নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ কড়চা

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৯


গরু কেনাঃ
আপডেটঃ আজব এই দেশে কাঁচা মরিচের কেজি ৮০০ টাকা আর আস্ত গরুর কাঁচা চামড়া বিক্রি হয় ৩০০ টাকায়!!!!!!!!!!!!
বারের গরুর অত্যাধিক মূল্য নিয়ে প্রায় সব ক্রেতাদেররই ক্ষোভ আক্ষেপ ও হতাশা ছিল। এক ব্লগারতো ব্লগে লিখেই ফেললেন, গরুকে কি সোনা খাওয়ানো হয় নাকি?
অনেকেই গরুর হাটে যাবার ঝামেলায় জড়াতে চান না। এমনিতেই আষাঢ় মাস ক্ষণে ক্ষণে বৃষ্টির হানা, গা জ্বলানো গরম আর ঘাম। ওদিকে খড় আর গোবড় মেশানো প্যাঁচপ্যাচে কর্দমাক্ত গরুর হাট অনেকেই এড়িয়ে চলতে চেয়েছিল। এর আগে অনলাইনে ওজন মেপে গরু কিনে বেশীরভাগ ক্রেতারাই প্রতারিত হয়েছেন- তাই এবার সরাসরি খামারে গিয়ে গরু দেখে কেনার হারটা ব্যাপক ছিল। তবে খামারিরা একেবারে খাটি দেশী গরু, পরিচ্ছন্ন পরিবেশে, সুষম খাবার দিয়ে লালন পালনের টোপ ফেলে বেশ ভালই দু'পয়সা কামিয়েছেন। যারা যারা খামার থেকে গরু কিনেছেন তারা প্রায় সবাই( বড় গরু বাদে) চলতি কোরবানের হাটের দর থেকে অনেক বেশী দিয়েছেন।

ড় গরু বাদে কেন? কেননা বড় গরুর মুল্য যাচাই করা যায় না। পাঁচ লক্ষ টাকার একটা গরু মাংসের পরিমান হিসাব করে লাভ-লস বের করতে পারবেন না।
গ্রামে যারা ব্যাক্তিগতভাবে কোরবানিতে বিক্রির উদ্দেশ্যে যারা গরু লালন পালন করে তারা বেশ খাটাখাটুনি করে অতীব সতর্কতার সাথে গরুর পরিচর্যা করে। নিয়মিত গা ঘষে গোসল করায়,রাতে মশা ডাসার আক্রমন থেকে তাদেরকে রক্ষার জন্য মশারি খাটিয়ে দেয়, কেউ কেউ শীতে হিটার আর গরমে ইলেক্ট্রিক পাখার ও ব্যাবস্থা করে। এরা নিজেরা না খেয়ে গরুকে তাজা ঘাস, খৈল, ভুষি খড় খাইয়ে গরুর সাস্থ্য অটুট রাখে। মফঃস্বল বা গ্রামে এখন পশু খাদ্য, সাপ্লিমেন্ট, ভেটেনারি ঔষধ আর ডাক্তাদের বেশ চাহিদা। প্রায় সব বড় ঔষধের দোকানে গরু মোটাতাজা করনের সাপ্লিমেন্ট আর ঔষধ বিক্রি হয়।
গ্রামের এই প্রান্তিক ছোট্ট খামারিদের সমস্যা একটা; তারা নিজের গরুটাকেই সেরা গরু মনে করে। অনলাইন মিডিয়ার কল্যাণে সারা দেশের বাজার দরের আপডেট থাকায় তারা নিজেদের গরুর বাজার দরের তুলনায় অনেক বেশী দর হাঁকে। প্রায় সবার টার্গেট থাকে ঢাকায় এনে গরু বিক্রি করার।
এবার গ্রামে যে গরুর দাম দেড় লাখ টাকা বলা হয়েছে সেটা ট্রাক ভাড়া ও ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিয়ে ঢাকার হাটে এনে কয়েক দিন-রাত রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে আধপেটা খেয়ে প্রায় ঘুমহীন কিংবা খড় বিচালীর গাঁদায় গরুর পাশে একটুখানি চোখ বুজে কাটিয়ে দিয়ে বহু কষ্টে এক লাখ বিশে সেই গরু বেঁচে কিংবা বিক্রি করতে না পেরে উল্টো কয়েক হাজার টাকা গচ্চা দিয়ে ভীষণ হতাশ হতে বাড়ি ফিরে গেছে!
এটা কিন্তু এবারই নয়- প্রতিবারের কাহিনী। এ বছর কিরা কসম কেটে, ঢাকা শহরকে শাপশাপান্ত করে বলে, সামনের বছর আর ঢাকা আসবে না- পরের বছর সব ভুলে ফের নতুন উদ্যোমে আসে।

ঈদের শেষ দুদিন ক্রেতা বিক্রেতার দারুণ এক খেলা জমে। আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা দর্শকেরা সেই খেলায় জয় পরাজয় নিয়ে প্রতিক্ষনের তুমুল তর্কে লিপ্ত হয়।
কার গরু কেনায় লাভ হল আর কার-টা লসে হল এই নিয়ে হুলস্থুল কান্ড ঘটে। চায়ের দোকানের আড্ডা থেকে বুদ্ধিজীবিদের আসর; সবখানেই সেই এক আলোচনা।

যে লোক দারুণ দর কষাকষি করে খাটি একখান দেশী গরু কিনেছে বলে খুশীতে বগল বাজিয়ে গরুর দড়ি ধরে জোড় কদমে বাড়ির দিকে হেটে যায়- রাস্তায় কেউ যদি একটু পানসে মুখে বলে দামটা একটু বেশী মনে হচ্ছে? ভালই হৈসে।কিংবা ভাইতো ক্রস গরু কিনছেন! তাহলে কম্মো সাবাড়।! তাঁর গরু কেনার সব খুশী বরবাদ!

