নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
শবেবরাতের মহান কল্যানময় রাত শুরু হয়ে আর কিছু সময় বাকি! মঙ্গলবার বিকাল তখন ৪টা ৫০ মিনিট। সূর্য পশ্চিমাকাশে অস্ত যাচ্ছিল। একটু পর আঁধারে ঢাকা পড়বে গোটা শহর-আমরা রাতভর ইবাদত বন্দেগী আর রুটি হালুয়া খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি তখন।
অন্যসব ব্যস্ত এলাকার মতো গুলিস্তান সিদ্দিকবাজারও ভীষণ ব্যস্ত। মার্কেট আর দোকানগুলোয় প্রচণ্ড ভিড়। ফুটপাত দিয়ে পথচারীরা ছুটছে নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে। রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট। রিকশা, বাসসহ অন্যান্য যানবাহন চলছে থেমে থেমে। রাস্তার এক পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা আছে রিকশা, ঠেলাগাড়ি আর ভ্যানগাড়ি। হঠাৎ এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে সবকিছু লন্ডভন্ড। কেউ কিছু বোঝার আগেই পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবনের নিচের দিকটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা গুলিস্তান। ধোঁয়ায় অন্ধকার পুরো এলাকা। এর পরই মানুষের গগনবিদারী আর্তনাদ। মুহুর্তেই চাঞ্চল্যে ভরা সিদ্দিকবাজার যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হলো। রাস্তার ওপর পড়ে আছে রক্তাক্ত অসংখ্য মানুষ। ভবনের নিচতলার কলাপসিবল গেট বিচ্ছিন্ন হয়ে সড়কে পড়ে আছে। তার নিচে পড়ে কাতরাচ্ছে পথচারী।
বিধ্বস্ত একাধিক মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যান। ভবনের কাচ, ইট, পাথর বালুসহ নানান কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে সড়কে। ভবনগুলোর সামনের সড়কে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়েছিল ধ্বংস্তূপের চেহারা। বিধ্বস্ত ভবনের ভিতর থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল আহতরা। শতাধিক মানুষের এমন আর্তনাদে বিভীষিকাময় এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সিদ্দিকবাজারে। কারও মাথা ফেটে গল গল রক্ত ঝরচ্ছিল। কারও হাত বিচ্ছিন্ন। আবার কারও হাত পুরো বিচ্ছিন্ন না হয়ে ঝুলছিল। কেউ রাস্তার ওপর উপুড় হয়ে পড়ে আছে। মাথার খুলি উড়ে গেছে। ঝলসানো শরীরে গড়াগড়ি খাচ্ছিল অনেকেই। বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিল তারা। সিদ্দিকবাজারের এই ভয়ংকর বিস্ফোরণের খবর ছড়িয়ে পড়ে বিদ্যুৎগতিতে। ছুটে আসেন ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা। আসে পুলিশ র্যাব আনসার। গুরুত্ব বিবেচনায় উদ্ধারকাজে অংশ নেয় সেনাবাহিনীও।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত উদ্ধার করা হয় ২১ জনের লাশ। এ ছাড়া আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। চারজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় আহতদের আর্তনাদ আর নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। এ ঘটনার মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় একই ভাবে বিস্ফোরণে ভবন ধসে পড়ে। এর এক দিন আগে বিস্ফোরণ ঘটে চট্টগ্রামে। এক সপ্তাহের মধ্যে একই ধরনের তিনটি বিস্ফোরণ ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে, কেন এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ।~খবর ও ছবিসুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
****
এক সপ্তাহের মধ্যে একই ধরনের তিনটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ- অথচ আমরা ব্লগারেরা নিঃশ্চুপ!! আমরা ব্যাস্ত আছি কবিতা সাহিত্য নিবন্ধ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ক্যাচাল আর কুকুর বিড়ালের মাংস নিয়ে(যারা এসব বিষয় নিয়ে লিখছেন তারা অবশ্যই লিখবেন- কি নিয়ে লিখবেন না লিখবেন এটা যে কোন ব্লগারদের ব্যক্তি স্বাধীনতা)- তবে চলমান ভয়ঙ্কর এইসব দুর্ঘটনা ও বিষয়াদি এড়িয়ে যাবার জন্য একজন একটিভ ব্লগার হিসেবে আমিও দায় এড়াতে পারব না। ছোট কিংবা বড় পরিসরেই হোক না কেন আমাদের ব্লগারদের উচিৎ নয় কি এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা? এভাবে আমরা নিজেরা যার যার হ্যাডাম প্রচার করে গা বাঁচিয়ে চলব কতদিন???
