নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
(নিন্মোক্ত আলোচনার বিষয়বস্তু কাল্পনাপ্রসুত হতে পারে)
চারবন্ধু বসে আড্ডা দিচ্ছে মোড়ের চায়ের দোকানের পাশেই গুটি কতক চেয়ার পেতে। বেশ কয়েক বছর বাদে চার বন্ধু একখানে দেখা করার সুযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সুদর্শন যে সে থাকে কানাডার ভ্যাঙ্কুবারে। বিশ্বের অন্যতম তিলোত্তমা শহরে থেকেও সে চরম বিরক্ত! তার এখনো পল্লবীর এই মোরের আড্ডাই ভাল লাগে। ময়লা কাপে কাঁচা পাত্তির চা আর একখানা সিগারেট চারজনে মিলে টানতেই সুখ পায়। যদিও ওখানে তার জমিয়ে চলছে ব্যাবসা। বউ কর্পোরেট জব করে, ভাল বেতন পায়। কিন্তু দেশ তাকে টানে খুব- এখানে জম্ফা আর বিন্দাস আড্ডা তাকে চরম টানে। সে যে এলাকায় বাস করত আমি সাক্ষী; একসময় সেখানকার বাতাস ভারি হয়ে থাকত গাঁজার ধোঁয়ায়!! গাঁজার টানের থেকে গাঁজার ধোঁয়ার পিনিকে সুখ নাকি বেশী।
মাঝারি গড়ন উজ্জ্বল গাত্রবর্ণের রাশভারী অথচ বাকপটু বন্ধুটা নামীদামী ব্যারিস্টার। সুপ্রিম কোর্টে এনলিষ্টমেন্ট হয়েছে বছর দশেক আগে। এর পাশাপাশি বাপের বিশাল ব্যাবসা সামলাতে হয় তাকে। দেশ নিয়ে সে চরম কনসার্ন! দেশের ভাল মন্দ নিয়ে তার মত এমন করে ভাবে কম মানুষ। অনেক ভাল সুযোগ থাকার পরেও বিদেশে সেটেল হবার তার কোন ইচ্ছে নেই। হাজার হাজার শ্রমিকের রুটিরুজি কেড়ে নিয়ে বিদেশবাস করা তার পক্ষে সম্ভব নয় সেটা সে বেশ জোর গলায় বলে।
ছোট খাট গড়নের একটু স্ফীত উদর শ্যামলা বর্ণের চরম রসিক আর বাঁচাল বন্ধুটি সদ্য প্রোমোশন পেয়ে নামকরা একটা ব্যাঙ্কের ডি এম ডি হয়েছে। বন্ধুদের আড্ডায় তার সবচেয়ে কদর, চমৎকার আড্ডাবাজ আর হামবড়া ভাব নেই বলেই শুধু নয়- যে কারো যে কোন সমস্যার সমাধান যে কোন উপায়ে করে দিতে তার জুড়ি নেই। মানুষের উপকারের জন্য একটু বাঁকা পথে যেতেও সে রাজী। যশোহর বাড়ি তার। ঢাকায় বসত গেড়েছে দুই যুগের উপরে। কিন্তু ঢাকাকে এখনো আপন করতে পারেনি। দু-দুখানা এপার্টমেন্ট আছে এখানে- কিন্তু সুযোগ পেলেই আদি বসতে চলে যায় । তার ধ্যান জ্ঞান সপ্ন কল্পনা সব কিছুই তার জন্মস্থান ও বাল্য বন্ধুদের ঘিরে। মাসখানেক দেশে(যশোহর) যেতে না পারলে সে মাঝে মধ্যেই আনমনা হয়ে ফোঁৎ ফোঁৎ করে দ্বীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
চতুর্থজনের দেশের প্রতি উন্মাদনা নেই কিন্তু এদেশ ছেড়ে অদুর ভবিষ্যতে কোথায় যাবার সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয়না। জামাই বউ দেশের সেরা দুটো বহুজাতিক কোম্পানির মার্কেটিং ও সেলস বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। ছয় অঙ্কের কোঠায় বেতন আরো দেড় যুগ আগেই পেত। এখন তো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। যদিও বহু বছর আগেই বনানীতে তিন হাজার স্কয়ার ফুটের ফ্লাটে উঠে গেছে কিন্তু পল্লবীর এই আড্ডা তাকে এখনো টানে। ছ'মাস অন্তর কিংবা বছর বাদে এলেও উঠতি পুলাপান সিগারেট পেছনে লুকিয়ে সালাম দিয়ে চেয়ার ছেড়ে দেয়। নিজের এলাকায় শান্তি আলাদা! রাস্তার কুত্তা বিলাই ও চেনে। সে রাজকীয় একটা হাসি দিয়ে ভারি কন্ঠে উচ্চ স্বরে বলে,
-আরে সিগারেট লুকাইছ ক্যান? তোমরাতো এখন বড় হয়ে গ্যাছ, টানো টানো সমস্যা নাই।' একথা শুনে পুলাপান শ্রদ্ধায় বিগলিত হয়ে মাথা নুইয়ে ফেলে।
ব্যারিস্টার বন্ধু কথায় কথায় কানাডা প্রবাসী বন্ধুকে জিজ্ঞেস করল,
-তোর ওইখানে এখন বাড়ির দাম কেমন?
