নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইলশেগুঁড়ি নয় গল্পটা ইলশে গরুর

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭


মাদের বাজারে সারাবছর মাছই বিক্রি হত আর এক পাশে হাস মুরগীর ডিমাশে পাশের দশ বিশ পঞ্চাশ গ্রাম আর চরের মানুষ সদাই পাতি আনাজ মাছ দুধ নিয়ে আসত সেখানে বিক্রি করতে। বেশ বড়বাজার ছিল সেটা- এখন আরো বড় হয়েছে। সপ্তাহে দুটো হাট বসত। সেই হাটে অন্য সব কিছুর সাথে ছাগল আর মুরগী বিক্রি হত। গরু কদাচিত আসত। গরু বিক্রি হত আরো বড় হাটে। আমি ছোট বেলায় আমাদের বাজারে এমনি দিনে কোনদিন মাংস বিক্রি করতে দেখিনি। হাটবারে কখনো সকনো একটা গরু জবাই হলে হুলস্থুল পড়ে যেত! কিন্তু যে কসাই জবহ করত তাঁর কম্মো সাবাড় হত। সারাদিন একটা গরু পুরো বিক্রি করতে গিয়ে সে ঘেমে-নেয়ে সারা হত। বেশীরভাগ মানুষই একপোয়া, আধা-কেজি মাংস নিত। তারপর কত বেছে বেছে। শেষ মেষ একগাদা হাড়-গোর আর চামড়া নিয়ে সে যে কি বিপাকে পড়ত। তবে তখন মানুষ সেধে সেধে চর্বি নিত তখন, কিন্তু মাগনা দিতে হত!
সারা বছর শাক-সব্জী ডিম আর উদরপূর্তী করে মাছ খেতাম আমরা। পদ্মার পাড়ে বাড়ি হওয়ায় মাছের অভাব ছিল না কখনো। গোয়ালন্দে দক্ষিন বঙ্গের সবচেয়ে বড় মাছের মোকাম ছিল। সারারাত বড় বড় মাছের আড়ত থেকে ট্রাকে করে মাছে এসে ওখানে বরফ দিয়ে প্যাকিং হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যেত। আমরা গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে আড়তের বরফ ভাঙ্গার ধুপ ধুপ করে শব্দ পেতাম!
০কেজির রুই ৩০ কেজির কাতল ৪০/৫০কেজির পাঙ্গাস কত খেয়েছি তাঁর ইয়ত্বা নেই। আর ইলিশ ছিল নিত্য দিনের খাবার। কিছু না থাকলেই- ইলিশ ভাজা ইলিশের চচ্চরি, ইলিশের ঝুড়ি, ইলিশের ডিমের দোপেঁয়াজি -চলেছেই এসব। ফ্রিজ ছিলনা তখন। সিজনে প্রচুর ইলিশ আসত মোকামে। এছাড়া আমার আব্বা এক জেলেকে তখনকার দিনে ৫০০ টাকা ধার দিয়েছিল- সে প্রতিদিন তাঁর জালে ধরা বড় একটা ইলিশ মাছ পাঠাত আমাদের বাড়িতে। আব্বা রাতে বাসায় আসলে দুহাত ভর্তি ইলিশ থাকত। তিনি ভয়ানক ইলিশ পাগল মানুষ ছিলেন। এত ইলিশ ক্যামনে খাব!
মা এগুলো কেটে ধুয়ে পিস করে মাঝারি মাটির হাড়িতে শুধু বেশী করে লবন দিয়ে শীকেয় তুলে রাখতেন। ব্যাস হয়ে গেল। সিজনের পরে কয়েক মাস ধরে এই হাড়ির ইলিশ দিয়ে দিব্যি চলে যেত। রান্নাঘরে এমন খান বিশেক হাড়ি ঝোলানো থাকত। সেই নোনা ইলিশ বাজারের কেনা নোনা ইলিশের মত বাজে স্বাদ নয়। একটু লবন বেশী হলেও আমাদের অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল। তবে কি তেলে ভরা সরেস সে মাছ। কখনো কাঠালের বিচি আর কচি ডাটা দিয়ে, কখনো আলুবেগুন দিয়ে পোড়া-পোড়া চচ্চড়ি হত। লাকড়ির চুলার সে রান্না ছিল অমৃত। আউশ চালের মিঠে মিঠে ফেনা ওঠা ভাত আর সরিষার তেলে সেই ইলিশ ভাজি সাথে একটা মরিচ পোড়া সহযোগ সদ্য পাঁচফোড়ন দেয়া মশুর দাল হলে তো কথাই নেই। লবন দেয়া ইলিশের বড় বড় ডিম ডোম-ডোম পিয়াজ আর কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাঙ্গা ভাঙ্গা ভাজি আর শুকনো লঙ্কা- এখন সে দিন পেলে নির্ঘাত খেতে খেতে মরেই যাব।
কিন্তু কেন যেন মাংস আমাদের তেমন বরাতে জুটত না। মুরগীটা খেতাম শুধু কোন আত্মীয় বাড়িতে এলে। হাটবার হলে বাজার থেকে কিনে আনতাম- নাহয় কোন গরিব প্রতিবেশী টাকার অভাবে বিক্রি করত কিংবা নিজেদের মুরগী হাত-পা ছিলে জাল-পোলো দিয়ে ধরে বহু কসরতে ধরে আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর বলে জবাই করতাম। সেই একখানা/ দু'খানা মুরগীর বিশজন ভাগীদার। মা ঠিকই এক টুকরো করে রাখত আমাদের জন্য -সাথে একটু আলি একটু চামড়া, কলিজা, গিলে বা মাথা। রান্নার সময়ে সারা বাড়ি গন্ধে ম ম করত। দারুণ একটা উৎসব উৎসব ভাব হত সেদিন।
বিয়ের অনুষ্ঠানেও তখন গরু জবাই হত না বিশেষ একটা। সম্ভবত প্রচুর হিন্দু অতিথি হবার জন্য। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাসি জবাই হত। আমরা তখন রাস্তা দিয়ে ঘুরে বেড়ানো আল্লার ষাড় দেখেছি- দিল্লীর সেই মানত করা গরুর মত। সারা বছরে দু'চারবার বিয়ে বা অন্য সুবাদে সেই খাসির মাংস খাওয়া হত। আর গরুর মাংস; মনে করতে পারি ভাল করে বছরে ওই একবারের কথা;
সেটা কোরবানীর ঈদ।
সারা বছর অপেক্ষা করে থাকতাম ওই একদিনের জন্য। গরু কেনায় হুলস্থুল, গরু দেখায় সারাদিন যেত- সে যেন এক গরুময় ঈদ! কোরবানীর ঈদের সন্ধ্যে থেকে শুরু করে বাকি চার পাঁচটা দিন - কষানো থেকে শুরু করে ঝুরা মাংস পর্যন্ত উতসবটা শুরু হত গরু দিয়ে শেষ হত গরুর মাংসের শেষ টুকরোর সাথে ভীষণ বিষাদে( এই নিয়ে কথা হবে অন্য কোনদিন)। আমরা ওইতো ওই পাঁচদিন মাত্র গরুর মাংস খেতাম বছরে- তারপরেও কেমনে বলি- এখন গরুর মাংস জোটে না। বাঙ্গালীর কপালে কবে ইচ্ছেমত গরুর মাংস জুটেছে?
****
মাদের সেই বাজারের তিন কিলোমিটারের মধ্যে আরো চারখানা ছোট বাজার হয়েছে। ধরে নিই ৩০/৪০ বছরে মানুষ বেড়েছে ৪ গুন। শেষবার গত বছর যখন পরিচিত আছে বলে তেমন ছোট একটা বাজারে ভোর সাতটায় গিয়ে দেখি পর পর চারখানা কসাইয়ের দোকান। ভোর পাচটা থেকে নাকি গরু কাটা শুরু হয়েছে। সেকেন্ড রাউন্ড চলছে। প্রতিদিন এখানে নুন্যতম ১৬ খানা গরু বিক্রি হয়। দম ফেলানোর ফুসরত নেই কারো। তেল চর্বি ছাট কাট বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি। কেউ জাত কসাই না- মাংস কাটছে আবোল তাবোল- কার সাথে কি দিচ্ছে কি মেশাচ্ছে আল্লা মালুম। যারা মাংস নিচ্ছে তারা সবাই মোটেও অবস্থাপন্ন নয়।
****
২০১৮ সাল স্থানঃ নিকেতন। সন্ধ্যেয় একজন কসাই শেষবারের মত তাঁর যন্ত্রপাতি গোছাচ্ছে। কাল থেকে এখানে সে আর মাংস বিক্রি করবে না। গ্রামে চলে যাচ্ছে সে। জিনিসপত্র গোছানোর সাথে সাথে বিড়বিড় করে কি যেন বলছে সে। কোন এক শুভাকাঙ্ক্ষী জিজ্ঞেস করল, মনে মনে কি কচ্ছিস রে?
~ কচ্ছি। হেরা সারাদিন এসিতে শুয়ে বইসে কাটাবি, কাম কাজ কিছু করবি না। চাকর বাকর দিয়ে হাত পা টিপাবি, এসি গাড়ি দিয়া ঘুরবি, হোটেলে গিয়ে গপাগপ গিলবে আর নাক ডাকি ঘুমাবি। তাঁর পর ডায়াবেটিস, হাটের রোগ, পেশার হলি সব দোষ হয় শালার গরুর গোশের। শালার এত যহন দোষ গরুর গোশশ-ই আর বিকরি করব না। গ্রামে চলি যাব- ওহেনে গিয়ে গরুর গোশতো বিকরি করবো- হেগোরে হাটের রোগও হয় না গরুর গোশেরও দোষ হয় না।
****
৯৮০ সালে আদমশুমারি মতে ঢাকার লোক সংখ্যা ছিল ৩২ লাখের আশেপাশে আর আর এখন ২ কোটি ৩২ লাখ তাঁর মানে লোক সংখ্যা প্রায় আটগুন বেড়েছে। মানুষ বাড়ার সাথে সাথে ঢাকা মেট্রোর আয়তন ও বেড়েছে। যাই হোক সত্তুরের দশকে যারা ঢায় ছিলেন তারা কি বলতে পারেন একটা মহল্লায় তখন কি পরিমান গর জবাই হত প্রতিদিন- আর এখন কি পরিমান হয়? ওদিকে মাংসের তুলনায় কতগুন বেশী ইলিশ খেতেন আর এখন কতগুন খান? আমার ধারনা মানুষ আটগুন বাড়লেও পুরো ঢাকায় পঞ্চাশগুন গরু মহিষ খাসী বিক্রি বেড়ে গেছে !
আমার ধারনা সারা বাংলাদেশে প্রতিদিন সত্তুরের দশকে দুহাজার গরু জবাই হত কিনা সন্দেহ- আর এখন বছরে ১ কোটির আশে পাশে গরু জবাই হয়( কোরবানি বাদে) তাঁর মানে তাঁর মানে প্রতিদিন প্রায় ২৮০০০। আপনি মানেন না মানেন ৮০ সাল থেকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে মাত্র কিন্তু গরু খাচ্ছি আমরা চৌদ্দ বেশী।
****
তথ্যঃ একটা সাইটের তথ্য বলছে যে বাংলাদেশীরা মাথাপিছু ৩.৫ কেজি গরুর মাংস খায় প্রতিবছর - আরেকটা সাইটে জানাচ্ছে যে না সেটা ৪.৫ কেজি। আর আমেরিকানেরা গরুর মাংস খাচ্ছে মাথাপিছু ২৬ কেজি । পাকিস্তান ৬.২ কেজি। এই ডাটায় ভারত থাকবে না কেননা তাদের অধিবাসীদের বড় একটা অংশ নিরামিষভোজী। পাকিস্তানীরা অনেক বেশী মাংসপ্রেমী। সেখানে তারা মাত্র আমাদের থেকে ১.৭ কেজি গরুর মাংস বেশী খায়-বিষয়টা ভেবে দেখার।।

