নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাহলে আমরা কোথা থেকে এসেছি?~ (Humans are Not from Earth)~১২

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯


৪. মাধ্যাকর্ষণ পার্থক্য
মাদের হোম গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ কি পৃথিবীর তুলনায় বেশি নাকি কম? সেখানে উভয় ক্ষেত্রেই যুক্তি। কিন্তু আমরা নিশ্চিত যে এটি অবশ্যই পৃথিবীর থেকে আলাদা হতে হবে । অবশ্যই খুব বেশি আলাদা নয় - সম্ভবত পাঁচ শতাংশেরও কম। পৃথিবী এখনও কি আমাদের জন্য নিখুঁতভাবে বাসযোগ্য? তবে কেন এই গ্রহে কয়েকশত প্রজন্মের বসবাসের পরেও এখনো আমাদের শরীর এটাতে পুরোপুরি অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেনি?

পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বেশি হওয়ার যুক্তি:
টা আমাদের ক্লান্ত এবং অলস করে তোলে; আমরা অনুভব করি যে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল আমাদের নীচের দিকে চেপে ধরে রেখেছে। অবশ্য এটা পৃথিবীর ঘন গ্যাসের সমন্বয়ে ভারী বায়ুমণ্ডলের কারণে হতে পারে - এর সাথে গ্র্যাভিটির কোন সম্পর্ক নেই।
পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ কম হওয়ার জন্য যুক্তি (এই বিকল্পটি আমি পছন্দ করি):
মানুষ বছরের পর বছর লম্বা হচ্ছে – আমাদের শারীরিক দ্রুত বৃদ্ধির সাথে কঙ্কাল ও পেশীগুলি মানিয়ে নিতে পারছে না এবং এটি আমাদের সমস্ত খারাপ দিকগুলো পিঠের, ঘাড়ের কোমরের বা হাঁটুর ব্যথার মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। সম্ভবত আমাদের আদি গ্রহে আমাদের আকৃতি বেশ ছোট ছিল।
যেভাবেই হোক, আমরা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সাথে খারাপ-ভাবে খাপ খাইয়ে নিয়েছি। শরীরের মানিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় ধরে আমরা এখানে আসিনি। অন্যান্য প্রাণী যারা লক্ষ লক্ষ বছর ধরে পৃথিবীতে বিচরন করছে তারা এখানে বসবাসের জন্য মানিয়ে নেবার সময় পেয়েছে এবং তাদের উল্লেখযোগ্য এমন কোন সমস্যা নেই যা আমাদের বেশীরভাগ মানুষের মধ্যে আছে।

