![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্পাদক, মাসিক ব্রাহ্মনবাড়িয়া ফিচার, সাংগঠনিক সম্পাদক কসবা প্রেসক্লাব, গীতিকার, কসবার গান
লোকমান হোসেন পলা
আমি চাই তোমাকে নিয়ে একটি ডিজিটাল সংসার করতে। এইটা করার কারণ হলো, তোমাকে লেখার একটা প্লট দিতে চাই, মানে তুমি লেখবে সেটা বই আকারে, তবে আমার নাম সরাসরি যাবে না।
এই জন্য তোমাকে আমার খরচে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমকানন বৃন্দাবনে যেতে হবে, আর বাংলাদেশের এমন কোনো প্রেমের জন্য স্মরণীয় স্থান আছে কি আমাকে জানাও।
- ভাল আইডিয়া বন্ধু আমি যাবো বৃন্দাবন, কিন্তু তোমার ডিজিটাল সংসার ব্যাপারটি তো বুঝতে পারলাম না।
- বন্দু ডিজিটাল প্রেম তো তোমার সাথে শুরু হয়ে গেছে, চালিয়ে যাও সংসারও হবে,
Ñ মানে কি?
- এই যে চ্যাটিং এটা তো ডিজিটাল ব্যবস্থা, সংসারও সেই ব্যবস্থাই হবে।
- হা হা হা
- তুমি তাজমহল দেখছো, বৃন্দাবনও দেখবে। আর বাংলাদেশের কি আছে আমাকে বল, যদি দেখে থাকো তাহলে তো হলোই না দেখে থাকলে দেখে নেবে।
- আমার কাছে বাংলাদেশের দু’টি প্রেম কাহিনী অনেক স্মরণীয় বলে মনে হয়, একটি আমি দেখেছি, সেটি হলো ‘মথিন’ মানে ‘মথিনের কূপ’ কক্সবাজারে টেকনাফে অন্যটি হলো, কিশোরগঞ্জের মধ্যযুগের মহিলা কবি চন্দ্রবতীর প্রেম।
এটা আমার দেখা হয়নি।
- তুমি আমাকে মথিন, চন্দ্রবতী, বৃন্দাবন, তাজমহলÑএইসব তোমার দেখা চোখে আমাকে দেখাবে। আর আমাদের কসবার উপর বিস্তারিত আমাকে বলবে, এর বিনিময়ে তোমার সাথে আমার একটা ডিজিটাল সংসার হবে।
- বন্ধু, মনে কিছু করোনা, আমাকে কেন এইসব করতে বলছে। কারণই বা কি বলবে কি?
- বলেছিলাম তো তোমার মধ্যে অমর হওয়ার চেষ্টা আমার
- মানে কি?
- আমি চাই তোমার সাথে আমার যা বিনিময় হচ্ছে তা তুমি বই আকারে প্রকাশ করবে।
- তোমাকে লেখার প্লট দিচ্ছি বোকা রাম,
ধন্যবাদ, কসবার কথা আমি তোমাকে, খনই দিতে পারি। তবে চ্যাটে নয় ইমেইলে কারণ এটা আমার এক পত্রবন্ধু বাড়ি দিনাজপুর নাম কবিতা তাকে দিয়েছিলাম। তোমার ইমেইল দাও দিয়ে দেবো।
- দিলাম, পাঠাও।
রবি তার পত্রবন্ধু কবিতাকে লেখা কসবা
উপজেলার ইতিকথা চিঠিটি মিতাকে পাঠালো, এমনছিল সেই, চিঠিটি।
প্রিয় কবিতা,
পৃথিবীর সব ধর্মই আমাদের মূলে মূলে সৎ এবং সুন্দর হবার আহ্বান জানায়। আর মানুষ কেমন হবে সেই প্রশ্নে নিশ্চয় তোমার উত্তর, ভাল। আর ভাল হওয়াই চাই। তা সত্ত্বেও জীবনের বৈচিত্র্য নানা স্তরে নির্মিত। আলোর পিঠে পিঠে যেমন অন্ধকার লেগে আছে, আমাদের পায়েও তো সারাক্ষণ এই বিপরীত খেলা। বেঁচে যে আছি তাও আসলে বিস্ময়ের রথে চেপে যাত্রা মানুষের। কী নাটক নেই সেখানে? পত্রিকার পাতা উল্টালে যেমন রুদ্ধশ্বাস চিত্রের পর চিত্র, বাস্তবেও যেন তেমনি জটিলতা আমাদের ঘূর্ণানে ফেলে দেয়। এই নিয়ে অজস্র জিজ্ঞাসা। ছোটবেলায় শুনেছিলাম সাত স্যাকরার গল্প, এখনও দুঃস্বপ্নে রাজার বোন ছাগলি রাক্ষুসীতে রূপান্তরিত হয়ে শুষে নিতে আসে মানুষের রক্ত। ভয়ার্থ চিৎকারে জেগে উঠে 'বসি বিছানায়। আশ্চর্য, বড় হয়ে আজও কী ঘটছে পৃথিবীতে?
