নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাও তুমি যত পারো

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭


রসনা -যত পারো খাও
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবির দেশে কবিতার দেশে ভ্রমণ কাহিনী পড়ে ফ্রান্সের উপকুলে লেবু আর লবণ দিয়ে ঝিনুক আর অতি সুস্বাদু ফোঁয়া খাবার সাধ জেগেছিল।
প্রথমে কিন্তু জ্যান্ত ঝিনুক লেবু লবণ দিয়ে খাওয়াটা অমানবিক মনে হয়েছি তবে তার থেকে অনেক বেশী ঘৃণ্য আর অমানবিক মনে হল ফোঁয়া তৈরির প্রক্রিয়াটা! ফোঁয়াটা মূলত এক ধরনের হাসের লিভারে জমে থাকা চর্বি। সেইসব হাসকে দিনের পর দিন নল দিয়ে জোর করে হাই প্রোটিন ফুড খাওয়ানো হয়। এই অতিরিক্ত খাবারের চাপ সইতে না পেরে অনেক ভাগ্যবান হাস অকালে মরে যায়। ভাগ্যবান কেন বললাম-কারণ বাকি যারা বেচে থাকে তাদের জন্য অপেক্ষা করে ভয়ঙ্কর দুর্ভোগ। লিভারে যাতে অতি দ্রুত চর্বি জমে সেজন্য বিশেষ কায়দায় তৈরি এমন এক ধরনের খাঁচায় রাখা হয় যেখানে তাদের সামান্য নাড়াচাড়ার সুযোগ থাকেনা। অতিরিক্ত খাবার আর চর্বির ভারে তারা বসতে পারেনা ঘুমোতে পারেনা আর এত্তো এত্তো খাবারের বর্জ্য বেরুতে গিয়ে মলদ্বার ছিঁড়ে গিয়ে সারাক্ষণ রক্ত ঝড়ে। অবশেষে মানুষের লালসার আয়োজন পরিপূর্ণ হলে তাদের চরম মুক্তি মেলে –লোভী একজোড়া হাত ওদের বুক চিরে বের করে নেয় চর্বি সর্বস্ব লিভার খানা।
কি ভয়ঙ্কর কি অমানবিক!!
আসলেই কি ব্যাপারটা অমানবিক?
একটা বিরল প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীর গায়ে হাত বুলিয়ে টিভি ক্যামেরার সামনে চেঁচামেচি করে আমরা নিজেদের জাহির করি সৃষ্টির সেরা মহান জীব বলে।ওদিকে মশা মারতে আমাদের কত শত আয়োজন-ছারপোকাকে পিষে মারি তেলাপোকার বংশ নির্বংশ করি আর ইঁদুরের পাছা সেলাই করে দেই যাতে পাল হয়ে বাকি গুলোকে কামড়ে মারি। হত্যা হত্যা হত্যা –মানুষের জন্মই হয় হত্যার জন্য। নিত্য নতুন আয়োজন করে ভিন্ন কারিশমায় হত্যা…
ইলিশের ডিম আমার খুব প্রিয়- বেশ বড় সড় ডিম জোড়া লবণ মাখিয়ে কয়েক ঘণ্টা রেখে অল্প আচে বাদামী করে ভেজে কাগজি লেবুর রস মেখে খেতে কি দারুণ লাগে-আঃ ভাবতে গিয়ে জিবে পানি চলে এল কিংবা বড় কই আর গুলশা ট্যাংরার ডিম।
ওদিকে বেলে মাছের ঝুড়ির সাথে আস্ত আস্ত ডিম বড় উমদা। আর বড় পাঙ্গাশের ডিমের সাথে আধ ভাঙ্গা আলু আর টম্যাটোর ঝোলের ভিতর তেলতেলে পেটি খেতে গিয়ে আরামে চোখ বুজি।
আহা কতই না মানবতার দোহাই দিচ্ছি আমি নিজের অজান্তে। শালা নিজের পাছায় নিজের লাথি মারতে ইচ্ছে করে। একবার কি ভাবি আমার নিজের রসনা বিলাসের জন্য কত লক্ষ মৎস্য ভক্ষণ করলাম- দুয়েকটা মাছের ডিম দাঁতের ফাঁকে জড়িয়ে থাকলে সেটা আবার টুথপিক দিয়ে ঠেলে ভিতরে চালান করে দেই।
