নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাহলে আমরা কোথা থেকে এসেছি?~ (Humans are Not from Earth)~১১

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৬


তাহলে আমরা কোথা থেকে এসেছি?
একটি জিনিস আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যে আমাদের বাড়ির গ্রহ অবশ্যই আমাদের বর্তমান সৌরজগতের বাইরে থাকতে হবে। এটি প্রায় নিশ্চিত যে আমাদের আদি গ্রহ আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির মধ্যে রয়েছে।
আসুন আমরা যে শারীরিক এবং পরিবেশগত অবস্থার আশা করতে পারি তা বিবেচনা করে- এবং এর আগে আলোচনা করা কারণগুলির উপর ভিত্তি করে আমাদের হোম গ্রহ খুঁজি।
১. স্থায়ী মেঘের আচ্ছাদন
এটা হতে পারে যে সূর্যালোক সেখানে অনেক শক্তিশালী, কিন্তু দ্বারা স্থায়ী বা আধা-স্থায়ী মেঘের আচ্ছাদন দিয়ে আলোর বিকিরণকে বাঁধা দেয়। মানে সরাসরি সূর্যালোক না থাকা সত্ত্বেও, গাছপালার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে এবং আমরা এখনও ভিটামিন- ডি সংশ্লেষ করতে সক্ষম। সেখানে ত্বকের ক্যান্সার হয় না বা ছানি পরে না। এবং সূর্যালোকের কারণে আমাদের চোখ ঝলসে যায় না কেননা আমরা খুব কমই এটা দেখতে পাই/কখনই এটি দেখতে পাই না।
পৃথিবীর গাছপালা অবশ্যই আমাদের নিজস্ব গ্রহের মতো একই ধরণের হতে হবে, যেহেতু আমরা এগুলিকে পুরোপুরি পুষ্টিকর মনে করি (সম্ভবত এখন খুব পুষ্টিকর যা আমরা পেয়েছি তাদের স্বাদ আরও ভাল করার জন্য তাদের সাথে টেম্পার করা হয়), তাই আলোর মাত্রা এবং গুণ-মান সম্ভবত অনুরূপ, কিন্তু অবশ্যই খারাপ দিক হল যে পরিষ্কার আকাশ ছাড়া জ্যোতির্বিদ্যা প্রায় অসম্ভব হবে।
সেখানে বসবাসকারী লোকেরা হয়তো কখনোই তাদের নিজের সূর্য দেখেনি, এমনকি তারা অন্যান্য নক্ষত্র এবং গ্রহও দেখেনি কখনো। জ্যোতিষশাস্ত্র সম্ভবত বিদ্যমান থাকবে না, তবে তারা সম্ভবত অন্য কোন উপায়ে আমাদের থেকে অনেক বেশী মহাবিশ্ব সন্মন্ধে জ্ঞানার্জন করেছে।
২. ধ্বংসাত্মক ঘটনার অভাব
আমি উপরে উল্লেখ করেছি, যেভাবে পৃথিবীর স্থানীয় প্রাণীরা করে সেভাবে আমাদের ভূমিকম্প, সুনামি বা হারিকেন ভবিষ্যদ্বাণী করার কোন উপায় নেই । সবচেয়ে সম্ভবত কারণ এই জন্য যে তারা আমাদের আদি গ্রহে এধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে না, তাই আমরা এসবের পূর্বাভাস করার প্রক্রিয়ায় বিবর্তিত হই নি । সম্ভবত ঋতুর পরিবর্তন না হবার কারনে সম্ভবত সেখানে বড় হারিকেন/টর্নেডো, জলোচ্ছ্বাস হয় না। ভূমিকম্প ও সুনামির অভাব আমাদের গ্রহের একটি শক্ত কোর এবং টেকটোনিক প্লেট চলাচল না করার কারণে হতে পারে (মঙ্গল গ্রহের ক্ষেত্রে যেমনটি হয়), অথবা এটির খুব পুরু ভূত্বক থাকতে পারে (যা আমার নিজস্ব মতামত)। আমি অনুমান করব যে এটিতে একটি বড় ও কঠিন অভ্যন্তরীণ কোর রয়েছে যা প্রধানত লোহা দ্বারা গঠিত, একটি গলিত তরল ধাতু দ্বারা বেষ্টিত বাইরের কোর. গ্রহের আবর্তনের সাথে সাথে এগুলোর আপেক্ষিক গতিবিধি ফলে গ্রহে তীব্র চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে যা সম্ভবত পৃথিবীর তুলনায় উল্লেখযোগ্য-ভাবে শক্তিশালী।
৩। আমরা সম্ভবত একটি বাইনারি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করি
মজার ব্যাপার হল, আমাদের জেনেটিক মেক-আপে আমাদের রঙ নিয়ন্ত্রণ করার একটি উপায় রয়েছে -আমাদের ত্বক মেলানিন ব্যবহার করে। প্রচুর সূর্যালোকিত পৃথিবীর কিছু অংশে আমাদের ত্বকের রঙ ঘুরে কয়েক প্রজন্মের মধ্যে প্রায় কালো হয়ে যায়। আর শিত প্রধান অঞ্চলে এটি মোড় নেয় প্রায় সাদা- ওদিকে ট্রপিক্যাল অঞ্চলে সাদায় কালোয় মেলানো শ্যামলা বর্ণ। যে অন্তর্নির্মিত জেনেটিক ক্ষমতা রঙ পরিবর্তন করে আমাদের বাড়ির গ্রহেও বর্তমান, এবং অবশ্যই এমনটা হবার পেছনে তেমন একটি কারণে সেখানে থাকতে হবে।
এটা ইঙ্গিত দেয় যে, আমাদের বাড়ির গ্রহে আলোর মাত্রা ভিন্ন সময়ে ভিন্ন রকম হতে পারে। ধ্রুবক মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে, সম্ভবত কিছু সময়ের জন্য –কয়েক প্রজন্ম ধরে যেটা অব্যাহত থাকে। মেলানিনের সর্বোচ্চ স্তরে পৌছানোর আগে সেই আলো স্থিতিশীল হয় ফের কমতে থাকে। আমাদের ত্বকের রঙ এটির সাথে মানিয়ে নিয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ আলোতে ভিটামিন ডী গ্রহন করে শরির সতেজ হয় ও ইমিউনিটি টপ লেভেলে যায়। যথেষ্ট ভিটামিন ডি সংশ্লেষিত করার জন্য কম আলোর ব্যাধি যেমন অবসন্নতা বা বিষন্নতা থেকে মুক্তি মেলে।