-ফ্লাট না ভিলা?
-কোনটা কেমন?
কর্পোরেট বন্ধু বলল, কানাডায়তো ট্রুডো বাইশ মাসের জন্য বিদেশীদের কাছে বাড়ি বিক্রি বন্ধ রাখছে।
ব্যারিস্টার বন্ধু হেসে একটু খোঁচা দিয়ে বলল, -কিনবি নাকি-তোর কয়খান লাগবে?
-নারে দোস্ত কানাডায় গিয়া কি ‘বাল’ করব।
কানাডা প্রবাসী বন্ধু বলল,- আমার এলাকায় দাম বেশী।এক টুকরো জমি সহ ভিলা টাইপ বাড়ি কিনতে চাইলে ছয় সাত লাগবে। আর ফ্লাট চার এর মধ্যে পাওয়া যায়।
-ছয় সাত কি –লাখ ডলারে?
- হ আবার কি! শহর থেকে দূরে নিলে আরেকটু কমে পাবি। কিনবি নাকি?
- না জিজ্ঞেস করলাম আর কি? দেশেই ভাল আছি।
ব্যাঙ্কার বন্ধু ফোঁড়ন কেটে বলল,
- এত টাকা পয়সা দিয়া কি করবি তুই। তোর একখান মাত্র পোলা- দেশের যে অবস্থা, কবে বিদেশে ভাগা লাগে। কানাডায় একটা বাড়ি থাকলে তোর পুলা ভবিষ্যতে দুই হাত তুলে দোয়া করবে। বাড়ি ছিল বলে 'ভাগোনের' যায়গা পাইছে।
- যাঃ শালা! ব্যাবসা করলে বুঝতা। মাস গেলে কর্মীদের বেতন দিতে ফাইট্যা যায়!
কর্পোরেট বন্ধু মাঝখান থেকে আচমকা বলল,
এই সিদ্দিক জানছ, ওতো কুমিল্লায় বিশাল বাগানবাড়ি বানাইছে। সেই রকম। ইনফিনিটি সুইমিং পুল।
ব্যারিস্টার খানিকটা বিব্রত। টম্যাটোর রঙের ছোপ মুখে।
-নারে দোস্ত এমন কিছু না। ও একটু বাড়ায় কয়। আব্বার সখ ছিল গ্রামে একটা বাড়ি করার। তাই করলাম একটা আর কি।এই করোনায় একটা ধাক্কা দিল, আব্বারে নিয়ে ভয়ে ছিলাম। কবে বাঁচি মরি ঠিক নাই- বউ বাচ্চা নিয়ে সবাই মিলে সময় বের করা কষ্ট।
প্রোগ্রাম কর সায়েম(প্রবাসী বন্ধু) থাকতে থাকতে- আমরা গিয়ে একদিন ঘুরে আসি।
ব্যাঙ্কার বন্ধু রাশিদ বলল, কয়দিন পরে কর –আবুল তো আসতেছে!
-তাই -কবে?
