নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
রুশ~ইউক্রেনের যুদ্ধে বেসামরিক হতাহত
আমার কথাঃ যুদ্ধের শুরুটা হয়েছে ২৪ শে ফেব্রুয়ারি ২০২২ আজ ২৪ শে নভেম্বর- ঠিক নয় মাস। নয় মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে বিশ্বের অন্যতম এক পরাশক্তি তার প্রায় সর্বশক্তি নিয়োগ করে- পারমানবিক বোমা বাদে অন্যসব সর্বাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র কিংবা মারণাস্ত্রের আঘাতে এ যাবত ৬৫৯৫ জন উক্রাইনান বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। উল্লেখ্য এর মধ্যে ৪১৫ জন শিশু- কিন্তু নারীর কোন উল্লেখ নেই।
সূত্র মতে:
(স্ট্যাটিস্টা রিসার্চ দ্বারা প্রকাশিত, নভেম্বর ২২, ২০২২; জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অফিস (OHCHR) ২০ নভেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের সময় মোট ৬৫৯৫জন বেসামরিক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে ৪১৫ জন শিশু। এছাড়াও ১০,১৮৯ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে, OHCHR স্পষ্ট করেছে যে প্রকৃত পরিসংখ্যান আরও বেশি হতে পারে।)
OHCHR has estimated the number of deaths of civilians, or non-armed individuals, in Ukraine at nearly 6.6 thousand since the start of the war on February 24, 2022.
*******
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর আক্রমনঃ এম এস এফ
২৫ আগস্ট থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০১৭
সূত্র মতে: বাংলাদেশের শরণার্থী বন্দোবস্ত শিবিরে Médecins Sans Frontières (MSF) দ্বারা পরিচালিত সমীক্ষা অনুমান করে যে ২৫ আগস্ট থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সবচেয়ে রক্ষণশীল অনুমানে অন্তত ৬,৭০০ রোহিঙ্গা মারা গেছে। অন্তত ৭৩০ জন পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু সহ নিহত হয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে।
এমএসএফ-এর জরিপের ফলাফলগুলি দেখায় যে রোহিঙ্গাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং স্থানীয় মিলিশিয়ারা হামলার প্রতিক্রিয়ায় রাখাইনে সর্বশেষ 'ক্লিয়ারেন্স অপারেশন' শুরু করার সময় ব্যাপক সহিংসতা শুরু হওয়ার পরে এদেরকে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে, ৬৪৭,০০০ এরও বেশি রোহিঙ্গা (ইন্টার-সেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপের মতে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত) মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
“আমরা মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়া লোকদের সাথে দেখা করেছি এবং কথা বলেছি, যারা এখন বাংলাদেশে ভিড় ও অস্বাস্থ্যকর ক্যাম্পে আশ্রয় নিচ্ছে। আমরা যা উন্মোচন করেছি তা বিস্ময়কর ছিল, উভয় ক্ষেত্রেই যারা পরিবারের একজন সদস্যের সহিংসতার ফলে মারা গেছে এবং যে ভয়ঙ্কর উপায়ে তারা বলেছে যে তারা মারা গেছে বা গুরুতর আহত হয়েছে তাদের সংখ্যার দিক থেকে। মৃত্যুর শীর্ষস্থানটি আগস্টের শেষ সপ্তাহে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক সর্বশেষ 'ক্লিয়ারেন্স অপারেশন' শুরু করার সাথে মিলে যায়,” বলেছেন ডাঃ সিডনি ওং, এমএসএফ মেডিকেল ডিরেক্টর।
আমার কথা: বহু আলোচনা তথ্য উপাত্ত ও যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করা হয়েছে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশী নয়- তারাই রাখাইনের আদিবাসী। বিবর্তন ও ইতিহাসের সূত্র ধরে বলতে হয়; পৃথিবীর কোন জাতি সঙ্কর-মুক্ত নয় সব জাতিই বহুবার সঙ্করায়িত হয়েছে। আর মানুষের সত্যিকারে একমাত্র আদিবাস ‘পূর্ব আফ্রিকাতে’। শুধুমাত্র রাজনীতি ধর্ম ও জাতীয়তাবাদের ধুয়া তুলে বার বার এমন লক্ষ কোটি মানুষকে হত্যা জখম না হয় বাস্তু-চ্যুত করা হয়েছে। এখনো এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে বিশ্ব বিবেক ও মোড়লরা নীরব- কেননা এটা তৃতীয় বিশ্বের সমস্যা।
আস্ত একটা জাতির চরিত্র বিবেক শিক্ষা জাত ধর্ম ভাষা সংস্কৃতি সব কিছু পালটে যায় ভয়ানক-ভাবে –এমন সহিংসতার ফলে উদ্বাস্তু হয়ে। স্বনির্ভর একটা জাতি পুরো ভিক্ষুক আর সন্ত্রাসীর জাতিতে পরিণত হয়।
