নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
~কলকাতার গ্র্যান্ড ওবেরয়ে'র বিখ্যাত রেসিপি The Wood Smoked Hilsa (মিরোরডডল এর জন্য' কাঁটা ছাড়া)
ইলিশ সংস্কৃতি
অনেক বাঙালি হিন্দু পরিবার বিভিন্ন পূজার শুভ দিনে জোড়া ইলিশ বা দুইটি ইলিশ মাছ কেনেন। সরস্বতী পূজা ও লক্ষ্মী পূজায় জোড়া ইলিশ কেনা খুব শুভ লক্ষণ হিসেবে মনে করা হয়। কিন্তু এই প্রথা পশ্চিমবঙ্গ (ভারত) ও বাংলাদেশের বাঙালি হিন্দুদের মাঝে প্রচলিত আছে। তাদের অনেকে লক্ষ্মী দেবীকে ইলিশ মাছ উৎসর্গ করেন। অনেকেই ইলিশ উৎসর্গ ছাড়া পূজাকে অসম্পূর্ণ মনে করেন।
অন্ধ্র প্রদেশে, এই উক্তিটি "পুস্তেলু আম্মি আইইন পুলাসা টিনোচ্চু" এর অর্থ এরকম "আপনার মঙ্গলসূত্র বিক্রি করে হলেও পলাশ(পুলাসা) / ইলিশ খাওয়া উত্তম'।
আগের পর্বের লিঙ্কঃ ইলিশনামা~১
বাংলায় ইলিশ বিবাহের সময় তাতওয়া উপহার হিসাবেও ব্যবহৃত হত। গায়ে হলুদ তত্ত্বের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে একজোড়া ইলিশ উপহার দেযয়র রীতি ছিল( মূলত হিন্দু সমাজে)। যাইহোক, ইলিশের ঘাটতির কারণে, আজকাল পশ্চিমবঙ্গে রুই মাছ দেয়ার সংস্কৃতি প্রচলিত হয়েছে। যদিও বাংলাদেশে এই ঐতিহ্য এখনো অব্যাহত রয়েছে। আমার এক হিন্দু দাদা বলেছেন, অতি গরিবেরা ‘জোড়া পুঁটি মাছ’ দিয়েও নাকি এ কর্ম সারেন!
বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে, একটি বিখ্যাত থালা, যা ভাজা ইলিশ মাছের সাথে থাকে স্বুসাদু 'খিচুড়ি। আহা 'খিচুড়ি-ইলিশ' সাথে যদি থাকে শুকনো লঙ্কা- কি অমৃত! এটি বর্ষাকালে সমস্ত বাঙালিদের ইলিশ মাস হিসাবে পরিচিত। উভয়বঙ্গেই ইলিশকে মাছের 'রাণী' বলা হয়। আর এদিকে "ইলিশ'কে বাংলাদেশে জাতীয় মাছ হিসেবেই স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছেই।
এই মাছটিকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের গোদাবরী জেলাগুলিতে ‘পুলাসা’ (পলাশ বা পুলাশ'ও বলা হয়) বলা হয়। পুলাসা বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরের মধ্যে সীমিত সময়ের জন্য নদীতে উঠে আসে, যখন গোদাবরী নদীতে বন্যা (কর্দমাক্ত) প্রবাহ থাকে। তখন মাছটির চাহিদা এত বেশী থাকে যে, মাঝে মধ্যে প্রতি কিলো ১০০ ডলারেও বিক্রি হয়।
গোদাবরী নদীর ইলিশে অন্ধ্র প্রদেশের একটা একটা বিখ্যাত 'পুলাসা' রেসিপি দেখে আসি;
‘পল্লো মাচি’ নামে পরিচিত ইলিশ মাছ সিন্ধি রান্নার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, সেখানে ইলিশ রান্নার অসংখ্য পদ্ধতি প্রচলিত আছে। সিন্ধিরা পছন্দের মশলা দিয়ে পল্লোচেলি মাখিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নেয়, কেউ কেউ পেঁয়াজ এবং আলু দিয়ে চমৎকার একটা মাছেরঝোল খায় নেকে আবার ইলিশ বারবিউয়েলে রান্না করে যাকে সিন্ধি ভাষায় "আানি" বলা হয় তাদের অতিপ্রিয় একটা ইলিশের পদ একটা।ভাজা মাছের পাশাপাশি এদের রসনায় পাল্লার ফিশ ফিললেটও যুক্ত হয়। অনেকের ধারনা ইলিশ শুধু বাঙ্গালীদের প্রিয় মাছ- আদপে কিন্তু তা নয় মোটেও। বাঙ্গালীদের থেকে সিন্ধিরা মোটেও ইলিশ কম পছন্দ করে না।
চট করে দেখে নিন সিন্ধি পাল্লা বা পল্লোমাচি (ইলিশমাছ) রেসিপি;
কলকাতার বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা তাদের সেই সুদিনে খাবার দ্বারা উদযাপিত হত। ইস্টবেঙ্গল যখন জিতত তখন তাদের ভক্তদের বাড়িতে ইলিশ ভোজ হত। একইভাবে, মোহনবাগান জিতলে সমর্থকেরা চিংড়ির থালা রান্না করত।
ফরিদপুর, মাদারিপুর, ঢাকা, বিক্রমপুর জেলায় আবার আরেক রীতি! সরস্বতী পুজোর দিন, ইলিশ কিনে প্রথমেই বাড়িতে ঢোকানো যাবে না! মাছের রানিকে আগে প্রদীপ জ্বালিয়ে, সিঁদুর মাখিয়ে, উলু দিয়ে বরণ করতে হবে! তারপর তিনি ঢুকবেন হেঁশেলে। তবে, এদিন কিন্তু ইলিশের ঝোল,ঝাল, অম্বল রাঁধলে চলবে না! শুধু নুন, হলুদ আর গোলমরিচ দিয়ে বানানো হবে ইলিশের ঝোল! আর মাছের আঁশগুলো ঘরের মধ্যে প্রধান যে খুঁটি রয়েছে, তাঁর গোড়ায় পুঁততে হবে! অনেকে আবার ধানের গোলার নীচে গর্ত করেও আঁশ পুঁতে রাখেন। এতে নাকি ভবিষ্যতে টাকার বৃষ্টি হবে!
