নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
১৩. প্রযুক্তিগত উল্লম্ফন!!
ক্রো-ম্যাগনন ম্যান (হোমো সেপিয়েন্স) থেকে এক লাফে আধুনিক জ্ঞানী মানুষে (হোমো সেপিয়েন সেপিয়েন্সিস i ) রূপান্তর এর বিবর্তনের সময়কালটা রহস্যজনক-ভাবে কিংবা হাস্যকর-ভাবে অত্যন্ত স্বল্প!
পাথরকে কীভাবে ব্যবহার করতে হয় ও আমাদের প্রয়োজন অনুসারে তাদের আকৃতি দিতে হবে তা শিখতেই আমাদের হাজার হাজার বছর লেগেছে। আমাদের চমৎকার একটা থাকার যায়গা ও প্রয়োজনীয় খাদ্য ছিল, কোথাও দ্রুত যাবার তাড়া ছিল না।
কিন্তু তারপরও, শুধুমাত্র গত ৭০০০ বছরের মধ্যে, আমরা হঠাৎ আধুনিক বিশ্বের সবকিছু তৈরি করে ফেললাম: কৃষিকাজ, মেশিন, বিদ্যুৎ, জল এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, ভাষা, শিল্প, স্থাপত্য, ওষুধ, জটিল রসায়ন, পারমাণবিক শক্তি, কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা, এবং বাকি সব।
অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, আমাদের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির হার বেড়েছে প্রকৃতিগত ভাবে যে সময়ের প্রয়োজন তার থেকে অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে এবং বাইরের সাহায্য এটি ছাড়া সম্ভব ছিল না।
যদিও এটি প্রমাণিত হয়নি যে, যে আমাদের অন্য কোথাও থেকে এখানে আনা হয়েছিল। কিন্তু উপরেল্লেখিত বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য প্রমাণ প্রদান করে যে, এই গ্রহে বাইরের কোন গ্রহ থেকে আমরা আসতে পারি এবং এমনকি হতে পারে না যেই ভিনগ্রহবাসীরা বা আমাদের আদি বংশধরেরা আমাদের এখানে রেখে গিয়েছে তারা কিছু সময় পর পর ফিরে এসে আমাদের অগ্রগতি দেখে যাচ্ছে। প্রয়োজনে আমাদের একটু ধাক্কা দিয়ে সামনের সঠিক দিশার দিকে এগিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি তারা হয়তো দ্রুত অগ্রগতির জন্য আমাদের জেনেটিক স্মৃতিকে এনকোড করে দিয়েছে – যে বিষয়ে পরে আলোচনা করব।
______________________________________________
১৪. দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা।
পৃথিবীতে অন্য কোনো প্রজাতি আমাদের মতো দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা অনুভব করে না উদাহরণস্বরূপ, আপনার নিজের পরিবার বা আপনার কাজের সহকর্মী বা বন্ধুদের কাছ থেকে তথ্য নিন। কমপক্ষে ৭৫ -তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশই কিছু না কিছুতে ভুগছেন - যদিও তারা এ বিষয়ে কাউকে নাও বলতে পারে গোপন রোগ ভেবে চেপে যান অথবা মামুলী সমস্যা মনে করে উপেক্ষা করেন- আপনি সম্ভবত তাদের শুধু দেখেই বলতে পারবেন না তাদের কত শত শত দীর্ঘস্থায়ী, লুকানো (বা বেশিরভাগ লুকানো) রোগ রয়েছে, তাদের এই লুকিয়ে রাখার চেষ্টা, গোপন রোগের বিরুদ্ধে একাকী লড়াই করার প্রচেষশটাতাদের অক্ষমতা বা কষ্টগুলো আপনাকে প্রভাবিত করবেই।
নিন্মে তেমন কিছু রোগ বা অসুস্থতার উল্লেখ করা হোল যেসবের কথা আপনি শূনে থাকবেন;
এডিসনের রোগ; এলার্জি; অ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস; অ্যানোরেক্সিয়া; বাত;
অ্যাসপারজার সিনড্রোম এবং সল্প (এবং অতি সল্প) অটিজমের অন্যান্য রূপ; হাঁপানি;