********
কাতারে কতজন বিদেশী শ্রমিক মারা গেছে? গার্ডিয়ান
সূত্র মতে: ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে, গার্ডিয়ান রিপোর্ট করেছে যে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার ৬৫০০ অভিবাসী কর্মী কাতারে বিশ্বকাপের বিড জেতার পর থেকে মারা গেছে। এই সংখ্যাটি কাতারের দেশগুলোর দূতাবাসের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে। যাইহোক, কাতারি সরকার বলেছে যে মোট সংখ্যাটি বিভ্রান্তিকর কারণ রিপোর্ট করা সমস্ত মৃত্যু বিশ্বকাপ সম্পর্কিত প্রকল্পে কাজ করা লোকদের কারণে হয়নি।
এতে বলা হয়েছে যে মৃতদের মধ্যে অনেকেই বেশ কয়েক বছর ধরে কাতারে কাজ করেছিলেন এবং বার্ধক্য বা অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে মারা যেতে পারে। সরকার বলেছে যে তার দুর্ঘটনার রেকর্ড দেখায় যে ২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বকাপ স্টেডিয়াম নির্মাণের জায়গায় ৩৭ জন মারা গিয়েছিল এবং মাত্র তিনজন "কাজের সাথে সম্পর্কিত" ছিল।
তবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বিশ্বাস করে যে এটি একটি অবমূল্যায়ন। কাতার হার্ট অ্যাটাক এবং শ্বাসযন্ত্রের ব্যর্থতা থেকে কাজ-সম্পর্কিত মৃত্যুকে বিবেচনা করে না, যদিও এটি খুব উচ্চ তাপমাত্রায় কঠোর পরিশ্রমের কারণে তাপ স্ট্রোকের সাধারণ লক্ষণ।
তিনি কাতারের সরকারি হাসপাতাল এবং অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা থেকে প্রাপ্ত বিশ্বকাপ সম্পর্কিত ঘটনাগুলির নিজস্ব তথ্য সংগ্রহ করেছেন।সু ত্র মতে শুধুমাত্র ২০২১ সালে, ৫০ জন বিদেশী কর্মী নিহত এবং ৫০০ জনেরও বেশি গুরুতর আহত হয়, আরও ৩৭,৬০০ জন সামান্য থেকে মাঝারি আঘাতে ভুগছিলেন।
বিবিসি আরবিও প্রমাণ সংগ্রহ করেছে যে কাতার সরকার বিদেশী কর্মীদের মধ্যে মৃত্যুর কম রিপোর্ট করছে।
বিদেশী শ্রমিকদের সাথে কেমন আচরণ করা হয়?
২০১০ সালে কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকার পাওয়ার পর থেকে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বিদেশি শ্রমিকদের প্রতি তার আচরণের সমালোচনা করেছে।
২০১৬ সালে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কাতারি কোম্পানিগুলোকে জোরপূর্বক শ্রম ব্যবহারের অভিযোগ এনেছিল।
এতে বলা হয়েছে যে অনেক শ্রমিক অকার্যকর আবাসনে বসবাস করতেন, বিপুল নিয়োগ ফি দিতে বাধ্য হন, তাদের মজুরি আটকে রাখা হয় এবং তাদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। কর্ম শিবিরে অবস্থার উন্নতি হয়নি আদৌ।
যাইহোক, ২০২১ সালের একটি প্রতিবেদনে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে যে ,বিদেশী কর্মীরা ‘শাস্তিমূলক এবং অবৈধ বেতন কর্তন’ এবং ‘দীর্ঘ ঘণ্টার পর ঘণ্টা কঠিন কাজের জন্য মাস শেষে মজুরি সঠিকভাবে না দেওয়ায়’ ভয়ঙ্কর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
কাতারি কোম্পানিগুলি ‘কাফালা’ নামক একটি সিস্টেম ব্যবহার করেছিল যেখানে যারা সেদেশে- বিদেশী কর্মীদের আগমনের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল, কিন্তু তারপরে তাদের চাকরি ছেড়ে যেতে দেয়া হয়নি।
*এটা ঠিক দাস প্রথার মত ব্যাপার।
আইএলও-এর মতো গোষ্ঠীগুলির চাপের মুখে, কাতারি সরকার প্রথাটি বাতিল করেছে, কিন্তু অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে যে, কোম্পানিগুলি কর্মীদের নিয়োগকর্তা পরিবর্তন করতে বাধা দেওয়ার জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছে।
আমার কথা: আগের দুটো ঘটনার সাথে এ বিষয়টার মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। যেখানে ঘটেছে তারা বলছে দুর্ঘটনা- আসলে কি দুর্ঘটনা? নাহ- আমি বলব এটা হত্যা-আগে থেকে যদি প্রত্যেকের সেফটি সিকিওর করা হোত তাহলে এতগুলো দুর্ঘটনা ঘটার কোন কাড়ন নেই। হতে পারে মুল সংখ্যাটা অতিরঞ্জিত! এর একটা বড় অংশ মারা গেছে সড়ক দুর্ঘটনা, রোগে ভুগে বা বার্ধক্যজনিত কারণে। ধরে নিচ্ছি, মুল সংখ্যা এর অর্ধেকের কম; মোট কর্মঠ যুবক মারা গেছে কম-বেশী তিন হাজার! এই তিন হাজার সংখ্যাটা কিন্তু বিশাল!