- ও আগের ভার্সিটি ছেড়ে অকল্যান্ডের ভার্সিটিতে জয়েন করতেছে। ওখানে জয়েন করার আগে দেশ থেকে ঘুরে যাবে।
সায়েম বলল,
-আমিতো থাকতেছিনা দোস্ত। চার তারিখে শিডিউল।
- এইডা কি কইলি? কদ্দিন পরে আসলি, আরে থাক শালা সপ্তা খানেক পরে যা। জম্পেশ পার্টি হবে। তুইতো বোতল খাইস?
- হ আবার জিগায়। তুই খাইস না?
- না দোস্ত ছাইড়া দিছি। সুমন( কর্পোরেট বস) আগে এক রাইত ও মিস দিতনা, এখনতো ছাইড়া দিয়া হজ করে হাজী সাব হয়ে গেল।
সুমন ঠা ঠা করে অট্টহাসি দিয়ে বলল,
- আর কইস না দোস্ত। যে টাকা মদের পেছনে উড়াইছি ওই টাকা দিয়া কানাডায় দুইখান বাড়ি কিনতে পারতাম।
আচমকা সায়েম প্রসংগ ঘোরাল, রাশিদ দোস্ত একটা উপকার করতে হবে।
- কি, ক?
- লাখ পাঁচেক টাকা পাঠাইতে হবে। চ্যানেল আছে?
- লাখ পাঁচেক মানে- পাঁচ লাখ ডলার?
- হ- আবার জিগায়!
- ব্যাবস্থা করা যাবে। আমি ফোন নম্বর দিবো- ফোন দিয়ে বাসায় আসতে কবি। সে এখানে বইসাই টাকা ট্রান্সফার করে দিবে। কানাডায় তোর একাউন্টে টাকা ঢুকলে তারপরে তুই তার টাকা বুঝায় দিবি। যা হবে স্পটে। বিশ্বস্ত মানুষ।
আমি বললাম
-এত টাকা একবারে সম্ভব?
সায়েম ফিচ করে হাসি দিয়ে বলল,
-আবার জিগায় মামা। ট্রুডো ব্যাপক খুশী। বিন্দাস টাকা ঢুকাইতে পার- কোন জিগা জিগি নাই। বেগম পাড়া কি এমনিই হইল!
-তোর টাকা?
- আমি এত টাকা পাব কই। আমার এক বন্ধুর টাকা।
- যাঃ শালা! তোর হইলে কথা ছিল।
ব্যারিস্টার বন্ধু বলল,
-অস্ট্রেলিয়ায়তো একদিনে দশ হাজারের বেশী ঢুকানো যায় না। আমার এক বন্ধু পাঠাইছিল। পনের বিশ দিনে পুরা টাকা পাঠাইতে হইছে।
ব্যাঙ্কার বন্ধু বলল,
ইউরোপের বেশীরভাগ দেশেই রেস্টিক্ট্রেট- তাইতো পয়সাওয়ালারা ওইদিকে যায় না। জাপানতো এই ব্যাপারে চরম সিরিয়াস! মালয়েশিয়া-টেশিয়ার মত দেশের ব্যাপার না হয় মেনে নেয়া যায়। কিন্তু কানাডায় ক্যামনে? ট্রুডো তো মানবতার সেরা উদাহরন সবার কাছে।
আমি কইলাম,
নেটফ্লিক্সে ‘ব্যাড ব্লাড’ সিরিজটা দেখছ? দেখলে কানাডা নিয়ে ধারনা পাল্টে যাবে। যত গর্জে তত বর্ষে না।
ব্যারিস্টার বন্ধু বলল, আমরা না হয় চরম খারাপ! দেশের প্রতি টান নাই, ভালবাসা নাই। বর্বর- অসভ্য। কিন্তু ওরাতো সভ্য বিশ্বের সেরা সভ্য দেশ-সভ্য জাতি। ওরাতো জানে এইসব টাকা একটা গরিব দেশের অবৈধ, চুরি করা টাকা। ওরা ক্যামনে এই টাকা নিতে দেয়? এইসব বদমাইশ, চোর, জোচ্চোর, লুটেরাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে শেষ মেষ ওদের সর্বনাশ একদিন ডেকে আনবে। এরা ওইসব দেশরেও একদিন 'খোলা' বানায় দিবে।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১১
শেরজা তপন বলেছেন: আসলে মুল আলোচনাটা কল্পনা প্রসূত নয়- আমি যে সময়ে লিখেছিলাম তখন টেকনিক্যাল কারনে এটা বলেছিলাম।
এটা তো এখন ওপেন সিক্রেট ব্যাপার!
অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। ভাল থাকুন ভাই।
২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০১
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: দেশটারে ওরা তো দুধেল গাই ই মনে করে।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: কোন পক্ষের কথা বলছেন?
৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৪
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আচ্ছা এই চারজনের মধ্যে আপনি কোনজন ? লিখাটাতে একবার আপনি লিখেছেন " আমি বললাম " !
আসলে এই পুঁজিবাদী সময়ে কোত্থেকে টাকা আসছে তাই নিয়ে এত ভেবে কী লাভ টাকা আসছে এটাই তো আসল ব্যাপার !
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: এখানে মুলত পাঁচজন ছিল একজন মুলত শ্রোতা- সেইজন আমি
একবার কথা বলেছিলাম আর-কি।
একথা ঠিক বলেছেন।
৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৭
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: কোন পক্ষের কথা বলছেন?
সাত সমুদ্রের এপার আর ওপার দুই পক্ষের কথাই বলেছি ভাইজান।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: ওহ! বেশ তাহলে- সবাই কম-বেশী অপরাধী।
ধন্যবাদ ফের মন্তব্যে আসার জন্য ব্রাদার।
৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পেপারে দেখলাম ইসলামি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠ সদস্য একজন শেয়ার ছেড়ে দিয়েছে কারণ ব্যংকটি আরো বিপদে পড়বে সামনের দিনে। এমনি দুই মাসে ৯৫০০ কোটি টাকা লোপাট।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: ব্যাঙ্কিং সেক্টরে সামনে ঘোর বিপদ!!
মানুষ দিশাহারা হয়ে যাচ্ছে - কোথাও টাকা রেখে শান্তি নেই। চাটার দল সব লুটে-পুটে খাচ্ছে!
৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসভ্য জাতি তো আসলে এটা দুইখান মাত্র - আড্ডাবাজদের জাতি আর হলো ওরা যে-দেশে, আই মিন, কানাডায় এত ডলার পাঠাচ্ছে, সেই জাতি। আমি তো ট্রুডোর প্রেমে পড়ে গেছিলাম। আপনার আড্ডা থেকে তো থলের কুত্তা বেরিয়ে এলো, এখন আমি কী করবো?
৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: যত গর্জে তত বর্ষে না! সবাই আগে নিজ জাতি ও দেশের স্বার্থ নিয়ে আগে ভাবে!
নিউজিল্যান্ডের 'মেসি' ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনায় যুক্ত বন্ধু হাসান ভাল কথা বলেছিল; শুধু ওদের পক্ষেই যেটা যায় সেটাই মানবতা সেটাই শুদ্ধটা সেটাই সভ্যতা।
৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৩৭
সোহানী বলেছেন: শেরজা ভাই, অফলাইনে লেখাটা পড়ে বাসায় ঢুকে লগইন করলাম মন্তব্য করার জন্য। কারন আপনি যে তথ্য দিয়েছেন এ লিখায় এটা সম্পূর্ণ ভুল।
কানাডায় কোনভাবেই আপনি ১০ হাজারের বেশী ব্যাংকে টাকা পাঠাতে কিংবা উঠাতে পারবেন না। ৫ হাজারের পর থেকেই নজর রাখে। ১০ হাজার হলেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। যারা টাকা আনে তারা পুরোপুরি ক্যাশ বা হুন্ডির মাধ্যমে আনে যা কোনভাবেই বৈধ নয়। এ উপায়ে পৃথিবীর সব দেশেই টাকা পাচার হয়।
তবে কানাডায় এর পাশাপাশি সহজ উপায়ে টাকা পাঠায় ইনভেস্টমেন্ট ক্যাটাগরিতে। এভাবে আপনি কয়েক লাখ ডলার পাঠালে পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট ও সিটিজেনসিপ পাওয়া যায়।
আর ট্রুডো এসব নিয়ে যথেস্ট সচেতন। বিশেষকরে চীনারা টাকা পাচারে সেরা। কানাডার বাড়ির দাম বলতে গেলে বাড়িয়েছে ওরাই। বেগমপাড়া বা হাই প্রোফাইল এরিয়াতে বাঙ্গালী আছে তবে এরা যথাসম্ভব ছেলেপেলেদের মাধ্যমে টাকা পাচার করে।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমি এমন একটা সমালোচানা-মূলক মন্তব্যের অপেক্ষা করেছিলাম।
শুভঙ্করের ফাঁকি তো আছেই; ব্যাবসা না হয় ছেলে-পিলের অধ্যয়নের সুযোগে সেটা সম্ভব!
