নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিয়মিত ব্লগার

শবদাহ

শত প্রতিকূলতার মাঝেও যে লোক হারায় না নিজ মনোবল...বিজয় তার অধিকার শুনে রাখ ওরে দুর্বল।

শবদাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মায়া

১০ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:০০

রাত প্রায় সাড়ে এগারটা। বাইরে শুনশান নীরবতা। ল্যাম্প পোস্টের বাতিগুলো নির্জন গলিকে আলোকিত করে রেখেছে। পথ ধরে দু’একজন লোকজন চলাফেরা করছে। কেউ সারাদিন পরিশ্রম করে কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরছে শান্তির নীড় বাড়ির উদ্দেশে, কেউবা আবার এক কাপ চা, একটা সিগারেট খেতে ছুটছে চায়ের দোকানে। এরই মাঝে একটি ছেলে ছয়তলার জানালার পাশে বসে বিষণ্ন চিত্তে রাস্তার দিকে তাকিয়ে একজনের চলে যাওয়া দেখছে। মায়া নামক শব্দটি তাকে আরেকবার তাড়িত করছে। অনেক স্মৃতি বারবার আবির্ভূত হচ্ছে তার হৃদয়ের মানসপটে। ব্যথায় ক্লিষ্ট হচ্ছে তার মন। আক্রান্ত হচ্ছে সে অতীত স্মৃতির দ্বারা। আট বছর আগে বাড়ি ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা, কলেজ জীবন শেষ হলে হল ছাড়া, বিভিন্ন মেসে অবস্থান কালে নানা রকম বিড়ম্বণা ও হাস্যকর ঘটনাসহ নানা ঘটনা তার মনে বারবার উঁকি দিয়ে যাচ্ছে।

মায়ার জাল ভেদ করে বেরিয়ে আসা সহজ কোনো কাজ নয়। এই সত্যটা সে নতুন করে আরেকবার অনুভব করলো। কর্মজীবনে্র নানা ব্যস্ততার মাঝে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কগুলোকে ঠুনকো মনে হলেও আসলে তা নয়।

দীর্ঘ ছয়মাসের বেশি সময় একসাথে থাকার পর আজ তার খুব কাছের একজন মানুষ তার সঙ্গ ছেড়ে নতুন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চলে গেলেন । বিয়ে করে নতুন বউ নিয়ে নতুন বাসায় উঠতে হবে। তাই তিনদিন আগেই নতুন বাসার উদ্দেশ্যে তার এই শুভযাত্রা। ঘর গোছানোর কিছু কাজ তো থাকে।



ছেলেটির গুনগুন করছে ছেলেবেলায় স্কুল থেকে শেখা একটা গান।

'চলে যায় যদি কেউ বাঁধন ছিড়ে, কাঁদিস কেন মন...

ভাঙা গড়া এই জীবনে আছে সর্বক্ষণ...'


স্মৃতিকাতরতায় বিভোর হয়ে সাধের ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট রেখে সে এখন জানালার ধারে বসে আছে। হঠাৎ মনে হলো একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিলে কেমন হয়! আর কিছু না হোক অন্তত খোলা ডায়েরির কাজতো চলবে। বয়স বেড়ে যখন সে অনেক বুড়ো হয়ে যাবে তখন অতীতের কিছু স্মৃতি অন্তত আওড়াতে পারবে। আর তা নিশ্চয়ই ভালো লাগা ও প্রশান্তি বয়ে আনবে হৃদয়ে।

নাইবা আনুক সুন্দর কোনো সুখস্মৃতি, অন্তত সোনালী যৌবনের লেখা ও আবেগের সাথে আরেকবার নতুন করে পরিচিত হতেতো পারবে। অনুভব করতে পারবে সেই উদ্যাম লাগামহীন যৌবনের চিন্তা, চেতনা, দুরন্তপনার মাঝেও কত মায়া ছিলো হৃদয়ে।

সেই ক্ষুদ্র প্রয়াস থেকেই এই প্রচেষ্টা ও লেখনী।।



এ পর্যন্ত লিখে ছেলেটি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস পোস্ট করে দিল। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ছেলেটি তার মনের কথাগুলো লিখে রাখলো বাইনারী এক ডায়েরীর পাতায়।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:১৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ফেসবুক বোধহয় আমাদের আবেগগুলো সস্তা করে দিয়েছে| টাইমলাইনভর্তি আবেগ আর মায়া

১০ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৩৮

শবদাহ বলেছেন: মাঝে মাঝে তাই মনে হয়। দ্বিধাগ্রস্ত উত্তর।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমার পাতায় আপনাকে স্বাগতম আরণ্যক।

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

আরজু পনি বলেছেন:
ফেসবুক ডায়েরির কাজ করে ...এটা সত্যি। তবে কাগুজে ডায়েরির মতো যা ইচ্ছে তাই লেখা সম্ভব হয় না সবসময়।

আপনার নিকটা এমন যে দেখলেই/পড়লেই অস্বস্তি হয় !

