নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিয়মিত ব্লগার

শবদাহ

শত প্রতিকূলতার মাঝেও যে লোক হারায় না নিজ মনোবল...বিজয় তার অধিকার শুনে রাখ ওরে দুর্বল।

শবদাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘোর

১২ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:১৬

-ওহ। তোমাকেতো অভিনন্দন জানানো হয় নি। অভিনন্দন!! বইগুলোর জন্য।

-থ্যাংক ইউ। আমি এমনিতেই আজ অনেক খুশি।

-এত খুশি। হাসি দিবে নাকি খুশিতে?

-হুম।

-কি যেন একটা কবিতা আছে না?

-কোন কবিতা?

-এই দেখনা কত হাসির খবর বলে যাই…খোকন হাসে ফোঁকলা দাঁতে... চাঁদ হাসে তার সাথে সাথে।

-কাজল বিলের শাপলা হাসে... হাসে সবুজ ঘাস... খলসে মাছের হাসি দেখে... হাসেন পাঁতিহাস।

-হু হু হু, ওইটাই।

-:D

-ওরে ব্‌বাপ্‌স। এ যে দেখছি খলসে মাছের হাসি।

-:-*

-খাইছে!

-কি হলো?

-গভীর চিন্তামগ্ন কার্টুন।

-আমার হাসি দেখে ভয় পেয়েছেন নাকি? কার্টুনে সমস্যা কি?

-হাসি দেখে কি কেউ ভয় পায়? জানতাম নাতো। মনে হচ্ছে চিন্তামগ্ন কার্টুন।

-না। যেভাবে বললেন তাতে মনে হয়েছিল।

-ও।

-আমার বই পাওয়া কিন্তু এখানেই শেষ নয়।

-তাই নাকি?

-হুম।

-তুমিতো অনেক বই পেয়েছ।

-হুম। দশটা। কিন্তু এর মধ্যে ছয়টা আমার।

-মিসির আলী পড় নাকি?

-হুম। পড়ি।

-মিসির আলী আমার খুব প্রিয় চরিত্র। আজও অফিসে বসে বসে উনাকে পড়লাম- হরতন ইস্কাপন এ।

-আমি মিসির আলীর বিরাট ফ্যান।

-ভালো।

-ঐ বইটা পড়ি নি।

-মিসির আলী সূক্ষভাবে চিন্তা করতে শেখায়। হিমুকেও অবশ্য ভালো লাগে। ঠিক আছে তুমি ভালো থেকো।

-চলে যাচ্ছেন নাকি?

-হ্যা। বই পড়। বই হচ্ছে একাকিত্বের সঙ্গী।

-আর একটু থাকা যায় না?

-ঠিক আছে। তুমি যখন বলছ থাকি আরও কিছুক্ষন। তবে বেশিক্ষণ না। কি বলবে বল।

-বলব না, শুনব। আপনি কিছু বলুন।

-কি শুনতে চাও?

-বইয়ের ব্যাপারে। হিমু, শুভ্র এদেরকেও আমার অনেক ভালো লাগে।

-শুভ্র ! বেশ কয়েকটা পড়েছি। সেতো খালি বই পড়ে।

-জানেন, আমি আজ সারাদিন বই পড়েছি।

-ভালো। বই পড়া ভালো অভ্যাস।

-দোয়া রাখবেন আমার জন্য।

-অবশ্যই। আচ্ছা, তুমি কি জান, মানুষ নিজের চরিত্রের সাথে যে চরিত্রের মিল খুঁজে পায় তাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসে।

-জানতাম না। তবে এখন জানি।

-শুভ্র ছেলেটাকেও আমার ভালো লাগে কারণ সে আমার মতো বোকা।

-আপনি বোকা? কে বিশ্বাস করবে?

-কেন? আমি নিজেই কি যথেষ্ট না?

-না।

-ইদানিং হিমু হতে খুব ইচ্ছে করে। অবশ্য এটা আমার মানসিক সমস্যা। যা পড়ি তাই হতে ইচ্ছে করে।

-আর আমারতো মেয়ে হিমু সাজার অনেক শখ।

-তাই নাকি?