এখানে কোন নারী বা শিশু নেই। সবাই উদ্যমী কর্মঠ যুবক। এদের প্রায় প্রত্যেকই সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী। অনেকেই টাকা পয়সা ধার করে জমি জমা বিক্রি করে বিদেশে এসেছে।
প্রথম দু -পক্ষ বহির্বিশ্ব থেকে কমবেশি সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছে। রোহিঙ্গারা অল্প হলেও উক্রাইনরা সারা বিশ্বের মিডিয়ার দারুণ কভারেজ পাচ্ছে। যুদ্ধ শেষ হবার পরেও এরা পাবে। যুদ্ধের পরে পুনর্গঠনের জন্য এরা সরকারি সাহায্য ও প্রচুর বৈদেশিক অনুদান পাবে নিশ্চিত।
কিন্তু কাতারে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া এইসব কর্মজীবীদের পরিবার পরিজনের ভবিষ্যত কি? এদের দায় দেনা অভাব অনটনের খবর কে রাখবে।
শ্রীলঙ্কান,নেপালি, পাকিস্তানি বাংলাদেশী আর ভারতের অধিকাংশ প্রবাসী এইসব মানুষের একটা বড় অংশ নিন্মবিত্ত বা নিন্ম নিন্মবিত্ত পরিবারের। কোথায় এরা হাত পাতবে? অনেক পরিবার পালিয়ে বেড়াবে পাওনাদারের ভয়ে- অনেকেই হয়তো অনন্যোপায় হয়ে বেছে নিবে ভিক্ষাবৃত্তি। কেউ এদের কথা আর ভাববে না- কেউ এদের খবর রাখবে না কোনদিন। অভাব কষ্ট বেদনাকে নিত্য সঙ্গী করে এদের বোবাকান্না মিলিয়ে যাবে আকাশে –বাতাসে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: এর কোন শেষ নেই সব সময় আমরাই ভুক্তভোগী হব আমরাই দেখে যাবো আমরাই মরবো -আর আমরাই হা হুতাশ করবো। অর্থ ও ক্ষমতা লিপ্সু যাদের করার তারা ঠিকই করে যাবে এভাবে চিরকাল।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০০
সোনাগাজী বলেছেন:
এক যায়গায়, ৩ হাজারের স্হানে ৩০ হাজার এসেছে।
গরীব দেশের শ্রমিকেরা প্রাণ দিয়ে বিশ্বকাপের ব্যবস্হা করে গেছে; পরিবারগুলো বিশ্বকাপ দেখতে পাচ্ছে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: যারা ওখানে স্টেডিয়াম তৈরির সাথে যুক্ত ছিল তাদের একাংশ দেশে ফিরে এসে পরিবারের সাথে বসে বিশ্বকাপ কেলা উপভোগ করছে; সেদিন একটা চ্যানেলে দেখাল।
ভুলটা ঠিক করে দিয়েছি।
ধন্যবাদ মনোযোগ সহকারে লেখাটা পড়ার জন্য।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: শেরজা তপন ভাই, আপনি লিখেছেন- নয় মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে বিশ্বের অন্যতম এক পরাশক্তি তার প্রায় সর্বশক্তি নিয়োগ করে- এই বাক্যের সাথে দ্বিমত আছে। আমি মনে করি- নয় মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে বিশ্বের অন্যতম এক পরাশক্তির সাথে আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্স ছাড়াও তাবত বিশ্বের মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে রাশিয়া যুদ্ধ করছে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই আমি আপনার সাথে সহমত পোষণ করে আমার কথাটা ফিরিয়ে নিচ্ছি আসলে রাশিয়া লড়াই করছে ভারত আর চীন বাদে বিশ্বের প্রায় সব শক্তিধর দেশের সাথে একাই!
৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: রাশিয়া মারছে অনেক হিসাব নিকাশ করে।আমার মনে হয়, রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর আগ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তার কথা রেখেছে ( সে কখনো ইউক্রেন দখল করতে চায়নি বা তার সরকার পরিবর্তন ও চায়নি শুধু চেয়েছে ইউরোপ-আমেরিকা-ন্যাটো রাশিয়ার চাওয়াকে তার উদ্বেগকে আমলে নিক । আর তাই এখনো যুদ্ধ চলছে ঢিমে-তালে।আর সেখানে যা মরছে তার চেয়ে বেশী প্রচার পাচছে পশ্চিমা মিডিয়ার কল্যাণে। কারন, তারা চায় বিশ্বে তাদের প্রভাব ধরে রাখতে যাতে পুতিন বাগড়া দিচছে।
মগ রাজ্যে (মায়ানমার) রোহিঙ্গাদের যেমন কোন হিসাব নেই তেমনি মারা গিয়েছে বেশুমার তবে তাদের নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের খুব বেশী মাথা ব্যাথা আছে বলে মনে হয়না। তারা চাইলে অনেক আগেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যেত । তবে রোহিঙ্গারা যদি মুসলমান না হয়ে ইহূদি কিংবা খ্রিস্টান নিদেনপক্ষে সনাতন ধর্মের হতো তবে বহু আগেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।
কাতারে আমি আছি প্রায় ১ যুগ হয়ে যাচছে এবং ২২০ কিংবা ২৪০ বিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন কাজে যেখানে হয়েছে সেখানে আমাদের একার নির্মাণ কোম্পানির অবদানই প্রায় ৩০ বিলিয়নের উপর। যেখানে আমরা নির্মাণ করেছি Sheraton Hotel সহ Transfer Packages CP01 C1, C2, C3 · Lusail Light Railway Transit System (LRT) · RLS: Doha Metro Red Line South ,NOH2 সহ বড় বড় অনেক কাজ। এই দীর্ঘ দিনে আমি দেখেছি কাতার কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তার জন্য কি পরিমান সতর্ক এবং কত পয়সা শুধু কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তার জন্য খরচ করেছে।এখানে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তার জন্য যে পরিমান পয়সা খরছ করে তার সিকিভাগও বহু দেশে করা হয়না । তারপরও কর্মক্ষেত্রে দূর্ঘটনা ঘটেই এবং যে কোন দূর্ঘটনায় ১ টি প্রাণহানীও গ্রহনযোগ্য নয় যদিও তারা প্রাণহানীর ক্ষেত্রে যে পরিমান ক্ষতিপূরণ দেয়-দিয়েছে তা আমাদের দেশের হিসাবে অনেক । তবে পয়সায় কোন প্রাণের বিনিময় হয়না এটাও সঠিক ।
আমাদের এতসব কাজের মাঝে সব মিলিয়ে ৩/৪ জন শ্রমিকের প্রানহানী হয়েছে কাজের সময় । যার একজন ছিল সড়ক দূর্ঘটনায় লাইভ রাস্তা ক্রসের সময় । যদিও সবাইকে কঠোরভাবে বলা আছে রাস্তা পারাপার না করতে গাড়ী ছাড়া এবং তা নিষেধও বটে। কারন এখানের রাস্তা ৭ - ৭ = ১৪ লেনের এবং গাড়ী চলে অনেক গতিতে । এখানে কাতার সরকারের দায় কোথায়?
আরেকজন মারা গিয়েছিল মাল তোলার সময় ক্রেনের বাধন ঠিক মত না বাধার কারনে। সেখানে,যে মূল দায়িত্বে (সুপারভাইজার) ছিল তিনি সাইডে দাড়িয়ে মোবাইল চালাচছিলেন এবং হেলপার ঠিকমত নাট-বল্টু টাইট না দেওয়ার কারনে তা ছিড়ে পড়ে এক শ্রমিকের প্রানহানী হয়। যে শ্রমিক মারা গিয়েছি সে এই কাজের জন্য নির্ধারিত ছিলনা। এখানেও কাতার সরকারের দায় কোথায়?
সর্বশেষ,একজন মারা গিয়েছিল কাজের সময় মোবাইল ব্যবহার করে অসতর্কভাবে পাইপলাইনের জন্য খোড়া গর্তে পড়ে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। এখানেও কাতার সরকারের দায় কোথায়?
এসবই গুলিতেই যথাযথ তদন্ত-অনুসন্ধান আইন আদালত হয়েছে এবং সবগুলিতেই প্রতিষ্ঠানের নয় কর্মীর গাফিলতি তথা অসতর্কতাই প্রাণহানীর কারন ছিল । তারপরও প্রতিটা প্রাণহানীর কারনে কাতার সরকার যে ক্ষতিপূরন দিয়েছে তা আমাদের দেশের হিসাবে অনেক অনেক । এসবই আমার দেখা।
আর কাতার সরকার ৩৭ জন শ্রমিক মারা যাবার কথা বলেছে যারা সরাসরি স্টেডিয়াম নির্মানের সাথে ছিল এটা বিশ্বাসযোগ্য। কারন, প্রতিটা দূর্ঘটনা কিংবা মারা যাবার পর আইএলও, ফিফা,কাতার সরকার বহুভাবে তদন্ত-অনুসন্ধান আইন আদালত করে। কাজেই এতে লুকোছাপা হয়নি বলেই মনে হয়। আর একটা দেশের যেখানে ২৫ লাখের বেশী বিদেশী শ্রমিক কাজ করে সেখানে ৮/১০ বছরে সব মিলিয়ে ৬,৫০০ শ্রমিক মারা যেতেই পারে যার কিছু হয়ত স্বাভাবিক মৃত্যু , কিছু হৃদপিন্ডে হঠাৎ আক্রমণ (আর্জেন্টিনা হারার দিন খেলার সময় এক নেপালী ড্রাইভার মারা গিয়েছে হৃদপিন্ডে হঠাৎ আক্রমণের কারনে , এখন তা যদি খবর হয় কাতারের বিশ্বকাপকে নিয়ে তাহলে কাতার সরকার কিই বা করতে পারবে ) , আবার কিছু সড়ক দূর্ঘটনা কিংবা অন্য কোন কারনে যাদের বিশ্বকাপ স্টেডিয়াম সম্পর্কিত কাজের সাথে দূরতমও কোন সম্পর্ক নেই।