************************* ************************

কোরবানীঃ
রু কেনা থেকে কোরবানীর বিষয়টা কম হ্যাপার নয়! হাট থেকে গরু এনে গ্যারেজ ইলেক্ট্রিক পোল কিংবা গেটের গ্রীলে বেঁধে রাখার পরে, গরুর খাবার নিয়ে সবাই ব্যাপক হুলস্থুল শুরু করে দেয়। সবারই তখন গরুর প্রতি বিশেষ ভালবাসা উথলে ওঠে। সুযোগ বুঝে খড় বিচালি আর ঘাসের দাম আকাশ্চুম্বী হয়। এখমুঠো খড় বা ঘাসের দাম ত্রিশ টাকা থেকে উপররে দিকে উঠতে থাকে। ছোলার খোসা বা ভুষি ৭০ টাকা কিলো। যেখানে আস্ত ছোলা মৌসুমে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়।
আনাড়ি এক/দুই দিনের খামারী বা কৃষকেরা সেই ঘাস খড় ভুষি নিয়ে পেটপুজা করানোর জন্য চরম হাস্যকর প্রচেষ্টা চালায়। দুয়েকজন বিশেষজ্ঞ আবার ঘুরে ঘুরে পরামর্শ দিয়ে তাদের বিশেষ জ্ঞান জাহির করে। এমনে না ভাই এমনে খাওয়াতে হবে। খৈল ভুষি কিছুক্ষন পানিতে ভিজিয়ে খড় গুলো তাঁর মধ্যে ঠেসে দিন দেখবেন গরু গপ গপ করে খাচ্ছে! আরে এইসন শুকনা খাবার খাওয়াএন না- তাজা ঘাস দেন। ভাইরে আগে পানি খাওয়ায় নেন- দেখেন না ওর পানি তেষ্টা লাগছে।
গরু কেনার পরে সবার জ্ঞানচক্ষু উন্মোচিত হয়!
আল্লাহ বলেছেন নাকি নিজের প্রিয় প্রাণীকে তাঁর নামে উতস্বর্গ করতে হবে তাই গরু কেনার পরে সবার এটাকে তাঁর প্রিয় পশু বানানোর চেষ্টার কমতি থাকে না। জেনুইন কসাই ঠিক করা ব্যাপক এক হ্যাঁপা। এদিন নাকি ঢাকার সব সব্জি বিক্রেতা মৌসুমী কসাই হয়ে যায়। যারা সব্জী ফল মহল্লায় ভ্যানে ফেরি করে বিক্রি করে তাদের সাথে প্রায় সব ফ্লাট বা বাড়ির মালিক/বুয়া/দারোয়ানদের সাথে সখ্যতা থাকে।
ওদের কথায় বিশ্বাস করে সবাই। ওরা সহজেই জাত কসাইয়ের টোপ ফেলে গরু বানানোর( কাটার) চুক্তি করে ফেলে। ঢাকার বাইরে থেকে হাজার হাজার মৌসুমি কসাই এসে মাথায় একখানা তেতুল কাঠের খাম্বা আর ক'খানা ছুড়ি চাপাতি নিয়ে পাড়া মহল্লায় ঘুরে বেড়ায় গরু বানানোর চুক্তির আশায়। মিরপুরে একেবারে জাত বিহারি কসাইয়ের চাহিদা বেশ- তবে তাদের চাহিদাও আকাশচুম্বী! গরুর মুল্যের- হাজারে দু'শ টাকার নীচে তারা মাংস কাটতে চায় না। তাঁর মানে দুই লাখ টকার গরুর জন্য শুধু কসাইকে দিতে হয় চল্লিশ হাজার!! ভাবা যায়। কিছুদিন আগে এই টাকায় দারুণ আস্ত গরু মিলত।
ঢাকার বাইরের কসাইরা আস্ত গরুর চুক্তিতে কিংবা হাজারে একশ টাকায় মাংস কেটে দেয়। এর থেকে কমে গেলে ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। কাটাকাটিতে সকাল থেকে সন্ধ্যে লেগে যেতে পারে। মাংস থেতলে, হাড় গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে তেল চর্বি পানি কাদায় মাখামাখি হয়ে এক বিদিকিচ্ছিরি কাণ্ড ঘটা অসম্ভব নয়। অনেকেই ভুল লোকের খপ্পরে পড়েদিন শেষে নিজের নির্বুদ্ধিতায় মাথা চাপড়ায় আর হায় হায় করে।
অনেকেই এইসব হ্যাপায় না গিয়ে নিজেরাই মানহস কাটে। এ কাজ করতে গিয়ে কারো হাত কাটে কারো পা ছিলে যায় কারো হাড়ের টুকরো চোখে গিয়ে অনর্থ ঘটায়- সারা দেহ রক্ত, অস্থি, মজ্জায় মাখামাখি হয়ে যায়। মাংস কাটতে কাটতে দিন গড়িয়ে যায়- তবুও এ কাজে দারুন আনন্দ আছে।
ঈদের কসাইদের নিয়ে অনেক গল্প করা যায় - শুধু এটা নিয়ে লিখতে গেলে ধারাবাহিক গল্প হয়ে যাবে।
* প্রতিবার কোরবানীতেই তের চৌদ্দ বছরের মাদ্রাসার ছাত্রদের খোলা রক্তমাখা ছুড়ি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যায়। কোন মতেই ব্যাপারটাকে আমি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারি না। এবার এলাকার মসজিদের এক হুজুরকে ধরেছিলাম। তিনি প্রথমে অস্বীকার গেলেন। তারপরে বললেন, বালেগ না বালেগ সবাইকে দিয়ে কোরবানি করা যায়। অথেনটিক রেফারেন্সের পরে জুত মত চেপে ধরলে বললেন, উনি আসলে এই সন্মন্ধে সঠিক ভাবে জানেন না- জেনে জানাবেন।
***
এই আষাঢ়ে বেড়িয়ে আসা
ছেলের ডিসেম্বর পর্যন্ত ভীষণ পড়ার চাপ। ঈদের এই ছুটিই শেষ ছুটি। প্রতিবার ঈদের পরদিন ওরা নানাবাড়ি যায়। এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যাব না। কিন্তু ছেলে নাছোড়। একদিনের জন্য হলেও যেতে হবে। আমাদের টলাতে না পেরে শেষমেশ কথাবার্তা বন্ধ করে দিল।
বাচ্চাদের অনুরোধ আর সবার আমন্ত্রনে অবশেষে যেতেই হল।
সারাদিন মেঘলা আকাশ - মাঝে মধ্যে সূর্য একটু উঁকি দিয়েই মুখ লুকিয়ে ফেলে। মাঝে মধ্যে তুমুল বৃষ্টি কখনোবা অনবরত টিপ টিপ করে ঝরতে থাকে। বৃষ্টি থেমে গেলেই গা জ্বালানো গরম আর প্যাচপ্যাচে ঘাম- এর পর রাস্তা ঘাটের কাদা-পানি চরম বিরক্তির কারণ ঘটায়। আষাঢ়ের এই সময়টা ভীষণ অপছন্দের আমার। ছাতাটা কখনো ভীষণ জরুরী কখনোবা বাড়তি বোঝা মনে হয়। এরমধ্যে এই ছুটির সময়ে মফস্বলে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বিদ্যুৎ কখন আসে কখন যায় ঠিক নাই।
শনিবারের খবরে দেখলাম, শুক্রবারে দেশের চাহিদা ছিল কমবেশি ৮৩০০ মেগা ওয়াট আর উৎপাদন ৮৩০০ মেগাওয়াট, বিদ্যুৎ ঘাটতি ০। ওদিকে ওদিন ওখানে ৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না।
গাছের আম এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আম্রপালি আর ফজলি বহাল তবিয়তে ঝুলছে। প্রতিরাতে আধাপাকা আম খসে মাটিতে পড়ে। সকালে ঝুড়ি ভরে যায় সেই আমে। রান্না গরুর মাংস জাল দিতে দিতে তৃতীয়দিনের ঝুরিটা ঘিয়ে ভাজা পরোটা দিয়ে দারুণ স্বসাদু খেতে। তবে এক বেলা মাংস খেলে বাকি দুই বেলা ভর্তা ডাল আর পাতলা মাছের ঝোল ছাড়া আর কিছু মুখে রুচে না। এই গরমে পোলাও মাংস দেখলেই গা গুলোয়!
পদ্মা সেতু হবার পরে ওখানে যতগুলো বড় ফেরি ছিল সব নাকি পাটুরিয়া দৌলতদিয়া রুটে দিয়েছে। ফেরি নাকি সারাদিন ঘাটে অপেক্ষা করে গাড়ির। এখন নাকি ফেরি আছে গাড়ি নাই।! কিন্তু আমি যাওয়া আসার পথে এর কোন সত্যতা খুঁজে পেলাম না।
অফিস খুলে গেলেও ফকির আর রিক্সাওয়ালাদের ঈদ ফুরায়নি। ফেরার সময়ে ফেরিতে এমন আরেক গ্রুপের দেখা পেলাম। প্রথম দুই পক্ষকে আপনি ধমক ধামক দিতে পারবেন। কিন্তু এদের সামনে রা কাড়ার উপায় নেই। হিজরাদের সারা দেশ জুড়ে এখন ভীষণ দৌরাত্ম!

