নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পঞ্চাশের কবিতা

২১ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮


বাঙ্গালীমাত্রই কবিতা বুঝুক না বুঝুক, পড়ুক না পড়ুক, কবিতা তার মজ্জাগত। জীবনে অন্তত একখানা কবিতা (হোক সেটা খাদ্য কিংবা অখাদ্য) লিখেনি-এমন বাঙালী পাওয়া দুষ্কর!
*আমিও লিখাছিলুম প্রথম যৌবনে, কি করব বল; প্রায় মধ্যরাতে গঞ্জিকা সেবন করে লাজুক রক্তিম নয়নে উর্ধ্বাকাশে চেয়েছিলুম- একাদশীর চাঁদ আকাশে। আচম্বিতে সে আমার নাকের ডগায় নেমে এসে কাতর নেত্রে বলল, চল তোমাতে আমাতে মিলে একখানা ভাবের কবিতা লিখি। লিখে ফেললুম অত্যুত্তম একখানা ভাবের কবিতা- নেশার রেশ কেটে গেল, কবিতাটাও ভুলে গেলুম! না হলে লক্ষ কোটি কবিতার ভীড়ে আরেকখানা মূষিকের হস্তি প্রসব হত!*

শেষে কিংবা অবশেষে পঞ্চাশের কবিতা
নামখানা পঞ্চাশের কবিতা কেন হল? আমিতো কবিতাকে ছেড়েছি কিন্তু কবিতার ভুত আমাকে ছাড়েনি। সুদীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে সে আমাকে দাবড়ে বেড়িয়েছে। অবশেষে পাকড়াও করে বলল, জীবনে টসটসে কিংবা রগরগে প্রেম বিচ্ছেদের কবিতা একখানা তো লিখতে পারলিনা ব্যাটা-এইবার অন্তত একটা আধবুড়ো বয়সের পানসে কবিতা লিখে ফেল।
-আমিতো কবিতার ক’ বুঝিনা। আমার চারপাশে যে সকল ঝানু ঝানু কবি আছেন তারা দেখলে বেজায় গোস্যা করবেন। কবিতা লিখতে হলে কত্তোকিচ্ছু জানতে হয়।
-কেমনে কেমনে?
-এই যে অন্ত্যমিল, মিশ্র কলাবৃত্ত বা অক্ষরবৃত্ত ছন্দে,স্বরবৃত্ত ছন্দে বা মাত্রাবৃত্ত ছন্দে এরপরে আছে পর্ব, অতিপর্ব ও উপপর্ব: সনেট( তিনটি চতুঙ্ক পদে-নাকি অষ্টক ও ষষ্টক পদে রচিত হবে? ফের সনেট শূধু ১৪ খানা অক্ষর বা মাত্রায় হয়না ১৮ খানাতেও রচনা করা যায়। এটা কোন অক্ষর।/মাত্রায় হবে? এর জন্মদাতা কবি দান্তে, পেত্রার্ক নাকি শেক্সপিয়েরের ঢঙ্গে হবে?) অথবা এটা আখ্যানকাব্য, গীতিকাব্য কিংবা গাঁথা কাব্য হবে? ফের সেটা কি নৈর্বক্তিক নাকি বর্ণনাত্মক রীতিতে…
-আরে রোখ রোখ ও সব হল ‘আর্য কবিদের ঠাট-বাট আর বুজরকি’।
-আরে নাহ্- কবিতা আসে ভাবে। ভাবে কি আর বুজরকি হয়?
-এখন তুই ওসব বুঝবিনে। কষ্ট করে দু’চারখান কবিতা প্রসব কর-পরে দেখবি ‘চ্যাল-ব্যাল’ করে লাইন ধরে বেরুচ্ছে আর বেরুচ্ছে।রাত-বিরেতে কিংবা সকাল দুপুরে দেখবি তরতাজা একেবারে খাসা আর অতি উত্তম কাব্য তোর মগজে এসে খোঁচাখুঁচি করছে- সেটাকে না বের করে আর উপায় থাকবে না।
-মাফ করে দে না ভাই। ব্লগের বাঙ্গলা ভাষায় বিদগ্ধ সব জাত কবিদের চক্ষুশুল হতে চাইনে! আমার কোবতে পড়লে জটিল কুটিল ভাইয়েরা তো হেসে গড়া গড়ি খাবে। দেখেছিস ‘কবি হইতে কি লাগে’ এই নিয়েই এরা দু’খানা অতিউত্তম কাব্য রচনা করে ফেলেছে!!!
ওদিকে গাজী সাহেব বলবেন। আমি জানতাম এ গদ্যে সুবিধা করতে না পেরে শেষমেষ কোবতেই লিখবে।
এর থেকে প্রথমে একখানা অনুবাদের কবিতা শোনাই; সারিন্দা যেমন গাইতে গাইতে গায়েন হয়- তেমনি অনুবাদে হাত পাকিয়ে কোন একদিন আমিও একদিন আমিও জাত কবি হয়ে উঠতে পারি।