binge eating;( বিঞ্জ ইটিং ডিসঅর্ডার (বিইডি) হল একটি গুরুতর, জীবন-হুমকিপূর্ণ এবং খাওয়ার ব্যাধি যা বারবার প্রচুর পরিমাণে খাবার খাওয়ার (প্রায়শই খুব দ্রুত এবং অস্বস্তির পর্যায়ে) দ্বারা চিহ্নিত করা হয়; মদ্যপানের সময় নিয়ন্ত্রণ হারানোর অনুভূতি; পরে লজ্জা, কষ্ট বা অপরাধবোধের অনুভূতি; ও নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর ও অপরিমিত খাবার খাওয়া। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে সাধারণ খাওয়ার ব্যাধি।
বিঞ্জ ইটিং যেসব কারনের সাথে যুক্ত:
ক। রোগী স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক দ্রুত খাবেন।
খ। অস্বস্তি বোধ না হওয়া পর্যন্ত খান।
গ। শারীরিকভাবে সে ক্ষুধার্ত বোধ করে না তখন প্রচুর পরিমাণে খাবার খায়।
ঘ। একজন মানুষ অনেক বেশী বেশী খাবার খাচ্ছে সেটা অন্য কেউ দেখে ফেললে বিব্রতবোধের কারণে বেশীরভাগ সময়া লুকিয়ে বা একা খাওয়া।
ঙ। নিজের প্রতি-ঘৃণা, বিষণ্নতা বা অপরাধবোধের অনুভূতি।* )
বাইপোলার ডিসঅর্ডার, বিষণ্নতা এবং অন্যান্য মানসিক রোগ; বুলিমিয়া;
bursitis; Celiac রোগ; ((সিলিয়াক রোগ হাড় এবং টেন্ডনের ক্ষতি করে।স্পষ্টতই, যদি আপনার হাড়ের ক্ষতি হয় এবং হাড়ের ক্ষয় হয় তবে আপনার জয়েন্ট এবং মেরুদণ্ডে ব্যথা হবে। অন্যান্য গবেষকদের মতে, আপনার টেন্ডন থেকে জয়েন্টে ব্যথাও হতে পারে। সিলিয়াক রোগের কারণেও এই ব্যথা হয়।)
দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি সিন্ড্রোম এবং ME; (মায়ালজিক এনসেফালোমাইলাইটিস, যাকে দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি সিন্ড্রোম বা ME/CFSও বলা হয়, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী অবস্থা যার ব্যাপক লক্ষণ রয়েছে। সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ হল চরম ক্লান্তি। ME/CFS শিশু সহ যে কাউকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি মহিলাদের আরো বেশী পরিমানে এবং ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে এ রোগ হতে পারে।*)
দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুস সংক্রমণ;
দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা; সিস্টিক ফাইব্রোসিস; ডায়াবেটিস; মৃগীরোগ; একজিমা, ফাইব্রোমায়ালজিয়া; হৃদরোগ, সংবহন সমস্যা এবং উচ্চ রক্তচাপ; হেপাটাইটিস; এইচআইভি/এইডস; অনিদ্রা; খিটখিটে অন্ত্রের সিন্ড্রোম, কোলাইটিস এবং ক্রোনের রোগ;
লুপাস; migraines; একাধিক স্ক্লেরোসিস; পেশীর দূর্বলতা; স্নায়বিক ব্যাধি; সোরিয়াসিস; স্কোলিওসিস, ধীরে ধীরে ক্রমবর্ধমান টিউমার...
~এগুলোতে অতি মামুলী কিছু উদাহরণ - মানুষের এমন আরও শত শত আছে আপনি কখনো শুনেননি(এমনকি আমিও শুনিনি)। বিষয় হল, এই সংখ্যাগরিষ্ঠ রোগগুলো দ্বারা শুধুমাত্র মানুষ আক্রান্ত হয়, অন্যান্য প্রজাতি সেই অর্থে আক্রান্ত হয়না –হলেও সম্ভবত অত্যন্ত বিরল ক্ষেত্রে। কেন?
ঠিক- পৃথিবী আমাদের প্রজাতির জন্য একটি সুন্দর সুখময় জায়গা নয়। পৃথিবী এখনো আমাদের জন্য শুধুমাত্র বাসযোগ্য স্থান।
অবশ্যই, এখানকার বায়ুমণ্ডল যেটাতে আমরা মোটামুটি অভ্যস্ত, এবং পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ সহনীয়- খুব বেশী সমস্যা নেই। কিন্তু বাকি সব- এই ‘ঋতু’পরিবর্তন একটা বিশ্রী ব্যাপার নয় কি?
এই অদ্ভুত পরাগ উপাদান যেটাতে আমরা অভ্যস্ত নই যার ফলে প্রতি নিয়ত আমরা খারাপ বোধ করছি- অসুস্থ্য হচ্ছি? পশুরা যে রোগগুলো বহন করে তার দ্বারা আমরা আক্রান্ত হচ্ছি কয়েকশ প্রজন্ম ধরে কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমাদের শরির এর বিরুদ্ধে কোন কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি-কেন?