ছোট বেলায় আমার দাদা বাড়ি সংলগ্ন খাল কুয়ো নামে শুকিয়ে যাওয়া এক বিলে মাছ মেরেছিলাম। হাত খানেক পানি হবে আর বিঘৎ খানেক পাঁক এর মধ্যে পাড়[আর সব ছেলে বুড়োরা হাড়ি পাতিল বালতি নিয়ে নেমে পড়েছে মাছ ধরতে।মাছ মারা খুব সহজ-কাদার ভিতর হাত ডোবালেই হাতের ফাকে খলবল করে পুঁটি খয়রা টাকি শোল আর কৈ-সাথে দু চারখান পটকা আর চ্যাঙ। সে কি মজা! এত সহজে মাছ ধরা যায় তা আমার ধারনার মধ্যে ছিলনা। ঘণ্টা খানেক এলোপাথাড়ি কাদায় জলে ডুবো-ডুবি করে হাতের বালতি প্রায় ভরে ফেললাম।
তখনকার দিনে মাছ প্রিজার্ভেশনের কোন ব্যবস্থাই ছিলনা। শুধু কই শোল আর শিঙ মাছ কোলা ভর্তি পানিতে চুবিয়ে কিছুদিন রাখা যেত- আর বিক্রির-তো প্রশ্নই আসেনা-এ তল্লাটে সবার বাড়িতেই মাছের প্রাচুর্য-ওদিকে ইজ্জত বলেতো একটা কথা আছে! মাছ মানুষ বেচে নাকি?
এত মাছ কে খাবে? সেটা নিয়ে ভাবার সময় নেই- সবাই হত্যা উৎসবে মেতেছে। যত পার হত্যা কর- পরে খাও ছড়াও ফেল কিংবা শুটকি বানাও সমস্যা নেই।
একটা নদীর উৎপত্তি স্থল থেকে শুরু করে সঙ্গম স্থল পর্যন্ত মানুষের মৎস্য নিধনের নিমিত্তে কত শত আয়োজন। বেড়ি জাল টানা জাল খ্যাপ জাল সহ শত কিসিমের জাল দিয়ে তাদের গতি রুদ্ধ করে শান্তি নেই- এর পরে আছে ফাঁদ পেতে ধরা বাধ দিয়ে ধরা। তাতেও যদি ধরা না পরে- মানুষের হাতে আছে অন্য অস্ত্র-পলো দিয়ে চালন দিয়ে নিদেন পক্ষে গামছা দিয়ে মার। ওদিকে ট্যাটা বল্লম কোচ বড়শি-তো আছেই। মোদ্দা কথা মৎস্যকুলকে সমূলে বিনাশ কর। হাত গলে একখানা কাচকি মাছ বেরিয়ে গেলে আফসোসে মরে যাই। সব কিছু শেষ করে শুরু করি মায়া কান্না! নদী বাচাও মাছ বাচাও আন্দোলন। ওদিকে নব্য প্রজন্মের বুড়োদের ভ্যাজর ভ্যাজরে কান ঝালাপালা হয়। আড়াই কেজির ইলিশ ষাট কেজির পাঙ্গাশ আর কেজি ওজনের কৈ মাছ কত উপাদেয় রান্না করে ক্যামনে হাড় মাংস চিবিয়ে খেয়েছে তার গল্প।
আফসোস করে মরে তারা –নদীর মাছ কই গেল- নদীর মাছের স্বাদ কি আর চাষের মাছে মেলে!
মাছ নেই তো কি হয়েছে আকাশেতে পাখি আছে বনে আছে পশু-ওদিকে গর্তে আছে সাপ ব্যাঙ সজারু আর আল্লার দুনিয়ায় পোকা মাকড়ের তো অভাব নেই।
খাও- যা আছে যত আছে খাও। তেলাপোকা কিংবা কুমির নয় পৃথিবীর একমাত্র সর্বভুক মনুষ্য জাতির অখাদ্য কিছুই নেই।
আমার মত নাক কুচকে থাকা ভদ্রনোকেরও থাইল্যান্ডে গিয়ে পোকা ফ্রাই দেখে জিভে জল এসেছিল।
মানুষ কি না খায়? তাজা অক্টোপাস সস দিয়ে মাখিয়ে কুকুরের বমি বানরের মগজ অজগরের মাথা থেকে শুরু করে গুবরে পোকা পর্যন্ত।কাগজ কাঠ লোহা গু ও কেউ কেউ খায়।
আমাদের জিভের মাথায় সারাক্ষণ লালসার রস চট চট করে-আজ প্রকৃতি তার সমগ্র প্রাণীকুল নিয়ে চিন্তিত কেমন করে এই শত শত কোটি ভয়ঙ্কর সর্বভুকদের হাত থেকে তাদের বাঁচাবে?