******বার্ধক্য******
কবি: জুলি হেবার্ট, © 2012

কদিন জেগে উঠে,
তুমি ভয়ানক এক ব্যথা অনুভব করবে।
যখন তুমি বুঝবে, জন্মদিনের কেকটি তোমার
বয়সের মোমবাতির জন্য পর্যাপ্ত নয়

নিশ্চিত এটি একটি অমোঘ ও অনিবার্য বিষয়,
যে আমরা সবাই একদিন বুড়ো হয়ে যাব।
আমরা একে যেভাবে দেখব
সেই দৃষ্টিভঙ্গীই বলে দেবে সামনের দিনগুলো কীভাবে যাবে।

তুমি কি ভাবছ তেমন কিছু,
এই মুহূর্ত থেকে জীবন আরো সুন্দর হবে?
নাকি দুঃস্বপ্নের ঘোরে আছো
যে শীঘ্রই তুমি মারা যাবে।

জন্মদিন এলেই যদি
প্রতিবার তুমি ভয়ে হতাশায় নিমজ্জিত হও
তবে তুমি বসে থাক চুপচাপ
আর দেখ, জীবনটা কিভাবে ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যায়

বার্ধক্য নিয়ে ভাবতে হবে,
তার চেয়ে বেশি ভাবো; পেয়েছ যা কিছু ভাল
বার্ধক্য তার সাথে বিজ্ঞতা নিয়ে আসে,
এটাওতো অনেক বড় পাওয়া

বার্ধক্য মানে তুমি এখনো বেঁচে আছ,
আর জন্মদিন মানে আরও একটা
শুভ জন্মদিনের অপেক্ষা…
যেহেতু এই জীবনে এখনও অনেক কিছু জানার বাকি আছে।

Old Age নামে চমৎকার একটা কবিতার অতি আনাড়ি হাতের নিন্মমানের অনুবাদ। কবি/অকবি ব্লগারগন নিজগুনে ক্ষমা করবেন।
***
আসুন এবার ‘কবি হইতে কি লাগে’? তা নয় বরং শুনি, কবিতা কি? সেই নিয়ে একটু কাষ্ঠ কঠিন কেতাবি কথা-বার্তা শুনি;

উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ কবিতাকে "শক্তিশালী অনুভূতির স্বতঃস্ফূর্ত উপচে পড়া" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এমিলি ডিকিনসন বলেছিলেন, "যদি আমি একটি বই পড়ি এবং এটি আমার শরীরকে এত ঠান্ডা করে দেয় যে কোন আগুন আমাকে কখনও গরম করতে পারে না, আমি জানি এটিই কবিতা।" ডিলান থমাস কবিতাকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন: "কবিতা হল যা আমাকে হাসায় বা কাঁদায় বা হাই তোলায়

সব তো বুঝলাম তবে কবিতার কেতাবি সহজ সংজ্ঞা কি?
কবিতা / (ˈpəʊɪm) / বিশেষ্য। শ্লোকের একটি রচনা, সাধারণত ঘনীভূত এবং উচ্চতর ভাষা দ্বারা চিহ্নিত করা হয় যেখানে শব্দগুলি তাদের শব্দ এবং ইঙ্গিতমূলক শক্তির পাশাপাশি তাদের অনুভূতির জন্য এবং মিটার, ছড়া এবং অনুপ্রেরণার মতো কৌশলগুলি ব্যবহার করে বেছে নেওয়া হয়।
কবিতা সাধারণত শৈল্পিক উপায়ে বিশেষ কিছু প্রকাশ করার জন্য সংরক্ষিত । তুলনা, ছন্দ এবং ছন্দ একটি ভিন্ন শব্দ এবং অনুভূতিতে অবদান রেখে কবিতার ভাষা আরও অভিব্যক্তিপূর্ণ বা সজ্জিত হতে থাকে। ধারণাগুলি এমন লাইনগুলিতে থাকে যা বাক্য হতে পারে বা নাও হতে পারে। লাইনগুলো স্তবকে সাজানো হয়েছে।

শেষমেষ কবিতা হল এমন একটা ব্যাপার যা কবি না হলে আপনি বুঝবেন না। বাদ দেন- তাঁর থেকে আসেন আমার ‘পঞ্চাশের কবিতা’খানি শুনে ফেলেন;
***
যুবক জানেনা ; পাশাপাশি থেকে আবেগ মরে যায়-
একদিন চাওয়া পাওয়া গুলোই মুখ্য হয়
পৃথিবীর মহৎ সব প্রেমের পরিণতি তো এমন-ই!