আমি , এত বড় মন্তব্য কাতার সরকারকে দায়মুক্তি দেয়ার জন্য করিনি বা বাস্তবতাকেও মানছিনা এমন নয়। এ কয়েকটা ঘটনা আমার জানাতে হয়েছে । সমালোচনার জন্য সমালোচনা অনেক করা যায় তবে বাস্তবতাকেও আমাদেরকে মেনে নিতে হয়।
আমরা গরীব মানুষ । বিদেশে এসেছি দু পয়সা কামাতে কারন দেশে আমাদের যথেষ্ট কাজের সুযোগ নেই তাই। এখানে , কাউকে দায়ী করলে আমাদের ভাগ্যকেই দায়ী করতে হবে । কারন , আমরা সংখ্যায় অনেক তবে মানে নয়। আর তাই মানহীন জীবনের জন্যই আমাদের এই দাস খাটা -----------------------------
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সুদীর্ঘ চমৎকার মন্তব্যে আসলে আমিসহ সব ব্লগাররা উপকৃত হল এই জন্য যে কাতারের সত্যিকারের চিত্রটা আমাদের সামনে অনেকাংশ ফুটে উঠলো।
আমাদের কোনোভাবেই জানার উপায় নেই আসলে কাতারে কি ঘটেছে? কতজন লোক ওখানে নিহত এবং আহত হয়েছে!
বিশ্ব মিডিয়া আমাদেরকে যা জানায় যেভাবে জানায় আমরা সেটাই মনে করি আসল এবং সত্যি এবং তার উপরে আলোচনা সমালোচনা করি।
তবে সংখ্যাটা যাই হোক না কেন আমি মনে করি আমার বক্তব্যের সারমর্ম আপনি বুঝতে পেরেছেন এবং সেটা সঠিক আপনি কি বলেন?
আপনার মূল্যবান সময় অপচয় করে দীর্ঘ মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল ভাল থাকবেন।
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: তপন ভাই ,
এখন যেমন পুতিন তথা রাশিয়াকে নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়া দিনকে রাত এবং রাতকে দিন করে প্রচার চালাচছে ঠিক তেমনি কাতার
বিশ্বকাপ আয়োজকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই পশ্চিমা মিডিয়া তথা আমেরিকা-ইউরোপ কোন ভাবেই তা মেনে নিতে না পেরে প্রতিনিয়ত নেগেটিভ প্রচারণা চালিয়ে গেছে।
তবে কাতারের বিচক্ষণ আমির এসব প্রচারণায় কান না দিয়ে তার লক্ষ্যে অটুট থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে গেছে। কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজকের দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়ার সর্বশেষ প্রচেষ্টা ছিল সৌদি-মিশর-বাহরাইন-দুবাই ব্লকেজ । পশ্চিমাদের আশা ছিল এর ফলে তাদের আশা পূরণ হবে। তখন ইরানের সাহায্যে ও খুব বিচক্ষণতা-ধৈর্য্যের সাথে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে।
কাতারের বিরুদ্ধে সর্বশেষ প্রচারনা ছিল কাতার ইকুয়েডর ম্যাচের ফলাফল নিয়ে যেখানে বলেছে যে মিলিয়ন-মিলিয়ন ডলারের রফা হয়েছে যার বিনিময়ে ইকুয়েডর ১-০ গোলে হারবে। এখন কাতার যদি সেই ম্যাচে জিতে যেত তাহলে তা নিয়ে বহু জল ঘোলা হত। গল্পে যেভাবে "কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরেনি " ঠিক তেমনি কাতার সেই ম্যাচে হেরে প্রমান করেছে ম্যাচে গড়-পেটা কিছু হয়নি।
আমরা অনেকেই দলকানা কিংবা কানা অনেক কিছুতেই। তাই বলে সত্য বদলে যায়না। সত্য সত্যই।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: ফের মন্তব্যে আসার জন্য ধন্যবাদ।
আমার এই লেখার তিনটে উদ্দেশ্য -
১।সব মৃত্যুই প্রায় অপ্রয়োজনীয়, অল্প কিছু ক্ষমতালোভী অর্থলিপ্সু মানুষের বলি হচ্ছে সারা বিশ্বের সব শ্রেণীর মানুষেরা। রাশীয়ার যুদ্ধে পুরো ইউরোপের সাধারণ মানুষ নাজেহাল হচ্ছে নাকাল হচ্ছে, অযথাই গ্যাস বিদ্যুৎ আর শীতে কষ্ট পাচ্ছে আর মুদ্রাস্ফিতির চক্করে দিশেহারা হচ্ছে।
২। মিডিয়ার ইচ্ছেমত পাল ঘোরানো- পচছন্দমাফিক সংখ্যা গড়ে খবর প্রচার! যেখানে রোহিঙ্গা ইস্যু অনেক বড় কিন্তু সেটাকে মামুলি করে দেখানো হচ্ছে- কাতার ইস্যুকে অযথাই তাদের প্রয়োজনে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হচ্ছে। আর রাশীয়া উক্রাইনের যুদ্ধ মানেতো বিশ্বযুদ্ধ!