* ছবি-টবি সব নেট থেকে ধার করা মাল।

মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫

করুণাধারা বলেছেন: স্বল্পতম সময়ের ভিতর মন্তব্য করার রেকর্ড করার বাসনায় মন্তব্যটা করলাম।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমিও দেখে ব্যাপক আশ্চর্য হইলাম!!!! ওক্কে কোন সমস্যা নাইক্ক্যা থাঙ্কু

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬

করুণাধারা বলেছেন: পরে পড়ে আসছি!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: আসেন আপনার অভিজ্ঞতার গল্প শুনব কিছু...

৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২

ডার্ক ম্যান বলেছেন: সঞ্চয়ের প্রতি মানুষের এখন বড্ড অনীহা । খাও, দাও আর ফুর্তি কর। এই নীতিতে চলছে মানুষ

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০২

শেরজা তপন বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের এই অভ্যেসটা খুব বেশী। তবে এদেশের ঘটিরা বেশ সঞ্চয়ী।

৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০২

আমি সাজিদ বলেছেন: পরে বিস্তারিত পড়ছি। তবে মাথাপিছু ৩.৫ কেজি মাংস খাওয়ার কথা যা বললেন, আমি এইটার সাথে একমত। বাংলাদেশী হিসেবে আমাদের মাসেল মাস কম, ফ্যাট বেশী। বয়সের সাথে মাসল ওয়েস্ট ও হয় আর সাথে রোগ। এর অন্যতম কারন হিসেবে আমাদের দেশের ডায়েটে কম প্রোটিনের কথা উল্লেখ করা যায়। ইভেন জানেন কিনা, কিডনী পেশেন্টকেও ( আরলি স্টেজে) পরিমান মত প্রোটিন খেতে হবে, নেফ্রোলজিস্ট ও ডায়াটেশিয়ানদের সাথে কনসাল্ট করার পর। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ গড়ে একজন কিডনি পেশেন্ট থেকেও কম প্রোটিন খায়। এইটা সাউথ এশিয়ায় কম বেশী সবারই সমস্যা।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার গুরত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ- পুরো বিষয়টা জানা ছিল না।

৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

জুন বলেছেন: আমি জানি গরুর মাংসে হাইয়েষ্ট কোলস্টেরল তাই খাই না, আর ইলিশ মাছ খেলে নাকি কোলস্টেরল কমে। আমি পরেছি মহা বিপদে :(
টোটাল কোলষ্টরেল ৮০০ +। ঔষধ খাইতেছি, জানি না কি অবস্থা। ইলিশ মাছ /:)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরনঃ যাদের কিডনি রোগ রয়েছে তারা ইলিশ কম খাবেন।

আগে ডাক্তারেরা কইত যাদের হাই কোলেস্টেরল তাদের ডিমের কুসুম আর ইলিশ খাওয়া নিষেধ! কত মানুষ এই দুইটা জিনিস ভীষণ প্রিয় হবার পরেও নাখেয়ে মরে গেল। কিন্তু এখন পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলছে এদুটোতে ভাল কোলেস্টেরল মানে HDL কোলেস্টেরল থাকে। কি ভেজাল কন দেখি।
নয়া ডাক্তারেরা কয় সপ্তাহে চর্বি ছাড়া ২৫০ থেকে তিনশ গ্রাম রেড মিট খাওয়া যায়। বেজায় বিপদ!!!

৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারের হোটেল গুলোতে গতকাল থেকে বুকিং নিচ্ছে না।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: কক্সবাজারের এমন ছুটিতে অলিগলিতেও ঠায় মেলেনা। ের আগে দেখলেন না ভাত আর আলুভর্তা ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। আচমকা বাঙ্গালী ভ্রমণ পিপাসু হয়ে গেছে। টাকা খরচের জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না। সব এই সরকারের উন্নয়নের কামাল রে হাসান ভাই :)
আপনার মনে আছে এক সময় ; আশুলিয়ার মরা খাল দেখতে আর পচা চটপটি খাইতে নব্বুই-এর দশকে হাজার হাজার মানুষ াশুলিয়া বেড়িবাধে ছুটে যাইত প্রতিদিন।

৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

ইসলামী জ্ঞান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে কি এই প্রথম পেলাম আমার ব্লগে ভ্রাতা?
অনেক ধন্যবাদ- তবে কিজন্য আমাকে ধন্যবাদ দিলেন সেটা যদি একটু খোলসা করে বলে যেতেন?

৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩

আমি সাজিদ বলেছেন: আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ গড়ে একজন কিডনি পেশেন্ট থেকেও কম প্রোটিন খায়।

এরমানে কিডনি ডিজিজের আরলি স্টেজে যে প্রোটিন দরকার ( রেকমেন্ডেড রিকোয়ারমেন্ট), এরচেয়েও কম প্রোটিন খায়। এর অভাব টাকাই নয় অনেক সময়, সচেতনতার অভাব আর গণমুখী ডিজিজ প্রিভেনশন প্রোগ্রাম এখনও হাতে না নেওয়া।

আর হাসান বৈশাখদের মতো ৩/৪ কোটি মানুষই বাংলাদেশের জনগণ। ওর কমেন্টের একটা ধারা দেখবেন যে, বাজারে ইলিশ মাছ সব কিনে নিয়ে যাচ্ছে, গরুর মাংস কেজি হাজার টাকা হলেও মানুষ না কিনে নেই। এরপর এই কক্সের এক্সামপল সে কমপক্ষে পঞ্চাশবার দিয়েছে ব্লগে। কক্সে রুম ভ্যাকেন্ট নেই.... ব্লা ব্লা।





২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ গড়ে একজন কিডনি পেশেন্ট থেকেও কম প্রোটিন খায়।
এই তথ্য জানতাম না- তবে ডাক্তার আমারে কইছে প্রোটিন কম খাইতে :(
চটপটি সিঙ্গারা পুরি পিয়াজু ঝালমুড়ি এই দিয়াই তো দিন কেটে যায়। গরিবের কাটে রুটি কলা আলু চাল ডাল আর বড়জোর একটা ডিমে। প্রোটিন আর আসবে কোত্থেকে!!
হ্যাঁ ওই চারকোটি লোকেরই বাংলাদেশ আর সবার! :) বেশ বলেছেন

৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩

খাঁজা বাবা বলেছেন: গরু খাওয়ার হিসেব না ডিয়ে মাংস খাওয়ার হিসেব দিলে বোঝা যেত আমরা কত পিছিয়ে আছি।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: ইলিশ আর গরু নিয়ে ব্লগে একটা আলোচনার ঝড় চলছিল ব্রো।
সেজন্যই এই ইলশে-গরু নিয়ে পোস্টের অবতারণা!!

১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৬

শাওন আহমাদ বলেছেন: মূল লেখাটা পড়ছিলাম আর সবকিছু স্বপ্নের মতো লাগছিলঃ এও আবার সম্ভব নাকি? তবে আমি যখন খুব ছোট ছিলাম ১৯৯৭-১৯৯৮ দিকে তখন আমাদের বাসায়ও বেশ ইলিশের উৎসব হত। হাটের দিন অনেক ইলিশ আসত বাসায়। আলাদা ডিম রান্না আর ইলিশের ঝুড়িও খেয়েছি বেশ। হলুদ মরিচ দিয়ে জ্বালিয়ে রাখা মাছের ঝোল দিয়ে পানি ভাত বেশ পছন্দ ছিল আমার। এখন আর ইলিশের সেই গন্ধ আর স্বাদ নেই, তাই ইলিশও আর খেতে ইচ্ছে করেনা।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০২

শেরজা তপন বলেছেন: এভাবেই আমার আব্বাদের গল্প আমাদের কাছে সপ্নের মত লাগত। আমার দাদাদের গল্প তাদের কাছে ছিল সপ্নের মত তবে তাঁর আগে পৃতিবী সময় কাল অনেকটা থমকে ছিল। খুব বেশী পাল্টায় নি। যেভাবে পালটে গেছে গত ৫০/৬০ বছরে। খুব দ্রুত এত বেশীই পাল্টে গেল যে নিজেদের মনে হয় মধ্যযুগীয় মানুষ!!!
এখন আর ইলিশের সেই গন্ধ আর স্বাদ নেই, তাই ইলিশও আর খেতে ইচ্ছে করেনা
~ সবাই একথা বলে আমিও বলি। আগে ইলিশ ভাজলে কড়াই উপচিয়ে তেল পড়ত। খাবার পড়ে হাতে ঘ্রান লেগে থাকত বহু সময় ধরে। আসলে শুধু ইলিশ নয় সব কিছুর স্বাদ পাল্টে গেছে আমাদের রুচি। এত বেশী ধরনের খাবার খাই আমরা - রুচীর পাশাপাশি স্বাদ হারিয়ে ফেলেছি আমরা।
ধন্যবাদ আপনাকে দারুণ মন্তব্য করার জন্য।

১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩১

জটিল ভাই বলেছেন:
মাংস যদি কাঁঠাল আর মাছটা হয় শাক,
তবে মোরা তাই খেয়ে আজো নই অবাক।

আপনাদের হারিয়ে যাওয়া দিনের জন্যে সমবেদনা রলো :(

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: যে দিন আছে সেইটাই ভাল -বেঁচে যে আছি( প্রায় সুস্থ দেহে তাই ঢের)!

ছড়াটাতো জব্বর কোন জটিল কবি লিখেছেন ভায়া?

১২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি গরুর মাংস খাই না, কাজেই এইটা নিয়া আমার কোন হেলদোল নাই। ইলিশ নিয়া কিছু বলতে গেলে মুখে পানি চলে আসে। তাই কিছু বলাটাই সমস্যা! আর ইলিশের ডিম হইল গিয়া বেহেশতী খানা!!! :)

আমি সাজিদ বলেছেন: আর হাসান বৈশাখদের মতো ৩/৪ কোটি মানুষই বাংলাদেশের জনগণ..........হিসাব ঠিক আছে। বাকিরা আম্লিগের সমর্থক না হওয়াতে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত! :-B

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১০

শেরজা তপন বলেছেন: আমি সাজিদ বলেছেন: আর হাসান বৈশাখদের মতো ৩/৪ কোটি মানুষই বাংলাদেশের জনগণ..........হিসাব ঠিক আছে। বাকিরা আম্লিগের সমর্থক না হওয়াতে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত! :-B
~ এইটুক শুইন্যা তো আমি হাসতে হাসতে চেয়ার থেইক্যা পইড়্যা যাইতে লইছিলাম :) :)
আসতেছি- আপনি এই কয়দিন কই ছিলেন মিয়া

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২১

শেরজা তপন বলেছেন: একটু আগে সরিষা ইলিশ দিয়া ভাত খাইলাম - মাছের পেট ভর্তি ডিম ছিল! শ্বশুর বাড়ি থেকে পাঠানো মাছ -বোঝেন তাহলে, কি রসে বসে আছি :)
কোন দুঃখে আপ্নি লন্ডন বসে আছেন। আসেন দেশে একেবারে মেঘনার মাঝখানে মেঘ গুড়্গুড়ে ইলশেগুঁড়ি বৃস্টির দিনে নৌকায় লাকড়ির আগুনে তাজা ইলিশের খোল খাওয়ামু।

১৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১

হযবরল ৭৩ বলেছেন: আমার শৈশব, আশির দশকে ইলিশ ছিল ২০ টাকা কেজি, গরুর মাংস ৪০ টাকা এবং ছাগল ৬০ টাকা কিন্তু এগুলোও সবার সাধ্যের মধ্যে ছিল না।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের আড্ডায় কিছু বয়স্ক মানুষ মাঝে মধ্যে বসেন। তাঁর মধ্যে আছেন আজিজ ভাই - মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। তবে ভীষণ ফিট। তিনি ভাল কথা বলেন; ভাই ২ আনার মাছও আমাগো কিনতে কষ্ট হইছে যেমন ২ হাজার টাকার মাছও আমাগের কনতে কষ্ট হয় তেমন।

১৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ঢাকা শহরে জন্মেছি ও বড় হয়েছি বিধায় আপনার মত এত তাজা ইলিশের স্বাদ উপভোগ করার সৌভাগ্য হয় নাই। তবে বরফ দেয়া ইলিশ খাইলেও টেস্ট ছিল অসাধারন। ইলিশ ভাজা, ভাপা ইলিশ, ইলিশের পাতুরি, গোটা ইলিশের বেক আর কত আইটেম যে খাওয়া হত। বিদেশে দেশী ইলিশ পাই না। মিয়ানমা্রের বিস্বাদ ইলিশই খাই । তবে দেশে বেড়াতে গেলেও আজকাল আর কোন দাওয়াতে ইলিশ মাছের আইটেম দেখি না। সবার এক কথা। দামের কারনে ইলিশ খাওয়া বাদ দিসে!!

নোনা ইলিশ দোপেয়াজি খাইতে দারুন। তবে ডিডিটির ভয়ে দোকান থেকে কিনে খাইতে সাহস হয় না।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: ঢাকার লকেরা মাছ আর মাংসের পদ জানে বেশী। আমাদের মশলা জ্বালানী আর সময়ের সল্পতার জন্য রান্নায় ছিল তাড়াহুড়ো আর একটু গরিবানা হালত।
ওইসব সরিষা ইলিশ পাতুরি বেকের নামই শুনি নাই কোনদিন কাওয়া তো দুরের কথা। আইটেম ছিল হাতে গোনা তবে ভ্যারিয়েশন ছিল অনেক। মানে যখন যেইটার উৎপাদন বেশী ছিল সেইটার ঠেসে দেয়া হোত :)
পরিবারে লোক সংখ্যা বেশী হওয়ায় দ্যালদ্যালা ঝোল হত বেশী। সাথে আলু টালু জাতী অন্য সব্জী একগাদা পোষানোর জন্য। মাছ কম থাকলে চচ্চরি। এটা সন্ধ্যের আহারে বেশী হত তখন মাথা ল্যাজার সদব্যাবহার হত। মাছ ভাজা, ডোম ডোম ডিম ভাজা ছিল একটু স্পেশাল খাবার। ইলিশের পিত্ত থলি আর আঁশ ছাড়াতো আর কিচ্ছু ফেলা হোত না- চুপড়া চাপড়ি সব খাইতাম।সেইগুলা দিয়া লাল শাক সেইরকম হইত।
রান্না যেভাবেই যা দিয়েই হোক না কেন- আহা কি অপূর্ব তার স্বাদ। আমার সৌভাগ্য যে মা বেঁচে আছেন। ঢাকার রান্না তেমন স্বাদ না হলেও মাঝে মধ্যে তিনি আমার প্রিয় খাবার রান্না করলে বাটিতে করে পাঠিয়ে দেন। আগের স্বাদ কিছুটা হলেও পাই।
নোনা ইলিশ আমার মামাবাড়িতে টাঙ্গাইলে ছোটবালেয় মামীর হাতে খাইছি কি স্বাদ যে পাইছি । কিন্তু ইদানিং কোন স্বাদ পাই না।

১৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: একটু আগে সরিষা ইলিশ দিয়া ভাত খাইলাম - মাছের পেট ভর্তি ডিম ছিল! শ্বশুর বাড়ি থেকে পাঠানো মাছ -বোঝেন তাহলে, কি রসে বসে আছি :)
কোন দুঃখে আপ্নি লন্ডন বসে আছেন। আসেন দেশে একেবারে মেঘনার মাঝখানে মেঘ গুড়্গুড়ে ইলশেগুঁড়ি বৃস্টির দিনে নৌকায় লাকড়ির আগুনে তাজা ইলিশের খোল খাওয়ামু।

...........লোভ দেখায়েন না। আপ্নের পেট খারাপ হইবো কইলাম। X(

আমি এখন এম্নেই মধ্যে মধ্যে উদয় হমু। উপায় নাই, বিরাট ক্যাচালের মধ্যে আছি।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: একটু নজর টজর তো বুলানো যায়- কত কিছু হইয়া গেল!!
এখন কিছু আর বলা যাবে না :)
আপনিতো সারাজীবন দৌড়ের উপ্রে নাইলে ক্যাচালের উপ্রে থাকেন। যাউজ্ঞা নতুন ভুয়া গল্প আসছে বোঝা যায় :)

চলে আসেন- ভয় দেখাইয়েন না। ন ডরাই...

১৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ভাইরে ভাই ৪০/৫০ কেজি সাইজের পাঙ্গাস! তার মানে প্রায় হালকা পাতলা ওজনের একজন ব্লগারের সমান ওজন!

ইলিশ খাওয়ার গল্প শুনে সত্যিই জিবে জল এসে গিয়েছিল ভাইয়া!