~প্লানেট ইন বাইনারি সোলার সিস্টেমের একটা মডেল

এমনটা হবার জন্য বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। সম্ভবত বেশ কয়েক প্রজন্ম ধরে আলোর এই ওঠানামা চলে।। সম্ভবত আমাদের আদি গ্রহটির একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথ রয়েছে যার ফলে গ্রহটি কখনো নক্ষত্রের কাছাকাছি কখনোবা আরও দূরে চলে যায়।এটা কয়েক যুগ থেকে শত শত বছর স্থায়ী হতে পারে,যা আমাদের তারকা থেকে বেশ কাছে কখনোবা যথেষ্ট দূরত্বে রাখবে।
সেই নক্ষত্রটাকে কি কি সূর্যের থেকে যথেষ্ট উজ্জ্বল বা বেশি বৃহদায়তন হওয়া দরকার?
পৃথিবীর ১৭ আলোকবর্ষের মধ্যে দুটি বাইনারি নক্ষত্র সিস্টেম রয়েছে। আমার এই নিবন্ধ লেখার সময়কালে সেই তারাগুলোর চারপাশে প্রদক্ষিণরত কোন গ্রহের সন্ধান এখনো মেলেনি। আমার সুপারিশ থাকবে অনুসন্ধান চালিয়ে যাবার।
পৃথিবীতে হিমশীতল একটি রাতে পোষাক বিহীন অবস্থায় আমরা জমে যাব, এমনকি উষ্ণতম মরুভূমির দেশগুলিতেও কাপড় ছাড়া আমরা এক্সপোজার বা হাইপোথার্মিয়ায় মারা যাব। এটা স্পষ্টতই আমাদের আদি গ্রহে রাতে কিংবা কম আলোকিত সেই দিনগুলোতে এত ঠান্ডা হয় না। আবার, একটি যুক্তিসঙ্গত এর ব্যাখ্যা হতে পারে; আমরা বাইনারি যে নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করি, যেখানে একটি দ্বীতিয় একটা সূর্য প্রাথমিক সূর্য অস্ত যাওয়ার পর গ্রহটিকে উত্তপ্ত ও আলোকিত করে।

~This illustration shows a hypothetical planet covered in water around the binary star system of Kepler-35A and B.

