নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
ব্লগে ষোল বছর হয়ে গেল দিন পনের আগেই কিন্তু সময় করে সেটা প্রচার করে কোন অভিনন্দন নেয়া হল না (আফসোস,ব্লগারদের বড্ড আকাল চলছে ব্লগে!!)
গত বছর লিখেছিলাম, এই সময়ে শহরের বেশীরভাগ গৃহিণী নাইওরে যায়। গ্রাম মফস্বল বেশ রমরমা হয়ে ওঠে- খাদ্য খানার খুশবু ছোটে। পিঠা পায়েস পুলির ধুম আয়োজন হয়, শীতের এই সময়ে খাল বিল সেচে প্রচুর মাছ ধরে মানুষ; সেই মাছ আর মাংসের মচ্ছব হয়। ব্যাবসা, চাকুর সহ বিবিধ কারণে বিবাহিত পুরুষদের সন্তান স্ত্রী-হীন অতি সু-সময় কিংবা দুঃসময়কাল এটা। কেউ হাত পুড়িয়ে রান্না করে কেউ ফ্রিজের খাবার গরম করে ক্ষুন্নিবৃত্তির প্রয়োজন মেটায়। দু চারজন হোটেল মোটেল কিংবা আত্মীয় বন্ধুর বাসায় দাওয়াত খেয়ে কাটিয়ে দেয়- তবে পরিবারের অন্যান্যদের নিয়ে যারা থাকে তাদের এইসব প্যারা নাই। বাড়ির কাছে যাদের শ্বশুরবাড়ি তারা এই নিঃসঙ্গকালটা উপভোগ করতে পারেনা বললেই চলে। ব্লগার রাজীব নুরের মত বউ বাচ্চার কথা মনে পড়লেই সাত সকালে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে উপস্থিত হয়।দাম্পত্যজীবনে স্বামী স্ত্রীর অন্তত বছরের একটা সময়ে কয়েকটা দিনের জন্য আলাদা থাকা অতীব জরুরী। কেন? এর পেছনে প্রচুর বিষয় ও ব্যাখ্যা আছে সেগুলো যারা সংসার করে তারাই বুঝবে ভাল।
আজকের গল্পটা একটু মূলত রসনা বিলাস নিয়ে; ( খানা-পিনার গল্প হলেই ব্লগার গোফরানের কথা মনে পড়ে যায়। ওদিকে খায়রুল আহসান ভাই আর আহমেদ জী এস ভাইকে বহুদিন ব্লগে অনুপস্থিত দেখে বড্ড চিন্তিত আছি। ব্লগে কম আসা হয় বলে 'জুন আপুকে'ও মনে হয় দীর্ঘ সময় মিস করছি। এ লিস্টে আর কয়েকজন আছে(ভুম' এর অনশন কি শেষ হয়েছে?
~শুরুটা করি বকফুল দিয়ে। আমি প্রায়শই সন্ধ্যেকালে ফ্যস্কটরি থেকে ফেরার পথে ডিয়াবাড়ি বৃন্দাবন বৈকালিক বাজারের পাশ দিয়ে আসি। ওখানে ঠিক আদিবাসী কিংবা পাহাড়ী ধাঁচের বাজার বসে। পাঁচ মিশালই শাক, কচি লাউপাতা, বকফুল, সরিষাফুল, কুমড়া ফুল থেকে শুরু করে সব ধরনের দেশি শাকসবজি মেলে। দাম একটু বেশী হলেও ভিন্নধর্মী ও টাটকা জিনিস পাওয়া যায়। ওখানকার বেশীরভাগ বিক্রেতাই হিন্দু পুরুষ-রমণী। ওরা দামাদামি মুলোমুলি হাঁকডাক কিছুই করে না। যা হোক আমার আড্ডার দাদাকে এই বাজারের কথা বললে তিনি আবদার করলেন সেখান থেকে বকফুল এনে দিতে। ভাগ্যগুণে আমি পরদিনই পেয়ে গেলাম- সেই ফুল পেয়ে দাদা সে কি খুশী। আমি বাসায় অর্ধেকটা নিয়ে মুসুরির ডাল আর বেসন দিয়ে ভেজে ফেল। কথা শুনে ছেলে-মেয়ে বিস্মিত-অভিভূত হল; ফুল নাকি ভেজে খায় সেটা ওর 'বাপের জন্মে' শুনেনি।