-জ্বী।

-কিছুদিন আগে একটা লেখা লিখেছিলাম। হিমু হতে ইচ্ছে করছিল ঐদিন খুব।

-আসলে হিমু চরিত্রটাই এমন যে সবাইকে মোহিত করে রাখে। সবাইকে প্রেমে ফেলে দেয়।

-মহাপুরুষ। হিমু হচ্ছে মহাপুরুষ।

-ওর মতো হতে পারলে কি মজাই না হতো!

-সম্মান দিয়ে কথা বলো।

-আবার কি করলাম?

-ও মানে কি?

-ও দুঃখিত। উনি। উনার মতো হতে পারলে কি মজাই না হতো!

-মজা না কষ্ট হতো। হিমুরা কষ্টে থাকে। তাদের বুক ভরা কষ্ট।

-সেটাও একটা প্রাপ্তি।

-ওমা।

-কি হলো?

-সেটাও প্রাপ্তি?

-মহাপুরুষ বলে কথা।

-বই লেখা শুরু করলে নাকি?

-কেন?

-সেটাও প্রাপ্তি!

-কি যে বলেন! আমি লিখব বই?

-সেরকমইতো মনে হচ্ছে কথার ধরন দেখে। শোনো মেয়ে, আবেগ দিয়ে জীবন চলে না।

-জানলাম।

-কথার মাঝখানে কথা বলবে না। জীবন অনেক কণ্টকময়। জীবন দুর্বিসহ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করতে হয়।

-আপনি যেভাবে শুনো মেয়ে বললেন, আমার খুব ভাল লাগছে। একদম বড় ভাইয়ের মতো।

-কি?

-বড় ভাইকে খুব মিস করছিতো তাই। অন্য কিছু মনে করবেন না।

-ও। আমি দুঃখিত।

-দুঃখিত কেন?

-তোমাকে কষ্ট দিলাম।

-কে বলল কষ্ট দিয়েছেন। মোটেও কষ্ট দেন নি।

-ও। ভালো। তা তোমার ভাই কি করেন?

-বড় ভাই ম্যাসাচুটেস-এ পড়েন।

-ভালো।

-জ্বী। উনি অনেক ভালো।

-ভাইয়েরা কখনো 'শোনো মেয়ে' বলে নাকি। তারা বলে শোন। আমিতো বলেছি মুরুব্বী হওয়ার জন্যে বলেছি। তাও আবার মিছেমিছি।

-মিছেমিছি হবে কেন? আপনিতো মুরুব্বীই। আর আমার ভাই অন্য সবার চেয়ে আলাদা।

-তাই নাকি?

-হুম।

-ঠিক আছে। ভালো থেকো। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দাও।

-আর একটু থাকা যায় না?

-না। রাত জাগা ঠিক না। তুমিও ঘুমাও। নাহলে সাস্থ্য আমার মতো হয়ে যাবে। টিঙটিঙে রোগা, পটকা, হ্যাংলা।

-এটা কোন কথা হলো?

-এটাই সত্য।

-আপনার মতো জ্ঞান অর্জন করে পটকা কেন, কাঠি হতেও আমার কোন আপত্তি নেই।

-বন্ধুর কাছ থেকে দীক্ষা নাও, না?

-কি করলাম?

-গ্যাস বেলুনের নাম শুনেছ। সূঁচ দিয়ে ফুটো করে দিলেই ফুস্‌স্‌স। বাতাস বের হয়ে গেলেই শেষ। কোনো দাম নেই।

-ফুস্‌স্‌স?

-হ্যাঁ, ফুস্‌স্‌স। বুঝো নি?

-জ্বী। বুঝেছি।

-আচ্ছা তুমি কি 'ডেল কার্ণেগী'র' 'প্রতিপত্তি ও বন্ধুলাভ' পড়েছ? পড়ে থাকলেও লাভ নেই । আমি ওটা অনেক আগেই শেষ দিয়েছি। গত মাসেও একবার।

-আমি বইটা পড়ি নি।

-ও ভালো। পড়লেই-বা কি এসে যায়? শুরুতেই ওইভাবে চলতে গেলে সবাই হাসবে, ঠাট্টা করবে আর ঠকাবে। অবশ্য তোমাদের ব্যাপার আলাদা। তোমরাতো আর কেউ আমার মতো শুভ্র টাইপ না।

-শুভ্র টাইপ মানে কি?

-মানে বোকা টাইপ।

-আপনি নিজেকে এত গুরুত্বহীন মনে করেন কেন?

-আমি কিছুই পারি না, তাই।

-আপনি আমাদের যে কারও থেকে অনেক বেশি ভাল জানেন। অনেক বেশি জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ আপনি। এমন হতাশাগ্রস্ততায় আপনাকে মানায় না।

-আমি হতাশ তোমাকে কে বললো? আমিতো নিজের ক্ষুদ্রতা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।

-আপনার কথা শুনে আমার মনে হচ্ছে আপনি হতাশ।

-হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবাল, ইমদাদুল হক মিলন সবাইকে ছাড়িয়ে যেতে চাই আমি। হয়ে উঠতে চাই আর্থার কোনান ডয়েল, আর্থার সি ক্লার্ক এর মতো স্বতন্ত্র ও অদ্বিতীয়। চিন্তা করে দেখেছ, এখনো কত নিচে পড়ে আছি।

-হবেন। তো এত হতাশ হওয়ার কী আছে?

-শোন মেয়ে, তোমার বোধ হয় একটা বাণী জানা নেই।

-কোনটা?

-এ পৃথিবীতে যে যত শিক্ষিত হবে, যে যত লেখাপড়া করবে, সে ততই অনুভব করবে যে সে আসলে কিছুই জানে না। সে অনেক ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। তার মনে জাগ্রত হবে আরও জানার প্রয়াস।

-আপনি কিন্তু নিজের অজান্তে একটা স্বীকারোক্তি দিয়ে গেলেন।

-কোনটা?

-সেটাতো এখন বলব না।

-আমি অবশ্য মাঝে মাঝে হতাশ হই না যে, তা না। চারপাশের গুণীজনদের দিকে তাকালেই হতাশা আমাকে গ্রাস করে।কি তাদের লেখনীর ক্ষমতা! তুমি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছ। আমিও মাঝে মাঝে চেষ্টা করি।

-জ্বী। আমি সেটা লক্ষ্য করেছি আপনার কথাবার্তায়।

-আমার ভার্চুয়াল স্ট্যাটাসগুলো আমি সবসময়ই অন্যভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করি।

-জ্বী। আমি দেখেছি।

-তুমি জানো না, আমার ফেবু ফ্রেন্ড লিস্টে প্রায় ১০০ বাঘা বাঘা ব্লগার ছিলো। যাদের ব্লগ লেখনী দেখলে আমার মনে হয়, আমি অতি উত্তম আমড়া কাঠের ঢেঁকি।

-আপনার লেখালেখি করার অনেক শখ, না?

-হুম।

-আচ্ছা, ফ্রেন্ডলিস্টে ছিলো বললেন কেন?

-কারণ এখন মাত্র মাত্র ৪-৫ জন আছে।

-বাকিরা?

-বাদ।

-কেন?

-আমি সৃজনশীল লেখক হতে চাই। রাজনীতিবিদ না।

-মানে?

-মানে যারা রাজনীতিবিদদের নিয়ে আক্রমণাত্মক লেখা দেয় তারা বাদ। অনেকেই এই কাজ করে। গঠনমূলক হলে ঠিক আছে। কিন্তু ব্যক্তি আক্রমণ আমার অপছন্দ?

-ও।

-কখন কোন কেসে ফেঁসে যাই কে জানে। আমিতো সৃজনশীলতা শিখতে চাই, রাজনীতি না।

-আপনি দুর্বল চিত্তের লোক।

-এতদিনে বুঝলে?

-হুম। আমার বয়স কম। আমি বুঝিও কম।

-পাকাপাকা কথাতো বলো মাঝে মাঝেই।

-তাই?

-এই। আমার সাথে একদম মশকরা করবে না, বলে দিচ্ছি।

-আচ্ছা। করব না।

-

-লাইক কেন?