মাদের প্রানপ্রাচুর্যময় ও জলময় এই গ্রহটি মহাবিশ্বে বিশেষ একটি গ্রহ। কিন্তু কতটা বিশেষ? বিজ্ঞানীরা আমাদের মতো দূরবর্তী গ্রহের সন্ধানে ব্যস্ত, কিন্তু তারা হয়তো বাইনারি স্টার সিস্টেমে লুকিয়ে থাকা পৃথিবীর আকারের গ্রহগুলিকে উপেক্ষা করেছে। যদিও এই গ্রহগুলি সনাক্ত করা কঠিন। এক্সোপ্ল্যানেট (আমাদের সৌরজগতের বাইরের গ্রহ) খোঁজার আমাদের সর্বোত্তম পদ্ধতি হল দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দূরের নক্ষত্রের দিকে তাকানো ও আলোতে তলিয়ে যাওয়া অন্য আলোর সন্ধান করা যার মাধ্যম বোঝা যে একটি গ্রহ এগিয়ে যাচ্ছে, এটা এমন একটি বিষয় যাকে ট্রানজিট বলা হয়।
দুই-তারা সিস্টেমগুলিকে কেবলমাত্র একটি তারা সহ সিস্টেম ভেবে সহজেই ভুল করা যেতে পারে যখন দুটো তারা একসাথে বা পাশাপাশি থাকে। এটি এই সিস্টেমগুলির মধ্যে পৃথিবীর আকারের এক্সোপ্ল্যানেটগুলি সনাক্ত করা কঠিন। ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন জ্যোতির্বিদ্যা গ্রুপ নয়ারল্যাব সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘দ্বিতীয় নক্ষত্রের আলো গ্রহটি অতিক্রম করার সাথে সাথে প্রথম নক্ষত্রের আলোতে পরিবর্তন সনাক্ত করা কঠিন করে তোলে।‘একটি দ্বৈত তারকা সিস্টেমের ধারণাটি স্টার ওয়ার্স ভক্তদের কাছে পরিচিত, যেখানে লুক স্কাইওয়াকারের হোম গ্রহ ট্যাটুইনের দুটি সূর্য ছিল। বিজ্ঞানীরা Tatooine এর শৈলীতে বেশ কয়েকটি বাস্তব এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করেছেন। ২০১৯ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, এই ধরনের পৃথিবীগুলি এলিয়েন জীবন খোঁজার জন্য ভাল জায়গা হতে পারে।
নাসার আমস রিসার্চ সেন্টারের গবেষকদের একটি দল TESS এক্সোপ্ল্যানেট হান্টিং মিশন থেকে পর্যবেক্ষণগুলি অধ্যয়ন করে ৭৩টি তারা সিস্টেম খুঁজে পেয়েছে যা আসলে বাইনারি। তারা হাওয়াই এবং চিলিতে অবস্থিত দুটি টেলিস্কোপ নোয়ারল্যাব জেমিনি অবজারভেটরি ব্যবহার করে তাদেরকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।)
আমার প্রাথমিক ধারণা ছিল যে এই ধরনের একটি গ্রহ সম্ভবত জীবনের জন্য অযোগ্য হবে। দুটি নক্ষত্র থেকে সদা পরিবর্তনশীল মাধ্যাকর্ষণ একে সব দিকে টানবে, টেকটোনিক প্লেটের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটার ফলে সারাক্ষণ ভূ-কম্পন অনুভূত হবে, আগ্নেয়গিরির অগ্নুতপাতের ফলে সার্বক্ষণিক লাভা উৎগিরিত ও প্রবাহিত হবে।
যাইহোক, আমি যখন একজন খ্যাতিমান জ্যোতি-র্পদার্থবিজ্ঞানর সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করেছিলাম, তার মতামত ছিল যে, তারা থেকে মহাকর্ষীয় টান গ্রহের উপরে এমন বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করার তুলনায় দুর্বল হয়। এর বাইরে আমাদের গ্রহের সম্ভবত পৃথিবীর চেয়ে ঘন ভূত্বক আছে এবং কোন টেকটোনিক প্লেট নাও থাকতে পারে। তাই সেখানে দুটি সূর্য থাকার পরেও এখনও পুরোপুরি বাসযোগ্য।
আমরা বাইনারি নক্ষত্রগুলির একটির চারপাশে অন্যটিকে হয়তো প্রদক্ষিণ করছে - অথবা তারা একই আকারের হলে একে অপরকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করতে থাকবে। এটা আমাদের গ্রহ (প্রায়) কখনই অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল না বা সেখানে কোন রাত্রি নেই। এমনটি হতে পারে একে অপরের চারপাশে দুটি তারার কক্ষপথের গতির উপর নির্ভর করবে এবং এটি কতটা ঘনিষ্ঠভাবে আমাদের গ্রহের ঘূর্ণনের গতির সাথে সিঙ্ক্রোনাইজ করে।
পাশাপাশি ঘুর্নয়াণরত দুটো নক্ষত্রের নিকটে কিংবা দূরে এমন একটা গোল্ডি-লক জোন থাকতে থাকতে পারে যেখানে পরিস্থিতি জীবনের জন্য নিখুঁত, ঠিক যেমন একটি একক নক্ষত্রের গোল্ডি-লক জোনে আমাদের বর্তমান আবাস পৃথিবী রয়েছে।
কিন্তু এই ক্ষেত্রে, দুটি নক্ষত্র প্রায় একই সময়ে উঠতে এবং অস্তমিত হতে দেখা যাবে, তাই এখনও দিন গরম এবং রাত ঠাণ্ডা হবে. আমি নিশ্চিত নই কিভাবে জামাকাপড় বা পশম ছাড়া এমন একটি গ্রহে রাতে কিভাবে শরীরকে উষ্ণ রাখা যায়! সম্ভবত আমরা ভূগর্ভস্থ কোন আবাসস্থলে উষ্ণতার জন্য একতাবদ্ধ হয়ে থেকেছি।
*****
আগের পর্বঃ
অসুখী-বিষণ্ণতা ও আত্ম-ধ্বংস!

প্রথম নয় পর্বঃ
আমরা কোথা থেকে এসেছি
আমরা কিভাবে পৃথিবীতে বেঁচে/টিকে আছি
আমরা আমাদের প্রয়োজনে বিকশিত হইনি
মানব-বিজাতীয় সংকরায়ন ও মিসিং লিঙ্ক
আমাদের শরীরের চুলের অভাব
খড় জ্বর,হাঁপানি ও ডায়েট
অত্যধিক প্রজনন ও প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতার অভাব
আমরা পৃথিবীর প্রকৃতি পাল্টে দিচ্ছি!
প্রযুক্তিগত উল্লম্ফন ও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা!

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬

সামছুল আলম কচি বলেছেন: চমৎকার লেখা!!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: সুপ্রিয় সামছুল আলম কচি ভাই,
জেনে ভাল লাগল- ধন্যবাদ আপনাকে। সাথে থাকবেন।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: " আমরা কোথা থেকে তাহলে পৃথিবীতে এসেছি " ?

---------- এই প্রশ্নের সঠিক কি জবাব তা জানিনা তবে এটা জানি যে, আমাদের আদি বাসস্থান সৌরজগতের বাইরে কোথাও এবং তা সীমাহীন ছায়াপথের বাইরের বায়বীয় (আকার-আকৃতি বিহীন) ভর-ওজন বিহীন এক জায়গা।ত বে তা ব্যাখ্যার অতীত এক বিষয় যা আমাদের সাধারন জ্ঞান, বুদ্ধির বাইরের এক বিষয়।

যে ভাবেই হোক আমরা বায়বীয় সেই জায়গা থেকে পৃথিবীতে এসেছি এবং তার পর এখানকার অনূকূল পরিবেশে আকার-আকৃতি পাওয়া সহ আমরা ধীরে ধীরে বিকশিত হয়ে আজকের আধুনিক মানুষে পরিণত হয়েছি। তবে মাঝে যে পর্যায় বা যে প্রক্রিয়ায় এ সব হয়েছে বলে মনে করা হয় তারও সঠিক ব্যাখ্যা নেই বা মুশকিল তার উপসংহার টানা।

তাই বলে কৌতুহলী মানুষ থেমে নেই। তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচছে এ বিষয়ে বিশদ জানার । আর তারই পরিণতি মূল লেখকের এই লেখা ও অনুবাদকের এই প্রচেষ্টা।

কঠিন বিষয় তপন ভাই । এই সব বিষয় পড়লে নিজেকে কেমন কেমন লাগে।

মনে হয় আমি :(( কিডা?
আমি কইত্তোন X(( আইছি ?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: মনে হয় আমি :(( কিডা?
আমি কইত্তোন X(( আইছি ?

