নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
তখন ঢাকা কলেজে পড়ছি। পড়াশুনা থেকে কার্ড খেলায় টান বেশী। কলেজে যাবার সপ্তা খানেকের মধ্যে সমমনা বন্ধু জুটে গেল। যে ক্লাস ভাল লাগে না সেটাতে ফাঁকি দিয়ে উপরে কম রুমের পাশের উঁচু নিচু ছাদের কার্নিশ ঘেঁষে বসে পড়তাম তাস বিছিয়ে। এক সময় ক্লাসের সবচেয়ে নিরীহ ভদ্র অভিজাত গুডি বয় স্যালেক্স ও আমাদের দলের সাথে জুটে গেল। রঞ্জন আর ভুলু দু'জনে হরিহর আত্মা একজনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ আরেকজনের চাটগাঁ। কিন্তু ওদের পরিবার থাকত পুরাণ ঢাকায়। দু'জনেই একসাথে কলেজে আসত একসাথে বের হয়ে যেত। ভুলু একটু গম্ভীর হলেও রঞ্জন হাসিখুশি মজার মানুষ। ধনবান ব্যবসায়ী ব্রাহ্মণ এর ছেলে সুঠাম দেহ, ঝকঝকে চেহারা। ক'দিনেই আমার সাথে ভাব জমে গেল! কার্ড খেলার পাশাপাশি ছবি তোলার বেশ সখ ছিল আমার। একদিন কলেজের ছাদে সবাই মিলে নেকগুলো ছবি তুলেছিলাম। রঞ্জন তাঁর এক কপি করে নিজের পয়সায় প্রিন্ট(ওয়াশ) করে নিল।
এভাবেই চলছিল কলেজে দারুণ আড্ডায় গল্প খেলা আর মাঝে মধ্যে বিরক্তিকর একঘেয়ে ক্লাস এর সাথে।
***
একদিন খেলার ফাঁকে রঞ্জন আমাকে একটু আড়ালে নিয়ে গিয়ে বলল, দোস্ত তোর জন্য দারুণ এক চমক আছে।
আমি বেশ উতলা হলাম জানতে, কি বন্ধু ক'না?
কমুনে তাঁর আগে দুবাই ( কিংবা হংকং মার্কেট) মার্কেটের নিচের দোকানের সিঙ্গারা খাওয়াবি। (মার্কেটের ওভার ব্রিজের সাথে যে ক্রোকারিজ ও গিফট সপের মার্কেটটা আছে তার একদম শেষ মাতায় ডানে একটা দোকান ছিল- সেখানকার সুস্বাদু সিঙ্গারার সাথে 'দই ধনেপাতা তেঁতুলের টক' দিয়ে চমৎকার একটা চাটনি দিত। সেটার লোভেই বারবার যেতাম)।
সিঙ্গারা খাবার পরে যেই ঘটনা শুনলাম; তাতে আমার হার্ট-বিট বন্ধ হবার উপক্রম!
সে আমাদের ছবিগুলো তাঁর এলাকার বান্ধবীদের দেখিয়েছে। তন্মধ্যে একজন নাকি আমার ছবি দেখে ক্রাশ(ব্যাপক অনুরাগ) খেয়েছে। সে নাকি আমার সাথে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য পীড়াপীড়ি করছে।
আমি বুঝলাম না, আমার মত দুবলা পাতলা, অতি নিরীহ এলেবেলে সুরতের একজন যুবকের প্রেমে শুধু ছবি দেখে ঢাকার কোন আধুনিকা তরুণী প্রেমে পড়তে পারে সেটা আমার ধারণ মধ্যে তো না-ই বাইরেও নাই। আমার মাথা চক্কর দিতে লাগল! নারী-ভীতি আমার তখনও কাটেনি তাঁর উপরে মেয়ে নাকি ভীষণ ফর্সা দারুণ লম্বা ও যুতসই ফিগার। শুনেই আমি ঢোক গিলতে লাগলাম- কিন্তু ঢোকটা গলার অর্ধেকখানি গিয়ে আটকে গিয়ে হাঁসফাঁস করতে লাগল।
***
কি মাইরি স্বপ্ন দেখছি না-তো!
- দোস্ত আমি মাইয়ারে কইছি তোরে একদিন নিয়া যাব। কবে যাইবি ক? নাইলে আমার ইজ্জত থাকব না।
আমি ওর দিকে ভীষণ অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকালাম, ও শালা না জানি আমাকে কোন আজাগা কু-জায়গায় ফাঁসিয়ে দেয়। ওর চেহারা দেখে বুঝার চেষ্টা করছিলাম, ওর ধান্দাটা কি?
আমার ভিতরে তখন শুকিয়ে গেছে। মাথার মধ্যে টিপ টিপ করছে- বুকটা মাঝে মধ্যে আবেগে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে!
ওদিকে রঞ্জন ভ্যান ভ্যান করে যাচ্ছে, কবে যাবি ক? - এখন অবশ্য ওর সাথে তাল দিচ্ছে ভুলু। সে ও সে তরুণীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ!