যখন ফিনল্যান্ডের সমুদ্র উপকুলে সদ্য যুবকদের পৌরুষ প্রদর্শনের নমুনা স্বরূপ হাজার হাজার ডলফিন হত্যার সচিত্র প্রতিবেদন দেখে আঁতকে উঠি – ভাবি মানুষ কেন এত নির্মম পাষণ্ড হয়?
কিন্তু এর পাশাপাশি আমাদের এই মৎস্য নিধন আর কোরবানির গরু ছাগল হত্যা যজ্ঞ মোটেই নির্মম মনে হয়না।
একজন কাপালিক সন্ন্যাসী কোন কালী মন্দিরে খড়ি কাঠে দশখানা পাঠা এক এক কোপে বলি দিলে তাকে বাহবা দেই- উৎসবের আমেজে খুশীতে লাফিয়ে উঠি!আ-হাহা কচি পাঠার মাংসে ভোজ হবে ভেবে।
কিন্তু যদি শুনি তেমনি করে একখানা মাত্র নর বলি হয়েছে- তখন ভয়ে আঁতকে উঠে ভাবি শালা কি পাষণ্ড!তবুও এই মানুষ ই মানুষের মাংস খায়।কখনো দায় ঠেকে কখনো সখ করে।
আমার বাবা গল্প করে পাখি শিকারের। কবে ক'খানা বক ঘুঘু হরিয়াল বুনোহাঁস মেরেছে তার গল্প।
একবার একজোড়া হাড়গিলার খোজ পেয়ে বন্দুক নিয়ে বেড়িয়ে পড়লেন। সারাদিন দৌড়ে দাবড়ে একখানা কোনমতে মারলেন। কিন্তু তার অজান্তে নিহত সঙ্গীকে অনুসরণ করল জোড় অন্য পাখিটা।
আমাদের বাড়ির ধারের বেশ বড় একটা গাছের মগডালে বসে সারারাত ডুকরে ডুকরে কাঁদল সেই পাখিটা। সকাল হতেই আমার বাবা খুব সহজে সেটাকে সাবাড় করলেন। তার ভাষায় পাখিটার এমন কষ্ট তার সহ্য হচ্ছিল-না। তাই ওকেও চিরতরে সেই কষ্ট থেকে মুক্ত দিলেন।
আহারে একটা পাখির দুঃখে আমাদের মন ক্যামনে করে কাঁদে! কত্তো মহান আমরা -কি দারুণ মানবিক উদাহরণ…

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪

বিষাদ সময় বলেছেন: মনে আছে প্রায় ২৫ বছর আগে ছবির দেশে কবিতার দেশে বইটি পড়ে কেঁদেছিলাম। বেশি কিছু বলার নাই, পোস্টের সাথে একমত এবং +++

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার ঐ সময়ের কিছু আগে পরে হয়তো আমি পড়েছিলাম। দারুন একটা বই দুর্দান্ত!! বাংলা ভাষায় লেখা ভ্রমণ কাহিনীর সেরা।
আমিও হয়তো কেঁদেছিলাম মনে করতে পারি না এখন আর- যাই হোক বহুদিন ঘোরের মাঝে আচ্ছন্ন ছিলাম এই বই পড়া শেষে। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল ভাল থাকবেন

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: ছবির দেশে কবিতার দেশে বইটি সুনীলের অসাধারন একটি ভ্রমন কাহিনী।

ঝিনুক আমার এখানেও খুব খায় মানুষ। ঝিনুকের সূপ , ওয়েস্টার সস খুবই জনপ্রিয় । আমাদের বাঙ্গালী জিহবায় এসব জিনিষ একেবারেই অখাদ্য ।

ফোয়া তৈরীর কাহিনী জানা ছিল না। আপনার বর্ননা পড়েইতো ভয়াবহ লাগছে। মানুষ খায় কিভাবে ?

