নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ও ডাক্তার!!!

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০১


মার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়া তার চতুর্দশ-বর্ষীয় কন্যাকে নিয়ে সদ্য পরলোকগত এক লোকের বাড়ির স্বজনদের সান্ত্বনা দিয়ে ব্যাটারিচালিত রিক্সা-যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। গোয়ালন্দে পদ্মা বহু আগে তার ভয়ঙ্কর রূপ জৌলুস হারিয়ে কোনমতে শীর্ণ খাল হয়ে এখন টিকে আছে। সেই খালের উপর দিয়ে কিছুদূর রাস্তা আর খণ্ড খণ্ড ব্রিজ।ব্রিজে উঠতে বেশ খানিকটা ঢাল বেয়ে উঠতে হয়। ব্যাটারিচালিত রিক্সার অনেক সময় শক্তিতে কুলোয় না সেই ঢাল বেয়ে উপরে ওঠার। রিক্সা চালক নীচে নেমে টেনে অতি শ্লথ গতিতে ঢাল বেয়ে উঠছিল।

সেই মূহুর্তে উল্টো দিক দিয়ে আসছিল এক ঘোড়ার গাড়ি- কিভাবে যেন লাগাম ছিঁড়ে ঘোড়া গাড়ি ফেলে তীব্র বেগে দিল ছুট!
ঘোড়াটা রিক্সার পাশ দিয়ে ছুটে যাবার সময়ে কোন প্ররোচনা ছাড়াই পেছনের জোড়া পা দিয়ে আচমকা দিল কষে এক লাথি। রিক্সা দুই যাত্রী সহ ছিটকে পড়ল পাশের খাদে। রিক্সার ব্যাটারিগুলো খাদের চারপাশে ভারি পাথর-খন্ডের মত ছড়িয়ে পড়ল। প্রায় বিশ ফুট খাড়া গভীর খাদ –রিক্সার নীচে আমার সেই আত্মীয়া। অতীব ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যাওয়া অস্বাভাবিক ছিলনা। কিশোরী মেয়েটা চরম ভাগ্যগুণে কোন বড় ধরনের আঘাত পায়নি। সমস্যা হোল মাঝ বয়সী আত্মীয়াকে নিয়ে- তার হাঁটু ভেঙ্গে গেছে। খবর পেয়ে কয়েক মুহূর্তেই কয়েক’শ আত্মীয় পরিজন ও স্থানীয়রা ছুটে এসেছে। মুল সমস্যা হোল তাকে সেই খাদ থেকে তুলে আনা- প্রায় জনা বিশেক লোক অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাকে সেখান থেকে কেমনে তুলে আনল সেটা দু’চার কথায় লিখে বোঝানো সম্ভব নয়।
*****
ম্বুলেন্সে রোগীকে ফরিদপুরের নামকরা এক প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে এমারজেন্সীতে ঢোকানো হোল। অর্থপেডিকের বড় ডাক্তার এসেই হুলস্থূল শুরু করে দিলেন। পারলে এখনি তিনি রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে ঢোকান-টাইটানিয়াম স্ক্রু পাত হেন-তেন লাগাতে হবে বলে এমন সব ভয়ঙ্কর কথা বলতে শুরু করলেন যা শুনে রোগীর আত্মীয়দের বেহুশ দশা!
ডাক্তারদের ভয়াবহ লোভ,দৌরাত্ব্য, রোগীর আবেগকে পুঁজি করে অর্থ আয়, হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে ভুল চিকিৎসায় জেরবার সারা দেশের মানুষ এখন কোন ডাকাতের কথাতেই পরিপূর্ণ আস্থা রাখতে পারে না- কিংবা বিশ্বাস করে না। মানুষ তার সাধ্যমত বিভিন্ন রেফারেন্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করে একের পর এক হাসপাতালে দৌড়ায় একটু ভাল চিকিৎসার আশায়। অনেকের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উপরেই কোন আস্থা নেই তারা ছুটে যায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে শুরু করে সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ড কিংবা ইউকে আমেরিকায়!
কি ভয়াবহ নৈরাজ্য অরাজকতা ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেটের পাল্লায় পড়ে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার কি চরমতম অবনতি হয়েছে তা বাইরে থেকে অনুধাবন করা সম্ভব নয়।
যাহোক আমাদের দেশের প্রতিটা মানুষ পরামর্শ দিতে কার্পণ্য করেনা- প্রত্যেকেই নিজের চিকিৎসা-তো বটেই আত্মীয় পরিজন দূর সম্পর্কের কেউ থেকে শুরু করে নেহায়েত অপরিচিত-জনের চিকিৎসা ও পরামর্শ দিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসে। চারিদিকে খবর রটে গেল; একেকজনের একেক পরামর্শ। হাসপাতালে দর্শনার্থী যে-ই আসছে সে-ই লম্বা সেশন নিয়ে বিভিন্ন রেফারেন্স দিয়ে সেরা চিকিৎসকের সন্ধান দিতে ব্যস্ত। আর মোবাইলে-ম্যাসেজে নতুন নতুন লিস্টি তো আছেই।
*****
শেষমেশ বহু আলোচনা সমালোচনা করে সিদ্ধান্ত হোল বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান বর্তমান সময়ের অন্যতম নামীদামী অর্থপেডিক ও শল্যবিদের পরামর্শ নেয়া হবে।
প্রথমদিন এপয়েনমেন্ট বাতিল হয়ে গেল ব্যস্ততার কারনে উনার অনুপস্থিতির জন্য। তক্ষুনি পরের দিনের সিরিয়াল দেয়া হোল – নম্বরঃ২৪!