হাঃ হাঃ হাঃ মাথায় যাগো এট্টুখানি ঘিলু আছে সে-ই এই বিষয় নি -একটু আধটু চিন্তা ভাবনা করেন।

তাই বলে কৌতুহলী মানুষ থেমে নেই। তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচছে এ বিষয়ে বিশদ জানার । আর তারই পরিণতি মূল লেখকের এই লেখা ও অনুবাদকের এই প্রচেষ্টা।
মানুষ শুধু প্রশ্ন করে থেমে নেই- যে যার মত করে প্রশ্নের উত্তর-ও খোজার চেষ্টা করে। বুদ্ধিমান মানুষেরা তাদের দুর্দান্ত কি ভাবনা বা কল্পনার কথা ছুড়ে দেন ভবিষ্যত মানুষদের জন্য- আর এভাবেই মানুষ এগিয়ে যায়। হতে পারে সেইসব ভাবনা নির্ভুল নয় সেইসব হাইপোথিসিসে গোঁজামিল ছিল কিন্তু এই গোঁজামিল থেকেই অনেক কিছু বেরিয়ে আসে। আমরা আমাদের উৎপত্তির মত কঠিনতম বিষয় নিয়ে ভাবছি- এখানে বহু ফাঁক ফোকর চোখে পড়বেই। কিন্তু এভাবে একদিন সত্যিটা বের হবেই।

বরাবরের মত সাথে থেকে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত করে সুদীর্ঘ মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বেশ কিছুদিন পরে পোস্ট করলেন।
- এই ছোট ছোট বিষয়গুলি কখনো মাথাতেই আসেনি। এখন কেমন নতুন করে চিন্তা করা যাচ্ছে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ কাজের ব্যাস্ততার পাশাপাশি গ্রামে পিঠা খেতে গিয়েছিলাম, সেজন্য নিয়মিত ব্লগে ঢুঁ দিতে পারিনি। আগামী কয়েকদিন ভ্রমনের উপরে থাকব। ধন্যবাদ ব্যাপারটা নজরে রাখবার জন্য।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে সবকিছু আগের থেকে জটিল হয়ে যাচ্ছে।সামনে আরো হবে- পড়াশুনা আর লেখালেখি ছেড়ে দিলে এই পেজগী থেকে বাঁচা যাবে মনে হয়। এর অনেককিছু কোনদিন ভাবনাতেই আসেনি। :(

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, আমি এটা প্রথম পর্ব থেকে শুরু করলাম।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: জেনে দারুন প্রীত ও আনন্দিত হলাম। মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম ভ্রাতা ...

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৩

জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: অপেক্ষায় ছিলাম এই পোস্টের জন্যে। কেউ মানুক আর না মানুক এরকম আউট অফ দা ব্যাক্স কন্টেন্ট পড়লে খুবই ভালো পরিমানের ডোপানিম ক্ষরণ হয় মস্তিস্কে। ধন্যবাদ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি! জেনে ভাল লাগল
কেন যেন তালগোল পাকানো এই বিষয়টা অনেকের কাছে ভাল লাগছে- কেউ কেউ অবশ্য বিরক্তবোধ করছেন :)
এরকম আউট অফ দা ব্যাক্স কন্টেন্ট পড়লে খুবই ভালো পরিমানের ডোপানিম ক্ষরণ হয় মস্তিস্কে।
ঠিক তাই। তবে ভাবেন এই বই পড়ে রেফারেন্স খুঁজতে গিয়ে যে পরিমান অবাক করা তথ্য আমার সামনে এসেছে সেগুলো পড়ে আমার ডোপামিন ক্ষরণ হয়তে হতে শেষ হবার উপক্রম :)

৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট বরাবরের মতোন।
আমাদের থাকতে হবে বিজ্ঞানের সাথে। ধর্মীয় গ্রন্থ ঘাটতে গেলে অলৌকিকতায় বিশ্বাস করতে হবে। বিজ্ঞানে অলৌকিকতার স্থান নেই।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা। আপনি বিজ্ঞানভক্ত মানুষ তাই এধরনের পোষত বরাবর আপনার ভাল লাগে এবং সেটা প্রকাশ করতে দ্বীধা করেন না।
তবে আমার মতে ধর্ম বিজ্ঞান দুটোই পড়তে হবে- আপনার যেটা বিশ্বাস না করার করবেন না।ধর্মে অনেক ভাল কথা বলা আছে সেগুলো ইগনোর করার উপায় নেই।
যাক এ বিষয়ে আমরা তর্ক না করি। যার যেটা বিশ্বাস সেটা আকড়ে থাকাই শ্রেয়।
ভাল থাকুন।

৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মানুষের জীবন শুধু ভ্রমন গ্রহ থেকে ভিন্ন গ্রহে অসীমের পানে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: কবির ভাবনায় কবিত্ব আছে। ধন্যবাদ সেলিম ভাই মন্ত্যের জন্য।

৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: যেখান থেকে আমরা এসেছি সেখানে গিয়ে একটু ঘুরে দেখে আসতে মন চাইছে, কোনো বুদ্ধি আছে যাবার?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সেই সপ্নের স্ময় থেকে আমরা মনে হয় পৃথিবীতে একটু আগেভাগেই এসে গেছি।
শ'খানেক বছর বাদে জন্মালে এমন সুযোগ পেলেও পেতে পারতাম। এখন সম্ভব সপ্ন বা কল্পনায় শুধু।

৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৪

কামাল১৮ বলেছেন: আমরা কোথা থেকে এসেছি।যেহেতু এই প্রশ্নের উত্তর জানা নাই অতয়েব আমদের আল্লাহ পাঠিয়েছে।এটাকে বলে অজ্ঞতার কুযুক্তি।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: যুক্তি হোক কুযুক্তি হোক একথা আমি কিন্তু এখনো বলিনি।

১০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৯

কামাল১৮ বলেছেন: পৃথিবীর জন্মের ইতিহাস ও প্রানীর বিকাশের ইতিহাস এখন দিনের আলোর মতো পরিস্কার।এটা বাচ্চাদের জীব বিজ্ঞানে এবং স্কুলের পদার্থ বিজ্ঞানে পড়ানো হয়।যেটা কঠিন প্রশ্ন সেটা হলো প্রানের উদ্ভব ও মহা বিশ্ব সৃষ্টির আগে কি ছিলো।যেটা নিয়ে ঘভেষণা চলছে ।যথেষ্ট তথ্য উপাত্তের অভাবে অগ্রসর হতে পারছে না।
আমি বিজ্ঞানের ছাত্র না।বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করি না।যারা বিজ্ঞানের ছাত্র এবং এই বিষয়ে আগ্রহ আছে তারা ভালো বলতে পারবেন।আশা করি অনেক সুন্দর সু্ন্দর মন্তব্য পাওয়া যাবে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: পৃথিবীর জন্মের ইতিহাস ও প্রানীর বিকাশের ইতিহাস এখন দিনের আলোর মতো পরিস্কার।এটা বাচ্চাদের জীব বিজ্ঞানে এবং স্কুলের পদার্থ বিজ্ঞানে পড়ানো হয়।
~ ধন্যবাদ কামাল ভাই। উঁহু আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না। আমার ধারনা ; না দৃঢ় বিশ্বাস এটা পুরোপুরি ভুল কথা। মানুষ এ বিষয়গুলো নিয়ে ৫ ভাগও এগোতে পারেনি। আমার মত 'অকাট মুর্খ' শুরু করল কেবল- সামনে দেখেন না কত কত জটিল বিষয় চলে আসবে; যার সমাধানের ধারে কাছেও বিজ্ঞান এখনো পৌছাতে পারেনি।

আর 'প্রানের উদ্ভব ও মহা বিশ্ব সৃষ্টির আগে কি ছিলো' এটা আবিস্কার করতে আরো শত শত বৎসরের পথ পরিক্রমা করতে হবে। হাইপোথেসিস বা কল্পনাই শুধু সার হবে আর কিছু নয়।

আশা করি অনেক সুন্দর সু্ন্দর মন্তব্য পাওয়া যাবে।~ আমিও সেই অপেক্ষায় রইলাম। লেখক বা আমার রেফারেন্সের ভুলগুলো জানার অপেক্ষায় আছি।

১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: শ'খানেক বছর বাদে জন্মালে এমন সুযোগ পেলেও পেতে পারতাম।

একটা টাইম মেশিন বানাইয়া ফালাইতে পারলে কিন্তু ব্যাপার না

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ ভাই চলেন গিয়া বানাই :)

১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৭

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মের একটা ভালো কথার উল্লেখ করেন যেটা ধর্ম প্রচারের আগে মানুষ জানতো না।আপনারতো অনেক জানা আছে ,তাই এই প্রশ্ন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: হায়রে ভাই কোন কথা বলতে গিয়ে কোন ফাঁদে পড়ি :(। আমি কিন্তু বলেছি; যার যেটা বিশ্বাস সেটা আকড়ে থাকাই শ্রেয়।
তবুও আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবার আগে জানতে হবে- ধর্মের শুরুটা ছিল কবে, মানে মানব ইতিহাসের কোন পর্যায়ে ধর্ম এসেছিল? আমার ধারনা; অনুমান করা গেলেও সঠিক তথ্য কারো জানা নেই। সেজন্য এ প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারবেন বলে মনে হয় না।

১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আজকে মাথায় কিছূই ঢুকছে না । ভালো হত এই মুহূর্তে যদি সিলভার বদ্দার যুক্তির বিপক্ষে কিছু বলত তো । এতে করে আমার মাথায় কিছু হলেও ঢুকতো !!!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০০

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন এর বিরুদ্ধে জোরাল যুক্তি নিয়ে এখনো কেউ আসলেন দেখে আমি বেশ হতাশ! অপেক্ষায় রইলাম
ভুলত্রুটি ধরা না পড়লে এইসব বিষয় মাথায় ঢুকতে আসলেই কষ্ট হয় :(

১৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ঠিক বলেছেন এর বিরুদ্ধে জোরাল যুক্তি নিয়ে এখনো কেউ আসলেন দেখে আমি বেশ হতাশ!

ভাই এই দায়িত্ব আপনি নিলে কেমন হয় ? ব্যাপারটা দারুণ হবে , মানে দুটো লিখা পাশাপাশি পড়ে অন্তত আমার মত অবৈজ্ঞানিক ছাত্রদের মাথায় কিছুটা হলেও ঢুকবে !