ত ক্ষুদ্র ও দীর্ঘ এ জীবন
উচ্ছলতা আবেগ আর ভালবাসা-ভাললাগায় কাঁপে প্রথম যৌবন
তারপর ফুরায় সে উদ্দীপনা-শুরু হয় দীর্ঘ ক্লান্ত অবসাদ
সবকিছু ছেড়ে শুধু বেঁচে থাকার বাসনা
ভালবাসা রূপ নেয় অবলম্বনের।

ভেবেছিলাম; একটাইতো জীবন
তার অংগুলি ধরে ঠোটে ঠোট রেখে কেটে যাবে টুপ করে।
কত সহজ সরল অংকের সমাধান...!

ভেবেছিলাম আমার প্রেম হবে অন্যরকম
হায় কেন ভাবিনি, এ জীবনে ক্লান্তি আসে
জড়া আসে, আর আসে প্রকৃতির নোংড়া সব ইচ্ছেগুলো
সংসার বয়স বুদ্ধির পরিপক্কতা(!)
সেই প্রেমকে একদিন গলা টিপে মেরে ফেলে।।
***
সুত্রঃ
কবিতার ছন্দ, বাংলা একাডেমী, ১৯৯৭
বাংলাপিডিয়া

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

জুন বলেছেন: আমিও ছোট বেলায় আব্বার পুরনো ডাইরিতে কবিতা চর্চা করতাম। #:-S
তবে পাক্কা কবি হয়ে উঠি আমি এই ব্লগে =p~ লেখায় +

২১ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:০২

শেরজা তপন বলেছেন:
তাই নাকি ব্লগে এসে পনি পাক্কা কবি হয়েছেন!! এটা দেখি কবি তৈরির কারখানা :)
এত্তো এত্তো কবিদের সাথে থেকে কাব্য চর্চা না করলে কোন একদিন একঘরে হয়ে যেতে পারি- সেই ভয়ে কোবতে লেখার চেষ্টা।
এমন একদিন আসতে পারে এই ব্লগে শুধু ক'জন কবি অবশেষ্ঠ থাকবেন লিখার জন্য।

ধন্যবাদ -অনেকদিন ব্লগবাড়িতে আপনাকে পেয়ে ভাল লাগছে।

২| ২১ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

রবিন.হুড বলেছেন: সুন্দর লেখা

২১ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: সুন্দর লেখা বলেই তীর ছুড়ে দিলেন ভায়া- আরেকটু ব্যাখ্যায় গেলে আনন্দ পেতুম :)
অনেকদিন বাদে আমার ব্লগে মনে হয় আপনার দেখা পেলাম। আশা করি ভাল আছেন? শৈশবের লেখা কোথায়???

৩| ২১ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



দুঃখের বিষয় যে,কবি হবার জন্য কোনো ট্রেনিং সেন্টার আজও চালু হয়নি।

২১ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ থাকলে ভাল হোত।
ব্লগের সব কবিদের নিয়ে একট্রেনিং সেন্টার খুললে ব্লগের কিছু আয় রোজগার হত কি বলেন?

৪| ২১ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: কোবতে আসলেই খুব একটা বুঝিনা। তবে এই লেখার গদ্যাংশটুকু আমার কাছে অমৃতসম মনে হয়েছে! ঝর্ণার মতো প্রবাহিনী এত সুন্দর লেখা! আরাম পেলাম পড়ে। লিখায় মুন্সিয়ানা আছে।

২১ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: আমি গদ্য লেখক বলেই ওই মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে আরাম বোধ করি।
আমিও আপনার মত বুঝি না কিস্যু- ফাও ফাল পাড়ি :)
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২১ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:২৮

মিরোরডডল বলেছেন:



প্রায় মধ্যরাতে গঞ্জিকা সেবন করে লাজুক রক্তিম নয়নে উর্ধ্বাকাশে চেয়েছিলুম-

শেরজা খুব অবলীলায় গঞ্জিকা সেবনের কথা বলে। এই ওপেননেসটা ভালো লাগে।
ম্যান ইউ আর জেনুইন।

ওদিকে গাজী সাহেব বলবেন। আমি জানতাম এ গদ্যে সুবিধা করতে না পেরে শেষমেষ কোবতেই লিখবে।

খেলাঘর এই কবিতা লাইক করবে না কারণ মৃত্যু চিন্তা বা বয়স হয়ে যাওয়া এটা নিয়ে বলা পছন্দ না।
ফ্রম হার্ট খেলাঘর এভারগ্রিন।

অনুবাদ কবিতার চেয়ে শেরজার নিজের কবিতাটা ভালো হয়েছে।

এমিলি ডিকিনসন বলেছিলেন, "যদি আমি একটি বই পড়ি এবং এটি আমার শরীরকে এত ঠান্ডা করে দেয় যে কোন আগুন আমাকে কখনও গরম করতে পারে না, আমি জানি এটিই কবিতা।"