অবশেষে ভীষণ ইচ্ছা(!) স্বত্বতেও রাজী হয়ে গেলাম।
কথা হল সামনের শুক্রবারে বারোটার সময়ে আমি পুড়ান ঢাকার বলধা গার্ডেনের সামনে থাকব।
বলধা গার্ডেনের নাম শুনেছি শুধু তখনো জায়গাটা চিনি না।
***
শুক্রবারের আগের দুই/তিনদিন আমার ব্যাপক সাজ-গোজের মহড়া চলল। নির্দিষ্ট দিনে একেবারে শার্প ১২ টায় এরে-ওরে জিজ্ঞেস করে বলধা গার্ডেনের মুখের কাছে গিয়ে দাড়ালাম।
খানিক বাদেই রঞ্জন আর ভুলু আসল। তিন বন্ধু মিলে কোলাকুলি গলাগলি হইল। কথার ফাঁকে ফাঁকে আমি এদিক ওদিক তাকাচ্ছি। রঞ্জন বহুত চাল্লু মাল। আমার ভাব-গতিকে ও বুঝে ফেলল, কাহিনী কি?
হেসে বলল,ওয়েট কর মাইয়া আইবো।
চল গার্ডেনের ভিতরে যাই। বলধা গার্ডেনে ঢুকে আমি তাজ্জব! কাঠখোট্টা ভিড় জ্যামে ঠাসা পুরাণ ঢাকার মরুর মধ্যে এটা যেন মরূদ্যান। স্বল্প পরিসরে ছায়া শীতল ঘন সবুজে ঘেরা পরিবেশ। তবে এত নামী দামী বাগানের পরিসর এত ছোট হবে তা ভাবিনি। কত শত বাহারি অচেনা গাছে দারুণ যত্নে বেড়ে উঠছে।
ওয়াক ওয়ের পাশ ঘেঁষে খানিক দূরে দূরে বিশ্রামের স্থান। বেঞ্চির চারপাশে গাছে লতায় এমনভাবে ঘিরে আছে যে ভিতরের আদমকে দু/চার হাত দূর থেকেও ঠাহর করা কষ্ট।
তাঁর একটাতে বসতে বসতে রঞ্জন চোখ টিপে কইল, এ জায়গা নাকি কপোলদের জন্য উত্তম স্থান!!!
এর কয়েক মুহূর্ত বাদে গেটের দিকে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ও বলল, ও-ইতো আইছে। যাই আগায়ে নিয়ে আসি।
আমি তখন ফিট হবার উপক্রম!
মেয়েটা ভীষণ ফর্সা -ঠিক আছে। কিন্তু লম্বা বলতে এমন তালগাছ সাইজ ওই শালাতো আমাকে বলেনি। কমপক্ষে পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চি হবে। আর যুতসই ফিগার বলতে; মেদ ভুঁড়ি নেই কিন্তু এমন রেসলার বডি। এমন দশাসই আজদাহা ফিগারের রমণীর কথা তা আমি কস্মিনকালেও ভাবিনি। ও আল্লা কোন জায়গায় ফাঁসলাম!!
মেয়েটা এসে পরিচয় পর্বের আগেই ধপাস করে আমার পাশে মানে ঠিক গা ঘেঁষে বসল। মনে হল পার্কটা একটু কেপে উঠল।
খুব সদা-হাস্য উচ্ছল তরুণী। ওদিকে আমার বুকের ভিতরে শুকিয়ে খাঁ খাঁ করছে। আনত নয়নে বসে আছি - কণ্ঠ দিয়ে শব্দ বেরুচ্ছে না।
তরুণী একাই বক বক করছে আর আমার জ্ঞাতি গুষ্টির খবর নিচ্ছে। ভাবটা যে সে পাত্রী দেখতে এসেছে।
আচমকা রঞ্জন আর ভুলু বলল, দোস্ত একটু বয়। আমরা একটু বাইরে থেকে হালকা স্ন্যাক্স নিয়ে আসি।
খাইছে, শালারা আমারে-তো বাঘের মুখে রেখে যাচ্ছে। লজ্জা শরমে কইতেও পারলাম না- দোস্ত আমারে ফালায় যাইস না।
ওরা যেতেই মেয়েটা আরো খানিক ঘনিষ্ঠ হয়ে বসল আমার পাশে। আমি একটু চাপতে গিয়ে দেখলাম জায়গা নাই।
দু চার কথা শেষেই দেখি সে ঘর সংসার বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে আলাপ শুরু করে দিয়েছে।
ও মা এ মাবুদ আমারে কই আইনা ফাঁসাইল। ওর ভাব-ভঙ্গীতে মনে হচ্ছে শেষ মেষ রেপড টেপড হয়ে না যাই।
এখন আমার ইজ্জত বাঁচানো ফরজ হয়ে গেছে!!!
আমি ফ্যাসফ্যসে কণ্ঠে কথা বলছি আর এদিক ওদিন নজর ঘুরিয়ে রঞ্জন-ভুলুকে খুঁজছি। শালারা গেছে তো গেছেই আসার নাম নেই।
আমি তখন ঘেমে নেয়ে অস্থির! প্রেম ট্রেম এর পার্ট শেষ -সে একা একাই বকর বকর করে যাচ্ছে। আর সইতে না পেরে শরীরে ভীষণ শক্তি সঞ্চয় করে আচমকা আমি উঠে দাঁড়ালাম।
মেয়েটা আমার হাত চেপে ধরে বলল, কই যাও?
আমি কোনমতে হাত ছাড়িয়ে বললাম, এই একটু ওয়াশ রুমে যাব। বলেই হাটার ভঙ্গীতে দৌড়ে দৌড়ে গেট অভিমুখে ছুটলাম।
মাঝে একবার পেছন ফিরে দেখি; সে ভাংচুর হৃদয়ে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে আমার গমন পথ পানে- নিশ্চিত তখন বুঝে গেছে যে আমি ভাগছি।
০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: নব্বুই এর দশকের শেষ ভাগে। আপনি তো দুঃখে কাতর হচ্ছেন -আর আমি যে ভয় পেয়েছিলাম!!!