৩। প্রতিটা মৃত্যুই ভয়ঙ্কর কষ্টদায়ক! কিন্তু এই তিনটে ঘটনা পরস্পরের সাথে মিল নেই। একটা আগ্রাসন, একটা গৃহযুদ্ধের বলি হয়ে নিজ দেশ থেকে বিতারিত হতভাগ্য এক জাতি, আরেকটা পুঁজিবাদের বলি।
কাতারে হয়তো ৩০০০ কর্মী মারা যায়নি। হতে পারে এটা এক হাজার। কিন্তু সেই এক হাজার পরিবারের কথা ভাবেন? এদের দেখার কেউ নেই- এদের দুঃখ কষ্টের কথা শোনার কেউ নেই। শুধু কাতার নয় সারা বিশ্বেই নিরবে নিভৃতে এমন কত তৃতিয় বিশ্বের নাগরিক মারা যাচ্ছে তার হদিস কে রাখে।
ধন্যবাদ,
৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: উত্তর মেরু, দক্ষিন মেরু মিলিয়ে ফেলেছেন। জোর করে মিলিয়েছেন।
পরিবার রেখে অর্থের জন্য দূর দেশে গিয়ে মৃত্যু বড় কষ্টের, বড় যন্ত্রনার।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: মিলিয়ে না গুলিয়ে ফেলেছি ভ্রাতা
হয়তো সফল হইনি কিন্তু চেষ্টাতো করেছি- কি বলেন। আপনি বুদ্ধিমান মানুষ টপিকটা বোঝার কথা।
৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের লেখাটা একটু আউলা-ঝাউলা মনে হইলো। আসলে কি কইতে চাইতেছেন? বর্ণবাদ, ধনী-গরিবের বিভাজন এইসব দুনিয়াতে আছে, থাকবে। ধনী দেশগুলার দুই-মুখা ব্যবহারও থাকবে। এইসব নিয়া গরীব দেশগুলা সোচ্চার হবে না কৌশলগত কারনে। এইসবই কি কইতে চাইলেন? বুঝলাম না!
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: মোদ্দা কথা বুঝাইতে চাইলাম সেইটা হইল গিয়া; কোন মৃত্যুটা আরামের সেইটা জানা আর কি
বিশ্ব বিখ্যাত সন্সথা ও নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে; তিনটাতেই গোঁজামিল ছিল- তাই মাথাটা একটু আউলায় গেল আর কি! চোলাই মদ খেয়ে মনে হচ্ছিল সরেস লেখা! নেশার ঘোর কাটতে ধীরে ধীরে এখন বুঝতে পারছি - রদ্দি!
৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তথাকথিত বিশ্ব-বিখ্যাত সংস্থা আর নিউজ এজেন্সিগুলা কোন ধান্ধায় কি করে, সেইটা মনে হয় আপনে জানেন না!!!
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের জন্য যে করে না সেটা আমি নিশ্চিত
~এখন ফ্রি হইছেন?
৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কাতারে শ্রমিক মারা গিয়েছে এটা সত্য কিন্তু সংখ্যাটা কী আদৌ সত্য। আর খেলা শেষে বহু শ্রমিক ফেরত আসতেই হবে । কারণ কাজ থাকবে না আর।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা অনেকেই ফিরে এসেছে। ঠিক বলেছেন সংখ্যাটা সঠিক নয়। কোন সেফটিনেস না থাকলেও এত মানুষ মারা যাবার কথা নয়।
ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য।
১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: সব মৃত্যুই দুঃখজনক, পৃথিবীর যে দেশে যে কারণেই ঘটুক না কেন। কিন্তু বিশ্বকাপের ঝলমলে আয়োজন করতে গিয়ে বাংলাদেশের পরিবারগুলোতে অন্ধকার নেমে এসেছে তাদের জন্য দুঃখ হচ্ছে বেশি।
এটা একটা চমৎকার ফিচার। শিরোনামে 'ফিচার' লিখে শেষে ক্যাটাগরি উল্লেখ আর তথ্যসূত্র দিলেই আশাকরি ব্লগের সংকলনে লেখাটা দেখতে পাবো।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: ফিচার প্রতিযোগিতা কি আছে?
দুইদিন যাবত তো নোটিশবোর্ড উধাও!!!!