৫। ঋতুর তারতম্য
মি আগেই আলোচনা করেছি, এখানে পৃথিবীতে আমরা শীতকালে সূর্যালোকের অভাবে বিষণ্ণতায়- ভুগছি । স্পষ্টতই আমরা পুরো বছর আরও নির-বিচ্ছিন্নভাবে আলোর স্তরের আশা করতে বিকশিত হয়েছি। পৃথিবী ২৩.৫ ডিগ্রির বেশি হেলে পড়ার কারণে ঋতুর পরিবর্তন হয়। এটা খুবই সম্ভব যে আমাদের হোম গ্রহ হয়তো সামান্য কাত হয়ে আছে কিংবা কোন ভাবেই হেলে পড়ে না। সেইজন্য ঋতুভেদে সামান্য বা কোন পরিবর্তন নেই।
এর অবশ্যই বিশাল প্রভাব রয়েছে - যদিও আমরা ইতিমধ্যে যা আলোচনা করেছি: এই সমস্ত কিছুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ;
ক) আমরা আমাদের বাড়ির গ্রহের এত বেশি উপনিবেশ করতাম না – শুধুমাত্র নাতিশীতোষ্ণ এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চল ঘিরে।
খ) গ্রহের এমন বিশাল এলাকা থাকবে যেখানে কখনো বৃষ্টি হয় না (শুষ্ক মরুভূমি), এবং বড় এলাকা যেখানে বৃষ্টিপাত প্রায় বন্ধ হয় না। এমন আবহাওয়া গ্রহের অনেক অংশ অনুর্বর করে দেয় – আর্দ্র এলাকার ক্ষেত্রে অবিরাম বৃষ্টিপাত মাটির উপরের মাটিকে ধুয়ে ফেলবে এবং মাটির পুষ্টিগুণকে গভীরে ঠেলে দেবে -তাদের কাছে শিকড় পৌঁছাতে পারে না। এতদ অঞ্চলে কৃষিকাজ (এবং এইভাবে বাসস্থান) উল্লেখযোগ্য-ভাবে হ্রাস পাবে।
গ) আমাদের গ্রহে সম্ভবত কম পুষ্টিকর ফসল থাকবে - পৃথিবীতে বেশিরভাগ প্রধান ফসলের জন্য ঠাণ্ডা বা শীত প্রয়োজন।
ঘ) এটি কম জনসংখ্যার ঘনত্বের দিকে পরিচালিত করবে কারণ অল্প সংখ্যক মানুষ এবং তাদের গবাদি পশুর প্রয়োজন মেটানোর জন্য বিশাল বিস্তৃত এলাকার প্রয়োজন। আমরা সম্ভবত ছোট, বিক্ষিপ্ত জনবসতিতে বাস করেছি - কোন বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ শহর থাকার কথা নয়।
ঙ) কোন ক্রমবর্ধমান এবং ফসল কাটার ঋতু্না থাকারই কথা সেখানে। ফসল ফলানোর জন্য জমি উর্বর বা প্রস্তুত হলেই তবে ফসল বোনা হয়। ওখানকার আবহাওয়া যেহেতু ভিন্ন সেহেতু গাছপালার আকার আকৃতি বা প্রজাতি ভিন্ন হবে বলেই ধারনা। তাদের জন্য অবশ্যই একে অপরকে নিষিক্ত করা অত্যন্ত কঠিন। অন্যদিকে, এটা অন্য কোন উপায়ে বিকশিত হতে পারে, এবং কোন উপায়ে তাদের জন্ম ও বৃদ্ধি চক্রের জন্য সিঙ্ক্রোনাইজ করার অন্য একটি উপায় খুঁজে পেয়েছে, যেমন কিছু বাছাইকৃত নির্গত গ্যাস দ্বারা বা ফেরোমন দ্বারা।
চ) রোগ একটা বড় সমস্যা (নিজেদের ও আমাদের গাছপালা এবং গবাদি পশুর জন্য)। অনেক পৃথিবীর কীটপতঙ্গ এবং রোগজীবাণু শীতকালে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। যদি সেখানে যদি কোন শীতকাল না থাকে তবে আমরা সারা বছর এই জিনিসগুলির সাথে আটকে থাকার কথা, এর ফলে ফসলের খারাপ ফলন হতেই থাকবে।

পৃথিবীতে, আমরা সম্ভবত আমাদের বাড়ির গ্রহের চেয়ে প্রযুক্তিগতভাবে আরও উন্নত। বৈশ্বিক শিল্প বিপ্লবের সময় অনেক কিছু ঘটেছিল, যেমন শীতকালে উষ্ণ রাখার নতুন এবং ভালো উপায় খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা। শীত না থাকলে তাদের দরকার নেই।
অন্যদিকে, এত বছর পরে, আমরা এখনকার মতো উন্নত হতে পারি, তবে আমরা পৃথিবীতে যা দেখি তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন উপায়ে - সম্ভবত আরও কৃষি-ভিত্তিক। উদাহরণস্বরূপ, আমরা ফসলের ফলন নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি করার উপায় খুঁজে পেতে পারি, সেচযুক্ত বা শুষ্ক এলাকার উপর ছাদ তৈরি করতে পারি, কৃত্রিম ঋতু তৈরি করতে পারি, ভাসমান খামার তৈরি করতে পারি যা চলাচল করে।
কে জানে কিভাবে উচ্চ এবং নিম্ন অক্ষাংশ সারা বছর ঋতু পরিবর্তনের ছক তৈরি করে। আমরা বীজ রোপণের জন্য প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করতে পারি। আমরা চারা রোপণ, বৃদ্ধি ও ফসল কাটা, চাষাবাদ ইত্যাদিতে অনেক বেশী ও দ্রুত পারদর্শী হয়েছি।
সুতরাং, সাধারণভাবে, আমাদের হোম গ্রহ আমাদের এই পরিচিত পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সেখানে কম পুষ্টিকর ফসল, কম ফলন এবং অনেক কম জনসংখ্যা হবে। (তবে- আমরা একটি খুব বুদ্ধিমান প্রজাতি, এবং আমি মানিয়ে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় খবই দ্রুততার সাথে বের করে ফেলেছি।)