* মোবাইল থেকে পোস্টটি লেখার জন্য আসলে যা এবং যেভাবে বলতে চাচ্ছিলাম পুরোপুরি সেভাবে বলতে পারিনি।
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগারদের কোন আলোচনাতেই দেশ ও জনগণের বিশেষ উপকার হচ্ছে বলে মনে হয় না।
আমরা প্রায় সবগুলো গাড়াই ব্লগিং করে হতাশার প্রায় শেষ সময় পৌঁছে গেছি আমাদের ধারণা হচ্ছে যে আমাদের কথা কেউ শুনছে না-অতএব বলে কি লাভ- বলে কি হবে?
কিন্তু সমাজের বুদ্ধিমান সচেতন শিক্ষিত সাহিত্যিক পরিমণ্ডলের মানুষ হিসেবে দাবী করা ব্লগারদের অবশ্যই এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই হবে। সেটা কারো উপকার হোক বা না হোক তাই মনে করি আমি।
২| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমিও অবাক হয়ে গেলাম গুলিস্তান নিয়ে সকলের এমন নিশ্চুপ দেখে। আমাদের এখানে লোকাল পেপারে টিভিতে আমরা দেখছি কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই নিয়ে একটি পোস্ট ব্লগে আসেনি। খুবই মর্মান্তিক দুঃখজনক ঘটনা। বর্বরোচিত কাপুরুষের মতো নিরিহ মানুষদের এভাবে যারা নির্বিচারে হত্যা করছে সেইসব সভ্যতার কলঙ্কদের নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরী ভাই আপনাদের লোকাল পত্রিকায় ফলাও করে সব প্রচার হয়েছে জেনে ভালো লাগলো- কিন্তু অনেকেই হয়তো এটাকে নাশকতা হিসেবে প্রচার করতে চাচ্ছে কিন্তু এখনো প্রমাণিত হয়নি যে এগুলা আসলে নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা।
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯
শাহ আজিজ বলেছেন: তপন , ঠিক কিসের বিস্ফোরণ হয়েছিল তা না জেনে কিছু লেখা অসম্ভব । আমাদের সেসব যন্ত্রপাতি নেই , বিশেষজ্ঞ নেই । আমরা অন্ধকারে অনেকটা । তবে আমার মনে হয় এই বিস্ফোরণ কাহিনী কখনো আলোর মুখ দেখবে না । ইতিমধ্যে কাদের সাপ বি এন পি আর জামাতের ওপর তীর নিক্ষেপ করে ফেলেছেন । আমি ঘটনার রাতে এরকমটাই মনে করে ঘরের লোকেদের জানিয়েছিলাম ।
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগারদের এমন একটা ঘটনা ঘটেছে এইটা নিয়ে আলোচনা করা এবং এর ভয়াবহতা নির্মমতা এর জন্য যারা সত্যিকার অর্থে ভুক্তভোগী তাদের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানানো উচিত ছিল। এর থেকে বেশি কিছু করার সামর্থ্য আমাদের নেই তবুও বিষয়টা নিয়ে সবাইকে অবহিত করলেই হত।
৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমরা প্রায়ই অভিযোগ করি যে আগের ব্লগের অবস্থা আমরা মিস করি। এই পয়েন্টটা বড় একটা পয়েন্ট। আগে কোন কিছু ঘটলে ব্লগে আসলে পত্রিকা থেকে বেশী ইনফো পাওয়া যেতো। সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন লেখা আসতো। কিন্তু এখন সেটা আর হয় না।
বিজ্ঞান নিয়ে করা ব্লগের দিকেও তাকান। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ কত কিছু করে ফেললো, খুব কোন লেখালেখি সাড়া শব্দ নাই ওখানে!
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: সহমত - আমাদের ব্লগের বর্তমান হাল হাকিকত সম্বন্ধে ছোট্ট করে চমৎকার বলেছেন।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের কোনো পথ কি জানা আছে আপনার?
৫| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ব্লগারদের উদাসীনতা কিম্বা সচেতনতা কোনো অযুহাত হতে পারেনা। ব্লগাররা কি আইনশৃংখলা কমিটির সশস্র পাহারাদার? ব্লগাররা কি রাজউক কিম্বা ফায়ার সার্ভিসের কেউ? ব্লগাররা কি প্রশিক্ষিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মী কিম্বা উদ্ধারকারী?