পাটুরিয়া দৌলতদিয়ার ফেরিতে এরা কমন। আগে জোর জবরদস্তি করত। বাচ্চা সহ কেউ গেলে হেনস্তা করত-কিন্তু ইদানিং না বললে খুব একটা চাপাচাপি করে না।
ওদের দেখে একটা ছেলে আমার পাশের বাসের জানলা দিয়ে মুখ বের করে চিৎকার করে বলল, সব শালার ভুয়া পুষ্যা মানুষ হিজল্যা সাজছে।
আর যায় কোথায়, তবে ওর কপাল ভাল যে মাত্র দু'জন হিজরা ছিল। শুরু হল তাঁকে উদ্দেশ্য করে বেদম গালিগালাজ। তবে এদের যেসব অশ্লীল গালির সাথে আমি পরিচিত সে তুলনায় এরা দুজন বেশ সভ্যই বলা চলে।
তবে পুরো গালি আমি এখানে লিখতে পারছি না, একটু ইঙ্গিতে দিই,
ওই খানকির ছাওয়াল কি কস? আমরা হিজরা না- তাইলে তোর মা হিজরা? আমি তোর মার বয়েসী- হিজরা না হইলে আমার *** দিয়া তোর মত দুইচাইর খান ছাওয়াল পয়দা করতাম। কাপড় খুলতাম? পাশে ওইডা কি-ডা তোর বউ? ওই ছিনাল মাগীও কি হিজর‍্যা? এক কাম কর ওরে কালেকশনে পাঠা-আর আমারে তোর সাথে নিয়ে চল। এমন আদর দিমুরে নাটকির পুলা- সারা জীবন আমার পুন্দের পেছন পেছন ঘুরবি... বাসের প্যসেঞ্জারেরা তো বটেই আশে পাশের সব লোকরাও ওই অল্প বয়েসী দম্পত্ত্বিদের দিকে চেয়ে মিটি মিটি হাসছে। বেচারা নতুন বুয়ের সামনে যে ভাবখানা নিয়েছিল সব ধুলোয় ভুলন্ঠিত, মুখ লুকাবার জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না সে এখন। হয়তো শ্বশুর বাড়ির প্রথম ঈদটাই মাটি হল তাঁর।

***
কেউ একজন বলেছিল; সমধিকারের ভিত্তিতে এক বছর পর পর হাট থেকে গরু কেনা কোরবানীর পুরা দায়িত্বটা মেয়েদের নিজেদের কব্জায় নেবার জন্য আন্দোলন করা উচিৎ। আপনেরা কি বলেন? আমরা একটু রিলিফ পাইতাম।
কোরবানীর আগে শুধু রাস্তায় দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করব, আফা দাম কত নিল? যেই দামই বলুক, কইতাম; আফায় তো পুরা ঠগছেন! :) জাস্ট মজাক আর কি।

ছবিঃ নেট থেকে নিয়ে একটু এডিট করা।

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭

জটিল ভাই বলেছেন:
ঈদ মোবারক প্রিয় ভাই। ব্যস্ততার মাঝে শুধু আপনার পোস্ট দেখে কমেন্ট করবো বলে লগিন করলাম।
বিস্তারিত পরে হবে ইনশাল্লাহ্...... ♥♥♥♥

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: কোন এক জটিল কারনে আপনি অনুপস্থিত বেশ কিছুদিন সেটা অনুভব করতে পারছি।
কারণ যা-ই হোক ব্লগের সাথে থাকুন। না হলে আপনার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলবে, আপনি হতাশ হয়ে চলে গেছেন।
ঈদ মোবারক- আপনার ফিরে আসার অপেক্ষায়।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


গরীবরা কখনো জিতে না,ক্রেতারাই জিতে।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: ক্রেতাদের মধ্যে কি গরিব ক্রেতা নাই ভাই? সাত ভাগের একভাগ যারা নেয় তারা গরিবের কাতারেই পরে।
অবশ্য এই বছর মধ্যবিরররা এই কাতারে পড়েছে।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:



ইঙ্গিত বলেও কোন গালি বাদ যায়নি, সবই লেখা হলো।



০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০

শেরজা তপন বলেছেন: :) আমি জানি এটা প্রাপ্ত বয়স্কদের প্লার্টফর্ম- তাই বলতে বলতে কিছু আর আটকাতে পারলাম না সব প্রায় বলে দিলাম।
তবে সেরকম জোশ গালি আরো ছিল - সেগুলো লিখতে আমারই হাত কাঁপছে!

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৩১

কামাল১৮ বলেছেন: গালি থামান,আর পড়ার অবস্থায় নাই।দ্বিতীয় পদ্মাসেতু হলে এই ফেরি সরকার কোথায় নিবে।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২

শেরজা তপন বলেছেন: এর বেশিরভাগ ফেরি জীবনের শেষ অবস্থায় আছে। আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে তবে এগুলোর বয়স ৪০ থেকে পঞ্চাশ।
তবে আমার জানা নেই এগুলোর গতি কি হবে।
গালিগালাজ বেশী হয়ে গেছে নাকি কামাল ভাই? তাহলে ভদ্রলোকদের জন্য ওইটুকু বাদ।

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরবানির দিনে যেভাবে রক্ত মাখা লম্বা ছুরি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি হয় তাতে আমার মনে হয় এই দিনে মানুষ খুন করে বস্তায় ভরে মাটি চাপা দিলেও কেউ সন্দেহ করবে না। কাউকে খুন করতে ইচ্ছে হলে কুরবানির ঈদের দিন হোল সঠিক সময়। :)

সবার সাথে মাস্তানি করা গেলেও হিজড়াদের সাথে মাস্তানি করা যায় না। অনেক আগে আমার সামনের দালানে একজন সিনিয়র এস পি থাকতেন। এস পি সাহেবের কাজের বুয়া দেমাগ দেখিয়ে কি যেন হিজড়াদের বলেছিল। এস পির ঘরের বুয়া সে কি হিজড়াকে ভয় পায়। কিন্তু ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়। হিজড়ারা ক্ষেপে গিয়ে মোবাইলে ফোন করে প্রায় ২০- ৩০ জন হিজড়া জোগাড় করে ফেলে। এস পি সাহেবকে ফোন দিলে তিনিও এক ট্রাক পুলিশ পাঠায়। কিন্তু পুলিশ এসে কোন সুবিধা করতে পারে না। হিজড়াদের সাথে তারা পাড়ছে না। শেষ পর্যন্ত বেশী টাকা দিয়ে হিজড়াদের থেকে এস পি সাহেব মুক্তি পান।

মেয়েরা সব হাটে গেলে গরুর ব্যাপারীদের মাথায় হাত হবে। বলবে গরুর কালার পছন্দ হয় নাই। একটু লাইট গ্রিন কালারের দেখান। ব্যাপারী এক লাখ টাকা গরুর দাম হাকলে ম্যাদামরা ২০ হাজার থেকে শুরু করবেন। :) তবে হাট থেকে ফেরার পথে গরুর দড়ি ধরে দৌড়ানোর দৃশ্যটা সেইরাম হবে। :)

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: সব গরুরে মেক-আপ করাইতে প্রতি হাটে বিশাল বিশাল পার্লার হবে। সেলফি তুলতে তুলতে গরুর জান কাহিল হয়ে যাবে। বড় গরু একটাও বিক্রি হবে না। সব ভুটানী আর নেপালী কিউট কিউট গরু বিক্রি হবে- কালা গরুর দিন শেষ হয়ে যাবে।
শত শত গরুর ব্যাপারি মুলামুলির ঠ্যালায় আত্মহত্যাও করতে পারে।
হাটের কাদা আর গোবর ক্যামনে দূর হবে সেইটা একটা ভাবনার বিষয়!

হিজরাদের ব্যাপারে একদম ঠিক। তুবে ভদ্র ব্যাবহার করলে ওরাও সভ্য থাকে।
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরবানির দিনে যেভাবে রক্ত মাখা লম্বা ছুরি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি হয় তাতে আমার মনে হয় এই দিনে মানুষ খুন করে বস্তায় ভরে মাটি চাপা দিলেও কেউ সন্দেহ করবে না। কাউকে খুন করতে ইচ্ছে হলে কুরবানির ঈদের দিন হোল সঠিক সময়।
~ হ্যাঁ খুন খারাপির পার্ফেক্ট সময় :)

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

এই টিশার্ট খুব সম্ভব এইবারের কোরবানীর ঈদের আবিস্কার। ভবিষ্যতে এই টিশার্ট রপ্তানি হতে পারে। তবে এইবারের বৃষ্টির ভালো ফলাফল ঢাকাবাসী পেয়েছেন। বৃষ্টির কারণে কোরবানীর পশুর রক্ত ময়লা সব ধুয়ে চলে গিয়েছে।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: দারুণ জিনিস! সামনের কোরবানিতে আল্লায় জিন্দা রাখলে এমন একটা টি-শার্ট পরে ঘোরার ইচ্ছে আছে। :)
আইডিয়া চমৎকার।
এইবারের বৃষ্টিটা কাজে দিয়েছে। তবে মশার প্রকোপ বেড়ে গেছে।

৭| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: কেউ একজন বলেছিল সমধিকারের ভিত্তিতে এক বছর পর পর হাট থেকে গরু কেনা কোরবানির পুরো দায়িত্বটা মেয়েদের নিজেদের কব্জায় নেবার জন্য আন্দোলন করা উচিত। আপনারা কি বলেন?