৬. দীর্ঘ দিন

মাদের শরীরের প্রাকৃতিক (সার্কেডিয়ান) ছন্দ পৃথিবীর ২৪ ঘন্টা ঘড়ির সাথে মেলে না। এটি সহজেই একজন ব্যক্তিকে বাহ্যিক উদ্দীপনা থেকে বঞ্চিত করে এবং আমরা যখনই চাই তখন জেগে উঠি এবং ঘুমাই।মানবশিশু জন্মের প্রায় দুই সপ্তাহ পরে এরকম প্রাকৃতিক জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। আমি আদি গ্রহের একটি দিন কমবেশি ২৫ ঘন্টা স্থায়ী হয়।
এখানে পৃথিবীতে আমাদের এ ব্যাপারটার সাথে সামঞ্জস্য করতে সমস্যা হয়েছে এবং আমাদের অনেকেরই আছে প্রচন্ড ঘুম জনিত বা অনিদ্রাজনিত সমস্যা আছে, যার ফলে আমারা বেশিরভাগ সময় ক্লান্ত এবং বিষণ্ণ বোধ করি। অন্য সমস্ত প্রভাবের সাথে মিলিয়ে পৃথিবীর জীবনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। সেজন্য এখানে জীবনকে মাঝে মাঝে বেশ অসহনীয় বোধ হতে পারে।

~ছবি সুত্রঃ ইউরোপিয়ান স্লিপ রিসার্চ সোসাইটি।

আমাদের এখানে তিনটি বিকল্প বিবেচনা করতে হবে:
১। আমাদের হোম গ্রহ পৃথিবীর চেয়ে বড় কিন্তু একই হারে ঘোরে
২। এটি মোটামুটি একই আকারের কিন্তু একটু বেশি ধীরে ঘোরে
৩। এটি বড় এবং ধীরে ধীরে ঘোরে

মাদের হোম গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ বিষয়ে আলোচনা থেকে বেশ নিশ্চিত হতে পারি সেই গ্রহের আকার পৃথিবীর সমান নয়। আমার মতে সম্ভবত (ক): আমাদের হোম গ্রহটি পৃথিবীর থেকে সামান্য বড় এবং এর ঘূর্ণনের গতি বিস্তৃতভাবে একই (একটু বেশী বা কম)।
যাইহোক, এর মানে এই নয় যে আমাদের বাড়ির গ্রহেও মাধ্যাকর্ষণ বেশী বা উচ্চতর থাকতে হবে, যেহেতু এটি এর কোরের আকার এবং ঘনত্বের উপর নির্ভর করে। সম্ভবত আমাদের বাড়ির গ্রহের থেকে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ প্রায় পাঁচ শতাংশের মত বেশি হওয়ার কারণে আমরা হয়তো মোটা হওয়ার দিকে ঝুঁকছি। সেই গ্রহের কোরটা পৃথিবীর থেকে বড় হলেই মানানসই হবে –কোর বড় মানে চৌম্বকক্ষেত্রও শক্তিশালী হবার যুক্তিটিও ধোপে টেকে।
আমাদের পরীক্ষামূলক প্রমাণও বিবেচনা করতে হবে ( আপনি প্রশ্নটা নিজেকে করেও দেখতে পারেন): একদিনে প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত ঘন্টা নেই। অবশ্যই! আমরা প্রতি দিন প্রায় ২৫ ঘন্টা আশা করে বিবর্তিত হয়েছি। পৃথিবীতে একদিনে মাত্র ২৪ ঘন্টা আছে। আশ্চর্য হবার কিছু নেই- আমরা প্রতারিত বোধ করছি।


প্রথম দশ পর্বঃ
আমরা কোথা থেকে এসেছি
আমরা কিভাবে পৃথিবীতে বেঁচে/টিকে আছি
আমরা আমাদের প্রয়োজনে বিকশিত হইনি
মানব-বিজাতীয় সংকরায়ন ও মিসিং লিঙ্ক
আমাদের শরীরের চুলের অভাব
খড় জ্বর,হাঁপানি ও ডায়েট
অত্যধিক প্রজনন ও প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতার অভাব
আমরা পৃথিবীর প্রকৃতি পাল্টে দিচ্ছি!
প্রযুক্তিগত উল্লম্ফন ও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা!
তাহলে আমরা কোথা থেকে এসেছি-১?