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে পেয়ে ভাল লাগবে প্রিয় ব্লগার ঢাবিয়ান ওয়েস্টার সস আমারও বেশ প্রিয় -কিন্তু এর কাঁচামাল ঝিনুক আমার প্রিয় নয়! :)
ছবির দেশে কবিতার দেশে যে বাঙালি পড়েনি সে নিশ্চিতভাবে অনেক অনেক কিছু মিস করেছে!

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন সুন্দর থাকুন নিরন্তর!

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,

আপনার এই পোস্টটি পড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিসর্জন নাটকের কথা মনে পড়ে গেল। অন্ধ ধর্মীয় কুসংস্কারের বশীভূত হয়ে নির্বিচারে পশুবলি এত রক্তপাত! এত রক্ত দেখে সেই কবেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই নাটক লিখে গেছেন।
অমর একুশের শুভেচ্ছা আপনাকে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাই ব্লগে আবার নিয়মিত হচ্ছেন দেখে ভালো লাগছে!
সবজি বাগানের কাজ কেমন চলছে?
ঠিক বলেছেন আর যাই হোক বেশিরভাগ কবি সাহিত্যিকরা অনেক বেশি মানবিক অনেক বেশি স্পর্শকাতর।
অমর একুশের শুভেচ্ছা আপনাকেও ভালো থাকবেন ভাই।

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:


বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ইউরোপ বেশ মানবিক; কিন্তু সেখানেও ভয়ংকর নির্দয় ( ফোঁয়া উদাহরণ ) লোকজন আছে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: তা ঠিক বলেছেন দারুণ মানবিক মানুষের মাঝেও ভয়ংকর অমানবিক এক উদাহরণ এই খাবার।
আসলে ইউরোপ এশিয়া বলে আলাদা করে বলার কিছু নেই মনুষ্য জাতিই হল চরম মানবিক সেই সাথে ভয়ঙ্কর নিশংস!

৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: কী অসাধারণ সুন্দর করে লিখেছেন তপন ভাই! ❤️

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: আহা আপনার প্রশংসা বাদ কে বড়ই আনন্দিত হইলাম ভাই!! :`>

৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৮

বিষাদ সময় বলেছেন: খাও তুমি মত পারো না হয়ে মনে হয় "যত" হবে। :)

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক ঠিক টাইপ হয়েছে চোক্ষে পড়ে নাই :) অনেক ধন্যবাদ ভাই

৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখা পড়ে ভাল লাগল।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: জেনে ভালো লাগবে সুপ্রিয় মোস্তফা সোহেল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ -সাথে থাকুন ভালো থাকুন।

৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

দারাশিকো বলেছেন: লেখাটা দারুণ হয়েছে ভাই। তবে, আমি একটু অন্যভাবে দেখি। ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য মানুষ খাবে, এটাই স্বাভাবিক। কী খাবে সেটা নিজস্ব রুচির ব্যাপার। শিকার বা অন্যান্য উপায়ে যেটা খাওয়া হয় সেটা ফুড চেইনেরই একটা অংশ এবং প্রাকৃতিক একটা উপায়। আমি যতটুকু বুঝি, স্বাভাবিকভাবে এই প্রক্রিয়ায় ভারসাম্য নষ্ট হয় না। প্রবলেমটা হলো - যখন এর মধ্যে মানুষের লোভ ঢুকে পড়ে। আমি নিশ্চিত ফোঁয়া খাবার তৈরির প্রক্রিয়া যখন শুরু হয়েছিল তখন এভাবে হাঁসকে কষ্ট দেয়া হতো না। প্রাকৃতিকভাবে হাসেঁর লিভারে যে চর্বি পাওয়া যায় সেটাই খাওয়া হতো। কিন্তু মানুষের লোভ (পড়ুন পুজিঁবাদ) যখন বাড়তে লাগলো, তখন কত দ্রুত হাঁসের মধ্যে চর্বিযুক্ত লিভার নিশ্চিত করা যাবে সেই কূটবুদ্ধি জাগলো এবং সেটাই এপ্লাই হতে লাগলো। আমাদের দেশে উপজাতিরা কুকুর খায়, এটা স্বাভাবিক, কিন্তু প্রাচ্যের অনেক দেশে এই কুকুরকে খাওয়ার উপযোগী করতে যে প্রক্রিয়ায় লালন পালন করা হয় সেটা কি স্বাভাবিক? দেশের কথাটাই বলি - মুরগি খাওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু পচ্চুর মুর্গি খাওয়ার জন্য যেভাবে ফার্মের মুর্গি তৈরী করা হচ্ছে সেটা ঠিক?