অবশ্যই মেয়েদের আন্দোলন করা উচিত, আমিও তো একথাই বলি। ঈদের সময় তাদের কাজ তো কেবল ঘরে বসে জ্বীনপরীদের হুকুম দিয়ে মাংস কাটা, বিলি করা, এরই মাঝে হরেক পদের রান্না করা, প্যাকেট করে কোনটায় কি আছে সে সব চিহ্ন দিয়ে ফ্রিজে রাখা রান্নাঘরের মেঝে ভালো করে সাবান দিয়ে মুছে রক্তের দাগ তোলা ইত্যাদি ইত্যাদি। নিজেরা তো কিছুই করে না। একবার মেয়েরা কোরবানির দায়িত্ব নিক... জ্বীনপরীদের দিয়ে রান্নাঘরের কাজ ছেলেরা করে ফেলবে সহজেই, মোবাইল থেকে চোখ না সরিয়েই...

আমরা শুধু রাস্তায় দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করবো আফা দাম কত নিলো?

এইতো গোলমাল লাগায়ে দিলেন!! যারা গরু কিনতে যায়, তারাই তো অন্যের গরু দাম জিজ্ঞেস করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সুতরাং এই দাম জিজ্ঞেস করার কাজটাও মহিলারাই করবে, আপনারা না। মেয়েরা যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাম জিজ্ঞেস করবে, সেই সময় আপনারা বাসায় বসে আদা রসুন পেঁয়াজ এগুলো ছিলবেন, কাটবেন, বাটবেন। তুলে রাখা বড় বড় হাড়িগুলো নামিয়ে মেজে ঘষে রাখবেন। দা বটি ছুরি ধার দিয়ে রাখবেন ক'দিন আগেই। তার আগে দেখবেন করবেন চাল, ডাল, চিনি, তেল, ঘি, সেমাই, দুধ, গরম মশলা আর কি কি কিনতে হবে। সেগুলো সব কিনে আনবেন, কোন কিছু বাদ পড়া চলবে না। আর ঈদের দিন ভোরবেলা থেকে আপনাদের রান্নাঘরে হরেক পদের রান্না শুরু করতে হবে...

তো হয়ে যাক, নেক্সট টাইম...

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: গ্রেট গ্রেট আইডিয়া! আমি রাজী আছি আপু। এই বৃষ্টি কাদায় এক রাইতে শুধু যান গাবতলীর হাটে - মজা হি মজা!
একদিন ঘর-দোর সাফ করে হরেক কিসিমের রান্না করতে আমার অন্তত আপত্তি নেই।

* তবে আপনি যে কাজের ফিরিস্তি দিয়েছেন ওই পড়ে আমি বাক্যহারা। তাইলে কাজের বুয়ারা করেটা কি?

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:

ধারাপুর মন্তব্যে সম্পূর্ণ সহমত।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: হ চোরের সাগরেদ গাঁটকাটা!
এখন শায়মা আপু, মনিরাপু, জুনাপু সহ আরো কয়েকজন আসলেই ষোলকলা পূর্ণ হয়।

৯| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

জুন বলেছেন: কোরবানি নিয়ে একটা গবেষণা যাকে বলে শেরজা। তবে শেষে এসে যা বলতে চেয়েছিলুম তা দেখি সব মিররডডলই বলে দিয়েছে B-)
গোগলের গল্পে যেমন গালি দিয়েছিল সুন্দরী নায়িকার সৎমাটি। সৎ মেয়ের রূপ মুগ্ধ কিছু যুবককে "ওছা মাল তোর মা,ওছা মাল তোর বাপ, নরকে তার দাড়ি পোড়াক ভুতেরা" এই গালি পড়ে অনেক মজা পেয়েছিলাম শেরজা। ব্লগার গোফরানের ভাষায় ক্লাসি গালি যাকে বলে =p~
+

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২২

শেরজা তপন বলেছেন: লতে বলতে জুনাপু এসে গেছেন! মারহাবা!
মুল গবেষণাপত্র দাখিল করলে আরেক কোরবানি ঈদ এসে যাবে পড়তে পড়তে :) চারিদিকে কত যে কাহিনী!!

হাঃ হাঃ চরম গালি। এ গালির কাছে হিজরাদের গালি কিছুই না।
রুশ লেখকেরা এত সভ্য যে, গালিগুলোও তারা সুশীল সাহিত্যের ঢঙ্গে লিখত।

১০| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

করুণাধারা বলেছেন: আপনার মনে হয় গাবতলী যাওয়া লাগবে? নাহ্। "আপারা গরু কিনবেন এবার", এই খবর রাষ্ট্র হবার সাথে সাথে দেখা যাবে বিক্রেতারা গরু নিয়ে বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছে, পুলিশকে কিছু ঘুষ দিলেই চলবে।

কাজের বুয়ারা কি করে, সেটা একবার তাদের দিয়ে কাজ করাতে গেলেই বুঝতে পারবেন।

তবে আপনার এই ঈদ কড়চা ভালো লেগেছে। :)

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: নাহ্। "আপারা গরু কিনবেন এবার", এই খবর রাষ্ট্র হবার সাথে সাথে দেখা যাবে বিক্রেতারা গরু নিয়ে বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছে, পুলিশকে কিছু ঘুষ দিলেই চলবে।
:) যাক শুরুটাই হবে দুর্নীতি দিয়ে। খারাপ নয়। হালাল কোরবানির একধাপ এগিয়ে গেল। তবে কোরবানীর দিন বেশীরভাগ গরু কিউটনেসের জন্য জবাইয়ের হাত থেকে বেঁচে যাবে সম্ভবত।
কাজের বুয়াদের সাথে যে পরিমান ক্যাচ ক্যাচ ঘ্যাচ ঘ্যাচ চলে সেটা দূরে বসেও দিব্যি টের পাই।

ভাল লাগা জানাবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপু।

১১| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হিজড়াদের গালি সেন্সর করে এতো সুন্দর ভাষায় বলেছেন যে সেটাকে গালি না বুলি মনে হয়েছে। ওদের গালিগুলি মনে হয় খুব অশ্লীল ছিল তাই না।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: :) :) :) হাঃ হাঃ হাঃ
ঠিক বলেছেন এত সুশীল ভাষায় গালি লিখতে আমার লজ্জা লাগছিল।

১২| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

মিরোরডডল বলেছেন:




করুণাধারা বলেছেন: আপনার মনে হয় গাবতলী যাওয়া লাগবে? নাহ্। "আপারা গরু কিনবেন এবার", এই খবর রাষ্ট্র হবার সাথে সাথে দেখা যাবে বিক্রেতারা গরু নিয়ে বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছে, পুলিশকে কিছু ঘুষ দিলেই চলবে।