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



মানুষের আকৃতি বেড়েছে। লম্বা বেড়েছে, ওজন বেড়েছে। আমার মনে হয় গত ত্রিশ চল্লিশ বছর আগেও ৮০ কিলোগ্রাম ওজনের মানুষ এতোটা ছিলো না। এখন গড়পড়তায় প্রায় মানুষ ৮০ কিলোগ্রাম+

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: ওজন বাড়ছে সম্ভবত খাদ্যভ্যাসের কারনে।তবে ইদানিং তুলনামুলকভাবে মানুষের উচ্চতা খুব বেশী হারে বাড়ছে। মধ্যাকর্ষনের জন্য এমনটা হলে অনেক আগে থেকেই অস্বাভাবিকহারে মানুষ লম্বায় বেড়ে চলত।
আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল ঠাকুর মাহমুদ ভাই। ভাল থাকুন নিরন্তর!

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

নাহল তরকারি বলেছেন: সুন্দর।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ জনাব 'নাহল তরকারি'।

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: মানুষের শুধু আকার আকৃতিই বাড়েনি, মানুষের জ্ঞান চিন্তা চেতনায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে- এটা যেমন ভালো দিক, ঠিক এর বিপরীত দিকে মানুষের সহনশীলতা সম্প্রীতি সৌজন্য এবং বিবেক বুদ্ধিও ধ্বংসাত্মক হয়েছে। +

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: সম্পুর্ন সহমত! তবে জ্ঞান বুদ্ধি বেড়েছে না ধারালো হয়েছে সেটা নিয়ে যুক্তি তর্ক আছে। এখনো আমাদের মগজের বড় একটা অংশ অলস পড়ে থাকে নাকি।
বিপরীত বিষয়টিও ঠিক বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ অনিচ্ছা স্বত্বেও এসব কঠিন-ফালতু বিষয় পড়ে মন্তব্যের জন্য।
ভাল থাকুন।

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এইবার একটা প্রশ্ন জেগেছে , অন্যান্য প্রাণীর সার্কেডিয়ান ছন্দ কী ২৪ ঘন্টা ?

সিলভার বদ্দার মতে আমরা বাদে সবাই এই গ্রহের প্রাণী তার যুক্তিও তিনি দেখিয়েছেন । এখন যদি অন্য প্রাণীদের সার্কেডিয়ান ছন্দও কম বেশি হয় তবে তো ভাবনার মাঠের পরিধি অনেক বেড়ে যায় ‍‍!!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: সম্ভবত সার্কেডিয়ান ছন্দ অন্য সব প্রাণীদেরই স্বাভাবিক ২৪ ঘন্টা। যদিও বিস্তারিতভাবে পরীক্ষা নিরিক্ষার খবর জানা যায়নি তবুও আমাদের প্রায় স্বজাতীয় প্রাইমেটদের সার্কেডিয়ান ছন্দ ২৪ ঘন্টা বা তার খুব নিকটে।
হ্যা এইটা একটা মোক্ষম যুক্তি বা অস্ত্র! ঠিক বলেছেন।
ধন্যবাদ বরাবরের মত সাথে থাকার জন্য।

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: সমস্ত কিছুই লেখক বলছেন তার ধারনা থেকে।কোন বিষয়েরই লেখক বৈজ্ঞানিক কোন প্রমান দেন নাই।যারা অন্ধ বিশ্বাসী তাদের জন্য বিষয়টা মেনে নেয়া কোন সমস্যাই না।অন্ধ বিশ্বাসীরা এমন লেখাই খোঁজেন এবং তা প্রচার করেন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: বয়স বাড়লেও আমরা সবাই কম-বেশী অন্ধ ও ছেলেমানুষ।
সার্কেডিয়ান ছন্দ একটা বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমান। তিনি পুরো লেখাতেই বার বার বিজ্ঞানকে টেনে এনেছেন। এটা ভায়া কোন রূপকথার গল্প নয়। কিছু দুর্বল যুক্তি থাকার পরেও তার হাইপোথিসিস একেবারে হেলাফেলা করার মত নয়।

