নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা - আম জনতার কথা

িশশু দর্পন

মেয়ে জাতিকে সম্মান দিন । ওরা আমাদেরই মা-মেয়ে -বোন ।

িশশু দর্পন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে মন্ত্রী-এমপি-আমলারা

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৬

প্রভাবশালী ব্যক্তি, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, আমলা,ব্ যবসায়ী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ক্যাডারসহ ১৪দলীয় জোটের পাঁচ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী বিদেশে পালানোর আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সাত থেকে নয় মাসের মধ্যে চার-পাঁচ ধাপে এসব ব্যক্তির অধিকাংশই কৌশলে বিদেশে পাড়ি দিতে পারে। বাকীরা সরকারের মেয়াদপূর্তির ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই পালিয়ে যেতে পারে। এদের অধিকাংশই ওমরাহ পালন,উন্নত চিকিৎসা,ব্যবসা,বিদেশে অবস্থানরত নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ বিভিন্ন অজুহাতে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দেশ ছাড়তে পারেন বলে শীর্ষ গোয়েন্দাসংস্থাগুলো আগাম আভাস দিয়েছে।

সূত্রমতে,ওইসব সন্দেহভাজনসহ বেশ কিছু দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে কৌশলে বিদেশে যেতে সহায়তার করবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। কিন্তু পরবর্তীতে তাদেরকে সহসাই আর দেশে ফিরতে নাও দেয়া হতে পারে।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তালিকা অনুযায়ী সম্ভাব্য পলাতকদের তালিকায় পর্যায়ক্রমে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার,হোমরা চোমড়া, অসৎ ও দুর্নীতিবাজ রাজনীতিক এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকারী দলীয় নেতাকর্মীরা। শেষের দিকে পালোনোর যাদের সম্ভাবনা রয়েছে,তাদের মধ্যে রয়েছেন এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ আমলা, বিরোধীদলের নেতা এবং বেশ কয়েকজন এমপি ও মন্ত্রী।

গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে,ক্ষমতার পালাবদলের সন্ধিক্ষণে দেশত্যাগের প্রস্তুতি নিতে পারেন এমন সন্দেহভাজন ভিআইপিদের একটি খসড়া তালিকা এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে। আরেকটি সুত্রমতে,তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অন্য একটি সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এ তালিকার বেশ ক’জন ভিআইপি এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রগুলো আরও জানায়,সন্দেহভাজন তালিকাভুক্ত ভিআইপি এবং ক্ষমতাসীন দলের এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনতার উপর ব্যাপক নির্যাতন-নিবর্তন,রাজনৈতিক হয়রানি,ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি,দুর্নীতি- স্বেচ্ছাচারিতা, দস্যুতাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা,জঙ্গিদের মদদসহ রাষ্ট্রদ্রোহিতার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। গত ৪ বছরের ক্ষমতাবলয়ে নিরাপদে থাকার কারণে এসব প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে র‌্যাবসহ পুলিশও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

আইন প্রয়োগকারীসংস্থাসহ গোয়েন্দাসূত্রগুলো জানিয়েছে,মূলত ক্ষমতা হস্তান্তরের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে তীব্র জনরোষ,গ্রেফতার এমনকি ক্রসফায়ারের মতো কঠিন পরিণতির হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই ১৪ দলীয় জোট সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যেতে কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সূত্রমতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অর্ন্তবতীকালীন সরকার বা ভিন্ন কোনো সরকার গঠনের পর দেশের রাজনৈতিক চালচিত্র যাচাই করেই পলাতক এসব প্রভাবশালীরা ফের দেশে প্রত্যাবর্তনের নতুন সিদ্ধান্ত নেবেন।

সূত্রগুলো আরো জানায়,সম্ভাব্য পালানোর পথ হিসেবে গুটিকয়েক প্রভাবশালী বৈধ উপায়ে আকাশ ও স্থলপথ বেছে নিতে পারেন। কেউ কেউ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত,ভূটান,মিয়ানমার হয়ে অন্যত্র পালানোর সুযোগ নেবেন। বাকিরা সমুদ্রপথে অবৈধ প্রক্রিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। এক্ষেত্রে অনেকেই ভিনদেশি পাসপোর্ট ব্যবহারের কথাও ভাবছেন। পালানোর পরবর্তী গন্তব্যে আগেই টাকা পাঠিয়ে আপদকালীন মজুদ করে রেখেছেন বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ গোয়েন্দারা আভাস দিয়েছেন



http://www.notun-din.com/?p=210

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.