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১১

শেরজা তপন বলেছেন: আমার এমন ধারার একটা লেখার ইচ্ছে দীর্ঘদিনের।
এই ধরেন ঈশ্বর আছে এর পেছনে জোরাল সব যুক্তি -ফের ঈশ্বর নেই এর পেছনেও যুক্তি দাড় করিয়ে প্রমান করার চেষ্টা!
এমন অনেকগুলো টপিক দাড় করিয়ে ছিলাম- আর হোলনা :(

১৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ও সর্বশ্রষ্ঠ মানব যথাক্রমে ইসলাম ও মুহাম্মদ(সা)।এর আগে ইহুদি ও খৃস্টান ধর্ম।ইসলাম যাদের বাতিল ঘোষণা করেছে।অতয়েব তারা বাদ।প্রার্থনায় তাদের কয়েক জনের নাম রেখেছে কিন্তু তাদের ধর্ম পালন করা যাবে।তাদের ধর্ম যেহেতু পালন করা যাবে না অতয়েব তাদের কথাও মানা যাবে না।কোরানেই সব লেখা আছে আর আছে কোরানের ব্যাখ্যা হাদিসে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২০

শেরজা তপন বলেছেন: আগের মন্তব্যের সাথে এই মন্তব্য কেমন বেমিল হয়ে গেল :(

ধর্মো বিষয়ে আমি বিশেষ- অজ্ঞ! এতদ বিষয়ে আলোচনা আপাতত স্থগিত করাই উত্তম।

১৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২২

কামাল১৮ বলেছেন: বাদ দিন ।কোন কথায় কোন কথা এসে যাবে আবার ব্যান খেয়ে যাবো।নিক বানাতে বানাতে ক্লান্ত হয়ে গেছি।বেকার,সময়েও কাটে না ।আপনাদের লেখা পড়ে সময় কাটাই সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: যুক্তি কিংবা দর্শন দিয়ে যে কোন তর্ক বা আলোচনা হতে পারে তবে সেটা আক্রমনাত্মক বা অশ্লীল হলেই সমস্যা।
তবে কেন যেন এইসব আলোচনা একসময় বাঁকা পথে মোড় নেয় - সমস্যা তখনি হয়। আমার পোষ্টে যে কোন বিষয় নিয়ে যেমন খুশী আলোচনা করতে পারেন( তবে পোষ্ট সংশ্লিষ্ট বিষয় হলে ভাল হয়)

১৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাইনারি নক্ষত্রের চারদিকে আমরা প্রদক্ষিণ করি। বিষয়টা খুবই ভালো কিন্তু তার পর্যবেক্ষণগত দিক সুবিধার নয়।যেমন সুবিধার নয় আমার মতো মগজহীনকে :) জ্যোতিবিজ্ঞানের এসব ভারী ভারী শব্দ প্রয়োগ করে বোঝানোর চেষ্টা করাটা :)
শুভেচ্ছা প্রিয় তপন ভাইকে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি মগজহীন হলে আমি মস্তিষ্কবিহীন!
সমস্যাগুলোর কথা তিনি নিজেও তুলে ধরেছেন। আসলে সূর্যের তীব্র আলো ও তাপে কিছু হোমোসেপিয়েন্সদের কিছু সমস্যা হয় দেখে তিনি এমন একটা গ্রহের কথা ভেবেছেন। এটা শুধুই হাইপোথিসিস- খুব বেঈশ সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই পদাতিক ভাই।

কঠিন কঠিন কথা শুনে মানুষ ভাবে বিষয়টা জটিলই হবে তাই অনেকেই এড়িয়ে চলে :)

১৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমার এমন ধারার একটা লেখার ইচ্ছে দীর্ঘদিনের।

আরে আর দেরি কিসের । এটা দিয়ে শুরু করুন এরপর যেটা নিয়ে ইচ্ছা আছে সেটা নিয়েও লিখবেন । ইশ্বরতত্ত্ব আমার পছন্দের বিষয় !!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: সেজন্য অনেক পড়াশুনা করতে হবে ভাইডি।
আপনার পরামর্শ মাথায় থাকল। সুস্থ্য থাকলে বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অবশ্যই হবে।
ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুপ্রিয় বাবনিক তপন ভাই, আমাকে দয়া করিয়া মাফ করিয়া দিবেন। এই পোস্টের ভিতরে ঢুকিতে পারিলাম না। বাবনিক উপন্যাসের মতো আপনার এই সিরিজ সারা ব্লগে সাড়া জাগিয়েছে, সহজেই অনুমেয় এর ভিতরে কত মজার ও মূল্যবান জিনিস আছে। বিজ্ঞানের প্রতি আমার প্রবল আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও কেন আমি এই টপিকে ঢুকতে পারিলুম না, আমি জানি নাহ।

তবে, এই পোস্টের প্রথম বাক্য - নিশ্চয়ই আমাদের বাড়ির গ্রহ সৌরজগতের বাইরে - কবি যেহেতু এ সিদ্ধান্ত আগেই প্রমাণ করে ফেলেছেন, এতে আমার আর কিছু বলার নাই। আমি মেনে নিয়ে ঘুমাতে গেলুম।

এক কথায় জানতে চাই - হযরত আদম (আঃ ) আর আদি মাতা হাওয়া (আঃ ) যে বেহেশত থেকে পৃথিবীতে এসেছিলেন, এ বইতে কি সেটা প্রমাণ করার কোনো বিষয় আছে, নাকি পুরা বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ?