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তাহলে আমরা কোন গ্রহ থেকে এসেছি তার নাম কি, দূরত্ব কত, সেখানে কি এখনো মানুষ বা প্রাণী বাস করে?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: সব বিষয়েই তিনি কম-বেশী আলোচনা করেছেন।
সাথে থাকুন, সময় সুযোগ পেলে পরের পর্বগুলোতে চোখ রাখুন
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জ্যাক স্মিথ।

৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৪

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আমার মনে হয় আরেকটু সরল কইরা, আক্ষরিক বাদ দিয়া আরেকটু ভাবানুবাদ কইরা লেখলে আরও দারুণ হইতো। বিশাল কাজ করতেসেন ভাই। স্যালুট।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: ভাষাগত দুর্বলতা আমার খানিকটা নয় বেশ বড় রকমের আছে। সেজন্য সদিচ্ছা থাকা স্বত্বেওওনেক কিছুর বিকল্প বা সহজবোধ্য শব্দ লিখতে পারিনা। সরল অনুবাদের জন্য অনেক বেশী ধৈর্য ও সময়ের প্রয়োজন- যে দুটোরই ভীষনরকমের অভাব আমার।
বড় কাজ কি না জানিনা তবে চেষ্টা করছি আমার ক্ষুদ্র সামর্থ ও সক্ষমতা দিয়ে সর্বোচ্চভাবে।
সাথে থাকবেন। আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৪

কামাল১৮ বলেছেন: হাইপোথিসিস তো হাইপোথিসিসই।যখন সেটা থিসিসে পরিণত হয় তখন সেটা নিয়ে কথা বলতে আসবেন।এখন হাইপোথিসিস হিসাবে কথা বলতে পারেন।তার বক্তব্য গুলোও হাউপোথিসিস তবে দুর্বল।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: কিছু দুর্বল হলেও বিজ্ঞানভিত্তিক শক্ত কিছু যুক্তিও আছে- আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে বলে যেগুলোীলেবেলেভাবে ফেলে দেবার মত নয়।
এখানে লেখক যেভাবে বলেছেন তেমন করেই আমি উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি সাথে কিছু রেফারেন্স তুলে ধরেছি মাত্র। এখানে আপনার আমার অনেক কিছুই বলার মত আছে বা থাকতে পারে। কোথায় কোথায় দুর্বলতা বা ভুল-ত্রুটি আছে সেগুলো ধরিয়ে দিলে আমিতো নিশ্চিতভাবে সাথে ব্লগারেরাও উপকৃত হত।
ধন্যবাদ।

৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৪

কামাল১৮ বলেছেন: তার পুরো বক্তব্যটাই হলো অজ্ঞতার কুযুক্তি।তাহল যেহেতু আমরা এটা জানি না,তাহলে এটা সত্য।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: কুযুক্তি শব্দটা বড় বেশী অপমানজনক! তিনি তার মত করে বলার চেষ্টা করেছেন। সত্য মিথ্যা কিংবা ভিত্তিহীন কি-না সেটা সময়ই বলে দিবে। তবে তিনি মূর্খ নন যতটা আপনি ভাবছেন।

১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

কামাল১৮ বলেছেন: টিক আছে কুযুক্তি বলছি না।ফ্যালাসি এফ ইগনোরেন্স এর বাংলায কি?

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: অজ্ঞতার ফলে একটা ভুল বিশ্বাস, বিশেষ করে একটি অযৌক্তিক যুক্তির উপর ভিত্তি করে- এমন কিছু আপনি বলতে চেয়েছিলেন সম্ভবত।

১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এইসব মানতে গেলে, পুরোপুরি বিশ্বাস করতে গেলে একজন মানুষকে নাস্তিক হতে হবে। এখন বলেন আমি কি ধর্মের সাথে থাকবো না আপনার সাথে একমত হবো?

