| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরও একটি জাতীয় নির্বাচন একেবারে দোড়গোড়ায় বাংলাদেশ। মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত বাংলার গ্রামগঞ্জ শহরবন্দর অলিগলি রাজপথ। প্রতি ৫ বছর পর পর একটি করে জাতীয় নির্বাচন আসবে জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করবে এটাই নিয়ম। জনগণ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়াগ করবে সেটাই হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বর্তমান বাস্তবতা ভিন্ন।সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ার কোন পরিবেশই দেখা যাচ্ছে না। অথচ তত্ত্বাবধারক সরকার ব্যবস্থার মত একটি সুন্দর পদ্ধতি এদেশে চালু ছিল কিন্তু কেন বিলুপ্ত হল এই পদ্ধতি?
নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগের তীব্র আন্দোলনের মুখে বিএনপি জাতীয় সংসদে অনেকটা বাধ্য হয়েই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রর্বতন করে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে।এরপর ২০০১ সালে আওয়ামীলীগ খুবই শান্তিপূর্ণভাবে তত্ত্বাবধারক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে। ৫ বছর দেশ পরিচালনার পর বিএনপি নিজেদের লোককে তত্ত্বাবধারক সরকারের প্রধান করার উদ্দেশ্যে শুরু করে নানা ফন্দি ফিকির। প্রথমে প্রধান বিচারপতির চাকুরীর বয়স ২ বছর বাড়ানো হয়। আওয়ামীলীগের তীব্র আপত্তির মুখে বিচারপতি কে এম হাসান সাহেব তত্ত্বাবধারক সরকারের প্রধান হতে অস্বীকৃতি জানান। বিএনপি তখন তাদের মনোনীত রাষ্ট্রপতির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। তখন শুরু হয় আওয়ামীলীগের তীব্র আন্দোলন ও অরাজকতা। তখনি সেনাবাহিনীর সমর্থনে বিচারপতি ফখরুদ্দীন আহম্মেদ ক্ষমতা গ্রহণ করেন, এবং সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত সেই ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ জয়লাভ করে এবং পরবর্তীতে তত্ত্বাবধারক সরকার ব্যবস্থাকে বিলুপ্ত করে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তত্ত্বাবধারক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির পিছনে কি আওয়ামীলীগ একাই দায়ী?
-উওর মোটেই না।
এইদেশে একবারই তত্ত্বাবধারক সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল ২০০১ সালে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে প্রথমে বিচারপতির বয়স ২ বছর বাড়িয়ে যেমন নিজের লোক বসানোর চেষ্টা করেছে, পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতিকে তত্ত্বাবধারক সরকারের প্রধান করে পুরো তত্ত্বাবধারক সরকার ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাড় করিয়েছে।
তাই আমার মতে তত্ত্বাবধারক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্তির পিছনে আওয়ামীলীগ বিএনপি সমানভাবে দায়ী।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩০
শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ
২|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ক্ষমতার জন্য সবাই ছুটছে, তাই তো এতো হানাহানি।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩১
শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: আসলেই তাই, আমরা এই রাজনীতি চাই না।
৩|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩১
শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৪|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৬
স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: Excellent
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩২
শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
৫|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৬
আবু তালেব শেখ বলেছেন: ঠিক বলেছেন
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৩
শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: সহমতের জন্য ধন্যবাদ।
৬|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তত্ত্বাবধারক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্তি যথার্থ ছিল।
যথার্থতা প্রমানিত।
কারণ এবার কোন দলই ইশতেহারে তত্ত্বাবধারক সরকার পদ্ধতি চায় নি।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩১
শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: আপনার এই কথাটা আমিও ভেবেছি হাসান ভাই, বিএনপি আবারও শেষ শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে যথার্থ বলে প্রমাণ দিলো।
৭|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭
বাংলার মেলা বলেছেন: ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দরকার ছিল, তাই আন্দোলন করে তত্ত্বাবধায়ক আদায় করা হয়েছে। ২০০১ সালে সেরকমই এক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়েছে চোখের বিষ। ২০০৬ সালে সেনাবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে ইয়াজউদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে থাপ্পর মেরে ফখরুদ্দিনের সরকার বসানো হয়েছে, যাতে আওয়ামী লীগ বিনা বাধায় আবার সরকারে আসতে পারে।
এখন তো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়ই আছে, তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আর দরকার কি? তবে ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়লে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা এরকম কিছু আবারো আমদানি করা হবে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০১
শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: বিএনপি তত্ত্বাবধারক ব্যাবস্থাকে নষ্ট করে ইয়াজ উদ্দীনকে আনার কারণে ১/১১ সরকারের উদ্ভব হয়েছিল, এটা না হলে এখনো তত্ত্বাবধারক সরকার বহাল থাকতো।
৮|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২
বাংলার মেলা বলেছেন: বিএনপি যা করেছে, সংবিধান মেনেই করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ কোন নিয়ম নীতির ধার ধারেনা। একদিকে সংবিধানের দোহাই দেখায়, আবার সংবিধানের ধারা তাদের বিপক্ষে গেলে বলে 'সংবিধানের জন্য মানুষ না, মানুষের জন্য সংবিধান'
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬
শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: এদেশে দুটো রাজনৈতিক দলই মুদ্রার এপিট ওপিঠ।
৯|
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২
নাইম রাজ বলেছেন: হুম ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭
শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮
যোখার সারনায়েভ বলেছেন: পড়লাম।