এবারও ধারাপুর মন্তব্যে সহমত।
একদম ঠিক বলেছে।
বিক্রেতারা বাড়ির দরজার সামনে গরুদের ফ্যাশন শো কাউওয়াক করাবে।
আপারা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে শো উপভোগ করবে।
এভাবে গরু কেনা থেকে শুরু করে গরুর দেখভাল, জবাই দেয়া সব কাজই তারা আনন্দের সাথে করবে।
আপাদের হাতের ইশারাই যথেষ্ট।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: কাউওয়াক- চমৎকার হবে সেটা। নমুনা আছে?
সব কিছুই ঘরে বসে করার ধান্ধা।
উঁহু ওসব চলবে না। গাবতলীর হাটে গিয়েই গোবর কাদা মেখে, গরুর খুরে পা থেতলে,দু চারটা শিং এর গুঁতো খেয়ে, পকেটমার আর ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে টাকা বাঁচিয়ে, ঝানু বেপারিদের কাছ থেকে দর কষাকষি করে কিনতে হবে।

১৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: নারীরা গরুর হাটে যেদিন থেকে যাবে , সেদিন থেকে গরু ব্যাপারিও নারী হবে এইটা তো জানা কথা । তাই চুলোচুলি পর্যায়ে যায় কিনা সেটা একটা বিষয় ।

আমার এক বান্ধবি সেদিন আমাদের আড্ডার মাঝে বলল তার নাকী কুরবানির গরুর পাছায় থাপ্পড় মারতে বেশ ভালো লাগে । এই কথা শোনার পর ওর আশেপাশে আমরা যারা নারী পুরুষ নির্বিশেষে স্থূল শরীরের মানুষ ছিলাম সবাই সরে গেলাম । তার থেকে এখন আমরা সাবধান থাকি । শুনলাম সে নাকি গরু কোরবানিও দেয় !!

একবার ভাবেন এমন হাওয়া যদি প্রত্যেক ঘরে ঘরে জন্মায় তো কেমন হবে ?

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: একথা খারাপ বলেননি। :) রাতের পর রাত জেগে গরু পাহাড়া দেয়া আর দরকষাকষি করা কি কষ্টের সেটা উপলব্ধ হবে।
নাহ্‌ আমরা পুরুষেরা মেয়েদের প্রতি ভীষণ আন্তরিক ও কোমল মনের। ওদেরকে এতটা কষ্ট দেয়া ঠিক হবে না।

মানে আপনিও সরে গেছেন। বাপরে কি ভয়টাই না পেয়েছেন!!!
তাঁর কোরবানীর একটা ভিডিও আপলোড করতে পারবেন? জমবে বেশ ।

১৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপুরা দেখছি সবাই খেপে গেছেন :) । অবস্য খেপারই কথা। করুনাধারা আপু কাজের যেই ফিরিস্তি দিলেন, তার তুলনায় গরু কেনাতো কোন ব্যপারই না। বরং মহিলাদের কিনতে দিলে পুরো বিষয়টাই অনেক সিস্টেমেটিক হয়ে যাবে। কারন তারাতো আর হাটে গিয়ে গরু কিনে হাটতে হাটতে বাসায় ফিরবেন না। মহিলাদের কল্যানেই বিদেশের অত সিস্টেমেটিক উপায়ে কুরবানির ব্যবস্থা কায়েম হবে দেশে। বার তেরো বছরের মাদ্রাসা ছাত্রদের রক্ত মাখা ছুড়ি নিয়ে দৌড়াদৌড়ির বিভৎস দৃষ্যও দেখা লাগবে না। কাজেই কুরবানির পুরো দ্বায়িত্বটা মহিলাদের দেয়ার আপনার আইডিয়াটা মজাক না মোটেই।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: এতক্ষনে আপনি একটা পজিটিভ কথা বললেন। এটাতো মাথায় আসেনি।
আমরা এমন সিস্টেমেটিক কোরবানীর জন্য জোর দাবি জানাতে পারি মেয়েদের গরু কেনার জন্য।
ওদিকে ছেলেরা ঘর সামলানোর দায়িত্ব নিয়ে সব সিস্টেম আউলা ঝাউলা হয়ে যাবে। তখন মেয়েদের ঘাড়েই ফের দুটো কাজের দায়িত্বই পড়বে।
আর আমরা বিন্দাস গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াব। :)

১৫| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৪৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ঈদ মোবারক ভাই।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকেও ঈদ মোবারক সুপ্রিয় ব্লগার মাহমুদুর রহমান সুজন।
শুভকামনা নিরন্তর!

১৬| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:২২

শাহ আজিজ বলেছেন: এবারের কোরবানি বেশ নিশ্চিন্তেই সম্পন্ন হয়েছে । এক লাখ আটচল্লিশ হাজারে বেশ স্বাস্থ্যবান গরু পাওয়া গেছে । আমি , আমার জামাই ঝুকি নিতে রাজি না , এক পাক দেখে ফিক্স করে আড়াই ঘণ্টায় ট্রাকে বাসার সামনে । খুব কম সময় নিয়ে কেনা হয়েছে । হাটে আমি যাইনি মোবাইলে দেখে সিদ্ধান্ত ।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: জামাইতো মাশাল্লাহ পাইছেন একটা। চেহারা দেখে বেশ পহেজগার মনে হয়।
গরু বিক্রেতারা এমন ক্রেতাই খোঁজে।
ফের ঈদ মোবারক আপনাকে। ব্লগে ফের নিয়মিত হয়েছেন দেখে ভাল লাগছে।

১৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




সংবৎসর পাবলিকে কোরবানী দেয়না, নিজেরাই যে কোরবানী হয়ে যায় এই তথ্য মজাছে বয়ান করেছেন। ;)

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরবানির দিনে যেভাবে রক্ত মাখা লম্বা ছুরি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি হয় তাতে আমার মনে হয় এই দিনে মানুষ খুন করে বস্তায় ভরে মাটি চাপা দিলেও কেউ সন্দেহ করবে না। কাউকে খুন করতে ইচ্ছে হলে কুরবানির ঈদের দিন হোল সঠিক সময়।
বিনে পয়সায় এমন বুদ্ধি বিতরণ ? ঠিক হয়নি। মানুষ খুনের তরিকা বলে দেয়ার কারনে "অপরাধের সহযোগী" হিসেবে সাড়ে চুয়াত্তর এর চুয়াত্তরটা বেজে যাবে....... :P

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর-কে আর পঁচাত্তর হইতে দিবেন না।
আকাম কুকাম করার বুদ্ধি এখন মানুষের মাথার মধ্যে কিলবিল করে! এইটা অতি সাধারণ মানের বুদ্ধি বিতরণ! কেউ খুব একটা পাত্তা দিবে বলে মনে হয় না। :)
রসালো মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ঈদ মোবারক বিনিময় কি হয়েছে?

১৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:১১

সোহানী বলেছেন: যা লিখবো বলে ভাবতে ভাবতেই দেখি করুণাধারা আপু সব বলে দিয়েছে............হাহাহাহাহা B-))

শুনেন ভাইজান, আমরা অনেক স্মার্ট। হাট থেইকা গরুও কিনুম কিন্তু এক ফোঁটা কাঁদাও লাগবো না। বুদ্ধি কিন্তু দিমু না, আমাগো টার্ন আইলে কমুনে :P

মোল্লারা এই সব ছোট ছোট বাচ্চাদের হাতে ছুরি ধরিয়ে দেয় ভবিষ্যতের কষাই বানানোর জন্য। ভালোবাসা মায়া কষ্ট সব ওদের মাথা থেকে চলে যায়। সবাইকে কোরবানীর পশু ভাবে তখন।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: যাক করুণা-আপু মনের মত আরেকজন সঙ্গী পেল!! :)

শুনেন ভাইজান, আমরা অনেক স্মার্ট। হাট থেইকা গরুও কিনুম কিন্তু এক ফোঁটা কাঁদাও লাগবো না। বুদ্ধি কিন্তু দিমু না, আমাগো টার্ন আইলে কমুনে :P
~ বিষয়টাতো চমৎকার! পিলিজ বলেন না একটু। কোন সমস্যা নাই সামনের হাটে আপনারাই যাইবেন। শুধু গরুর দামটা আমরা জিগাবো।