গাছপালা এবং প্রাণীদের ফল বা মাংস যথেষ্ট পুষ্টিকর বলে মনে হয়, কিন্তু তারা এর মধ্যে যে টক্সিনের মত নিষের অনুপ্রবেশ ঘটায় তা আমরা সহ্য করতে পারিনা কেন? কেন এখানে এত বেশী মিস্টির আধিক্য এবং তা বিভিন্ন ফর্মে থাকে? সেখানে পৃথিবী এবং আমাদের আদি গ্রহের মধ্যে এসব কিছু এত বেশী পার্থক্য গড়ে দিয়েছে যে, আমাদের বেশীরভাগ প্রজাতি একটা বড় সময়কাল অসুস্থ্য ও বিষন্ন থাকে ।
যদিও আমি উপরে বলেছি, আপনি সাধারণত শুধু দেখে বলতে পারবেন না। (লোকদের জিজ্ঞাসা করার চেষ্টা করুন। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি আপনি মোট সংখ্যার বিপরীতে সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষের মোট সংখ্যার তুলনা করলে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন প্রায় সবাই কোনো না কোনো অসুস্থতা/দুর্ভোগে ভুগছেন।)
(* অনুবাদক মনে করেঃ ড: এলিস সিলভার-যে সকল রোগের উল্লেখ করেছেন তাঁর বেশীরভাগ আধুনিক সমাজ ও সভ্যতার বিরূপ প্রতিক্রিয়াঃ টেকনোলজির উল্লম্ফন, একাকিত্ব, বিষন্নতা, কায়িক পরিশ্রম না করার প্রবণতা,অনিয়ন্ত্রিত ও বিকৃত যৌনতা, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা বা সামাজিক অবক্ষয়, ভোগবাদ ও পুঁজিবাদ, অতিরিক্ত চাহিদা আকাঙ্খা লোভের কারনে মানুষ নতুন নতুন মানসিক ও শারীরিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।)
i) হোমো স্যাপিয়েন্স সেপিয়েন্স: নৃবিজ্ঞান এবং জীবাশ্মবিদ্যায়, হোমো সেপিয়েন্সের একটি উপ-প্রজাতি, যা হোমো গণের একমাত্র জীবিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত, আধুনিক মানুষ। ঐতিহ্যগতভাবে, এই উপ-প্রজাতির উপাধিটি প্যালিওন্টোলজিস্ট এবং নৃতাত্ত্বিকরা আধুনিক মানুষকে হোমো সেপিয়েন্সের আরও প্রাচীন সদস্যদের থেকে আলাদা করার জন্য ব্যবহার করেছেন।
************
# লেখা বিষয়বস্তু নিয়ে যেকোন ধরনের গঠনমুলক সমালোচনার জন্য আপনাকে স্বাগতম!
********
আগের পর্বের জন্যঃhttps://www.somewhereinblog.net/blog/sherzatapon/30342444
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৩
সোনাগাজী বলেছেন:
সরল অংক (৪র্থ শ্রেণীতে শেখানো হয় ) শিখতে আপনার কত সময় লেগেছে? আপনার গ্রামের কত পরিবার তাদের ৪/৫ জেনারেশনে তা বুঝতে পারেনি ( কারণ সেসব পরিবারের লোকজন গত ৪ জেনারেশনে স্কুলে যায়নি )।
যীশুর জন্মের ৫৪০ আগেই পীথাগোরাস তাঁর সুত্রটি প্রথমবার বের করেন। আজকে বাংলাদেশের কত লাখ বাচ্চা এই সুত্রটি প্রতিবার এসএসসিতে ভুল করে?
অনেক যা কয়েকদিনে শিখে ফেলেন, সেটাই অনেক কয়েক'শ বছরেও শিখতে পারে না। মানব সভ্যতার বিবিধ সময়কালে অনেক জাতি খুবই অল্প সময়ে অনেক বেশী শিখে ফেলেছেন।
আমেরিকানরা ১৯৩৬ সালে শুরু করে, ১৯৪৫ সালের মাঝে শক্তিশালী কম্প্যুটার বানাতে সক্ষম হয়েছে। বাংগালীরা আরো ০/৪০ বছরে একটি পুরো পিসি নিজেরা তৈরি করতে পারবে না। আমেরিকানরা অন্য গ্রহ থেকে এসেছে, বাংগালীরা এই গ্রহের মানুষ?