এমনিতেই মেয়েদের দেখে ভয় পেতাম তাঁর উপরে এমন ঘটনা।
আপনাকে অনেকদিন পরে আমার ব্লগ বাড়িতে পেলাম আপু। ভাল আছেন? অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
২| ০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: প্রথম কয়েক লাইন পড়েই কমেন্ট করছি
@মিরোরডডল আপা কই , ওনাকে ছাড়া তো জমবে না !!
০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: হুমম আমিও ভাবছিলাম - তিনি কই গেলেন! কান্ডার দাবানলের ধোঁয়া সরাতে গেছেন মনে হয়।
ধোঁয়ার নিউইয়র্কে এক ভদ্রলোকের বেজায় কষ্ট হচ্ছে
৩| ০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার ঐ বন্ধুদের কী দশা করলেন তাই বলুন !!
০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: সেই ঘটনা আরেক দিনের জন্য তোলা রইল! ভুলুর সাথে সেদিন কথা হয়েছিল প্রায় ৩০ বছর বাদে।
আর রঞ্জন ব্যাটা ফোন ধরে না, ও এখন চাঁটগায়ের বড় ব্যাবসায়ী। সেই কথা মনে হইলে এত বছর পরেও ফের ওদের পিটাইতে মন চায়
ধন্যবাদ ব্রো
৪| ০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: গল্পের শেষে মেয়ের ডরে পলাতক আসামী।
০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১
শেরজা তপন বলেছেন: আমি ভাই আসামী হব কেন? আমিতো ভিকটিম। ফুয়াদের বাপজানরে, আমারে পুলাপাইন ফাসায় দিলো সেইটা আপনার নজরে আইল না!!
৫| ০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শেষের অংশ বিশ্বাস হয় নাই আমার। আপনার মত বীরপুরুষ এভাবে পালিয়ে যাবে এটা আমি বিশ্বাস করতে পাড়ছি না। আপনি মনে হয় কিছু কল্পনা মিশিয়েছেন সত্যের সাথে।
০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১২
শেরজা তপন বলেছেন: না রে ভাই, সত্য আরো ভয়ঙ্কর ছিল! নিজের ওসব কথা লজ্জায় কই ক্যামনে।
মেয়েদের সাথে হইলে সিম্প্যাথি পায়- ছেলেদের সাথে হইলে মজা লয়। দুনিয়াডা বড়ই আজিব জায়গা
৬| ০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১০
মিরোরডডল বলেছেন:
ছবি দেখে সেই মেয়ে তখনই বুঝেছিলো আজকের দুবলা পাতলা, নিরীহ এলেবেলে, আগামীর বাবনিক
তাই এটাকেই চাই
০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: ও আইছেন আপনি- ধোঁয়ায় ভাল করে দেখা যায়? পুরা আমেরিকাতো অন্ধকার করে ফেলছেন আপনেরা।
আই ঘটনা নিয়ে আপনি মজা নিবেন জানতাম। দুইদিন আগে এক ডায়েরির কয়পাতা পড়তে গিয়ে দেখি এই ঘটনা- আমিতো বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম।
তবে এইসব ভয়াবহ বেদনাদায়ক ঘটনা ভুলে যাওয়াই শ্রেয়।
৭| ০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
মিরোরডডল বলেছেন:
ও শালা না জানি আমাকে কোন আজাগা কু-জায়গায় ফাঁসিয়ে দেয়।
male gigolo করতে নিয়ে যাচ্ছে কিনা
আমার ভিতরে তখন শুকিয়ে গেছে।
কি শুকিয়ে গেছে শেরজা?
০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: কি শুকাবে আবার কইলজ্যা-গুর্দা।
আপনি ব্রাশ আর পেস্টের কৌতুকটা শুনেছেন? শুনে থাকলে শেষের ভাবনাটা আপনার- আর না থাকলে শোনার দরকার নাই, মন খ্রাপ হবে।।
male gigolo ওয়াক থুঃ কি কন এইসব। অইসময় পুলাপাইন এতদূর ভাবতে পারত না।
৮| ০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
মিরোরডডল বলেছেন:
ও আল্লা কোন জায়গায় ফাঁসলাম!!
ও মা এ মাবুদ আমারে কই আইনা ফাঁসাইল।
উপযুক্ত শিক্ষা।
লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু
০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০
শেরজা তপন বলেছেন: আমি লোভী হইলাম!! ঐ ছেমড়ি যে লোভ দেখাইলো সেটা কিচ্ছু না!
কন যে, আমি অবলা নিরিহ দুর্বল সুবোধ ছেলে ছিলাম !
৯| ০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০
জটিল ভাই বলেছেন:
কাহিণী শেষের যে টুইস্ট তাতে তব্দা খাইয়া গেলাম
তারপরও শেষ অব্দি পড়ার সময় আমার নাই। তাই শুরুটা পইড়াই যা কইবার পারি তা হচ্ছে, এরা নিশ্চিত প্রশ্নফাঁশ জেনারেসন। ক্লাস বাদ দিয়া কার্ড খেলার মতো ক্রিমিনালি আচরণ কি ভাবা যায়?
তারপর কি কই! কি কই! ও ভালো কথা। এরা নিশ্চই জিয়ার সময়ের ছাত্র(!)