সরস্বতী পূজায় জোড়া ইলিশের সেই আঁশের গল্পঃ
জোড়া ইলিশ আঁশ মাহাত্ম্য
“জোড়া ইলিশ এসে গেছে গো , গিন্নি মায়েরা কে কোথায় আছো শিগগিরই আসো”
চাকর দিনুর ডাকে হুলুস্থুল পরে গেলো মুখার্জি বাড়িতে । বরিশাল জেলার বিরমহল গ্রামের এক প্রান্তে বিশাল দালান বাড়ি তার সামনেই জোড়া পুকুর । সিংহ ফটক পেরিয়ে ঠাকুর দালানে প্রবেশ করার আগেই বা দিকে কাছারি ঘর, তার ঠিক পিছনে কুলদেবতার মন্দির । দেবী মনসার নিত্য পূজা হয় সেখানে।এক কালে জমিদারির রমরমা থাকলেও বর্তমানে সেই জৌলুশ আর নেই।কালের নিয়মে এসব অতীত তবুও বছরে দুবার পুরোনো এই জমিদার বাড়িতে হৈ হৈ কান্ড শুরু হয়।
একবার মনোসপুজোর সময় আর একবার বাগদেবীর আরাধনার সময়। মাঘ মাসে শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে বেশ বড় করেই দেবী সরস্বতীর পুজোয় হয় মুখার্জি বাড়িতে। বাপ ঠাকুর্দার আমল থেকেই এই চল হয়ে আসছে।বাড়ির ছোটো থেকে বড়ো সারাবছর ধরে এই দুটো দিনের জন্যই অপেক্ষা করে থাকে। বাঙাল বাড়ির সরস্বতী পুজো আর ইলিশ দুটোই যেনো সমার্থক।
শুক্লা চতুর্থীর দিন বিকেলে বাজার থেকে জোড়া মাছ কিনে আনতে হয়। বাড়ির সধবা বধূরা বরণ ডালা সাজিয়ে অপেক্ষা করে যুগল ইলিশের আগমনের। বরণ ডালায় থাকে নানা বিধ উপাচার। নতুন মাটির প্রদীপ যেটা এই পুজো উপলক্ষেই বানানো হয় আর থাকে কাঁচা হলুদ,পান, সুপারি, কাঠালি কলা, ধান ,দূর্বা, সিঁদুর মাখানো আমের পল্লব। শঙ্খ ধ্বনি আর উলু সহযোগে বরণ পর্ব শেষ হওয়ার পর নতুন একটি মঙ্গল কুলোর উপর ইলিশ দুটিকে রেখে গঙ্গাজল স্নাত আমের পল্লব দিয়ে স্নান করিয়ে গৃহে প্রবেশ করানো হয়। জমিদারি ঠাট বাট কালের গর্ভে তলিয়ে গেলেও পুজোর প্রতিটি আচার সাবেকিয়ানার সাথে পালন করে চলতো মুখার্জি পরিবার। জীবন যাপনে কিছুটা আধুনিকতা ও নতুনত্বের ছোঁয়া পড়তে শুরু করলেও প্রথাপালনে সেই প্রভাব কখনো পড়েনি।
সরস্বতী পুজোয় বাঙালদের প্রচলিত রীতির থেকে কিছু ব্যতিক্রমী নিয়ম আদিকাল থেকেই চালু ছিলো এই বাড়িতে। ইলিশের আগমনের দিন থেকে পুজোর ঘট ভাসানের দিন পর্যন্ত বাড়িতে আর অন্য কোনো আমিষ রান্না হয় না। পাঁচ পদের লোভনীয় ইলিশ থাকে দুই দিনের খাদ্য তালিকায়। এই পুজোতেই যেন শুরু হযে যায় সারা বছরের ইলিশ ভোজের সূচনা। যুগল মাছের গৃহ প্রবেশের পর সেই মাছ কাটতে বসেন বাড়ির কর্তারা।
সারাবছর গিন্নিরা রান্না ঘরের কাজকর্ম দক্ষ হাতে সামাল দিলেও এই একটি দিন মাছ কাটার দায়িত্ব এসে পড়ে বাড়ির পুরুষ দের। তবে এটাও বিরমহলের মুখার্জি বাড়ির প্রথারই একটা অঙ্গ। পুজোর জন্য তোলা থাকে শান দেওয়া বটি। বাড়ির বড় কর্তা আর মেজ কর্তা স্নান করে সাদা ধুতি পরে তবেই মাছে হাত দেন। এটাও পড়ুন: অরন্ধন বা রান্নাপুজো জোড়া ইলিশ কাটার সময় সারা বাড়িতে যেন হটাৎ শোরগোল ,প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। রান্না ঘরে দুই কর্তা কে ঘিরে গোল হয়ে জড়ো হয় বাড়ির সব সদস্য।
প্রথমেই সযত্নে ইলিশের গা থেকে আঁশ ছাড়ানো হয়। তারপর বড় কাঁসার বাটিতে সেই আঁশ রাখা হয়। কে কটা আঁশ নিতে পারে এই নিয়ে মোটামুটি হুড়োহুড়ি লেগে যেত বাড়ির ছোটো দের মধ্যে। জোড়া ইলিশ এর এই আঁশ কে সুখ সমৃদ্ধি ধন সম্পদের প্রতীক রূপে দেখা হত। টাকা জমানোর সিন্দুকে,বাক্সে, থলিতে,ঘটে সর্বত্র মাছের আঁশও রাখা হত। এই বিশ্বাস প্রচলিত ছিলো যে এই আঁশ রাখলে মা লক্ষী তুষ্ট হবেন অর্থাৎ সর্বদা সচ্ছলতা বিরাজ করবে এই সংসারে। এর পরেই পাঁচ রকম পদের রান্না হত এই জোড়া ইলিশ দিয়ে।
সরস্বতী পুজোর দিন দেবীকে ভোগ দেওয়া হবে মস্তক পোলাও দিয়ে। অর্থাৎ পোলাও তে ইলিশের মাথা থাকা আবশ্যক। পুজোর আগের দিন থেকে বিসর্জনের দিন অবধি বাড়ি থাকত ইলিশময়।এই মাছ নিয়ে পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন নিয়ম প্রচলিত আছে। তবে রীতি ও ঐতিহ্য ভেদে কোনো কোনো বনেদী বাড়িতে তার ব্যতিক্রম ও আছে বই কি। তবুও সরস্বতী পুজো মানেই ঘরে আগমন ঘটবে জোড়া ইলিশের। সেই ইলিশকে ঘিরে চলত সকলের মধ্যে নানা ব্যস্ততা ,নতুন নতুন পদ তৈরির প্রতিযোগিতা। কোন বাড়ি কোন নতুন পদ রেঁধে তাক লাগিয়ে দিলো সেটা নিয়ে গ্রামে বেশ চর্চার বিষয় হয়ে ওঠত।
পূর্ববঙ্গের সেকেলে বয়োজ্যেষ্ঠ অনেক মানুষের কাছেই এই ইলিশের গল্প শোনা যায়। আমার পরিবারের কিছু বংশধর পূর্ব বঙ্গে থাকার সুবাদে তাদের কাছেই এই কাহিনী শোনা। শুধু সেকালে নয় একালেও বহু বাঙাল বাড়িতে আজ ও এই প্রথা পালিত হয়ে আসছে।আধুনিক কালে যৌথ পরিবার ভেঙে হয়েছে একক পরিবার তাই পূর্বের সমস্ত আচার রীতি মেনে পুজো করতে না পারলেও শুধু নিয়ম রক্ষার্থে অনেক ঘরেই শ্রী পঞ্চমীর সরস্বতী পুজোর দিন ইলিশমাছ রান্না হয়। ( * লেখকের নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি- সুত্রঃ লাফালাফি ডট কম থেকে)
সরস্বতী পুজায় ইলিশ বরনের গীতঃ—
ইলিশ মাছে কাটে বউ
ধার নাই বটি দিয়া
ইলিশ মাছ রান্দে বউ
কচু বেগুন দিয়া।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: মাওয়া ঘাটে এই ইলিশ আর বেগুনভাজা বেশ উপভোগ্য সাথে ল্যাঞ্জা ভর্তা-টাও মজার!