এবার আসি এই পেঁপের গল্পে। ঢাকায় ধোয়ার গন্ধ ছাড়া দেশি মিষ্টি পেঁপে পাওয়া নেহায়েত ভাগ্যের ব্যাপার। বেশীরভাগ সময় অতীব রঙ চমকানো দারুণ দেহ সৌষ্ঠবের পেঁপে কিনে খেতে গিয়ে চোখে পানি চলে আসে। আমার প্রিয় ফলের একটা পেঁপে- ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পেঁপে কিনে নিয়মিত ধরা খাই।সেদিন কিনলাম মাজার রোদের শাহ আলী বাজার থেকে। পেঁপে বিক্রেতা অন্য পেঁপের সাথে আমাকে এই পেঁপেটা দিয়ে বলল, এইটা নেন- মদ্দা পেঁপে। পুষ্টু আর মিষ্টি।
পেঁপের আবার মাদী মদ্দা হয় সেটা আমার ছেলে মেয়ের বাপ -ও বাপের জন্মে শুনেনি।
সেটা ওকে কইতেই-ও বিগলিত হাসি দিয়ে কইল; আমি এই জায়গায় সেরা পেঁপে বেচি। দাম দশটাকা বেশি নেই কিন্তু মাল এক নম্বর। যে কথা কইছি সেইটাই সই। আপনি জানেন না যে মদ্দা পেঁপে হয়। বাড়িতে নিয়ে খেয়ে দেখেন।
এরপর বহুদিন বেশ কয়েকদিন ওই বিক্রেতা আর তার মদ্দা পেঁপে খুঁজছি। কিন্তু দুটোই উধাও।
- এইটা হইল মুলা ভর্তার সচিত্র রেসিপি। সবগুলো সরিষার তেলে ভেজে বেটে বা ব্লেন্ড করে নিয়ে একটু স্বাদের পরিবর্তন আনতে পারেন।
~ (একা সংসারে ছটির দিনের শুরু পান্তা ভাত দিয়ে) চিত্রটা অতি সাধারণ। কিন্তু ডাল পানি আর কাঁচা পেঁয়াজের নীচে যেই ভাতটা আছে সেটা কিন্তু খাটি আউশ চালের। বড় দুর্লভ এই শহরে। পান্তা ভাতের সাথে মুচমুচে আলুভাজি বড্ড প্রিয় আমার কাছে।
~ আমার এক বন্ধু বড় কর্পোরেট জব আর নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসা ছেড়ে গ্রামে গিয়ে কৃষক হয়েছে। সে ফেবুতে প্রোটিন বহুশত আবজাব( জবের ছাতু আখের গুড়, লতা পাতা আসেদ্ধ খাবার, অঙ্কুর শালগম এইসব) খাবারের পোস্ট দিয়ে বলে স্বর্গীয় এক সকালে চৌদ্দ কিলোমিটার দৌড়ে এসে এইসব খাচ্ছি। আমি আমি অত গভীরে না গিয়ে স্বর্গীয় বিকালে এগুলো খাচ্ছি। আত্মারে অত কষ্ট দিয়ে কি লাভ??
আমার রসনা বিলাসে ইলিশ না থাকলে কেমন হয়। গিন্নী যাবার সময়ে একখানা ইলিশ কেটে দুবেলার সরিষা ইলিশ রেঁধে (প্রথম ছবি সেটারই) বাকিটা নুন হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রেখে গেছেন। ইলিশের সাইজ আহামরি নয় কিন্তু জাত এক নম্বর।
এত টাইট ফুড শিডিউলে হাঁপিয়ে যাই মাঝে মধ্যে তাই সেদিন বন্ধুর রেস্টুরেন্টে ভুরিভোজ হল।
তবে আপনারা যেমন ভাবছেন তেমন নয় মোটেও!!
~ যাচ্ছলে... নিজের হাতে করা এই ফুলো ফুলো পেঁয়াজুর ছবি শেয়ার করা হয়নি। শীতের বিকেলে এটা বেশ উপভোগ্য।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিকাছে, কিন্তু খানা-দানার বিষয় নিয়ে কিছু কইলেন না যে ভাই?