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: একবার বইল্লেন শেষ পইড়া তব্দা খাইলেন- ফের কইলেন শেষ অব্দি পড়ার সময় নাই।
বিষয়টাতো তুখোড় থ্রিলার ফিল্মএর কাহিনী থেকেও জটিল হয়ে যাচ্ছে।
আমিতো নিশ্চিত প্রশ্নফাঁস জেনারেশন! কি করুম বাহাত্তুরে পরিক্ষা দিতে পারলে জেনুইন স্টুডেন্ট হইতাম।
না না অত বুইড়া না। এরশাদের শেষকাল
১০| ০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০
কামাল১৮ বলেছেন: ঢাকা কলেজের ছেলেদের একটু নারী ভীতি বেশিই হয়।কারন সেখানে সহ শিক্ষা নেই।যেই সময়টাতে ছেলেদের প্রেমে পড়ার বয়স তখন তারা মেয়েদের সাথে মেলামেশার সুযোগ পায় না।
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: টা কিছুটা ঠিক আছে - তবে আমাদের পুলাপান নিয়মিত ইডেনের আশেপাশে চক্কর দিতে। কখনো সময় ও ফুসরত পাইলে লালমাটিয়া তক যাইত। আর সিটি কলেজের তখন শিশুকাল ওখানেও মেলা বসত।
আমি অবশ্য মাধ্যমিক পর্যন্ত কো- এডুকেশোনে ছিলাম- তারপরেও নারীভীতি যায় নাই কামাল ভাই।
১১| ০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
মিরোরডডল বলেছেন:
গল্পের শেষে হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার অংশটা মিথ্যা ছিলো।
আমি সিওর সেইদিন ইজ্জত হরণ হয়েছিলো, শেরজা তার সতীত্ব হারিয়েছে
কারণ পরবর্তীতে
লেখক বলেছেন: না রে ভাই, সত্য আরো ভয়ঙ্কর ছিল! নিজের ওসব কথা লজ্জায় কই ক্যামনে।
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: আ ছীঃ কি বলে আপু। আপনি দেখি ভরা মজলিশে রসোগোল্লার হাড়ি ভাঙছেন!!!
আমার কথা যাকে বলেছি সে বুঝেছে। পুরুষেরাতো কৌমার্য হারায়- ওটা নারীদের একচাটিয়া অধিকারে আছে। নাঃ আর বেফাঁস কথা কইব না।
১২| ০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: দৌড়া বাঘ আইলো (শের*জা নাম যে কেন লইছেন/ রাখছেন তা আইজকা বুঝবার পারছি। শের'ও অনেক সময় মহিষের গুতা থেকে বাচবার জন্য লেজ উল্টাইয়া দৌড় দেয়। আর আমনে ত বাচচা পুরুষ আছেন,যে কিনা ---------- ।
পরতম পরতম এমনডাই অয় ভাইজান , তয় সাহস কইরা যদি আমনিও একটু আগাইতেন তাইলে গল্পটা অনতরকম ঐলেও ঐবার পারত।
কি আর করা। ভয়ংকর রকমের সুযোগ হাতছাড়া ঐগেছে। আর আপনি ভেগে পার পাঈ গেছেন।
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: বাঃ আপনিতো দারুণ একটা ব্যাপার আবিস্কার করেছেন- আর আমি কি না একটা বাঘের ছবি দিতে চাইছিলাম আজকে।
কি বেইজ্জতিটাই না হইতাম। আজ থেকে শের-যা লিখুম!
ওই মাইয়া এক চাপ দিলে হাড্ডি হুড্ডি ভাইঙ্গা যাইবার সম্ভাবনা ছিল- সাহস দেখাইতে গিয়া ল্যাংরা নুলা হইয়া আসি আরকি!!
হাতটা না ছাড়াইতে পারলে যে কি হইত- এখনো ভেবে ঘেমে যাই।
১৩| ০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
নীলসাধু বলেছেন: হা হা
কি দারুণ সময়!
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী যা বলেছেন ভাই সত্যিই দারুণ উচ্ছল প্রান প্রাচুর্যে ভরপুর সেই সময়টাই না ছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৪| ০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মেয়েটা কি আপনার হাত বা অন্য কিছু ধরেছিল?
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মনে কেন যে এইসব কু-ভাবনা আসে! আমি কি উদোম ছিলাম নাকি?
যা ভাবছেন মেয়েটা অমন নয়- এই আরকি একটু ইয়ে গা ঘেঁষা ছিল। আজে বাজে ভাবনা মন থকে ঝেড়ে ফেলে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আসুন
১৫| ০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৪৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: হা হা মেয়েটির মনে দাগা দেয়া ঠিক হয়নি! মেয়েটি অনেক স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল, ভাঙ্গা মনে ফিরে গিয়েছিল বোধহয়!
বলদা গার্ডেনের নাম অনেক শুনেছি, তবে যখন প্রথম দেখছিলাম দূর থেকে, তখন ভাবছিলাম এত ছোট এই গার্ডেনের এত সুনাম কেন!
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও ওই গার্ডেনের সাইজ দেখে হতাশ হয়েছিলাম!
তাঁর মন জোড়া দিতে গিয়ে তো আমার হাড্ডি গুড্ডি ভাঙ্গার চান্স ছিলরে ভাই।
১৬| ০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগেই ঝেড়ে দৌড় দেয়া উচিত ছিল। এতো বিপদে পড়তেন না।
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: ওকে দেখে প্রথমে তব্ধা খেয়ে ছিলাম কিছু সময়- দৌড়ের কথা ভুলে গিয়েছিলাম!