কোরআন হাদীসের চেয়ে বড় তো আর কিছু নাই। একজন ধার্মিকের ধর্মের বাইরে গিয়ে এসব মানা ঠিক হবে?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০১

শেরজা তপন বলেছেন: এখন কি করবেন আপনি ভেবে দেখুন। আমি এখনো আস্তিক-ই আছি।

১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআন আর হাদিসের উপর কোন কথা নাই। মানুষ এসেছে বেহেশত থেকে। :)

জিনদের মনে হয় আলাদা দেশ/ গ্রহ আছে। এদেরকে আমরা এলিএন ভেবে থাকি। :)

অনেক পরিশ্রম করে লিখে যাচ্ছেন। আপনাকে এই জন্য ধন্যবাদ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ বরাবরের মত লেখা পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
প্রত্যেকের বিশ্বাসেই আমি সম্মান করি।

অনুপ্রাণিত করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন।

১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৪৭

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: পড়লাম, একই বিষয়ে নিয়ে অনেক আগে দানিকেনের কিছু বই পড়েছিলাম। তাঁর উপস্থাপন অবশ্য ভিন্ন ছিল।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: দানিকেনের বইটা আমার পড়া হয়নি। নিকট ভবিষ্যতে পড়ার সুযোগ পাব বলেও মনে হচ্ছে না।
অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ে মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা নিরন্তর।

১৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: কত যে ব্যাখ্যা আমাদের জন্মের;বিশ্বাস করি কোনটা।
কোন গ্রহ থেকে আসা হলে আবার মায়ের পেটে ঢুকে সেখান থেকে বের হই কেন?
আগে তো শুনেছিলাম মানুষ অনেক লম্বা ছিল এখন ছোট হয়ে যাচ্ছে । ইনি তো বলছেন উল্টা।
যা হোক কঠিন বিষয় নিয়ে কাজ করছেন।
সত্যি মরীচিকাময়

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: মানুষের চিন্তা শক্তি অসীম! যে প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি সেটা নিয়ে বিজ্ঞ বুদ্ধিমানেরা নিজেদের মত করে হাইপোথিসিস উপস্থাপন করছেন।
সঠিক উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত এমনটা চলতে থাকবে।
এত ভাবনা চিন্তার কিছু নাই- যে বিশ্বাস আকড়ে আছেন সেটা নিয়েই থাকুন।
ধন্যবাদ আপু- ভাল থাকুন।

১৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: তোমাদের আকার আকৃতি পরিবর্তন করতে আর তোমাদেরকে (নতুনভাবে) এমন এক আকৃতিতে সৃষ্টি করতে যা তোমরা জান না। আল কোরআন ৫৬ সুরা ওয়াক্কিয়াহ। ভাইগো প্রানিদের আকার আকৃতি পরিবর্তন হয় বা ম্যাক্রো এ্যাভ্যুলেশন ঘটে। আলকোরান এ বিবর্তনের পক্ষে অসংখ্য আয়াত আছে। কিন্তু সেগুলো আল্লাহর নির্দেশে রুহু ফুৎকার দেওয়ার মতো। মানুষের আরো একবার ম্যাক্রো এ্যাভ্যুলেশন ঘটার সম্ভাবনার কথা আল্লাহ ঘোষনা করছেন।