২১ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: এতদিনবাদে লেখার মুল কনটেন্টের উপরে আলোচনা করেছেন বলে ধন্যবাদ।
ডঃ ডেভিস সিলভার কিছু কিছু যুক্তি বেশ খানিকটা অপরিপক্ক সেটা মার কাছেও মনে হয়েছে। আমি নিজেও তার সব যুক্তি তর্ককে সমর্থন করতে পারছি না।
এ বিষয়ে আমি আমার বক্তব্যটুকু লেখার শেষে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
তিনি যেহেতু পশ্চিমা বিশ্বের মানুষ সেহেতু বেশীরভাগ তত্ত্ব আলোচনা তাদের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতেই বলেছেন।
বিশ্বের পশ্চাদপদ ও অনগ্রসর জাতির প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বিষয়টা তিনি এখানে এড়িয়ে গিয়েছেন।
এই পর্ব্রো তার লিখার খানিকটা সমালোচনা করেছি আমি। আপনার যুক্তিটা নোট করে রাখছি- শেষ দিকে চেষ্টা থাকবে এতদ বিষয় নিয়ে আলোচনার।
এভাবে সমালোচনা করলে লেখার মানের উন্নয়ন হবে নিশ্চিত।ফের ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৫
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ডক্টর এলিস সিলভার আমাদের চিন্তার জগতে একটা নতুন দ্বার উম্মোচন করে দিলেন। ভবিষ্যতে নিশ্চই বিষয়টি নিয়ে আরো ব্যাপক গবেষণা হবে এবং আমরা নিশ্চিতভাবেই সত্যটা জানতে সক্ষম হবো।
২১ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: ডঃ এলিস সিলভার এই তত্ত্বটা মোটেই প্রমাণ সাপেক্ষ নয়। তিনি নিজেও বিজ্ঞানকে এসব নিয়ে বইশেষ ও ব্যাপক পরিসরে গবেষণার অনুরোধ করেছেন।
ডক্টর এলিস সিলভার আমাদের চিন্তার জগতে একটা নতুন দ্বার উম্মোচন করে দিলেন। ভবিষ্যতে নিশ্চই বিষয়টি নিয়ে আরো ব্যাপক গবেষণা হবে এবং আমরা নিশ্চিতভাবেই সত্যটা জানতে সক্ষম হবো।
~ আপনার মন্তব্যে আমি শোতভাগ সহমত পোষন করছি। অনেক ধন্যবাদ- বরাবরের মত অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবার জন্য। ভাল থাকুন।
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: এই বিষয়ে ডক্টর সিলভার বক্তব্যগুলো কপি করে দিচ্ছিঃ-
● ড. সিলিভারের মতে, অন্য প্রজাতির জীবের প্রায় সব প্রয়োজন মিটিয়ে দেয় আমাদের এই মিষ্টি পৃথিবী। তাই, যারা মানুষকে ভিনগ্রহ থেকে পৃথিবীতে নামিয়ে দিয়ে গিয়েছিল তারা ভেবেছিল, পৃথিবীর অন্য প্রাণীদের মতো মানুষের জীবনযাত্রার সব প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে পৃথিবী। কিন্তু অদ্ভূতভাবেই তা হয় না।
● মানবজাতিকে গ্রহের সবচেয়ে উন্নত প্রাণী বলে মনে করা হয়। আশ্চর্যের কথা, মানুষই হচ্ছে গ্রহের সবচেয়ে খাপছাড়া ও পৃথিবীর জলবায়ুতে টিকে থাকার জন্য সবচেয়ে অনুপযুক্ত প্রাণী।
● বেশিরভাগ প্রাণী সারাদিন, যতক্ষণ খুশি, দিনের পর দিন রৌদ্রস্নান করতে পারে। কিন্তু আমরা কয়েক ঘণ্টার বেশি রোদে থাকতে পারি না কেন!
● সূর্যের আলোয় আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে যায়। অন্য প্রাণীদের ধাঁধায় না কেন?
● প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে পাওয়া বা গজিয়ে ওঠা খাবার মানুষ খেতে অপছন্দ করে কেন!
● অদ্ভুতভাবে মানুষের মধ্যেই প্রচুর ক্রনিক রোগ দেখা দেয় কেন!