যদিও কথাগুলো আমার নয়; কানাডায় দীর্ঘ সময় অবস্থান-রত আমার এক বন্ধুর কথা। ভুল-ভ্রান্তি হলে তার হবে।
নীচে ব্লগার হাসান জামাল গোলাপ- এর মন্তব্যটা লক্ষ্য করুন;
কষ্ট করে শুধু আমার লেখায় মন্তব্যের জন্য লগিন করার জন্য ধন্যবান ও কৃতজ্ঞতা।
৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫৯
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: অনেকদিন হলো এই দেশে আছি। আমার পরিচিত একজন বেসরকারি চাকরিজীবী এখানে বাড়ি কিনেছেন টাকা হুন্ডির মাধ্যমে। আমার account চেয়েছিলেন হুন্ডির সিন্ডিকেট করতে, দেইনি, আমার উপর নাখোশ হয়েছিলেন, তবে অন্যরা দিয়েছেন, কেউ কেউ দুপয়সা কমিশন নিয়েছেন। কয়লা ধুলে ময়লা যায় না, ইচ্ছা করলেই বাকি জীবন সৎ থাকা যায়।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে আসার জন্য।
আপনি সম্ভবতঃ প্রথমবার আমার ব্লগবাড়িতে আসলেন।
দারুণ তথ্য দিলেন। শুভকামনা রইলো।
৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: গল্প যখন বাস্তব হয়- সেই সময় বর্তমান।
লাউয়ের সব খেয়ে যখন লাউ দিয়ে ডুগডুগি বানায়, তেমনি দেশটাকে ফোকলা বানিয়ে এখন ডুগডুগি বানিয়ে ফেলেছে।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: প্রতি উত্তরে কিছু বলার ভাষা নেই।
শুধু সহমত জানিয়ে রাখলাম!
ভালো থাকবেন ভাই
১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বাংলাদেশ এর মানুষ এমনই ।+++
৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন তবে এখানে বাংলাদেশের সব মানুষ না বেশিরভাগ মানুষই এমন হয়!
অনেক ধন্যবাদ মাইদুল ভাই ভালো থাকুন।
১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: এসব আমি বুঝি না।
বুঝতে চাইও না। আমি সহজ সরল জীবনযাপন করতে চাই। ভালো থাকতে চাই। আমি কোনো মন্দ কাজ করি না।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: যেমন আছেন তেমনি থাকেন- এতসব না বোঝাই ভালো!
১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: নাহ আপনাদের নিয়ে আর পারা গেলো না, কোথায় গর্ব করবেন ! বাংলাদেশী হিসেবে, তা না। দেখছেন তো সিংগাপুরের হাফ এখন আমাদের।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: কেমনে কি? কবে পাইলাম সিঙ্গাপুরের অর্ধেকখানা আমরা- যদি একটু কইতেন?
ইদানিং ব্যাকডেটেড হয়ে যাচ্ছে মনে
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
আনেক কাল আগে হলে এটা কল্পনাপ্রসূত হতে পারতো ।
এখনকার বাস্তবতায় এটাই মনে হয় স্বাভাবিক। কারন -
বিশেষ করে টাকা ‘রপ্তানিতে’ আমরা যে রেকর্ড করেছি, তা সম্ভবত বিশ্ব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে মহাবিশ্ব রেকর্ডে গিয়ে ঠেকেছে। গত ১৫/১৬ বছরে আমরা প্রায় ১০ লাখ কোটি টাকা ‘রপ্তানি’ করেছি। এই ‘রপ্তানিকারকেরা’ বেশির ভাগই টাকার সঙ্গে দারা-পুত্র-পরিবারকেও ইউরোপ-আমেরিকা-কানাডায় ‘রপ্তানি’ করেছেন; আর নিজেরা দেশে বসে আমদানি-রপ্তানি-এলসি-বাণিজ্য চালাচ্ছেন। ( সূত্র- সারফুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক )