নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ \'গাজা\'~ আসেন একটু অন্যভাবে দেখি (২)

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৪২


(ই নিবন্ধটি যেভাবে যা লিখতে চেয়েছিলাম সেভাবে লিখতে পারলাম না। বড্ড বেশী নিরপেক্ষ/ নিষ্ঠুর দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু লেখার মাঝে বারবার ফিলিস্তিনি ক্ষতবিক্ষত নারী শিশু বৃদ্ধ আর নিরীহ মানুষের আর্তনাদ কানে ভেসে আসছিল- চোখের সামনে ভেসে উঠছিল তাদের ভীষন অসহায় রক্তাক্ত মুখ। খুব অসহায় বোধ করছিলাম! তাইতো শেষদিকে গিয়ে লেখাটা বেশ এলোমেলো হয়ে গেল!)
প্রসঙ্গ 'গাজা'~ আসেন একটু অন্যভাবে দেখি।
মরা ক'জনে ইতিহাস ঘেটে দেখেছি যে, এদেশে আসলে কত হাজার বা কত লক্ষ বিহারী উদ্বাস্তু প্রবেশ করেছিল? তাদের আসল সঙ্খ্যাটা কত ছিল? কেন আমাদের মত একটা গরীব ক্ষুদ্র দেশ শুধুমাত্র ধর্মীয় কারনে তাদের দায় গ্রহন করলাম। মানবতা ও আবেগের বশবর্তী হয়ে তাদের হায় বহন করে আসলে আখেরে আমরা কি পেয়েছি?
আজ ৭৬ বছর পরে এমন প্রশ্ন বর্তমান প্রজম আমাদের কাছে করতেই পারে। আমরা কি আসলে ভুল করেছিলাম? নিশ্চিতভাবে এটা ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক একটা সিদ্ধান্ত! পশ্চিম পাকিস্তান খুব সুক্ষভাবে পুরো দায়টা হামারা দেশ, জাত ধরম বলে আমাদের কাধে পুরো দায়টা চাপিয়ে দিয়েছে। প্রথমে উইকি থেকে খুব ছোট করে ডাটাটা নিয়ে আসি;
~ বাংলাদেশের বিহারী রিফিউজি ক্যাম্প! এটা একটা বৃহত্তম মুসলমানদের ক্যাম্প।

উইকিঃ তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের করা ষাটের দশকের শেষাংশে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, পূর্ব পাকিস্তানে আসা উর্দুভাষী বিহারীর সংখ্যা ২০ লক্ষ। পূর্ব পাকিস্তানের স্থানীয় মানুষের ভাষা ছিল বাংলা। সাংস্কৃতিক ভিন্নতাও ছিল। ফলে সব মিলিয়ে এই কয়েক লক্ষ লোকের আগমন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালীদের কাছে আগন্তুকের মত ছিল। বিহারীরা জাতিগত উর্দুভাষী ছিলেন এবং মূলত পাকিস্তানপন্থী অবস্থান বজায় রাখেন, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীকে সমর্থন করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বাংলা ভাষা আন্দোলনের বিরোধিতা করেন।
২০ লাখ!! ভাবা যায়!!! এখনো এদেশে কাগজে কলমে ২.৫০ লাখের উপরে বিহারী উদ্বাস্তু আছে। বাকিগুলো তাহলে কই গেল? কিছু পাকিস্তানে, কিছু অন্যদেশে আর কিছু মিশে গেছে মুল স্রোতে। এদের কাছ থেকে আমরা আদপে কি পেয়েছি?
কিছুই না। উল্টো এরা আমাদের ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতার বিরোধী ছিল। এখনো আপনি মিরপুর আর মোহাম্মদপুর ক্যাম্পের আশেপাশে একজন বিহারির সাথে উচুগলায় কথা বলার সাহস পাবেন না। একজন বিহারী ভিক্ষুককে ধমক দিয়ে দেখবেন- কি গালির তুবড়ি ছোটে।
এদেরকে তাদের স্বদেশ নেয়নি- কোন মুসলিম বিশ্ব কোন দিনও এদের নিয়ে কথা বলেনি। সারা পৃথিবীর কোন মুসলমান কোন জিহাদী জোশ দেখায়নি যার যারা মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে ভুলিয়ে ভালিয়ে এদের আমাদের জিম্মায় রেখেছিল তারাও ভুলে গেছে।
পৃথিবীর এরা হইল কাঙ্গালী আর মিসকিন মুসলিম।
***
এরপর ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ১৯৭১ আমরা নিজেরাই উদ্বাস্তু হলাম! বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রথম মনে হয় কোন উদ্বাস্তু এত দ্রুত তার স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে পেরেছিল। কিছু ওখানে থেকে গেছে সত্য তবে সিঙ্ঘভাগ ফিরে এসেছে।
তবে বিহারিদের এমন অত্যাচারের পরেও আমাদের জ্ঞান চক্ষু উন্মোচন হইল না। আমরা ফের আরেকদল ভুখা নাঙ্গা কাঙ্গাল মিসকিন বিতারিত ধর্মের ভাইবোনদের দুঃখে আকুল হয়ে কেদে কেটে তাদের আশ্রয় দিলাম। নিজের পেটে ভাত নাই পরনে কাপড় নাই। আমরা ১২/১৫ লাখ লোকরে আগপিছু না ভেবেই মানবতা ও ধর্মীয় কারনে আশ্রয় দেই। কিন্তু এখানেও সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ নিরব।

~ বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় রিফিউজিদের ক্যাম্প। এটাও মুসলমানদের ক্যাম্প।