:|

১১ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

শবদাহ বলেছেন: আপনি একদম ঠিক বলেছেন। ফেসবুকে কাগুজে ডায়েরির মতো প্রাইভেসি নেই।
তবে এখনকার প্রজন্ম কিন্তু ফেসবুকে জীবনের প্রায় সবকিছুই- অনুভূতি, খাওয়া, ভ্রমনসহ নানাবিধ ব্যক্তিগত ব্যাপার শেয়ার করছে।
তাই মনে হলো নতুন লেখক হিসেবে কিছু অন্তত লিখে হাত পাকাই।

আমার নিক দেখে আপনার অস্বস্তি তৈরির জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কয়েকদিন যাবৎ অবশ্য নাম বদলানোর জন্য মডুর নিকট আবেদন করার কথা ভাবছি। দু' বছর আগের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গির মিল নিয়ে দফারফা হচ্ছে না।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য আরজুপনি। আমার পাতায় আপনার উপস্থিতি কামনা করছি।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

শায়মা বলেছেন: এ পর্যন্ত লিখে ছেলেটি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস পোস্ট করে দিল। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ছেলেটি তার মনের কথাগুলো লিখে রাখলো বাইনারী এক ডায়েরীর পাতায়।



ফেসবুকের চাইতেও ব্লগ লেখাটা বেশী কাজে আসবে অন্তত লেখালিখির ইমপ্রুভমেন্টের জন্য!:) আমি তার জলন্ত প্রমান। আবল তাবল হাবি জাবি লিখি যদিও কিন্তু ব্যাক্তিগত ও কর্মক্ষেত্রে যে কোনো লেখা লিখে ফেলতে এক ফোটা ভয়ও আর করেই না। :P

কাজেই ভাইয়ু ফেসবুকের চাইতেও ব্লগে লেখালিখি বিশেষ কার্য্যকরী! :)

তাই বলে এমন শবদেহ নিক নিলে বলাও যায়না পনি আপুনির মত অনেক আপুনিই কিন্তু ভুতের গন্ধ পেয়ে তোমার ব্লগের ধারে কাছেও না ভিড়তে পারে.

আমিও তো ভুত ভুত নিক দেখে ভিড়ছিলাম না শেষে পনি আপুর কমেন্ট দেখে ভয়ে ভয়ে ঢুকলাম সাহস করে।:) :) :)


যাইহোক ভালো থেকো অনেক অনেক ভাইয়ামনি!!!!!!!!!! আর বেশি বেশি লেখো মনের আনন্দ নিয়ে।:) :) :)

১১ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

শবদাহ বলেছেন: যদি ভুল না জানি, ব্লগের জন্মই হয়েছিল এই অনলাইন ডায়েরি লিখার জন্য।
অবশ্য কমিউনিটি ব্লগে এধরণের ছোটখাট ব্যক্তিগত কথা অবান্তর বলে গণ্য হতে পারে। এটা শিক্ষনীয় একটা স্থান। প্রতিষ্ঠানও বলা চলে। সামু যেমন একটা প্রতিষ্ঠান।
ব্যক্তিগত ব্লগে অবশ্য ছোট-বড় সব লেখাই চলে।

আপুনি আপনি ভুলে গেলেতো চলবে না যে আমি আপনাদের মতো বিখ্যাত ও সুন্দর, সৃজনশীল লেখনীর ক্ষমতাধারী কেউ না। আমি লেখালেখির চেষ্টা ও শুদ্ধ বানান শেখার সাথে সাথে বিখ্যাতদের সাহচর্যে থেকে তাদের পরামর্শে নিজের সৃজনশীল শক্তি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে লিখি। ইতোমধ্যে আপনাদের মাধ্যমে আমার প্রাপ্তি শুরুও হয়ে গেছে।
আমি নতুন লেখক বলেই এই লেখাকে কমিউনিটি ব্লগে প্রকাশ করতে দ্বিধাবোধ করলাম না।

আর নাম! ওটা কোনো ব্যাপার নয়। ভূতকে ভয় পাবার কিছু নেই। ভূত বলে কিছু নেই।
তারপরও যদি ভয় না কাটে তো বলব, আমি দোয়া-দরুদ পড়ছি, আপনি আমার ভার্চুয়াল বাসায় অতিথি হয়ে বেড়াতে আসুন।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপুনি!!! ভালো থাকবেন।

৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শায়মা বলেছেন: হা হা রাম নাম করে ঢুকবো তোমার ব্লগে ভাইয়া। শুনেছি এই নাম করলে ভুত দূরে পালায়।:)

১১ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

শবদাহ বলেছেন: :D :D :)

৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো লাগলো।


লিখতে থাকুন :)

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

শবদাহ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সম্মানিত মহামহোপাধ্যায়
আমার এদিকটায় আপনিসহ সামুর গুণীজনদের উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য।
ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.