● ঘাড়ে, পিঠে,কোমরে ব্যাথা কি অন্য প্রাণীর হয়! ড. সিলভারের মতে ব্যাক পেন হলো অন্যতম দীর্ঘকালস্থায়ী রোগ যাতে বেশিরভাগ মানুষ ভোগে। কারণ তারা পৃথিবীর অনান্য প্রাণীর মতো, হাঁটা চলা ও বিভিন্ন কাজে মাধ্যাকর্ষণের সাহায্য পায় না। এই রোগটিই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ, যেটা আমাদের বুঝিয়ে দেয় আমাদের দেহ অন্য কোনো গ্রহে বসবাসের উপযুক্ত হয়ে সৃষ্টি হয়েছিল যেখানে মাধ্যাকর্ষণ কম।
● মানুষেরা বাচ্চার মাথা বড় হওয়ার জন্য নারীদের স্বাভাবিক উপায়ে প্রসব করতে অসুবিধা হয়। অনেক মা ও শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হয়। কিন্তু পৃথিবীর অন্য কোনও জীব প্রজাতির এরকম সমস্যাই নেই। মানুষের ইউটেরাসের ভেতর থাকা জায়গার তুলনায় শিশুর আয়তন অনেক বড় হয়। কারণ উঁচু পর্যায়ের পুষ্টি পায় বলে।
● মানুষের দেহে ২২৩টি অতিরিক্ত জিন থাকাও স্বাভাবিক নয়। কারণ পৃথিবীর অন্য প্রজাতির দেহে অতিরিক্ত জিন নেই।
● পৃথিবীর কোনো মানুষই ১০০% সুস্থ নয়। প্রত্যেকেই এক বা একাধিক রোগে ভোগে।
● মানুষের ঘুম নিয়ে গবেষণা করে গবেষকরা বলছেন পৃথিবীতে দিন ২৪ ঘণ্টার, কিন্তু আমাদের দেহের অভ্যন্তরীণ ঘড়ির মতে, আমাদের দিন হওয়া উচিত ছিল ২৫ ঘন্টার। এবং এটা কিন্তু আধুনিক যুগে সভ্যতার বিকাশ ও উল্কাগতির জন্য হয়নি। মানবজাতির সূত্রপাত থেকেই দেহঘড়িতে একটি দিনের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ২৫ ঘণ্টা।
● আমাদের ত্বকে ট্যান পড়া বা সূর্যরশ্মির প্রভাবে চামড়া কালো হওয়া সেটাই প্রমাণ করে সূর্য রশ্মি মানুষের পক্ষে উপযুক্ত নয়!
২১ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: ডঃ এলিস সিলভাবের পুরো আলোচনাটা চমৎকারভাবে মাত্র কয়েক লাইনে তুলে ধরেছেন।
কিছু যুক্তি দুর্বল মনে হলেও সামগ্রিকভাবে পুরো বিষয়টা নিয়ে চিন্তার অবকাশ আছে।
মানুষের মনে এমন ভীন্নধর্মী চিন্তার উদয় হয় দেখেই- বিজ্ঞানের নতুন নতুন গবেহষণার দুয়ার উন্মোচিত হয়। সে কারনেই জ্ঞান বিজ্ঞানের এমন চররম উতকর্ষ।
আশা করি নিকট ভবিষ্যতে এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু একটা প্রমান হাজির করবে বিজ্ঞান। আপাতত সেই দিনের অপেক্ষায়...
আপনি ভাল থাকবেন ভাই- ধন্যবাদ।
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৪
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: গেঁয়ো ভূতের সাথে আমি একমত । সিলভারের কাজটাকে ফেলে দেয়া যায় না । হয়তো সিলভারকে আগামিতে মিথ্যা প্রমাণ করা যেতে পারে । হয়তো তিনি মিথ্যা প্রমাণিত হবেন । এটা একটা সম্ভাবানা , এই সম্ভাবনাকে ভিত্তি বানিয়ে সিলভারকে উপেক্ষা করাটা অন্যায় হয়ে যাবে ।
আপনার এই পোস্টটা প্রথবার পড়ার পর আমার মাথায় এসেছিল যে আমাদের মাথার চুল পড়ে যাওয়ার রোগ বেশ বাড়ছে । এবং পূর্বেও এর প্রভাব ছিল তো কেবল মানুষের কেন এমন হলো ? মানুষ কিসের অভিযোজনে এই রোগ লাভ করল । সিলভার এর এই বিষয় নিয়ে বক্তব্য আপনি আগেই অনুবাদ করেছেন । কিন্তু সেটা পশম নিয়ে ছিল । কিন্তু মাথার এই চুল নিয়ে এই খটকাটা যাচ্ছে না । মানুষের এত পার্থক্য কী কেবল বিবর্তনের মধ্য দিয়েই হয়েছে ? আর হলে অন্যদের কেন হলো না ? কোন অভিযোজন এর পেছনে কাজ করছে ?
যাইহোক প্রশ্নের উত্তর একদিন না একদিন পেয়ে যাবো । জাঁহাপনা আজ যৌক্তিক কথা বলেছেন । এটা দেখে খুব ভালো লাগছে । আসলে সিলভার মানুষের সামগ্রিক উন্নতির কথা বলেছেন , প্রশ্ন তুলেছেন পুরো মানব সমাজের আকস্মিক উন্নতি নিয়ে । এখানে স্বাতন্ত্রিক বিষয়কে টেনে এনে ব্যাখ্যা করাটা হয়তো প্রাসঙ্গিক হতে পারে কিন্তু সাদৃশ্যগত হয় না । যাইহোক ধন্যবাদ আরেকটি পর্ব অনুবাদ করে দেবার জন্য । আপনার এই পরিশ্রম স্বার্থক হোক !!