তাদের কেউ জিহাদ করতে আসে না। আমাদের বাঙ্গালী যেই সকল ভাইয়েরা সিরিয়া ইরাক আফগান আর ফিলিস্তিনে জান দেবার জন্য উন্মুখ হয়ে দিন রাত ধ্যান করেন তারে কেউ মায়ানমারে যেতে চান না। এই বারো আর আগের বিশ লাখ মুমিন মুসলিম বান্দার জন্য বশ্ব মুসলিম উম্মার কোন ভাবনা চিন্তা নাই। সবার সব ভাবনা শুধু আরবীয়দের নিয়ে।
যখন একজন রোহিঙ্গা বাচ্চাকে জলন্ত আগুনে ছুড়ে ফেলা হয়, যখন গর্ভবতী রোহিঙ্গা নারীর পেট কেটে বাচ্চা বের করে উল্লাস করা হয়। যখন রোহিঙ্গা যুবকদের পিঠমোড়া করে বেধে উবু করে বসিয়ে আগুন দিউএ পুড়িয়ে মারা হয় তখন এসব মুসলিমদের জিহাদী জোশ আসে না।
কেন? এর কোন উত্তর আছে?
আরবীয়রা হইল নবীর খাস পেয়ারের বান্দা। তাদের চেহারাইয় মাশাল্লাহ চমৎকার নুরানি জেল্লাহ। আরবীয় ললনারা যখন আরবীয় নারীদের সাক্ষাৎ হুরপরী মনে হয়। জান বাঁচাইলে অদের বাঁচাইতে হবে। এইসব আঙ্গালী কাঙ্গালী মুসলমানদের বাঁচাইলে হবে। আজাইর‍্যা নিজের জান নিয়া টানাটানি ক্যান।
****
সারা ফিলিস্তিন জুড়ে ঘুরে বেড়ায় সব জাঁদরেল আরবীয় ফটোগ্রাফার! সবার সপ্ন থাকে দুর্দান্ত একটা স্ন্যাপ নেবার। তবে সেই বিশেষ শটটি যদি একটা শিশুর হয় তাহলে সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলবে- সে নাম কামাবে। ফটো সাংবাদিক হিসেবে এলিটদের কাতারে জায়গা হবে। বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ন এলাকা সেটা। চারিদিকে থিক থিক করছে শিশুরা। সবগুলো যেন দেবদুতের মত চেহারা। এমন চেহারার রক্তমাখা ভয়ার্ত বেদনার্ত চেহারা মিডিয়ায় ছাপা মাত্র পাঠক গিলতে থাকে। অল্প একটু জায়গায় কত লক্ষ মানুষ। ফিলিস্তিনিদের উপর নিয়মিত আক্রমন করে চলছে ইসরায়েল। প্রায় প্রতিদিনই ছোট বড় আক্রমনের খবর মেলে। আর তখন সুযোগ আসে ফটোগ্রাফির। যুবক ছেলের লাশ নিয়ে মায়ের আর্তনাত। সতীর্থদের লাশ নিয়ে উন্মত্ত্ব মিছিল। বাবার কোলে শিশুর লাশ। হাসপাতালে আহত শিশু । ধ্বসে পড়া ভগ্নস্তুপে কান্নারত আহত শিশু। আহা কত শত তাদের সাবজেক্ট। ওরা সব নিঃশ্বংস মানুষগুলো ঘুরে বেড়ায় পাড়া মহল্লা জুড়ে তাদের প্রয়োজন সাবজেক্ট। ওখানকার নেতাদের প্রয়োজন এদের। তারা এদের তোয়াজ করে, এদের কল্যানেই সারা বিশ্বের মানুষ জানছে কি ভয়ঙ্কর সবা অত্যাচারই না হচ্ছে এখানে।

