নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অসমাপ্ত ব্যাখ্যা

শিক্ষীত বেকার

শিক্ষীত বেকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন পাসপোর্ট প্রত্যাশির গল্প

১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:১৪

আজ এ সাইটের সকলের কাছে একটা অনুরোধ করছি এই লেখাটা দু মিনিট সময় নিয়ে পড়বেন। হতে পারে আপনাদের মাঝে কেউ হয়তো এ গল্পের চরিত্রের মানুষটার সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারেন।।
সময় ২০১৫ মার্চ মাসের উনিশ তারিখ একটি এসএমএস যেখানে পাসপোর্ট এর ছবি তোলার জন্য পাসপোর্ট অফিসে আসতে বলা হয়। এরপর নিয়ম মাফিক লাইনে দাড়িয়ে ছবি তোলা এবং আনুষঙ্গিক কাজ করা হয় পাসপোর্ট তৈরির জন্য। এর মাস খানেক পর পাসপোর্ট প্রদান বা প্রাপ্তি এসএমএস আসে পাসপোর্ট প্রত্যাশির নিকট এবং তিনি পাসপোর্ট গ্রহণ করেন। মূলত এখান থেকেই গল্পের শুরু। পাসপোর্ট এর তথ্য ভুল আসবার কারণে পুনরায় অফিসে যোগাযোগ করা হয়। এবং সেখান থেকে ভুল সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হয়। পাসপোর্ট প্রত্যাশী সে অনুযায়ী কাগজপত্র প্রদান করেন এবং তাকে বলা হয় মাস দুয়েকের মধ্যে সে সংশোধিত পাসপোর্ট পেয়ে যাবে। কিন্তু মাস নয় প্রায় দু বছর হতে চলেছে পাসপোর্ট এর দেখা নেই। সংগত কারণে পাসপোর্ট অফিসের নাম প্রকাশ করতে পারছিনা। তবে পাসপোর্ট অফিস টি বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস।। হা এ অফিসের গেটের নিরাপত্তা রক্ষী থেকে অফিস পরিচালক প্রধান এর নিকট শতবার পাসপোর্ট কবে নাগাদ পাওয়া যাবে তাজানার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে তা নির্দিষ্ট নয়।। এরপর একদিন অফিসে কথা বলে জানা যায় এখান থেকে (বিভাগীয় অফিস থেকে) একটি আবেদন পত্র ঢাকার কেন্দ্রীয় অফিসে পাঠাতে হবে ।। সে জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসারের নিকট কয়েক বার কথা বললে তিনি শুধু আশ্বাস প্রদান করেন যে তিনি তার অফিস সহকারি অর্থাৎ যিনি এই কাজ গুলি করেন তার মাধ্যমে ঢাকাতে আবেদন পত্র পাঠিয়ে দিবেন।। কিন্তু তিনি আজ অব্দি একটি আবেদন পত্র প্রদান করেন নি।। এখন পাঠকের নিকট আমার প্রশ্ন পাসপোর্ট আবেদন কারী ব্যাক্তি কি এদেশের নাগরিক নন? আর তথ্য যদি ভুল ছাপা হয়ে থাকে তবে আবেদন কারীর কি করার আছে? সে তো পুনরায় তথ্য প্রদান করেছে এবং তার কাছে চাওয়া ডকুমেন্ট এবং এভিডেভিট প্রদান করেছে তবে তাকে কেন এভাবে হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে।।
আর একটা শেষ প্রশ্ন আপনারা যারা পাসপোর্ট এর বিভাগীয় পরিচালক(সব বিভাগের পরিচালক সমান নন) তারা যদি একটা আবেদন পত্র পাঠাতে না পারেন বা অবহেলা করেন সেবা প্রদান করার কাজে তবে কেন এ পদে বসে আছেন?
হয় সঠিক সেবা প্রদান করুন নতুবা বেতন গ্রহণ বন্ধ করুন।। জনগণ এই হয়রানির শিকার হতে চাই না। আর সংশ্লিষ্ট পদে আপনাদের কে দায়িত্ব পালন করার জন্য বসানো হয়েছে। এভাবে মানুষকে হয়রানি করার জন্য বসানো হয়নি।।।
বিঃদ্রঃ এখানে সে সকল অবহেলা কারী কর্মকর্তা দের কথা বলা হয়েছে যারা তাদের দায়িত্বে অবহেলা করে মানুষকে হয়রানি করছে।।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:৩৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমারও ভালোনা। টাকা ছাড়া কথা নাই। X(

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

শরীফ বিন ঈসমাইল বলেছেন: একবার পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি যে অবস্থা বলার মত না। এই দুর্গতির শেষ কোথায়........???

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: আপনার লেখাতে প্রচুর গোপনীয়তা রয়েছে। যাকগে। আপনি বলেননি এটি আপনার নতুন পাসপোর্ট আবেদন নাকি পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন। নতুন পাসপোর্ট হলে আপনাকে এসএমএস করে ছবি তুলতে আসার কথা কেন বলবে? সেটাতো যেদিন পাসপোর্ট আবেদন জমা দেবেন সেদিনই তুলে নেবে। আপনার পাসপোর্টে ভুল তথ্য ছাপা হয়েছে তো পাসপোর্ট এর ভুল তথ্য সংবলিত পেজের কি কোন ফটোকপি করেছেন? না করলে তা আজই করুন। আপনি কোথা থেকে আবেদন করেছেন তাও বলেননি, যদি ঢাকা থেকে করে থাকেন তাহলে ঢাকার আগারগায়ে এসে আপনি পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের প্রধানের বরাবর পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করে চিঠি লিখুন (অবশ্যই চিঠির সাথে পাসপোর্ট এর ভুল তথ্য সংবলিত পেজের ফটোকপি যুক্ত করে দেবেন এবং গত দুবছর যাবত আপনার ভোগান্তির সমস্ত বিবরন তুলে ধরবেন। পোষ্টের মত গোপনীয়তা রাখবেন না )। আশা করি এতে কাজ হবে।
অপশন - বি : আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ যেহেতু ২ বছন পার হয়েছে আপনি পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে বা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই মর্মে আবেদন করে সেটার লস্ট সার্টিফিকেট বের করুন তারপর পুনরায় পাসপোর্ট করুন (সেখানে সকল তথ্য সঠিকভাবে দেবেন)।
আমি আপনাকে যা বললাম তা সবটাই আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ, তবে প্রথম অপশনটাই সবচে পারফেক্ট।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:৫৯

শিক্ষীত বেকার বলেছেন: অরন্যে রোদন ভাই এটা প্রথম বার করা পাসপোর্ট এর কথা বলছি পূর্বে কোনো পাসপোর্ট বানানো হয়নি।। এটাই প্রথম ছিল।। আর হা আপনি যানেন কিনা তা জানি না বর্তমানে পাসপোর্ট এর ছবি তোলার জন্য মোবাইল ফোনে এসএমএস প্রদান করা হয়।। এবং পাসপোর্ট পাবার জন্য ও মোবাইলে আসা কোড নম্বর প্রমাণ স্বরূপ সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির নিকট দেখাতে হয়।। আর হা এটা ঢাকার বাইরের থেকে করা পাসপোর্ট এর কথা বলা হচ্ছে।। ইতোমধ্যে ভুল শংশোধন করে পুনরায় পাসপোর্ট তৈরির জন্য যা যা করনীয় সব কিছুই করা হয়েছে এবং যে সকল কাগজপত্র ঢাকা থেকে চাওয়া হয়েছে তা বিভাগীয় অফিস মারফত ঢাকাতে পাঠানো হয়েছে।। এবং ঢাকা হতে ফিরতি এসএমএস এ বলা হয়েছে যে বিভাগীয় পরিচালক এর অনুমতি পত্র বা পাসপোর্ট পুনরায় প্রদানের জন্য সম্মতি পত্র প্রদান করতে হবে । কিন্তু সংশ্লিষ্ট অফিসার এর নিকট বার বার দেখা এবং এ বিষয় এ অবগত করা স্বত্তেও তিনি অনুমতি পত্র প্রদান করছেন নাহ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.