শেষ কথার সাথে সহমত। ঈদ মোবারক - ভাল থাকুন।

১৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
শুরুতে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানাই।
মোবাইল ভার্সনে ব্লগে ঢুকেছি। ফুল ভার্সন না আসায় ব্লগে আসা বা লগইন করতে ইচ্ছা হয় না। আপনার পোস্টটি পড়ে সেকারণে লগইন করতে বাধ্য হলাম। কুরবানী সম্পর্কে রীতিমত সাতকাহন লিখে ফেললেন। 'একদিনের কসাই' শব্দ বন্ধনীটি বেশ ভালো লাগলো। ব্যক্তিগতভাবে আমিও এরকম এক দিনের কসাইয়ের শরণাপন্ন হয়েছিলাম খাসি ছাড়াতে তবে মাত্র ৪০০ টাকায় বিনিময়ে।আর গরুর জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার অন্যান্য অংশীদাররাই যথেষ্ট বাইরে থেকে কোন লোককে ইমপোর্ট করতে হয়নি। অবাক হয়েছি দুই লাখ টাকা গরুর জন্য চল্লিশ হাজার টাকা কসাই নিচ্ছে জেনে। যাই হোক বাজারে চাহিদা থাকায় ওরা এ সময় অত্যধিক দাম হাঁকায় বলে মনে হয়।
ভাইপোকে নানুর বাড়িতে শুরুতে না নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ভারী অন্যায় ছিল। মাশাল্লাহ ভাইপো শেষে পর্যন্ত দাবী আদায় করেই ছেড়েছে তারিফ করতে হয় ওর বুদ্ধিকে।
বাসি মাংসের সঙ্গে চালের আটা রুটি আমার ফেভারিট খাবার। তবে মাংসের সঙ্গে পান্তা ভাত খেতে মন্দ লাগেনা।


কুরবানীর দিন থেকে টিপে টিপে বৃষ্টি মানে বুঝতেই পারছি আপনারা বেশ বৃষ্টি উপভোগ করছেন কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ বৃষ্টি বিমুখ হয়ে গত তিন দিন কাটিয়ে দিয়েছি। সামান্য ছিটেফোঁটাও বৃষ্টির দেখা নেই। ভ্যাপসা গরম সঙ্গে কড়া রোদ্দুরে বাইরে বের হওয়া একান্তই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ব্লগের ফুল ভার্সন না আসা পর্যন্ত ইচ্ছা থাকলেও আর ব্লগে আসা সম্ভব হয়ে উঠছে না। আমার সর্বশেষ পোস্টে কতগুলো কমেন্টের উত্তর বাকি আছে। কিন্তু এই বিরক্তির কারণে মন্তব্য করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি।
সবশেষে বাতাসের এখনো ঈদের গন্ধ ম ম করছে। সপরিবারে দারুণ উপভোগ করুন।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাই,
আপনি ফুল ভার্সানে ঢুকতে না পেরেও মোবাইল ভাররাসানে লগিন করে এত বড় এমন চমৎকার একটা মন্তব্য করেছেন জেনে আমি যার পর নাই কৃতার্থ।
ব্লগ অদেখা আমাদের দেশ কালের সীমানা পেরিয়ে কি চমৎকারভাবে ভ্রাতৃত্ত্ববন্ধনে আবদ্ধ করে ফেলেছত। এমন আন্তরিক মন্তব্যে নিজেকে বড় সৌভাগ্যবান মনে হয়।
এই সময়ে বৃষ্টি থাকাও হ্যাপা -না থাকলেও সমস্যা। আমার ফ্যাক্টরি ৮ তারিখ পর্যন্ত ছুটি। এই কদিন বাসায় কাটাতে হবে। বাইরে যে চিমসে গরম তাতে আড্ডায় যেতেও ইচ্ছে হয় না।
চালের আটার রুটি দিয়েও ঝুরি মাংস মজার। পান্তা ভাত দিয়ে আমার ভাল লাগে কাঁচামরিচ, পেয়াজ, একটু ডাল আর মচমচে আলু ভাজি।
গুলশানের দিকে কসাইরা হাজারে ৩০০ টাকা পর্যন্ত নেয়। একজন জাত কসাইয়ের একদিনে লাখ টাকার উপরে কামাই হয়।
আমি দেখেছি ছয় জনের একটা দল দিনে ২০টা পর্যন্ত গরু বানাচ্ছে। এভারেজ ২০০০০ করে ধরলেও ৪ লাখ টাকা! ভাবা যায়!!

আশা করি ব্লগ কতৃপক্ষ খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করে কিছু আপনার মত ব্লগারদের এই বিশ্রী পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করবেন।

ভাল থাকুন নিরন্তর। ব্লগ ছেড়ে যাবার কথা সপ্নেও ভাইবেন না। যেভাবেই হোক সাথে থাকেন।

২০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৫১

শায়মা বলেছেন: প্রথম কথা আমিও এবার যশোরে গেছিলাম।
যশোর মাগুরা ঝিনাইদহ সব ঘুরে আসলাম এ কদিনে।

দ্বিতীয় কথা মেয়েরা গরুর হাটে যাবে আর ছেলেরা মশলা বাটবে। হা হা এমনই হবে নতুন দুনিয়ায় বুঝাই যাচ্ছে।

তবে ছেলেরা যদি মশলা ঠিক মত না বেটে আউলা ঝাউলা করে গায়ে ফু লাগিয়ে বেড়ায় তো রক্তমাখা ছুরির কথা মনে পড়লেই মনে হয় সিধা হয়ে যাবে। :)

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: গিয়েছিলেন যশোহরে তাঁর মানে সেই চিলেকোঠার শহরে না কি? বেশ
তবে রান্না বান্না আর আপ্যায়নের বাহারি কোন পোষ্ট কি আসবে না এবার?

কি যে বলেন আপু, মশলা যে একন আর বাটতে হয় না সেটা কে না জানে। বাজারে এখন রান্নার রেসিপি সহ মশলা বিকোয়- ছেলেরা সেটা জানে। মায়ের হাতের, দাদীর হাতের এমন কি বউ এর হাতের রেসিপি সহ বাহারি মশলার প্যাক বাজার ভর্তি। আর ব্লেন্ডার তো আছেই- পিয়াজ আদা রশুন একটু ছিলতে যা কষ্ট!
ওই রক্তমাখা ছুরির ভয় এই ব্লগে কোন পুরুষ ব্লগার দেখালে এতক্ষনে আগুন জ্বলে যেত। মনে রাখবেন পুরুষরা হইল সবচেয়ে সহনশীল ও শান্তিপ্রিয় প্রজাতি।

২১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:২৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: মানে আপনিও সরে গেছেন। বাপরে কি ভয়টাই না পেয়েছেন!!!
তাঁর কোরবানীর একটা ভিডিও আপলোড করতে পারবেন? জমবে বেশ ।


সবার আগে আমিই সরেছি । যেভাবে আড় চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছিল তাতে তো এই না করে রক্ষা নেই ।
তাকে বলেছিলাম ভিডিও দিতে , সে নাকি এতটাই এক্সাইটেড ছিল যে করতেই ভুলে গেছে !!


০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:০১

শেরজা তপন বলেছেন: আহা নিজের নিতম্বে এমন জাঁদরেল মহিলার একখানা থাপ্পর না হয় খাইতেন। কি আর এমন কষ্ট হত :)
তবে সে যখন আপনাকে টার্গেট করেছে - আমার ধারনা আপনার আর নিস্তার নেই।

২২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৩৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আচ্ছা বড় ভাই আপনারে একটা কথা কবার ছিল , মানে এই যে পোস্ট করলেন এর সুবাদে বলি আরকি !!

কিছূদিন আগে খেয়াল করলাম সমস্ত নারী ব্লগারদের প্রশাসক সাহবে সমানে আপুউউউউউ আপুউউউউ বলে সম্বোধন করেন । ছোট কী বড় সব বয়সের নারী ব্লগারদের তিনি আপু বলেন । কিন্তু পুরুষ ব্লগারদের সবাইকে তো ভাইয়া বলেন না !!