এইটা' ঘন্টা খানেক বাজেট নিয়ে' বসে আবজাব একটা লেখা- সঙ্কলনে ঠাই পাবার কোনমতেই যোগ্য নয়।
যাদের পরিবারের কোন ভাই ছেলে স্বামী প্রবাসে দুর্ঘটনায় মারা যায় তারা বোঝে সেই কষ্ট।
ধন্যবাদ আপু- মন্তব্যে আসার জন্য।
১১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এই সব দিক থেকে আমার জ্ঞান এতটাই কম যে আমাকে মূর্খই বলা যায় । আমি খোঁজ খবর কম রাখি কারণ আমার এক ওস্তাদ একবার আমাকে বলেছিল পৃথিবীর সবকিছু হাতেগোনা কিছু নিয়মের ওপর নির্ভর করে চলে । এই হাতেগোনা কয়েকটি নিয়মের মধ্যে একটি হলো , " মানুষ দেনাদারের মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে যায় আর পাওনাদারের মৃত্যুতে খুশি হয় । যেহোতু মানুষ নিজেকে সুখী হিসেবে দেখতে চায় তাই সে পাওনাদারের মৃত্যু চায় ও ঘটায় । "
আরেকটি হলো , " জানিস মানুষ অনেক সময় অন্য মানুষকে পিঁপড়ে ভাবে । কারণ পিঁপড়ে মরলে গন্ধ বেরোয় না । "
তিনি আবার আরেকটি কথা বলেছিলেন , " সাম্রাজ্যবাদীরা সব সময় ভূমিপুত্রদের পিঁপড়েই ভাবে । আর নিজেদের ভাবে হাসনাহেনা , যখন তারা তাঁদের অন্ধকার দিক প্রকাশ করে তখন সেই অন্ধকারকে ঢাকতে দারুণ গন্ধ ছড়ায় । "
আমি আমার ওস্তাদের কথা মেনে চলি বলে এসবে খবর কম রাখি । আমি আমার ওস্তাদের শ্রেষ্ঠ ভক্ত বলতে পারেন । আমার ওস্তাদকে আপনি চেনেন । তার নাম নিবর্হণ নির্ঘোষ !!!!
২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: বুঝলাম; উস্তাদ নিজেই যখন নিজের সাগরেদ
তবে আপনার সাগরেদের উস্তাদ জ্ঞাণী মানুষ! আমিও তার ভক্ত হয়ে যেতে পারি
১২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:৩১
রোকসানা লেইস বলেছেন: ভেবেছিলাম লেখাটা শুধু রাশা ইইক্রেনের আলোচনা কিন্তু অনেক কিছু মিলে কেমন যেন জট লাগানো মনে হলো।
কেন যেন মনে হচ্ছে যুদ্ধ আরো আসছে ।
স্বাভাবিক মৃত্যুর চেয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হবে অনেক বেশি।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: ৬৫০০ হাজারে তিনিটে হত্যাকান্ড কাকতলীয়ভাবে মিলে গেল দেখে নিবন্ধটা লেখার চিন্তা মাথায় আসল। কাজের ফাঁকে দৌড়ের উপর লিখেছি বলে আউলা ঝাউলা হৈসে একটু
নিজগুনে ক্ষমা করবেন।
১৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২২
শায়মা বলেছেন: কি কষ্টকর !
মানুষের সকলেরই আদি নিবাস ছিলো পূর্ব আফ্রিকা!
যাইহোক যে যেখানেই থাকুক সবাই তো মানুষ। সবারই তো একই রকম কষ্ট লাগে দুঃখ লাগে মৃত্যু যন্ত্রনাও সকলেরই তো একই রকম একই রকম তো সকলেরই শোক।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী কষ্টকর বটে- যাদের যায় কিংবা যারা হারায় তারা বোঝে কি ভয়াবহ এ যন্ত্রণা।
হ্যাঁ যাইবেন নাকি জমি-জমা দখল করতে
১৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: মিলিয়ে না গুলিয়ে ফেলেছি ভ্রাতা
হয়তো সফল হইনি কিন্তু চেষ্টাতো করেছি- কি বলেন। আপনি বুদ্ধিমান মানুষ টপিকটা বোঝার কথা।
মিলিয়ে/গুলিয়ে। আমি আউলায়ে ফেলছি। হি হি হি---
যাইহোক পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ
ভাল করেছেন- আপনার এই রূপ দেখে অভ্যাস্ত! দেখলে আরাম পাই
১৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৭
শায়মা বলেছেন: উত্তরাধিকার সূত্রে তাহলে যাওয়াই যায়!
২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা চলেন সারাদিন ঢাল-বর্শা দিয়ে পশুপাখি শিকার করে সন্ধ্যেয় আগুন ঘিরে ঝলসানো মাংশ খেয়ে- হুপ হাপ করে উদ্দাম নাচা গানা করে ধুলার উপরেই গড়াগড়ি করে নাক ডেকে ঘুম!!
ইহজগত পরজগতের কোন টেনশন নাই।
১৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৬
শায়মা বলেছেন: হা হা চলো চলো ভাইয়া। এই ব্লগের সব ভাইয়া আপুদেরকে নিয়ে যাই। ঢাল তলোয়ার বর্শা তো আছেই ভয় কি?
২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: এ জীবনে সপ্ন দেখেছি বহুবার- যাযাবর না হয় জংলী হবার!
কোনটাই হোল না!! শতভাগ গৃহপালিত হয়ে, যেন-তেন ভাবে এলেবেলে জীবন কাটিয়ে চারপেয়ে খাটিয়াতে যাবার অপেক্ষায়...
১৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৩
শায়মা বলেছেন: হা হা বুঝেছি তোমার মাঝে পৃত্থু মানে বুদ্ধদেব বাস করে।
মাধুকরী উপন্যাস।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: অনেকটা সিরাম-ই আর কি
পৃত্থু-দের ভাবনাগুলো মুল্যহীন এখন।
১৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
আপনার ক্ষোভের কারন বুঝতে পারছি।
মানুষ যতোই মানবিকতার ভান করুক না কেন আসলে মানুষ একটা অমানবিক প্রানী। ধর্ম আর জাতি নিরপেক্ষতা নিয়ে মানুষ বাগড়ম্বর করে বটে তবে তা আক্ষরিক অর্থে নয় বরং নিজেদের মহান বলে প্রচার করাটাই সেখানে মুখ্য। তাদের আসল রূপটা তারা লুকিয়ে রাখে সযতনে। গোষ্ঠিবদ্ধ হয়ে ক্ষমতার ভাগ-বাটোয়ার সময় এই মুখোশটি যখন খুলে যায় তখন ধর্মে- জাতিতে-রংয়ে- ভাষায় তাদের দন্ত খিঁচুনি পরিষ্কার ধরা পড়ে।
তাই পৃথিবী জুড়ে অমন বৈসাম্য আর অবিচার-অমানবিকতার খেলা (যে সব প্রসঙ্গ কথা আপনি উল্লেখ করেছেন) আমরা দেখতে পাই অহরহ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হবার জন্য দুঃখিত!
প্রতিবারই আপনার মন্তব্যের প্রতি উত্তর দিতে গিয়ে আমি হিমসিম খাই।
কি চমৎকার করে বলেছেন;
মানুষ যতই মানবিকতার ভান করুক না কেন আসলে মানুষ একটা অ-মানবিক প্রাণী। ধর্ম আর জাতি নিরপেক্ষতা নিয়ে মানুষ বাগাড়ম্বর করে বটে তবে তা আক্ষরিক অর্থে নয় বরং নিজেদের মহান বলে প্রচার করাটাই সেখানে মুখ্য। তাদের আসল রূপটা তারা লুকিয়ে রাখে সযত্নে।
~ একদম আমার মনের কথা।
এ লেখাটা হয়তো আমি গুছিয়ে লিখতে পারিনি- তাই ঠিকঠাক মুল বক্তব্যটা প্রতিফলিত হয়নি।
ফের অনেক অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্যের জন্য- ভাল থাকুন।
১৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩২
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ুসলমানদের উপর অত্যাচারে তাদের কাছে কোন বিষয় নয়।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: তা কিছু ক্ষেত্রে বটে- আমাদের মুলেও সমস্যা কম নয় ভাই।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শুধু এই পোষ্টই নয় , আপনার সবগুলি লেখাই সুল্যবান ।
একটু সুস্থতা ফিল করলে সে সকল লেখায় বিচরণ করার
ইচ্ছা মনে পোষন করে রেখেছি । এই পোষ্টটি প্রিয়তে
তুলে রাখলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
২৮ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: ব্যাকপেইনে আপনি শয্যাশায়ী, শুয়ে শুয়ে 'স্পিচ টু রাইট' এ লিখছেন সেটা খায়রুল আহসান ভাই এর একটা পোস্টে করা মন্তব্যে দেখলাম।
আপনি যেখানে যেমনই থাকেন না কেন আমরা সবসময় আপনাকে স্মরণ করি।
আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ফের আমাদের মাঝে নিয়মিত হউন- আমাদের অজ্ঞতাকে ধুয়ে ফেলে আপনার জ্ঞানে উদ্ভাসিত করুন।
যখন সময় পাবেন সুস্থ হবে পড়বেন না হয়। এটা অতি মামুলি মানের এলেবেলে লেখা।
ভাল থাকুন।
২১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত মর্মস্পর্শী পোস্ট। অবহেলার কারণে একটি মৃত্যুও গ্রহণযোগ্য নয়।
ইউক্রেইন যুদ্ধে হত্যার সংখ্যা এবং কাতারের শ্রমিক হত্যা সংখ্যাকে অতিরঞ্জিত মনে হয়েছে। রোহিঙ্গাদেরটাও কিছুটা অতিরঞ্জিত হতে পারে।
@মোহামমদ কামরুজজামান, আপনার পর পর দুটো মন্তব্যই ভালো লেগেছে। + +
নিজ অভিজ্ঞতা দিয়ে আসল পরিস্থিতিটা ব্যাখ্যা করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
আমি আসলে বিশ্বখ্যাত মিডিয়া থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ করেছি। ওরা হয় রঞ্জকবিহীন বা অতি রঞ্জিত সংবাদ প্রচার করে অহরহ।
কাতারের সংখ্যাটা আমার কাছে খুব বেশী বলে মনে হয়েছে।
কামরুজ্জামান সাহেব বরাবরই দারুণ সব মন্তব্য করেন।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৭
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমার শুধু একটাই প্রশ্ন, এই মৃত্যুর শেষ কোথায়?