~ গাজা স্ট্রিপ

১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী যুবকেরা ঘুরে বেড়ায় জোটবদ্ধ হয়ে। পড়াশুনা করলে আছে না করলে নেই। কাজ নেই দায়িত্ব নেই। জীবনের শুরু এক উন্মুক্ত জেলখানায়। পৃথিবীতে এমন জেলখানা আর একটাও নেই। তাই এদের জীবন যাপন আমাদের কল্পনা করাটা বেশ জটিল! পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ন এই জায়গার উন্মুক্ত প্রতিটি ইঞ্চি দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা ইসারাইলের নজর দারিতে থাকে। এর আকাশে সারাক্ষন নজরদারি বেড়ায় শত শত গোয়েন্দা ড্রোন। কোথাও একটু বেতা- বেচাল দেখলেই মুহুর্তেই উড়ে আসে সর্বাধুনিক হেলিকপ্টার আর স্থলে সাজোয়াযান। ভয়ঙ্কর সব মারনাস্ত্র আর হাইটেক যন্ত্রপাতি হাতে বিশেষ পোশাকে সজ্জিত হয়ে ওরা হামলে পড়ে অতর্কিতে কোন পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই যেকোন সময় যেকোন বাড়িতে, মসজিদে,ক্যাম্পে, স্কুলে। তাদের অস্ত্র পোশাক যন্ত্রপাতি এতটাই উঁচু টেকনোলজিক্যাল যে তা বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে শক্তিধর দেশের সর্বাধুনিক সামরিক বাহিনীরও কল্পনারও অতীত। ভাগ্যের কি পরিহাস কিছু নিরীহ প্রায় নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে ব্যাবহৃত হচ্ছে সেগুলো।
যে কোন ঘর স্কুল মিশন মসজিদ ক্যাম্প-এর দরজা লাথি মেরে গুলি করে কিংবা বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়ে ভিতর থেকে টেনে হিচড়ে বের করে নিয়ে যাচ্ছে সন্দেহ ভাজনদের। নারীরা একহাতে বোরকা সামলাতে সামলাতে ওদের অভিসম্পাত দিচ্ছে আর চড় থাপ্পড় মেরে আচড়ে কামড়ে নিজের প্রানপ্রিয় মানুষটাকে ছাড়ানোর চাষ্টা করে। যুবকেরা এদিক ওদিক ছুটে পালায়। আড়াল থেকে কেউ ঢিল ছোড়ে পটকা ফোটায়- খিস্তি খেউড় করে।
এই ওদের জীবন। বড় হয়েছে হত্যা মৃত্যু আর নির্মমতা দেখে। মানুষ আর পশুর রক্তের মধ্যে পার্থক্য জানে না। প্রায়শই ঘুম ভাঙ্গে ভারি অস্ত্র না হয় বোমাবর্ষনের শব্দে। তিন বছর বয়স থেকে ঠিল ছোড়া শিখেছে এরা। এইসব অলি-গলিতে ইসরাইলি সৈনিকদের দেখলেই খিস্তি খেউড় করে। সুযোগ পেলে আড়াল তেকে ঢিল ছোড়ে। কাউকে কখনো মোকা মত একা পেলে তার জান তামা তামা করে দেয়। এরকম বহুবার ঘটেছে দলছুট ইহুদী বা ইসরাইলী সৈনিককে বাগে পেয়ে ফিলিস্তিনি ছেলেরে কিভাবে নাস্তানাবুদ করেছে তার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে মুহুর্তে। সেই নিয়ে আড্ডা হয়েছে মজা হয়েছে গাল গল্প হয়েছে বহুদিন। আর সেটা নারী সৈনিক হলেতো কথাই নেই। এই প্রায় বন্দী জীবনে একটু আধটু মজা নিয়ে আসে এইসব খবরই। ওদের নিজেদের মধ্যে অনেক ধরনের সঙ্কেত আছে- কখনো শিশ দিয়ে, কখনো মুখ দিয়ে অন্য কোন শব্দ করে কখনো শরিরী অঙ্গ ভঙ্গীতে প্রকাশ করে; মুহুর্তে পুরো তল্লাটের সবাই বুঝে ফেলে কি হচ্ছে বা হবে। যদিও এই সঙ্কেতগুলো নিয়মিত পাল্টায়। সাথের কোন সঙ্গী সাথে ইসরাইলানদের হাতে ধরা পড়ে গেলে ওরা রাতারাতি সব সঙ্কেত পালটে ফেলে। অবসরে থেকে ওদের মাথায় নতুন নতুন বুদ্ধি চাপে। কেউ কেউ নতুন করে দেশ নিয়ে ভেবে। কেউ মনে করে তাদের অগ্রজদের ভাবনায় ভুল ছিল।
ওদিকে সারাবিশ্বের মুসলিম সন্ত্রাশি সংগঠনগুলো টোপ নিয়ে বসে থাকে; আই এস আই, তালেবান, হিজবুল্লাহ, হুদি। তাদের প্রয়োজন এমন বেকার, বুকে আগুন নিয়ে বসে থাকা,ভয় ডর হীন, নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে যে কোন কাজে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য উদ্গ্রীব, বাইরের পৃথিবীকে খুব কম জানা, বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বাহিনীর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা এরকম যুবশক্তি আর কোথায় খুজে পাবে তারা। তাইতো এরা যেখানেই আছে সেখানেই থাক – পুড়ে জ্বলে খাটি সোনা হোক!
ছোট ছোট উঠতি বয়সের সেই দলগুলোর সবচেয়ে একরোখা দুর্ধর্ষ, প্রতিভাবান ছেলেটাকে টার্গেট করে অফার আসতে থাকে।
হামাস এদের আগেই টার্গেট করে না। অন্যেরা করে। পি এল ওর কিছু অংশ সহ অনেক ছোট বড় সংগঠন আছে যারা ইসরাইলীদের অর্থদ্বারা মদদপুষ্ট! এরা ওদের এজেন্ডা মাফিক কাজ করে। এদের কাজ মোটামুটি অন্য দলের খাস কর্মী হয়ে ঢুকে ভিতরের খবর বের করে আনা। পুরো ফিলিস্তিন জুড়ে কেউ কাউকে বিশ্বাস আর আস্থার বড় অভাব। কে কখন ভোল পাল্টায় কোন ফাদে পড়ে বিকিয়ে যায় বলা মুশকিল- ইসরাইলের দুর্ধর্ষ গোয়েন্দারা এমন সব ফাঁদ পাতে, সে ফাদে সহজ সরল ফিলিস্তিনিরা আটকে যায়। এমন সে ভয়ঙ্কর ফাঁদ আর বিশাল প্রলোভন তাদের তখন আর উপায় থাকেনা বিশ্বাসঘাতকতা করা ছাড়া।
যারা ইসরালিদের পক্ষে কাজ করে তাদের বিপদে আপদে ইসরাইলীরা সহযোগীতা করে। কোনমতে বেঁচে নিজের অবস্থানের খবর জানান দিতে পারলে তাকে উদ্ধারের জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে। এটা তাদের একটা ট্রিক- আস্থা আর বিশ্বাস অর্জনের।
মুসলিম সমাজে বিশ্বাস ঘাতকতার শাস্তি সবচাইতে নির্মম। এর কোন ক্ষমা নেই। বিশ্বাসঘাতক হিসেবে যে একবার ‘মার্কিং’ হয় কিছু মানুষের জীবনের বিনিময়ে হলেও তাকে হত্যা নির্ধারিত হয়ে পড়ে। সেজন্য ইসরাইলী গোয়েন্দারা বেশিরভাগক্ষেত্রে তাদের পরিচয় লুকিয়ে ফেলে। এটা বিশ্বাস করা কঠিন তবে ‘মোসাদ’ পারেনা এমন কোন কাজই সম্ভবত নেই। রাতারাতি তারা তাদেরকে তাদের যে কোন বন্ধু রাষ্ট্রের নাগরিক করে গ্রীন কার্ড ভিসা দিয়ে অবিশ্বাস্য অকল্পনীয় সময়ের মধ্যে একেবারে ভিন্ন পরিচয়ে তাকে পাঠিয়ে দেয়- সাথে তার পরিবারকেও কখনো।
এমন নজরদারি আর গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে ফিলিস্তিনী যুবকেরা তবে ঙ্গস্ত্র চালনার প্রশিক্ষন নেয় কিভাবে। হালকা অস্ত্র পুরো গাজা আর পশ্চিম তীরেই ডাল ভাত। যে কেউ চাইলেই যোগার করতে পারে। ভারী অস্ত্রে জন্য বর্ডার ক্রস করতে হয়- আর ভয়াবহ একটা গেইম চলে সেখানে। ইসরালীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে তারা বর্ডার ক্রস করে???
মনে রাখতে হবে পৃথিবীর সবচাইতে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তাবেষ্টিত কারাগার থেকেও কয়েদী পালানোর রেকর্ড আছে। গাজার একপাশের বর্ডার কন্ট্রোল করে ‘মিশর’। আর ‘হামাস’ মুলত মিশোরীয় উগ্রবাদী সংগঠন- এটা ফিলিস্তিনি সংগঠন নয়। ইসরাইলীদের হুমকি ধামকির জন্য উপর দিয়ে অনেক কড়কড়ি হলেও নীচ দিয়ে অনেক ফাঁক ফোঁকর আছে। ইসরালীদের এত জনবল ও ক্ষমতা নাই যে গাজার প্রতিটা বাড়ি, স্কুল মসজিদ আর গ্যারেজের বেসমেন্ট একযোগে চেক করা্র। গাজায় ৫ লক্ষ একেবারে দুধের শিশু বাদ দিলে- ১৫/১৬ লক্ষ মানুষের হাতে যদি কোন অস্ত্র ছাড়াও শুধু ৩০/৩২ লক্ষ পা্থর থাকে তবে সেটা উপেক্ষা করার মত ব্যাপার নয়। এছাড়া গাজার আছে বিশাল সুমুদ্রতট। সেখানে প্রচুর ফিলিস্তিনি জেলে পারমিট নিয়ে মাছ ধরে। সে পথ দিয়ে যেমন ইসরাইলানরা যেমন গোপনে মিশন পরিচালনা করে তেমনি ফিলিস্তিনিরাও অনেক গোপন মিশনে যায় আসে। এতে করে অনেকে ধরা পরে/ মারা যায়, পঙ্গু হয় বিস্তর।
***
সরাইলানরা সবচাইতে ভয়ঙ্কর ও নোংড়া খেলা খেলে সম্ভবত নারী ও বয়োঃবৃদ্ধ সম্মানিত ব্যক্তিদের নিয়ে যাদের কথা সবাই মানে শ্রদ্ধা করে সম্মান করে। টার্গেট কে সবচেয়ে প্রভাবশালী -কার কথা তরুনেরা সবচেয়ে বেশী শোনে এমন কাউকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে তারা
প্রথমে বেশ সন্মানের সাথে ভেতরের খবর জানতে চায়; এধরনের বৃদ্ধরা জীবনে বহু অত্যাচার সয়েছে, বহু মৃত্যু দেখেছে। এরা অকুতোভয়! কোন লোভ অত্যাচার এদের টলাতে পারেনা। ধীরে ধীরে এদেরকে মানসিক নির্যাতন চালানো হয়- ইসরাইলান প্রশাসন ভাল করেই জানে শারিরিক অত্যাচার করে কোন লাভ নেই-উল্টো ইনি মারা গেলে তারা বিপদে পড়বে। ফুঁসে উঠবে পুরো ফিলিস্তিন।
কোন খবর না পেলে তারা কোন এক রাতে অতি সম্মানে তাকে তার বাসার দরজায় ছেড়ে দিয়ে আসে। খেলাটা শুরু হয় তার পরে। ফিলিস্তিনিরা তাকে অবিশ্বাস করা শুরু করে। ভাবে কেন তাকে এত সমাদর করে ছেড়ে দিল? নিশ্চয়ই সে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বৃদ্ধ দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় জানে যে নিজ কওমের হাতেই তার মৃত্যু আসন্ন। কাউকে কিছুই বুঝিয়ে লাভ নেই। সে নিরবে ধর্ম-কর্মের মাঝে ডুবে থাকে। পরিবারের সবাই তাকে এড়িয়ে চলে। একদিন কোন এক আততায়ী তাকে রাস্তায় গুলি করে ফেলে- বিশ্বাসঘাতকের একটা তকমা লাগিয়ে রেখে চলে যায়।যার মৃত্যুতে লাখো লোকের আর্তনাত আর ক্রন্দনের মিছিল হতে পারত- সে তখন হাজার মানুষের ঘৃনা নিয়ে কোন মতে কবরে শায়িত হয়ে বছর না ঘুরতেই বিস্মৃত হয়ে যায়।
(*নারী ও শিশুদের কথা পরের পর্বে)

