নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন শালার এই দেশে জন্মাইলাম- তাহলে মানুষের এমন কদর্য রূপ দেখতে হোত না!!

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:১৭

~ এই ১৫ই আগষ্টে ভারতে বসে শোকের পোশাকে পাশাপাশি তারা দুই বোন- এ ছবি অনেক কথাই বলে ...
জকে আমার এই লেখা বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ ও ছাত্রলীগ ও তাদের সমমনা সমর্থকদের জন্য। যারা তাদের নেত্রী হাসিনাকে প্রানপন ভালবাসেন, বিশ্বাস করেন তার উপরে যে কোন পরিস্থিতিতে আস্থা রাখেন। যারা তার বর্তমান এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ ব্যাথিত - যারা ভাবেন তিনি সবকিছুর উর্ধ্বে তিনি দেশ ও জাতিকে ভালবেসেছিলেন, দেশের উন্নয়নে কাজ করেছিলেন। আপনারা যদি জানেন তবে সঠিক তথ্য উপাত্ত্ব হাজির করে এই লেখার প্রতিবাদ করবেন কিংবা গঠনমুলক ও যৌক্তিক আলোচনায় অংশগ্রহন করবেন। প্লিজ ঠেডামী করে বলবেন না, ধুর ফালতু আমি এইসব বিশ্বাস করি না। এইসব ইতিহাসের কথা; শত সহস্র মানুষ এই ইতিহাসের সাক্ষী। আজো আপনাদের দলের প্রত্যক্ষ সাক্ষী সেই সময়ের ছাত্রলীগের নেতা কর্মী বর্তমান আছেন- তারাতো জানেন আসল ঘটনা কি ছিল।
***
মতিউর রহমান রেন্টু- সমগ্র বিশ্বে শেখ হাসিনার আদর্শে যারা বিশ্বাস করেন তাদের কাছে সবচেয়ে ঘৃন্যতম ব্যক্তিদের একজন। যেমন মুসলিমদের কাছে 'সালমান রুশদি'। রেন্টুর লেখা (জনাব লিখলে অনেকেই আমাকে তার পক্ষের লোক ভাবতে পারে কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা ও অগ্রজ হিসেবে জনাব বলা কিনবা তার পুরো নাম বলে সন্মোধন করা আমার দায়িত্ব) 'আমার ফাঁসি চাই' এই বইটা অনেকেই ঘৃনাভরে চটি সাহিত্যের কাতারে ফেলে দিয়েছেন।
আমি নেট দুনিয়ায় তার বই থেকে একটু খণ্ডিত উদ্ধৃতি মাঝে মধ্যে দেখতে পাই যে, 'শেখ হাসিনা আবেগ দেখানোর জন্য গ্লিসারিন ব্যাবহার করছেন। তিনি মৃত লাশ দেখে কান্নার অভিনয় করে বাড়িতে এসে ভীষন উতফুল্ল হয়ে বলছেন, আমি আজকে লাশ দেখে এসেছি লাশ। ভাল ভাল রান্না কর -আজ আমি অনেক খাব।'' এই টাইপের কথাবার্তা যা প্রথম দফায় তার চরম শত্রুরাও বিশ্বাস করতে চাইত না।
সবাই এক কথায় রেন্টুকে পাগল, ধান্দাবাজ, গাঞ্জুট্যা, বটতলার চটি সাহিত্যিক বলে উপহাস করে তীব্র তাচ্ছিল্যভরে তার পুস্তকখানা ছুড়ে ফেলেছে। এরপর সরকারের দমন-পীড়নতো আছেই। মানুষের সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে যে কোন উপায়ে তথাকতিথ এই অপ সাহিত্যকে সমুলে উপড়ে ফেলেছে।
আমি নিজেও তার এই লেখা নিয়ে ছিলাম ভীষন বিরক্ত!!। অবশেষে একদিন মনে হল, এই জীবনে কত আজেবাজে কু-সাহিত্যতো পড়লাম, এই বইয়ের পাতাটা একটু উল্টাই; বইয়ের শুরুতেই সে স্বীকার করেছে, 'আমার নিজের চোখের দেখাই সব দেখা নয়, চোখের বাইরে বা আড়ালেও অনেক ইতিহাস থাকতে পারে।'
***
মি এক এক করে পাতা উল্টাই আর অবাক হই, এতো শুধু শেখ হাসিনার কীর্তি নিয়ে লেখা বই নয়। এতো স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে পরের এক অমুল্য রাজনৈতিক দলিল। হ্যাঁ এখানে হয়তো দেখার ভুল আছে, জানার ভুল আছে, বোঝার ভুল আছে এখানে আক্রোশ আছে হতাশা আছে, আছে ভুল মতবাদ প্রচারের চেষ্টা। কিন্ত এর পাশাপাশি আছে কিছু অন্ধকারের ইতিহাস। কিছু ভয়ঙ্কর সত্য তুলে ধরার চেষ্টা। আছে রাজনীতির খেলায় ভয়াবহ বলি সাধারন মানুষের আর দলীয় কর্মীদের আর্তনাতের কথা- আর রাজনীতিবিদদের পৈশাচিক উল্লাস!! ক্ষমতার লোভে কিভাবে একজন নেতা বিবেক আত্মা দেশ জাতিকে বিক্রি করে দেয় তার গল্প আছে - আছে লোভ হিংসা জিঘাংসা বিবমিষার ইতিহাস! বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে করা কিছু প্রশ্ন আপনাকে গভীরভাবে ভাবতে বাধ্য করবে- সিরাজ সিকদারের জন্য আপনার অজান্তে বুকের গভীর থেকে একটা দ্বীর্ঘশ্বাস উঠে আসবে।
যাক আর বেশী কথা না বলে আসুন 'আমার ফাঁসি চাই' বইয়ের ৫০-৫২ তম পাতায় এরশাদ কতৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী 'সেলিম ও দেলোয়ার' হত্যা এই পর্বে যাই।

(র আগে অবশ্য এরশাদ আর্মড ব্যটেলিয়ান বাহিনী কতৃক ১৯৮৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিধ্যালয়ের আন্দোলনরত আরো ২ ছাত্র হত্যা করা হয়েছিল। এটা সংগঠিত হয়েছিল ১লা ফাল্গুন। ছাত্ররা যখন শহিদদের লাশ নিয়ে কলাভবনে শোক জানাচ্ছিল তখন অতর্কিতে হাজার হাজার আর্মড পুলিশ, সেনাবাহিনি, বি ডি আর, তাদের উপর ঝাঁপিকে পড়ে অমানুষিক অত্যাচার চালায়। রেন্টুর ভাষ্যমতে, এই ছাত্রহত্যা হয়েছিল হাসিনার প্ল্যানে-যাতে এরশাদকে চাপে রাখা যায়। আর সেই প্লান বাস্তবায়নের পরে ছাত্ররা যাতে ফের আন্দোলনের সুযোগ না পায় সেজন্য তাদের উপর আক্রমন করা হয় হাসিনা- এরশাদের যৌথ প্লানে। যা হোক আমি এটা বিশ্বাস করি কি করিনা সেটা গৌন ব্যাপার তবে ঘটনাটা ঘটেছিল, সেটা সত্য এবং ঐতিহাসিকভাবে সত্য।)
***
নবিক কমিশনের সরকারী বাসভবনে( তার স্বামী জনাব ওয়াজেদের বাসা) শেখ হাসিনা বলেন, লেঃ জেঃ এরশাদ হাতের মুঠোয় আর থাকতে চাচ্ছে না। আমার হাতের মুঠো থেকে খাটাশটা ক্রমশ বেরিয়ে যাচ্ছে। ওকে হাতের মুঠোয় পোক্ত করে আটকে রাখা দরকার।

প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এরশাদকে হাতের মুঠোয় রাখার জন্য শেখ হাসিনা নামকা ওয়াস্তে ভুয়া এক ছাত্র আন্দোলনের পরিকল্পনা হাজির করে বলেন, এই ছাত্র আন্দোলনের অবশ্যই ছাত্র নিহত হতে হবে। যে করেই হোক ছাত্র আন্দোলনে নামে ছাত্র হত্যা হতেই হবে। ছাত্র হত্যা হলে ছাত্র আন্দোলন চাঙ্গা হবে। আর ছাত্র আন্দোলন চাঙ্গা থাকলেই কেবল জেনারেল এরশাদকে হাতের মুঠোয় শক্ত ভাবে রাখা যাবে। শেখ হাসিনা ছাত্র আন্দোলনের নামে ছাত্র হত্যার কঠিন নির্দেশ ও পরিকল্পনা দিলেন। কোন আততায়ী বা অজ্ঞাত ঘাতকের হাতে ছাত্র হত্যা হলে কাজ হবে না। ছাত্র হত্যা হতে হবে সামরিক শাসক এরশাদের মিলিটারী অথবা পুলিশের হাতে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বললেন, টাকা যা-ই লাগুক, এটা করতেই হবে। কিভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা যায় সবাই এ নিয়ে খুব ব্যস্ত ও চিন্তিত।

যোগাযোগ হলো প্যারা মিলিটারী ট্রুপস আর্মড্ পুলিশের কোম্পানী কমান্ডার (সিনিয়র এস পি) হাফিজুর রহমান লস্করের সঙ্গে। এই হাফিজুর রহমান লস্কর পুলিশের অফিসার হয়েও দীর্ঘদিন যাবত এন এস আই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টিলেজেন্ট বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা) এর ডেপুটি ডাইরেক্টর পদে ঘাপটি মেরে বসে ছিলেন। এরশাদ ক্ষমতায় এসেই হাফিজুর রহমান লস্করকে এই বলে এন এস আই থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করেছেন যে, তুমি পুলিশের লোক হয়ে এখানে কি কর? যাও, পুলিশের পোষাক পরে রাস্তায় চোর ধর। বলেই এন এস আই-এর ডেপুটি ডাইরেক্টরের পদ থেকে হাফিজুর রহমান লস্করকে সোজা আর্মড্ পুলিশের তৎকালীন হেডকোয়ার্টার ১৪নং কোম্পানী কমান্ডার পদে বদলী করে পাঠিয়ে দেয়। এই কারণে আর্মড্ পুলিশের কোম্পানী কমান্ডার (পুলিশের সিনিয়র এস পি) হাফিজুর রহমান লস্কর জেনারেল এরশাদ ও তার সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে খুবই চটা ও বৈরী ছিলেন। এর উপর ছিল নগদ অর্থের টোপ।

এরশাদের প্রতি ভয়ানক ক্ষেপা ও বিরাগভাজন এবং নগদ অর্থের টোপ দু'য়ে মিলে, ছাত্র আন্দোলনের নামে ছাত্র হত্যার প্রস্তাব আসা মাত্র সঙ্গে সঙ্গে হাফিজুর রহমান লস্কর প্রস্তাব গ্রহণ করলেন। এন এস আই এর মূলত কাজ হচ্ছে কারা সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করে তাদের লিস্ট বা তালিকা তৈরি করে সরকারকে সরবরাহ করা এবং সরকারের পতন হলে সঙ্গে সঙ্গে পতন হয়ে যাওয়া সরকারের আমলে তৈরি করা সমস্ত নথিপত্র পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলে নতুন সাদা ফাইল নিয়ে নতুন সরকারের কাছে হাজির হওয়া। ৩০শে মে '৮১ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হলে এন এস আই-এর কর্মকর্তাগণ জিয়া বা বিএনপি সরকারের আমলে তৈরি করা সমস্ত নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলতে যায়। কিন্তু যে মুহূর্তে নথিপত্রে অগ্নিসংযোগ করতে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তে উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হন। অর্থাৎ বিএনপি সরকারই টিকে যায়। ফলে এন এস আই কর্মকর্তাগণ নথিপত্র পুড়িয়ে না ফেলে আবার তা সংগ্রহশালায় যত্ন করে তুলে রাখেন। উপ- রাষ্ট্রপতি সাত্তার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হলেও মূলত ক্ষমতা চলে যায় সেনাবাহিনী প্রধান হোসেন মোহাম্মদ এরশাদের হাতে।

সেলিম ও দেলোয়ার হত্যা

বছর ঘুরে এলো ১৯৮৪ সাল। আবার ফিরে এলো ভাষা আন্দোলনের শহীদের মাস, ফেব্রুয়ারী মাস। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নতুন বছরের নির্দেশ- এরশাদের বিরুদ্ধে আবারো ছাত্র আন্দোলন করতে হবে।

৩রা ফেব্রুয়ারী ১৯৮৪ সাল। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে বিকেল ৪টায় বসলো এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক। বৈঠকে নেত্রী যে কোন প্রকারেই হোক ছাত্র আন্দোলন করার কঠোর নির্দেশ দিলেন। শুরু হলো আবার ছাত্র হত্যার নতুন পরিকল্পনা। একদিকে চলতে লাগলো ছাত্র হত্যাকারী পুলিশ অফিসার হাফিজুর রহমান লস্করদের ভাড়া করার কাজ। অন্যদিকে চলতে লাগলো সাধারণ ছাত্রদের ক্ষেপিয়ে তুলে ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত করার কাজ।

শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে খুবই দ্রুত ছাত্র হত্যাকারী পুলিশ অফিসারদের ভাড়া করার কাজ সম্পূর্ণ হলো। কিন্তু আন্দোলন করার নানাভাবে বহু রকম চেষ্টা-তদবির করেও ছাত্রদের আন্দোলনে শরীক করা গেল না।

গোটা ছাত্রসমাজই এরশাদের বিরোধী। কিন্তু আন্দোলনের প্রশ্নে, আন্দোলনের নেতৃত্বের প্রশ্নে ছাত্র সমাজ শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করলো না। বেগম জিয়া এবং বিএনপি-র তখনো তেমন কোন অস্তিত্ব অনুভব করা যায়নি। দিন গড়িয়ে যায়, কিন্তু ছাত্র আন্দোলনের তেমন কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এদিকে ছাত্র হত্যাকারী আর্মড পুলিশেরা '৮৩র মধ্য ফেব্রুয়ারীতে সংঘটিত ছাত্র হত্যার অনুরূপ পরিকল্পনা ও কর্মসূচী হাতে নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে এবং গত মধ্য ফেব্রুয়ারীর ন্যায় একটা ছাত্র মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আসার জন্য বারবার তাগাদা দিচ্ছে। তাগাদা দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। দিন যায় কিন্তু আন্দোলনের কোন খবর নেই। এক পর্যায়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা অধৈর্য হয়ে 'তোমাদের দ্বারা কিছুই হবে না' বলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।

অনেক চেষ্টা করেও শ'পাচেক ছাত্রের একটা মিছিল নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আসতে পারলাম না। ফলে গত '৮৩র মধ্য ফেব্রুয়ারীর ন্যায় ছাত্র হত্যা সম্ভব না হওয়ায় হত্যার ধরন পাল্টানো হলো।

আর্মড পুলিশের কোম্পানী কমান্ডার পুলিশের সিনিয়র এস পি হাফিজুর রহমান লস্কর ছাত্রহত্যার পরিকল্পনায় আর্মড পুলিশের পরিবর্তে রায়ট পুলিশকে সম্পৃক্ত করে এবং নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিক হয় যে, ২০/৫০ জনের একটি মিছিল কোন রকমে যে কোন দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন দিক দিয়ে বাইরে নিয়ে এলেই রায়ট পুলিশ (যে পুলিশ ২৪ ঘন্টা বিশ্ববিদ্যালয়েই থাকে) ছাত্র হত্যা পরিকল্পনা সফল করে দেবে। সাধারণ ছাত্র তো দূরের কথা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই মিছিলে আসতে চায় না।

এদিকে নেত্রীর কড়া নির্দেশ ছাত্রলীগের একটা খণ্ড মিছিল নিয়ে হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে যেতে হবে, নইলে তোমাদের দায়িত্ব থেকে বিদায় নিতে হবে। ২৮শে ফেব্রুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস-এর বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো এবং যথারীতি এই সিদ্ধান্ত জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে জানান হলো শেখ হাসিনার মাধ্যমে এই সংবাদ হাফিজুর রহমান লস্করের মারফত রায়ট পুলিশের ঘাতকদের জানানো হলো।

২৮শে ফেব্রুয়ারী ১৯৮৪, হঠাৎ ৩০/৪০ জন ছাত্রের একটা মিছিল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ত্যাগ করে চানখাঁরপুল হয়ে ফুলবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ড এর দিকে দ্রুত যেতে থাকলো। এই মিছিলের পেছনে পেছনে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রায়ট পুলিশের একটি লরি আসতে লাগলো।

বোঝা গেল এবার সামনে থেকে ছাত্র হত্যা করা হবে না, হত্যা করা হবে মিছিলের পেছন থেকে। যারা এই পরিকল্পনা অবহিত তারা যতটা সম্ভব মিছিলের সামনে থাকতে লাগলো।

মোটামুটি মিছিলের অনেকেই জানে পেছন থেকে মিছিলে আক্রমণ করা হবে। রায়ট পুলিশের লরি থেকেই এই আক্রমণ করা হবে তবে রায়ট পুলিশের লরি থেকে গুলি করা হবে, না অন্য কোন ভাবে আক্রমণ করা হবে এটা কেউ জানতো না। তখন বিকেল পাঁচটা, ক্ষুদ্র ছাত্র মিছিলটি নিমতলী পার হয়ে ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই রায়ট পুলিশ তাদের লরিটি বিদ্যুৎ গতিতে মিছিলের উপর তুলে দিল। মিছিলের পিছন দিকে থাকা সেলিম মুহূর্তের মধ্যে পুলিশের লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে গেল। বাকি সবাই রাস্তার দু'দিকে ছিটকে পড়ে প্রাণে বাঁচলেও দেলোয়ার সোজা দৌঁড়াতে লাগলো। প্রাণভয়ে দেলোয়ার দৌড়ায় আগে, দেলোয়ারের প্রাণবধ করতে পেছনে দ্রুত ছুটছে রায়ট পুলিশের লরি।

মিনিট দু'য়েক-এর মধ্যেই দেলোয়ারের দেহ চাকায় পিষে রাস্তার সাথে মিশিয়ে দেয় পুলিশের লরি। দেলোয়ারের দেহ এমন ভাবে রাস্তার সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এটা যে দেলোয়ারের দেহ তা বোঝাতো দূরের কথা, এটা যে একটা মানুষের দেহ তাই বোঝা যাচ্ছে না। আর পেছনে পিচ ঢালা রাস্তার সাথে থেতলে মিশে আছে সেলিমের দেহ।



ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে সংবাদের জন্য অধীর আগ্রহে উৎসুক হয়ে বসে থাকা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী, সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে রায়ট পুলিশের চাকায় পিষ্ট হয়ে সেলিম ও দেলোয়ারের নিহত হওয়ার সংবাদটি পৌঁছাল মটর সাইকেল আরোহী। ছাত্রলীগের দু'জন নেতার নিহত হওয়ার সংবাদটি শুনে শেখ হাসিনা পুলকিত ও আনন্দিত হয়ে বলে উঠলেন, সাবাস। তারপর গাড়ির ড্রাইভার জালালকে বললেন, জালাল গাড়ি লাগাও আমি বাইরে যাবো। মটর সাইকেল আরোহী সঙ্গে যেতে চাইলে নেত্রী বললেন, তোমরা এক কাজ করো, *আসো। আজ সবাই চলে যাও।

গিয়ে নেত্রীকে না পেয়ে মটর সাইকেল আরোহী সোজা মহাখালী চলে এবং পাজেরো জীপ দেখতে পেয়ে নিশ্চিত হলো, নেত্রী এখানেই য়ে নেত্রীকে না পেয়ে বাবুর্চি রমাকান্তের কাছে জানতে পারলো, নেত্রী অজ্ঞাত গাড়ী আর চালকের সঙ্গে অজ্ঞাত স্থানে গিয়েছেন অনেক ভোরে। দুপুর ১টার দিকে ফিরে এসে নেত্রী খাওয়া-দাওয়া করে সোজা চলে এলেন ধানমন্ডি ৩২শে ভবনে। ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতা বিকেল তিনটায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে এসে সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছাত্রলীগ নেতা সেলিম ও দেলোয়ারকে পুলিশের লরির চাকায় পিষ্ট করে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার প্রতিবাদে সামরিক একনায়ক স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন করার কর্মসূচী চাইলে সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই বলে ছাত্রনেতাদের সান্ত্বনা দেন যে, আমাদের মূল শত্রু জিয়াউর রহমান এবং তার দল বিএনপি। জিয়া তো শেষ। জেঃ এরশাদ বিএনপির কাছ থেকে মাত্র কিছুদিন হলো ক্ষমতা দখল করেছে। আমাদের এখন প্রধান কাজ, বিএনপিকে চিরতরে শেষ করে দেওয়া। এই মুহূর্তে আমরা জেনারেল এরশাদের বিরুদ্ধে সরাসরি যাব না। আমাদের মূল শত্রু বিএনপি এটা মনে রাখতে হবে। ছাত্রনেতারা সেলিম ও দেলোয়ারের হত্যার জন্য আবেগাপ্লুত হলে শেখ হাসিনা বলেন, আবেগপ্রবণ হয়ে লাভ নেই। সময় হলেই এদের পরিবারকে পুষিয়ে দেওয়া হবে।

ছাত্রনেতারা কোন রকম কর্মসূচী ছাড়াই ভগ্ন হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু ভবন ত্যাগ করলো ।
***
এবার বলুন;
১. সেদিন কি ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে রায়ট পুলিশের গাড়ির চাকার নীচে পিষ্ঠ হয়ে সেলিম ও দেলোয়ার নামে দুজন ছাত্রলীগ কর্মী বা দুজন ছাত্র মারা যায় কি না?
২. এই ছাত্র হত্যার জের ধরে ছাত্ররা এরশাদ বিরোধী কোন আন্দোলন করেছিল কি না?

প্রশ্ন আপনাদের কাছে রইল; ছাত্রলীগের দুজন কর্মী এমন নিশ্বংসভাবে একজন স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেয়া বাহিনীর হাতে খুন হবার পরেও তাদের নেত্রী কেন কোন আন্দোলনের ডাক দেন নি?

আপনি কি মনে করেন নিজের দলের কর্মী ছাত্রদের জীবন যার কাছে কোন মুল্য নেই- তার কাছে বাকি পুরো দেশের ছাত্রদের জীবনের কোন মুল্য আছে????
প্রশ্নটা রেখে গেলাম- উত্তর দিবেন না হয় নিজের বিবেকের কাছে খুঁজবেন?


***আপনাদের জন্য রেফারেন্স রইল;***
ত ২৮শে ফেব্রুয়ারী ২০২৩ সালে ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহীম সেলিম- কাজী দেলোয়ার হোসেনের স্মরণে হাতিরপুলে একটা স্মরণসভার আয়োজন করা হয়;অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শহীদ সেলিম-দেলোয়ার স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ড. আব্দুল ওয়াদুদ, যিনি ১৯৮৪ সালের ঘটনায় আহত ছাত্রলীগের সাবেক নেতাও ছিলেন।
'যে প্রতিবাদে সেলিম ও দেলোয়ারকে হত্যা করা হয় সেখানে আমিও উপস্থিত ছিলাম। আমি গুরুতর আহত হয়েছি এবং এক মাসেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ছিলাম। সেই দিনের স্মৃতি এখনও আমার মনে তাজা,' তিনি স্মরণ করেন।
১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলিস্তানের কাছে এইচ এম এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে পুলিশের ট্রাক চাপায় সেলিম ও দেলোয়ার নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রলীগ নেতা নিহত হন।
~ খবর 'দ্যা নিউ এজ'
Chhatra League leaders Selim, Delwar remembered

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: মতিউর রহমান রেন্টু যা কিছু লিখেছেন- তা বর্ণে বর্ণে সত্য। শেখ হাসিনার প্রতিটি কার্যকলাপেই সেই সত্য তিনি নিজেই প্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছেন।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: আমি ঠিক জানিনা ভাই- তবে একদম ভুয়া তথ্যে ঠাসা নেই সে বই তা আমি নিশ্চিত বুঝতে পারছি। সত্য তো অবশ্যই আছে। তবে নিখুঁত ইতিহাস কেউ লিখতে পারে বলে মনে হয় না- পক্ষপাত দুষ্ট হয় খানিকটা, যেখানে লেখকের নিজের বক্তব্য বা মতামত সেখানে থাকে।
অনেকদিন পরে আমার ব্লগবাড়িতে আপনাকে দেখে কি যে ভাল লাগছে। এখন দুষ্টের দমন কঠিন হাতে হবে।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: শেখ হাসিনার কাছে কারো কোন মূল্য নেই। তাহার নিকট ক্ষমতাই শেষ কথা।

আর সে যে চোখে গ্লিসারিন দিয়ে কাঁদে এবং কাদার অভিনয় করে, এ তাহার বিগত ১৬ বছরের কথিত কান্নার দৃশ্যগুলো দেখলে একটা বাচচাও বলে দিতে পারবে - এ সত্যি কান্না নয় অভিনয়।

এ মহিলা ফেরাউনের প্রতিনিধি এবং জিঘাংসাপরায়ন, যাহার নিকট দেশ-জন প্রেম নয় - তাহার ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া তথা জিঘাংসাপরায়নতা বাস্তবায়নই মুল কথা। তাহার জন্য যেভাবে এবং যাহা করা দরকার তাহাই সে করেছে। তা আইন পরিবর্তন করে, বিচার বিভাগের কাধে বন্দুক রেখে কিংবা শাসন বিভাগের প্রতিকে ব্যবহার করে।

আর সে যে নিজের স্বার্থে যে কাউকে কোলে বসাত এবং স্বার্থ ফুরালে ছুড়ে ফেলে দিত তাহার নজির প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আতি থেকে পাতি নেতা সবাই ছিল।

আর সে সর্বদা নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত জংগী-রাজাকার এরকম নানান ধরনের কাহিনী-ঘটনার অবতারনা করত এবং এক ঘটনা শেষ না হতে হতেই আরেক নতুন ঘটনার অবতারনা করত। যাহা দেশের মানুষ অবলোকন করেছে তাহার পুরো শাসনামল জুড়ে।

আর সে আসলেই সে একজন মানুষ নয়। একজন সাইকোপ্যাথ, একজন আওয়ামীলীগ।

কারন - মানুষ কখনো আওয়ামীলীগ হতে পারেনা ।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: আমি মনে করি আওয়ামীলীগ যারা করে তারা সবাই লোভে পড়ে নয় - কেউ কেউ ভালবেসে করে। অনেকে বঙ্গবন্ধুকে অন্ধের মত ভালবাসেন কেউবা হাসিনাকে এখনো ফেরেশতা বলে বিশ্বাস করে। এখানে সবাইকে এক কাতারে দয়া করে ফেলবেন না।
হাসিনা সন্মন্ধে সব কিছু জানার পরেও কিছু মানুষের মোহমুক্তি ঘটবে না- সেই মানুষগুলোর ব্রেন এমনভাবে ধোয়া হয়ে গেছে তারা সবকিছুই তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিবে। এইটাই হচ্ছে জাতি হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বা দুর্বলতা।
আমি দিনে দিনে তার সন্মন্ধে যত জানছি তত বেশী নিজের প্রতি ঘেন্না হচ্ছে- হায় কেন এদেশে জন্মালাম বলে :(
আমি যে এখনো বেঁচে আছি সেটাতো অসীম ভাগ্যের।
ভাল থাকুন।

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেক আগে কোথায় যেন পড়ছিলাম, হাসিনা নাকি গান্জা অথবা ডাইলখোর ছিল? এই ব্যাপারে কিছু জানেন নাকি? সম্ভবতঃ রেন্টু তার ''আমার ফাসি চাই'' বইতে এই বিষয়ের উপর আলোকপাত করছিল। গণভবনে তো এইবার বিয়ার পাওয়া গেছে। নেশাখোর হাসিনা বিয়ারও খাইতো নাকি? :P

এই ভিডিওটা দেখছেন নাকি?view this link =p~

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: * ওই লোকটার কথাবার্তা বেশী নোংরা- আমি তাকে বরাবর এড়িয়ে চলি।
বিয়ার মদ খাওয়ার মধ্যে আমি তেমন খারাপ কিছু দেখি না। যতই ঢং করুক না কেন- বাংলাদেশের বড় একটা অংশ জীবনে কোন
না কোন সময় এসব একটু চেখে দেখে।
আর গাঞ্জা তো বস জিনিস :) এইসব খাইলে সে এইরকম সাইকো হইতো না। মেথ,ক্রিস্টাল,এল এস ডি এগুলার কথা বলেন-
নাইলে মিনিমাম কোকেনে নামেন, যা খাইলে মানুষ হিংস্র স্বভাবের হইতে পারে। গাঞ্জা ডাইল মস্তিস্ক ঠান্ডা করার নেশা :) :)

*এইসব আপনার আমার গোপন কথা। পাবলিকে মনে করতে পারে এইসব আমার চেনাজানা নেশা। পরে কোন একদিন চামে চিকনে আমি আবার উপদেষ্টা হইলে কেউ একজন এই বাৎচিত ফাঁস কইর‍্যা দিতে পারে।

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:০৬

এস.এম.সাগর বলেছেন:

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: হুম আপনি পড়ছেন তাহলে। বেশ - মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম ...

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১১

আল ইফরান বলেছেন: রেন্টু সাহেবের বই আমি পড়েছিলাম হাইস্কুলে থাকা অবস্থায় এবং সেখানে অনেক কিছুই বিশ্বাসযোগ্য বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। বিশেষ করে মৃণাল কান্তির সাথে তার অবৈধ সম্পর্কের বিষয়ে আমরা আগে থেকেই অবগত ছিলাম কারণ সেই ভদ্রলোকের বাসা আমাদের পাশের মহল্লায় ছিলো এবং তার ভাতিজা আমাদের সহপাঠী ছিলো।
ওয়াজেদ মিয়া মারা যাওয়ার পরে আমার এক সহকর্মী যিনি আবার সাংবাদিকও বটে, তাকে বলেছিলাম যে ওয়াজেদ মিয়া অবশেষে চিরদিনের জন্য শান্তি লাভ করেছেন।

@সোনাগাজী, শেরজা ভাইকে ঠিক কি কারনে আপনার আদম ব্যবসায়ী বলে মনে হয়েছে? ব্যক্তি আক্রমণ পরিহার করুন।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি- আপনার কথায় বিশ্বাস করা যায়।
আহা কতদিন বাদে আপনাকে দেখলাম - ভাল আছেন ভাই, পুরনো সহব্লগারদের দেখলে কত ভাল লাগে।


* ওই বদমায়েশটা কি লিখেছিল আমি দেখিনি। বেজন্মাটা হচ্ছে ব্লগের টিউমার- তাকে চিরতরে ছেটে ফেলা প্রয়োজন।

৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

জটিল ভাই বলেছেন:
বিশ্বাস করেন ভাই, বইটা আমার কাছে কৌতুকের বই মনে হইছে। অনেক হাসছি বইটা পড়ে। একটা গল্পতো প্রায়ই মনে পরে যে, হাসিনার নির্দেশ আছিলো যেনো কেউ তার সময় বেশি নষ্ট না করে। তাই কেউ গপ্পো জুড়ালে সেন্টু সাব যেনো এসে খাবার জন্য তাগিদ দেয়। তো কোন মিস্ত্রির সাথে মেয়র হানিফ নিয়া কথা বলায় মজে গেছিলেন। তখন বারবার খাবরের তাগিদ দিলে এক পর্যায়ে তিনি বলেন যে, "আমি খাইছি" =p~ =p~ =p~

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি রসিক মানুষ তাই সব কিছুতে মজা খুঁজে পান। এটাকে অবশ্য কৌতুকের বই বলে তার পুরো লেখাকে বেশী হালকা করে
দিলেন।
একজন ভয়ঙ্কর সাইকো কৌতুক অভেনেত্রীকে সেখানে খুঁজে পাওয়া যায় বটে কিন্তু ইতিহাস আর আলোচনাকে তাচ্ছিল্য করা যায়না।

৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



মতিউর রহমান রেন্টু দেখে দেখে লিখেছেন। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জীবনে কল্পনা করা যায় না - এমনসব কঠিন বাস্তবতা উঠে এসেছে তার লেখার ছত্রে ছত্রে। তার সাহসের প্রশংসা করতেই হয়।

আসলে, ভয়ঙ্কর মিথ্যাবাদী হাসিনার জীবনের অধিকাংশটাই কেটেছে অভিনয়ে। গ্লিসারিন মাখতে মাখতে এখন তার জীবনটাই গ্লিসারিনময়। লাগাতার মিথ্যাবাদী। জঘন্যতম রক্তপিপাসু। সিরিয়াল কিলার। ভয়ানক খুনী। ভিনদেশী তাবেদার। বকধার্মিক। নির্মমতায় অপরাজেয়। নৃশংসতায় অদ্বিতীয়।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২২

শেরজা তপন বলেছেন: আমিতো পদে পদে ভীষন আতঙ্কে অপমান লজ্জায় চোখ বন্ধ করে ফেলছি- বিশ্বাস করুন, এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না।
আমি চাচ্ছি খাঁটি লীগের কেউ এসে এই ঘটনার ব্যাখ্যায় কিছু বলুক। এই ব্লগের অনেককেই আমরা চিনি জানি যারা হাসিনাকে অন্ধভাবে ভালবাসতেন তাকে বিশ্বাস করতেন। তেমন কেউ এসে কিছু বললে ভাল লাগবে।

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জীবনে কল্পনা করা যায় না - এমনসব কঠিন বাস্তবতা উঠে এসেছে তার লেখার ছত্রে ছত্রে। ~ আপনার এই কথার সাথে একমত। ধন্যবাদ।

৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৫৯

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: একজন খাটি আওয়ামিলীগের কমেন্ট দেখি মুছে ফেলা হয়েছে !! মডু আর কত সুযোগ দিতে চায় ইনাকে ?

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: তার কুৎসিত কদাকার আসল চেহারা উন্মোচন হয়ে গেছে। ' এখন মালে ভোল পাল্টে ইউনূসের প্রশংসায় ব্যস্ত!'
এই ভয়ঙ্কর ক্রিমিনালটাকে ব্লগ কর্তৃপক্ষ কি ফায়দায় এখনো পুষে রাখছে আমার ধারনা নেই।

৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১৯

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: আপনার বাড়ি কি আসলেই ফরিদপুর?

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০২

শেরজা তপন বলেছেন: অনার্য শেখ ও বেড়া ভাঙ্গা সৈয়দের গল্প!
এই লিংকটি দেখার অনুরোধ রইল।

১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রেন্টুর লেখা 'আমার ফাঁসি চাই' বইটা আমি আরও ১০ বছর আগে পড়েছি। তার আরেকটা বই আছে (নাম ভুলে গেছি) যে বইয়ে সে লিখেছে কিভাবে সে হাসিনার গোয়েন্দা পুলিশ থেকে পালিয়ে ছিল। খুলনার এক পতিতাপল্লীতে কিভাবে এক পতিতা তাকে ভাই হিসাবে কিছু দিন রেখেছিল। পরে সে সুন্দরবনে কয়েক বছর কাটায় জীবন বাঁচাতে। অনেক আগে পড়েছি তাই ভালো করে মনে নাই। যে কোন থ্রিলার বইকে হার মানায়। দুইটা বইয়ের-ই লেখার ধরণ দেখে বোঝা যায় লেখক বানিয়ে কিছু বলছে না। নির্জলা সত্য কথা। পড়া শুরু করলে শেষ না করা পর্যন্ত থামতে ইচ্ছে হবে না।

'আমার ফাঁসি চাই' বইটা আবার পেলাম ইন্টারনেট থেকে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নীচে দিলাম;

রাষ্ট্রপতি জিয়া হত্যা
এরশাদকে ক্ষমতা গ্রহণের আমন্ত্রন
১৯৮৩ - মধ্য ফেব্রুয়ারিতে ছাত্র হত্যা
সেলিম ও দেলোয়ার হত্যা
দেশদ্রোহী অসভ্য বাহিনী (সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে)
মসজিদ সরিয়ে ফেলুন
১৯৮৬ র নির্বাচন
আন্দোলন আন্দোলন খেলা
পদত্যাগ নাটক
টাকার বিনিময়ে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী
জাহানারা ইমাম এবং শেখ হাসিনা
গোলাম আজম এবং শেখ হাসিনা বৈঠক
১৯৯২ এর হিন্দু মুসলিম রায়ট
ফেরি আটকিয়ে ফেলে রাখা
শেখ হাসিনা - গোলাম আজম ২য় বৈঠক
শেখ হাসিনা এবং মেয়র হানিফ
রুমালে গ্লিসারিন
আজ আমি বেশী খাব
টাকার ভাগ দিতে হবে
জাহানারা ইমাম মরছে, আপদ গেছে
শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলি
স্বামী স্ত্রী রাতও কাটাননি
শেখ হাসিনার দেহে আঘাত
রাজাকারের ছেলের সাথে বিয়ে দেবো না
এক কোটি সাতত্রিশ লক্ষ টাকা
আমার সাথে বেঈমানি করেছে
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল নাসিমকে ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তাব
পুলিশের লাশ চাই, মিলিটারির লাশ চাই
হিন্দুরা নৌকায় ভোট দেয়
রাজাকারের কাছে আসন বিক্রি
হিন্দুরাই আমার বল - ভরসা
সৈন্য নামানোর নির্দেশ দিয়ে চম্পট
রওশন এরশাদের পা ধরা
বোরখাওয়ালীদের সিট
দুই বোনের ভাগাভাগি
শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি
কাদের সিদ্দিকি বনাম শেখ হাসিনা
কুত্তার জাত
টাকা আর লাশ
স্বামীর সাথে না থাকা (ছাত্রলীগ নেতা মৃণাল কান্তি দাসের সাথে সম্পর্কের বর্ণনা, আর আছে সেনানিবাসে একজনের কাছে নিয়মিত যাতায়াতের গল্প)
হিন্দুরা কেন আওয়ামীলীগ সমর্থন করে
পাচার
কার কত টাকা

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: এত কষ্ট করে সূচীপত্র দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
পরের বইটার কথা জানা ছিল না অনেক ধন্যবাদ জানানোর জন্য। শিরোনাম জানা থাকলে বলবেন প্লিজ।

১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:১৯

করুণাধারা বলেছেন: আমি কিন্তু এই বইটা অনেক আগে পড়েছিলাম। অনেক কিছুই ভুলে গিয়েছিলাম, আপনার লেখা পড়ে মনে পড়ল।

তবে মনে আছে গ্লিসারিন দিয়ে কান্নার কথাটা। তাই যখনই তাঁকে কাঁদতে দেখতাম, আমার মনে হতো কতটুকু গ্লিসারিন দিলে এভাবে কাঁদা যায়। মেট্রো রেলের জন্য ওনার কান্নাকাটি দেখে আমার এই কথা মনে পড়ছিল। তারপর পোস্ট লিখতে বসলাম রেল মেট্রো রেল ভাঙচুর নিয়ে। সেখানে অবশ্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয়ে বলতে পারিনি যে, ওনার এই কান্নাকাটি গ্লিসারিন দিয়ে করা।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমরাও অনেক কিছু বলতে গিয়ে বলতে পারিনি। কতবার কতকিছু লিখে আবার কি বোর্ড চেপে মুছে ফেলেছি।
জানিনা এসব বলার জন্য আবার ভবিষ্যতে কি বিপদে পড়তে হয় :(

১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:২৯

অক্পটে বলেছেন: বইয়ের লিংক টা দেয়া যাবে।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: 'গুগোলে' সহজেই পেয়ে যাবেন। একটা বই এর লিঙ্ক, লেখক বা প্রকাশকের অনুমতি ব্যতিত এখানে দেয়া ঠিক না।

১৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:০৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: বইটির ব্যাপারে আমার জানা ছিল না! অনেক কিছু আমার বিশ্বাস হচ্ছে না! তবে পরার ইচ্ছে আছে!

যাইহোক, কয়েকদিন আগে মেজর ডালিমের 'যা দেখেছি, যা বুঝেছি, যা করেছি' বইটা কিছুটা পড়লাম, বিশেষ করে আমার জানার ইচ্ছা ছিল তৎকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর সাথে শেখ মুজিবুর রহমানের কী নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল, কেন আওয়ামী লীগকে পছন্দ করতেন না!

ডালিম লিখেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানের প্রেক্ষিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নাখোশ ছিল, বিশেষ করে ডালিম যেহেতু কিছু অভিযান পরিচালনা করেছিলেন, তাই তাকেও শিক্ষা দিতে চেয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে ডালিম এবং তার স্ত্রীকে এক বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে যায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা এবং তাদের শেখ মুজিবুর রহমানের বাসায় নিয়ে যায়। এদিকে আর্মি ডালিম এবং তার স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য সারা শহর খুঁজতে থাকে। তারা খবর পায় যে তাদের শেখ মুজিবুর রহমানের বাসায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর প্রধান এবং আরো অনেকে সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। তাদের সাথে সন্ত্রাসীরা দুর্ব্যবহার করে, ডালিমের স্ত্রী কেঁদে শেখ মুজিবের কাছে বিচার চান। সেনাবাহিনীর চাপে শেখ মুজিব তাদের ছেড়ে দেন তবে জানান যে তাকে পার্টি চালাতে হয় এবং পার্টির চাপে অনেক কিছু করতে হয়। সেই সন্ত্রাসীকে তাই শুধু মৌখিকভাবে সরি বলে ছেড়ে দেন কিন্তু আর্মির অফিসাররা তাতে রাজি হননি।

আর্মির অনেক মেজররা ব্যাপারটা জানতে পারেন এবং সবাই মিটিং করে সেনাবাহিনীর প্রধানকে শেখ মুজিবুর রহমানের বাসায় পাঠান বিচারের জন্য। শেখ মুজিব অপারগতা জানান এবং সেই রাতেই তার বাসায় রক্ষীবাহিনীকে পাহারায় পাঠান। সারা শহরের রক্ষীবাহিনী বেশ তৎপর হয় কারণ শেখ মুজিব বুঝতে পেরেছিলেন যে আর্মির পুরো বাহিনী এই ব্যাপারে নাখোশ। একই সাথে সীমান্তের অপর প্রান্তে মৈত্রী চুক্তি ব্যবহার করে শেখ মুজিব ভারতীয় বাহিনীকে এলার্ট করেছিলেন, যার প্রমাণ পাওয়া যায় সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর তৎপরতায়। সেনাবাহিনী ক্ষোভে ফেটে পড়ে, শেখ মুজিবুর রহমান তার পরও সেই সন্ত্রাসীর বিচার করতে পারেননি। আসলে পুরো বিষয়টায় তিনিও জড়িত ছিলেন এবং নিজেই আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজদের চাপে ছিলেন। পরিস্থিতি শান্ত করে ডালিমকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে পাঠিয়ে দেন এবং সব শান্ত হলে ডালিমসহ আরো ৮-৯ জন অফিসারকে চাকরিচ্যুত করেন। ডালিম এবং তার স্ত্রী শেখ মুজিবের বাসায় যান, ডালিমের স্ত্রী বলেন, "চাইলাম বিচার, আমাদের অপমানের বিচার, আর আপনি চাকরিচ্যুত করে প্রতিদান দিলেন!" শেখ মুজিব বলেন, "আমাকে পার্টি চালাতে হয়," ইত্যাদি বলে। পুরো ব্যাপারটি ডালিম তার বইয়ে বলেছেন। এই পুরো ঘটনার পর সেনাবাহিনী আওয়ামী লীগের উপর ক্ষিপ্ত ছিল এবং রক্ষীবাহিনী নিয়ে তাদের ক্ষোভ ছিল। আর্মির অফিসারদের অভিযোগ ছিল, শেখ মুজিব বেছে বেছে আর্মিতে 'জি-হুজুর' টাইপ অফিসারদের উপরের লেভেলে নিয়োগ দিয়েছেন, যোগ্য লোকদের তিনি দূরে সরিয়ে রাখতেন!

১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: 'আমি ডালিম বলছি' বইটার কথা ছোট বেলা থেকে শুনেছি, কিন্তু শেখ মুজিবের মোহে এমন অন্ধ ছিলাম যে, সেই বই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে পড়িনি। আমাদের সবার ধারনা ছিল এসব বানোয়াট কথা। বঙ্গবন্ধু তখন সবকিছুর উর্ধ্বে- তিনি এমন কোন ভুল করতে পারেন না এই ছিল অন্য সব সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারন মানুষের মতই আমারও ধারনা।
ধন্যবাদ ঘটনাটুকু শেয়ার করার জন্য- অনেকে এখানে কামালের নাম জড়িয়ে দেয়- সেটা কি সত্য?

১৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:২১

কামাল১৮ বলেছেন: সিরাজ সিকদারের সাথে প্রথম দেখা ৬৮ মালিবাগ্ মাও সে তুং রির্সাচ শেন্টারে।তার পর অনেক দিন তার সাথে অনেক বিষয় নিয়ে আলাপ করেছি।পিয়ারা বাগানে কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছি এক সাথে।মৃতুর আগ পর্যন্ত যোগাযোগ ছিলো।
হাসিনা ছিলো মন্দের ভালো।হাসিনা না থাকলে খালেদা জিয়া।তার শাসন দেখেছি।দেখেছি দশট্রাক অস্ত্রের চালান,গ্রেনেড হামলা,হাওয়া ভবন সহ অনেক কিছু।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: তাহলে তাকে নিয়ে কিছু লিখুন। আমরা তার রহস্যময় জীবন সন্মন্ধে কিছু জানি। এমন একজন ব্যক্তিত্বকে জানার বড় ইচ্ছে ...
এসব ইতিহাস লুকিয়ে রাখবেন না।

১৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কামাল১৮ বলেছেন: তার সম্পর্কে অনেক লেখা হয়েছে।নতুন করে আর কিছু লেখার নাই।তার সমস্ত লেখাই অন লাইনে আছে।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: তা থাক- আপনি আপনার মত করে বলেন। আপনার সাথে তার মতাদর্শের মিল কতটুকু ছিল, এখন এই সময়ে এসে কি মনে হয়-সেই আন্দোলন কি ভুল ছিল বা সঠিক পথে ছিল?

১৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০০

কাছের-মানুষ বলেছেন: অনেকে এখানে কামালের নাম জড়িয়ে দেয়- সেটা কি সত্য?

আমিও এই ব্যাপারে আগ্রহী ছিলাম, তাই ডালিমের বইতে এ বিষয়টি খোঁজার চেষ্টা করেছি। তবে যতটুকু পড়েছি, পাইনি। বরং ডালিমের বইতে কামালের ব্যাপারে যতটুকু পড়েছি, তাতে কামাল ডালিমের সঙ্গে বেত্তমিজি করেননি, আদপের সাথে কথা বলেছেন। তাই কামালের নাম জড়িয়ে যা আসে তা সম্ভবত মিথ্যা।

তবে, ডালিমকে চাকরিচ্যুত করে বঙ্গবন্ধু স্বীকার করেছিলেন যে তিনি পার্টির চাপের মধ্যে আছেন। ডালিমকে এর পরিবর্তে বিদেশী দূতাবাসে চাকরির অফার করেছিলেন, তবে ডালিম তা গ্রহণ করেননি।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: তাহলে এ বিষয়ের জন্য এতবড় নারকীয় হত্যাকাণ্ডে তার জড়ানো ঠিক হয়নি।

১৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি গতকাল পড়েছিলাম।
আজ এসে মন্তব্য গুলো পড়ে গেলাম।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সেই চিরচেনা ট্রিপিক্যাল মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ:)

১৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: এ রকম চটিবই বিশেষ এমাউন্ট দিয়ে পরাজিত প্রতিপক্ষরা তৈরী করে এবং প্রচার করে । দুনিয়ার বিখ্যাত বহু ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে বিকৃত রুচি সম্পন্ন এ ধরনের লেখা বিদ্যমান। কাটতিও ভালো। এবং কৌতুক, রুপকথা হিসেবে উপভোগ্যও বটে। বর্তমান পৃথীবির মানুষের রুচি বিকৃতির সবচেয়ে মোক্ষম ক্লাসিক পরিমাপক “স্যাটানিক ভার্সেস” ও তসলিমা রচনা সমগ্র। দেশীয় ফালু কাহিনী এবং তপনদার আলোচ্য কিতাবটি দেশের টং-আলোচকদের মিড নাইট আওয়ার প্রানবন্ত করে তোলে।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: যাক একজনকে পেলাম অন্তত :)
ধরে নিচ্ছি আপনার কথা ১০০% সত্য -শতভাগ মিথ্যায় ভরা এটা একটা কৌতুকময় রূপকথার চটিবই।

দেখুন, আমরা মুল পয়েন্টে আসি; কে মদ খাইল গাঞ্জা খাইল, পরকিয়া করল কিংবা গ্লিসারিন দিয়ে কাঁদল এনিয়ে আমার কোন মাথাব্যাথা নেই। মানুষ এমন কিছু করতেই পারে। আমি অতি গুরুত্বপূর্ণ স্পেসিফিক একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি, এই তথ্যের সাল তারিখ খুব বেশী পুরনো নয়। সে সময়কা্র সেই ঘটনার বহু মানুষ এখনো বেশ সুস্থ্যভাবেই বেঁচে বর্তে আছে বলে আমার বিশ্বাস। যেহেতু ঘটনাটা আওয়ামীলেগের একদম নিজের ঘরের সেহেতু এই একটা ঘটা মিথ্যা প্রমানের মাধ্যমেই রেন্টু সাহেবের পুরো বইটার অসত্য তথ্যের দিকে আঙ্গুল তোলা যায়। আমি দুটো প্রশ্ন করেছি;
১।আসলেই কি সেদিন এভাবে দু'জন ছাত্রলীগের নেতা হত্যার ঘটনা ঘটেছিল?
২। যদি ঘটে থাকে তাহলে এর পরে কি ছাত্রদের পক্ষ থেকে বা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে এরশাদ বিরোধী কোন আন্দোলন প্রতিবাদ মিছিল মিটিং হয়েছিল? থাকলে যে কোন একটি প্রমান পেশ করুন? আর যদি না হয় তবে কেন হয় নি সেটা বলে যাবেন কিন্তু- কোন কিছু শুধু গায়ের জোরে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিলে চলবে না। প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাবেন প্লিজ।
এতে করে আওয়ামীলীগের নেত্রী হাসিনাও খানিকটা দায়মুক্ত হবেন সেই সাথে রেন্টুর লেখা বইটা যে ভুয়া ও বিদ্বেষমূলক সেটাও প্রমানিত হবে।

১৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: সব মানুষের নিজস্ব একটা মত থাকে,আমারও আছে।আবার অন্যের মতের সাথে কিছু মত মিলে যায়।সে থিসিস লিখে প্রমান করে পূর্ববাংলা পাকিস্তানের উপনিবেশ।যদিও পাকিস্তান একটি সাম্রাজ্যবাদী দেশ না।এর থেকে মুক্তির উপায় জাতিয় স্বাধীনতা যুদ্ধ।তার এই বক্তব্য আমার কাছে সঠিক মনে হয়েছে।যেটা ভাসানী বলেছিলে ৫৭ সালে।কিন্তু পরে তিনি আর অগ্রসর হননি।

২০| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:০৯

রানার ব্লগ বলেছেন: বিএনপির প্রথম ক্ষমতা থেকে আছাড় খাবার সময় ১৯৯৫ সাল । ওই সময় জামাত এক খান স্বাত পত্র বের করেছিলো উহাতে খালেদার জন্ম বৃতান্ত রসিয়ে রসিয়ে পুস্তক আঁকারে ছাপা হয়ে ছিলো এবং জামাত শিবির কর্মীরা জনতা কে ফ্রী বিলিয়েছে ।

পৃথিবীর এমন কোন অকথ্য নোংরা কোন শব্দ না যে তা তারা ব্যাবহার করে নাই সেই পুস্তকে । ছাপা মারা আঃলীগ কর্মী ও সমর্থকরাও ছি ছি বলতে বাধ্য কয়ে ছিলো এমন পুস্তক প্রকাশ করায় জামাতের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেছিলো ।

রেন্টুর পুস্তক কতো খানি সত্য আমি জানি না । তবে ৯৮ শতাংশ বিশ্বাসযোগ্য না । রেন্টু নিজের আখের গোছাতে না পেরে বমি করেছিলো ।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:২২

শেরজা তপন বলেছেন: ৯৮% বললে তো উনসত্তুরের গন আন্দোলন -বঙ্গবন্ধুর উত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, বঙ্গবন্ধুর মার্চের ভাষন ও পরবর্তী অবস্থা, স্বাধীনতা যুদ্ধ, জিয়ার ক্ষমতাগ্রহন, তার হত্যা। এরশাদের চক্রান্ত সহ অনেক ইতিহাস মিথ্যা হয়ে যায়। একটু ভেবেচিন্তে বলেন ভাই- তিনি এতটা ফেলে দেবার মত মানুষ নন কিন্তু।
হ্যাঁ একজন আওয়ামীলীগ সমর্থক কিংবা ধরুন নিরপেক্ষ হিসেবে হয়তো বলতে পারেন ইত্যিহাসকে রংচং দিয়ে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন, কিন্তু ইতিহাসতো আমরাও কিছু জানি নাকি ব্রো?

২১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬

রানার ব্লগ বলেছেন: ৯৮% বললে তো উনসত্তুরের গন আন্দোলন -বঙ্গবন্ধুর উত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, বঙ্গবন্ধুর মার্চের ভাষন ও পরবর্তী অবস্থা, স্বাধীনতা যুদ্ধ, জিয়ার ক্ষমতাগ্রহন, তার হত্যা। এরশাদের চক্রান্ত

এই ২% !!! সত্য বাকি সব গল্প!

আমার চৌদ্দ গুষ্টিতে বাংলাদেশে সকল দলের ছড়াছড়ি । বহু দলীয় পরিবার !! তারা স্থানীয় পর্যায় বা রাস্ট্রিয় পর্যায় মোটামুটি ভালো অবস্থানে আছে তাই অনেকের খবর পেয়ে যাই ।

২২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:২৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আর ঠিক এই কারণেই মানুষ রাজনীতিকে এত ঘৃণা করে। বিপদে পড়ে অথবা এই নষ্ট সমাজে টিকে থাকার তাগিদেই হয়তো কিছু মানুষ রাজনীতিতে জড়ায় কিন্তু মন থেকে অধিকাংশ মানুষই রাজনীতিকে ঘৃণা করে।

শুনেছি গ্রাম গঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে অনেকেই নাকি নিজের ছেলেকেও হত্যা করে!

২০১৫ তে মাহমুদুর রহমান মান্নার একটি অডিও কল ফাঁস হয় যেখানে তিনি ছাত্র আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন।

আন্দোলনে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করা মানে নিজের পতন ডেকে আনা এ কথা শেখ হাসিনার চেয়ে ভালো অন্য কারো জানার কথা নয়, আর তাই সদ্য সমাপ্ত আন্দোলনে এতগুলো লাশ ফেলার পিছনে কে বা কারা কলকাঠি নেড়েছিলো বলে আপনার ধারণা?

ক্ষমতার নেশা যখন একবার মানুষকে পেয়ে বসে তখন তা কোকেইন, এলএসডি, পেপটাইডের নেশাকেও হার মানায়।

২৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৪৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে এবং পিছনের ঘটনা বিশ্লেষণ করে বুঝা যাচ্ছে ব্লগার হত্যা এবং হোলি আর্টিজোনে হামলার পিছনে আওয়ামীলীগের হাত রয়েছে, হত্যা হয়তো করেছে ইসলামি জঙ্গিরা কিন্তু তাদের ব্যবহার করেছে আওয়ামীলীগ।

প্রায় সব জঙ্গি গোষ্ঠীকে কোন না কোন রাজনৈতিক দল মদত দিয়ে থাকে এমনকি সোমালিয়ার জলদস্যুরাও অনেক বড় বড় দেশের সাপোর্ট পেয়ে থাকে।

২৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:২৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমি কেন পিছিয়ে থাকি হাজিরা দিয়ে গেলাম।

২২ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: হাজিরা নিলাম :)

২৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী স্বচক্ষে দেখার পর এবং ঘটনাসমূহের সচিত্র প্রতিবেদন দেখা ও শোনার পর এই বই এর অনেক তথ্যকেই এখন আর অমূলক ভাবার কোন অবকাশ থাকে না।
এই দেশে না জন্মাইলেও স্যাটেলাইট এবং ইন্টারনেট এর কল্যাণে মানুষের এমন কদর্য রূপ না দেখে থাকতে পারতেন না।

২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:২১

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দেরিতে দেবার জন্য দুঃখিত। দেশের এই বিশেষ পরিস্থিতিতে কোনকিছুতেই ঠিকমত মনঃসংযোগ ঘটাতে পারছি না।
অনেক কিছু লেখার ও বলার মত ঘটনা জমে আছে কিন্তু কেমন যেন অস্থিরতা কাজ করে।

যাই হোক আপনি ভ্রমন নিয়ে আর কিছু লিখছেন না যে। সবকিছুর পাশাপাশি আমাদের একটু অবসর বা বিনোদনের গল্পেরও প্রয়োজন আছে। আসা করি ভাল আছেন- চিন্তা করবেন না, দেশ ঠিক সঠিক পথেই এগুচ্ছে।

২৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫

নজসু বলেছেন:


আপনার পোষ্টটা আজকে পড়লাম। কাকতাল হলো গতরাতে আমার ফাঁসি চাই বইটা শেষ করেছি। শুরু করার পর শেষ না হওয়া পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছিলাম। রাত একটার পরপর শেষ করে ফেলি। চরম বিনোদিত হচ্ছিলাম।

আমার কাছে সবকিছুই বিশ্বাসযোগ্য লাগছিলো। রেন্টু এবং রেন্টুর স্ত্রী ময়না এবং কন্যা স্বরলিপি হাসু আন্টির যতখানি ঘনিষ্ট ছিলেন তাতে লেখকের উনার (হাসিনা) আদ্যোপান্ত সবই জানার কথা।

সত্যি বলতে কি মটর মিস্ত্রী সিরাজের সাথে হানিফকে নিয়ে হাসু আন্টির ক্ষোভালাপ এতোটাই জমে উঠেছিলো উনি আমি খাইছি বলে হাস্যরসের সৃষ্টি করেছিলেন। উনার হিন্দী সিনেমা দেখা, ফেন্সিডিল খাওয়া, জিন্দেগি জিন্দেগি বলে ডান্স কর এগুলো একটু অস্বাভাবিক লেগেছে। তবুও তো উনি মানুষ। একজন মানুষ হিসেবে এইসব কাজ উনি করতেই পারেন।

পত্র পত্রিকা এবং পারিবারিক অ্যালবাম থেকে লেখক যেসব ছবি দিয়েছেন তাতে বইটি অবিশ্বাস করার কিছু দেখছিনা।
যে যতো চালাক সে ততো বেশি ধরা খায়। হাসু আন্টি এটা প্রমাণ করলেন।

মানলাম বইটির ঘটনা পুরোপুরি বা আংশিক সত্য। লেখক এসব জনসম্মুক্ষে তুলে ধরলেন কেন? এখানেও কি মানুষের সেই স্বার্থপরতা, হিংসা কাজ করছে? একটা চ্যাপ্টারে দেখলাম হাসু আন্টি লেখকে এমপি বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে লেখককে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছেন। লেখক কি এতেই প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে একজন মানুষের বেডরুমের গা টেপাটিপি, স্বামীর সাথে রাত কাটালো কিনা এসব ঘটনা তুলে ধরেছেন? স্বার্থের ব্যাঘাত হলে দুনিয়ার রীতি পাল্টে যায়।

যার সাথে দীর্ঘ বারোটা বছর ঘনিষ্টভাবে কাটলো তাকে দেশবাসীর কাছে এভাবে হেয়প্রতিপন্ন কেন করলেন? নিশ্চয়ই স্বার্থ রক্ষা হয়নি।

শেখ হাসিনা ভালো ছিলেন না, মন্দ ছিলেন সেটা বিচার করার ক্ষমতা আমার নেই। উনার কার্যকলাপ আমার পছন্দ নয় এজন্য ব্যক্তিগতভাবে আমি তাকে অপছন্দ করি। মানবচরিত্রের একটি দুর্বল দিক হলো অন্যের দোষ চর্চা করা। মানুষ নিজের ব্যাপারে সুধারণা রাখে, নিজেকে নির্দোষ ভাবে। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে দুনিয়াতে কোনো বান্দার দোষ গোপন রাখে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। তবে এটাও বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনা সরকার যেসব কাজকর্ম করে দেশের, দেশের জনগনের ক্ষতি করে চলেছেন সেগুলো জনসম্মুক্ষে তুলে ধরা উচিত হয়েছে। এটা বৃহত্তর স্বার্থ। কিন্তু ব্যক্তি স্বার্থে বেডরুমের ইতিহাস তুলে ধরাটা অতিরিক্ত হয়ে গেছে।

আমরা কেউ ফেরেশতা না। যতোটুকু প্রয়োজন ততোটুকু ইতিহাস বইটিতে তুলে ধরলে বইটি আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হতো।

ধন্যবাদ সবাইকে।

২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার একটা মন্তব্য।
আমিও লেখাটা পড়তে পড়তে আপনার মতনই ভেবেছি। এই লেখাটাই রাজনৈতিক মাঠে একটা ভাল লেভেলের সমালোচনামূলক সাহিত্য ও শিক্ষিত ও বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রেনীর জন্য দারুন শিক্ষা ও পাঠমূলক একটা লেখা হতে পারত। কিন্তু তিনি কোন এক অজানা কারনে দারুন একটা শুরু করে পরে লেখার খেই হারিয়ে ফেলেছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এত বেশী ব্যক্তিগত ও নোংরা বিষয়াদি তুলে এনেছেন যা তার পুরো বই এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহের মুখে ফেলেছে।
ধরুন; প্রথম যৌবনে আমি কোন এক তরুনীর সাথে খোলামেলাভাবে মিশেছি, বন্ধুদের সাথে হৈ হুল্লোড় করে জুয়া খেলেছি, দু পেগ মদ খেয়ে মাতলামি করেছি কিংবা ফাঁকে ফোকরে গাজা চরস টেনেছি, তার মানে এই নয় যে আমি পুরোটা জীবন ধরেই ওরকম- ওটাই আমার মুল চরিত্র, আমাকে দিয়ে এ পৃথিবীর কোন ভাল কর্ম সম্ভব নয়। সারাজীবন ধরে যদি আমার সব ভাল কাজের সামনে ওই বিষয়গুলো এনে দাড় করিয়ে আমাকে অপদস্থ, অপমান কিংবা অবমুল্যায়ন করা হয় -তবে এর থেকে হতাশা আর কষ্টের আর কি হতে পারে।
মানুষ পাল্টায়- মানুষ পালটে যায়। হাসিনাও পাল্টে গিয়েছিল আমূলভাবে- সে যে জন্ম থেকে এমন ক্রূর ভয়ঙ্কর ছিল তা নয় মোটেও। তার সাইকোলজিটাও বুঝতে হবে। মানসিকভাবে সে অসুস্থ ও বিকারগ্রস্থ ছিল।
ওরা দু-বোন বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের মানুষকে কোনদিন ভালবাসাতে পারেনি- ক্ষমা করতে পারেনি এটাই মুল সত্য। আমরা ভুল করেছি তাদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে। তারা আমাদের ব্যবহার করেছে ধোঁকা দিয়েছে সত্য কিন্তু- কিন্তু তার আশেপাশের মানুষগুলোতো এমন বিকারগ্রস্থ ছিল না, তারাতো তার মত মানসিক ট্রমার মধ্য দিয়ে যায় নাই। কিন্তু তারা তাকে সর্বোতভাবে সাহায্য করেছে- শুধু নিজেদের লাভের জন্য পুরো দেশ ও জাতির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। রিন্টুও এদের একজন ছিল সেটা সত্য।

২৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: লেখক বলেছেন: যাক একজনকে পেলাম অন্তত :)
ধরে নিচ্ছি আপনার কথা ১০০% সত্য -শতভাগ মিথ্যায় ভরা এটা একটা কৌতুকময় রূপকথার চটিবই।

দেখুন, আমরা মুল পয়েন্টে আসি; কে মদ খাইল গাঞ্জা খাইল, পরকিয়া করল কিংবা গ্লিসারিন দিয়ে কাঁদল এনিয়ে আমার কোন মাথাব্যাথা নেই। মানুষ এমন কিছু করতেই পারে। আমি অতি গুরুত্বপূর্ণ স্পেসিফিক একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি, এই তথ্যের সাল তারিখ খুব বেশী পুরনো নয়। সে সময়কা্র সেই ঘটনার বহু মানুষ এখনো বেশ সুস্থ্যভাবেই বেঁচে বর্তে আছে বলে আমার বিশ্বাস। যেহেতু ঘটনাটা আওয়ামীলেগের একদম নিজের ঘরের সেহেতু এই একটা ঘটা মিথ্যা প্রমানের মাধ্যমেই রেন্টু সাহেবের পুরো বইটার অসত্য তথ্যের দিকে আঙ্গুল তোলা যায়। আমি দুটো প্রশ্ন করেছি;
১।আসলেই কি সেদিন এভাবে দু'জন ছাত্রলীগের নেতা হত্যার ঘটনা ঘটেছিল?
২। যদি ঘটে থাকে তাহলে এর পরে কি ছাত্রদের পক্ষ থেকে বা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে এরশাদ বিরোধী কোন আন্দোলন প্রতিবাদ মিছিল মিটিং হয়েছিল? থাকলে যে কোন একটি প্রমান পেশ করুন? আর যদি না হয় তবে কেন হয় নি সেটা বলে যাবেন কিন্তু- কোন কিছু শুধু গায়ের জোরে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিলে চলবে না। প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাবেন প্লিজ।
এতে করে আওয়ামীলীগের নেত্রী হাসিনাও খানিকটা দায়মুক্ত হবেন সেই সাথে রেন্টুর লেখা বইটা যে ভুয়া ও বিদ্বেষমূলক সেটাও প্রমানিত হবে।

২৮ ফেব্রুয়ারি। সেলিম-দেলোয়ার দিবস। ১৯৮৪ সালের এই দিনে গণআন্দোলন চলাকালে স্বৈরশাসকের পুলিশের ট্রাক সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মিছিলের ওপর তুলে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলেই শহীদ হন সেলিম ও দেলোয়ার নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র। হত্যার পর লাশ দুটিকে নিজেরাই তুলে নিয়ে পোস্টমার্টেমে করে পুলিশ। দাফনও করা হয় তাদের পাহারায়।

ইতিহাসের তথ্য, দেশে তখন সামরিক শাসন ছিল। ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে ছিল ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের মিছিলের কর্মসূচি। প্রথা অনুযায়ী প্রতিটি হল থেকে সব ছাত্র সংগঠনের পৃথক পৃথক মিছিল বিকাল ৪টার মধ্যে মধুর ক্যান্টিন ও সংলগ্ন অঞ্চলে সমবেত হয়। কেন্দ্রীয় নেতারা মধুর ক্যান্টিনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করেন, সমাবেশকে উজ্জীবিত করেন। যদিও সেদিন ঘটতে যাচ্ছে, সবকিছুই ছাত্র সমাজের কাছে অজানা ছিল।

তারপরও মিছিলটি শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে দিয়ে রোকেয়া হল পেরিয়ে টিএসসি হয়ে, কার্জন হলের দিকে এগোতে থাকে। মিছিলটি কার্জন হল পার হয়ে ফুলবাড়িয়ার দিকে অগ্রসর হয়। দাঙ্গাপুলিশ মিছিলের সামনে ও পেছনে অবস্থান নেয়।

সেদিন সেলিম ও দেলোয়ার ছিলেন মিছিলের পেছন দিকে। মিছিলটি ফুলবাড়িয়া এলাকায় পৌঁছানোর পরই বর্তমান ফায়ার ব্রিগেড অফিসের পাশ থেকে পুলিশের সেই ট্রাক অতর্কিতে পেছন থেকে মিছিলের ওপর দিয়ে দ্রুতগতিতে চালিয়ে দেয়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সেলিম ও দেলোয়ার। সেলিম ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। আর দেলোয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

তাদের আত্মত্যাগ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখে। সেই ঘটনার পর থেকে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমাবেশে আর রাজপথের এরশাদবিরোধী মিছিলে ছাত্ররা স্লোগান দিতে থাকে; ‘সেলিম, দেলোয়ার, তিতাস; আন্দোলনের লাল পলাশ’।

নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা শফী আহমেদ লিখেছেন, ‌‌‘সে এক নিষ্ঠুরতম হত্যাযজ্ঞ! সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র অর্জনের লড়াইয়ের এক রক্তাক্ত অধ্যায়। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল, পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করল, নির্বিচার লাঠিচার্জ করল, কে নেতা কে কর্মী সেই লাঠিচার্জে কোনো বাচবিচার ছিল না। ইব্রাহীম সেলিম ও দেলোয়ারের লাশ পুলিশ ছিনিয়ে নিয়ে গেল ঢাকা মেডিকেলের মর্গে। তার পরের ইতিহাস আরও নিষ্ঠুর-নির্মম! সেই লাশগুলো তাদের গ্রামের বাড়ি পুলিশ পাহারায় পাঠিয়ে দেওয়া হলো এবং দাফন করা হলো। আজ সেলিম-দেলোয়ারের শহীদ হওয়ার দিনে তাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। সেলিম-দেলোয়ারের আত্মদান সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।’

রিন্টু সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যর নেতার চেয়ে বেশী জানার কারন এখন আপনি অনুসন্ধান করেণ।

২৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৫৯

মেহবুবা বলেছেন: বাংলাদেশে জন্মেছিলেন বলেই তো হীরার টুকরো সোনার টুকরো সন্তানদের পরিচয় দিতে পারেন, যদিও তাদের কথা বলতে গেলে বা মনে করতে গেলে দম বন্ধ হয়ে আসে, কষ্ট সীমাহীন!
আর কদর্য রূপ বলছেন কেন, ভয়ংকর চেহারা !
কিভাবে মানুষ পারে জানোয়ার থেকে নীচে নামতে?

২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: বাংলাদেশে জন্মেছিলেন বলেই তো হীরার টুকরো সোনার টুকরো সন্তানদের পরিচয় দিতে পারেন, যদিও তাদের কথা বলতে গেলে বা মনে করতে গেলে দম বন্ধ হয়ে আসে, কষ্ট সীমাহীন!
~ সেটা আপনি আমি বললে কি হবে- এই ব্লগে অনেকেই যারা এই ছাত্রদের মৃত্যুতে উলুধ্বনি দেয় আনন্দ-উল্লাস করে। সেদিন একজনকে বেশ আয়েশ করে বলতে শুনলাম আহারে শালার আর্মির এত তাড়াতাড়ি আসার দরকার ছিল কি-আনসাররা ছাত্রগেরে যেইরকম সাপের মত বাওরেতেছিল দুই-চাইরডা মরার পরে আসলে ভাল হইত!! অথচ এই দেশে যেই দলই ক্ষমতায় আসুক তার দুই পয়সার লাভ নাই।
আমারা অনেকেই মানসিকভাবে চির প্রতিবন্ধী হয়ে গেছি। আমার কেন যেন মনে হয়; ৭১ এর যুদ্ধ এক শ্রেনীর মানুষকে এমন নিশ্বংস নির্মম অমানুষ বানিয়েছে যে, যে কোন পরিমান হত্যাকাণ্ড রক্তপাত এদের কাছে অতি সিম্পল ব্যাপার বলে মনে হয়। আর এরা নবীনদের সহ্যই করতে পারে না- এদের ধারনা দেশ এরা স্বাধীন করেছে, পুরো দেশের কতৃত্ব মৃত্যুর পরেও এদের হাতেই থাকবে। দেশের ভাল-মন্দ এরা ছাড়া কেউ ভাবতে পারে না।

২৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

অধীতি বলেছেন: সম্প্রতি র‍্যাবের এক কর্মকর্তা যখন বলে যে ইলিয়াস আলীকে সমুদ্রে হত্যা করা হয় তখন চোখের সামনে ইলিয়াস আলীর বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরে হাসিনার মায়া কান্নার দৃশ্য ভেসে উঠে। বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে হাসিনার পরোক্ষ সংযোগ এবং মেজর বজলুল হুদাকে নিজ হাতে জবাই। আরো কতশত করেছে যা বের হবে ধীরে ধীরে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০২

শেরজা তপন বলেছেন: হুম এসব যত দেখছি ততই রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের প্রতি আক্রোশ আর ঘৃনা বেড়েই যাচ্ছে।
ক্ষমতার একটা পর্যায়ে গিয়ে সাধারন মানুষকে তেলাপোকা শ্রেণীর মনে হয়।
হাসিনার ভয়ঙ্কর রূপের একটা ধারনা ছিল কিন্তু এতটা ভয়াবহভাবে তা প্রকাশ পাবে ভাবিনি। আরো কত কিছু জানার বাকি আছে ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.