শুভ রাত্রি।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: এক কথায় জানতে চাই - হযরত আদম (আঃ ) আর আদি মাতা হাওয়া (আঃ ) যে বেহেশত থেকে পৃথিবীতে এসেছিলেন, এ বইতে কি সেটা প্রমাণ করার কোনো বিষয় আছে, নাকি পুরা বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ?
পুরোটাই বৈজ্ঞানিক হাইপোথিসিস গ্রন্থ! ও হ্যা ধর্ম নিয়ে মামুলী কয়েক লাইন আছে শেষের দিকে- তবে আহামরি কিছু নয়।

আপনি আমার পোস্টে এসেছেন সেটাই আমার বড় পাওনা। না পড়ে পড়েছি বলে বাহবা দেয়ার থেকে সত্যটা তিক্ত হলেও জেনে দারুণ প্রীত হলাম!

ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন প্রিয় ভাই।

২০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১:৪৪

অজ্ঞ বালক বলেছেন: অর্ধেক পড়ে নীচে দেখি লিংক আর লিংক। তাই সিরিয়ালে পড়বো বলে বুকমার্কে পাঠাইলাম। পছন্দের বিষয় বলে কথা। দারুণ পোস্ট। এখনও ফায়ারিং স্কোয়াড গুলি ছুড়া শুরু করে নাই দেইখা অবাক!!!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: কারো কারো কাছে ভীষণ কঠিন প্যাঁচানো কারো কারো কাছে হাবিজাবি আবজাব লেখা কারো কাছে ভীষণ প্রিয় আমি বড় দ্বন্দ্বে আছি এ লেখা চলতে থাকবে নাকি বন্ধ করে দেব বুঝতে পারছি না!!
মাঝে মাঝে আপনাদের মত কেউ এসে মন্তব্য করে আবার নতুন ভাবে উৎসাহিত করে যায় অনুপ্রাণিত করে যায়।
অনেক ধন্যবাদ আমি চাই আপনি প্রথম থেকে পড়ে সুন্দর কিছু মন্তব্য করবেন-সেই প্রতীক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা নিরন্তর।

২১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৩

সোহানী বলেছেন: ধুর ম্যায়া ভাই, কি সব চিন্তা ভাবনা নিয়া ছুটোছুটি করতাছেন। মাথা পুরা হ্যাং................।

যেইখান থেইকা আসি না কেন কোন সমস্যা নাইরে ভাই। আপনার বাবনিক টাইপ উপন্যাস লিখবেন আর আমরা পড়বো। এতো খটমট বিষয় নিয়া চিন্তা করতে পারুম না........... সাফ কথা ..........হাহাহাহা

লিখা পুরোটা পড়ি নাই। সময় করে পড়বো ছেলেকে নিয়ে। এটা আমার ছেলের প্রিয় বিষয়।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: যাক আপনার না হোক আপনার ছেলের প্রিয় বিষয় এটি জেনে খানিকটা কষ্ট লাঘব হোল :)
আমারে 'বাবনিক'(লম্পট) দেখতে খুব ভাল লাগে না কি? দাড়ান এইবার খাঁটি দেশী প্রেম নিয়ে আসছি- একেবারে আটপৌড়ে রোমান্স।

ধুর ম্যায়া ভাই, কি সব চিন্তা ভাবনা নিয়া ছুটোছুটি করতাছেন। মাথা পুরা হ্যাং................।
আফারে সব বয়সের দোষ! বুড়া হচ্ছি এইটা নিশ্চিত। :(

২২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আগের পর্ব গুলির মন্তব্যের ধারাবাহিকতায় এ পর্বেও বলছি এই গ্রহে যেমন মানুষের অনেক সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা আছে আবার অন্যান্য প্রাণীদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। লেখক যেভাবে বলছেন মানুষ ব্যতীত অন্য প্রাণীরা এই গ্রহে ভালোভাবেই চার্বাইভ করতে পারছে কিন্তু একটু ডিপ্লি দেখলেই বুঝা যায় সব প্রাণীদেরই কোন না কোন সীমাবদ্ধতা আছে।
আচ্ছা এত আরাম-আয়েশের গ্রহ ছেড়ে, আমরা এরকম সমস্যা জর্জরিত গ্রহে কেন এসেছি লেখক কে সেই সম্পর্কে কিছু বলেছে?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: এটা অবশ্যই ঠিক যে প্রকৃতিতে টিকে থাকতে হলে সব প্রাণী কিছু কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়-বা কিছু প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়! প্রতিটি প্রাণী বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে সেই প্রতিকূল পরিস্থিতিকে জয় করার চেষ্টা করে মানুষও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে অন্য প্রাণীর প্রকৃতি প্রদত্ত কিছু সুরক্ষা অস্ত্র আছে মানুষ সেখানে চরমভাবে বঞ্চিত। তাদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শুধু বুদ্ধিমত্তার উপর নির্ভর করতে হয় কিন্তু বিবর্তনের ধারায় হোমোসেপিয়েন্সদের এত দ্রুত এত বেশি বুদ্ধিমান হওয়ার কথা ছিল না মোটেও। ধন্যবাদ বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্যের জন্য ভালো থাকবেন হিরন ভাই।

২৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




দেরী করে লেখাটি দিলেন। আগের পর্বসমূহে কী কী পড়েছিলুম তা এর মধ্যেই ভুলে গেছি অনেকটা।
তবে মূল লেখক যখন ধরেই নিয়েছেন, আমরা আমাদের আদি গ্রহ ছেড়ে এমন বিদেশ -বিভূঁই একটা গ্রহে এসে ঠাই নিয়ে ফেলেছি তাই এ নিয়ে তার তুলনামূলক ভাবে করা এই বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মেনে নিতেই হচ্ছে।

তবে সাম্প্রতিক রিসার্চে দেখা যায়, মহাবিশ্বের ৮৫% নক্ষত্রই কিন্তু বাইনারী সূর্য্য ব্যবস্থার অধীন। যদি্ও আমাদের সূর্য্য একক একটি নক্ষত্র। তবে বিজ্ঞানীদের ধারনা, অতীতের কোন একসময় এই সুর্য্যই একটি বাইনারী সিস্টেমের অন্তর্গত ছিলো।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ কনটেন্টটা রেডি করতে একটু দেরি হয়ে গেল!
কি বলেন আপনি ভুলে গেলে তো ব্যাপক সমস্যা!!