ডাক্তার চেম্বারে বসেন বিকেল পাঁচটায়। সে হিসেবে সাতটা সাড়ে সাতটার দিক গেলে হবে ভেবে সবাই হাসপাতাল অভিমুখে রওনা হোল। রোগীর কন্ডিশন বিবেচনায় তাকে অযথা না এনে তার সব রিপোর্টগুলো নিতে তার পতি-দেব তার ব্যাবসা-বানিজ্য ফেলে রেখে ফরিদপুর থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে দেড় ঘণ্টায় ঢাকার প্রবেশদ্বারে এসে তিনঘণ্টার জ্যাম ঠেলে ধানমণ্ডি ল্যাব এইডে যখন পৌছুলো ঘড়িতে তখন সাড়ে সাতটা। তাড়াহুড়ো করে উপরে গিয়ে দেখে সিরিয়াল সবে তিন। ডাক্তার সাহেব নাকি দু'ঘন্টা লেট করে এসেছেন।সিরিয়াল তখন পঞ্চাশের ঘর অতিক্রম করেছে- আরো রোগী আসছে সরাসরি সিরিয়াল দিতে। ডাক্তারের চেম্বারের সামনে ভিড়ভাট্টা হট্টগোল ঠিক ও এম সি’র ট্রাকের পেছনের ভিড়ের মত। একেকজনের একেক আবদার, উৎকোচ দেবার চেষ্টা, বিভিন্ন প্রশাসনের রেফারেন্স আর অনুনয় বিনয় শুধু একটু আগে ডাক্তারের দর্শন পাবার জন্য। গেটের দুপাশে দুজন বেশ বড় ডেস্ক নিয়ে কয়েকখানা কম্পিউটার আর ল্যাপটপে, রোগীর সিরিয়াল, অপারেশনের ডেট, ওষুধ পথ্যের খুঁটিনাটি বুঝিয়ে দিতে ব্যস্ত! একজনের পঞ্চাশবারের অনুরোধে একবার সাড়া দিচ্ছে তারা। দুজন ব্যস্ত রোগীকে ভিতরে নেয়া আর বের করায়। ভিতরে আর কয়জন সহকারী আছে তা বাইরে থেকে ঠাহর করা যায় না। প্রাইমারি ভিজিট ১৫০০। খানিক বাদে বাদেই স্ট্রেচারে বা হুইল চেয়ারে রোগী তাদের সিরিয়াল ছাড়াই ভেতরে ঢোকানো নিয়ে হুড়োহুড়ি।

কাহিনী কি? জানা গেল খানিক বাদে। উনাদের বিভিন্ন ইনজেকশন পুশ করা হবে; করবেন ডাক্তার সাহেব নিজের হাতে।
৫০০ টাকা মূল্যের একটা ইনজেকশন পুশ করতে ভিজিট নেন ৩৫০০। আর দু’হাজার টাকার-টা ৮০০০!!!( কনফার্ম নয়; শোনা কথা।)
কি ভয়ঙ্কর অবস্থা!!!
ডাক্তারের চেম্বারে যখন ঢুকলাম তখন ঘড়িতে রাত সাড়ে দশটা! ভাগ্যিস সিরিয়ালের কয়েকজন রোগী আসেনি বা দেরি হবে দেখে চলে গেছে না হলে রাত বারটার আগে সম্ভব ছিল না নিশ্চিত। ওদিকে কিছু লোক চেঁচামেচি করছে; তাদের রোগীকে দুই ঘণ্টা আগে ওটিতে ঢোকানো হয়েছে অথচ ডাক্তার এখনো চেম্বারে বসে ক্যামনে কি??
*****
ডাক্তারের বিশাল চেম্বার! দামী দামী সোফা ও চেয়ার পাতা আছে। ডাক্তার সাহেব বেশ খানিকটা দুরুত্বে খুব শক্ত পোক্ত কাঁচ ঘেরা আলাদা কক্ষে বসে আছেন। তার কাছাকাছি গিয়ে কথা বলা যাবেনা – দূরে চেয়ারে বয়ে ভাল করে মাস্ক বেঁধে পরামর্শ নিতে হবে। আমার আগের রোগী মাস্ক ভাল করে পরেনি বলে উনি বকাবকি করছিলেন। অথচ উনার চেম্বারে তার নিজের তো বটেই কোন সহযোগীই মাস্ক পরেননি।
ডাক্তারের বয়স পঞ্চাশ পেরোয়নি সম্ভবত! এই বয়সে উনি এত নামীদামী একটা মেডিকেল কলেজের বিভাগীয় প্রধান হয়ে ফের অবসরে গেলেন কিভাবে এটা ভেবে আমি ঘেমে গেলাম।
ডাক্তারের বিশাল টেবিলের ঘিরে শতাধিক অটো সিল। রোগী বা তার আত্মীয়ের সাথে কথা বলতে বলতে একেকটা করে সিল ব্যবস্থাপত্রে চেপে ধরছেন! এই ব্যাপারে তিনি এক্সট্রা অর্ডিনারি ট্যালেন্টেড। এতগুলো সিল থেকে অতি দ্রুত হস্তে সঠিক সিল নির্বাচন করা তেমন তালেবর ব্যক্তি ছাড়া অসম্ভব!
আমার রোগীর কাগজ পত্র দেখে চমৎকার একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বললেন; অপারেশন ছাড়া গত্যন্তর নেই।
কবে কিভাবে ক্যমনে কি করতে হবে কি জানতে চাইলে তিনি বললেন;এখানে সব নির্দেশনা দেয়া আছে বাইরে আমার সহকারীর সাথে কথা বলেন, সে সব বলে দিবে। মাত্র তিন মিনিটের সেশন।
বাইরে ভিড় ঠেলে সহকারীর কাছে ফাইল দিয়ে অপারেশনের কথা বলতেই তার ব্যাবহার আমূল পাল্টে গেল। নিজের পাশে যত্ন করে বসিয়ে বাকি সবাইকে ইগ্নোর করে সবকিছু ঝটপট বুঝিয়ে দিলেন। সাঁঝের বেলা থেকে চরম বিরক্তি নিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা আমরা তার ব্যবহারে চরম পুলকিত ও বিগলিত হয়ে প্রায় মধ্য রাতে চনমনে মন নিয়ে বাড়ির পথে পা বাড়ালাম!
তবে ফেরার পথে একজন নামী ডাক্তারের একদিনের আয়ের হিসেব মেলাতে গিয়ে ফের ঘেমে নেয়ে ফের ক্লান্ত বিধ্বস্ত ও বিমর্ষ হয়ে পড়লাম। আমার মেয়ে এইটুকুন বয়েসে নিজের এইম ইন লাইফ ঠিক করে ফেলেছে; সে অঙ্কের শিক্ষক হতে চায়।
ধ্যাত্তেরি! আমাদের অভিভাবকেরাই অনেক বেশী দূরদর্শী ছিলেন- তারা নিজেরাই ঠিক করতেন সন্তানের 'ভবিষ্যত লক্ষ্য'। তারা তাদের সন্তানকে ইঞ্জিনিয়ার ব্যারিস্টার আর ডাক্তার করতে চাইতেন।
আমরা হয়তো ভুল পথে হাঁটছি- আমাদের সন্তানদের ‘এইম ইন লাইফ’ আমাদেরই ঠিক করতে হবে এবং সেটা হবে একমাত্র ডাক্তার হওয়া।
~ ভুল বললাম?
*** ছবিটা প্রায় মধ্যরাতের- ফেরার পথে তোলা।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