(হামাসে যেমন আছে শত শত সত্যিকারে দেশপ্রেমিক যারা দেশমাতৃকার জন্য নিজের তুচ্ছ জীবন অবলীলায় উৎস্বর্গ করে দিতে রাজী -ঠিক তেমনি আছে স্বার্থান্বেষি, বিশ্বাসঘাতক, লোভী মানুষেরা। আসলে এটা বোঝা মুশকিল হামাসের এই আক্রমনে কোন দলের মুল ইন্ধন ছিল। এই আগুনে ঝাঁপ দিয়েছে প্রথম পক্ষ সেটাতে সন্দেহ নেই কিন্তু মুল ঘুটির চাল দিয়েছে কারা??)


অ।ট। এ পর্বটা আসলে আরেকটু সাজিয়ে গুজিয়ে তথ্য যোগ করে দেবার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু গতকাল রাতে শাহ আজিজ ভাই-এর পোস্ট 'শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ২৬ ঘণ্টায় ১৬০ টি পোস্ট ( রি পোস্ট )' দেখে কি মনে করে তাড়াহুড়ো করে পোস্টটি করেছি। তেই অনেক ভুল-ভ্রান্তি রয়ে গেল।

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:১০

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: রোহিঙ্গারা শরনার্থী শিবিরে বসবাস করছে। শরনার্থী শিবিরে মানুষের জীবন স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হয়না, হতে পারে না, হবেও না। তারা যে অপরাধ প্রবন হবে, এটিই স্বাভাবিক।

বাংলাদেশিদের দুটো পথ খোলা আছে।
/এক রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। কারন মায়ানমার রোহিঙ্গাদের কোন দিনও ফেরত নেবে না।
/রাজনৈতিক ভাবে একটা স্বাধীন রাখাইন অঞ্চলের স্বপ্ন রোহিঙ্গাদের মগজে ঢুকাতে হবে। সশস্ত্র সংগ্রামের অংশ হিসাবে রোহিঙ্গাদের ট্রেনিং দিতে হবে যেমনটা ভারত আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে দিয়েছিল। মন্দ কি? যদি মায়ানমার আর বাংলাদেশের মাঝে যদি একটা বাফার স্টেট প্রতিষ্ঠা করা যায়? সবার সাথে বন্ধুত্ব কারও সাথে শত্রুতা নয়-এই সব সেকেলে অচল চিন্তা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। পররাষ্ট্রনীতিতে আমাদের এককভাবে সিস্ধান্ত নেয়ার সাহস অর্জন করতে হবে।

যেহেতু রোহিঙ্গাদের আমরা গ্রহন করেছি, আমরা এখন মদিনার আনসারের ভূমিকায়, তাই এখন এ সমস্যাকে কিভাবে সম্ভবনায় রূপান্তরিত করা যায় সে চিন্তা করতে হবে।

(আরবদের কথা চিন্তা করে লাভ নেই। আমাদের দেশ থেকে যাওয়া গৃহপরিচারীকাদের ওপর তারা যেভাবে ঝাপিয়ে পড়ে, তাতে বোঝা যায় কেন আরব দেশে এত নবী রাসুলের আবির্ভাব হয়েছিল। আরবরা এখনও মানুষ হইল না। আফসুস)।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: পৃথিবীর খুব কম শরনার্থীদেরই ফিরে যাবার রেকর্ড আছে।
শরনার্থী গ্রহন করার আগে চিন্তা করতে হবে -প্রথমে সবাই আহা উহু করলেও আখেরে তাদের দায়ভার যে দেশ শরনার্থীদের গ্রহন করে তাকেই নিতে হয়।
আপনার সুদীর্গ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আরবীয়দের কাজ-কর্ম নিয়ে পরের কোন এক পর্বে লিখার ইচ্ছে রইল। ভাল থাকবেন।

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ফিলিস্তিনকে কিভাবে অর্থ সাহায্য করা যেতে পারে?

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: কত টাকা পাঠাবেন?

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:১৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: পুরোটা পড়লাম, ভাল লিখেছেন। কিছুটা বড় মন্তব্য করলাম এবং কিছুটা অপ্রাসঙ্গিকও হতে পারে।

অভিবাসী এবং পরবর্তীতে শরণার্থী সংখ্যা আমাদের উপমহাদেশেও প্রকট এবং এটার স্থায়ী কোন সমাধান নেই। বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক বিহারী আছে এবং অনেকে মূল ধারায় মিশে গেছে, আমার মতে যাওয়াই উচিৎ নয়ত এটা দেশের উপর বোঝা হিসেবে দাঁড়াবে, তবে আমাদের দেশের অন্যান্য বড় সমস্যার মত এটা আমরা বাংলাদেশিরা আর খুব বড় সমস্যা হিসেবে দেখছি না ওভাল-ওল। আমার মতে রোহিঙ্গা সমস্যারও একটি সমাধান হবে, তবে তারা আরেকটি ইসরাইল হবে না বরং আরেকটি ফিলিস্তিনি হবে, ইজরাইল হতে হলে বুদ্ধিমান হতে হয়। পাকিস্তানে কিন্তু বাঙ্গালী কম নয়, ১৯৯৫ সালের গণনা অনুসারে পাকিস্তানে ২৫ লক্ষ বাঙ্গালী বসবাস করে, বর্তমানে কত সেটা সহজেই অনুমান করা যায়! তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে পাকিস্তানের জন্য হুমকি সরূপ এবং বাংলাদেশে পাঠানো কথা বলাতে বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক অবনতি হয় এবং স্বয়ং পাকিস্তানের বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠী এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। তবে সেখানকার বাঙ্গালীরা কার্ড পায়না, পাসপোর্ট বানাতে পারে না এবং এসএসসি পরীক্ষাও দিতে পারে না। আমি তাদের সাক্ষাৎকার দেখেছি তাই সেই জনগোষ্ঠী অশিক্ষিত এবং ছোটোখাটো কাজ করে খায়। তবে বাংলাদেশে বিহারীরা বাঙ্গালীদের মতই পড়াশুনা সুযোগ এবং নাগরিকত্ব পায়, পাসপোর্ট করতে পারে (আমি সম্প্রতি তাদের ইন্টার্ভিউতে দেখছিলাম)। এটা আমাদের দেশের জন্য ভাল কারণ অশিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়।