আপনার লিখাটি সত্যিই দারুন হয়েছে! আজ থেকে ৩০/৪০ বছর আগে মানুষ যে কত কষ্টে জীবন যাপন করতো তা নিজ চোখে দেখার দুর্ভাগ্য আমার হয়েছিল। এখন মানুষ নিশ্চয়ই আগের চাইতে ভাল আছে। তবুও স্বভাবগত কারনে অনেকেই বলবেন খুব কষ্টে আছি রে ভাই, আবার বিশ পরে গিয়ে তারাই বলবেন বিশ আগে কত্ত ভাল ছিলাম, সব কিছু অনেক সস্তা ছিল।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: আমি যখন ফাইভ সিক্সে পড়ি। একটা পাঙ্গাস খাড়া করলে আমার মাথা থেকে এক দেড়ফুট ছাড়িয়ে যেত।
হ্যাঁ মানুষের কাম ই হল বলা আগে কি 'সুন্দর দিন কাটাইতাম'
যে বড় কাতলা দেখেছি সেরকম আর দেখিনা- মাথাই ছিল পনের কেজি। এইতো সেই আশি সালের কথা কতদিন আর।

ঘোড়াশালে ঘোড়া ছিল হাতিশালে হাতি
হাতিরা সব পগার পার এখন আর সেই সহিসের জোটে না ঘোড়ার লাথি।

১৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৫

রানার ব্লগ বলেছেন: ভারতে নিরামিষ ভোজী কয় জন? পুরা সাউথে হিন্দুর সংখ্যা ৮৫ শতাংশ সেখানে নিরামিষ ভজী আছে ১০ থেকে ১২ শতাংশ। বাকিরা আরাম করে গরুর মাংস খায় । কেবল কিছু অংশের লোক নিরামিষ ভোজী ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: পাঞ্জাবের বড় একটা অংশ ভেজিটেরিয়ান। গুগল বলছে ; ৩০ভাগ ভারতীয় ভেজিটেরিয়ান- যদিও গুপনে গাপনে অনেকেই খায় তবে বিশের বেশী নাইমেন না :)
ধর্মীয় ক্যাচাল হইতে পারে বইলা ইন্ডিয়ারে আপাতত বাদ রাখতেছি। এমনিতেই ভারত বিরোধী ট্যাগ খাইছি।

১৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪০

রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধর্মীয় ক্যাচাল হইতে পারে বইলা ইন্ডিয়ারে আপাতত বাদ রাখতেছি। এমনিতেই ভারত বিরোধী ট্যাগ খাইছি।

আশাকরি এই কারনে আমেরিকা আপনারে স্যাংশানে ফেলবে না ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: যাদের যাবার তারা যাক যাদের স্যংশান খাবার তারা খাক।
আমার খানা খন্দ মশা মাছি ভেজাল খাবার বায়ু দুষন ক্যাচাল প্রিয় বাংলাই প্রিয়।
তবে মাঝে মধ্যে ঘুরে আসতে মন চায় :)

১৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: একটু নজর টজর তো বুলানো যায়- কত কিছু হইয়া গেল!!

..,.........নজর বুলানোও বিপদ। আটকায় যাই। একবার আটকালে সরবনাশ ঠেকানো যায় না। সেই ভয়ে আসি না। আইজকা বহুত টাইম বাদে একটু টাইম পাইলাম। :)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: তা অবিশ্যি ঠিক
থাউগ্‌গা বাদ দেন। কাম কাজ নিয়ে আছেন থাকেন। কামের মধ্যে এই ক্যাচালের দরকার কি। তা ভ্রমণ ট্রমন হচ্ছে কি?
নতুন গল্পের অপেক্ষায় আছি যে... আপনি যেখানেই যান সেখানেই একখানা গল্প!

২০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: মহররম পর্যন্ত শুকানো মাংস খেতাম। মাঝে মাঝে চুরি করে হাফ প্যান্টের পকেটে ভেরে খেয়ে বেড়াতাম। মহররমের দিন শুকানো মাংসের ঝোল-আলু রান্নার সুবাস বাড়ীর আশে-পাশে ছড়িয়ে পড়তো। বর্ষায় ট্রাকে ট্রাকে ইলিশ আসতো দক্ষিন থেকে। উত্তরের বৃষ্টি ভেজা বাড়ী গুলো থেকে ছড়িয়ে পড়তো ইলিশের গন্ধ । কি নিদারুন স্বাদ !!!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: এতো দেখি আরেক কাহিনী- আসলে প্রত্যেক জনপদের একেক ধরনের গল্প থাকে। প্রত্যেকটা মানুষের একেক রকমের গল্প। আমি পকেটে করে চুরি করে মাংস খাওয়ার গল্প শুনিনি। এটা কি হলুদ লবন দিয়ে জ্বাল দেয়া মাংস ঠান্ডা করে রাখা?

কত ইলিশ পাগল যে আছে দুনিয়ায়।
নতু একটা কথা শুনুন।
কেউ কেউ বলে দানিয়ুব নদীর ইলিশ বলে সবচেয়ে স্বস্বাদু
ওদিয়ে অনেকের মতে চিল্কা হ্রদের ইলিশ নাকি সবচেয়ে স্বাদের! -শুনেছেন কখনো একথা?

২১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গরুর মাংস আমার না পছন্দের।যেমন অপছন্দের পোল্ট্রি মুরগির মাংসও। গরুর ফাইবার মোটা এবং উচ্চ কোলেস্টরল থাকায় প্রায় না খাওয়ার লিস্টে বলতে পারেন। তবে বছরে দু একবার আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে গেলে তাদের মান রাখতে এক বা দু পিস খাই।ব্যাস এটুকুই। পছন্দের মাংস মটন। তবে কোলেস্টেরলের ভয়ে তাকেও বাসায় একপ্রকার ঢুকতে দেওয়া হয়না।ফলে মধ্যম পছন্দের দেশি মুরগি ও সোনালী মুরগি ছুটির দিনে বাসায় আনি।
ইলিশকে পছন্দ করলেও অধিক মূল্যের কারণে একটু এড়িয়ে চলি। তবে সাধ্যের মধ্যে থাকা দেশি ভেটকি আমার বেশ পছন্দের।

আপনার স্মৃতিময় ইলিশ ইলিশে গরুর গল্প স্মৃতি মেদুরতার সঙ্গে মজাদারও বটে। ++

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: আহা যার গরুর পছন্দ নয় তাঁর মাংস খাওয়াই উচিৎ নয় ( এটা আমার মত)। আমার মুরগী মোটামুটি চলনসই তাও শুধু লোকাল। বিয়েবাড়িয়ে এক আধটু সোনালিকা-তাও একটুখানি নিয়ে বাচ্চাদের দিয়ে দেই।
মটন শুধু একটু কাচ্চিতে খাই তাও পছন্দের পিস হলে। মাংস মুলত সব মিলিয়ে আমি কম খাই। সপ্তাহে একদিন সর্বোচ্চ দুই দিন( গরু আর মুরগি মিলিয়ে)।

সারা সপ্তাহ মাছ আর সব্জি দিয়ে চলে। ইলিশ থাকলে আর কিচ্ছু লাগে না। :)
আসলেই পছন্দের মাছের দাম দিন দিন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এখন ৮০০/১০০০ এর নীচে এখানে কোন ভাল মাছই পাওয়া যায় না। পুটি মাছ ৬০০-৮০০ টাকা কেজি। ভাবা যায়!!