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ইলিশ যেভাবেই রান্না করা হোক- সবই মজাদার!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: তা-তো ঠিক কিন্তু ইলিশ নিয়ে ইলিশের দেশের মানুষের মন্তব্য মন ভরল না
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৭
শাহ আজিজ বলেছেন: ইলিশ ভর্তা স্বাদে শ্রেষ্ঠ । পুরো কাটা বেছে এটা করা হয় । আমি মাত্র কয়েক দফা খেয়েছি । জাতে কুলীন বলে এই ভর্তা সবাই পারেনা বানাতে ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০১
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগের এখনকার ব্লগারদের মধ্যে অন্যতম ইলিশ বিশেষজ্ঞ আপনি একজন। আপনি যখন বলছেন, এমন কুলীন ভর্তা নিশ্চিত স্বুস্বাদু হবে। পরের পর্বগুলোতে আপনার সরব আগমন প্রত্যাশা করছি ভাই।
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩০
বাকপ্রবাস বলেছেন: ইলিশের ডিম এর স্বাদ আমারকাছে অন্যতম
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: সেটা আর বলতে- ইলিশের ডিম পেলে আর কি চাই।
লবণ দিয়ে ইলিশের ডিম ঘনটা খানেক রেখে দিয়ে, পরে ধুয়ে হলুদ মাখিয়ে ডুবো তেলে ভেজে উপরে কাগজী লেবুর রস ছিটিয়ে
গরম গরম খেতে দারুণ।
আপনিতো নতুন স্বাদের খাবার অনুসন্ধান করেন নিত্য।
৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ইলিশ প্রকৃত অর্থেই খুবই স্বাদের মাছ যার ধারে কাছেও কোন মাছ নেই তবে কাঁটা ছাড়া হলে তো কথায় নেই।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: ভাল ইলিশের কাঁটাটাও অনেক স্বাদের। লোকাল বরিশালের ইলিশের মাথা ও ঘাড়ের কাঁটাযুক্ত মাছের এক অন্যরকম স্বাদ আছে।
আমিতো খুব সখ করে ইলিশের কাটা চিবোই।
৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪
মায়াস্পর্শ বলেছেন: অসাধারণ দাদা।
আগের পর্বে মন্তব্য করে সে রাতে দুই পিছ খাওয়া হয়েছিলো। এ যেন এক নেশা ইলিশ খাওয়া।
ইলিশের কাটা চিবানোর পরে শেষ ঢোক গিলার মতো মজা আর নাই দাদা।
বেশ বেশ বেশ লিখেছেন।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় ভ্রাতা। ইলিশ না খেলে আর বাঙ্গালী কিসের!
ইলিশের কাটা চিবানোর পরে শেষ ঢোক গিলার মতো মজা আর নাই দাদা। এটা চমৎকার কথা। আমারও এক মত। ইলিশের কাঁটার যে অন্যরকম সোয়াদ আছে সেটা ক্যামনে বোঝাই
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৮
আজব লিংকন বলেছেন: শুরুতেই, (মিরোরডডল এর জন্য' কাঁটা ছাড়া) বেশ কদিন যাবত মিরোর আপু সাইলেন্ট, কি হয়েছে তার? কার উপর আবার অভিমান করলো সে? মিস ইউ ডল আপু।।
তপন দা আপনার লেখায় আপনি ইলিশকে একটা শৌল্পিক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন।। পড়ে মুগ্ধ হলাম।। আমরা ছেলেবেলায় একটা ছন্দ শুনতাম, "ইলিশ মাছে তিরিশ কাঁটা, বোয়াল মাছের দারি।" তারপরের লাইন মনে আসছে না। ইলিশের যে কত প্রকার পদ হতে পারে, আপনার ইলিশনামায় সে সব ধীরে ধীরে উঠে আসবে আশা রাখি।।
"আপনার মঙ্গলসূত্র বিক্রি করে হলেও পলাশ(পুলাসা) / ইলিশ খাওয়া উত্তম'।
আয় হায় সোয়ামি বেইচ্যা ইলিশ খাওনা। হা হা হা। ক্রেইজি ম্যান।। প্রবাদ যিনি বানিয়েছিলেন বলতেই হয় উনি ছিলেন প্রকৃত একজন ইলিশ পাগলা।। তার জন্য গভীর শ্রদ্ধা।।
মাছের আঁশগুলো ঘরের মধ্যে প্রধান যে খুঁটি রয়েছে, তাঁর গোড়ায় পুঁততে হবে! অনেকে আবার ধানের গোলার নীচে গর্ত করেও আঁশ পুঁতে রাখেন। এতে নাকি ভবিষ্যতে টাকার বৃষ্টি হবে!
কত রকমের বিশ্বাস মানুষের।। এ জন্যই বোধয় বলে, বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।। পূজায় ইলিশের ভূমিকা এত জানা ছিল না।। আজ জনলাম।। ইলিশের আঁশের কাড়াকাড়ি শুনে মনে হলো, এর আইষ্টা গন্ধ কি ছড়িয়ে যায় না সব জায়গায়?
পর্ব বেশ জমে উঠেছে ভাই।। ভালোবাসা ও শুভকামনা সবসময়।।
বিঃ দ্রঃ ‘পল্লো মাচি’ লেখার অংশে সিন্ধিরা পছন্দের মশলা দিয়ে মশলা দিয়ে পল্লোচেলি মাখিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নেয় "মশলা দিয়ে" ডাবল লেখা হয়েছে মনে হয়। ক্ষুদ্র এই বিষয় বলবো কি না তা ভেবে আমি নিজ মনে একটু শঙ্কিত হলাম।।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ তাইতো বেশ কিছুদিন শীতঘুম ভেঙ্গে সরব হয়েছিলেন কিন্তু ফের কেন চুপসে গেলেন!!
বড্ড অভিমানী ব্লগার। ফিরে আসবেন শিগগিরই আশা করছি। আমার এই লেখায় তার মন্তব্যের অপেক্ষায় আছি।
"ইলিশ মাছে তিরিশ কাঁটা, বোয়াল মাছের দাড়ি। ইয়াহিয়া ভিক্ষা ররে শেখ মুজিবের বাড়ি" এই রকম কিছু ছন্দ নিয়ে একটা পর্ব আছে।
আমরা ভাবি বাঙ্গালীরাই ইলিশ ভোজনে উস্তাদ- ওরাও কম নয় কিন্তু।
হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় বাসের জন্য জোড়া ইলিশ, ইলিশের আঁশ বিষয়ে আগে থেকেই আমি কিছু কিছু জানতাম। যশোহরের কিছু মানুষ নাকি ইলিশের আশ রান্না করে খায় শুনেছি।
এমন একজন পাঠক পাওয়া নিতান্তই সৌভাগ্যের ব্যাপার। এই লেখায় সব ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিলে আখেরে এই সিরিজের উপকারই হবে। আপনি সহ অন্য ব্লগারেরা যত পারেন ভুল ধরেন। ভুল ধরলেই বোঝা যায় তিনি সত্যিকারে লেখাটা খুটিয়ে পড়েছেন।
আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা আন্তরিক ভালবাসা রইল। পরের পর্বে কথা হবে ফের।
৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৪
মিরোরডডল বলেছেন:
বাড়ির সাধবা বধূরা
সধবা হবে।
যখন গোদাবরী নদীতে বন্যা (কর্দমাক্ত) প্রবাহ থাকে।
নদীর নাম সবসময় সুন্দর হয়।
কিন্তু এটা কেমন নাম? এমন পচা নামতো কখনও শুনিনি
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: আপনারা দেখি আমাকে শিক্কিত কইর্যা ছাড়বেন
নদীর নামটা তো আমার কাছে ভালই লাগছিল কিন্তু আপনার মন্তব্যের পরে মনে হচ্ছে আসলেই পচা নাম
৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২০
মিরোরডডল বলেছেন:
লিংকনের মন্তব্যের উত্তরে শেরজা বলেছে, পরের পর্বে কথা হবে ফের।
মানে কি?
এ কথা বলে তাকে থামিয়ে দেয়া কেনো!!!
এই লেখাতে কি সে আর আসতে পারবে নাহ?
অবশ্যই আসবে, এখানেই কথা হবে ফের
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এই প্যাচাইনা স্বভাব আর গেল না!!
কে কোন্ দিক দিয়ে মাইন্ড করে ফেলে তার কি ঠিক আছে- যত বেশী মন্তব্য তত বেশী আনন্দ।
আপনাকে পেয়ে ভাল লাগছে- @আজব লিংকন ভাবছিল আপনি মাইন্ড খাইছেন।
অসুস্থ ছিলেন নাকি?
১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩
মিরোরডডল বলেছেন:
পোষ্টের শুরুতে যে ছবিটা, দেখেই খুব উপাদেয় মনে হচ্ছে।
ওটা আমার
থ্যাংকস শেরজা, ইলিশ মাছের বোনলেস রেসিপি হয়, এই প্রথম দেখলাম।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ একদিন রাঁধেন- খাইতে আই
১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মিরোরডডল বলেছেন:
মাইন্ড কম খাই।
সুস্থ আছি, ব্যস্ত ছিলাম।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: ব্যস্ততা শরির মন দুটোর জন্যই উপকারী।
টাকা খায় না এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে কিন্তু মাইন্ড খায় না এমন মানুষ নেই একটাও।
১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১
বিষাদ সময় বলেছেন: গত শুক্রবার বাজারে দেখলাম বেশ ভাল সাইজের ইলিশ উঠেছে। কাছে গিয়ে দাম জিজ্ঞাসা করতেই বলল-" এক দাম ৩০০০ টাকা কেজি"। ৩০০০ টাকার লেগ কাটার বলটা কোন রকমে ব্যাক ফুটে ব্লক করে ইউ টার্ন নিলাম।
যাহোক এখন খাওয়া দাওয়া প্রচণ্ড রেস্টিকটেড। তারপরও মাঝে সাঝে খাই। ইলিশের স্বাদ সত্যি তুলনাহীন, তবে দিনের পর দিন খাওয়ার উপযোগী নয়। আমার কাছে সব চেয়ে প্রিয় ইলিশের ডিম আর পাতুরি।
"খিচুড়ি" কে "খিচুরি" করে রেখেছেন।
প্রতি মন্তব্যে আবার বলেন না-" সামনে বছর আবার কথা হবে"
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনিও দেখি মিরোর আফার মত একই সুরে গীত গাইছেন, ঘটনা কি ভাইডি? তলে তলে আফার লগে লিঙ্ক আছে নাকি
'ড়' আর 'র" এর চক্কর থেকে বের হইতে পারলে মন্দ হইত না। বিখ্যাত এক বাংলা ভাষার পণ্ডিত বলেছেন; লেখার সময়ে কোন অতি পরিচিত শব্দ যদি অপরিচিত-এর মত লাগে তবে সেটা ভুল জেনো নিশ্চিত- বানান যদি ঠিক ঠাক না জানো তবে যেটা মনে সায় দেয় সেটাই লিখো।
১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
কানাবাবা, আমি বলেছি মাইন্ড কম খাই।
মাইন্ড খাই না বলিনি
লেখক বলেছেন: হাঃ হাঃ একদিন রাঁধেন- খাইতে আই
আমি রাঁধবো ইলিশ???
আমার পুরনো পোষ্ট থেকে ইলিশ সমাচার কপি করে দিলাম। এরপরও আমাকে বলবে ইলিশ রান্না করতে
"যখন প্রথম এখানে এলাম সেইসময়ের কথা, হালকা পাতলা রান্নার চেষ্টা করি। একদিন কিছু ফ্রেন্ডস খাবে, খিচুড়ি, বিফ আর ইলিশ ভাজা করবো। এর আগে কখনো মাছ রান্না করিনি। বাই দ্যা ওয়ে, এখন মাছ আমার প্রিয় কিন্তু তখন আমি মাছ খেতাম না। চিংড়ি চলে কিন্তু ইলিশ একদমই না।
আমিতো জানি এখানে সব রেডি পাওয়া যায়, বাংলা দোকান থেকে প্যাকেট এর ইলিশ নিয়ে আসলাম। ধুয়ে মশলা মাখিয়ে গরম তেলে ভেজে নিচ্ছি। সামথিং রং, কেমন যেন আজব আচরণ করছে। বললাম বিহেভ কিন্তু মাছতো আমার কথা শোনে না। যত চেপে ধরি ততই বেঁকে বসে। অনেকটা স্মশানে যখন মৃতদেহ পোড়ানো হয়, বাঁশ দিয়ে চেপে ধরে নইলে উঠে দাঁড়ায় সেরকম। যাইহোক ধস্তাধস্তির পর বহুকষ্টে রান্না শেষ করলাম।
বন্ধুরা খাবার সময় একজন আরেকজনের মুখের দিকে তাকায়, চোখে চোখে কথা হয়। আমিতো মাছ খাচ্ছিনা, বুঝলাম না সমস্যা কোথায়। তারপর যা জানলাম, আসলে যা হয়েছিল মাছের আঁশ ছাড়ানো হয়নি প্রথমবার রান্না বলে কথা!
তাইতো বলি সখা তুমি এমন বেঁকে যাও কেনো। আহারে আমার বন্ধুদের জন্য মায়াই লাগে, কোন কুক্ষনে যে খেতে এসেছিলো আমার বাসায়। সেদিন ইলিশের সাথে আমার ব্রেকআপ হয়েছে, প্রথম এবং শেষ ভালোবাসা। আর কখনো আমি ইলিশ রান্নার চেষ্টা করিনি।"
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমে গড়িয়ে হাসি তারপরে বিটকেলে হাসি এরপরে নাকে-জলে এক করা
আপনার ইলিশকাহন পড়ে এই কয়টাই ইমো পাইলাম!!!