আমাদের দেশে সব থেকে আলোচিত বিষয় হিন্দু জনসংখ্যা কমা নিয়ে। আমাদের দেশে হিন্দু জনসংখ্যা ১ কোটি ৩ লাখ এর মত, শতকরা হিসেবে ১৩ শতাংশ এর মত ১৯৭৪ সালের রিপোর্ট অনুসারে তবে বর্তমানে সর্বশেষ আদমশুমারি অনুসারে হিন্দু জনসংখ্যা আছে ১ কোটি ২৭ লক্ষ্য সংখ্যা অনুসারে হিন্দু জনসংখ্যা বেড়েছে তবে শতকরা হিসেবে কমেছে, বর্তমানে হিন্দু ৮ শতাংশের মত। শতকরা হিসেবে কমার কারণ মুসলিমদের ফার্টিলিটি হার বেশী হিন্দুদের তুলনায় এবং শিশু মৃত্যুহার কম হিন্দুদের তুলনায় [সূত্র]। তাছাড়া অনেক হিন্দু দেশে ছেড়ে ভারতে পারি জমিয়েছে, এর কারণ যে শুধু মুসলিমদের অত্যাচার ব্যাপারটা সেরকম নয় (অত্যাচারিত যে হয়নি সেটা আমি অস্বীকার করছি না) কারণ ভারত হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি দেশ এবং অর্থিনিতির হিসেবে বাংলাদেশ থেকে ভাল অবস্থানে ছিল তাই বাংলাদেশের হিন্দুদের ভারতে যাবার একটি প্রবণতা এমনিতেই ছিল স্বাভাবিক নিয়মেই, তাছাড়া হিন্দুরা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা ভারতকে বেশী নিরাপদ ভেবেছে। তবে এই সময়ে বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যার হার মোটামুটি একই আছে, কারণ এরা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যাবার চেয়ে বাংলাদেশে থাকাই নিরাপদ ভেবে এসেছে। যাইহোক এর উল্টোটা দেখি ভারতে মুসলিমদের ক্ষেত্রে সেখানে মুসলিমরা সাম্প্রদায়িক এবং হামলার স্বীকার হবার পরও ভারতে ছাড়েনি এর কারণ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান দু-দেশই ভারতের চেয়ে অর্থনীতিক ভাবে দুর্বল ছিল তাই সেখানকার মুসলিমরা ভারতে থাকাই শ্রেয় মনে করেছে ঠিক বাংলাদেশের খৃষ্টান এবং বৌদ্ধদের মতন।

তবে আমার বিশ্বাস হিন্দু জনসংখ্যা বাংলাদেশ থেকে এখন আর তেমন কমবে না কারণ ভারত ইমিগ্রেশন আইন হিন্দুদের জন্যও কঠিন করছে এবং কাউকে সহজে ঢুকতে দিবে না। আমি নিজেই এক-সময় শুনতাম হিন্দুরা ভারতে গেলে তাদের সেখানে সহজেই বসবাসের জন্য থাকার অনুমতি পায়। তবে এখন ভারত তাদের আর জায়গা দিবে না, কারণ বাংলাদেশী নিয়ে তারাও আরেক ঝামেলায় আছে, ৭১ এর সময় প্রচুর বাংলাদেশী ভারতে গিয়েছি, সেখানে যেমন হিন্দু আছে ঠিক তেমনি অল্প কিছু মুসলিমও গিয়েছিল। মোদিজির হিসেবে কয়েক কোটির উপরে যদিও বাংলাদেশীরা বরাবরই অস্বীকার করা হয়েছে। হিন্দুরা সেখানে গিয়ে যে খুব ভাল আছে তা নয়। মোদিজি ক্ষমতায় এসে কার্ড করে এদের শনাক্ত করে মনে হয় রিফিউজি ক্যাম্পে রাখার একটি প্রস্তাবনা কথা পড়েছিলাম পত্রিকায় যদিও বাংলাদেশ এবং সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতায় তা আর এগোয়নি তাই বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হিন্দুদের সেকেন্ড জেনারেশন আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছে, তবে তাদের হতাশা তাদের বাংলাদেশ বিরোধী করেছে এবং সাধারণ ভারতীয় চেয়ে তারা বেশী ভারতীয় করেছে এবং আরও বেশী মোদিজির ভক্ত।

আমরা যেমন রোহিঙ্গা নিয়ে আছি ঝামেলায়, এটা একসময় বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে ঠিক তেমনি পাকিস্তান আছে বাংলাভাষী এবং কয়েক মিলিয়ন আফগান শরণার্থী ঝামেলায়। ভারতের ওয়েস্টবেঙ্গল ত্রিপুরা ইত্যাদি এলাকায় আছে বাংলাদেশ থেক আগত বাংলাভাষী নিয়ে তাছাড়া তাদের নিউজ পেপারে পড়েছিল মুসলিম পপুলেশন বিশাল জনগোষ্ঠী ১৪ শতাংশে মত এবং ২০৫০ এ হবে ১৮ শতাংশের মত এবং এই রেট কন্টিনিউ করলে ভবিষ্যতে ভারত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হবে। আমাদের পুরো উপমহাদেশ আছে ঝামেলায়, এখানে সমাজ ব্যবস্থা সাম্প্রদায়িকতা এবং ইকুয়াল সমাজ ব্যবস্থা না হলে একটি জটিল সমস্যা ধারণ করবে।


আরব দেশগুলো ফিলিস্তিনের সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করছে আমার মতে এই সমস্যার সমাধান এত তাড়াতাড়ি হবে না অন্তত হামাস থাকলেতো নয়ই। ইজরাইল এবং ফিলিস্তিনের জন্য দুটো আলাদা দেশ হবে এটা আজ নয়ত কাল। হামাসের জন্য ফিলিস্তিনের মানুষগুলোর কষ্টে আছে, ইজরাইল এরকম এই সুযোগের অপেক্ষায়ই ছিল। আমরা বাংলাদেশীরা বেশী আবেগী তাই আমাদের মনস্তত্ত্ব ফিলিস্তিনদের জন্য যেভাবে কাজ করে রোহিঙ্গাদের জন্য সেভাবে কাজ করে না। তবে কোন জনগোষ্ঠীকে এভাবে নির্মূল করা দেখতে খারাপ লাগে, রাজনৈতিকভাবে সমস্যাগুলোর সমাধান হওয়া উচিৎ।


১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সুদীর্ঘ তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক অজানা বিষয় জানা হল।এমন তথ্যবহুল মন্তব্য পোস্টকে অনেক সমৃদ্ধ করে নিশ্চিতভাবে।

আসলে হামাস তো একটা চালের ঘুটি মাত্র এর পেছনের কারিগরদের আমরা দেখতে পাই না। কোথায় কিভাবে কে চাল চালছে আমরা জানি না।আমাদের যতটুকু দেখানো হয় জানানো হয় তাই ই শুধু আমরা দেখি আর জানি।
লক্ষ লক্ষ নারী শিশু পুরুষ জানে না তারা কি জন্য প্রান দিচ্ছে!!!
তারা হয়তো ভাবছে এটা ধর্মের জন্য কিংবা দেশের জন্য- কিন্তু আসলে সত্যিকারে তা নয় মোটেও- এটা শুধুমাত্র একটা মুলো

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:০৬

অহরহ বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: ফিলিস্তিনকে কিভাবে অর্থ সাহায্য করা যেতে পারে?