জুল ভার্ন বলেছেন: জনজীবনের প্রত্যাহিক একটা ঘটনা নিয়ে লিখেছেন- সেজন্য ধন্যবাদ।
কথায় আছে ‘জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালাে।’
কর্মের প্রতি নিষ্ঠা থাকলে জীবনে নিষ্ঠা লাভ করা যায়। এখানে প্রতিষ্ঠার অর্থ স্বচ্ছলতা
আর স্বচ্ছলতা জীবনের পথে প্রয়োজন।

সমাজে প্রত্যেক বৃত্তি-সম্পন্ন মানুষেরই প্রয়ােজনীয়তা আছে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল-ব্যারিস্টার, শিক্ষক অধ্যাপক, সাংবাদিক,
কৃষক, ব্যবসায়ী সকল শ্রেণির বৃত্তিজীবি মানুষের মিলনে সমাজের সচলতা। তাই দেখা গেছে, আমাদের মধ্যে সকলেরই প্রবল আকাঙক্ষা উচ্চ পদের সরকারি অফিসার, ডাক্তার, ইৱিনিয়ার, অধ্যাপক ও ব্যাপ্ত কর্মচারী হওয়ার। কেউই মনে সাধারণ প্রাইমারী
শিক্ষক, ব্যবসায়ী কিংবা কৃষিজীবি হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন না। অথচ আমদের দেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হলে শুধু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা উচ্চ পদস্থ অফিসার হলেই চলবে না, দেশ গড়ে তুলার কাজে চাই আদর্শবাদী শিক্ষক, সুদক্ষ কৃষিজীবি,
নির্ভীক নিরপেক্ষ সাংবাদিক, সাধু সচ্চরিত্র ব্যবসায়ী প্রভৃতি বিভিন্ন বৃত্তিজীবি মানুষ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্য একজন সত্যিকারে দেশ সেবক নৈতিক চরিত্রবান মানুষের বক্তব্যের প্রতিফলন!
আমরা কেউ কেউ ভাবি এভাবে কিন্তু শেষমেশ অর্থ যশ ক্ষমতার কাছে নৈতিকতা বিসর্জন দেই বা আত্মসমর্পন করি।
অনেক ধন্যবাদ বরাবরের মত চমৎকার একটা মন্তব্যের জন্য।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার এলাকায় একটি জেনারেল হাসপাতালে একজন অর্থপেডিক বসেন। সপ্তাহে সম্ভবতো ৩ দিন বসেন। রোগীর সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবে না। রোগীপ্রতি খুবই অল্প সময় দেন। সিল ব্যবহার করেই চিকিৎসা করেন। কিছু বেয়াম দেখিয়ে দেয় তার সহকারী। অর্থপেডিক সাহেব ইনজেকশন দিতে খুবই পটু আর হেভি ডোজের ব্যথার ঔষধ। রোগিরা দুই দিনেই ব্যথা মুক্ত। সবার মুখে খুব প্রসংশা। ইনজেকশন আর ব্যথার ঔষধ কি ক্ষতি করছে সেটা কেউ আমলে নিচ্ছে না। উনার ইনকামের হিসাব করলে আসলেই ঘেমে যেতে হয়।
স্কিন আর গ্যাস্ট্রোলিভার ডাক্তারদের রোগির সিরিয়াল দেখলেও অবাক হই।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: অবস্থা একইরকরম দেখি!!
স্থান ভেদে সবখানেই একই চিত্র বিদ্যমান।
একজন কর্পোরেট বসদের একমাসের আয়ের থেকেও কারো কারো একদিনের আয় বেশী। :(
তবুও এদের ট্যাক্স ভ্যাট নাই- এই নাকি সেবার নমুনা!!