যাদের এইসব দেখার দায়িত্ব তারা সবাই আছে ব্যক্তিবন্দনা আর তোষামোদে ব্যস্ত। কোনো অঘটন ঘটলেই বিএনপি-জামাতের দোষ দিয়ে গণগ্রেপ্তার করেই দ্বায়িত্ব পালন করে!
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: কেন ঘটল কিভাবে ঘটলো কে ঘটালো এর পেছনে দায়ী কারা এই নিয়ে ব্লগারদের সম্ভবত দায়-দায়িত্ব না নিলেও চলবে চলবে -কেন এর কারণগুলো আপনিই বর্ণনা করে দিয়েছেন।
এই দুর্ঘটনা ভয়াবহতায় আহত ও নিহত মানুষদের প্রতি সমবেদনা সহানুভূতির বা সাধ্যমত সাহায্যের কি প্রয়োজন নেই? মানুষকে সতর্ক করা হতো আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যদিও ব্লগ এখন অতি ক্ষুদ্র পরিসরে আবদ্ধ হয়ে গেছে তবুও যার যার জায়গা থেকে তার সেটুকু কাজ করার চেষ্টা করা উচিত।
৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: বর্তমানে সামু ব্লগের আলোচনা চায়ের দোকানের আলোচনার ছাড়া আর কিছুই না । অনেকে অবশ্য ফ্যান্টাসীতে ভোগে যে এখানে আলোচনা করে তারা কী না কী করে ফেলছে কিন্তু এখানে এই আলোচনা এই পোস্ট পড়া আর মন্তব্য পর্যন্তই সীমাবদ্ধ !
একটা সময় হয়তো এই আলোচনা ব্লগে পেরিয়ে বাস্তব জীবনে প্রভাব রাখতো এখন রাখে না ।
চায়ের দোকানের এই আচলোনা নিয়ে এতো সিরিয়াস হওয়ার কিছু নেই ভাই । দেশে কী হচ্ছে না হচ্ছে বিশ্বে কী হচ্ছে না হচ্ছে সেটা নিয়ে এখানে লিখলেও যেমন কিছুই হবে না না লিখলেও কিছু হবে না ।
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: সহমত পোষণ না করে উপায় নেই- তবু অতীব দুঃখের সাথে কষ্টের সাথে সহমত পোষণ করছি!
তবে ব্লগের এতটুকু সংসার আর ছোট্ট ও সীমাবদ্ধ এই গণ্ডি আমার জীবনে অনেক প্রভাব বিস্তার করে আছে। সিরিয়াস তো হতেই হবে মাঝে মাঝে না হলে চলবে কেমনে!!!
৭| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
সাইন্স ল্যাব বসুন্ধরার গলিতে বিস্ফোরণ নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অনেক কারণে লিখতে চাইনি। বড় একটা কারণ হলো কষ্ট করে লিখে পাঠক পাওয়া যায় না। আরেকটা কারণ হলো লিখে লাভ নেই। ব্লগকে আর সেইভাবে দেখা হয়না।
আপনার শিরোনামের সাথে একমত তপন ভাই। ভাবনাটা আমার এসেছিলো। ব্লগারদের উদাসীনতার কারণ নিশ্চয় আছে।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন প্রিয় ব্লগার।
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১২
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার স্বপ্নবাজ সৌরভ।
আমার মনে হয় যে কোন কারণ উপেক্ষা করে আপনার লেখা উচিত ছিল। কোন বিশেষ লেখা ব্লগে কেউ না পড়লে মন্তব্য না করলে আসলেই কষ্ট লাগে! যে যত বড় কথাই বলুক না কেন 'কিছু যায় আসে না' কিন্তু এটা নিশ্চিত ভাবে কষ্টের।
আপনার বেদনা আমি অনুভব করতে পারছি
৮| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটা সময়ে দেশের দূর্ঘটনা, দূর্যোগ নিয়ে লিখতাম। এখন আর লেখি না। হতাশা থেকেই লেখি না। 'প্রকৃতির প্রতিশোধ' বলে যেমন একটা কথা আছে, তেমনি 'কু-কর্মের অভিশাপ'' বলেও একটা কথা আছে। ব্লগে এসব নিয়ে লিখে কি হবে? কোন পরিবর্তন কি হবে? না..... কিছুই হবে না। তাহলে শুধু শুধু সময় নষ্ট করবো কেন? বরং সেটা অন্য কাজে ব্যয় করাটাই কি স্বাভাবিক না?