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: ওটাতো সভ্যদেশের মানুষের একটা রূপ মাত্র - পৃথিবীর সবখানেই জাত পাত ধর্ম রাজনীতি দেশ আর বিজ্ঞানের ধোঁয়া তুলে আমরা সবাই নিশ্বংস ভয়ঙ্কর!!

বড় পরিসরে চমৎকার বলেছেন!

৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা।
জ্বী তপন ভাই,
এই মুহূর্তে শীতের শেষের দিকে ফুলকপি শেষ হয়ে গেছে। বাঁধাকপি গুলো ফেটে যাচ্ছে গরমে। প্রচুর লাউ হচ্ছে। টমেটো হচ্ছে। পেঁপে গাছে পেঁপে আছে। মুলো প্রায় শেষের দিকে। সিম শেষ হয়ে গেছে। পালং শাক আর বেশি নেই। কুমড়ো গাছ শুকিয়ে গেছে। বেগুন ফলছে। পেঁয়াজ আর কিছু দিন পরে তোলার মতো হবে।ধনে পাতা প্রচুর হয়েছে।যত নিজেরা খাচ্ছি অন্যদেরও দিচ্ছি
মাঝেমাঝে।পটল গাছগুলো ক্রমশ মাচায় উঠছে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: ওটা আপনার ছাদ না কোন গ্রামের আবাদি ভুমির কথা বলছেন!!!
বাপরে- আপনিতো জাত চাষী হয়ে গেছেন, ব্রাভো ভ্রাতা।

১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



মানুষ মানুষকে ফোয়া বানিয়ে খাবে নিশ্চই।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: :|| চমৎকার কথা বলেছেন- এতদিনে ওই 'পদ' হয়ে গেছে কিনা কে জানে!!!

১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৯

শায়মা বলেছেন: এই জন্যই সুকুমার রায় লিখেছিলেন খাই খাই করো কেনো এসো বসো আহারে..... খাওয়াবো আজব খাওয়া ভোজ কয় যাহারে ....:)

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: রসনার কত সহস্র ব্যাঞ্জন যে আপনার ভাড়াড়ে আছে সেটা খোদাতাল্লা ছাড়া কেউ জানেনা!! :)
তবে হ্যা আপনি তা করেন সেগুলো সুচারু রন্ধনশিল্প-কর্ম!

১২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হায়রে খাওয়া !
ভয়ংকর ব্যাপার স্যাপার।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: রাতের খাবার খেয়েছেন?
না খেয়ে থাকলে উপোস করেন- আজকে খাবার আর মুখে রুচবে না :)

১৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তরুণ বয়সে খাবার খেয়ে দেহ পুষ্ট হয় আর বুড়ো বয়সে খাবারই মানুষের ক্ষতি করে। কম যারা খায় তারা সুস্থ থাকে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: কোন বয়সেই উল্টাপাল্টা কিংবা বেশী খাবার শরিরের পক্ষে ভাল নয়।
তা আপনি ভ্রাতা কোন দলে আছেন?
আমার ধারনা কম খাবার দলে- বলেন সত্যি কি না?

১৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

তবে প্রাণী প্রেমীদের জন্য সুখবর আছে।

দীর্ঘদিন গবেষণার পর ল্যাবরেটরিতে অরিজিনাল থেকে নমুনা নিয়ে কৃত্রিম মাছ মাংস সেল ডিভিশনের মাধ্যমে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। পুষ্টিবিদগণ ভবিষ্যৎবাণী করেছেন আগামী ২০ বছরের ভেতর মানুষের প্রধান খাদ্য হবে কৃত্রিম মাছ মাংস আর সামুদ্রিক শ্যাওলা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: এইসকল জৈব বিষয়ে প্রকৃতির বাইরে গিয়ে ল্যাবরেটেরিতে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অনেক সফলতা আসে সত্য কিন্তু কোন এক সময়
পরিক্ষা করে দেখা যায় সেটা উপকারের থেকে বেশী ক্ষতির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। অবশ্য বিজ্ঞান কোন একদিন সেই সমস্যার সমাধান করবে নিশ্চিত।
ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য।

১৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খাবার খাওয়ার ব্যাপারে আমি মধ্যপন্থা অবলম্বন করি। কিন্তু আমার বাবা খেতেন ৫ মিনিটে। কখনও দুইবার ভাত নিতে দেখিনি। খাবার টেবিলে দেয়ার আগেই ওনার খাওয়া শেষ। জীবনে কখনও জ্বর বা জীবাণু বাহিত কোন রোগ হতে দেখিনি। তবে শেষ বয়সে হৃদরোগ ছিল। ঐ রোগেই মারা যান। ভাতের চেয়ে সিগারেট বেশী খেতেন। না খেয়ে থাকতে পারলেও মানুষের সাথে কথা না বলে বেশীক্ষণ থাকতে পারতেন না। আমার আম্মাও কম খেতেন। কিন্তু স্বভাবের দিক থেকে আমার বাবার সম্পূর্ণ বিপরীত ছিলেন।

আমি দেশী বলেন বিদেশী বলেন বিদঘুটে টাইপের কোন খাবার খাই না।

আপনি এইসব বিদঘুটে খাবারের মধ্যে কোনটা কোনটা রাঁধতে পারেন? :)

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার আব্বা ভাত খাবার ব্যাপারে ভিন্নরকম বাঙ্গালী ছিলেন!
আমি খাবার ব্যাপারে বেশ রক্ষনশীল! কোন পাখির মাংস পছন্দ নয়- শুধু মুরগী খাই তবুও খুব বেশী আগ্রহ সহকারে না। শুধু গরুর ব্যাপারে লোভ সামলাতে পারিনা। খাসির মাংসও আমার অপছন্দের।
আমি প্রচলিত খাবার অপ্রচলিত উপায়ে রাঁধতে পছন্দ করি। :)

১৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫০

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষই মানুষকে সেরা বলছে।যেমন আল্লাহকে দয়ালু বলি।সুনীল খুব একটা পড়া হয় নাই।পড়া শুনায় আমি অনেকটা পিছিয়ে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০০

শেরজা তপন বলেছেন: আমরাই আমাদের সব গুণে গুণান্বিত করি- অন্য প্রাণী নয়!!!
সময় সুযোগ পেলে ' ছবির দেশে কবিতার দেশে পড়বেন' পিডিএফ পেতে পারেন।

১৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: লেখার শিরোনাম দেখেই বেগম রোকেয়ার রসনা বিলাসের কথা মনে পড়লো। সুন্দর একটা লেখা পড়লাম ভাই।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল নেওয়াজ আলী ভাই।
অনেক ধন্যবাদ -শরিরের প্রতি একটু নজর রাখবেন। মানে 'যত পারবেন খাবেন না' :) এ উপদেশ আপনার জন্য নয়।

১৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খাও তুমি যত পারো :)

কন কী মমিন ভাই?

আমি তো খাই মোটে মুঠোখানি ভাত লাঞ্চে, সকালে-রাতে একটা করে পরোটা, আমার ডায়াবেটিস যে :(

এত রসনা ভেজানোর সুযোগ কই?

একটা বিষয়ে আপনার ভাবনা বা বক্তব্যের সাথে নিজের ভাবনার মিল পেয়ে ভালো লাগলো। আমার একটা গল্প আছে, মশার জীবন, সেখানে মানুষের কিছু সূক্ষ্ম নিষ্ঠুরতার কথা বলা হয়েছে, যেগুলোকে কখনো নিষ্ঠুরতা বলে গণ্য করা হয় না। মানুষ ভুলে যায় যে, প্রতিটা প্রাণীরই কষ্ট বোধ আছে, আঘাতে ব্যথা পায়। একটা মানুষ বাসের চাকায় পিস্ট হলো, আরেকটা কুকুর বা বিড়ালও পিষ্ট হলো, কার কষ্টটা বেশি? প্রাণবতা ও মানবতা


চমৎকার পোস্ট। আরো কিছু বলার ছিল, কিন্তু যাব এখন ঘুমু দিতে :) শুভ ঘুমাহ্ন :)