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৩

নতুন বলেছেন: গত বছরের জানুয়ারীতে বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে থাকতে হয়েছিলো কিছুদিন।

পরিচিত ছিলো তাই অনেক সুবিধাই পেয়েছিলাম। কিন্তু সরকারী হাসপাতালের বেহাল অবস্থা দেখে খুবই কস্ট পেয়েছি।

ফরিদপুরের সরকারী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোটি কোটি টাকা সরকার বিনিয়োগ করেছে, যেই সুবিধা খুবই কম শহরে আছে। রোগীর জন্য সরকারী ওষুধ বরাদ্দ আছে। কিন্তু মানুষদের টাকা দিয়ে বাইরের ক্লিনিকে সেবা নিতে হয়।

সরকার এবং জনগন চাইলে বাংলাদেশের সর্বজনিন বিনামুল্যে চিকিতসার ব্যবস্থা করতে সক্ষম বলেই আমার বিশ্বাস কিন্তু মানুষ ব্যাবসার কারনে এইমনটা হতে দিবেনা। :(

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: এই দেশে ব্যাঙ্ক কিংবা হাসপাতাল যেখানেই যান না কেন শক্ত রেফারেন্স না থাকলে সবখানেই আপনাকে নাকানি চুবানি খাওয়াবে।

ফরিদপুর নয় শুধু দেশের সব সরকারি হাসপাতালের একই হাল! :(
সরকার এবং জনগন চাইলে বাংলাদেশের সর্বজনিন বিনামুল্যে চিকিতসার ব্যবস্থা করতে সক্ষম বলেই আমার বিশ্বাস কিন্তু মানুষ ব্যাবসার কারনে এইমনটা হতে দিবেনা। ~ আফসোস কারো সদিচ্ছা থাকলেও এইসব সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হতে বাধ্য!
মার্ক্স ঠিকই বলেছিলেন; বড় কোন রেভ্যুলেশনের জন্য বৃহত আকারে 'হলোকাস্ট' প্রয়োজন।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমাদের দেশের ডাক্তার আর কবিরাজদের মধ্যে পার্থক্য হলো; ডাক্তারদের অনেক টাকা আর কবিরাজদের অল্প টাকা।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২০

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক হেকিম-কবিরাজ সপ্নে পাওয়া ধনঃন্তর ঔষধ দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন! সুযোগের অসৎ-ব্যাবহার করতে কেউ পিছিয়ে নেই।

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৭

অন্তরীক্ষের নিনাদ বলেছেন: খুব ই দুঃখ জনক, শুনেই খারাপ লাগলো

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগে আপনার প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার ব্লগে স্বাগতম আর নতুন ব্লগার হিসেবে অভিনন্দন! নিয়মত ব্লগিং করার জন্য ও অন্যের ব্লগ পাঠ করার আমন্ত্রন রইল।

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এই চলমান দুঃখগাথা আর কতকাল চলিতে থাকিবে? এ অবস্থা থেকে আমাদের পরিত্রান মিলবে কবে?

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: মনে হয় না অদূর ভবিষ্যতে এর থেকে পরিত্রাণ মিলিবে!
নীরোগ থাকার চেষ্টা করাটাই আপাতত( অথবা সবসময়ের জন্য) বুদ্ধিমানের কাজ। তবুও এমনতর কিছু সমস্যা বলে-কয়ে আসেনা, তাই এই ভোগান্তি দাতে দাঁত চেপে সহ্য করা ছাড়া গত্যন্তর কি!

৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এক "চউক্ষের ডাক্তারের" চ্যাম্বারে গিয়ে আমি বিপাকে পড়েছিলাম । তিনি ডক্টরেট করা , বেশ নামডাক । তাই তার চ্যাম্বারে সিরিয়াল নিয়ে মা'কে নিয়ে গেলাম । তার চ্যাম্বারে ঢুকবার আগে আমার অসুস্থ মা'কে নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরলাম , এই ঐ চেকাপ করাতে করাতে মা আরও অসুস্থ হয়ে গেলেন । অনেকক্ষণ পর ডাক পড়ল , মা'কে নিয়ে তার কক্ষে ঢুকলাম দেখি তার সহকারী সমস্ত সমস্যা শুনছেন ও প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন , ডাক্তার মহাশয়ের এসবে কোন মন নেই তিনি তার সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা সহযোগীদের সহিত এবং আরও কিছু বাইরের সুন্দরী নারীদের সহিতদ উচ্চাওয়াজের হাসি ঠাট্টায় মেতে আছেন । এই অবস্থা দেখে আমি বজ্রাহত হয়ে গেলাম আর আমার মা রেগেমেগে আগুন ।

ডাক্তার আমাদের কোন কথা শুনলেন না এবং কিছূ বললেন না সব বললেন তার সহকারী , আমার মা আমাকে বললেন এত টাকা ও সময় ব্যয় করে এখানে এসেছি সহকারীর উপদেশ শুনতে ? আমি মনে মনে ভাবলাম , হয়তো এই সহকারীর চিকিৎসা জ্ঞান অনেক বেশি । তাছাড়া ডক্টরেট পাশ মানি ডাক্তারের সহকারীও তো মানি মানুষ ( ডাক্তার ) , তাই হয়তো ফি এর এত উচ্চ হার ।