তবে ঠাণ্ডার করার এই কবিতা চাই না, গরম করলে সেটা পড়ে দেখতে পারি।

২১ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০

শেরজা তপন বলেছেন: আমি ওই কয় লাইন লেখার সময়ে বেশ টেনশনে ছিলাম- আপনি যে হারে বানানের ভুল ধরছেন তাতে ঐ কয় লাইনে কয়খানা ভুল পেয়ে বকাবকি শুরু করেন সেই ভয়ে :) তবুও ভুলভাল লিখলে বিন্দাস মনখুলে জানিয়ে দিবেন।
হ্যাঁ তিনি এভারগ্রীন বটে কিন্তু নেশা ভাং, খুল্লাম-খাল্লাম খুব অপছন্দ করেন। যুগের সাথে একটু তাল না মিলালে কেমন হয়।
গত বছর চার এক্স রাশিয়ান গিয়েছিলাম বন্ধু চর কুকরিমুকরি! বাকি তিনজনের পানীয়তে মজে থাকতে দেখেছি অবসরের বেশীরভাগ সময়।
এইবার দেখলাম রেড,ব্লাক, ব্লু লেবেল সব হাওয়া! গাঞ্জার পুটলি বের করে কষে গাঁজা টানছে!!
জিগাইলে কইলো দোস্ত, বয়স তো কম হায় নাই। বনে বাদারে আতকা মইরা গেলে সবাই কইব মদ খায়া মরছে, পুরা ফ্যামিলীর বেইজ্জতি। তাই এখন বাইরে গেলে গাঁজা টানি। পিনিক ভাল টেনশন নাই :)

৬| ২১ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জুন আপু যে কবিতা লিখেন সেটা ভুলেই গেছি।


শেষ বয়সের কবিতা বেশ পরিপক্ক হয় ।

২১ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২

শেরজা তপন বলেছেন: হায় হায় ভাইজান দেখি আমারে এক্কেবারে শেষ কালে নিয়া ঠেকাইলেন :(
তবে সুখ একখানেই যে এখনো আমার কবিতা পরিপক্ক হয়েছে সে কথা বলেন নাই- তাঁর মানে শেষকালে যাই নাই :)

জুন আপুর কোন কবিতার কথা আমারও মাথায় আসছে না।

৭| ২১ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভেবেছিলাম পোষ্টে অনেক কবির কথা থাকবে। অকবিদের কথা থাকবে।

২১ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: লিখেছিতো ম্যালাকিছু আর কি কি চান?
তবে কে কে জাত কবি আর কে স্বভাব কবি আর অকবি সেটা বেশীরভাগ ব্লগারই বুঝেন বলে আমার ধারনা। নাম উল্লেখের দরকার নেই।

৮| ২১ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

কামাল১৮ বলেছেন: কার ভিতর যে কোন প্রতিভা লুকিয়ে আছে,বাইরে থেকে তা বুঝা যায় না।পঞ্চাশের কবিতা পড়ে ভেবে ছিলাম এটা হয়তো ভিন গ্রহের কোন মানুষের লেখা।পরে যখন বুঝতে পারলাম এটা আমাদের শেরজা ভাইয়েরই লেখা,তখন তো কেবল অবাক হবার পালা। কবিতাতেই থাকুন,স্থায়ী আসন পাতুন কবি পাড়ায়।

২১ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কাছ থেকে এমন্তর মন্তব্য পেয়ে যার পর নাই আমি অতীব বিস্মিত হচ্ছি।
আপনি এমন কাব্যপ্রেমী ব্লগার তা জানা ছিল না। হায় আল্লা এতদিন একসাথে পথ চলার পরেও জানা হোন না আমাদের কামাল ভাইয়ের কাব্যপ্রীতি!!!
আমাকে যে কোন গাছে নিয়ে তুললেন আপনি- এখন নামার জন্য মই দেন।
কবিতা খুব বেশী ভাব-টাব আসলে দু'একটা জিনগতভাবে বের হয়ে যায়। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বার বার ঘটবে না।
আন্তরিক ধন্যবাদ এমনভাবে অনুপ্রাণিত করার জন্য।

৯| ২১ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি অবাক হচ্ছি, আপনার কবিতার সাবলীলতা দেখে। আপনার এ কবিতা দেখে মনে হচ্ছে কবিতা লেখায়ও গদ্যের মতোই আপনার হাত খুবই শক্তিশালী। এবং মনে হচ্ছে, আপনি অনেক আগে থেকেই কবিতা লিখছেন। প্রথম দিনের বা প্রথম দিকের কবিতা এত ম্যাচিউর হওয়া অলৌকিক ঘটনা, আসলে 'অস্বাভাবিক' বলাই শ্রেয়। আর যদি সত্যিই আপনার প্রথম কবিতা হয়ে থাকে, তাহলে অভিবাদন হে গুরুকবি, আপনি অচিরেই কবিতার শীর্ষদেশে উঠে যাবেন।