আমাদের কী ভাইয়া ডাক শুনবার অধিকার নাই ?

তাই বলছিলাম কী আসনে একটা দাবী জানাই যে ব্লগে একজন নারী প্রশাসক থাকবেন । তার বয়স হবে ২০- ৩০ এর মধ্যে । এবং পুরুষ ব্লগারদের মিষ্টি সুরে ভাইইিইইইইইইইয়াআআআআআআআআআআআ করে ডাকবে । কী বলেন ?

না না আন্দোলন টান্দোলন করবো না আমরা হলাম শান্তপ্রিয় মানুষ দরকার পড়লে সবাই মিলে প্রশাসকের পা ধরে কান্নাকাটি শুরু করে দেব ( মানে শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে আর তো কিছু করবার নেই ) !

যদি মতামতটা বলতেন !!

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:১১

শেরজা তপন বলেছেন: এইটা আপনি কি বললেন- এখনো ব্যাচেলার ইয়াং মানুষ আপনি। এখুনি সবার সাথে ভাই-বোন পাতিয়ে ফেলবেন???

বিয়ে সাদী করেন তারপর না হয় গিন্নীর ভয়ে দুনিয়াজুড়ে ভাই-বোন পাতাবেন আমাদের মত। কোন সমস্যা নেই।
তবে নারী প্রশাসকের বয়স ও সুরত নিয়ে যে রকম নিবেদন জানিয়েছেন সেটা নিয়ে আমার অবশ্যি আপত্তি নেই। :)
এমটা হলে আন্দোলনেও সায় আছে।

২৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আহা নিজের নিতম্বে এমন জাঁদরেল মহিলার একখানা থাপ্পর না হয় খাইতেন। কি আর এমন কষ্ট হত :)

হাহাহাহাহাহাআআহাহাহাহাহাহাহাহা । এইদিক থেকে ভালো বলেছেন অবশ্য তবে মান ইজ্জত তো আর থাকতো না ।



তবে সে যখন আপনাকে টার্গেট করেছে - আমার ধারনা আপনার আর নিস্তার নেই।
কুংফু শিখবো কিনা ভাবছি ভাই !! আর না হলে ক্যাম্পাসে ইজ্জত থাকবে না !

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: :)
মেয়েদের ভয়ে আপনি কুংফু শিখতে চাইছেন একথা শুনলে ব্লগে হাসির রোল পড়ে যাবে।

২৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এইটা আপনি কি বললেন- এখনো ব্যাচেলার ইয়াং মানুষ আপনি। এখুনি সবার সাথে ভাই-বোন পাতিয়ে ফেলবেন???

বোন বানালেও তো তালতো বোন বানাবো ! আপন বোন কে বানাতে যায় ! আর ভাইইইইয়াআআআআআআআআআ তো বিশেষ টোনে ডাকা হবে । এই যেমন আজকাল ইয়েকে বাবু বলা হয় তাই বলে কী সে নিজের বাচ্চা হয়ে যায় ? অমন আরকি !!

তবে নারী প্রশাসকের বয়স ও সুরত নিয়ে যে রকম নিবেদন জানিয়েছেন সেটা নিয়ে আমার অবশ্যি আপত্তি নেই। :)
এমটা হলে আন্দোলনেও সায় আছে।


বেশি করে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে । সাচু বাদ , উনি আবার কামেল মানুষ মনে হয় না আমাদের সাথে থাকবে !! উনাকে বাদ দিয়ে আসেন এগিয়ে যাই !!

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: আরে ব্লগার সাচু দেখবেন সবার আগে থাকবে। আপনি উনাকে চিনতে ভুল করেছেন।

বোনতো বোনই তা আবার তালতো /মামাতো কি।
কেউ কি বলবে, নিবর্হণ নির্ঘোষ তালতো ভাইয়ু? :)

২৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: :)
মেয়েদের ভয়ে আপনি কুংফু শিখতে চাইছেন একথা শুনলে ব্লগে হাসির রোল পড়ে যাবে।


আপনি আর সাচু তো এমনিতেই আমার সিনিয়র প্রেম নিয়া কম টানাটানি করেন নাই । আর জটিল মিয়া তো আছেই । এ আর নতুন কী !! তাছাড়া কেয়ামতের দেরি নাই নারীর ভয়ে পুরুষ পালানোটা তো কেয়ামতের লক্ষণ !!

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: '' ওরা তোমাকে জিজ্ঞেস করে, কখন কেয়ামত হবে?' হে নবী! ওদের বলো, 'আমার প্রতিপালকই শুধু এ বিষয়ে জানেন। তিনি যথাসময়েই তা প্রকাশ করবেন। মহাকাশ ও পৃথিবীর জন্যে এ হবে এক ভয়ংকর ঘটনা । হঠাৎ করেই তোমরা এর মুখোমুখি হবে। আসলে এ বিষয়ে তুমি খুব ভালোভাবে জানো মনে করেই ওরা তোমাকে এ প্রশ্ন করে। বলো, এ-সম্পর্কিত জ্ঞান আমার প্রতিপালকের মাঝেই সীমিত। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই এ নিগূঢ় সত্যকে বোঝে না...''
~ কেয়ামতের কোন লক্ষন নাই। সব বুজরুকি! (সিরিয়াস কথা)
***
তবে অফ দ্যা রেকর্ড আপনারটা হইলেও হইতে পারে। আহারে আপনাকে আমরা বেশ জ্বালাতন করেছি- তবে আপনিও কিন্তু মজা পাইছেন :)

২৬| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব লেখাটা গতকাল মোবাইল থেকে পড়েছি। কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি। সেটা জানিয়ে গেলাম।

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: জেনে ভাল লাগল -বরাবরের মত সাথে থেকে অনুপ্রাণিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৭| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বোনতো বোনই তা আবার তালতো /মামাতো কি।
কেউ কি বলবে, নিবর্হণ নির্ঘোষ তালতো ভাইয়ু? :)


আরে তালতো বোন তো বেয়াই ! আমরা বেয়াইকে তালতো বোন/ভাই ডাকি !

ইয়ে মানে নিজের একটা অনুমান জানিয়ে যাই ভুল না করে থাকলে আপনি মনে হয় কাজিনকে বিয়ে করেছেন !! মাইন্ড খাইয়েন না ভাইজান , ইদানিং ইনট্যুইশন নিয়া বিরাট আগ্রহ জন্মাইছে !!

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: আরে তালতো বোন তো বেয়াই ! আমরা বেয়াইকে তালতো বোন/ভাই ডাকি !
এখানে আমার ভুল হয়ে গেছে!

ভুল না করে থাকলে আপনি মনে হয় কাজিনকে বিয়ে করেছেন !!
এইটা কেন মনে হল আপনার? নাহ ই্নট্যুইশান ভুল- আমি একই এলাকায় বিয়ে করেছি। তবে বিয়ের আগে তাঁকে চিনতাম না।
তবে তাঁর বড় ভাই আমার ক্লাসমেট ছিল- আর ছোট ভাই আমার ছোট ভাই এর বন্ধু। কেন কিজন্য কখন বিয়ে করলাম এই নিয়ে বেশ সরস(!) গল্প আছে -বলব একদিন।, যদিও আমি আমার পার্সোনাল লাইফ নিয়ে ব্লগ বা ফেসবুকে আলাপ করতে খুব বেশী আগ্রহী নই।

২৮| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ~ কেয়ামতের কোন লক্ষন নাই। সব বুজরুকি! (সিরিয়াস কথা)

যাক আপনিও তাহলে আমার দলে !!