২১ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী বদ্দা আজকে চমৎকার মন্তব্য করেছেন। আমিও তার বক্তব্যকে সুন্দরভাবে মুল্যায়নের চেষ্টা করেছি।
মানুষের সবচেয়ে প্রাচীন দুটো রোগ হচ্ছে যৌণ বিষয়ক ও চুল পড়া। বিজ্ঞান আজ অব্দি এর সঠিক সমাধান দিতে পারেনি।
হয়তো সিলভারকে আগামিতে মিথ্যা প্রমাণ করা যেতে পারে । হয়তো তিনি মিথ্যা প্রমাণিত হবেন । এটা একটা সম্ভাবানা , এই সম্ভাবনাকে ভিত্তি বানিয়ে সিলভারকে উপেক্ষা করাটা অন্যায় হয়ে যাবে ।
~ হ্যা আমি এমনটাই মনে করি। তত্ত্ব সবসময় নির্ভুল অকাট্য হবে এমন কথা নেই। কিছু ব্যতাপার অবশ্যই ভাবনায় ফেলে।
দারুন যুক্তিভিত্তিক মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদো কৃতজ্ঞতা। আশা করি সামনের পর্বগুলোতে এভাবে সতঃস্ফুর্ত অংশগ্রণ থাকবে। ভাল থাকুন।
৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৫
নতুন বলেছেন: মানবজাতিকে গ্রহের সবচেয়ে উন্নত প্রাণী বলে মনে করা হয়। আশ্চর্যের কথা, মানুষই হচ্ছে গ্রহের সবচেয়ে খাপছাড়া ও পৃথিবীর জলবায়ুতে টিকে থাকার জন্য সবচেয়ে অনুপযুক্ত প্রাণী।
আমারও এটাই মনে হয়েছে যে অন্য প্রানী যেখানে প্রাকৃতিক প্রতিকুল পরিবেশগুলির বিরুদ্দে শারিরিক ভাবেই বর্ম তৌরি করে নিয়েছে। কিন্তু মানুষ প্রতিকুল পরিবেশে টিকে থাকে তার বুদ্ধি খাটিয়ে।
২১ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: আমারও এটাই মনে হয়েছে যে অন্য প্রানী যেখানে প্রাকৃতিক প্রতিকুল পরিবেশগুলির বিরুদ্ধে শারিরিক ভাবেই বর্ম তৈরি করে নিয়েছে। কিন্তু মানুষ প্রতিকুল পরিবেশে টিকে থাকে তার বুদ্ধি খাটিয়ে।
জ্বী আমাদের বুদ্ধিটাই আসল। কিন্তু প্রশণ থেকে যায়; কেন আমাদের সব আত্মরক্ষার সরঞ্জাম প্রকৃতি কেড়ে নিয়ে শুধু বুদ্ধিমত্ত্বা ও 'বাইপ্যাডেল' চলার ক্ষমতা দিল। পৃথিবীতে কোন প্রাণীর টিকে থাকার জন্য আসলেই কি এত বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন আছে? তেলাপোকা অতটুকুন বুদ্ধি নিয়ে টিকে আছগে সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে- ঠিক তেমনি কুমির, প্লাটিপাস কচ্ছপ তবে কেন আমাদের শুধু বুদ্ধি খাটিয়ে টিকে থাকতে হচ্ছে??
