নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
রিবিয়েতা তেলিফোনু! আখরান(হোস্টেলের গার্ড) মহিলা তার বিশাল বপু নিয়ে শিম্পাঞ্জির হেলে-দুলে চলেন! দৌড়াইলে ব্যাপারটা হয় দেখার মত-তবে আমাদের কদাচিৎ সৌভাগ্য হয়েছে তাঁর দৌড় দেখার। সাকুল্যে জনা-বিশেক বাংলাদেশী আর পাঁচজন শ্রীলঙ্কান মিলে মাত্র পচিশজন বিদেশী ছাত্র নিয়ে তাঁর সংসার! আমাদের ফ্লোরে গেস্ট বিশেষ আসেনা বললেই চলে। এ-দেশী ছাত্রদের এখানে আসা বারণ!( তবে আমাদের যখন তখন তাদের ওখানে যেতে মানা নেই) আমরাও রুশ ভাষা বুঝি কম তাই আখরান মহিলার সাথে আসতে যেতে হাই-হ্যালো হয় শুধু! এই ঠাণ্ডায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরেই বা যায় কে। তাই সারাদিন চুপ চাপ বসে থেকেই তাঁর কেটে যায়- দুর থেকে শুধু ভারি চশমার ফাঁকে আমাদের ছেলে মানুষি দেখে কুট কুট করে হাসেন। মাঝে মধ্যে অবশ্য নাতি কিংবা মেয়েটার সাথে টেলিফোনে গুজুর-ফুসুর চলে।
এই ভদ্রমহিলা কিন্তু সবার নাম জানেন! খানিকটা দূর থেকে কাঁচ ঘেরা ঘরে বসে মা-নানী-দাদীর স্নেহ আদর ভালবাসা মেশানো দৃষ্টি নিয়ে সারাক্ষণ আমাদের নজরে রাখেন।
আমাদের দরজায় এসে টোকা দিতেই রুম মেট দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলল; আখরান মহিলা হাঁপাতে হাঁপাতে তাকে জিগ্যেস করল, তপন কোথায়? নাম শুনেই আমি লাফ দিয়ে উঠে দাড়ালাম – লম্বা দুই লাফ দিয়ে দরজার কাছে গিয়ে শুধালাম, কার টেলিফোন?
মহিলা ফিক করে হেসে বলল, তিবিয়া!
আমি শুনেই ঝেড়ে দৌড় –তাঁর কাঁচ ঘেরা রুমের দিকে। লাইন কাটার আগেই ধরতে হবে। ফোন উঠাতেই ওপাশে রুশীয় নারী কন্ঠ!
-আ-লো’ (হ্যালো)
প্রতিউত্তরে আমি বললাম, দা...’(হ্যাঁ)
-এতা তপনা গাভারিত? ( ইনি কি তপন বলছেন?)
-দা’ (ভাষার দৌড় তখন ওই ‘ দা’ পর্যন্ত!)
বেশ খানিক্ষন দা-নিয়েত (হ্যাঁ-না) করে বুঝলাম, বাংলাদেশে লাইন পাওয়া গেছে- আমাকে এক্ষুনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জে যেতে হবে ।
রাত এখন আটটা বাজে প্রায়! শীতের দিনে রাত গভীর-ই বলা চলে। কিন্তু আমাকে ঠেকায় কে। আহা কতদিন বাদে লাইন পেয়েছি। এদেশে এসে অব্দি বন্ধু-ইয়ার-পরিজনের সাথে মন খুলে কথা বলতে পারিনি। গত সাত আটদিন ধরে এক্সচেঞ্জে গিয়ে হত্যে দিয়ে পড়ে থাকি। এক্সচেঞ্জের মেয়েগুলোর ডায়াল ঘোরাতে ঘোরাতে গোলাপি আঙ্গুল ফেটে রক্ত বেরুনোর উপক্রম হয়ে যায়; তবু লাইন মেলে না। মাঝে মধ্যে অবশ্য হাঁক ছেড়ে বলে, রিবিয়েতা – বাংগুলাদেস, পাঁচ নম্বর!
***
ওয়েটিং রুমটা বেশ ঠান্ডা! হিটিং সিস্টেমটা মনে হয় নষ্ট হয়ে গেছে। এ ঠাণ্ডায় জুবুথুবু মেরে বসে থাকতে থাকতে হাত-পা অবশ হয়ে যায়। বাংগুলাদেশ শুনেই আমি তড়াক করে উঠে দৌড়ে যাই 'বুথ নম্বর পাঁচে'।
-কিসের কি?!! শুধু খ্যাস খ্যাস শোঁ শোঁ শব্দ...
আমার হতাশ চেহারা দেখে ওরা বেশ বিব্রত হয়! তবে ফের নতুন উদ্যোমে শুরু করে। এই সাত দিনে কমপক্ষে ত্রিশ ঘন্টা ওখানে বসে ছিলাম!
বাইরে নিদেনপক্ষে মাইনাস পনের! ইনার, জিন্স, গেঞ্জি, সোয়েটার, ওভারকোট, মাফলার, পশমের টুপি, দু-জোড়া টার্কিশ মোজা,বুট পরে রাস্তায় নামতেই পনের বিশ মিনিট শেষ। কয়লার ইঞ্জিনের মত নাক-মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের করতে করতে ছুটলাম পোচ্তা বা এক্সচেঞ্জের (দুরভাষা দপ্তরের) উদ্দ্যেশে!
বরফ ঢাকা পিচ্ছিল রাস্তা- খানিকটা হেটে খানিকটা স্কেট করে চললাম, টেলিফোন এক্সচেঞ্জের সদর দরজা খুলে ঢুকতেই মিস্টি সুবাস নাকে এল!
মুল অফিসের ছোট্ট জানালাটা দিয়ে নজরে এল ‘ভারোনিকা’র উজ্জ্বল মুখাবয়। বাইরের এক ঝলক ঠাণ্ডা বাতাসের ঝাঁপটা ওর মুখে লাগতেই আমার দিকে তাকিয়ে ঠোট বেঁকিয়ে হাসল!
বলল, -বসো। লাইন কেটে গেছে আবার ট্রাই করছি!
এই রে কাম সেরেছে!
ফের সেই অপেক্ষা!!! তখনকার দিনে বাংলাদেশে ল্যান্ডফোনের একটা লাইন পাওয়া বিশাল ভাগ্যের ব্যাপার ছিল! বড় অঙ্কের টাকা-পয়াসার ব্যাপারতো ছিলই তার উপরে তদবির আর বছরের পর বছর অপেক্ষা, কার বাসায় টেলিফোন লাইন থাকা মানে তিনি এলিট শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত, আমাদের ফ্যামিলি তখন ঢাকায় ভাড়া থাকে। নিজেদের ফোন ছিলনা- ভরসা ছিল বাড়ির মালিকের ফোনটা। তার আবার বিশেষ সময় বাধা ছিল। তবে বিদেশের ফোন হলে খানিকটা ছাড় দেয়া হত।
এত ভারি পোশাকের ফাঁক গলেও শীতে কামড় বসাচ্ছে- বসে থাকতে থাকতে হাত পা অসাড় হয়ে যাচ্ছে! মাঝে মধ্যে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখছি সে মেয়েটার প্রানন্তকর চেষ্টা। এখানে আমরা দুজন মাত্রই প্রাণী! ওর পৃথিবীতে শুধু আমিই একমাত্র গ্রাহক যেন-আর আমাকে নিয়েই ওর মরণপণ যুদ্ধ! আমার নিজের কষ্ট ছাপিয়ে ওর জন্য এখন খারাপ লাগছে , একহাতে রিসিভার কানে চেপে অন্য হাতে ঘন্টার পর ঘন্টা ডায়াল ঘোরানো খুব আরামদায়ক কাজ নয়।
এর মধ্যে কয়েকবার চোখে চোখ পড়েছে – সলজ্জ করুনা মিশ্রিত হাসি তার। খানিকটা অপরাধ বোধও...
রিবিয়েতা, ভারোনিকার সুরেলা ডাকে আমি চমকে উঠলাম, ভেবেছিলাম লাইন পেয়েছে? কিন্তু ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতেই সে কাঁচ ঘেরা জানালার দিকে ইশারায় ডাকল, আমি ধীর পায়ে কাছে যেতেই, খুব সংকোচে খানিকটা ইশারায় আর খানিকটা রুশ ভাষায় বোঝাল ; তোমার ঠান্ডায় খুব কষ্ট হচ্ছে না? আসো ভিতরে এসে বস, এখানে রুম হিটার আছে!
***
ভারোনিকা এত বেশী রূপসী যে ছয় হাত দূর থেকে ওকে দেখে শরির কাঁপে- কাছে গেলে নিশ্চিত নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে। এর থেকে এই স্যাঁতস্যাতে ঘরে শীতে জমে যাই তাই ভাল। ওর রূপে স্নিগ্ধতা আছে কিন্তু শীতল আগুনও যে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারতে পারে সেটা তাঁকে এত কাছ দেখার আগে আমার ধারনা ছিল না।
০৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২১
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ আফসোস ও বটে!!
২| ০৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছবিটা কি ভারোতপনার?
যা বলার তা লাস্ট প্যার্যা বলে দিয়েছেন। আমি জানিতে চাহি, কোনটা বেশি আকর্ষণীয় ছিল - বাংগুলাদেশে কথা বলা, নাকি ভারোনিকাকে একঝলক দেখা?
ইয়ে, লাস্ট প্যারাটা আসলেই খুব হাই লেভেলের কথায় ঠাসা
০৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: একটা বিখ্যাত পোট্রেট আর একজন বিশ্বখ্যাত রুশ লেখকের তৈলচিত্রের সমন্বয়ে এই প্রচ্ছদ!
হাই লেভেল কি না জানিনা তবে ভারোনিকার কথা মনে হলে তেমনটাই মনে হয় সব সময়।
* সময়ের অভাবে আপনার লেখা পড়া হচ্ছে না।
৩| ০৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৭
কামাল১৮ বলেছেন: কয়লার ইঞ্জিনের উপমাটা ভালো লাগলো।দুঃখের অনুভূতির কথা স্মৃতিচারন করার সময় ভালো লাগে।রাশিয়ার বয়স্ক মহিলারা কি বেশির ভাগ মোটা।
০৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ অলমোস্ট ৯৫ ভাগ রুশ মহিলা ভারী শরিরের দেখেছি এক সময়। এখনকার অবস্থা বলতে পারব না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কামাল ভাই।
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:০২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার লেখা আমার সব সময়ই ভালো লাগে, লেখায় সাবলীলতা থাকে ---লাস্ট আড়াই লাইন পড়ে একটু থমকে গিয়েছিলাম।
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যে বরাবরের মত অনুপ্রাণিত হলাম।
শেষ কথায় এমন ভয়ঙ্কর কিছু কি আছে থমকানোর মত? এটা শুধু পুরুষদের অনুভবের বিষয় কিন্তু
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:১১
এম ডি মুসা বলেছেন: পড়লাম
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: তা কি পড়লেন- সেটা তো বললেন না।
৬| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:১৫
মিরোরডডল বলেছেন:
ভারোনিকা এত বেশী রূপসী যে ছয় হাত দূর থেকে ওকে দেখে শরির কাঁপে- কাছে গেলে নিশ্চিত নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে। এর থেকে এই স্যাঁতস্যাতে ঘরে শীতে জমে যাই তাই ভাল। ওর রূপে স্নিগ্ধতা আছে কিন্তু শীতল আগুনও যে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারতে পারে সেটা তাঁকে এত কাছ দেখার আগে আমার ধারনা ছিল না।
যদিও বলছে যে স্যাঁতস্যাতে ঘরে শীতে জমে যাওয়াই ভাল, কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে এই সময়টুকু ঠান্ডা এবং অপেক্ষার যন্ত্রনা দুটোই ভুলে ছিলো। শুধু তাই না, সেই ভালো লাগা এমনই মনে দাগ কেটে গেছে যে এখনো মনে আছে, মনে থাকবে।
স্মৃতিচারণ ভালো লেগেছে শেরজা।
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: ভেবেছিলাম আপনি লেখাটা এড়িয়ে গেছেন ।
রুশ স্মৃতি কাহিনী নিয়ে আর কোন গল্প-উপন্যাস লেখার ইচ্ছে ছিল না, কিন্তু এখন দেখি অন্যের কথা বলতে গিয়ে নিজের কিছু গল্প বাকি রয়ে গেছে। সেদিন এক ডায়েরির পাতা উল্টাতে গিয়ে দেখি 'ভারোনিকার' নাম। প্রায় একরকম ভুলতেই বসেছিলাম ওর কথা-নাম দেখেই অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। শুরু তো করলাম শেষ হবে কি না জানি না।
ত্রিশ বছরের অধিককাল কেটে গেছে। কোথায় সে আছে- বেঁচে আছে নাকি কে জানে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এধরনের লেখায় আপনার অনুপ্রেরণা অনেক কাজে লাগে
৭| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: ভারোনিকা আসলেই কি রক্ত মাংসের এক জীবন্ত চরিত্র?