চোখের সামনে একটা প্রানবন্ত, সুন্দর শহরের মৃত্যু দেখেছি। আমার আবেগের প্রিয় ঢাকা এখন কংক্রীটের শহর। মৃত্যুপুরীর নগর। এতো সবে শুরু। দেখতে থাকেন..........সামনে আরো বিশাল বিশাল বিপদ ওৎ পেতে আছে। যারা আজকের ঢাকার এই পরিনতির জন্য দায়ী, তাদের সবার বিভিন্ন দেশে আস্তানা আছে। প্রয়োজনের সময়ে এদের কাউকেই পাওয়া যাবে না। সাধারন মানুষের জন্য যে ভয়াবহ পরিনতি অপেক্ষা করছে, সেটা ঠেকানোর কেউ নাই, ঠেকানোর কোন চেষ্টাও নাই।
দেশ যারা চালায়, তাদের মুখে থু থু দেয়া ছাড়া আম-জনতা আর কিছুই করতে পারবে না।
আপনি লিখেছেন.............অভিনন্দন!!!
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: অভিনন্দন এর প্রত্যাশা করে লেখেনি ভাই।
এই যে আপনি যেটুকু বললেন এরকম কিছু কথা শোনার জন্য লিখেছি।
কিছু হবে না জানি তারপরে এই নিয়ে ব্লগে কিছু একটা আলোচনা করতে পেরেছি ভেবে মনকে প্রবোধ দিতে পারবে সান্ত্বনা দিতে পারব আর ভবিষ্যতের জন্য কিছুটা হলে সতর্ক তো হতে পারব।
একদা প্রাণের শহর যাদুর শহর ঢাকার প্রতি আপনার মর্ম কষ্টের কারণ কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পারছি।
৯| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:০২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
কচুরীপানার মত ভাসতে দেখলে সবারই ঐভাবে ভেসে থাকার লোভ জাগে।
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: একটু ডিটেলে বুঝিয়ে দিয়ে কৃতার্থ হতাম সুপ্রিয় ব্লগার
১০| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১৯
নতুন বলেছেন: আসলে দৈনন্দিন জীবন নিয়ে এতো ব্যস্ত যে পত্রিকা, টিভি, বা নতুন খবর দেখা হয় না।
এখন ব্লগে সবার লেখা পড়ারও সময় হয় না।
একটা সময়ে পত্রিকার চেয়ে ভালো তথ্য ব্লগে পেতাম। এখন সেটা আসলেই আসছেনা।
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: মানুষ আচমকা কেন এত ব্যাস্ত হয়ে গেল!
কারো হাতেই সময় নেই!!! আসলে আমাদের গন্তব্য কোথায়- আমরা কোন পথে যাচ্ছি????
হ্যাঁ একসময় ব্লগে অনেকেই আসত চুলচেরা বিশ্লেষণ ও ঘটনা বা দুর্ঘটনার আপডেট পেতে।
১১| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:২২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অভিনন্দনের প্রত্যাশা করে যে লেখেন নাই, সেটা জানি। তরপরেও অভিনন্দন দিলাম, কারন ব্লগারদের পক্ষ থেকে একটা দায়িত্ব অন্ততঃ আপনি তো পূরণ করলেন, তাই না!! ঢাকাকে নিয়ে একটা এলোমেলো লেখা বহু আগে লিখেছিলাম। আমার জন্ম-জন্মান্তরের আবেগ কেন ঢাকাকে ঘিরে, ঢাকার এই পরিণতিতে কেন কষ্ট পাই, সেটা খানিকটা বুঝতে পারবেন।
মন্তব্য করার দরকার নাই। শুধু পড়লেই হবে।view this link
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: যদিও আমার জন্ম ঢাকায় নয় কিন্তু তিন দশকেরও বেশী সময় ঢাকায় বসবাসের সুবাদে ঢাকা আমার বড্ড আপন হয়ে গেছে।
ধীরে ধীরে দেখলাম একটা শহরের ও শহরের মানুষগুলোর আমুল পালটে যাওয়া। উপলব্ধি হয়তো আপনার মত নয় তবে তবে কাছাকাছি।
আপনার লেখাটা না পড়লে মিস করতাম- একজন ঢাকা পাগল লোকের কথা জানা হোত না।