১৭| ০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরে ছ্যা ছ্যা..........আপ্নে পুরুষ জাতির কলংক! ভাগ্যিস বাঘের ছবি দেন নাই, বাঘের ইজ্জত হানি হইত!!
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি ভুয়া-র সাথে যদি বড় বিলাইয়ের ছবি সাঁটাইতে পারেন তাইলে আমি কি দোষ করছি! আমি তখনো পুরুষ হয়ে উঠতে পারিনি
আপনি বাংলাদেশের আসল পুরুষের এড দেখেছেন?
১৮| ০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চুমা ঠুমা দেয় নাই তো আবার।
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: নাহ্ তারে দিয়া চুম্বনের বউনি হয় নাই- সেইটা আরেক গল্প!! আপনিতো মিয়া বিরাট টেনশনে আছেন
১৯| ০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ১: বাংলাদেশের ছেলেদের নারী ভীতি আছে এটা সত্য, কিন্তু আপনার মত বীরপুরুষ দৌঁড়ে পালাবে এটা জাতি বিশ্বাস করে না।
২: গতমাসে আমাকে এক চাইনিজ বলেছিল, তোমাদের দেশের ছেলেরা মেয়েদের সাপের মত ভয় পায়, আমি বলেছিলাম আমরা এমনই, আসলে আমাদে এখানে নারীদের প্রচুর সম্মান করা হয়।
৩: কিছুদিন আগে এক আমেরিকান বলেছিল, তোমাদের বাংলাদেশের মেয়েরা অনেক কিউট হয়, এরা খুব একটা মেকআপ করে না এবং মুসলিম মেয়েরা অনেক স্বামী ভক্ত হয়।
বাংলাদশের মেয়েরা যে মেকআপ করে না, এ কথা আমি ওর মুখ থেকে শুনার পর অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলাম তিন ঘন্টা।
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: কোন ব্যাটায় বউরে ভয় পায় না কন। খালি আমার দোষ- আমি আগেই টের পাইছিলাম; মেয়েরা বউ হলে এমন হয়
২: গতমাসে আমাকে এক চাইনিজ বলেছিল, তোমাদের দেশের ছেলেরা মেয়েদের সাপের মত ভয় পায়, আমি বলেছিলাম আমরা এমনই, আসলে আমাদে এখানে নারীদের প্রচুর সম্মান করা হয়।
ভয় আর সম্মান চায়নিজ একই অর্থে বোঝে মনে হয়! আমরা তাইলে নারীদের প্রচুর সম্মান করি; নতুন চমকপ্রদ একটা খবর জানাইলেন বটে
যাউক আপনার তাহলে জ্ঞান ফিরেছে- কোমায় চলে যান নাই তাই বেশী। জ্ঞান হারানোর আগে ওই ব্যাটারে থাবড়ায় লইতেন।
২০| ০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
দোস্ত, আমারে ফালাইয়া যাইস না
চাপতে গিয়া দেখি জায়গা নাই
এ কথা দুইটা পইড়া আপনারে খুবই অসহায় মনে হইতেছিল। মনে লইতেছিল আমিই সেই বীরপুরুষ, যে আপনাকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করিতে পারিবে।
কিন্তু শেষ দৃশ্যে নায়িকা এমন নিদারুণ সকরুণ ট্রাজেডির শিকার হবে, তা কিন সে ঘূণাক্ষরেও ভেবেছিল?
তবে, আপনি পৃথিবীতে, আইমিন বাংলাদেশে সম্ভবত একমাত্র সুদর্শনতম সৌভাগ্যবান আরাধ্য পুরুষপ্রেমিক, যাকে দেখার জন্য মেয়েরা পাগল হয়েছিল। বাংলার ইতিহাসে এমনটি আর ঘটে নাই। আপনাকে অভিনন্দন।
ইয়ে, আপনি কত সালের ব্যাচ?
আমি ১৯৮৪-৮৫ সেশনে সায়েন্স গ্রুপে ছিলাম, নর্থ হোস্টেল।
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমি নিশ্চিত সহায় সম্বলহীন ( মানে মানসিকভাবে) ছিলাম তখন!
আমি আমার চেহারায় এই জীবনে কোন বিশেষত্ব খুঁজে পাইনি- আমার গিন্নীও পায়নি।
ওই শালাদের একটা মুরগী দরকার ছিল তাই আমারে টোপ ফেলাইছে।
মেয়েটার জন্য একনো আমার বুকের মধ্য থেকে দমক দিয়ে কান্না উঠে আসে। ব্যাপক ট্রাজিডি!!!
আমি হোস্টেলে থাকিনি। মিরপুর থেকে দলবেঁধে সানলাইট মুনলাইট ইরানী হীরা বাসে যাইতাম :`< ~মনে আছে?
