ঢাকা ইউনিভার্সিটির এক টিচারের কথা । উনি আমাদের চরম ফাকিবাজির কথা জানতো (লাইব্রেরী ওয়ার্ক না করা)। তাই প্রশ্ন করতেন বলতো বই এর মলাটটা কেমন ? আমরাও কি কম চালাক ছিলাম লাইব্রেরীতে গিয়ে শুধু মলাটটা দেখে আসতাম
অল্প বয়সে দস্তয়েভস্কির বেশিরভাগ লেখাই খটমট বলে রেখে দিতাম ।
আচ্ছা কাভাস টা কি বাধাকপির তরকারী ? মনে পরছে না ।
পুরোটা পড়ে আবার আসবো বিজ্ঞানী লোমোনোসভকে সাথে নিয়ে ।
+