দিন ঢাকা পড়ে। ফের দিন সূর্য উঠবার মতো করে জাগে পর সকালে। কিন্তু প্রশ্ন কি ফুরোয়? আমাদের যে বিস্ময় রথে যাত্রা সেখানেও দেখি প্রায়ই এর ওপর উঁকি ঝুঁকি। তাদের পাপÑপূর্ণি বিচারের ভাগ ঈশ্বর বহন করবে। আমি শুধু চক্রে চক্রে বন্দি। মাঝে মাঝে ভাবি, আঁকিয়ে যেমন আঁচড়ে আঁচড়ে মুখ ফুটিয়ে তোলেন ক্যানভাসে আমিও অক্ষরে অক্ষরে দু-একটি আঁকি না কেন?
প্রিয় কবিতা,
মুঠো ফোন দখল করে ফেলেছ পত্র যোগাযোগকে। তার পরেও চিঠির আবেদন অন্যরকম একটি আবেদন তোমার পত্র যথাসময়ে পেয়েছি। আমি দুঃখিত যে সময়ের অভাবে তোমার পত্রের উত্তর যথাসময়ে দিতে পারিনি। তোমাদের লিচু, রামসাগর, কান্তজির মন্দির, হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়, স্বপ্নপুরী এবং তুমি... তোমার... সত্যিই ভাল লেগেছে। না বন্ধু অঞ্চন দত্তের গাওয়া ‘কসবার ঐ নীল দেয়ালের ঘর’ গানটি আমার কসবাকে নিয়ে নয়। সেটা কলকাতার কসবা। কসবার ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে তোমাকে বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ রাখার চেষ্টা করছি।
প্রিয় কবিতা,
কসবা ছিল সুলতানি আমলের উপবিভাগীয় প্রশাসনিক কেন্দ্র। প্রশাসনিক উপ-বিভাগগুলোর মধ্যে ইকলিম, ইকতা, মুকতা, ইরতা, সোয়ার,ও কসবা নামের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট ৩৭টি কসবার বন্ধন পাওয়া গিয়েছে। কসবাগুলির অধিকাংশই বর্তমান জেলা শহরের মধ্যে বা অদুরে অবস্থিত ছিল। একটি কসবার অবস্থান থেকে অন্যটির দূরত্ব ও একটি বিষয়। এসব নামের সঙ্গে অনেক রাজকীয় আমলার পদবির সংযুক্তি লক্ষ করা যায়, যেমনÑ কাজূর কসবা, কতোয়ালের কসবা, শহর কসবা, নগর ইত্যাদি।
কসবাগুলোর অবস্থান, একটি সঙ্গে অপরটির দূরত্ব, রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রাদেশিক রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা এবং নামের সঙ্গে যুক্ত রাজকীয় পদবি ও অন্যান্য বিষয় বিচেনা করে কসবাকে সুলতানি আমলের একটি উপ-বিভাগীয় প্রশাসন কেন্দ্র বলা যেতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:১৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এইতো এসেগেল এই পর্বটিও। এখানেতো আরেক চমক! সুন্দর লিখনীতে গল্পের ধারাবিরনী যখন গল্পের চিত্র পাঠক চোখে তুলে ধরে তখনি লেখকের সার্থকতা। ভাল লেগেছে।