আমার বিকাশ একাউন্টে পাঠিয়ে দিন........ ভাইয়া। হা হা হা ......

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: সেইজন্যই টাকার অঙ্কটা জামতে চাইলাম- বিকাশে একবারে এত টাকা আসবে না মনে হয়। ব্যাঙ্ক একাউন্ট নম্বর দেন

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: নিরস্ত্র ঠিক আছে তবে নিরীহ না।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: পৃথিবীতে কি নিরীহ মানুষ আছে কামাল ভাই?

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৩১

ঢাবিয়ান বলেছেন: জিওনিস্টদের কাছে এই ভুমি যেমন গুরুত্বপুর্ন , তেমনি গুরুত্বপুর্ন প্রতিটা ইহুদির জীবন। কাজেই ফিলিস্তিনি যুবকদের অস্ত্র বলতে গুলতি, ইটের টুকরাই কেবল সম্বল। উন্মুক্ত এই কারাগারে অস্ত্র প্রবেশের কোন রাস্তাই নাই। স্থলপথে ও জলপথ দিয়ে কোনভাবেই নেই। উন্মুক্ত কারাগার গাজায় হামাস এত অস্ত্র কোথায় পেল এই প্রশ্ন জাদরেল সব মিডিয়ার বিদেশী সাংবাদিকদেরও। সিআইএ এই বিষয়ে বলছে ইরান পাঠিয়েছে এসব অস্ত্র , মিশর ও গাজার নীচের টানেল দিয়ে!! কিন্ত ইরান এটা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং মিশরতো অবস্যই। মিশরে এখন আমেরিকার পুতুল সরকার ক্ষমতায়। তারা বলেছে যেসব টানেল আগে ছিল তা বহুবছর আগেই ধসিয়ে দেয়া হয়েছে মোসাদের সহযোগিতায়। মিশর খুব ভালকরেই জানে ইজরাইলের শক্তিমত্তা।

ইতিহাস হয়ত অনেকেরই জানা নেই। তাই আরেকবার এখানে উল্লেখ করছি যেটা আরেকটা পোস্টেও লিখেছিলাম। ১৯৪৭ সালে মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটিশিরা যে ইজরাইল রাস্ট্র গঠন করে দিয়েছিল তার আয়তন ছিল খুবই কম। ১৯৬৭ সালের ইজরাইলের বিরুদ্ধে আরবদের যুদ্ধের কথা পড়েছেন কি ? মধ্যপ্রাচ্যে উড়ে এসে জুরে বসা ইজরাইলিদের উৎখাত করতে ইজরাইলের সীমান্তবর্তী দেশ মিশর , জর্দান ও সিরিয়া এক যুদ্ধে জড়ায়। মাত্র ছয় দিনের সে যুদ্ধে পরাস্ত হয় আরবরা। এই যুদ্ধ সম্পর্কে বলা হয় যে, এমন সব সারপ্রাইজ আকাশ ও স্থল আক্রমন হয়েছিল যে, কোন দিক দিয়ে কিভাবে সব ধংশ হয়ে গেল তা কিছুই বুঝতে পারেনি আরবরা। সেই ৬৭ সালেই এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল ইজরাইল। যাই হোক মাত্র ছয় দিন স্থায়ী এই যুদ্ধে ইজরাইলের যুদ্ধ জয়ের প্রাপ্তি ছিল ইজরাইলের আয়তন এক নিমেশে বেড়ে যাওয়া। মিশরের কাছ কাছ থেকে তারা ছিনিয়ে নেয় Sinai Peninsula as well as the Egyptian-occupied Gaza Strip , সিরিয়া থেকে Golan Heights এবং জর্দান থেকে West Bank (including East Jerusalem) ( সুত্র ঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Six-Day_War) । ইজরাইলের শক্তিমত্তা বুঝতে পেরেই পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ইজ্রাইলের মিত্র হয়ে যায়। তারা খুব ভাল করেই জানে যে , বিরুদ্ধে গেলেই যে কোন মুহুর্তে পুরো দেশটাই হারাতে হবে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: খালেক বাঙালিকে বলতে শুনলাম জেহাদি জোসে যে গাঁজা স্ট্রিপের ৩০ মিটার নিচে ৫০০ কিলোমিটার নাকি টানেল আছে। সেই টানেলে নাকি আরেক শহর! ~এইরকম বাপের বেটা সাদ্দাম গাদ্দাফি কত গল্প শুনলাম তারপরে সব দেখা গেল ফকফকা!!!
আবার ইসরাইলি গোয়েন্দাদের বরাতে জানলাম যে হামাসের কাছে নাকি ছোট বড় সব মিলিয়ে লাখের উপরে রকেট আছে তার মধ্যে কয়েকশো নাকি রাশিয়ান দূরপাল্লার রকেট আছে। প্রথমটা একেবারে ভুয়া প্রোপাগান্ডা তবে মাটির নিচে যে বেশ কিছু টানেল আছে এটা সত্য কিন্তু দ্বিতীয় টা কি এভাবে স্বয়ং ইসরাইলি স্টেট ডিপার্টমেন্টের এরকম ভুয়া তথ্য ছড়ানোর মানে কি সেটা আমি বুঝতে পারছি না। এর মানে কি সারা বিশ্বের জনগণের মধ্যে ওদের সম্বন্ধে ভীষণ ভয় ঢুকিয়ে দিয়ে আক্রমণটা পোক্ত করা?
~ আপনার তথ্যবহুল সুদীর্ঘ মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ অত কৃতজ্ঞতা। সামনে আলোচনা হবে ধন্যবাদ।

৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: পৃথিবীতে কি নিরীহ মানুষ আছে কামাল ভাই?

নেই? যারা গণহারে মারা যাচ্ছে ওরা কি!!!