আমারে কানাবাবা কইলেন আপনিও
বাঙ্গালী বড়ই অদ্ভুত প্রাক্টিক্যাল জাতি; তারা খোড়ারে ল্যাংড়া কয়, অন্ধরে কানা কয়, কানে খাটোকে 'বয়রা' কয়- এরা কোন ভণিতার ধার ধারে না যে যেইটা তারে সেইটাই বারবার মনে করিয়ে দেয়। বিশ্বের বাকি সব সভ্য জাতিই এ ব্যাপারে ভণ্ড
১৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৭
মিরোরডডল বলেছেন:
বিষাদ সময় বলেছেন: প্রতি মন্তব্যে আবার বলেন না-" সামনে বছর আবার কথা হবে"
বিষাদের মন্তব্যে সুপার লাইক
হবেই তো, বিষাদও আমার মতো ইলিশের ডিম পছন্দ করে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও তারে খারাপ ঠোকা দেই নাই। দুজনে মিলে আমারে বেইজ্জতি করতেছেন কিন্তু
১৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
স্প্যানকড বলেছেন:
ইলিশ ভীষণ প্রিয় মাছ। ইলিশ ভাঁজার পর যে বাড়তি তেল আসে তা দিয়ে এক প্লেট গরম ভাত অনায়াসে খাওয়া যায়। আমি খেয়েছি বহুবার। যদিও কালে কালে এখন ইলিশ হয়ে গেছে একটি রাজনীতি মাছ।। ভালো থাকবেন সব সময়।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: কারো কারো ইলিশভক্তির কথা শুনে মনে হয় আমি বুঝি পিছিয়ে পড়লাম
ইলিশ ভাজির সময়ে ওর মধ্যে ইলিশের পাকস্থলী( আমরা বলি 'নুইঙ্গা' বা প্যাঁটা) দিয়ে ভাজলে আমারও সেই তেল দিয়ে গরম ভাত খেতে দারুন লাগে। এটা শুনলেই অনেকে নাক সিটকাবেন
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন ইলিশ হয়ে গেছে রাজনীতির মাছ। ইলিশ কিনতে গেলে দম বন্ধ হয়ে আসে।
১৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫০
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আমার মা টিফিন বক্সে অনেক পেয়াজ , কাচামরিচ, হাল্কা মসলা ও লেবু দিয়ে ভাপে ইলিশ রান্না করতেন। গরম ভাতের সাথে ইলিশের সেই রান্নাটাই আমার কাছে বেস্ট ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: ভাপা ইলিশ দুর্দান্ত একটা খাবার- ইলিশের অথেনটিক গন্ধটা মৌ মৌ করে। আমরা অনেকে লাউ পাতা, কচুর পাতায় ভাতে সেদ্ধ করে কেউবা কলাপাতায় (এটা পশ্চিমবঙ্গে চলে বেশী) ভাপে খায়, সবগুলোই মজার।
১৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৯
মিরোরডডল বলেছেন:
এবার শেরজা মাইন্ড খেয়েছে
লেখক বলেছেন: আমারে কানাবাবা কইলেন আপনিও
সমস্যা নেই শেরজা।
আমিও কানি মা।
সম্প্রতি আমাকেও রিডিং চশমা নিতে হয়েছে।
আমরা একই পথের পথিক।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: হু আহমেদের দারুচিনির দ্বীপে সম্ভবত শুভ্রকে সবাই কানাবাবা বলে ক্ষ্যাপাত!
সবে নিয়েছেন রিডিং চশমা:!! আমিতো সেটা দেড়যুগ আগে থেকে পড়ি। প্রথমবার অবশ্য ডাক্তারের হাতে পায় ধরেছিলাম একটা চশমা দেবার জন্য; নাহলে ভাব আসছিল না।
১৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খাওয়া দাওয়া সম্পর্কে আমার জ্ঞান শূন্যের কোঠায়, তাই ইলিশ নিয়ে কিছু বলতে পাড়ছি না। আমি শুধু জানি যে ইলিশ মাছ একটি সামুদ্রিক মাছ। ইহারা ডিম পারার জন্য নদীতে আসে। তারমানে আমরা যা খাই সেগুলি মেয়ে ইলিশ। অবশ্য তারা তাদের স্বামীদেরকেও নদীতে নিয়ে আসেন কি না সেটা আমার জানা নেই।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: খাওয়া বুঝলাম দাওয়া(পথ্যতেও) আপনার জ্ঞান শূন্যের কোঠায় নাকি? ভাবি কি এখনো জোড় করে নাক টিপে খাওয়ায়?
ইলিশ নিয়ে আপনার জ্ঞান দেখি ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই বাংলাদেশী পিএইচডি হোল্ডারের থেকেও বেশী!!!
হ্যাঁ ওদের স্বামীরা আপনার মতই, বৌদের দাবড়ানি খাইতে খাইতে শুকায় যায়, জেলেরা ঐগুলারে পাইলে ফের শুটকি দেয়।
১৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৮
আজব লিংকন বলেছেন: আমি হাসতে হাসতে শেষ।
উফ....
আপনাদের এমন সব মন্তব্য পড়লে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে।
ডল আপুকে দেখে খুব ভালো লাগলো।
লাভ ইউ অল।।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: যাক মিরোর আপুর রাজনীতির প্যাঁচে আপনি পড়েন নাই- উনি গিট্টু লাগানো ও ছাড়ানো দুটোতেই উস্তাদ মানুষ।
তাকে দেখে আমারও মন ভাল হয়ে গেছে- আমি নিশ্চিত সে যেখানেই থাকুক ত্যাড়ছা চোখে সবসময়ই ব্লগের দিকে নজর রাখে।
ফের আসার জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ।
২০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২১
করুণাধারা বলেছেন: শেষের অংশে এসে 'জোড়া ইলিশের আশ মাহাত্ম্যের গল্প পড়ে ভালো লাগলো! ইলিশ মাছ নিয়ে এমন গল্প আগে পড়িনি! এই গল্প পড়তে পড়তে মনে পড়ল, আমাদের হলের একজন চাকমা আপার কথা। তার একজন বাঙালি অনুরাগী বন্ধু ছিলেন। একদিন দেখি আপা খুব হাত নেড়ে নেড়ে তার বন্ধুকে কিছু গল্প শোনাচ্ছেন। পাশ দিয়ে যাবার সময় শুনি, ইলিশ মাছের ভূতের গল্প শোনাচ্ছেন... আমি আমার মেয়েকে ইলিশ মাছ চেনাবার জন্য বানিয়ে বানিয়ে গল্প শোনাতাম, এক ইলিশ মাছ তার বাচ্চাদের জন্য ক্যান্ডিফ্লস গেল, এইসব...