১২| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেকে বলছেন এসি বিষ্ফোরন বা এসি গ্যাসের বিষ্ফোরন।
এটা অসম্ভব। এসি বা রেফ্রিজারেটর বিষ্ফোরন হওয়াটা নজিরবিহীন। কম্প্রেশর গরম হলে আগুন লাগতে পারে তবে বিষ্ফোরন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এসি গ্যাস R22 বা আধুনিক পরিবেশবান্ধব R410a ফ্লেমেবল হলেও পেট্রল বা ন্যাচারাল গ্যাসের চেয়ে অনেক কম ফ্লেমেবল। বাসার ফ্রিজের গ্যাস R16 বা R134a একই ধরনের কম দাহ্য।
একটা বড় এসিতে যে পরিমান ২ থেকে ২.৫০ কেজি গ্যাস থাকে এতে সামান্য বিপদ ঘটানোর সম্ভাবনাও দেখিনা। আর মুলকথা এসির কম্প্রেসর , কন্ডেন্সর এসির ভারি অংশ ও এসির প্রায় সবটা গ্যাস রুমের বাইরের ইউনিটে থাকে। রুমে থাকে ঠান্ডা ইভাপেরেটর। লিকেজ হলে বাহিরেই বেশী হয়।
বিষ্ফোরনের মুল কারন গ্যাস। মিথেন গ্যাস।
ঢাকার তিতাস গ্যাসের লাইন অনেক পুরোনো, ৩০-৫০ বছর, কখনোই রিপ্লেস করা হয় নি। আর হবেও না।
বৃষ্টি হলেই দেখবেন রাস্তার আনাচে কানাচে বুদবুদ। এ সব লিকেজ গ্যাস অপচয় তো আছেই, আরো আছে বিপদ। গ্যাস লিকেজের কিছু গ্যাস চলে যায়, বাকিটা সুয়ারেজ লাইনে জমা হয়, চাপ বাড়লে তা বিভিন্ন বাসায় বাসায় চলে যেতে পারে। সুয়ারেজ লাইনে এসে জমা বায়োগ্যাসও থাকে, সেটাও মিথেন গ্যাস।
বিল্ডিঙ্গে গ্যাস লাইন না থাকলেও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে পিটে বায়োগ্যাস/লিকেজ গ্যাস জমলে তা পাইপ দিয়ে রুমে এসে পরে।
রুমে ভেন্টিলেশন না থাকলে বড় বিপদ ঘটার সম্ভাবনা। এক একটি রুম বোমায় পরিনত হয়। ডেটোনেশনের জন্য সামান্য সুইচ স্পার্ক যথেষ্ট।
ফায়ার ব্রিগেডের তথ্যমতে প্রতি বছর দেশে হাজারের উপর গ্যাস দুর্ঘটনা হচ্ছে।
তাই বদ্ধ ঘরে সুইচ বা চুলা জালানোর আগে জানলা দরজা খুলে দিন।
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: দারুন মন্তব্য! আমার মত অনেকেই আপনার এই মন্তব্যে উপকৃত হবেন।
যদি কেউ বলে লিখে কি হবে- তবে বলব ব্লগারদের মন্তব্যগুলো পড়ার জন্য। দু-চারজন উপকৃত বা সাবধান হলেই বা ক্ষতি কি।
১৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: কোন প্রকার প্রাকৃ্তিক দুর্যোগ ছাড়াই ঢাকায় ভবন ধসে পড়ছে, বিস্ফোরন হচ্ছে। এসবের জন্য দায়ী রাজউক, বিপ্যূৎ , গ্যাস ও পানি মন্ত্রনালয় । ঢাকার বাসা বাড়ী এখন একেকটা তাজা বোমা। এসব নিয়ে লিখতে লেখালেখি খুব বিপদজনক। তাই হয়ত কেউ লিখতে চায় না।
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: আমার এই লিখাটা কি আপনার কাছে বিপদজনক মনে হচ্ছে?
আমাদের খোঁচাখুঁচির দরকার নেই- অত গভীরেও ঢোকার দরকার নেই। বড় ধরনের চাপ আসলে এই ব্লগ ও বেশীরভাগ ব্লগারদের সেই চাপ সামাল দেবার সামর্থ্য নেই- তাই, আমার মত রেফারেন্স দিয়ে পোস্ট দিলেই চলে।
১৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪
সোনাগাজী বলেছেন:
ব্লগার জুল ভার্ন, অপু, জ্যাকেল, সোনালী কাবিন, মা. হাসান ঢাকায় আছেন, তাঁদের লেখার কথা; আমি তো উনাদের পোষ্ট পড়ার জন্য বসে আছি। এখন ভোর ৫: ১৩ মিনিট, চা খাচ্ছি; দেখি উনাদের পোষ্ট আসে কিনা!