আরে আপনিতো আমার সিনিয়র ভাই। আমি ৮৮ এর ব্যাচ।
২১| ০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লেখাটি পাঠে মনোমধ্যে নারী ভীতি না নারী প্রীতি
তা নিয়ে পোষ্ট দেয়ার তরে একটি প্লট মাথায় দানা
বেধে উঠেছে । ভাবছি দিন কয়েকের ভিতরে ধীরে
ধিরে লিখে ফেলার চেষ্টা করব ।
আপনার কাহিনীর শেষ দিকের দৌড়টার উল্টোরথ একটু
নীচের মত হলেই কি স্বাভাবিক হতো না!! নারী ভীতিকে
নারী প্রীতিতে রুপান্তর করলে সেটা কতই না মধুর হত ।
শুভেচ্ছা রইল
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: আমি খুবই আনন্দিত ও অভিভূত হলেম জেনে যে, আপনি আমার কোন একটা লেখার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন কিছু লিখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সেটা নিশ্চিত আপনার স্বভাবসিদ্ধ শৈল্পিক রচনার তুলির আঁচড়ে দুর্দান্ত গুনমানসম্পন্ন একটা লেখা হবে।
এই প্রীতিটা এসেছে উত্তরকালে। তবে তাঁর আকার আকৃতি দেখে আমার মত ভিতু দুবলা পাতলা মানুষের ভয় পাওয়াটা খুব স্বাভাবিক ছিল সেই সময়ে।
আপনার ছবির অতীব সুশ্রী রমণীটি যে লাজুক ভঙ্গীতে বসে আছে- তা দেখে ফের প্রেম জাগছে মনে।
ভাল থাকুন। শুভকামনা রইল।
২২| ০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
ইচ্ছা মতো মিথ্যা কৈছেন। আরে মিয়া, ছবি দেইখ্যাই আম্নের উপ্রে ক্রাশ খাইছে আর আম্নে কৈতেছেন মাইয়ার ডরে ঢো্উক গলায় হাইন্দা আম্নের জানডা যায় যায় অবস্তা! এল্হা এল্হা তো খুশিতে আম্নের লাফাইন্না কতা। মিছা কতা কৈলেন কিরপান্নে ?
তা যাউক .... হেই সোমায় রেপড হওয়ার ডরে পলাইয়া ইজ্জৎ না হয় বাচাইতে পার্ছেন, ঠালায় তো চিত্তরাইয়া পড়েন নাই! কিন্তু ধরা তো খাইছেন মাজপোতে আইয়া। ভাবী কি আম্নের ইজ্জৎ এহোনো পাংচার করে নাই, বাচাইয়া রাকছে?
হেই ইজ্জৎ যহোন পাংচার ওইয়াই গ্যাছে তয় বলধা বাগানের ভিত্রে ইজ্জতের পাংচার না কইর্রা গোংগা হইয়া কফালডারে পোড়লেন ক্যা ?
নির্ঘন্টঃ-
এল্হা এল্হা < একা একা
কিরপান্নে < কি জন্যে
ঠালায় < গর্তে
চিত্তরাইয়া < চিৎ হয়ে
মাজপোতে < মাঝ পথে
গোংগা < বলদ/ বোকা
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: টেনশন লইয়েন না- আপনার ভাষা পুরাটাই বুঝবার পারছি। খালি 'গোংগা' কথাডা বুঝবার পারিনাইক্যা।
একে একে লাইন ধরে দেখি ব্লগের রথী মহারথীরা আসছেন- আমার কি সৌভাগ্য!!!
এই মাইজ রাইতে ভাবীর কথা স্মরণ করাইলেন- অহন তো আমার চিক্কুর পাইরা কাইনবার মন চাইতাছে।
আহ্হারে কি ছুন্দর দিনগুলারে হেলায় হারাইলাম।
এরপরে নিশ্চিত থাকবে আর ঐ ভুল 'কাভি নেহি হোগা'।
চমৎকার মন্তব্যের জন য় অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার! শুভকামনা নিরন্তর!
২৩| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ঢাকা কলেজ মানেই তো আবদুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার। তবে আপনার জীবনের গল্প পড়ে ভূয়া ভাইয়ের মতো অতোটা কর্কশসুরে না বলেও আপনাকে ভীতুর ডিম না বলে পারছি না। এখন বুঝতে পারছি ভীতুর ডিমের রিহার্সাল হয়েছে ঢাকা কলেজে আর ফাইনাল ভীতুগিরি হয়েছে রুশ দ্যাশে।
০৯ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের কলেজের প্রথম ক্লাসটা ন্যে ছিলেন আবু সাইদ স্যার! ঢাকা কলেজের সচেয়ে স্মরণীয় ঘটনা ছিল সেটা।
এখনো আমি চোখ বন্ধ করলে দেখতে পাই স্যারের ডায়াসে দাঁড়িয়ে কথা বলার ভঙ্গী আর পুরো ক্লাসের হাসাহাসি।
আপনি ভাই আবু সাইদ স্যার আর ঢাকা কলেজের ব্যাপারে জানলেন কিভাবে?
জ্বী ভ্রাতা ভুয়া ভাই ছিল্যা কাইট্যা লবন লাগায় দিছে
নাহ রাশিয়ায় যাবার আগেই আমি একটু একটু করে সাহসী হয়ে উঠেছিলাম। এই ব্যাপারে আমার মনস্তাত্ত্বিক্ভাবে সহযোগীতা করেছিল আমার কাছাকাছি বয়সের ভাগ্নীদ্বয়! তারা নিয়মিত তাদের ক্লাসের সব সুন্দরী বান্ধবীদের সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আলাদা গল্প করার সুযোগ করে দিত
এই ব্যাপারে তারা ভীষণ সিসিয়াস ছিল- মানে জীবন মরনের ব্যাপার টাইপের।
ওই গল্প আরেকদিন করুমনে।
হালকা করে ছ্যাঁচা দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা।
২৪| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:০৯
মোগল সম্রাট বলেছেন:
নায়িকাকে একলা ফেলে নায়কের পলায়ন, এটা মানি না। গপ্পো পইড়া কান্দন আইসা পড়ছে ওস্তাদ
০৯ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: এই কথা মনে করে আজো আমি চোউক্ষের জল ধরে রাখতে পারি না। হায় মোর মওলা কি বেকুবটাই না ছ্যালাম!!