আপনার প্রথম পর্বও পড়া হয়েছে এবং পড়া শেষ করে মন খারাপ হয়েছে। ইলিশ মাছের কথা ভুলে থাকতে পারাই আমার জন্য ভালো। আমি ইলিশ মাছ ছাড়া কোন মাছই খেতাম না, কিন্তু এখন এতো দাম! ইলিশ আর খেতে পারি কই! আপনার বরিশালের ইলিশের গল্পে বোধহয় ছিল কলকাতায় বাংলাদেশের চাইতে সস্তায় ইলিশ পাওয়া যায়। আমেরিকাতেও বাংলাদেশের চাইতে সস্তায় ইলিশ পাওয়া যায় (দুই কেজির চাইতে বেশি ওজনের ইলিশের পাউন্ড আঠার ডলার)! আমাদের দেশে দাম আর কখনোই কম হবে না।
শুরুতে যে কাঁটা ছাড়া ইলিশের ছবি দিলেন, এছাড়াও কাঁটা ছাড়া ইলিশ হয়, প্রেসার কুকারে কাঁটা নরম করে নিয়ে। পল্লোমাচির চেহারা দেখে তেমন লোভনীয় মনে হলো না! এতো মশলা দিয়ে ইলিশ!!
আমাদের দেশে ইলিশ রান্না করা হয় কম মশলা দিয়ে। আহা, কতভাবে ইলিশ রান্না করা যায় ভাপা ইলিশ, সরষে বাটা দিয়ে পাতলা ঝোল, দই ইলিশ, আনারস দিয়ে ইলিশ, চাল কুমড়া ইলিশ, কাঁচকলা দিয়ে ইলিশ, আলু বেগুন দিয়ে, ইলিশ মাছ কুড়মুড়ে করে ভাজা...
কোন ব্লগার বলেছিলেন তার প্রিয় খাবার ইলিশ পোলাও? দেখি বলতে পারেন কিনা! ভেবেছিলাম প্রিয় মাছ নিয়ে লেখা আপনার এই পোস্টে তাকে দেখা যাবে। কিন্তু কই!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ গল্পটা চমৎকার কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে লেখকের নাম কোথাও পেলাম না।
আহা সেই ভুতের গল্পটা জানা থাকলে আমাকে শোনাতেন- আমার এই নিবন্ধকে অলঙ্কৃত করত।
অবশয় আপনার মনগড়া সেইসব গল্পও দুয়েকটা শুনলে মন্দ হত না। প্রেশার কুকারে ইলিশের কাঁটা নরম তুলতুলে হয়ে যায় এটাও আমি শুনেছি। কিন্তু আমি ইলিশ খাই কাঁটা চিবিয়ে খাবার জন্য।
আমার এক বন্ধু একবার ইলিশ রেঁধেছিল 'লো ফ্লেমে' ঘনটা ছয়েক ধরে। সেটাও তেমন হয়েছিল। মনে হচ্ছিল 'তুলো ডান্ডি' মাছ খাচ্ছি। এই রেসিপি একদিন বলব।
হ্যাঁ ওদের রান্নাটা আমারও বেশী মশলাদার মনে হয়েছে। আর কিছু ইলিশ রান্নার রেসিপি বা পদের নাম চাচ্ছি। আপনি ইলিশখোর সেটা বোঝা গেছে।
আপনি কি সোনাবীজ ভাইয়ের কথা বলছেন নাকি রাজীব নুরের কথা?
২১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪২
জনারণ্যে একজন বলেছেন: যেখানে থাকি, তার পাশে-পাশে যেহেতু কোনো বাংলাদেশী গ্রোসারি নেই; তাই ইলিশ মাছ কেনার জন্য আমি গড়পরতা মাস তিনেক পর-পরই কলোরাডো যাই। নিকটস্থ সবচেয়ে বড়ো শহরের (১৭০ কিলোমিটার দূরে) গ্রোসারিতে যা পাওয়া যায়, তা দেখতে অনেকটা ইলিশ মাছের মতোই…মাগার স্বাদে-গন্ধে…আচ্ছা, থাক সেকথা।
কলোরাডোর ওই বাংলাদেশী মালিকানাধীন গ্রোসারি দূরত্বের হিসেবে প্রায় ৫৭০ কিলোমিটার দূরে। পাহাড়-পর্বত-মাঠ-ঘাট, বিস্তীর্ণ প্রান্তর ডিঙিয়ে ওই ড্রাইভের ক্লান্তি পুষিয়ে নেই পছন্দমতো ইলিশ মাছ কিনে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: ইলিশ অনেক বেছে-কুছে কিনি। একটু স্বাদ গন্ধ কম হলে তা আর মুখে রুচে না।
তবে প্রবাস জীবন ভিন্ন ব্যাপার- সেখানে অনেক কিছুই প্রিয় দেশী মনে করে অনেকেই দেদারছে খায়, উপায়ও নেই অবশ্য।
এমন দামে মাছ কেনাটা বিলাসিতা- ইলিশখোর আপনি নিশ্চিত। এই তালিকায় আরেক পাগল যুক্ত হল
২২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪৩
জনারণ্যে একজন বলেছেন: যাই হোক, মূল প্রসঙ্গে আসি এবার। বড়ো সাইজের একটা ইলিশ ওখান থেকে কিনি মোটামুটি আশি থেকে পঁচাশি ডলারের মধ্যে। ওজন ধরুন, চার পাউন্ড (প্লাস/মাইনাস)। তারমানে প্রতি কেজি ইলিশ মাছের দাম পড়ে প্রায় ৫০০০ টাকা (প্লাস/মাইনাস)।
ঠিক জানিনা, করুনাধারা কেন বললেন আমেরিকাতে ইলিশ মাছের দাম বাংলাদেশের চেয়েও সস্তা। আমি লস এঞ্জেলেস থেকেও ইলিশ মাছ কিনে এনেছি, দাম কিন্তু কম-বেশি একই রকম। এবং মাছের প্যাকেটের নিচে ছোট্ট করে লেখা থাকে 'প্রোডাক্ট অফ মায়ানমার'।
@ করুনাধারার প্রতি সকাতর অনুরোধ রইলো, আমেরিকার কোথায় বাংলাদেশের চেয়েও সস্তায় ইলিশ মাছ পাওয়া যায়, তা জানানোর জন্য। যত দূরেই হোক, কিনতে যাবো।
মাগার প্রোডাক্ট হইতে হবে বাংলাদেশের।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: @ করুনাধারা আপু জবাবের সাথে সাথে ফাউ অনেক কিছু দিয়েছেন ...
মায়ানমারের ইলিশ আমারে পিটাইলেও খাব না( যদি জানি ) তবে রাশিয়াতে তো সার্ডিন ফার্ডিন ইলিশ মনে করে খেয়েছি। ওখানে আমি নিয়মিত ফার্মের মুরগী খাইতাম- দেশে এসে ভঙ্গ ধরেছি, দেশী ছাড়া খাই না।
২৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার এবং তথ্যবহুল পোস্ট। আমার ইলিশ যেভাবেই রান্না হোক, খেতে ভালো লাগে! তবে 'The Wood Smoked Hilsha' রেসিপিটি দেখে আন-কমন মনে হলো। সর্ষে ইলিশও আমার প্রিয়, মাঝে মাঝে বাসায় আমি নিজেই রান্না করে খাই।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: ওই রেসিপিটা আমার কাছেও ব্যতিক্রমী মনে হয়েছে। আমার এক ইলিশখোর বন্ধুর বাপ বলেছিল, ইলিশ নাকি বগলের ভাঁপে সিদ্ধ হয়ে যায়!!