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: জ্যাকেল, মা. হাসান, সোনালী কাবিন বেশ দীর্ঘ সময় ব্লগে নেই সম্ভবত তাই উনাদের টানাটানি না করাই ভাল।
বাকিদের জন্য অপেক্ষা করে ক্লান্ত হয়ে আপনি নিজেই পোস্ট দিয়েছেন দেখলাম
১৫| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৬
শিশির খান ১৪ বলেছেন: ভাই এই রকম দুর্ঘটনা আরো ঘটবে বিল্ডিং এর নিচে যেই গ্যাস লাইন গুলা আছে এইগুলা অনেক পুরানো এই গুলার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই পরবর্তী সময়ে অপরিকল্পিত ভাবে যে বিল্ডিং গুলো উঠছে এই গুলা ভাইংগা গ্যাস লাইন পরিবর্তন করা আর সম্ভব নয় অতএব এই রকম দুর্ঘটনা আরো ঘটবে কিচ্ছু করার নাই। অপরিকল্পিত নগরায়ন বলতে কি বুঝায় এখন বুঝেন
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: বড়ই দুর্ভাগা জাতি আমরা! ঢাকাতে এমনিতেই ভয়ঙ্কর বায়ুদুষনের মধ্যে বসবাস আমাদের- এরপর মাটির নীচে পুরনো গ্যাসের লাইনে মরনফাঁদ, কিছু যদি করার না-ই থাকে তবে বসে বসে মৃত্যুর প্রহর গোনা ছাড়া আর উপায় কি!!!
১৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এত ঘন ঘন আগুন লাগা, বিস্ফোরণ, সত্যিই খুব উদ্বেগের বিষয়। কোনো জায়গাকেই নিরাপদ মনে হচ্ছে না।
ঢাকা শহরে কোনো নিয়ম মেনে বিল্ডিং নির্মাণ করা হয় না, ইলেক্ট্রিক তার, অন্যান্য কেবল যেভাবে মাখামাখি করে লাগানো হয়, কোনদিন যে পুরা ঢাকা শহরে দাবানলের মতো আগুনের শহরে পরিণত হয়ে যায়, বলা যায় না। দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে গেছে। এগুলো সাফ করা না গেলে মুক্তি নাই।
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: যে আকাম হইছে- জঞ্জাল সাফ করার পরেও অর্ধশত বছর লেগে যাবে ঢাকাকে বসবাসের নগরী করতে।
ইলেকট্রিক, টেলিভিশন ক্যাবল আর ইন্টারনেট ক্যাবলে পুরো ঢাকা মাকড়সার জালে আটকে গেছে।
প্রতিমুহুর্তে শঙ্কা জাগে মনে আমি কি নিরাপদ??
১৭| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
সোনাগাজী বলেছেন:
অপু, জুল ভার্ন কোন কিছুই সঠিকভাবে লিখতে পারেন না। অপুর গল্পের অধ্যায়ের শেষ হয়েছে।
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: দু'জনেই ভাল লেখক ও ভাল মানুষ। আপনি চিনতে ভুল করেছেন।
প্লিজ কোন ব্লগারের নামে আমার ব্লগে এসে বদনাম করবেন না।
১৮| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬
কামাল১৮ বলেছেন: অনেক কিছুই আমরা খুব আয়োজন করে শুরু করি তারপর আস্তে আস্তে ঝিমিয়ে পরি, ব্লগের এখন সেই অবস্থা চলছে।এক সময় হয়তো বেরিয়ে আসবে নয়তো হারিয়ে যাবে।এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: হুম
ফেসবুকের উপরে বাঙ্গালী যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে- এরও দুর্দিন শুরু হোল বলে।
এখনো আশা আছে ব্লগ ফের জেগে উঠবে।
১৯| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৫৯
কামাল১৮ বলেছেন: আপনারা যারা গুনী লেখক আছেন তাদের সাথে নতুন কিছু লেখক যুক্ত হলে আশা করা যায়।গঠন মুলক বিতর্কের দরকার ছিলো।বেশির ভাগ হয়ে যায় ক্যাচাল।
১০ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও মোটেও গুণী লেখক নই- এটা আপনার ভুল ধারণা। সার অন্তঃহীন এদিক ওদিক থেকে টুকলি করে খেটে খুটে পোস্ট দেই আর নিজের বাস্তব কিছু ঘটনার বিবরণ।
তবে পরের অংশটুকু ঠিক; নতুন কিছু লেখক যুক্ত হলে আশা করা যায়।গঠন মুলক বিতর্কের দরকার ছিলো।বেশির ভাগ হয়ে যায় ক্যাচাল।
ধন্যবাদ ফের।
২০| ১০ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:৫৬