আমার এমন মর্মবেদানার সঙ্গী হবার জন্য আপনাকে আন্তরের বহিঃস্থল থেকে ধন্যবাদ।
২৫| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:৫৫
আমি সাজিদ বলেছেন: কিছু কিছু পুরুষ মানুষের সহজাত একটা গুন থাকে ; বডি ল্যাংগুয়েজ, চেহারা, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি। আপনার মধ্যে এমন কিছু আছে, যার জন্য শুধু গ্রুপ ফটো দেখেই একটা মেয়ে খুব পছন্দ করে ফেললো আপনাকে। আর মেয়েটার যে বর্ণনা দিলেন তাতে মনে হচ্ছে সে সময়ের তুলনায় বেশ আধুনিকা ছিল সে। ভুলু আর রঞ্জন পরে কি বলল? সেদিন ওইভাবে চলে আসার পর মেয়েটি আর যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল?
০৯ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: কিছু কিছু পুরুষ মানুষের সহজাত একটা গুন থাকে ; বডি ল্যাংগুয়েজ, চেহারা, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি
~ একদম খাঁটি কথা। আমি এমন প্রমান পেয়েছি বেশ ক'বার। অনেক উরাধুরা স্মার্ট, ড্যাশিং নায়কোচিত চেহারার ছেলেদের পাশে থেকেও আমাদের মত অতি এলেবেলে মানুষকে দু'য়েকজন পছন্দ করে।
আমার মনে হয় মেয়েটা একটু পাগলা কিসিমের( ক্রেজী টাইপের) ছিল। আলাপ আলোচনা জমায় তারপর আগাইতে হয়- আর সে আগে আগাইয়া পরে আলাপ জমাইতে চায়
সম্ভবত না। আমি ভুলে গিয়েছি।
২৬| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:৪০
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: হা হা, ভালো ডেটিং অভিজ্ঞতা, আমি তো মনে করেছিলাম বন্ধু কথা রাখবে না, কৌশলে মোরগ পোলাও খাওয়া বাগাবে।
০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: নাহ বন্ধুরা আমার অত খারাপ ছিল না। আর ওই সময়ে মোরগ পোলাউ এর পয়সা কখনো পকেটে থাকত না
২৭| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:১১
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রথম ভাবলাম এতো দ্রুত শেষ হয়ে গেল, লেখা এতো ছোট ক্যা? পরে আবার চেক কইরা দেখলাম না লেখা তো মোটেই ছোট না। পরে বুঝতে পারলাম ঘটনার মিল না থাকলেও ঐ বয়সে পারসোনালিটি আপনার সাথে বেশ মিল খুঁজে পেলাম তাই বোধহয় পড়ে একটু বেশি মজা পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনার স্পট বলধা গার্ডেন ও চেনা ছিল বলে শেরজাকে আমি দেখতে পাচ্ছিলাম কিভাবে দক্ষিণ পাশের গেইট দিয়ে পার্কে ঢুকে বাঘিনীর জন্য উঁকিঝুঁকি করছিলেন।
আপনি এবং আমি মনে হয় সমবয়সী হবো, এস এস সি '৮৭ ব্যাচ।
মন্তব্য গুলো অনেক তাড়িয়ে তাড়িয়ে পড়লাম বেশ উপভোগ্য ছিল। শ্রদ্ধেয় আলি ভাই এখান থেকে উনার পরবর্তী গল্পের প্লটও পেয়ে গেলেন এটাও একটা দারুণ ঘটনা।
আরও কিছু ঘটনা পরে জানাবেন জেনে পড়ার তেষ্টা কিন্তু বেড়ে গেছে সুতরাং পরবর্তী লেখা কিন্তু নো দেরি।
০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন আপনারও আমার মত নারীভীতি ছিল? অবশ্য জীবনের কোন এক সময় সব পুরুষই নারীদের ভয় পেতে বাধ্য হয়।
যাক বলধা গার্ডেনের অলিগলি আর ঘুপচি চেনে এমন একজনকে অবশেষে পাওয়া গেল। প্রায় সাড়ে ত্রিশ বছর আগের দেখে বলধা'কে ঠিক রিকল করতে পেরেছি কি না কনফার্ম হলাম।
একদম পিঠাপিঠি- ঠিক ধরেছেন।
জ্বী আলী ভাই এর মন্তব্যে আমি ভীষণ আপ্লুত ও পুলকিত হয়েছি। আমার পরম সৌভাগ্য।
ব্লগে থাকলে কত কিছুই নিয়ে না লেখা হবে। জীবনের কত ঘটনা ভুলে গিয়েও ফের চমৎকার ভাবে মনে পড়ে গেছে আপনাদের সান্নিধ্যে এসে। বেঁচে থাকলে সামনের দিনে মন আরো অনেক গল্পই তো হবে।
ভাল থাকুন।
২৮| ০৯ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: এযুগের ছেলেদের নারী ভীতি নেই।
এদের লজ্জা শরমও কম। কথাটা কি বিশ্বাস করলেন?