কোন কিছু না হলে এক টুকরো ইলিশ ভেজে তার তেল ভাত মেখেই পেট বিন্দাস ভরানো যায়।
সর্সে ইলিশ আমারও প্রিয় তবে কালো সরিষা তেতো! সাদা সরিষাতে আবার ঝাঁঝ কম। ইদানীং কাজু বাদাম, এলমন্ড, পোস্ত দানা আর সরিষা দিয়ে ভাপে খাই।
ধন্যবাদ ভাই ।
২৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০৩
কামাল১৮ বলেছেন: কাঁটাছাড়া ইলিশ খেয়েছি রকেট ইস্টিমারে ঢাকা থেকে খুলনা যেতে।তখন বহু বিদেশি ইস্টিমারের প্রথম শ্রেনীতে চলাচল করতো। ঢাকা থেকে খুলনা যেতে বাসরাস্তা ছিলো না।
জীবনে প্রথম পুডিং খেয়েছি ইস্টিমারে ৬০ দশকের প্রথম দিকে।
নতুন অনেক কিছু জানতে পারলাম পোষ্ট পড়ে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: আমি যখন রকেট কিংবা অস্ট্রিচে বরিশাল গিয়েছি তখন এসব রান্নার চল উঠে গিয়েছে। আপনারা সৌভাগ্যবান ছুলেন; চলার পথে দারুণ সব খানা খেয়েছেন। এখন অনেক টাকা দিয়ে এসব খাবার ভাগ্যে হয় না। তবে দেশী মুরগীর ঝোল খেয়েছি স্টিমারে।
আপনার মন্তব্যে অনেক সময় দারুণ কিছু তথ্য থাকে, যা এই ধরনের লেখাকে আর সমৃদ্ধ করে। ধন্যবাদ।
২৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: সোনাবীজ বা রাজীব নূর নয়, আমি ভুয়া মফিজের কথা বলছি। ভুয়া মফিজের খুব পছন্দের খাবার ইলিশ পোলাও!
ইলিশ মাছের ক্যান্ডিফ্লস কেনার গল্প এখানে বলার অসুবিধা আছে, এই অখাদ্য গল্প একবার পড়লে এরপর থেকে সামুতে আমার কোনো লেখা আর কেউ পড়তে চাইবে না! গল্প থাক, বরং মাছের দুটো রেসিপি বলি। কাঁটা সহ ইলিশের রেসিপি যা নিশ্চিন্তে বাচ্চাদের খাওয়াতাম।
একদা ইলিশের দাম নাগালের মধ্যে ছিল, সেসময় হালি হিসেবে ইলিশ কিনতাম। কিন্তু এত লেজ আর মাথা কে খাবে... দুটোই কাঁটা ভরা। সেসময় আমি এগুলো দিয়ে চপ বানাতাম! একসাথে কয়েকটা লেজ আর মাথা আন্দাজ মতো পানি, পেঁয়াজ রসুন কাঁচা মরিচ লবণ দিয়ে প্রেসার কুকারে দেড় ঘণ্টা সেদ্ধ করলে সব ছোট কাঁটা নরম হয়ে যেতো, সেটার পানি শুকিয়ে বড় দুয়েকটা কাঁটা বেছে নিয়ে এরপর এটায় আলু মিশিয়ে চপ। কখনো একটা মাথা আর লেজ তেলে ভেজে তার সাথে এই সেদ্ধ মাছ, আলুভর্তা, ডিম দিয়ে লম্বা ডিসে মাছের শেপে সাজিয়ে উপরে বিস্কুটের গুঁড়া ছড়িয়ে বেক করে নিলে হয়ে যেত কাঁটা ছাড়া আস্ত মাছ!
আর করতাম চারকোনা ইলিশ। একটা আকর্ষণীয় নাম দিলে বাচ্চারা খেতে আগ্রহী হয়, তাই এমন নামকরণ। ইলিশ লেজ আর পিঠের বেশি কাঁটাওয়ালা অংশ খাওয়া মুশকিল। এগুলো ছোট ছোট কিউব বা চারকোনা করে কেটে নিয়ে, বেশি করে পেঁয়াজ রসুন কাঁচা মরিচ দিয়ে মুচমুচে করে ভেজে নিলে কাঁটা একেবারে ছোট হওয়ায় বাচ্চারাও সহজেই কাঁটাসহ খেতে পারে। আর এটা খেতেও ভালো।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: ভূম তো তিনমাসের নির্বাসনে গেছে!! এরপরেও সে ফাঁকে-ফুকে আসে, তাকে ছাড়া ব্লগ রসহীন মনে হয় মাঝে মধ্যে।
ইলিশ মাছের ক্যান্ডিফ্লস কেনার গল্প এখানে বলার অসুবিধা আছে, এই অখাদ্য গল্প একবার পড়লে এরপর থেকে সামুতে আমার কোনো লেখা আর কেউ পড়তে চাইবে না!
~আপনি এত পচা গল্প ইচ্ছে করেও বলতে পারেন বলে মনে হয় না।
প্রথম রেসিপিটা দুর্দান্ত! পেঁয়াজু, কাটলেট চপ কিংবা ভর্তা সবকিছুই এগুলো দিয়ে করা যায়- বেশী করে পেঁয়াজ ধনেপাতা আর কাঁচামরিচ দিয়ে ঝুড়ি করলেও অন্যরকম স্বাদ হবে।
পরের রেসিপিটারমত আমিও কিছু একটা করি। পেয়াজগুলো মোটামোটা করে দিলে মজা লাগে- তবে ইদানীং কালের পোলাপাইন পিয়াজ খাইতে চায় না, আজব!!
২৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫
করুণাধারা বলেছেন: @ জনারণ্যে একজন,
সকাতর অনুরোধ না, সাধারণ অনুরোধ করলেও আমি নিশ্চয়ই জবাব দিতে আসতাম!
দোকানটা ভার্জিনিয়ায়, বাঙালি দোকান।
আমার মন্তব্যে বলেছি, আমেরিকাতেও বাংলাদেশের চাইতে সস্তায় ইলিশ পাওয়া যায় (দুই কেজির চাইতে বেশি ওজনের ইলিশের পাউন্ড আঠার ডলার)। এই রেটে দুই কেজির ইলিশের দাম দাড়ায় ২*২.২*১৮=৭৯.২ ডলার, কেজি চল্লিশ ডলারের কম।। আপনার আশি থেকে পঁচাশি ডলারের কাছাকাছি দামই তো বলেছি, তাই না? তাহলে কেন বললাম বাংলাদেশের চাইতে সস্তা? কারণ বাংলাদেশে ৫ কেজি ইলিশ মাছের বিক্রি হয় চল্লিশ হাজার টাকায়। গুগল করে খবরটা দেখতে পারেন "এক হালি ইলিশের দাম চল্লিশ হাজার টাকা।" এই এক হালির ওজন ৫ কেজি মাত্র। তাহলে কেজি প্রতি দাম আট হাজার টাকা।
২ কেজি আশি ডলার হলে টাকায় দাম দাঁড়ায় ৮০*১২০= ৯৬০০ টাকা, (কদিন আগেই আমি ১২০ টাকার বদলে এক ডলার পেয়েছি কার্ড থেকে)। তাহলে এক কেজির দাম ৪৮০০ টাকা!