আমি নিজেও তার দৈনিক আয়ের হিসাব করে তব্দা খেয়েছিলাম । আমার এক বন্ধুকে বলেছিলাম " হিসাববিজ্ঞান নিয়ে না পড়ে আজ ডাক্তারি পড়লে মনে হয় ভালো হত । "

বন্ধুর উত্তর ছিল , " হরে ভাই , বেহেশতের লাইগা আর অত কষ্ট করন লাগতো না চ্যাম্বারের মদ্দেই বেহেশত আয়া পড়ত । "

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: আহা মজা হি মজা! তথাকতিথ স্পেশালিষ্টের নামে এইসব বেহায়া বদমায়েশদের যত বয়স বাড়ে ততবেশী নিজের পদ ও পদবীর সদ্ব্যবহার করে লুচ্চামির খায়েস বাড়ে।
তবে সজ্জন সুচরিত্রের ডাক্তারও আছেন।

৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বর্তমানে ভার্চুয়াল দৌলতে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের চিকিৎসা পরিষেবা মোটামুটি যে একই রকমের সে কথা বলা যায়। আমি অবাক হয়ে যাই যখন দেখি আমরা কলকাতার স্থানীয় হওয়ায় কিছুটা দূরে যাওয়ার অনিহায় এলাকায় চিকিৎসা নিতে বাধ্য হলেও ওপার বাংলার মানুষরা চিকিৎসার নামে সর্বশ্রান্ত হতে কলকাতায় আসেন। এই মুহূর্তে আমার এক আত্মীয় যে কলকাতার নিউরোসায়েন্স বিগত একমাস এলোপাথাড়ি চিকিৎসা সেবা নিয়ে গত সোমবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্লেন যোগে ভেলোরে যেতে বাধ্য হয়েছে। অথচ শুরুতে ওকে কলকাতায় না থেকে ভেলোরে যেতে বলেছিলাম। আপনার পোস্টে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি পেলাম।
শুভেচ্ছা প্রিয় তপন ভাইকে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: ভেলোর ও দিল্লীর চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রশংসা বেশ শোনা যায়! আর পশ্চিমবঙ্গে-তো আমাদের জাত ভাইয়েরাই থাকে!
আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা বর্তমান এতটাই খারাপ যে, পশ্চিমবঙ্গের খারাপ চিকিৎসাও আমাদের কাছে সেরা মনে হয়। ভাষা ও দূরত্বের কারনে অনেকেই ভেলোর কিংবা দিল্লী যেতে ভয় পায়।
ধন্যবাদ পদাতিক ভাই- আপনাকে অনেকদিন বাদে পেয়ে ভাল লাগছে।

৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




চমৎকার এবং বাস্তব একটি অভিজ্ঞতার ছবি এঁকেছেন। বাংলাদেশের বর্তমান স্বাস্থ্যসেবার যে আৎকে ওঠার চিত্র তুলে ধরেছেন তা কিন্তু মোটেও অবাস্তব এবং মিথ্যে নয়। কিন্তু কেন স্বাস্থ্যসেবার হাল এমনটা হয়েছে তা কি আমরা তলিয়ে দেখি ? দেখিনা । আপনার আত্মীয় যেমন দেশের সেরা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন তেমনি একজন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষও স্বপ্ন দেখেন দেশের সেরা চিকিৎসকের কাছে যাবার। কেন এমন ?
প্রায় একযুগ আগে আমার একটি লেখাতে আমি চিকিৎসক ও রোগীদের সম্পর্ক নিয়ে তখনকার প্রেক্ষাপটে বিশদ আলোচনা করেছি। একযুগ পরে বর্তমান সময়ে সে ছবি একেবারেই যে বদলেছে তা বলা যাবেনা। রকমফের হতে পারে কিন্তু ছবির বিষয় প্রায় একই রকম আছে যা আপনার লেখাতেও ফুটে উঠেছে।
দুই পর্বের পোস্ট। লিংকে দেখতে পারেন এবং আপনার সুচিন্তিত মতামতও দিতে পারেন।
লিংক - ।।চিকিৎসক- রোগী: একটি জটিল মনঃস্তত্ব ।।
।।চিকিৎসক- রোগী: একটি জটিল মনঃস্তত্ব ।। ২য় পর্ব

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২১

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক আন্তরিক ধন্যবাদ আপনার বিশেষ এই মন্তব্যের জন্য।
লিঙ্কে দেয়া পোস্ট দুটো পড়ে এলাম! ডাক্তার রোগীর সম্পর্কের টানাপড়েন, ডায়াগনস্টিক হাসপাতালের দৌরাত্ম, ডাক্তার কিংবা রোগীদের অসহায়াত্ব, স্রোতের পক্ষে গা ভাসিয়ে দেয়া, অর্থের কাছে নৈতিকতার পরাজয় সহ কিছু বিষয় নিয়ে লিখেছেন। সত্যিই চমৎকার একটা জটিল মনঃস্তত্বের ছবি এঁকেছেন।