তবে ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে কার্ড খেলা কাজটা ভালো হয়নি।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:২০
শেরজা তপন বলেছেন: হতে পারে তবে আমার নারীভীতি ছিল এক্সট্রা কেস!
এই মেয়েকেই শুধু নয় আমি তখন মেয়েদের থেকে নিরাপদ দুরুত্ব বজায় রাখতাম। সে মেয়েটা মনে হয় বুঝে ফেলেছিল।
জীবনে অনেক কাজ মোটেও ভাল করিনি( তখনকার সমাজের প্রেক্ষিতে আর মুরুব্বীদের কথায়)
কিন্তু এখন এই বয়সে এসে মনে হচ্ছে সব আকামগুলো আর ভুলগুলো আরো বেশী করে করার কথা ছিল
২৯| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২২
ইসিয়াক বলেছেন:
ডেটিং এ গিয়ে পলায়ন হা হা হা বেশ মজার ঘটনা।মানুষের জীবনে একজীবনে কত কিছুই না ঘটে! স্মৃতি রোমন্থন ভালো লাগলো প্রিয় ব্লগার।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২০
শেরজা তপন বলেছেন: তাতো বটেই কত কিছুই না ঘটে- তারপরে আমরা আরো কত ঘটনাই না বেমালুম ভুলে যাই!!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে কবি
৩০| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাবনিকদের জীবন যন্ত্রণা ভালো হইছে
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি তাহলে নেটওয়ার্কের মধ্যে আসছেন!
ওদিকে আপনাকে বিচারিক প্যানেলে যুক্ত করার জন্য ব্লগারেরা ব্যাপক মিছিল মিটিং করল; কিন্তু আপনিতো- স্পিকটি নট।
বাবনিক কোন ব্যাটায়- কার কথা কন?
৩১| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৩০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এখনও সমস্যা আছে?
থাকলে জানাবেন, তাবিজ তন্ত্র মন্ত্র যাদু টোনা বান সহ ফু দেওয়া পানি ইত্যাদি যা যা লাগে দিয়ে দিবো।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন সমস্যা নাই মানে। এখন সমস্যা আরো গুরুতর!!
বহু ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়েছি -সারা শরিরে তাবিজ কবজের ধাগা গিট্টু দিয়ে বাঁধা, ফুঁ ফা দিতে দিতে কয়েক হুজুরের ফুসফুস আর পাম্প করে না; মরনের আগে এই ভীতি দূর হওয়া নসীবে নাই
৩২| ১০ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯
ধুলো মেঘ বলেছেন: বড় বাঁচা বেঁচে গেছেন সেদিন। মেয়েটা যদি সেদিন কোনমতে আপনাকে তার বাসা পর্যন্ত নিতে পারত, তাহলে বুঝতেন মজাটা।
১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ বড় বাঁচা বেঁচে গিয়েছিলাম- নাহলে আপনারা একজন ধর্ষিত পুরুষ ব্লগার পাইতেন
অবশ্য বাসা পর্যন্ত নেয়াটা সম্ভব ছিল না বোধ হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৩| ১০ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
শাওন আহমাদ বলেছেন: লেখাটা দুইদিন আগে দেখে রেখেছি সময় করতে পারছিলাম না পড়ার। মাত্র শেষ করলাম। মাইয়ার যে আচরণের বর্ণনা দিয়েছেন তাতে আর কিছু সময় থাকলে আপনার রেপ হওয়া কেউ বাঁচাইতে পারতো না। যাক আল্লাহ্ বাঁচাইছে রেপ টেট হন নাই।
তা আপনার বন্ধুরা কি আপনারে ফাঁদে ফেলার জন্যই ওই মাইয়ার মুখে ফেলে চলে গিয়েছিলো?
১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: যাপিত জীবনের ব্যাস্ততায় চাইলেও অনেক কিছু ঠিক ঠাক সময় মত করা হয়ে ওঠে না।
আগের মন্তব্যে সেটাই বলেছি। পুরুষদের মেয়েদের হাতে ধর্ষন হবার ঘটনা বেশ বিরল! তেমন একটা বিরনল অভিজ্ঞতার সাক্ষী আমি হতাম আর আপনার এমন বিরল ঘটনা শোনার সাক্ষী। বিষয়টা গভীর ভাবে ভাবলে খারাপ নয়
ফাঁদ একটা রচনা হয়েছিল- তবে সেটা তেমন সিরিয়াস ছিল না। ওই সময়ে পুলাপান এত জটিল ছিল না।
অনেক ধন্যবাদ -ভাল থাকুন নিরিন্তর!
৩৪| ১২ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা।জ্বী আমি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারকে ভীষণ পছন্দ করি। ওনাকে আমার একবিংশ শতাব্দীর সক্রেটিস মনে হয়। একদিকে অগাধ পান্ডিত্য অপরদিকে এতো সুন্দর বাচনভঙ্গি বোঝানোর কৌশল আমি আর দ্বিতীয় কোনো শিক্ষকদের মধ্যে দেখিনি।মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে ওনার কথা শুনতে হয়। কাজেই এবার বুঝতে পারলেন কেন ঢাকা কলেজের কথা উঠলেই স্যারের নাম মুখে আসে।
১২ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ডিটেইল বলার জন্ত। জেনে দারুণ প্রীত হলাম।
তিনি আমারও অমন প্রিয় স্যার।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
মেহবুবা বলেছেন: আহা! আপনার করুন দশা ভেবে এই এত বছর পরেও দুঃখে কাতর হলাম।এটা কত সনের ঘটনা হবে?