২১ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: এইরে দিলেন- এবার আমি আকাশে উড়ছি, আমাকে আর পায় কে!!
আপনি একেবারে ঠিক ধরেছেন, অবশ্যই এটা আমার প্রথম কবিতা নয়- তবে যে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করলাম প্রথমবার।
কবিতা আসে হুট করেই এটা খুব বেশী ভাবাভাবির কিছু নয়। আমার কবিতার মান যাই হোক না কেন আমি আমার ভাবের প্রকাশ আমাকেই কেন্দ্রিভুত
করতে চাই। কবিতার মাধ্যমে নিজের ভাবনাকে অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমি দ্বীধাবোধ করি। এটা একান্তই নিজের; ঐ যে, গরীবের বেনারসির শাড়ির
মতন। :)
আপনার উদার-উদাত্ত মন্তব্যে আমি আনন্দে টাসকি খেয়ে গেছি।
তবে প্রতিভা-ট্রথিবা থাক বা না থাক 'ব্যাবসায়ীদের কাব্য চর্চায় লাগাম টানতে হয়- নাহলে সমস্যা হয় ব্যাপক।
আপনার এই মন্তব্য যদি বাঁধাই করে রাখতে পারতাম- তবে অন্য কবিদের দেখিয়ে দেখিয়ে বলতাম, দেখেছিস আমিও কোবতে লিখতে পারি :)

১০| ২১ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কবিতা আমাকে খুব একটা টানে না। অতি অল্প কিছু কবিতা আছে যা আমার পছন্দ।
তোমার ঠোঁট যেনো
কমলা লেবুর এক জোড়া কোয়া
লেহনে, পেষণে, চোষণে নিষ্পেষিত হবে
অন্য জোড়া ঠোটের মাঝে।

এই টাইপের কবিতা হলে অবশ্য আলাদা একটা আবেদন তৈরি করতে পরে। ;)

২১ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: এটা কি ভৌতিক কবিতা না কি এরোটিক কবিতা? B:-/
লেহন, পেষণ, চোষণের যে কোন একটাতেই কমলা লেবুর কোয়া ছিবড়া হয়ে যাবে। আহা ওই কবির কমলা লেবুর কোয়া না জানি কতই না প্রিয় ছিল!!!

এমন ফল ফলাদি নিয়ে মানে পরিবেশ বান্ধব কবিতা কি আরো দুয়েকখানা শোনাবেন ভায়া? :)

১১| ২১ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শেষের কবিতাটা কে লিখেছে? ভালো লেগেছে।

অনেক কঠিন এবং কাব্যিক কথা বলেছেন। আমি ভালো মত বুঝতে পারি নাই। তবে পড়তে ভালো লেগেছে।

২১ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: এই অধমে লিখেছে ভাই
বড় ভীমরতি ধরেছিল তাই। :)
কি বলেন কবিরা কত কঠিন কঠিন শব্দ ব্যাবহার করেন সেই তুলনায় পানির মত সহজ করে বলেছি, সময় সুযোগ পাইলে আরেকবার পড়িয়েন।
ধন্যবাদ।

১২| ২১ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২৯

শায়মা বলেছেন: পঞ্চাশের কোবতে লিখেছো এইবার ১০০ এর কোবতে চাই।

ততদিন বেঁচে থাকো।

২১ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: তা অতদিন আপনাকেও তো বেঁচে থাকতে হবে নাহলে আমার শতবর্ষের কবিতা পড়বেন কিভাবে?
দোয়া বদদোয়া যাহাই বলেন, আপনিও শতায়ু হোন-আর চমৎকার সব রান্না বান্না, উপন্যাস, ফিচার, ভ্রমণ কাহিনী, গল্প ছবি দিয়ে মাতিয়ে রাখুন।
ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ২১ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনুবাদ কবিতাটাও ভালো লেগেছে। মনোযোগের অভাবের কারণে আপনার এই পুরো পোস্টটা সহজ ভাষায় লেখা হলেও আমার কাছে কঠিন মনে হয়েছিল।

২১ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: আজকে আপনার চিন্তা চেতনা একটু বিক্ষিপ্ত আছে। মনঃসংযোগ করতে কষ্ট হচ্ছিল
যাক অবশেষে সহজ বিষয়টা সহজ করে বুঝতে পেরেছেন সে-ই ঢের।
ভাল থাকুন শুভ রাত্রি।

১৪| ২১ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:০৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:




শেরজা-কবিতা প্রেম

শেরজা তপন তবে কবিতা প্রেমিক?
কন্যা কবিতা লাজুক নয়নে নিরখে
শেরজা তার প্রেমেতে মজেছে কি সখে?
আহা সে নায়ক যেন সুঠাম সুন্দর।
শেরজা- কবিতা প্রেম হয় আকষ্মিক
পূর্ণিমার চাঁদ লুটে কবিতার নখে
কবিতা অনন্যা হয় শেরজা পরখে
প্রশান্ত তাতেই হয় পাঠক অন্তর।

পথে হেঁটে দেখে ফেলি কবি কবিতায়
অভিসার চলে কত আনন্দ শয়ানে
রসারসি সরসের কাব্যের পাতায়
আত্মহারা হয় লোক চমক বয়ানে।
এভাবে চলুক তবে অভয় দিলাম
অচিরেই বেড়ে যাবে কাব্যের নিলাম।

২১ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:২২

শেরজা তপন বলেছেন: ওরে বাররে- কি অনিন্দ্য সুন্দর একখানা আস্ত কবিতা কত সহজে লিখে ফেললেন।
আপনার মস্তিস্কের নিউরনগুলো একেবারে সঠিক পথে ধাবিত হচ্ছে।
আপনি যে পরিপূর্ণ সুস্থ এক মানুষ এই কবিতাই তাঁর প্রমাণ।
সুন্দর থাকুন সুস্থ ও ভাল থাকুন।
চমৎকার কাব্যিক রচনায় অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা।

১৫| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:০০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তথাপি আমার কাব্য পাঠে অনেকে মুর্ছিত হয়। অনেকের হিছকা উঠে। তাদের ব্লগ ছেড়ে পলায়ন ভয়ে আমি কাব্য চর্চা নিবৃত রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু জনাব অদ্য আপনার কাব্য পাঠে নিজেকে সামলাতে না পেরে অবশেষে একখানা কবিতা লিখেই ফেললাম। জানিনা এতে আপনার পোষ্টে লোক সমাগম বন্ধ হয়ে যায় কিনা। আপনি সজ্জন মানুষ। এমন কোন ঘটনা ঘটিলে আশা করি নিজ গুনে ক্ষমা করিবেন।

২২ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার লিখা আপনি লিখে যান। কবিতা পোস্টের আগে ভেবেই নিবেন মন্তব্যের খরা যাবে- দু'চারখান মন্তব্য পেতেও পারেন না ও পারেন।
তবে ব্লগ কতৃপক্ষের উচিৎ কবিতা ও গদ্য সাহিত্যের জন্য আলাদা পাতা রাখা।
আপনার মত মায়ায় পড়ে বা ভালবেসে অনেকেই আমার ব্লগবাড়িতে আসেন। ইচ্ছেয় কিংবা অনিচ্ছায় ভাল-মন্দ বলে যান! ওই নিয়ে আপনি টেনশন করবেন না।
ভাল থাকুন।

১৬| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১:১৯

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা............ সত্য। আমি এ জীবনে টেরাই করছিলাম। পরে গাজি ভাই বা উনার সমমনাদের ভয়ে ওইখান ক্ষ্যামা নেই।

অনুবাদে সুপার প্লাস। অপেক্ষায় থাকলাম আপনার কবিতায় তবে একটু জাদিদের কথা ভাববেন। সে বলেছে ব্লগে কবিতা পড়তে পড়তে নাকি তার জীবন................ ;)

২২ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: কই কই আপনার টেরাই করা সেই কবিতাগুলো ( বিধ্বংসী নাকি রোমান্টিক?) কই? কবিরা গদ্য লিখলে সেটা বেশ শুদ্ধ ও কাব্যিক হয় কিন্তু আমাদের মত গদ্য লেখকেরা কোবতে বা কবিতা ( কাব্য রচনা যায়- কেননা অন্ত্যমিল ছন্দমিল এটা গদ্য লেখকের জন্য বেশ দুরূহ বিষয়!) লিখলে কেমন হয় সেটাও জানা উচিৎ।
গাজী সাহেব এখন ১৪ শিক গুনছেন। উনার হাজতবাস আমার কোবতে রচনার জন্য অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। :) আপনিও এই চান্সটা নিয়ে ফেলেন।
অপেক্ষায় রইলাম...
ওহ এই লেখায় তিন নম্বর লাইক কিন্তু মডু দিয়েছেন আর অবিশ্বাস্য দ্রুততার সাথে ঠাই দিয়েছেন নির্বাচিত পাতায়।

১৭| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




অবশেষে কবিতা কবিতা খেলায় আপনি যে ছক্কা হাকিয়ে গেলেন! কি অনুবাদে, কি নিজের কবিতায়!
পঞ্চাশ বছর ধরে কবিতা যে আপনাকে দিয়ে নেট প্রাকটিস করিয়ে ছাড়লো সে জন্যেই ডেব্যুতেই জমিয়ে দিলেন, মাতিয়ে রাখলেন। আর কি চাই !