ভাল থাকবেন।

১০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ঘটনা।

ওষুধ কোম্পানিগুলি থেকে ডাক্তাররা প্রচুর টাকা নিয়ে থাকেন নির্দিষ্ট ওষুধ রোগীকে প্রেস্ক্রাইব করার জন্য। ডাক্তাররা মনে করেন তারা ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি। এছাড়া প্যাথলজি টেস্টের উপর কমিশন পায় ডাক্তাররা। এগুলিকে অনেক ডাক্তার এখন আর অনৈতিক মনে করে না। নীতি নৈতিকতার সংজ্ঞা বদলে গেছে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: এগুলো ছোটখাট দুঃখ কষ্টের কথা। তবে এত কিছু করার ভুল চিকিৎসা বা ডাক্তারদের গাফিলতি কিংবা ডায়াগনোসিসে ভুল রিপোর্টের ফলে যাদের জীবন সংশয় হয় তাদের জন্য চরম বেদনাদায়ক ও কষ্টের!
ঠিক বলেছেন, হারাম বা অবৈধ রুজীকে সবাই বৈধ ট্যাগ দেবার ধান্দায় ব্যস্ত :(

১১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যদিও আপনি আপনার স্বভাবসুলভ রম্যরস মিশিয়ে লিখেছেন, কিন্তু ডাক্তারদের দৌরাত্ম্যের একটা বাস্তব ও সর্বগ্রাসী চিত্র ফুটে উঠেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমি নিজেও এমন অবস্থার শিকার হচ্ছি। এগুলো দেখার জন্য কি কেউ নেই?

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: অতীতেও ছিল না এখনো কেউ নেই ভবিষ্যতেও হয়তো থাকবে না! বড়ই দুর্ভাগা জাতি আমরা!
আবহাওয়া,খাদ্যাভ্যাস, রুটিনহীন জীবন, লোভ লালসা আমাদের দ্রুত অসুস্থ করে ফেলছে। ডাক্তারের শরণাপন্ন ছাড়া গতি নেই, আর ডাক্তাররাও সুযোগ বুঝে গলা কাটছে।
হবে না কিছুই হবে না আর :(

অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য -ভাল থাকুন।

১২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০৪

ইসিয়াক বলেছেন: ক্রমশ দেশটা বাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। আফসোস এর থেকে পরিত্রাণের উপায় নেই।আমার চেনা অনেকেই দেখেছি হয়রানির শিকার হবার ভয়ে খুব বড় কিছু না হওয়া অবধি ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে উনারা যান না। হয় নিজে নিজে চিকিৎসা করে নয়তো এলাকার হাতুড়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়।এর ফলে কেউ মুক্তি পায় কেউ আরও বিপদ বাড়িয়ে তোলে।
তবে কিছু ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে তবে সংখ্যায় তাঁরা নিতান্ত কম।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ এই ক্ষোভ আমাদের প্রতিদিনের প্রতি মুহুর্তের! সত্যিই এ দেশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে- এর থেকে হয়তো আর ফিরে আসার পথ নেই কিংবা পরিত্রানের উপায় নেই। আমরা সবাই নষ্ট হয়ে গেছি -আফসোস!!!!

১৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৪

শাহ আজিজ বলেছেন: ভেঙ্গে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা । দোয়া করি কেউ যেন অসুস্থ না হন ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনিও ভাল থাকুন সুস্থ ও সুন্দর থাকুন! ভেঙ্গে পড়া এই সাস্থ্য ব্যবস্থা আর হয়তো ভাল হবার নয়।

১৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: লেখার সাইজ দেখে পড়ি।তাই পড়া হয় নাই।মন্তব্য থেকে বিরত থাকলাম।আপনি যা নিয়েই লেখেন,লেখা সুন্দর হয়।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি আপনার শরির ও স্বাস্থ্যের প্রতি আরেকটু যত্মবান হউন। একটা মন্তব্যে মনে হোল আপনার 'হাইপো হয়েছিল।
লেখা না পড়ায় আমার কোন মন খারাপ হয়নি। সময় হলে মনে চাইলে পড়বেন না হলে না। আন্তরিকতার সাথে জানিয়েছেন যে এ-ই ঢের!
ভাল থাকুন।

১৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশে মানুষ থাকার যায়গা নেই, ঘোড়া কে পালন করছে?

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: ওই এলাকায় বংশপরম্পরায় এখনো দু'ইয়েকজন ঘোড়া লালন-পালন করে ও ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। একটা ঘোড়া লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হয়।

১৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বারডেমে অধেক দিন চিকিৎসা নিয়েছি দেখেছি নার্সের জঘণ্য ব্যবহার এবং ডাক্তারের সেবা। দুঃখজনক সবই।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: সরকারি বেসরকারি প্রায় সব হাসপাতালের হাল-চিত্র একই :(
এই দেশে চিকিৎসা আর সেবা খাতের মধ্যে নাই। দুষ্টু লোকের খপ্পরে পুরো স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা জিম্মি।
আপনার সার্বিক সুস্থতা কামণা করছি।

১৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:০৪

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: সঠিক বলেছেন, কেন যে ডাক্তার হলাম না! HSC তে biology পর্যন্ত নেইনি।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: বড্ড ভুল করেছেন ভ্রাতা! এখন আর ফিরে যাবার উপায় নেই- পরের জেনারেশোনের দিকে নজর দিন, কি-ইবা আর করবেন :(

১৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: একদম বাস্তব ঘটনা লিখেছেন।

গতকাল আমাদের এক আত্মীয় সকালবেলা হোন্ডা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তার বয়স ৬০। উলটো দিক থেকে মানে রংসাইট থেকে এক পুলিশ বাইক চালিয়ে আসছিলো। পুলিশ তাকে এমন ধাক্কা দেয়, মাটিতে পড়ে যায়। পায়ের গোড়ালি ভেঙ্গে যায়। মুহুর্তের মধ্যে ভয়াবহ অবস্থা। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পা ভেঙ্গেছে। সব মিলিয়ে আড়াই লাখ টাকা খরচ হবে। যে পুলিশ একসিডেন্ট করিয়েছে সে শুধু স্যরি বলে চলে গেছে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমরা অপরাধের দায় স্বীকার করিনা।
আপনার আত্মীয় দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা করছি। অনেক ধন্যবাদ ফের।

১৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: আমার কেন জানি ডাক্তারদের নিয়ে কখনই বাজে অভিজ্ঞতার স্বীকার হতে হয় নি ।

তবে একটা কথা হচ্ছে এটা কিন্তু ডাক্তারী পেশা না বরং এদেশী সকল পেশার ক্ষেত্রেই প্রজোয্য । আপনি যে কোন পেশাতেই যান কেন এমন মানুষ পাবেন । সমস্যাটা ডাক্তার কিংবা অন্য কোন পেশার না । সমস্যা হচ্ছে বাঙালির ভেতরে । এই উপরে যারা এতো এতো অভিযোগ করে গেল তারা নিজেরা কি নিজেদের পেশায় ক্ষেত্রে শতভাগ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে সার্ভিস দিয়ে থাকে?

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি নেহায়েত চরম সৌভাগ্যবান মানুষ!
ঠিক বলেছেন তবে ডাক্তারিটা কিন্তু একটা সেবামূলক পেশা। এর চালচরিত্র একটু অন্যরকম হবে সেটা আশা করতেই পারি।
অপরাধ আমরা করচি যেহেতু দোষী আমাদেরই হতে হবে। এর থেকে বের হবার পথ নেই সম্ভবত!

২০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০০

সজিব শাহরিয়া বলেছেন: অপু তানভীর ভাইয়ার সাথে একমত।
সমস্যাটা ডাক্তার কিংবা অন্য কোন পেশার না । সমস্যা হচ্ছে বাঙালির ভেতরে ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১০

শেরজা তপন বলেছেন: নিজেদেরকে নিজেরা গালি দেয়া ছাড়া আর উপায় কি! ব্লগার অপু তানভীর-এর মন্তব্যের সাথে একমত হতেই হবে :(

২১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্বাধীনতার পর গত ৫২ বছরে দেশের সব কয়টি সেক্টরে কমবেশি উন্নতি হলেও স্বাস্থ্যসেবা সেক্টরে মানের অধঃপতন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ডাক্তার এবং তাদের চ্যালা-চামুণ্ডাদের কাছে অসহায় রোগী এবং তাদের পরিবারেরা একেবারে জিম্মি হয়ে আছে। আপনার লেখায় যে করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে তা রীতিমত ভয়ঙ্কর। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্য যে একটি স্বাধীন, সভ্য দেশের অসুস্থ নাগরিকেরা ডাক্তারদের কাছে এরকম করুণার পাত্র হয়েই এ দেশে জীবন পার করে দিচ্ছে, অবশ্যই কিছু সম্মানীয় ব্যতিক্রম বাদে। আর বিপুল অর্থ ব্যয়ের ক্ষমতা না থাকলে তো অসহায় রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কেবলমাত্র হা-হতোস্মি করা ছাড়া কোন উপায়ই থাকে না। ভুক্তভোগী পরিবারটির জন্য আমার আন্তরিক সমবেদনা রইলো। এখন রোগীর অবস্থা কেমন?

দেশে স্বাস্থ্যসেবা সেক্টরের উন্নতির জন্য স্বয়ং রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে যে কোন নাগরিকের জন্য সরকারী অর্থে বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণ নিষিদ্ধ করতে হবে। এর ফলে সাশ্রয়কৃত অর্থ চিকিৎসা সেবার উন্নতির জন্য ব্যয় করতে হবে। ওনারা চিকিৎসা গ্রহণের জন্য সরকারী অর্থে বিদেশ যেতে না পারলে দেশের অভ্যন্তরীণ চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নে মনযোগী হবেন।

ভেঙ্গে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা । দোয়া করি কেউ যেন অসুস্থ না হন - শাহ আজিজ এর এই ছোট্ট মন্তব্যটিতেই ফুটে উঠেছে আজ আমরা কত অসহায়! এই দোয়া করা ছাড়া যেন আর কিছুই করার নেই!

যে পুলিশ একসিডেন্ট করিয়েছে সে শুধু স্যরি বলে চলে গেছে - এটাও ভুক্তভোগীর জন্য একটি বিরাট পাওনা হিসেবে ইতিহাসে রয়ে যাবে!



০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: স্বাধীনতার পর গত ৫২ বছরে দেশের সব কয়টি সেক্টরে কমবেশি উন্নতি হলেও স্বাস্থ্যসেবা সেক্টরে মানের অধঃপতন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ডাক্তার এবং তাদের চ্যালা-চামুণ্ডাদের কাছে অসহায় রোগী এবং তাদের পরিবারেরা একেবারে জিম্মি হয়ে আছে। আপনার লেখায় যে করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে তা রীতিমত ভয়ঙ্কর। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্য যে একটি স্বাধীন, সভ্য দেশের অসুস্থ নাগরিকেরা ডাক্তারদের কাছে এরকম করুণার পাত্র হয়েই এ দেশে জীবন পার করে দিচ্ছে, অবশ্যই কিছু সম্মানীয় ব্যতিক্রম বাদে। আর বিপুল অর্থ ব্যয়ের ক্ষমতা না থাকলে তো অসহায় রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কেবলমাত্র হা-হতোস্মি করা ছাড়া কোন উপায়ই থাকে না। ভুক্তভোগী পরিবারটির জন্য আমার আন্তরিক সমবেদনা রইলো।
~সম্পুর্নভাবে সহমত।