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: একদল মানুষ শোষক আরেকদল মানুষ শোষিত। মানুষ যখন শোষিত হয় তখন নিরীহ থাকে আবার যখন শোষক হয় তখন হয় অত্যাচারী এইভাবেই চলতে থাকে।
এরা একই মানুষ একই রক্ত মাংসের আপু। আমরা মনের মধ্যে সবাই রাক্ষস নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি এ পৃথিবীতে আমরা কেউই নিরীহ নই।

৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

পৃথিবীতে ধর্ম আর হিংসা যত দিন আছে তত দিন এর কোন শেষ নেই।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: মূল সমস্যাটা আসলে মানুষকে নিয়ে। মানুষ যতদিন আছে এই ঝামেলা চলতেই থাকবে মানুষ তাই তো কোন ঝামেলা নেই।

৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অনেকে বলছেন এ মাসের ৭ তারিখে যে হামাস ইসরাইল আক্রমন করবে তা ইসরাইলি গোয়েন্দারা জানতেই পারেনি, তারা হতবাক হয়ে গিয়েছিল! এই কথাগুলো হচ্ছে একেবারে ডাহা মিথ্যা কথা। এর বড় প্রমান হল মিসর দাবি করেছে যে তিন দিন আগেই এ ধরনের হামলার ব্যাপারে তারা ইসরাইলকে সতর্ক করেছিল। মিসর জানে অথচ মোসাদ জানতে পারেনা একথা হয়তো পাগলকেও বিশ্বাস করানো যাবেনা। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই তারা আসলেই জানতে পারে নাই, তাহলে আক্রান্ত হবার পর তাদের সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া জানাতে ১২ ঘন্টা সময় লাগল কেন? এত সময় ধরে সেনাবাহিনী কি করছিল?? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কি জানতে পেরেছেন?

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: ~ এইটা হল কাশিম মিসাইল লঞ্চিং প্যাডের ছবি। এরকম নাকি ৫০০০ মিজান একদিনে ইসরাইলের দিকে ছোড়া হয়েছিল। যেই গাজা স্ট্রিপের প্রতিটা ইঞ্চি সর্বক্ষণ ইসরাইলের নজরদারিতে থাকে- সেখানে এরকম কয়েকশো লঞ্চিং প্যাড বসিয়ে হাজার হাজার মিসাইল ছুড়লো আর ওরা কিছুই টের পেল না.... দাঁড়ান একটু ফের কিছুক্ষণ হেসে নেই

১০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ভাই আগের পোস্ট মনে করে কমেন্ট করেছি, এই পোস্ট এ কি আছে পড়া হয় নাই।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: :) কোন সমস্যা নেই আমিও আগেরটা মনে করি উত্তর দিয়েছি।

১১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: গাজা স্ট্রিপ পর্বে তাঁদের জীবন কাহিনীর অনেক অজানা বিষয় বেশ সুন্দর ভাবে তুলে এনেছেন, পরবর্তী পর্বে আরো অনেক অজানা ঘটনা জানার অপেক্ষায় রইলাম।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য আমাকে পরের পর্বগুলো লেখার জন্য দারুনভাবে অনুপ্রাণিত করল।

১২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৫২

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার যুক্তিযুক্ত পোস্ট।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য ভ্রাতা। ভাল থাকুন।

১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জ্ঞানগর্ভ এবং খুব যৌক্তিক লাগল পোস্টটিকে।গতকয়েকদিনে এই সম্পর্কে যে সব পোষ্ট আসছিল সবগলোই পক্ষপাতদুষ্ট। নিরপেক্ষতা নামে অন্ধ বায়ার্স আরকি। সেখানে আপনার পোস্টটি তথ্য বহুল ও যৌক্তিক।++
মোসাদের ভয়ঙ্কর সুনিপুণ গুপ্তচরবৃত্তির পরিচয় পড়ে অবাক হয়েছি। ইসরাইলি নির্মমতা তো আছেই তার সঙ্গে ভুলবোঝাবুঝি সন্দেহের বশেও তাহলে কত নিরীহ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে।হায়রে!

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে পাইলে সব সময়ই ভাল লাগে। একটু দৌড়ের উপরে আছি সেজন্য মন্তব্য সংক্ষিপ্ত করছি। নাহলে খাতির জমিয়ে প্রতি মন্তব্য করতাম :)
মোসাদের ভয়ঙ্কর পাতা ফাদে একবার যে পা দিয়েছে তার আর বের হবার কোন উপায় থাকে না তা সে যত ক্ষমতাশালী হয়েই থাকুক- বিশ্বের কোন প্রান্তেই সে নিরাপদ নয়। আর তারা যাকে একবার টার্গেট করবে তাকে তাদের ফাদে আসতেই হবে- অথবা মরতে হবে। বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীরা দ্বীতিয়টাই বেছে নেই।
আসলে আমরা এত বেশি কম জানি যে, এই নিয়ে ছোট পরিসরে আলোচনা করতেও দ্বীধাবোধ করি।
বাকি পর্বগুলোতে সাথে থাকবেন ভাই। ভাল থাকবেন। কথা হবে সামনের পর্বগুলোতে।

১৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:




আমরা মনের মধ্যে সবাই রাক্ষস নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি এ পৃথিবীতে আমরা কেউই নিরীহ নই।


ধর্ম ও রাজনীতির চেয়ে মানুষের জীবনকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত, কিন্তু দুঃখের বিষয়, যুদ্ধের সমর্থকদের কাছে মানুষের জীবন কতটা তুচ্ছ এবং মূল্যহীন!!!!

লাখো লাখো মানুষের ভাবনায় মৃত্যুচিন্তা, হতে পারে আজ রাতই তাদের জীবনে শেষ রাত।
কি ভয়াবহ অনুভুতি! সাধারণ মানুষ রাজনীতি বোঝে না। আমার দৃষ্টিতে তারা অবশ্যই নিরীহ এবং অসহায়।
এদের মৃত্যুর জন্য নিজেরা কোনভাবেই রেস্পন্সিবল না, এরা পরিস্থিতির শিকার।


১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কথা আমি বুঝেছি। এই মৃত্যুচিন্তা যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
আমি আপনার মতামতকে শ্রদ্ধা জানাই। আপনি যে কথাগুলো বলেছেন তা নিইয়ে কোনরূপ মতদ্বৈততা আমার নেই।
এ বিষয়ে আলোচনা করব না হয় অন্য কোন সময় অন্য কোন পর্বে।

১৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

অনেক ভালো লিখেছেন।
অনেক ডিটেইল অনেক কিছু জানতে পারা যাচ্ছে।
যেগুলো আমি লিখলে আমাকে ডাইরেক্ট দালাল বলা হতো।
মন্তব্যও অনেক সুন্দর সুন্দর তথ্য এসেছে, বিশেষ করে 'কাছের মানুষে'র মন্তব্যটি অনেক ইনফরমেটিভ।

তবে আপনার মূল বক্তব্যে, মানে যেটি আপনি ফাইনালি বলতে চাচ্ছেন সেই ব্যাপারে দ্বিমত।

তবে এটির জন্য আপনাকে আমি দোষ দিব না।
বাংলাদেশ ে ইসলামপন্থীদের একটি মনস্তত্ত্ব আমি লক্ষ্য করছি।
লাদেনের টুইন টাওয়ারের হামলা কে প্রথমে উল্লাসের সাথে স্বাগত জানানো, পরে একটু বিতর্ক সৃষ্টি হলে চিপায় পড়ে বলা শুরু যে এটা আমেরিকার একটা সাজানো ঘটনা, ইসলামকে অসম্মান করতে।