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। সাথে থাকবেন।
৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: অভিযোজন তথা মানিয়ে নেয়ার প্রাণী জগতের মাঝে আমার মনে হয় মানুষই সবচেয়ে নাজুক অবস্থানে আছে । পরিবেশের প্রভাব মানুষের উপরই মনে হয় সবচেয়ে বেশী পড়ে । মানে হলো - মানুষ বেশী বেশী রোগ ব্যাধিতে তথা শারিরীক সমস্যায় ভূগে। তবে আবার এটাও ঠিক মানুষ তার বুদ্ধি খাটিয়ে এগুলো থেকে পরিত্রানের পথও বের করতে পারে যদিও শতভাগ সফল হয়না।
আর ডঃ এলিস সিলভার রোগের উপসর্গ হিসাবে যা বলেছেন (সভ্যতার বিরূপ প্রতিক্রিয়া ) এটা মনে হয় একদম সঠিক । আসলে আমাদের শারিরীক অসুস্থতা তথা রোগের জন্য সবচেয়ে বেশী দায়ী আমাদের জীবন যাপনের প্রাত্যহিক অভ্যাস তথা আচরন।
২১ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: বরাবরের মত যুক্তিভিত্তিক আলোচনার জন্য ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
আপনি বলেছেন;
আর ডঃ এলিস সিলভার রোগের উপসর্গ হিসাবে যা বলেছেন (সভ্যতার বিরূপ প্রতিক্রিয়া ) এটা মনে হয় একদম সঠিক । আসলে আমাদের শারিরীক অসুস্থতা তথা রোগের জন্য সবচেয়ে বেশী দায়ী আমাদের জীবন যাপনের প্রাত্যহিক অভ্যাস তথা আচরন।
~ জ্বী আমি তেমনটাই বলেছি। আমাদের চরম বুদ্ধি আমাদের সঠিক পথের দিশা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। চমৎকার সব আবিস্কার হছে মানুষের কল্যাণের জন্য ঠিকই কিন্তু এগুলো বার নিজেদের জন্য, প্রকৃতি ও গ্রহের মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ- মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
যেভাবে ক্রো-ম্যাগনন ম্যান বা হোমো সেপিয়েন্স থেকে এক লাফে আধুনিক জ্ঞানী মানুষ বা হোমো সেপিয়েন সেপিয়েন্সিস হয়েছে তা হাস্যকর-ভাবেই নাকি অত্যন্ত স্বল্প , বলেছেন ডঃ ডেভিস সিলভার।
সময়ের ব্যাপারটি অতো সহজ নয় ।
আমাদের পূর্বপুরুষদের বিবর্তন প্রজাতি থেকে প্রজাতিতে। একই সময়ে একাধিক " ট্রেইট" চলতে দেখা গেছে। বলা হয়ে থাকে “হোমোনিড” থেকে শুরু হয়ে “হোমোহ্যাবিলিস” ---- “হোমো ইরেক্টাস” --- “হোমো নিয়েন্ডারথালেনসিস” শেষে আমরা “হোমো সেপিয়েন্স সেপিয়েন্সিস”য়ে বিবর্তিত হয়েছি। আধুনিক মানুষের প্রথম প্রজাতি যদি ধরি হোমোনিড শ্রেনীভুক্ত “হোমো জর্জিকাস” তবে তাদের উদ্ভব ১.৮ মিলিয়ন বছর আগে। তারা তখন্ও সোজা হয়ে দাঁড়াতে শেখেনি। কাছাকাছি সময়ে ন্যাচারাল সিলেকশনের ভেতর দিয়ে এদেরই একটা শাখা বিবর্তিত হয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ানো শিখেছে যাদেরকে আমরা জানি “হোমো ইরেক্টাস” নামে । এরা সোজা হয়ে চলা ফেরা করতে পারতো আর বেঁচে থাকার জন্যে শিকারের পিছনে ছুটতে পারতো । শিকার ধরার কারনেই তাদের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিলো হাতিয়ারের। তা্ও ১ লক্ষ বছর আগের কথা। ক্রো-ম্যাগননরাও এই সময়কার। ১ লক্ষ থেকে ৯০ হাযার বছর আগে তারা ছড়িয়ে পড়ে আফ্রিকা থেকে পশ্চিম এশিয়াতে। পাশাপাশি ছিলো নিয়েন্ডারথাল মানুষেরাও।
পাথরের ব্যবহার শুরু হবার পরে প্রায় লক্ষ বছর পেরিয়ে গেছে। সময়টা কি অত্যন্ত স্বল্প ? তাছাড়া বিবর্তনের প্রক্রিয়াতে “হোমো সেপিয়েন্স সেপিয়েন্সিস” মানে আমাদের শারিরীক গঠন উন্নত হয়েছে এবং মস্তিষ্কের বৃদ্ধি সব প্রজাতিকে ছাড়িয়ে গেছে । আধুনিক মানুষের “মগজ” এখন তার দৈহিক ওজনের ২.২%। শরীর অনুপাতে সমস্ত “হোমো সেপিয়েন্স” এর তুলনায় আধুনিক মানুষের মগজটাই বৃহৎ। তাই তাদের বুদ্ধিমত্তা দিয়েই মানুষ উন্নয়নের ধারা গতিশীল রাখা, যন্ত্র ব্যবহারে উৎকর্ষতা সহ যাবতীয় কাজেই প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের পরিচয় রেখে গেছে এবং যাচ্ছে। ৭০০০ বছরের ভেতরে আধুনিক বিশ্বের সবকিছুই তৈরী করে ফেলা এরই ফল। হঠাৎ নয়। মানুষ উড়তে শেখা শুরুর ১০০ বছরের মধ্যেই যেখানে মহাকাশে অনেকটা দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে সেখানে ৭০০০ বছর অনেক সময়!
ধাক্কা দিয়ে দিয়ে মানুষকে দিয়ে একাজ করিয়ে নেয়া হচ্ছেনা, মানুষের মাথাটাই এসবের আসল কারিগর!
আর মানুষের হঠাৎ কিছু করে ফেলাতে প্রমান হয়না যে এ পৃথিবীর নয় সে!