নাকি আপনার মনের কল্পনা।
০৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: নন ফিকশন। আমার সব গল্প উপন্যাস বাস্তব ঘেঁষা।
বানিয়ে গল্প লিখতে পারিনা আমি। আর নিজের জীবনেই এত গল্প জমে আছে- সেটার প্রয়োজন ও পড়বে বলে মনে হয় না।
৮| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এখানে আমরা দুজন মাত্রই প্রাণী! ওর পৃথিবীতে শুধু আমিই একমাত্র গ্রাহক যেন-আর আমাকে নিয়েই ওর মরণপণ যুদ্ধ!
আহাহা! মরি মরি!
ভারোনিকা এত বেশী রূপসী যে ছয় হাত দূর থেকে ওকে দেখে শরির কাঁপে- কাছে গেলে নিশ্চিত নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে। এর থেকে এই স্যাঁতস্যাতে ঘরে শীতে জমে যাই তাই ভাল। ওর রূপে স্নিগ্ধতা আছে কিন্তু শীতল আগুনও যে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারতে পারে সেটা তাঁকে এত কাছ দেখার আগে আমার ধারনা ছিল না।
দারুন! এটাই বোধ হয় প্লেটোনিক লাভ!!
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: ক্যান শরম পাইলেন না ভিমড়ি খাইলেন?
আহা সে এক দিন ছিল- সেই ফিলিংস ভুলেই গেছি রে ভাই!! আপনার কি মনে আছে?
৯| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৮
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ভারোনিকা বা ভেরোনিকা যাই হোক, এ দেখে মনে পড়ল, একটা স্প্যানিশ হরর দেখেছিলাম এই নামে।
আবার বক্সার মোহাম্মদ আলীর প্রাক্তন স্ত্রীর নামও ভেরোনিকা ছিল।
আপনার আর ভারোনিকার স্বল্প-জীবন-গল্প সেসবের থেকে ভিন্ন।
তবে আমি কিন্তু অন্য এক বিষয়ে অবাক হয়েছি, আপনার ভাষা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটির ছাপ আমি এই লেখায় পেলাম। যেন আপনার লেখা, অন্য এক রূপের লেখা পড়লাম। বেশ ভালো লেগেছে।
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: কিছু পড়াশুনা করেছি সেটা সত্য, তবে ইচ্ছে করে কিছু শিখিনি সেটাও সত্য। ফের অবচেতন মনে কিছু শিখেছি সেটাও সত্য
হয়তো তাঁর প্রভাব পড়েছে।
মোহাম্মদ আলীর গিন্নীর নাম ভারোনিকা ছিল তা জানতাম না। ভারোনিকা রাশিয়ার খুব কমন নাম নয়- সম্ভবত এটা স্প্যানিশ বা ফ্রেঞ্চ নামই হবে।
এই গল্পটা ধীরে ধীরে লিখব - অনেক লেখার ফাঁকে ফাঁকে, যেমন পথ চলতে চলতে পথিক তরু-বিথী তলে একটু বিশ্রাম নেয়, তেমনি করে।
১০| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩২
ঢাবিয়ান বলেছেন: দুর্দান্ত সুন্দরী ভেরোনিকা অর্ধেকে ছবি দেখে মন ভরল না। আমাদেরো একটু জ্বলে পুড়ে মরার সুযোগটা এইভাবে মাটি করা কি ঠিক হইল ছবির বাকি অর্ধেক কি আপনার ?
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: নারে ওইটা আমার অতি প্রিয় বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক আন্তন চেখভের একটা পোট্রেট।
আমার হৈতে তো হৈতৈই
এখনো যে হৃদইয়ের জ্বলে পুড়্ব মরার মত অবস্থা আছে সেই বা কম কিসে! ধীরে ধীরে দেই, দেখি কতদিন এই অবস্থা বজায় থাকে ...
১১| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০২
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ভেবেছিলাম আপনি লেখাটা এড়িয়ে গেছেন ।
এমন মনে হবার কারণ?
কাল রাতেই লগিন করেছিলাম কিন্তু I wasn't feeling well.
তাই কমেন্ট না করেই চলে যাই।
শুরু তো করলাম শেষ হবে কি না জানি না।
সিরিজ হবে? তাহলে গ্যাপ না দিয়ে রেগুলার লিখে ফেলা হোক।
কোথায় সে আছে- বেঁচে আছে নাকি কে জানে।
শেরজা যখন আছে, ধরে নিচ্ছি রূপসীও আছে।
পুরো গল্পটা শুনবো শেরজা।
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: কাল রাতেই লগিন করেছিলাম কিন্তু I wasn't feeling well.
তাই কমেন্ট না করেই চলে যাই।
~ আপনি দেশে আসেন। মায়ের কাছে থেকে যান। অযথা বিদেশ বিভূঁইয়ে একা একা পড়ে থেকে দীর্ঘ নিঃসঙ্গতার যন্ত্রনা ভোগ করার মানে কি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানসিক ও শারিরিকভাবে অসুস্থতা বাড়তেই থাকবে। কিংবা যদি সুযোগ হয়তো মাস তিনেকের জন্য দক্ষিন এশীয় গভীর অরন্য ও পাহাড়ে কাটিয়ে যান।
১২| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৯
মিরোরডডল বলেছেন:
বিদেশ বিভূঁইয়ে একা একা পড়ে থেকে দীর্ঘ নিঃসঙ্গতার যন্ত্রনা ভোগ করার মানে কি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানসিক ও শারিরিকভাবে অসুস্থতা বাড়তেই থাকবে।
এসব উল্টাপাল্টা ইনফো কোথায় পায় শেরজা
আমি ভালো আছি, খুব ভালো আছি।
মাস তিনেকের জন্য দক্ষিন এশীয় গভীর অরন্য ও পাহাড়ে কাটিয়ে যান।
এটা গুড আইডিয়া।
দক্ষিন এশীয় গহীন অরণ্যে না কিন্তু পাহাড়ের কোলে সুন্দর একটা কান্ট্রিসাইডে লম্বা সময়ের জন্য ডুব মারার ইচ্ছে আছে।
এখন শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষায়।
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: এসব উল্টাপাল্টা ইনফো কোথায় পায় শেরজা B:-)
~আপনি নিজেই তো বলেছেন- রেফারেন্স দিব?
এখন শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষায়।
~ এই সময় আর কবে আসবে। একবার অসুস্থ হয়ে ভেবেছিলেন কেল্লা ফতে হয়ে যাবে, এখন সুস্থ আছেন সব ঠিকঠাক দেরি না করে বেরিয়ে পড়ুন।
১৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০৩
মিরোরডডল বলেছেন:
তাই? বলেছিলাম আমি?
ভুলে যাই, মনে থাকে না।
কবে দেখবো শেরজাকে চিনতে পারছি না
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: কবে দেখবো শেরজাকে চিনতে পারছি না
~সেই দিনের বেশী দেরি নাি। আমিতো যদু-মদু, আমারে না চিনলে দোষ নাই - নিজের নামটা মনে রাইখেন
১৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১২
মিরোরডডল বলেছেন:
কি যে বলে!!!
you're my partner in crime, কি করে ভুলি!
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: হায় হায় কি কন আমি আবার আপনার সাথে কবে কি দুস্কর্ম করলাম????
১৫| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৩৬
মিরোরডডল বলেছেন:
কি বোকা!!!
আমার সাথে কেনো করবে!!
দুজন একসাথে নাহ হুন্ডি আর গাঁজা সাপ্লাইয়ের ব্যবসা করার কথা???
that's called partner in crime man!
নাহ! এই বোকার সাথে ব্যবসায় নামা যাবে না
লস প্রোজেক্ট হবে।
১০ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: এই কথা
কিয়ের সাথে কি- পান্তা ভাতে ঘি
১৬| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৪৩
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: এই গল্পটা ধীরে ধীরে লিখব - অনেক লেখার ফাঁকে ফাঁকে, যেমন পথ চলতে চলতে পথিক তরু-বিথী তলে একটু বিশ্রাম নেয়, তেমনি করে।
আমি অপেক্ষায় রইলাম। আর অবশ্যই বড় লেখার অপেক্ষায় থাকব। এমন লেখা পড়তে আরাম। যত বড়ই হোক।
১০ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: বড় লেখা অনেকের কাছে বড় কষ্টের- মানুষের যে কত জাত,কত রুচি আর কত ধরন আহা!