মাছ খাওয়া আর রান্নার গল্প নিয়ে তো দুই একটা বই লিখে ফেলা যায় এত বেশী স্মৃতি :) :) ধন্যবাদ।

২২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৭

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি কত বছর আগে গন্ধ ও স্বাদ ওয়ালা ইলিশ খেয়েছেন?আমি ৭০ বছর আগে শুনছি ইলিশে আগের মতো গন্ধ আর স্বাদ নাই।
লেখা পড়ে মনে হলো দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ভালোই হয়েছে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: অবশ্যই অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করেছে। এটা না মানার কোন কারণ নেই। টাকার মান কমলেও মানুষের জীবনযাত্রার মান ও বেড়ে গেছে বেশ খানিকটা।
সেতা ঠিক এক ধরনের মানুষ বড় হলেই গল্প করে এটা আগের মত নেই -ওটা আগের মত নেই। ওটা আগে এমন ছিল এটা এমন ছিল! আহারে ওহো রে! বাকি সবাই তাল দেয়। আমিও দেই।
আপনি এতক্ষনে একদম সত্য একটা কথা বললেন! মাছের স্বাদ আছে আসলে আমাদের হাজারো ভিন্ন স্বাদযুক্ত খাবার খেতে খেতে স্বাভাবিক স্বাদ শক্তি নষ্ট হয়ে গেছে।

২৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: মিথ্যা নাকি তিন প্রকার -

মিথ্যা
ডাঁহা মিথ্যা
ও পরিসংখ্যান ।

তাই আপনার শেষের দিকে থাকা বক্তব্যগুলো বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করতেছে না । আমার এলাকায় যে গরুর মাংসের দোকান আছে তারা তিন দোকান মিলে একটা গরু জবাই করে । আর মাংস তো এক দিনে বিক্রি হয়ই না কয়েক দিন লাগে । তাই বিশ্বাস করতে বেগ পেতে হচ্ছে ।

আচ্ছা আপনার থেকে এই ভেবে কষ্ট হয়না আপনার সন্তানেরা আপনাদের মত পুষ্টি সমৃদ্ধ হচ্ছে না ! তারা আগামিতে কিসের সম্মুখীন হচ্ছে এই নিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হোন কী ?

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি কোন এলাকায় থাকেন? মিরপুর ৬ নম্বর থেকে ১১ নম্বরে একটু আসবেন সকালে আর মোহাম্মদপুর আর পুরান ঢাকায় একটু ঢুঁ দিবেন। দেইখেন কারবালা হয়।
আপনি বিশ্বাস না করলে পোস্তায় গিয়ে চামড়ার আড়তে একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন। ওদিকে বড় আড়ত নওগাঁ আর বগুড়া সেখানে উত্তর বঙ্গের সব চামড়া আসে।
আমিতো এই ট্রেডের আশে পাশেই আছি ধারনায় ফাঁক ফোকর থাকতে পারে তবে খুব্বেশী গোঁজামিল হবার সম্ভাবনা নেই- তবে আপনার কথামত ভাল করে খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি...
আমাদের সন্তানেরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই পুষ্টি পাচ্ছেনা আমাদের অসচেতনেতার জন্য। আমরা কোক চিপ্স সহ আজে বাজে জিনিস তুলে দিচ্ছি তাদের কিন্তু ডিম কলা সহ অন্যান্য সস্তা প্রোটিন তুলে দিচ্ছি না বুঝতেই পারছি না এটা দিতে হবে বা দেয়া কতটা জরুরী।

২৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বড় ভাই, আমি চট্টলার এক শহরতলীতে থাকি !! হতেই পারে আমার দেখা বিষয়টা কেবল আমার এলাকাতেই সীমাবদ্ধ !!

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: চট্ট্রলার লোকতো গরু বেঈ খায় শুনেছি।
আপনার এলাকার মানুষ মনে হয় স্বাস্থ্য সচেতন। তবে আপনাকে দেখে তেমনটা মনে হয় না :)

২৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৮

ইসিয়াক বলেছেন: ছোটবেলায় যখন গ্রামে বেড়াতে যেতাম তখন দাদীজানের পোষা (ছাড় দেওয়া) মোরগের মাংস খেতাম প্রায় প্রতিদিন খেতাম । কারণ দাদীজানের প্রচুর মোরগ মুরগী ছিল।সেই সময় আমাদের হাটে প্রায় একটা করে গরু জবাই হলেও মাংস বিক্রি হতো কম।সারাদিন যা হোক সন্ধ্যার পর থেকে দারুণ উৎকন্ঠা নিয়ে ডেকে ডেকে মাংস বিক্রি করতো দুলাল কসাই। দাদীজানের কাছে এসেও অনুরোধ করতো দু এক সের মাংস নেবার। বলতো শহর থেকে পুতা এসেছে মাংস নিবা না বড় ভাবী।দাদীজান অবশ্য নিতো না। তাঁর এ্যাজমার সমস্যা ছিল । এছাড়া দুলাল চাচাকে পরিচিতদের মধ্যে জোর করে মাংস গছিয়ে দিতে ও দেখেছি। রাত বেশি হলেই তো মাংস পঁচতে শুরু করবে তার আগে বাকিতে ছেড়ে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।তখনকার দিনে অনেকেই বিচিত্র কারণে গরুর মাংস এড়িয়ে যেত। যদিও তখন পঁচিশ থেকে ত্রিশ টাকা করে সের ছিল মাংসের।আর একটা জিনিস দেখতাম, তখনকার দিনে তেমন কেউ ভুড়ি, পা এগুলো কিনতে চাইতো না।অনেক সময় ক্রেতার অভাবে পায়া ভুড়ি মাটিতে পুঁতে ফেলা হতো।আর এখন শুনি মানুষ নাকি গরুর চামড়াও রান্না করে খায়।
তবে আমরা আত্না ভরে গরুর মাংস খেতাম কোরবানি ঈদের সময়। বিশেষ করে লম্বা কাঠিতে আট দশটা মাংস ফুটিয়ে নিয়ে হেটে হেটে খেয়ে বেড়াতাম।এটা একদম স্পষ্ট মনে আছে, এখন অবশ্য এটা মনে পড়লে বেশ হাসি পায়। সবশেষে মাংসের ঝুরিভাজা ছিল দারুণ উপভোগ্য। গরুর চর্বি তেলের পরোটা সেও ছিল দারুণ স্বাদের।
আর ইলিশের কথা কি বলবো! ইলিশ আমার সবচেয়ে প্রিয় মাছ। আমাদের গ্রামে অবশ্য ইলিশ মাছের বৃষ্টি হতো! পথে ঘাটে ছড়িয়ে থাকতো ইলিশ। এমন ইলিশ আমিও অনেক কুড়িয়েছি। সে এক মজার অভিজ্ঞতা!

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: ইলিশ মাছের বৃষ্টি তাই নাকি!!!!! এ কথা জীবনে শুনিনি। বলুন বলুন -আপনার এই নিজের চোখে দেখা এই বিরল অভিজ্ঞতার কথা আমার লেখা ইলিশ বিষয়ক প্রবন্ধে ভীষণ কাজে লাগবে!
আপনার ছোট বেলাটার বাকি অভিজ্ঞতা সুখকর না হলেও এইকাহিনীগুলো বেশ মজার। অন্য সব এলাকার চেলেপুলেদের থেকে আপ্নারা অনেক বেশী প্রোটিন খেয়েছেন।
এলাকাটা ছিল কোথায় -আর কত সালের কথা বলবেন? আমি বলেছি সত্তুরের শেষ আর আশির দশকের শুরুর কথা।
চমৎকার অভিজ্ঞতার কথা বলার জন্য ধন্যবাদ।
বিস্তারিতভাবে পোষ্ট আকারে শোনার জন্য অপেক্ষায় রইলাম ...

২৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




পোস্টের বেশীর ভাগটা জুড়ে যা লিখেছেন তা খুবই নষ্টালজিক। কোথায় গেলো আমাদের সেই সব দিন ?

বর্ষাকালে একহালি ইলিশ (কমপক্ষে দেড় কেজি ওজনের এক একটি) ১.৫ টাকা থেকে ২ টাকাতে কিনে বাসায় গেলে মা বলতেন- দাম বেশী হৈছে, ঠকছো।
গরুর মাংশ কিনেছি দেড়টাকা সের ( তখন কেজি ছিলোনা) তা এখনও মনে আছে। চর্বি দিতো ফাঁও।

হায়রে .. এসব আবার কেন মনে করিয়ে দিলেন !!!!!!!!!!!!! :((

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার ভাই কত্তো বেশী অভিজ্ঞতা আছে আমাদের থেকে। আপনিতো আমার আগের প্রজন্ম- আপনি অভিজ্ঞতার ঝুড়ি উপুড় করে দিলে আমিতো বানের জলে ভেসেই যাব ... :(
আমি একবার দেখেছিলাম ১০ টাকা হালি সেবার এত বেশী মাছ হয়েছিল যে শেষ মেষ মাছ মাটিতে পুতে ফেলেছি।
আহারে কেজি এসে সব গণ্ডগোল করে ফেলল!!! মাছ কেজিতে/ সেরে কবে কে কিনেছে!!!!
মুরগী কেজিতে সর্ব প্রথম দেখেছি পাকশীতে তখনো ঢাকাতে পিস/ হালি বিক্রী হয়।
এমন নস্টালজিক করার মত পোষ্ট আপনার কাছ থেকেও চাচ্ছি।

২৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২

বাউন্ডেলে বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি পকেটে করে চুরি করে মাংস খাওয়ার গল্প শুনিনি।
৭০/৮০ দশক। লবন,তেল, হলুদ, হালকা মসলা দিয়ে সিদ্ধ মাংস ঘরের চালে বা ছাদে রোদের সময় বড় গৃহস্থ বাড়ী গোশতো শুকানো হতো আপদ কালীন ভবিষ্যতের জন্য । শুকণো ঝনঝনে এই গোশত আমার কাছে অমৃতপ্রায়। চুরি করে অনেক খেয়েছি। মা দেখেও না দেখার ভান করতো। আমার অন্য ভাই বোনদের এই অভ্যাস কম ছিল ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: তাইই হবে- আমিও সেটাই ধারনা করেছিলাম। সেজন্যই বলেছি জ্বাল দেয়া মাংস কি না।
শুটকি মাংস আমাদের ওখানে প্রচলিত নয় যদিও তবে মার ভীষণ প্রিয়। আমাদের এলাকায় বছরে এক আধবার তাজা মাংসই খেতে পারত না শুটকি মাংস করবে কিভাবে!!!! :(

২৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: ইলিশ আর গরু, দুটিই আমার অতি প্রিয় খাবার। দ্বিতীয়টি খেতে খেতে কোলেস্টেরল এত বেড়ে গেছে যে এখন বাধ্য হয়ে বন্ধ করেছি। আর প্রথমটি এখনো খুবই প্রিয়, খেতেও পারি কিন্তু দামের জন্য বাধ্য হয়ে খাওয়া প্রায় বন্ধই করে দিতে হয়েছে। :(

কোনো আশার বাণী কেউ কি শোনাতে পারে!! #:-S

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: মাছের মধ্যে ইলিশ আর পশুর মধ্যে গরু ওদিকে পাখির মধ্যে মুরগী(একটু কম পছন্দ)- এই তিনটে নিয়েই বেঁচে আছি :)
প্রথম দুইটা নিয়ে ডাক্তারের সাথে দড়ি টানাটানি চলছে আর তিন নম্বরটা ফার্ম আর লোকাল নিয়ে। সবগুলোই শেষমেষ ওপারে যাবার আগে ছাড়তে হবে মনে হচ্ছে :(
অদুর ভবিষ্যতে ইলিশ চাষ হবার আদৌ কোন সম্ভাবনা নেই হলেও স্বাদ এমন হবে না। আর গরুর পরিবর্তে ধীরে ধীরে মহিষে অভ্যাস্ত হউন সেটা নাকি বেটার- কচি মহিষ আর গরুর স্বাদে তেমন পার্থক্য নেই। তবে সব শরির সচেতন মানুষ ওটাতে কনভার্ট করায় দাম আরো বেশী এখন। কম দামে খেতে চাইলে কলকাতায় যান।

২৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগে কম খেলেও খাঁটি জিনিস খেতাম। এখন কম বেশী সবার আয় বেড়েছে কিন্তু খাবারের বদলে বিষ খাচ্ছি। তবে বর্তমান সময়ে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত খুব অর্থ কষ্টে আছে। এতো বেশী মুদ্রাস্ফীতি ঐ যুগে ছিল না। ফলে সমস্যা হতো না।

তবে সব পরিবারেই আগের চেয়ে আয় বেড়েছে তাই খাওয়াও বেড়েছে। আমরা ছোটবেলায় মাংস খেতাম মাসে ৩-৪ দিন বড়জোর।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: খাঁটি অখাঁটি সব কিছুই প্রকৃতি থেকে নেয়া -মহাশুন্য থেকে আমদানী করা নয়। মানুষের শরিরে বিষেরও দরকার আছে। এই খেয়েওতো ৭০/৮০ বছর বাঁচছে মানুষ। এত বেশী চিন্তা না করে ওয়ার্কাউট করুণ আর শুধু ভাজাপোড়াটা বাদ দিয়ে বাকি সব কিছু খেয়ে যান। বাকি আল্লাহ ভরসা ছাড়া আর কি।
আমরা ছোট বেলায় মাংস খেতাম মাসে বড়জোর ১ দিন।

৩০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



হাইলাইট: পাকিস্তানে হত দরিদ্র মানুষ প্রচুর যারা হয়তো মাথাপিছু ১০০ গ্রাম মাংস একমাত্র কোরবানীর ঈদে খেতে পারেন কিনা সন্দেহ। আবার হয়তো কেউ কেউ মাথাপিছু ৫০ কিলোগ্রামও খাচ্ছেন। একই বিষয় আমাদের বাংলাদেশের জন্যও প্রযোজ্য। তাই হয়তো গড় হিসাব এমন অদ্ভূৎ দাড়াচ্ছে।

আমি মাঝে মাঝে বাজারে যাই। আপনি অবাক হবেন কিনা জানিনা, বৃহস্পতি ও শুক্রবারের বাজারে কেউ কেউ গরুর আস্ত রান, আস্ত সিনা (ডুয়েল সাইড), হাফ সিনা (সিঙ্গেল সাইড) কিনে নিচ্ছেন।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: তাতো বটেই- আমাদের পরিবারের এমন কেউ আছেন আরা সারা বছর ই গরুরু মাংস খায়- শুধু গরুর মাংস। অন্য কিছুই না। সপ্তাহে একবার পাচ দশ কেজি রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেয় বাকি সাতদিন গরম করে খায়!!!
আমার আরেক আত্মীয় আছেন তারা সপ্তাহে সাত দিন বিরিয়ানি খেতেন। আমার একবন্ধু জীবনে কোন্দিন মাছ আর সবজি চেখে দেখত না -এখন দায় ঠেকে খায়।
তবে ইদানিং বাচ্চারা মুরগী এডিক্টেড হয়ে গেছে।