তবে প্রাণের আদিবিজ মহাবিশ্বের অন্য কোথা থেকে আসতে পারে। জাস্ট প্রানের উপজীব্য মূল বিষয়টি। পরবর্তীতের প্রানে দেহ সংযোজন ঘটেছে কাদামাটি থেকে। কাদাময় মাটির গঠন প্রানের গাঠনিক উপাদানগুলো কে একত্র করে একটি আকার দান করেছে। যেমন ডিএনএ আমাদের দেহ গঠনে অনু একের সাথে অন্যর গঠনের নির্দেশ দান করে। ডিএনর মূল কাজ হচ্ছে অনুগুলো কিভাবে বিন্যস্ত হবে তার তথ্য ধরে রাখা। যেমন প্রাচীন পৃথিবীর স্তরে স্তরে কাদামাটির ছাচ এ্যামাইনো এসিডগুলোকে ঐব্যবদ্ধ করেছে মাটির ছাচ গঠনের অনুরুপ পর্যায়ে। মাটির স্তর গঠন থেকেই শিক্ষা নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীূ পর্যায়ে মাইক্রো এ্যভুলেশন। একপর্যায়ে ম্যাক্রো এ্যভুলেশন। এবং ম্যাক্রো এ্যাভুলেশন বিভিন্ন পয়ায়ে ঘটিছে সরাসরি স্রষ্টার তত্বাবধনে। লক্ষ করুন আল কোরআনের একটি আয়াত “ তাহার আরশ ছিলো পানির উপর যেনো তিনে যাচাই করতে পারেন তোমাদের মধ্যে আচরনে কে শ্রেষ্ঠ” । আরশ শব্দের আরেকটি অর্থ সূচনা। যাচাই বাছাই করার প্রয়োজন ছিলো। শ্রেষ্ঠজনের কপালেই ম্যাক্রো এভ্যুলেশন জুটেছে। আসলে ম্যাক্রো এ্যাভিলুশন নির্দীষ্ট সময় অন্তর অন্তর ঘটে। স্রস্টার দান এবং প্রাকৃতিক নিয়ম একটি সুত্র তুলে ধরা হয়েছিলো। তবো নিদীষ্ট কিছু স্রষ্টা নিজে তদারকি করেন।

আরো একবার ঘটতে পারে প্রানি জগতের ভয়াবত বিবর্তন । যা আমি আল কোরআনের র্পূব আয়াতে বলেছে। তোমাদের আকার আকৃতি পরিবর্তন করতে আর তোমাদেরকে (নতুনভাবে) এমন এক আকৃতিতে সৃষ্টি করতে যা তোমরা জান না। আল কোরআন ৫৬ সুরা ওয়াক্কিয়াহ। প্রত্যেক প্রানীর রয়েছে আলাদা আলাদা বডি স্টাকচার আলাদা আলাদা কমান্ডিং সিস্টেম বা অপারেটিং সিস্টেম। এই সকল বডি স্টাকচারগুলো পাস অন এর মাধ্যমে আসতেই পারে কিন্তু এক একটা প্রানির আলাদা আলাদা উপলদ্ধি বোধ বা অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তন না করলে পরিবর্তি ত সমভব নয় Developmental Gene Regulatory Network এবং Epigenetic Information ঠিক তাই বলে। দেখেন আল কোরআন বলে “ হে মুহাম্মদ তোমাকে উহারা রুহ সমস্পর্কে প্রশ্ন করে তুমি তাদের বল রুহ হলো আদেশঘটিত ব্যাপার।” আপনি কি বুঝতে পারছেন রুহ হলো তথ্য বা ইনফরমেশন প্রবেশ করানো। ম্যাক্রো এ্যাভুলেশন। অর্থাৎ পরবর্তী প্রজন্ম কেমন সৃষ্টি হবে তাদের আচরন কেমন হবে তাদের উপলাদ্ধি বোধ এক কথায় মানব দেহ নামের এই বডি স্টাকচারে অপারেটিং সিস্টেমের কমান্ডিং প্রক্রিয়া।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: কোরআনের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা একেক তাফসিরবিদ একেকভাবে করেন। খুব ভাল আরবি না জানলে এসবের ভুল ধরা কঠিন।
বিজ্ঞান একেকটা বিষয় আবিস্কার করে আর সেইসব ব্যাখ্যার শব্দগত অর্থ পাল্টাতে থাকে।
ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

১৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তার পুরো বক্তব্যটাই হলো অজ্ঞতার কুযুক্তি।তাহল যেহেতু আমরা এটা জানি না,তাহলে এটা সত্য।

কামাল ১৮ এর কথাতে বলতে চাই , এখানে কোন অজ্ঞানতার হেত্বাভ্যাস হয়নি । সিলভার এটা বলছে না যে তার কথাটা সত্য কারণ এর বিপক্ষে অন্য কোন যুক্তি নেই , সে কিছু বিষয় উপস্থাপন করছে তার দাবীর বিপক্ষে , যেকোন কিছুকে হেত্বভ্যাস বা কুযুক্তি বলা যায় না । কোন কিছুকে কুযুক্তি বলে দাবী করতে হলে এর পট সম্পর্কে আগে নিশ্চিত হতে হয় যে আসলেই তা কুযুক্তির মধ্যে পড়ছে কিনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.