তবে মূল লেখক যখন ধরেই নিয়েছেন, আমরা আমাদের আদি গ্রহ ছেড়ে এমন বিদেশ -বিভূঁই একটা গ্রহে এসে ঠাই নিয়ে ফেলেছি তাই এ নিয়ে তার তুলনামূলক ভাবে করা এই বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মেনে নিতেই হচ্ছে।
~ জ্বী তিনি মনে হচ্ছে এখানে একটু চালে ভুল করে ফেলেছেন। এতটা নিশ্চিত হয়ে বললে এটা আর 'হাইপোথেসিস' থাকল না। প্রমানের অভাবে এটা কল্প-গল্প হয়ে যেতে বাধ্য।


আসলে আমি কি বলি; সুবিশাল এই ইউনিভার্সের অতি ক্ষুদ্রতম অংশ অধ্যায়ন করে বিজ্ঞানীদের এত দ্রুত কোন বক্তব্য উত্থাপন করা সঠিক নয়।


২৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা। আপনি বিজ্ঞানভক্ত মানুষ তাই এধরনের পোষত বরাবর আপনার ভাল লাগে এবং সেটা প্রকাশ করতে দ্বীধা করেন না।
তবে আমার মতে ধর্ম বিজ্ঞান দুটোই পড়তে হবে- আপনার যেটা বিশ্বাস না করার করবেন না।ধর্মে অনেক ভাল কথা বলা আছে সেগুলো ইগনোর করার উপায় নেই।
যাক এ বিষয়ে আমরা তর্ক না করি। যার যেটা বিশ্বাস সেটা আকড়ে থাকাই শ্রেয়।
ভাল থাকুন।

ধর্মের ভালো কথা গুলো আমি হাসি মুখে গ্রহন করেছি।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো।
শুভকামনা আপনার প্রতি ভালো থাকুন

২৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৭

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: একনি:শ্বাসে পড়ে ফেললাম।
আপনার বক্তব্য এবং যুক্তি সন্দেহাতীত ভাবে ধারালো।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবিশেষ কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকবেন ব্রাদার।
আশা করি পরের পর্ব গুলোতে আপনাকে সাথে পাব।

২৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পরিশ্রমী লেথাটতে অনেক চিন্তার বিষয় রয়েছে ।

মনুষ্যসহ আল্লার সৃষ্টি জগত নিয়ে নিরন্তর
গবেশনা ও চিন্ত করা একটি ইবাত'দত ।
মানুষ এত এত গবেষনা করেও এখন
পর্যন্ত নীজকেই ভাল করে জানতে পারেনি ।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২০

শেরজা তপন বলেছেন: ড: এম এ আলী- ভাই
অনেকদিন পেয়ে আমার ব্লগে আপনাকে পেয়ে দারুন প্রীত হলাম। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ।
সঠিক বলেছেন, একজীবনে মানুষ নিজেকেই চিনতে পারে না।

ভাল থাকুন-সুস্থ থাকুন আপনি।

২৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: তপন ভাই, আপনি ঈদানীং খুব কঠিন সব বিষয় নিয়ে লিখছেন। আর আমি সকল কঠিন বিষয়ে এড়িয়ে চলছি স্বজ্ঞানে। 'আমরা কোথা থেকে এসেছি'- সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আমরা কোথায় যাবো- সেটা নিয়ে বিতর্ক নাই। আমি সেই শেষ গন্তব্য নিয়েই ভাবছি! যদিও এগুলো স্কুল/কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতার টপিকস ছিলো। কেবল তর্কের জন্য বিতর্ক নয়, কেবল জয়-পরাজয়ের জন্যও নয়। এ জীবন খুঁড়ে, সত্য-মিথ্যার কষ্টিপাথরে জীবনবোধকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা। আমরা কোথা থেকে এসেছি- এর উৎস তারাই খুঁজে ফিরবে যারা উদ্যমী, সৃজনশীল ও পরিবর্তনে আগ্রহী। যারা কেবল পিছু নেবে না কিংবা ঘুরপাক খাবে না প্রশ্নের আবর্তে, বরং সত্য-মিথ্যার কষ্টিপাথরে যাচাই করে এগিয়ে যাবে সামনের দিকে।

চমতকার লেখার জন্য ধন্যবাদ এবং প্লাস।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: চুলকানি রে ভাই- আসলে কোন কিছুতেই কিছু হবেনা। মাঝে মাঝে ভাবি; এসব লিখে কিংবা এসব জেনে লাভ কি- হতাশায় আক্রান্ত হই। তবুও লিখে যাই, নিজের তৃপ্তি মেটাই, মৃত্যুর মত চরম-পরম সত্যকে দূরে ঠেলে দেই।
মানুষ কোথা থেকে আসল বা সৃষ্টি রহস্যটা জানলে অন্তত; পৃথিবীর অনেক জটিলতা দূর হয়ে যেত। জাত পাত ধর্ম আর অধর্মের মাজে রক্তপাত হানাহানি হিংসা দ্বেষ খানিকটা হলেও ঘুচে যেত।
আপনি আপনার মত থাকুন- ভাল থাকুন।
ইচ্ছে না হলে কষ্ট করে এসব লেখা পড়ার দরকার নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.