একটু ছোট, এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম আরো কম, ভার্জিনিয়ার সেই বাঙালি দোকানে পাউন্ড ১১ ডলার করে, এক কেজির একটা মাছের দাম প্রায় ২৫ ডলার, যাকে প্রবাসী আমেরিকানরা বলে ২৫ টাকা! মাথার মধ্যের কনভার্টার বন্ধ করে রাখলে, ২৫ ডলারকে ২৫ টাকা ভাবলে বাংলাদেশের তুলনায় এক কেজি দাম অতি অল্প!
আমার হিসাব আপনার সাথে মিলবে না! তাই এভাবে বলি, আমেরিকায় একজন বাঙালি ইচ্ছা হলেই বাঙালি দোকানে গিয়ে ইলিশ কিনে খেতে পারে, টিএ/আরএ ছাত্র হলেও। এটা আমার দেখা। কিন্তু আমি দেখেছি, আমাদের দেশে মধ্যবিত্ত খুব কম মানুষই এক কেজি ওজনের ইলিশ কিনতে পারে এখন। আমি নিজেই বহুবার বাজারে ঘুরে ইলিশ না কিনেই ফিরে এসেছি। এইসব বিবেচনায়, আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশের চাইতে আমেরিকায় ইলিশ সস্তা!
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: জনারণ্যে উত্তর দিয়েছেন- তার উত্তরের অপেক্ষা করছিলাম।
আমার হিসাব আপনার সাথে মিলবে না! তাই এভাবে বলি, আমেরিকায় একজন বাঙালি ইচ্ছা হলেই বাঙালি দোকানে গিয়ে ইলিশ কিনে খেতে পারে, টিএ/আরএ ছাত্র হলেও। এটা আমার দেখা। কিন্তু আমি দেখেছি, আমাদের দেশে মধ্যবিত্ত খুব কম মানুষই এক কেজি ওজনের ইলিশ কিনতে পারে এখন। আমি নিজেই বহুবার বাজারে ঘুরে ইলিশ না কিনেই ফিরে এসেছি। এইসব বিবেচনায়, আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশের চাইতে আমেরিকায় ইলিশ সস্তা!
~এই তথ্যের সাথে আমিও একমত। আমিও ইলিশের পাশ দিয়ে অনেক ঘুরে ঘুরে নিরাশ হয়েছি। মনে হচ্ছিল এসব কেনা মানে নিতান্তই অপচয়য়। আমি ভেবেছি ফ্যাক্টরিতে একজন সাধারণ ওয়ার্কার সারাদিন খেটে ৩৫০-৪০০ টাকা রোজগার করে আর আমি শুধু ভোজন বিলাসের জন্য এক বেলায় খাওয়ার উপযোগী একটা ইলিশ ২৫০০/৩০০০ টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে যাব!! এর মানে এই নয় যে, দরিদ্র মানুষের প্রতি আমার ব্যাপক দরদ
২৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ইলিশ নিয়া এত প্যাঁচ কা
আমরা তো সহজ সরল ভাবেই ইলিশ খাই।
পোস্ট ভালো লাগল
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: প্যাঁচের দেখছেন কি , সামনে আর স্ক্রুর প্যাঁচ আর বিষ গিট্টু আসতেছে
সহজ সরল ভাবে এত মূল্যবান মাছ খাওয়া ঠিক না- রাঁধতে হবে খুব হিসাব করে মন মজাইয়া।
২৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০৮
জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ করুনাধারা, ইউ আর রাইট!!
ভাবতেছি দেশে ব্যাক করে আইদার ভাতের হোটেল খুলবো - যদি কোনোদিন প্রোমোটেড হয়ে কোনো এক অনলাইন 'ইয়ের' মডারেটর হওয়া যায়, এই আশায়...
অথবা তাল গাছ রোপন কর্মসূচি হাতে নেবো এবং যখন যার দরকার তখন তাকে উপহার দেবো।
২৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০১
শায়মা বলেছেন: ইলিশ পোলাও
ইলিশ সরিষা
ইলিশ ভাঁপা
ইলিশ ভাঁজা
এসবই পছন্দ
তবে ডিম না পছন্দ। আরও না পছন্দ স্মোকড হিলশা!
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: ইলিশের ডিম তো মজার খাবার- খান না কেন বেশী প্রোটিন এইজন্য?
আপনার পছন্দের খাবারের তথ্য দেবার জন্য ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে আপনার বাসায় দাওয়াত দিলে ইলিশের ঐ পদগুলি খাবার প্রস্তুতি নিয়ে যাব।
৩০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২৩
জটিল ভাই বলেছেন:
আগের পোস্টের মন্তব্যে বলেছিলেন,
লেখক বলেছেন: এটা বাবনিক নয় 'মেছো বাজারে'র গল্প হবে !
আমি আসলে বাবনিকের মত সিরিজ হবে বুঝিয়েছিলাম। মনে হচ্ছে আমার ধারণাই সত্যি হতে যাচ্ছে। আপনার তথ্য দেখে কলকাতায় না আবার বোতলে ইলিশ চাষ শুরু হয়
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: তা ঠিক একসময় অকল্পনীয় হলেও এখন আমার সিরিজ লিখতেই ভাল লাগে। একপর্বের লেখা হল; প্যাকেটের স্যালাইন। আর সিরিজে পানির সাথে একমুঠো গুড় আর এক চিমটি লবণ মেশাতে হয়। পানির মাপ লবণ এর ভাগ আর 'গুড়' সেটা কেমন হবে এই নিয়ে বেশ একটা দীর্ঘসূত্রতা ও টানাপড়েন চলে
৩১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ বাংলার গাল গল্পে এমনই জোড়া ইলিশের কাহিনী প্রচলিত এবং কিছু চলমান ও । খুব সুন্দর করে লিখেছেন ইলিশ নামা।
ধন্যবাদ চমৎকার দুইটা রেসিপির জন্য , এই ব্যাপারটা আমার কাছে নতুন'ই বটে।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: জেনে ভাল লাগল ও প্রীত হলাম। আপনার আগমনে ইলিশনামা নিবন্ধ লেখার প্রচেষ্টা কিছুটা সার্থক হল মনে হচ্ছে
সামনে আর চমৎকার কিছু রেসিপি নিয়ে আসার ইচ্ছে রইল।
আপনি ইলিশের কোন পদ পছন্দ করেন- আর রাঁধতে পারেন কোনটা ভাল?
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ইলিশ ভাজা সাথে বগুন বাজা আর মরিচ ভাজা থাকলে আর কিছু লাগেনা। ++++