স্মৃতিভুক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ@ তপন, এই দুঃখজনক ঘটনাটা নিয়ে লেখার জন্য। আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত, এই ধরণের বিষয়াদি এড়িয়ে যাবার দায় আমরা এড়িয়ে যেতে পারবো না। কিন্তু জানেন তো কত উঁচু মানের ভন্ড এবং নির্লজ্জ প্রাণী আমরা ….রাস্তায় মানুষ পড়ে থাকতে দেখলেও আমরা না দেখার ভান করে কিংবা ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে সরে যাই - নিজেকে সান্ত্বনা দেই এই ভেবে যে কেউ না কেউ ওনার পাশে দাঁড়াবে। এসব ঘটনা আসলে গা সওয়া হয়ে গেছে আমাদের। কিছুদিন তুমুল আলোচনা, এক হাতে চা আরেক হাতে সিগারেট নিয়ে আড্ডার নতুন টপিক, তারপর আবার সবই এক। ফলাফল শূন্য।
জানি, আপনার এই লেখার মাধ্যমে কোনো কিছুরই পরিবর্তন হবে না, সবকিছু যেমন আছে তেমনি থাকবে, নিয়মের (আসলে "অনিয়মের" কোনো ব্যাত্যয় ঘটবে না কিন্তু মানুষগুলোর জন্য যে সহানুভূতি আপনি দেখিয়েছেন, তার জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ। আপনি দেখিয়েছেন, পাশে না থেকেও অনেক সময় পাশে দাঁড়ানো যায়।
ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন আপনি।
১০ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: আমার ব্লগে আপনার মন্তব্যে দারুণভাবে প্রীত হলাম!
আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন করতে বাধ্য হচ্ছি- বাস্তবতার চাপে, কোন ঝামেলায় ফেঁসে যাবার আশঙ্কায়( ব্যাপক অর্থে- ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন) আমরা অনেকেই না চাইলেও এডিয়ে চলি। যারা দাঁড়ায় তাদের পাশে তারা অতি মহানুভব- কিন্তু একসময় তাদেরও অনেকে প্রতিজ্ঞা করে কোনদিন ভুলেও এই আপদে জড়াবে না।
ধন্যবাদ আমার পাওনা নয়- পাবে সামু ব্লগ। মনের মধ্যেতো কত কথা ঘুরে ফিরে বেড়ায়-ব্লগ আমাদের এমন একটা প্লার্টফর্ম না করে দিলে সে কথা আর বলা হোত না কোন দিন। গরম চায়ের বাস্পে আর সিগারেটের ধোঁয়ায় সে কথা বাতাসে মিলিয়ে যেত অবলীলায়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করে ব্লগিং-এ অনুপ্রাণিত করবার জন্য।
২১| ১০ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমি ভাবছিলাম এই বিষয় নিয়ে কোন পোস্ট নেই কেন আপনি পোস্ট দেওয়াতে সামুতে এ সংক্রান্ত কিছু তথ্য পাওয়া গেল। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত দেশে জাতির জনগণ নিয়ে ভাবার সময় যেন কার নেই।
কেন হচ্ছে এই দুর্ঘটনা কোন তদন্তই আলোর মুখ দেখেনা তাই বিচারও হয় না দুর্নীতি ও কমে না। এভাবেই ঘটনার পুন পুন ঘটছে ।
১২ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: দুঃখিত মাইদুল ভাই আপনার মন্তব্যের উত্তর দেরি করে দেওয়ার জন্য।
আপনি যা বলেছেন তার সাথে সহমত না হয়ে উপায় নেই এটা তো একেবারেই সত্য ব্যাপার!
এমনই হচ্ছে এমনটাই ঘটছে আর আমরাও দেখে না দেখার ভান করছি কিংবা খুব কষ্ট করে এড়িয়ে যাচ্ছি।
২২| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:২৭
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: দীর্ঘদিন দেশের বাইরে, এসব দেখলে কষ্ট লাগে। ব্যাক্তিগত উদ্যোগে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এই ধরনের দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব। হাসান কালবৈশাখী একটি পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া গ্যাস ডিটেক্টর এদেশে পাওয়া যায়, দেশে যেসব গ্যাসের কারণে দুর্ঘটনা হচ্ছে, সেগুলোর জন্য সহজলভ্য ডিটেক্টর বানানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা করতে পারে। বড় বড় কোম্পানির উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ফান্ডিং করা, এসব জনগুরুত্বপূর্ণ কাজে গবেষণায় সহায়তা করা।
১২ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: হাসান হাসান কালবৈশাখী ভাইয়ের মত সবাই এভাবে বলতে চায় না উপদেশ দিতে চায় না।
ভাবে যে উপদেশ দিয়ে লাভ কি বলে লাভ কি- কিছুই হবে না!