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৪
জুন বলেছেন: প্রথমেই অভিনন্দন প্রিয় ব্লগার শেরজা, তারপর আমাকে মিস করেন শুনে অভিভূত ভুয়াকে আমিও মিস করি অনেক। ভুয়া যখন গেছে তখন আমারও চলে যেতে ইচ্ছে করছিল চাট্টিপাট্টি গুটিয়ে। তাও কি এক মায়ায় থেকে গেছি। মাঝে মাঝে উকি দেই, প্রিয় মানুষদের লেখা পড়ি। অনেক সময় মন্তব্য করা হয় না তবে মনে মনে মন্তব্য করি।
ভাবী গেছে কই! ভালোই তো খাইতেছেন। বাসায় নাই তারপর ও কত খেয়াল হু হু
বক ফুলের বড়া আমি খেয়েছি। সর্ষে ইলিশ মাছ দেখে জিভে পানি চলে আসলো। ঢোক গিলে সামলে নিলাম নইলে আমার ফোনটাই নষ্ট হতো মদ্দা পেপের কাহিনী পড়ে অনেক হাসলাম। ভালো থাকেন অনেক অনেক।
যাই হোক আমিও আর এক বচ্ছর দুই মাস পরে ১৬ বছরের হইতেছি
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমে আপনাকে পেয়ে তারপরে মন্তব্যে অভিভূত হইলাম
কতদিন আপনার ভ্রমণ কাহিনী পড়ি না। ইদানীং ভ্রমণ করলেও গল্পগুলো চেপে যাচ্ছেন, হয়তো ব্লগ আর টানছে না তেমন?
যাবেন না থাকেন- আর কতদিনই বা আছি। ব্লগটা তো আমাদেরই আত্মীয়ের মত।
আপনি ১৬ বছর বয়সে সুদীর্ঘ পথ চলার বর্ণনা সহ পোস্ট দিবেন কিন্তু। অপেক্ষায় আছি। বাকি খাওনের ছবি দেই নাই-
দুধকদু(লাউ দুধ আর খেজুরেরগুডের পায়েস টাইপ, আপনারা কি বলেন?) ক্ষিস্যা, চ্যাপা মাছের ভর্তা এইগুলানও লিস্টে আছে
৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আরো দীর্ঘদিন ব্লগে থাকবেন এই আশা ব্যক্ত করি !
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২০
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা। আমাদের থাকা আর না থাকা ব্লগ আর কয়দিন আছে কে জানে
৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১
আমি সাজিদ বলেছেন: অভিনন্দন।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে বড়ই পুলকিত হলাম। আপনি দূর থেকে ব্লগে নজর রেখেছেন দেখে প্রীত হলাম। আমাদের সাজিত না থেকেও আছে সেটা কম নয়। তবে অভিমান ভুলে ফিরে আসুন আগের মত।
৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২০
ইসিয়াক বলেছেন:
ব্লগে পথচলা আরও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হোক।
শুভকামনা রইলো।
#আপনার তৈরি করা পেঁয়াজুগুলো দেখতে বেশ। খেতে সুস্বাদু হয়েছিল নিশ্চয়ই?
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ পেঁয়াজু নিয়ে সুদীর্ঘকাল গবেষণা করেছি- টেস্ট হতেই হবে তবে আমাদের এলাকায় আগে ঠোঙ্গায় করে পঁচিশ পয়সায় দশটা পেঁয়াজু কিনতাম, সেই স্বাদ আর পাই না।
অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার ইসিয়াক। ভাল থাকুন নিরন্তর, ব্লগ ও ব্লগারদের সাথে থাকুন।
৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৫
মেহবুবা বলেছেন: অভিনন্দন ১৬ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে।
দিয়াবাড়ীর বাজারের তথ্য জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
অনেক বছর আগে বান্দর বনে বেড়াতে গিয়ে চিম্বুক পাহাড়ের নীচে লাল রঙের দৃষ্টি নন্দন অচেনা ফুল দেখে ছবি তুলেছিলাম, পরবর্তীতে বৃক্ষমেলায় গিয়ে আবিষ্কার করি সাদা রঙের একই ফুল; বক ফুল। গাছও লাগিয়েছিলাম। বক ফুলের বড়া থেকে কুমড়ো ফুলের বড়া আমার বেশী ভালো লাগে খেতে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: বকফুল লাল আছে শুনেছি- সামনাসামনি দেখা হয়নি।
আমারও কুমড়ো ফুলের বড়া ভাল লাগে- এটা বহুল প্রচলিত। তবে ফুলটা নিমিত্ত মাত্র ওই প্রসেসে যে কোন ফুল পাতা ভাজলে সুস্বাদু লাগার কথা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে -ভাল থাকুন নিরন্তর।
৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৭
মেহবুবা বলেছেন:
এটা পড়বার সময় আপনার সেই রাশিয়ান বৃদ্ধার কথা মনে পড়ছিল। এটা ১৯২৭ সনে বৃটেনের ঘটনা।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১০
শেরজা তপন বলেছেন: এটা কার লেখা? আমার সম্ভবত পড়া হয়নি।
ওই লেখাটা এখনো আপনার স্মরণে আছে জেনে দারুণ প্রীত হলাম।
শুভকামনা রইল।
৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অভিনন্দন!
বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা নিন।
খানা খাদ্যের গল্প ভালা পাই।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১২
শেরজা তপন বলেছেন: ইদানীং ব্যস্ততার জন্য রান্নাবান্নার সুযোগ পাচ্ছেন না মনে হয়?
অভিনন্দনে সবসময় ভাললাগায় সিক্ত হই। লেখালেখি কি ছেড়েই দিলেন?
শুভকামনা রইল- ভাল থাকবেন প্রিয় ব্লগার।
৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: অভিনন্দন এবং শুভ কামনা ❤
ভার্চ্যুয়াল জগতের খানাপিনাও ভার্চ্যুয়াল হবে- তেমনটা আশা করিনি
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: বাসাতো খালি আছে -চলে আসেন একদিন, দুই ভাই মিলে রেঁধেঁ-বেড়ে খাব
ভার্চুয়ালি খাবার খাওয়াইতে আমারও ভাল লাগে না।
ভাল থাকবেন। আপনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।
১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৪
কামাল১৮ বলেছেন: এখন শীতকাল।দিন চারটা পিঁয়াজু ভাজাই দিন।বসে বসে চিবাই।যদিও ডাক্তারের নিষেধ ভাজাপোড়া খাওয়া।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় খাবারগুলো খেতে না পারলে বেজায় কষ্ট লাগে। যত আয়ুও ফুরিয়ে আসে -খানা খাদ্যের উপরে তেমনি বেশী নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। পৃথিবীর কত ভাল খাবার এখনো চেখে দেখা হল না- আফসোস!!
১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি তো অনশনে নাই। এমন ভুয়া তথ্য আপনেরে কে দিল? দাবায়ে বিভিন্ন রকমের খানা-খাদ্য খাচ্ছি। মাত্রই পর্তুগীজ বিভিন্ন লোভনীয় খাবার মেরে দিয়ে আসলাম খোদ লিসবনে বসে!!!
কুমড়া ফুলের কথা শুনছি, খাই নাই কোন দিন; তবে বকফুলও যে ভেজে খায় এইটা জানতামই না। মদ্দা পেপের কথা আমিও বাপের জন্মে শুনি নাই। আপনের ওই বিক্রেতা মনে হয় মদ্দা পেপে বিক্রি করার অপরাধে মাদি পেপের প্যাদানী খাইছে। আশেপাশের হাসপাতাল/ক্লিনিকে খোজ নিয়া দেখতে পারেন।
শিরোনামের ছবিটার কথা না কইলেই না, খাসা; একদম ক্ষুধা উদ্রেককারী!!!!
যাউকগ্যা, বৃদ্ধ বয়সে টিন এইজের অভিনন্দন লইয়েন।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: আমি তো অনশনে নাই। তাইলে আপনি ব্লগে নাই ক্যান?
এই যে লিসবনে বিভিন্ন পদের লোভনীয় খাবার খেয়ে আসলেন তার সচিত্র সরস বর্ণনা কই???
আপনের ওই বিক্রেতা মনে হয় মদ্দা পেপে বিক্রি করার অপরাধে মাদি পেপের প্যাদানী খাইছে। আশেপাশের হাসপাতাল/ক্লিনিকে খোজ নিয়া দেখতে পারেন। ~ হইতে পারে- ইয়াং পোলা। গত মাস খানেক তারে খুঁজি পাই না। ওর মদ্দা পেঁপে সহ মিউজিয়ামে নিয়েও যাইতে পারে।
অভিনন্দন লইলাম কিন্তু আপনি ফিরে এসে আপনার স্বভাবসুলভ ভঙ্গীতে জমিয়ে রাখা গল্পগুলো বলেন।
১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৩২
জিকোব্লগ বলেছেন:
অভিনন্দন !!!
সন্ত্রাসী লীগের সক্রিয় সদস্য গোফরানের মডেল সাপ্লাইয়ের বিজিনেসে এখন মন্দা যাচ্ছে।
আবার কোনো দুর্নীতির সরকার এলে, উহা খানাপিনা নিয়ে ঠিকই ব্লগে হাজির হয়ে যাবে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: অভিন্দনের জন্য ধন্যবাদ।
গোফরান সম্ভবত অন্য নিকে ব্লগিং করে। বিউটিফুল মাইন্ড সহ আর কিছুতে মনে হয়।
১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২
নীল-দর্পণ বলেছেন: খানাখাদ্য বরাবরই উপাদেয়। ইলিশের চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে একখানা রত্ন! এইরকম জিনিস খুজে পাওয়া কপাল ।
পিঁয়াজু দেখে এই সন্ধ্যেবেলা ক্ষুধায় মোচর দিল পেটের ভেতর। গত ১৬ই ডিসেম্বর মনে হয় আমারো ১৬ বছর পূর্তি হল! ভাবলে বিশ্বাস ই হয় না এতবছর যাবত এখানে আসি!
যাহোক ১৬ বছর পূর্তির শুভেচ্ছা জানবেন , আরো অনেক বছর কেটে যাক এভাবে সেই কামনা করছি।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০০
শেরজা তপন বলেছেন: লজ্জা লাগে কইতে তবুও বলি; ওইটা শ্বশুরবাড়ির ইলিশ!
তার মানে আপনি আমার থেকে মাত্র দুইদিনের ছোট! কিন্তু কিছু একটা পোস্ট দেয়া উচিৎ ছিল। এতগুলো বছর ব্লগে পড়ে থাকা চাট্টিখানি কথা নয়।
আপনাকেও ১৬ বছর পূর্তিতে অভিনন্দন।
১৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ষোল বছর পূর্তি উপলক্ষে অভিনন্দন। আমি আপনার মত বাজার করতে আর রাঁধতে পারলে আমার বউ খুশি হত। কিন্তু এগুলি আমার দ্বারা সম্ভব না। আমার কাছে বাজার করা পৃথিবীর সবচেয়ে কষ্টদায়ক একটা কাজ। ছোটবেলায় বাজার নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা এটার জন্য দায়ী হতে পারে। আর রান্নাঘরের ধারে কাছে যাওয়ার যোগ্যতা আমার নাই। তবে রান্না জানলে বউদের উপর নির্ভর করতে হয় না। তাই মাঝে মাঝে মনে হয় রান্না শিখি।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: বাজার করতে আর রাঁধতে পারলে সব বউ খুশি হয়- কিন্তু মন ভরে না। প্রত্যেকেই তাদের স্বামীকে অকর্মন্য অপদার্থ ও মহাবেকুব ভাবে। তাদের ধারনা হয় বাজারের সব বিক্রেতা বসে আছে স্বামীদের ঠকাবার জন্য।
ছোটবেলায় কি পিটিয়ে বাজার করাত?
তবে রান্না জানলে বউদের উপর নির্ভর করতে হয় না। কথা ঠিক কিন্তু এইটা আরেক জ্বালা। বউরা পুলাপানের দায় দায়িত্ব দিয়ে অনেক সময় সাইট ট্যুরে যায়। আবার একটু শরির ম্যাজম্যাজ করলেই আবদার ধরে।- আর অনেক প্যারা!!
১৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৩
শায়মা বলেছেন: বাহ এত এত খানা পিনা। বকফুল কি আমি জানি বা চিনি কিনা বুঝতে পারছি না। তবে কুমড়োফুল ভাজা অনেক মজার আর প্রিয় খানা পিনা।
আহা এত এত খানাপিনা তবে ব্লগে লোকজনই নেই কারা খাবে এত এত???
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: কি কন আপনি বকফুল চিনেন না!! এইটা তো নবম আশ্চর্যজনক ঘটনা!!!
আহা এত এত খানাপিনা তবে ব্লগে লোকজনই নেই কারা খাবে এত এত???