১৭| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৪৮
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: কিছু পড়াশুনা করেছি সেটা সত্য, তবে ইচ্ছে করে কিছু শিখিনি সেটাও সত্য। ফের অবচেতন মনে কিছু শিখেছি সেটাও সত্য
হয়তো তাঁর প্রভাব পড়েছে।
বেশ ভালো প্রভাব পড়েছে। ভাষা আর শব্দের ব্যবহারগুলো চমৎকার লেগেছে। আপনার গল্প বলার ধরণ বেশ অ্যাট্রাক্টিভ, এমন ভাষার ব্যবহার লেখাগুলোকে অন্য লেভেলে নিয়ে যাবে।
যদিও আপনার সাথে ঐ পোস্টে, মানুষজনের গ্যাঞ্জামের মূল বিষয় "বানান" এখনও টুকটাক ভুল রয়ে গেছে। আপনি "বানান আন্দোলন" নামে একটা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। আমি টুকটাক সঠিক বানান চেকের জন্য, এই অ্যাপটা ব্যবহার করি।
১০ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২০
শেরজা তপন বলেছেন: এইটুকু বানান ভুল থাকুক।
কিছু বানানের ভুল ভাব প্রকাশে কোন বিশেষ পরিবর্তন করে না।
১৮| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২২
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: বড় লেখা অনেকের কাছে বড় কষ্টের- মানুষের যে কত জাত,কত রুচি আর কত ধরন আহা!
এটা বেশ বলেছেন। আমি পড়তে ভালোবাসি, তাই বড় লেখা, ছোটো লেখা বিষয় না। পড়তে আরাম লাগলে, ভালোবেসে পড়ি। আরাম না লাগলে, জাস্ট জানার জন্য পড়ি। আমার মনে হয়, প্রতিটা মানুষের, প্রতিটা লেখার মধ্যেই কিছু না কিছু জানার আছে। পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ আমার থেকে কিছু না কিছু বেশি জানে। আমি তা জানতে চাই।
আর আপনার বড় লেখা পড়তেও আরাম। তাই সমস্যা নেই।
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনিও অনেকের থেকে অনেক কিছু বেশী জানেন -আপনার কাছ থেকেও জানার আছে অনেক কিছু।
আমিও পড়ি জানার জন্য- শেখার জন্য। আফসোস যে এক জীবনে পৃথিবীর .০১% বিষয়াদি জেনে যেতে পারব না
১৯| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত দেখছিলাম কতগুলো না পড়া পোস্ট জমেছে।
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: সময় হলে ফের আসবেন ভাই- অপেক্ষায় রইলেম...
২০| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৫৩
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: ইহজাগতিক লোভ লালসার উর্ধে উঠতে পারলে একবার রাশিয়ায় বেড়াতে যাবো।
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: অনেকদিনবাদে আপনার আইডি দর্শন হল। তা কেমন আছেন? আর কতদিন অপেক্ষা করবেন- একবার ঘুরে আসুন।
একবার ঘুরে আসলে সব লোভ লালসার উর্ধ্বে চলে যাবেন
২১| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০৯
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: যুদ্ধ টা শেষ হোক।
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১২
শেরজা তপন বলেছেন: যুদ্ধতো উক্রাইনে- রাশিয়া যেতে সমস্যা কোথায়?
২২| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: শেষের তিনটে ঝাক্কাস লাইন এ পোস্টের শিরঃশোভা, মাথার মুকুট।
কয়লার ইঞ্জিনের উপমাটা আমার কাছেও ভালো লেগেছে।
হেভীওয়েট মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর তন্বী জীবনসঙ্গিনী ভেরোনিকাও অনেক রূপসী ছিলেন। ঠিক তার উল্টো ছিল মার্কিণ মুলুকে আমার দেখা এক মহিলা বাস চালক, তবে চালক হিসেবে তিনি অত্যন্ত নিপুণা ছিলেন।
যাক, আর কিছু না হোক, এই পোস্ট থেকে আপাততঃ "দা-নিয়েত" শব্দ দুটোকে মুখস্থ করে রাখলাম। বলা তো যায় না, কবে কোথায় কাজে লাগে! আর "রিবিয়েতা" মানে কী, সেটাও বলে দেন, ওটাকেও মনে রাখবো।
পোস্টে দশম প্লাস। + +
২৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: ২২ নং মন্তব্যেঃ
"আমার দেখা এক মহিলা বাস চালক" <<<<< পড়তে হবে আমার দেখা একই নামের এক মহিলা বাস চালক
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বড়ই আচানক ঘটনা।