![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মুক্তমনা স্বাধীনচেতা, আমি আঁকবো বিধি রক্তে গাথা।
অনলাইনে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি তার "চাঁদ উঠেছিলো গগণে" কিংবা "আমারো পরানো যাহা চায়" গানটির বিকৃতির মাধ্যমে। হ্যা, রোদ্দুর রয়ের কথাই বলছি৷ এখন দুটোভাবেই তাকে ব্যখ্যা করা যায়, প্রথমত সে পাগল, দ্বিতীয়ত, পাগলের ভান করে।
.
পাগল হলে ত আর যুক্তি-তর্ক খাটেনা, পাগলের ভান ধরলে বাজার ধরার ইস্যু আসে৷ কিন্তু রোদ্দুর রয় এই ফাঁকেই আমাদের বেশ কিছু জিনিস দেখিয়ে দিয়েছেন। আচ্ছা রোদ্দুর রয়ের কিন্তু কবিতার বই আছে। নাম "পরম ক্যাওড়া কাব্যগ্রন্থ"। বইটির পিডিএফ আছে হুলুতে তবে নামাতে পারিনি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলোকে ঠিক কবিতা বলা যায়না৷ আমি মোটামোটি দুটো কবিতা দেখেছি। সেটা থেকে বুঝলুম তিনি প্রচলিত গ্রামার বা শব্দের ব্যবহার মানেন নি। কিন্তু কি অসাধারনভাবে রোমান্টিক পিরিয়ডের শব্দগুলোকেও বর্তমান সময়ের সাথে মিলিয়ে দিয়েছেন।
.
যেমনঃ
এখনো আমার নিজের কবিতার বই,
আধো ঘুমে হঠাৎ হঠাৎ দেয় দেখা,
এখনো কখনো মিছিলের মেঘ দেখে,
মনে পড়ে কোনো পূজো বা ইদের দেখা
.............
আমি সহিনু শতেক যাতনা কত
সহিতে হইলো হাড়গোড় ভাঙা ক্ষত
এখনো তোমার রাস্তা বাড়ির নিচে,
মোর কঙ্কাল মোড়া আছে কালো পীচে।
.
লক্ষ্য করে দেখেন, সহিনু শতেক যাতনা কত এর প্যারা আর প্রথম চার চরনের মধ্যে শব্দ ব্যবহারের কালক্রমীক ফারাক স্পষ্ট৷ কিন্তু এক্সপ্রেশানের ভঙ্গীমাটা কতটা নিজস্ব আর আধুনিক। আবার দ্বিতীয় যেটা পড়েছিলাম-
" অনেক শরীর ঘেটে আজকাল
যৌনতা তেমন ভালো লাগেনা যৌনতা তেমন ভালো লাগেনা - কেন কে জানে
ঝর্ণার জল আকণ্ঠ গিলে সেই জলে স্নান করতে
ইচ্ছে করে একা, খুব ভোরে উঠে, পাহাড়ে গিয়ে -
সাথে থাকুক - আমার শান্তি শুধু"
.
এই লেখাগুলোকে বিশেষজ্ঞরা হয়ত আহামরি কিছু বলবে না। কিন্তু লেখার তীব্রতা কম হওয়ায় তিনি গ্রহন করলেন ভিন্নপথ৷ মার্কেট ধরলেন৷ এখানে তিনি তার মেসেজ দিচ্ছেন। আমি ভাবছি এইগুলোকে তিনি কবিতায় জুড়ে দিতে পারতেন, তার লেখনিতে আনতে পারতেন। এমনকি তিনি পরিচিত করালেন মক্সামিউজিকের সাথে৷
.
আমি গান গাইবো, তার জন্যে কোনো ব্যকরন না মেনেও আমার সাথে গানটির এক্সপ্রেশন ওয়াইজ গাইবো৷ মক্সামিউজিক এই প্রথম বাংলায় পরিচিত হলো। এখন এই অংশ নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে৷
.
রোদ্দুর রয়ের আরেকটি চমৎকার কাজ সম্ভবত "And Stella Turns a Mom"। এটি কি আসলে উপন্যাস কিনা নিশ্চিত নই। তবে গুডরিডসে ঢু মেরে কন্সেপ্টটা অবাক করেছে। আপনারা নিজেও দেখে আসতে পারেন।
এর বাদেও তাঁর আরো কিছু পরিচয় আছে। রোদ্দুর হলেন কলকাতার লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের পরিচিত একটি মুখ। সারা জাগানো ইউটিউবার। ‘মোক্সা গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট’, ‘মোক্সা রেডিও’ ইত্যাদির সাথে জড়িত তো আছেন ই।
.
আমার পোস্টের উদ্দেশ্য মোটেও রোদ্দুর রয়কে একটা জাজমেন্টে আনা না। সে কি চায় আমি একটা দৃষ্টিকোন থেকে বলতে পারি মাত্র। কিন্তু লেখক রোদ্দুর রয়কে খুবই সিরিয়াস বলেই মনে হয়। জোকার মানতে পারিনা।
©somewhere in net ltd.