বাংলাদেশের গ্রেনেড হামলাকেও সাজানো ঘটনা হিসেবে দেখে অনেকেই, ব্লগার হত্যা বিদেশি হত্যা, এমনকি হোলি আরটিযান হামলাকেও পরবর্তীতে সাজানো ঘটনা বলতে শোনা যায়।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনিতো নিজে নিজেই বিশেষ এক পক্ষ নিয়ে বসে আছেন -কে আর আপনাকে এক পাক্ষিক বানাবেন!!!
আমি আসলে ফাইনালি কি বলতে চাচ্ছি সেটা মি নিজেই জানি না।
এ পর্যন্ত লিখে- আরো কিছু পড়াশুনা করে কিছু ডকুমেন্টারি দেখে আমি আমার চিন্তাভাবনা কিছুটা পরিবর্তন করে ফেলছি। এমনটা আগেও হয়েছে। ইসরাইল ও তার গোয়ান্দা সংস্থাকে আমি যতটা শক্তিশালী ভেবেছিলাম- এখন আমার কাছে তা মনে হচ্ছে না।
বরংচ আমরা হামসকে যতটা দুর্বল ভেবেছিলাম- তার থেকে হামাস বহুগুন শক্তিশালী মনে হচ্ছে।

১৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:২৪

বনজোসনা বলেছেন: বড়ভাই আপনার পোস্ট থেকে অনেক কিছু জানলাম।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: জেনে আপ্লুত হলাম। অনেক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
আপনাকে কি এই প্রথম আমার ব্লগ বাড়িতে পেলাম?

১৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আপনি রাগ হবেন, তবুও বলছি -
দেশের ইসলামপন্থীদের একটি মনস্তত্ত্ব, বাংলাদেশের ইলিশ ভারতে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশে ইলিশের সংকট।
যদিও পরিসংখ্যান মতে এক পারসেন্ট এরও কম ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয় দুর্গাপূজার সময়।
আরো একটি বড় অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে জোরপূর্বক কম দামে বাজার থেকে ইলিশ তুলে নিয়ে ভারতে রপ্তানি করা হচ্ছে।
যেহেতু আপনি জেনে শুনে বলছেন, এরপরও আমার সন্দেহ দূর হয়নি।

আমি বুঝতে পারি না কি কারণে স্থানীয় ইলিশ ব্যাপারী আওয়ামী পাণ্ডারা নিজেরা আর্থিকভাবে লস করে ভারতে ইলিশ পাঠাবে!
সরকার হুকুম দিলেও তো কেউ আর্থিকভাবে লস করবে আমার বিশ্বাস হয়না।
আমার এটাও বিশ্বাস হয় না যে পশ্চিমবঙ্গের কিছু হিন্দুদের ইলিশ খাওয়ানো হলে ভারত পররাষ্ট্রনীতিতে চেইঞ্জ আনবে?

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: কিয়ের সাথে কি পান্তাভাত আর ঘি!!!
কার সাথে কি ঢুকায় দিলেন হাসান ভাই

১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২২

আমি সাজিদ বলেছেন: ইসরায়েলের বর্বরতাকে মানা যায় না। আমি এই বিষয়েও সিউর হামাস নিজেই নিজেদের লোকদের মেরে গেম খেলে। গাজায় হাসপাতালে ৫০০ জনকে ইসরায়েল মেরেছে আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হচ্ছে না। তবে এই হামলার কারনে বাইডেনের সাথে সবার মিটিং বাতিল।

১৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

আমি সাজিদ বলেছেন: এই আল আহলি হাসপাতালে বোমা হামলায় নাম জড়ানোতে, মনে হচ্ছে ইসরায়েল ফাঁদে আটকে গেছে। হামলা৷ হামাস করুক বা অন্য কেউ করুক। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ইসরায়েলকে বড় সমস্যায় পড়তে হবে। আমেরিকার একচোখা নীতি এই দিকে পছন্দ হচ্ছে না।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: দুঃখিত দেরিতে উত্তর দেবার জন্য। ইতিমধ্যে জল অনেকদুর গড়িয়েছে- কিন্তু আসল সুরাহা হয়নি।
কাজটা কে করেছে আসলে বের করা সম্ভবত কঠিন হয়ে যাবে।

২০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০২

আমি সাজিদ বলেছেন: হাসপাতালে হামলার কথা পড়ে মন বিক্ষিপ্ত। এইটার তদন্ত হওয়া উচিত। কোনভাবেই এই হামলাকে জাস্টিফাই করা যায় না। পাঁচশো জন নিরীহ মানুষকে হাসপাতালে বোমা মেরে হত্যা করার অপরাধে যে বা যারাই দোষী তাদের কোন আঙ্গিকেই সমর্থন করা যায় না। যদি ইসরায়েল এই হামলা চালায়, ওদের ভয়ানক জবাবদিহিতায় আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া উচিত।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা তা তো অবশ্যই। যারাই হামলা করে থাকুক - অবশ্যই ন্যাক্কারজনক ক্ষমার অযোগ্য কাজ।

২১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭

বনজোসনা বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা।জী বড়ভাই আমি এই পাড়াতে সদ্য এসেছি।আর আপনার ব্লগে এটাই ছিল আমার প্রথম কমেন্ট।আমি লিখতে চাই। কিন্তু খাতা নিয়ে বসলে একটি শব্দও খুঁজে পাইনা।তাই আপাতত আপনাদের পোস্ট পড়ে কমেন্ট করবো বলে ঠিক করেছি।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের ধরনে মনে হচ্ছে- একটু চেনা জানা। আপনি এই ব্লগ ও ব্লগারদের বেশ ভাল করেই চেনেন জানেন।
ঠিক আছে। সাথে থাকুন দেখি আপনার সাথে সখ্যতা জমে কতটুকু :)

২২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:২১

আরোগ্য বলেছেন: ব্যস্ততার কারণে পোস্টটি যথাসময়ে পড়ার সুযোগ করতে পারিনি। কালরাতে শেষ করেছি। ভীষণ ক্লান্ত তাই মনমতো মন্তব্যও করতে পারছিনা। ইতোমধ্যে আপনার আরেকটা তথ্যবহুল পোস্ট এসে গেছে। শীঘ্রই পড়ে শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ- এত ব্যস্ততার মধ্যেও আপনি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করছেন বলে।

২৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:২৪

আরোগ্য বলেছেন: আরেকটি অনুরোধ এই পোস্টের লিংকটি সিরিজের ১ম পর্বে যোগ করে দিবেন, এতে সংগ্রহে রাখতে সুবিধা হবে।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: একেবারে শুরুতেই প্রথম পোস্টের লিঙ্ক আছে -দেখে নিবেন। ধন্যবাদ ফের

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.