এখন রোগীর অবস্থা কেমন?
দ্বীতিয়বার প্লাস্টার করা হয়েছে- এটা ৬ সপ্তাহ থাকবে। একভাবে শুয়ে থাকা কি ভীষন কষ্টের সেটা তাকে দেখে অনুধাবন করছি।

দেশের চিকিৎসা ব্যাবস্থার উন্নতি না হলে- বাইরের চিকিৎসা থেকে বিরত রাখা অসম্ভব হবে।ভ্রমন ভিসাতে গিয়ে সবাই চিকিৎসা করিয়ে আসবে। গনতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের বিধি নিষেধ আরোপ করা প্রায় অসম্ভব।

যারা কষ্টের কথাগুলো বয়ান করে মন্তব্য করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ ।

২২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:



রোগীর কন্ডিশন বিবেচনায় তাকে অযথা না এনে তার সব রিপোর্টগুলো নিতে তার পতি-দেব তার ব্যাবসা-বানিজ্য ফেলে রেখে ফরিদপুর থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে দেড় ঘণ্টায় ঢাকার প্রবেশদ্বারে এসে তিনঘণ্টার জ্যাম ঠেলে ধানমণ্ডি ল্যাব এইডে যখন পৌছুলো ঘড়িতে তখন সাড়ে সাতটা।

এখানে বলা হলো রোগীর পতি-দেব।

ডাক্তারের চেম্বারে যখন ঢুকলাম তখন ঘড়িতে রাত সাড়ে দশটা!

এই বয়সে উনি এত নামীদামী একটা মেডিকেল কলেজের বিভাগীয় প্রধান হয়ে ফের অবসরে গেলেন কিভাবে এটা ভেবে আমি ঘেমে গেলাম

পরবর্তীতে বলা হলো ঢুকলাম, ঘেমে গেলাম।
কাহিনী কি?
কার হাঁটু ভেঙ্গে গেছে ? আমাদের সুটু ভাবীর? :)


০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: আমার গিন্নীর বড় ভাই-এর বউ মানে আমার সুমুন্দির বউ! গিন্নির বড় ভাই আবার আমার ক্লাসমেট ছিল-তাই আমার দায়দায়িত্বটা বেশী একটু। আমি ঢাকা থেকে তার সঙ্গ দিয়েছিলাম। এই ভাবি আবার ওর মামা, চাচা, ফুপু আর খালার গুস্টির সবচেয়ে প্রিয় মানুষ। অপারেশনের দিন ল্যাব এইডে প্রায় ৫০জনের অধিক আত্মীয় পরিজন এসেছিল। এখন তিনি আমার বাসাতেই আছেন- আরো ৫ সপ্তাহ পরে তার প্লাস্টার অপসারন হবে।

২৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:



সেই মূহুর্তে উল্টো দিক দিয়ে আসছিল এক ঘোড়ার গাড়ি- কিভাবে যেন লাগাম ছিঁড়ে ঘোড়া গাড়ি ফেলে তীব্র বেগে দিল ছুট!

মনে হচ্ছে টাইম মেশিনে সেই আগের যুগে চলে গেলাম।

গতবছর বাংলাদেশে গিয়ে ভালো এবং মন্দ দুইরকমের অভিজ্ঞতাই হয়েছে।
যখন দেখলাম অনেক সময় নিয়ে ওয়েট করতে হয়, তাই আমি লেইট নাইটের বুকিং দিয়েছি রাত এগারোটার পর।
তখন রাস্তায় ট্র্যাফিক কম থাকে, আবার ওয়েটিং রুমে ভিড়ও কম। তারপরও এক ঘন্টা ওয়েট করতে হয়েছে। :(
ডাক্তার থাকে প্রায় একটা পর্যন্ত।

ভালো দিক হচ্ছে ডাক্তারটা অনেক হ্যান্ডসাম আর ফ্রেন্ডলি ছিলো।
কথা বলেই অর্ধেক নিরাময় হয়ে গেছে :)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ টাইম মেশিনের মতই। ওখানে এখনো কিছু মানুষ ঘোড়ার গাড়ি চালায়।

ভালো দিক হচ্ছে ডাক্তারটা অনেক হ্যান্ডসাম আর ফ্রেন্ডলি ছিলো।
কথা বলেই অর্ধেক নিরাময় হয়ে গেছে :)

এমন সুদর্শনা রমণী ডাক্তারদের বড়ই অভাব এদেশে( গাইনী-ফাইনী বাদে)- থাকলে আমাদেরও রোগ-শোক কম হত :)

২৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: গনতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের বিধি নিষেধ আরোপ করা প্রায় অসম্ভব - আপনি হয়তো খেয়াল করেন নি যে আমি সব নাগরিকদের কথা বলিনি। বোল্ড করে লিখেছি তাদের কথা যারা হুঁ করতেই সরকারী অর্থে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যায়। নিজের অর্থে যে যেখানে পারুক, সেখানে গিয়ে চিকিৎসা নিক, আপত্তি নেই। সরকারী অর্থে রথী মহারথীদের বিদেশে চিকিৎসা নেয়া বন্ধ না করলে দেশে চিকিৎসা সেবার মান উন্নত হবে না।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: দুঃখিত ভুল হয়ে গেছে। ঠিক বলেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.