যাই হোক, মহারথীরা কবিতা নিয়ে যতো কিছুই বলুন না কেন আমি বলি - কবিতার কোনও গ্রামার নাই। বয়স এবং আবেগ ভেদে কবিতার লাইন চলবে। সোজা - বক্র - উতল - অবতল - উর্দ্ধ - নিম্ন যে পথে খুশি! :#) পাবলিক ভাব বুঝতে পারলেই হলো। এই যেমন পঞ্চাশ তো গেলোই, একশো বছরে আপনার কবিতা হবে এমন--
যুবক জানোনা! যে বয়স তাতে যখন তখন লুঙ্গি যায় খুলিয়া
জীবনে ক্লান্তি আসে, সব যাই ভুলিয়া....
:P

অনবদ্য লেখা । কবিতায় ++++++++++

২২ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: অনুবাদ আরেকটু সাবলীল হওয়া উচিৎ ছিল বলে আমার মনে হয়।
আমার কোবতে নিয়ে কোন উচ্চধারনা বা উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই। আপনার মত বেশীরভাগ ব্লগার আমাকে ভালবাসেন ও প্রশ্রয় দেন বলেই একটু বেশী প্রশংসা করছেন। তবুও পিঠ চাপড়ানোতে সবাই কম-বেশী আনন্দিত হয়, আমি তেমনই সাধারণ ব্যাতিক্রম নই।
কবিতার কেন শুধু ভাষাকেই বা কিজন্য নানাবিধ কঠিন ব্যাকারণে বেঁধে সাধারণ মানুষদের তাঁর মনের ভাব প্রকাশের চেষ্টাকে বাঁধা দেয়া হয়েছে?
আপনি এমন একটা প্যারোডি কবিতা লিখে ফেলুননা :)- আমি নিশ্চিত আপনি যেই জমিতেই ফসল বুনবেন সেখানেই সোনা ফলবে।
চমৎকার মন্তব্যে ফের অনুপ্রাণিত হলাম।

অফটপিকঃ আপনার শৈশবস্মৃতি নিয়ে একটা আশা করছিলাম।

১৮| ২২ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:৩৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: লেখা যথেষ্ট রসাল এবং উপভোগ্য কয়েছে। অনেক বছর আগে আমিও কবিতা লেখা বৃথা চেষ্টা করেছিলুম, কিন্তু কোন কবিতাই আলোর মুখ দেখেনি, কবিতাগুলো যেখানে উতপত্তি হয়েছিল সেখানে শেষ!

বাধক্য কবিতাটি ভাল লাগল! কেউ বৃদ্ধ হতে চায় না, তবে কম বয়সেও কেউ মরতেও চায়না! কি আশ্চর্য!

শেষের কবিতাটি ভাল লাগল। আমার দৃষ্টিতে কবিতাটি ভাল হয়েছে। মুগাম্বার খুশ হুয়া!

২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কবিতা-তো বেশ ঋদ্ধ ও সুপুষ্ট হবার কথা। ব্লগই হল কবিতা লিখার উত্তম স্থান। কবিতা না পড়লেও কেউ বাজে মন্তব্য করে না অন্তত। যার ফলে নিজের প্রতি আস্থা জন্মায় :)
বার্ধক্য কবিতার অনুবাদ নিয়ে আমি এখনো সন্তুস্ট নই। দেখি আরো মাজা ঘষা করতে হবে।
মুগাম্বু যখন খুশ হয়েছে- তখন আমি তো আনন্দিত হবোই। আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল- অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ২২ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

জটিল ভাই বলেছেন:
হাহাহাহাহা....... নিজেকে বড্ড পাওয়ারফুল মনে হচ্ছে। মাত্র একটি বাক্য "কবি হতে কি লাগে?" দিয়ে আপনাদের মতো পাওয়ারফুল ব্লগারদের নাড়াচাড়া দিতে সক্ষম হবো কখনো তা ভাবিনি। তাই বলে এ আমার সফলতা নয়, সফলতা পাঠককূলের যার কারণে আপনাদের নিকট হতে এমনসব দূর্লভ পোস্ট পেয়ে ধন্য হচ্ছেন।
তবে রম্যরসে পূর্ণ আপনার এই রচনাশৈলী সত্যিই অসাধারণ। বরং গুরুগম্ভীর লিখাতেই আপনাকে বেমানান ঠেকে। জটিল কুটিলের পক্ষ হতে কুটিলবাদ থুক্কু জটিলবাদ গ্রহণ করে ধন্য করুন :)

২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি যতটুকু ভাবেন তাঁর থেকেও অনেক শক্তিমান একজন লেখক।
কবিগান শুনেছেন- লড়াইয়ের সময়ে মুহুর্তের মধ্যে কি ছন্দবদ্ধ কবি সাজিয়ে ফেলে ওরা। আপনিও তেমনি শুধু থিম বা টপিক্স দরকার- লেখা সাজাতে দেরি হয় না।
তবে আমার মনে হয় আপনি আপনার প্রতিভার সঠিক পরিচর্যা করছেন না। আবার অন্যভাবে দেখলে মজায় মজায় এক সময় সত্যিকারে আপনি বের হয়ে আসবেন।
মিঃ বিন, থ্রি স্টুজেজ, চার্লি চ্যাপলিন; সবগুলোতে অভিনেতারা খুব সিরিয়াস ভঙ্গীতে অভিনয় করে। কিন্তু তাদের প্রতিটা কর্মকান্ড মানুষের হাসির খোরাক যোগায়। কোতুক বলতে গিয়ে অভিনেতা যদি হাসাহাসি করে তবে সেটা মগজে পৌছালেও হৃদয়ে পৌছায় না।
রম্য লেখা আমারও প্রিয় তবে গুরুগম্ভীর লেখা না লেখলে ভাড় হিসেবে পরিচিত হব ভায়া।

২০| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: লিখেছিতো ম্যালাকিছু আর কি কি চান?
তবে কে কে জাত কবি আর কে স্বভাব কবি আর অকবি সেটা বেশীরভাগ ব্লগারই বুঝেন বলে আমার ধারনা। নাম উল্লেখের দরকার নেই।


আরো অনেক কিছু লেখার দরকার ছিলো।
চুপ করে থাকলে হবে না। লিখতে হবে। লিখে লিখে দুষ্টলোকদের লাইনে আনতে হবে।

২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: আমি ঠান্ডা রক্তের মানুষ। এক জীবনে বহু যুদ্ধ করেছি আর নয়- এখন বিশ্রামের সময়। এখন সময় বন্ধুত্ত্বের।

২১| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৬

পাজী-পোলা বলেছেন: লিখতে থাকেন। আপনাদের লেখা দেখলে নিজের প্রতি আত্মাবিশ্বাস বাড়ে।

শুরুতে আমিও কবিতা প্রকাশ করতে ভয় পেতাম, লজ্জা পেতাম। এখনও পাই, তবে আগের তুলনায় কম।

আমি একটু অলস টাইপের, খাটা-খাটনিতে যাই কম। গাজী সাহেব আমাকেও অনেকবার বলেছেন- গদ্যে লিখুন। তবে উনাকেও যে আমার বানান ভুলের দুই একটা কবিতায় টানতে পেরেছি, এটাই আমার স্বার্থকতা। কারণ বেশীর ভাগ লেখায় উনার কাছে ম্যাওপ্যাও। সেই লেখা উনি নিজে বুঝুক বা না বুঝুক।

২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: তা ঠিক আমার ম্মত যারা লিখতে লিখতে লিখিয়ে হয়েছেন তাদের দেখে অনেকেই আত্মবিশ্বাসী হয় :)
বেশী লজ্জা শরম সংকোচ দ্বীধা থাকলে ব্লগে খোলা মনে বিচরন করা কঠিন বৈকি!
যাক গাজী সাহেব খুশী হওয়া মানে মুগাম্বু খুশ হওয়া। অনেকের জন্য এটাও অনেক পাওয়া।

বেশী বেশী লিখুব-ভাল থাকুন।

২২| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আরেয়ে বাহ !!!
অনুবাদ লেখা আর পঞ্চাশের কবিতা, ঠিক একশো তে একশো পেয়েছে :)

২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমিতো টেনে টুনে তেত্রিশ দিব নিজেকে- আপনি বেশী খাতির করে ৬৭ মার্ক বাড়িয়ে দিলেন।
কবিদের মন এমনই উদার হয় আপনার মত বড় মাপের কবি পিঠ চাপড়ানোর ছলেও ১০০ মার্ক দেয় তখন বুঝতে হবে কবিতা ছেড়ে গদ্যকেই আকড়ে ধরতে হবে। :)
আপনার আগমনে দারুণ প্রীত হলাম।
* বাল্যস্মৃতি নিয়ে আপনার কাছ থেকে একটা লেখার অপেক্ষায় আছি...

২৩| ২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৮

মোগল সম্রাট বলেছেন:

এই লাইনে একটা রিস্ক লমু নাকি ? তপন ভাই ।

৩০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: লন রিস্ক - বাকি মানুষ মজা পাক না পাক আপনি মজা পাইবেন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.