তবে অফ দ্যা রেকর্ড আপনারটা হইলেও হইতে পারে। আহারে আপনাকে আমরা বেশ জ্বালাতন করেছি- তবে আপনিও কিন্তু মজা পাইছেন :)

কেবল মান সম্মানের ভয়ে আপনার শেষ কথার বিরোধীতা করছি ( যদিও কিছুটা হাছা কৈছেন )

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: সহমত পোষনের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন

২৯| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৪৭

অপু তানভীর বলেছেন: হাটে গরু নিয়ে ধরা খাওয়া বেশির ভাগ ব্যবসায়ী হচ্ছে মৌসুমী ব্যবসায়ী আর অতি লোভ করা পাব্লিক । এবার হিসাব মত ৯২% ব্যবসায়ীরা তাদের গরু বিক্রি করেছেন । আট পার্সেন্ট পারেন নি । একটা গরুর দাম দেখলাম চাওয়া হয়েছে ২৫ লাখ টাকা । কোন এক ইউটিউবার সেটাকে নিয়ে হাইপ তুলেছি । ২৫ লাখ টাকার গরু ! টাকা কি গাছে ধরে ! সেই বিক্রি হয়েছে ১০ লাখে ।

আমার এক প্রাক্তান স্টুডেন্ট এইবার ১৬টা গরু বিক্রি করেছে । ওদের খামার ওদের গ্রামে । যার ভেতরে আটটা অনেক আগেই বিক্রি হয়েছে । মানে পরিচিতরা কিনে নিয়েছে । কারণ জানে এইখামারে গরুদের যত্ন ভাল করে নেওয়া হয় । আর আটটা ওরা হাটে নিয়ে এসে বিক্রি করেছে । ও জানালো যে প্রতিটা গরুর দাম দেড় লাখ থেকে শুরু করে আড়াই লাখের ভেতরে । কেনা আর লালন পালন বাবদ খরচ বাদ দিয়ে গরু প্রটি গড়ে বিশ/ত্রিশ হাজারের মত লাভ করেছে । কিন্তু কিছু কিছু লোভী ব্যবসায়ী আছে যারা দ্বিগুন তিন লাভ করতে যায় ।

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: বাড়িতে গিয়েছিলেন ঈদে?
ব্লগে একেবারেই অনুপস্থিত ছিলেন সেজন্যই সম্ভবত।
কথা ঠিক লোভীরা অনেক সময়ই ধরা খায়। তবে মাঝে মধ্যে উল্টো গেইম ও হয়।
খামারিরা খামার থেকে গরু বিক্রি করলে কখনোই লসে করে না। বেশ লাভেই করে। হাটে গিয়ে দাম উলোট পালট হয়।

এবারের ঈদ নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।

৩০| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: লেখাটা দুইবার এসেছে । এডিট করে নিন ।

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: লেখাটা দুইবার কেমনে কখন আসল বুঝতে পারছি না!! প্রথমে একবারই ছিল-পরে এডিট করার সময়ে সম্ভবত দুবার এসেছে।
ধন্যবাদ সমস্যাটা ধরিয়ে দেবার জন্য।

৩১| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: ঈদ মুবারক। গরু নিয়ে বিশাল পোষ্ট! গরু মোটাতাজা করে বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের নাম দিয়ে একটি হইচই মাচিয়ে ফেলার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে আজকাল এটা আমার ভাল লাগছে না! গরুর মাংস কেজি হিসেবে গরুর দাম কখনই এত হবার কথা না! এই কাজটি কিছু লোভি ব্যাবসায়িরা শুরু করলেও অনেক সাধারন খামারীরাও এটাকে লুফে নিয়ে এই দিকে ঝুকে পরছে, এতে বাজার অস্থিতিল হচ্ছে এবং অন্য নন-সেলেইব্রেটি বা নামহীন গরুর দামেও এর প্রভাব পরছে বলে আমার ধারনা!

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: লেখাটা দুইবার এসেছে বলেই বিশাল মনে হচ্ছে -আসলে তা নয় :`>
হ্যাঁ নতুন কাহিনী আন্দাজে একটা ওজন ধরে কেজিতে মুল্য ঠিক করা। এক্ষেত্রে প্রায় সব সময়ই ক্রেতারা ঠগে।
হাইব্রিড কিংবা বিদেশী গরু মোটাতাজা করে তাই নিয়ে ভীষণ হুলস্থুল শুরু হয়েছে। আবার ব্রামাহা জাতের গরু আনছে চাটার্ড বিমানে করে। কি ভয়াবহ অর্থের অপচয়।
এই টাকা দিয়ে কমপক্ষে ২০জন অসুস্থ বৃদ্ধ বা পঙ্গু মানুষের কর্মসংস্থান হয়। কোনটায় পুণ্য বেশী?
ধর্মের সব কর্মই হয়ে গেছে দেখানোর জন্য। এক গ্রুপ লেবাসে আরেক গ্রুপ লোক দেখানোর জন্য অর্থব্যায় করে।

৩২| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২

অপু তানভীর বলেছেন: আমি এখনও গ্রামের বাসাতেই । গ্রামে আসলে ব্লগে আসি কম । আর এইবার গ্রামে এসেই জ্বরে পড়েছি ।
সেই সাথে আরো একটা লেখার কাজ নিয়ে একটু ব্যস্ত ছিলাম । তাই ব্লগে ঠিক আসাই হয় নি । আজকে কাজটার একটা প্রাথমিক পর্যায়ে শেষ হল । তাই একটু ঢু মারলাম ।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: গ্রামে থাকলে ব্লগে বেশী সময় থাকতে ভাল লাগে না। আউলা ঝাউলা কাজকর্ম অনেক।
মায়ের আঁচল ছেড়ে ফিরবেন কবে? বিয়ে-সাদী নিয়ে ক্যাচাল করে না?

৩৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫১

অপু তানভীর বলেছেন: বাড়িতে থাকা মানেই হচ্ছে প্রতিদিন বিয়ের কথা বার্তা শোনা । বিশেষ করে খাওয়ার সময় আমি কেন বিয়ে করছি না এটা কারো ঘুম আসে না সেই কথা শোনা । সেই সাথে মানুষ একা থাকতে পারে না, একজন দেখা শোনার জন্য মানুষ লাগে এই বিষয়ে বক্তব্য শোনা । আমি অবশ্য এককান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দিই ।

আর আছি দুদিন । গতকাল চলে আসার কথা ছিল কিন্তু জ্বরের কারণে যাওয়া হয় নি । আজকে শরীর ভাল । তবে কাল যেহেতু শুক্রবার তাই মনে হল একেবারে শুক্রশনিবার কাটিয়েই যাই । এরপর আর আসা হবে না বাসায় ।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: এইটা একটা বিরাট প্যারা! আমি বিয়ে করি ছত্রিশে! ভাবে সাবে আমার বাবা মাকে মনে হচ্ছিল তারা পুত্রদায়গ্রস্থ!! :)
আমার ছোট তিন ভাই তখ পুর্ণ যৌবনে। আমি বিয়ে না করলে তাদের করা মুস্কিল দেখে তারা আমার সায় নেবার জন্য বিভিন্ন লবিস্ট নিয়োগ ও নিজেরাই পাত্রীর 'খোঁজ দ্যা সার্চ' শুরু করেছিল।

৩৪| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আইজা নারী স্বাধীনতার জন্য (পুরুষের শোষনের ;) পেরতিবাদস্বরূপ) বেশী কিছু কমুনা ।

শুধু কমু, "আফা কত লইছে " ?

আর আপার জবাব যাই ঔক না কিন জবাবে বলুম - " জিতছেন আপনি আফামনি, ভাঈ'য়ে কিনলে কোনদিনও এত কমে কিনবার পারত না"। আমনে আছেন দেইখাই ভাইয়ের কপাল খুলছে(তেল মারলাম আরকি)।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি দেখি পুরা পুরুষ জাতির ইজ্জতের দফা রফা করে ফেলতেছেন ভাইজান!!!! :)

আর কত ডরাইবেন এইবার রুখে দাড়ানোর সময় হইছে।

৩৫| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সব কিছু দিনের পর দিন জটিল হচ্ছে।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি যে হারিয়ে গরু ফেরত পেয়েছিলেন সেইটা বিরাট ব্যাপার!
সবকিছুর সাথে আমরাও জটিল-কুটিল হয়ে যাচ্ছি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.