আছে তারা আশে পাশে তারা চামে চিকনে আশেপাশে ঘুরে বেড়ায়। টেনশন নিয়েন না- ফের ব্লগ জমজমাট হবে।
আপনি লেখা দিলেই ব্লগ জমে যায়।
১৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩৭
সামিয়া বলেছেন: অভিনন্দন
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: বহুদিন বাদে আমার বলে আসার জন্য ধন্যবাদ।
১৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০
করুণাধারা বলেছেন: ছবির খানা মন ভরে খেলাম! সবচেয়ে ভালো লাগলো ইলিশ!
সামুতে খানাদানা পোস্ট দেখলে আমার অবশ্যই শায়মার খানাদানা পোস্টের কথা মনে পড়ে। মনোহরণ লোভনকরণ চমৎকার সব খাবার!
ষোলো বছর পূর্তি উপলক্ষে অভিনন্দন, ও শুভেচ্ছা আগামী অনেকগুলো বছরের জন্য। আমার কিছুদিন আগে আট বছর পূর্তি হলো, পোস্টও দিলাম, কিন্তু কেউ এ নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন মনে করলো না!
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২২
শেরজা তপন বলেছেন: আহা আপনিও আমার মত ইলিশভক্ত। ইলিশের সব কথা-গল্পেই আপনার দেখা পাই
শায়মা আপুর কাজকর্মই শৈল্পিক ও গোছানো। আমার তো উরাধুরা!
আহা আপনার সেই পোস্ট দেখা হয়নি নাকি? কই খুঁজে পেলাম না তো? কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজের ঢোল নিজেই পেটাতে হয়।
অনেক ধন্যবাদ আপু ভাল থাকুন নিরন্তর।
১৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১২
আজব লিংকন বলেছেন: শীতের পিঠা নিয়ে কিছু ভেবেছেন?
এবার কত রকমের পিঠে বানিয়ে খেলেন?
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: দু'একটা পিঠা বাদে বেশিরভাগ পিঠাই আমার প্রিয় খাদ্য তালিকায় পড়ে না। দুধকদু, পুলি,মুখছুল্লিহ পাটিসাপটা, এই টাইপের কিছু পছন্দ করি। ঢাকায় পিঠা খাওয়ার আমার বড় আপা- কিছুদিন আগে তার স্বামী বিয়োগ হওয়াতে তিনি শোকে কাতর।
১৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৫
আজব লিংকন বলেছেন: ১৬ বছর পদার্পণের অভিনন্দন
ভালবাসা ও শুভকামনা রইল।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার। ভাল থাকবেন।
২০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আরো কিছু বছর আপনাদের স্পর্শে থাকুক ব্লগ ওঠোন। শুভ কামনা নিরন্তন। তবে এই বকফুলগুলো আমিও জীবনের প্রথম দেখতে পেয়েছিলাম আমার এক প্রতিবেশি শ্রীলংকান ভদ্রলোক একটা গাছ লাগিয়েছিল এর পাতা আর ফুল খাওয়ার জন্য। এই ফুলগুলো নাকি ওষুদি শুনেছিলাম।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: বহুদিন বাদে মনে হচ্ছে আপনাকে পেলাম! বকফুলের ঔষধিগুন আমার জানা ছিল না। তবে ছোট বেলা থেকেই আমরা এই ফুলের বড়া খাই। এটা বিশেষ কিছু এলাকার প্রিয় খাদ্য- এইফুল সচরাচর পাওয়া যায় না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ- ভাল থাকবেন। শুভকামনা রইল।
২১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২
মোগল সম্রাট বলেছেন:
শীতকালে শুটকি মাচের কুনো আইটেম দিলেন না ভাউ
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: বাসায় চ্যাপা শুঁটকি আছে! কালকে মা ঘরে বানানো শোল মাছের শুঁটকি দিয়েছেন, ওগুলো বেশি পেঁয়াজ আর মটরশুটি দিয়ে ভুনা করতে হবে
২২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫
নতুন বলেছেন: ১৬ বছর পূর্তির সুভেচ্ছা।
খাবারের ছবি দেখুম না, ডায়টে আছি, ভুরি বাইড়া গেছে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যাপাতা। খেলে তো ভুড়ি বাড়বে ভুড়িকে শাসন করতে হবে
আচ্ছা মত খেয়েদেয়ে পাঁচ সাত কিলোমিটার হেঁটে দেন সব ঠিক।
২৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখক বলেছেন: ইদানীং ব্যস্ততার জন্য রান্নাবান্নার সুযোগ পাচ্ছেন না মনে হয়?