কিন্তু তারপরেও আমাদের বলতে হবে অল্প কিছু মানুষকে হলেও জানতে হবে ভবিষ্যতের জন্য সাবধান হতে হবে এভাবেই হয়তো ছড়িয়ে পড়বে সারাদেশ একদিন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৩১
করুণাধারা বলেছেন: আপনার ক্ষোভ ঠিক আছে। ব্লগে এত বড় একটা দুর্ঘটনা নিয়ে কোন লেখা না আসার অর্থ, আমরা ব্লগাররা পারিপার্শ্বকতা সম্পর্কে উদাসীন। আবার সেটা ঠিক না, পরিমনি ইস্যুতে অথবা বিরিয়ানি ইস্যুতে ব্লগে তাৎক্ষণিকভাবে লেখা হয়ে যায় অনেক। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? সমস্যা এটাই, যেসব নিয়ে ভাবতে আমাদের সমস্যা হয় আমরা ব্লগে সেসব নিয়ে লিখিনা বরং সহজ বিষয় নিয়ে লিখি!!
আমি আগে লিখতাম। ঢাকা শহরের বাসা বাড়ির অগ্নি নিরাপত্তার অভাব নিয়ে আমি একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, গুলশানের এফ আর টাওয়ারে আগুন ধরার পরে। কিন্তু কিছু কি বদলেছে??
যখন সিদ্দিক বাজারের বিস্ফোরণ ঘটে, সেই সময় বিকাল চারটার দিকে আমার এক স্বজনের অপারেশন হচ্ছিল। পরদিন সন্ধ্যায় খেয়াল করলাম ঘরে একটা টিভি আছে, সেটা চালাতেই সেই ভয়াবহ খবর!! তার আগে পর্যন্ত আমি জানতাম না। আমি টিভি বন্ধ করে দিয়ে ভাবতে থাকি, একের অপরাধের শাস্তি পায় অন্যে! কতগুলো পরিবার ভেসে গেল, কতগুলো বাচ্চা এতিম হল, কেউ খোঁজ রাখেনি।
একটা কথা, হাসপাতালে সেদিন (৮ তারিখ) দর্শনার্থীরা বলেছিলেন রাস্তায় প্রচন্ড জ্যামের কারণে তাদের আসতে দেরি হয়েছে। আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্ট হচ্ছিল, তাই জ্যাম! খুবই অবাক লাগলো, এই আমরাই তো আগের দিনের এত বড় দুর্ঘটনার কথা ভুলে গিয়ে কনসার্টে নাচতে পারি!!
ব্লগে বিভিন্ন দুর্ঘটনা নিয়ে লেখা আসে তবে সেগুলোর পাঠক নেই। যেমন তুরস্কের ভূমিকম্পের পর মোস্তফা কামাল পলাশ ভূমিকম্প নিয়ে পাঁচ পর্বের পোস্ট "বাঁচতে হলে জানতে হবে " দিয়েছিলেন। তাতে পাঠ এবং মন্তব্য খুবই কম ছিল। তারপরও তিনি সিদ্দিক বাজারের বিস্ফোরণের পর সচেতনতামূলক এই পোস্ট দিয়েছিলেন,view this link জানতে পারেননি কেউ তার পোস্ট পড়ে কি ভাবলো!!
আপনার পোস্টে প্লাস! ভালো লেগেছে।
১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: হয়তো কোনদিন কিছুই বদলাবে না তারপরেও ব্লগারদের কর্তব্য হিসেবে সব লেখালেখির দরকার আছে।
দেরিতে মন্তব্যের উত্তর দেয়ার জন্য ভীষণ দুঃখিত!
চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও পোস্টে প্লাস দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রিয় ব্লগার।
২৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:০৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এই ঘটনাগুলো ভবিষ্যতে আরোও হবে।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: হচ্ছেও -এবন পরিকল্পিত সন্ত্রাস বলে দিন দিন ধারনা বদ্ধমুল হচ্ছে।
ধন্যবাদ মন্তব্যে আসার জন্য
২৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩১
আমি সাজিদ বলেছেন: এরপর বঙ্গবাজার আর নিউমার্কেটে আগুন লাগলো। এই দুটোয় কেউ মারা যায়নি তবে সর্বশান্ত হয়েছে।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: নিউ মার্কেট নিয়েও তেমন কোন লেখা আসেনি। কে জানে হয়তো পরিকল্পিতভাবে সর্বশান্ত করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: ব্লগারদের আলোচনা হতে কী উপকার হতে পারে বলে আপনার মনে হয়?