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: আহা আপনারও মধুমেহ রোগ!!!
এইটা হইল- পৃথিবীর যাবতীত ভোজন রসিকেরা এভাবে ঝড়ে পড়লে রসনা'র কি হবে!! খাবার শেষে কার পাতে চিনি-পাতা দৈ আর পানতোয়া ঢালবে??
আপনার লেখা দুটো পড়ব বলে জমিয়ে রাখলাম- পোস্টে গিয়ে হাজির হব যে কোন সময়ে।
ঘুমের সময়টা এত্ত কেন তড়িঘড়ি করে আসল :(

১৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৩২

নগরবালক বলেছেন: শেরজা ভাই , ডলফিন হত্যার ব্যাপারটা নরওয়ের উপকূলে হয়, ফিনল্যান্ডের উপকূলে নয় ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভুল আমার হতে পারে তবে এই সংবাদটা একটু দেখবেন;
Faroe Islands sets quota of 500 dolphins to be killed in controversial annual whale hunt

২০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪১

সোহানী বলেছেন: শেরজা ভাই, খাদ্য চেইন নিয়ে আমার দ্বিমত নেই। এটা চলছে, চলবে যুগের পর যুগ কিন্তু খাদ্যের নাম করে অমানবিক কাজ সহ্যের বাইরে। আর অমানবিক কাজ চলছে কোটি কোটি বছর ধরে। সেটা প্রানী হত্যা, মানুষ হত্যা, নৃশংসতা........... সব কিছুই।

যুদ্ধে যে শত্রু কে হত্যা করে সে ও তো মানুষ। যে বাঘ শিকার নিয়ে বড় বড় বই লিখা হয় সে ও তো প্রানি। পাখি শিকারের যে বাহাদূরী শোনানো হয় তারও প্রান আছে.....................।

এ মানবিকতার নামে অমানবিকতা খেলা চলছে যুগের পর যুগ। কোনভাবেই ঠেকানো সম্ভব নয়।

বিকৃত রুচি, অমানবিকতা, নৃশংসতা নয়, একটি মানবিক পৃথিবী চাই। সেটা মানুষের জন্যই হোক বা অন্য কোন প্রানীর জন্যই হোক।

চমৎকার একটা লিখা। এ নিয়ে যে আমি প্রায়ই ভাবি।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমি এমন ভাবি-আপনার মত করেই ভাবি!
অবশ্য মানুষ এখন আগের থেকে অনেক বেশী সচেতন হচ্ছে- পশু ও প্রকৃতি প্রেম বাড়ছে। এটা সুখের কথা।
অন্যদিকে আবার পৃথিবীতে দিনে দিনে নৃশ্বংসতা বেড়েই চলেছে। এটা কষ্টের!

যুদ্ধে যে শত্রু কে হত্যা করে সে ও তো মানুষ। যে বাঘ শিকার নিয়ে বড় বড় বই লিখা হয় সে ও তো প্রানি। পাখি শিকারের যে বাহাদূরী শোনানো হয় তারও প্রান আছে.....................।
চমৎকার বলেছেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আসুন আমরা সবাই আরেকটু মানবিক হই।

২১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২১

রানার ব্লগ বলেছেন: একটা সুষ্ঠ খাদ্য চেইন আমাদের কে সুস্থ্য রাখবে কিন্তু উহা যখনি অতিরঞ্জিত হয় তখনি বিপদ । আপনার লেখা পড়ে তো এখন ভেজিটেরিয়ান হতে মন চাইছে । উহ !! উহারো প্রান আছে এবং উহাকেও হাইব্রীডের নামে অত্যাচার করা হয় !

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১

শেরজা তপন বলেছেন: এত ভাবতে গেলে না খেয়ে থাকা ছাড়া গতি নেই। প্রাণ সংহারের জন্যই পৃথিবীভুমে আমাদের আগমন- অতএব মৃত্যু ব্যাতীত সে থেকে নিস্তার নেই। আমৃত্যু খুন খারাপি করতে হবে :(

মন্তব্যে সহমত।

২২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মানুষের লোভ আর রসনার শিকার যখন পশু পাখি তখন কেবল ভাবি এত ডিম না খেলে তো লক্ষ লক্ষ মাছ বেঁচে যায়।

খাওয়ার ব্যাপারে আমি মোটা মোটি হালাল সব কিছু খাই। আমিও আপনার মত নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে রান্না করি নিজের হাতে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: কিছু মাছের ডিম দেখে লোভ সামলাতে পারি না। কিন্তু ইদানিং এসব খাবার সময়ে নিজেকে খুব নিঃশ্বংস মনে হয় :(

যাক আর একজন রাধুনী পাওয়া গেল। ব্লগের পিকনিক হলে একেক জনকে একেক আইটেম রান্নার ভার দেয়া যেতে পারে কি বলেন?

২৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ে মনে পড়ে গেলো-
অনেক বছর আগে একটা ডকুমেন্টরি দেখেছিলাম- একটা বানরকে মাথায় লোহা দিয়ে আঘাত করা হয়। সাথে সাথে মাথা ফেটে বানরের মৃত্যু হয়। তখন তিনজন লোক সেই মানরের মাথার মগজ চেটেপুটে খেয়ে নেয়।
এরপর-
বাকিটুকু বললাম না। বললে বমি করে দেবেন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: যেইটুকু বলেছেন থাক আর বইলেন না!
মানুষ অনেক অপ্রচলিত ও কিছু নিকৃষ্ট খাবার খায় সত্য কিন্তু এমন ভয়ঙ্কর নিঃশ্বংস উপায়ে না খেলেই কি নয়!!!!

২৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫১

অনামিকাসুলতানা বলেছেন: খাদ্য খাওয়া এই টাই ত আমাদের জীবন আর এর জন্যই ত এত আয়োজন।
আমরা না খেলে ও ত এরা একদিন মারা যাবে, এই মনে করে নিজেকে প্রবোধ দিই।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: আমরাওতো একদিন মারা যাব- তাই যদি অন্য কেউ আমাদের ধরে ধরে খাইত :)
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ভাল থাকবেন।

২৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি ঝিনুক, ব্যাঙ, কাকড়া এবং বাদুর খেয়েছি। ফোঁয়া তৈরীর প্রক্রিয়াটা সত্যিই অনেক অমানবিক। যে ব্যক্তি ইদুরের পিছনে সেলাই করে দেয়ার আইডিয়া বের করেছে তাহাকে নোবেল পুরস্কার দেয়া উচিৎ, এটা সত্যিই অনেক হাস্যকর সেই সাথে অমানবিক একটা বিষয়ও বটে। আসলে মানুষ নিজ অভিলাষ পূরণ করতে সব প্রাণীর প্রতিই অমানবিক আচরণ করে। বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরাটাও আমার কাছে অমানবিক মনে হয়।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১১

শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় জ্যাক স্মিথ, দেরিতে মন্তব্যের উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত!
হত্যা সেটা যেভাবেই হোক- যেমনি হোক না কেন সব সময় কষ্টকর নিষ্ঠুর বিষয়।
না ভাই আমার কখনো ঐসব জিনিস খাওয়া হয়নি আমি খাবার-দাবারের ব্যাপারে খুব বাছ-বিচার করে চলি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকুন সবসময়।

২৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৬

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: জৈন অনুসারী হতে পারেন খাবার ব্যাপারে। মানুষের জন্ম প্রক্রিয়াটাই তো অমানবিক, মানুষের চোয়ালও অমানবিক, সৃষ্টিকর্তার ছোঁয়ায় অথবা বিবর্তনে আমাদের দন্তপাটি তৃণ ভোজীর ন্যায় হতে পারতো।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের দাঁতের পাটি ও চোয়াল নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে অনেক তত্ত্ব দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা :)
ভয়ংকর এক সর্ব বিনাশী খাদক আমরা!! মানুষের শরীরের জন্য অ্যানিমেল প্রোটিন খুবই প্রয়োজন- সবার পেটে আবার দুধ হজম হয় না। ইচ্ছে অনিচ্ছের ব্যাপার নয় তবে পুরোপুরি নিরামিষভোজী হয় প্রায় অসম্ভব আপাতত।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

২৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৮

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: বলতে ভুলে গেছি লেখা পড়ে মজা পেয়েছি, মাংসভোজীর ন্যায় :) :) :)

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ এমন চমৎকার মন্তব্যের পরেও দেখেন উত্তর দিতে কত দেরি হয়ে গেল!! সেজন্য অনুতপ্ত ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.