৩১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৭

কাছের-মানুষ বলেছেন:
মাছে ভিতর ইলিশ আমার খুবই প্রিয়, আজকেও হাতির সমান ইলিশের একটি পিস পেটে চালান করেছি! আমার গরুর মাংসের চেয়েও বেগুন পুরা ভর্তা বেশী ভাল লাগে, এখনো মাঝে মাঝে ফয়েল পেপারে বেগুন পেঁচিয়ে গ্যাসের চুলায় পুড়িয়ে ভর্তা বানিয়ে ফেলি! আপনার লেখা পরে ছোট বেলার কথা মনে পরে গেল, ইলিশের ভুনা, নোনা ইলিশ আর লেবু পাতা দিয়ে ইলিশ দিয়ে ঘাটার কথা মনে পরলে জিবে পানি এসে যায়!

ইন্ডিয়া থেকে গরুর আসা বন্ধ হবার পরেই মনে হয় খুব দ্রুত গরুর মাংসের দাম বেড়েছে!! আমার মনে হয় ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড থেকে ফ্রোজেন গরু মুরগী আমদানি করা দরকার, শুধু শুধু দেশি ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে এগুলো আমদানি বন্ধ করা কাজে কাজ নয় কারণ ব্যবসায়ীরা কখনো জনগণের কথা ভাবে না! এত দাম হলে মানুষ খাবে কিভাবে!

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: কি কন আপনার অবস্থা তো এক্কেবারে আমার মত!! ওইদেশে বসে আপনি রীতিমত ইলিশভাতে আছেন দেখছি।
বেগুনপোড়াভর্তা আমারও ভাল লাগে। তবে সাথে ধনিয়াপাতা ও শুকনামরিচ না হলে জমে না।
ঘরে পাতা নোনা ইলিশ আমার হেব্বি ফেভারিট ছিল। আহা কতদিন খাইনা।
ছেড়েছো তো অনেক কিছু পুরনো অভ্যেস....
গরুর মাংসের দাম বেড়ে ভালই হয়েছে। বাঙ্গালী নাহয় গরুর মাংস খেয়ে শহিদ হয়ে যেত।
আপনার পরামর্শ ঠিক থাকলেও এই জাতি বজ্জাত আছে। দেশী গরু আর মুরগী ছাড়া সহজে রুচে না।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন। কথা হবে সময়ে সময়ে।

৩২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:০০

আরোগ্য বলেছেন: গরুর মাংস আর ইলিশ মাছ দুটোই আমার খুব প্রিয়। গত সপ্তাহে একদিন ভুনা খিচুড়ি দিয়ে ইলিশ ভাজা, একদিন ইলিশের মাথা দিয়ে পুইশাক, একদিন সিম আলু দিয়ে ইলিশ, আজকে ইলিশের লেজ ভর্তা খেলাম। ইনশাআল্লাহ এই সপ্তাহে আবার সরষে ইলিশ খাওয়ার পরিকল্পনা আছে। আম্মু তো আজকেও নোনা ইলিশের কথা বলছিল। কিন্তু তার বাড়তি লবণ খাওয়া নিষেধ। এখন দেখি সুপার শপেও নোনা ইলিশ বিক্রি হয়, আমরা নোনা ইলিশ ঘরেই করি। ডিম ওয়ালা ইলিশের চেয়ে আমার তেলতেলে ইলিশ পছন্দ। :)
কোরবানি ঈদে পুরান ঢাকার ঘরে ঘরে সাদা কোরমা করা হয়, কোন শাহী ভাবে না শুধু মাংস সিদ্ধ করে প্রয়োজনীয় আস্ত মশলা দিয়ে আঁচ করে। উফ ছোট বেলায় আমার নানু কোরমা চুলায় দিলে সেটার ঘ্রাণ চারপাশ মো মো করতো।

আশির দশকের কথা কিছু বলতে পারবো না, যতদূর মনে আছে নব্বইয়ের দশকে গরুর মাংসের কেজি আশি টাকা ছিল।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: আরে বাপুরে সব ইলিশখোরের আড্ডা দেখি এখানে! ব্লগে এত্তো এত্তো ইলিশখোর ছিল আগে জানিনা।
সিম আলি দিলে ভরা তেলের ইলিশ তেমন স্বাদের!! প্রচুর কাঁচা লঙ্কার ঝালটা কিন্তু সাথে থাকা চাই। সরষে ইলিশ আমার বাসায় প্রতি হপ্তায় হয় এখন। কালো সরিষা কেন যেন বেশী তিতকুটে এখন- সাদা সরিষায় তিতে লাগেনা কিন্তু ঝাঁঝালো হয়না তেমন!
আমরাও নোনা ইলিশ ঘরে করতাম। আপনারা কি দক্ষিন বঙ্গের মানুষ নাকি বিক্রমপুরের?
সেইরকম কোরমা রাধত আমার ছোট চাচী- অল্প বয়সেই করোনার আগে তিনি মারা গেলেন! কোরমা সবাই রাধতে পারে না।
আশীর দশকের শুরুতে মাংসই কিনি নাই। আমি মনে হয় ঢাকাতে শুরু করেছি ৬০ টাকা কেজিতে।

দারুণ মন্তব্যে প্রতিমন্তব্য যেন শেষ ই হয় না মনে হয় গল্প করেই যাই...

৩৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সুশাসন না এলে, এই পরিমান আরো কমে যাবে। খাতায় থাকবে মাত্র!

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: শাসনই না তা সুশাসন আসবে কেমনে ভায়া ...

৩৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৫

আরোগ্য বলেছেন: প্রতিমন্তব্যের উত্তর দিতে আবার এলাম। না দক্ষিণবঙ্গ না বিক্রমপুর, আমি পুরান ঢাকার পাবলিক। যদিও দাদার বাড়ি ভোলা কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি। জন্ম ও বসবাস এই পুরান ঢাকাতেই। খাদকদের এলাকা। :P
বাই দ্য ওয়ে আপনারা কি ফুলুরি ( ডাল/ বেসনের বড়া) বেগুন দিয়ে ইলিশ খান? এটাও হেব্বি টেস্ট।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: যাই হোক ঘুরে ফিরে দক্ষিন বঙ্গের! খাবারে দাদার বাড়ির ছাপ থাকবে - কেননা আপনার মা আপনার বাবার পছন্দের রান্না দিয়ে তাঁর বিবাহিত জীবন শুরু করেছিল।
পুরান ঢাকা মুলত মাছ নয় মাংস, ভাজাপোড়া ভুনা খাদকের এরিয়া- বপ্রে বাপ খাইতেও পারে!!!
আমার নানা বাড়ি টাঙ্গাইল। দাদা বাড়ি গোপাল্গঞ্জ আমি গোয়ালন্দবাসী । নানা রেলওয়ের চাকুরিসুত্রে ভারতবর্ষের বিভিন্ন এলাকায় ছিলেন- আমাদের রান্নায় তাই অনেক বৈচিত্র এসেছে। আমার পছন্দ ডালের বড়ি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.