তাই ডঃ ডেভিস সিলভার এর কথার সাথে একমত হওয়া গেলনা।
২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: হোমোনিড থেকে হোমো সেপিয়েন্স সেপিয়েন্সিস- এর সুদীর্ঘ এই পথচলার বিষয় নিয়ে আপনার সাথে অন্য এক পর্বে আলোচনা হবে, এবং সেটা এলিস সিলভারের অনুবাদ গ্রন্থে নয়!
এক লক্ষ বছর কিন্তু আমার কাছে বেশ অল্প সময় মনে হয়। পাথর যুগ থেকে ধাতুর যুগ এর মাঝখানে সম্ভবত মানুষ আটকে ছিল কয়েক সহস্র বছর!
প্রথমেই আপনার চমৎকার যুক্তি নির্ভর গোছানো তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ডঃ এলিস সিলভারের বই এর অনুবাদটা এখানে এসেছে বলেই এমন দারুন আলোচনার সুত্রপাত।
আমার মনে কয়েকটা প্রশ্ন ঘুরপাক খায়;
~কেন এই জীবনের বিকাশ?
~এককোষী এমিবা থেকেই যদি আজকের হোমো সেপিয়েন্স সেপিয়েন্সিসের উদ্ভব হয়- কেন এককোষী প্রানকে বিবর্তিত হতে হয়েছিল যদি তার কোন প্রতিকুলতার সম্মুখীন না হতে হয়?
~ পৃথীবিতে টিকে থাকার জন্য কেন মানুষের মত এত বুদ্ধিমান প্রাণী বিবর্তিত হোল?
আপনি যদি এ বিষয়ে কিছু জানা থাকে তো জানাবেন দয়া করে।
বরাবরই আপনার মন্তব্যে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হই।
৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ি, আর নিজের অজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারি। আফসোস হয় খুব। জীবন কত ছোট, অথচ কত কি আছে জানার।
সবাই ভালো মন্তব্য করেছেন।
২২ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: আমরা অনেক কিছুই জানি সত্যিকার অর্থে আমরা আসলে কিছুই জানিনা।
আপনি এমন অনেক কিছু জানেন যা সম্বন্ধে আমার কোন ধারণাই নেই- মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১০
নাহল তরকারি বলেছেন: সুন্দর।
১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২৯
aquaticlawful বলেছেন: This is the first time I know this interesting information. Diverse and creative construction themes. In-depth analysis and engaging listeners https://basketbrosio.com
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: ১৯শে নভেম্বর দেয়া এই পোস্টটি কিছু ভুল-ভ্রান্তির কারণে ডাফটে নিয়েছিলাম( হাতে সময় ছিলনা এডিট করার মত) সেই পোস্ট-এ তিনজন মন্তব্য করেছিলেন। আমি দুঃখ প্রকাশ করে তাদের মন্তব্যগুলো হুবুহু তুলে দিচ্ছি;
নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষ যখন আগুনের ব্যবহার ও বিদ্যুতের আবিষ্কার করে ফেলেছে তখন থেকেই সভ্যতার অগ্রগতি খুব দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যায়। এখন এখানে অন্য কিছু ভাবার সুযোগ খুবই কম। ধরুন এমন একটি বন যার চারপাশে খাল দ্বারা বেষ্টিত এখন সে বনে হরিণের সংখ্যা খুবই কম খাবারের অপ্রতলতার কারণে। এমতস্থায় কোনভাবে যদি হরিণ গুলি খাল পার হয়ে ওপর পাশে প্রচুর পরিমাণ খাবারের সন্ধান পায় তাহলে খুব অল্প সময়ে ওই বনটাতে হরিণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এখন এখানে মূল কারণ হচ্ছে খাবারের অপ্রতুলতা দূর হয়ে যাওয়ার কারণে হরিণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঠিক তেমনি আগুন ও বিদ্যুতের ব্যবহার মানুষ শিখে ফেলার কারণে তার সামনে শত সহস্র সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যায়। আর সেগুলি ব্যবহার করেই মানুষ খুব দ্রুতই তার প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিতে পারছে, এখানে ভিনগ্রহী কারো সহযোগিতা আছে বলার অবকাশ থাকে না।
*****
নাহল তরকারি বলেছেন: কোরআনে আছে আমরা আগে জান্নাত/বেহেস্ত ছিলাম। আদম (আঃ) একটি ভুলে আমরা পৃথিবীতে আসিয়াছি।
*****
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ছোট হওয়ায় পোস্টটি পড়তে আমার সুবিধা হয়েছে।
~মতামত ও মন্তব্যের জন্য আপনাদের তিনজনকেই আন্তরিক ধন্যবাদ।