অভিনন্দনে সবসময় ভাললাগায় সিক্ত হই। লেখালেখি কি ছেড়েই দিলেন?
শুভকামনা রইল- ভাল থাকবেন প্রিয় ব্লগার।
সব কিছুই চলছে , লেখালিখি ছাড়া।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: দেরি হইল উত্তর দিয়ে। স্যরি টরি কইতে আর ভাল্লাগে না। কাম কাজ চলে -বহুত বিজি
লেখালেখি না চলাই ভাল। লেখালেখি করা একটা আকাইম্যা কাজ।
২৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৮
শায়মা বলেছেন: পোস্ট দেবার সময় নেই!
অস্ট্রেলিয়া এসেছি। নাওয়া খাওয়ারও সময় নেই এতই ঝামেলায় আছি!
করুণাধারা আপু আমারও খানা পিনা দেখলেই শুধু আমাকেই মনে পড়ে। আর শেরজা ভাইয়ুর সেটা মনে পড়লোনা!! বড়ই আচানক কথা!!!
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: কারোই বলে সময় নাই।
আহা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম!! কত্তো সময় ছিল একসময় আমাদের!!
২৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: ১৬ বছর অনেক লম্বা সময়। আপনাকে অভিনন্দন।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা আমার ছেলের বয়স। দেখতে দেখতে কত বড় হয়ে গেল ও- এখন আমার পোশাক পরেই ঘুরে বেড়ায়।
২৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:১৫
মিরোরডডল বলেছেন:
কিছুদিন আগে হাসান সিক্সটিন হলো, এখন আবার শেরজা।
সামুতো দেখছি ষোল বছরের পোলাপাইনে ভরে যাচ্ছে
Anyway, congratulations my friend sweet Sixteen.
এভাবে আরো অনেক ষোল বছর পেরিয়ে যাক।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:০০
শেরজা তপন বলেছেন: কোন হাসান? হাসান কালবৈশাখী নাকি হাসান মাহবুব না ম.হাসান? কথা ক্লিয়ার করেন ...
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় বন্ধু- অনাদিকালের জন্য শুভকামনা ও ভালবাসা রইল।
২৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৪
মিরোরডডল বলেছেন:
মাহবুব মাহবুব।
মাহা ৮ বছরের বাবু, আর বৈশাখী ১৪ প্লাস।
একজন মাঝে মাঝে আসে, আরেকজন সামু ছেড়ে চলে গেছে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: দীর্ঘদিনবাদে বেশ অনেক সময় ধরে ব্লগাইতেছি! আপনাকে পেয়ে ভাল লাগছে। ফ্যাক্টরিতে এত লম্বা সময় থাকি না।
আমিও জানি কার জন্মদিন ছিল। একমাত্র ব্লগার মাহবুব হাসানের সাথে Whatsapp-এ আমার অনিয়মিত ম্যাসেজ চালাচালি হয়।
ম.হাসানকে আমি মিস করি। যাবার আগে তিনি আমার উপরে রাগ করেছিলেন। আপনার খেলাঘরের সুবাদে।
দুই কবি'র মহাসম্মেলনের কথা পড়লাম- ইর্ষান্বিত হয়েছি খানিকটা তবে মজা পেয়েছি আপনার ব্যক্তিজীবনের গল্প শুনে।
২৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯
মিরোরডডল বলেছেন:
মাহবুব ব্লগে কম আসে। তার বইটা পড়েছি। সবগুলো গল্প ভালো লেগেছে।
মাহাকে মিস করি। ভীষণ মজার মানুষ ছিলো।
এতো অল্প সময়ের জন্য আমরা ব্লগে আসি একটু আনন্দ পেতে, এর মাঝে রাগারাগি, মারামারি, এতো অভিযোগ অনুযোগ এগুলো ঠিক না। অপ্রত্যাশিত!
দুই কবি'র মহাসম্মেলনের কথা পড়লাম
দুই কবি????
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: দুই কবি???? B:-)
আপনি কবিতা লেখেন না এইটা আমি বিশ্বাস করি না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শুভেচ্ছা নিয়েন।