-মোবাইল থেকে স্ক্রীনে চাপ লেগে হয়ে গেছে।

-ও। ভালো।

-হুম। এটা ফ্রেন্ডলিস্ট ছাটার অন্যতম কারণ। শেষে আবার রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা খাবো নাকি? শুধু সৃজনশীল লেখনীর কিছু স্রষ্টা আছে লিস্টে।

-তাই?

-হুম।

-তাও ভালো। একজন সৃজনশীল লেখকের সাথে আমার পরিচয় আছে।

-কে সে?

-কেন, আপনি।

-আবার?

-কি?

-বেলুন। গ্যাস বেলুন।

-ও। বেলুন শুনেতো আমি ভেবেছিলাম অন্য কিছু।

-কি?

-কিছুনা।

-এই! আমি বুঝতে পেরেছি। আমি ওসব কিছু ভাবি নি। তুমি এত বদ কেন?

-হুহুহু। আপনি লিখতে পারবেন। আর আমি মনে করলে দোষ?

-দিন দিন অনুভব করছি তোমরা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছ।

-তাই?

-হুম।

-ভালো।

-হুম। ঘুমাবে কখন?

-আপনি যখন চাইবেন।

-মানে?

-মানে আপনি যখন ঘুমাবেন।

-তুমি যে আমার সাথে এতক্ষন ধরে কথা বলছ তোমার বন্ধুরা তোমাকে কিছু বলে না। বকা দেয় না?

-ইস্‌স। আমাকে বকা দেবে! আমাকে কেউ কিছু বলার ক্ষমতা রাখে না।

-আমি বললেই তুমি ঘুমাবে?

-হুম।

-আমি বললেই তোমার ঘুম আসবে?

-হুম।

-সত্যি।

-জ্বী। আপনি বললেই আমি ঘুমাব।

-আমি কি ঘুম দেবতা?

-হুম।

-কী? কিভাবে?

-আমি তোমার ভিতরে অবস্থান করছি। তুমি ঘুমালেই আমি ঘুমাব।

-তুমি আসলে কে? তোমার পরিচয়?

-আমি তোমার অবচেতন মন।

-এই। আমি তোমাকে জাগিয়ে রাখছি নাতো?

-না।

-তোমার কষ্ট হচ্ছে।

-আমার কোনও কষ্ট নেই।

-কেন?

-আমার কোনও আলাদা অনুভূতি নেই। তোমার অনুভূতিই আমার অনুভূতি।

-তুমি ঘুমাও।

-তাহলে যে তোমাকেও ঘুমাতে হবে।

-আমি ঘুমাব। একটা আর্টিকেল লিখছি। লেখা শেষ হলেই আমি ঘুমাব।

-আমি বোধ হয় আপনাকে বিরক্ত করছি।

-না। তোমার সাথে কথা বলতে ভালই লাগছে।

-তাহলে কথা বলুন।

-নাহ। তুমি মিথ্যা বলছ। তোমার কষ্ট হচ্ছে। তুমি ঘুমাও।

-জ্বী-না। আমার কোনো কষ্ট নেই। আপনি ঘুমালেই আমার ঘুম চলে আসবে automaticly।

- বানান ঠিক করে লিখো।

-ওকে। লিখছি। automatically। হয়েছে? খুশি?

-হুম। গুড। থ্যাংক্‌স।

-থ্যাংক্‌স কেন?

-ঠিক করে লিখার জন্য।

-কোথায় গেলেন?

-এক বন্ধুর পোস্টে কমেন্ট করতে গিয়েছিলাম।

-নিশ্চয়ই ব্লগে।

-নাহ্‌। ফেসবুকে।

-আপনারা ফেসবুক চালান কেন ব্লগ থাকতে?

-ব্লগে যে আমি ছদ্মনামে ঘুরি।

-তো কি? আসল নামে লিখুন।

-না। বিখ্যাতদের জন্য ছদ্মনামে লিখাটা একটা আর্ট।

-আপনি বিখ্যাত?

-হই নি। তবে শিঘ্রই হবো।

-ও। ভালো। কোথায় গেলেন?

-সরি। মশারি টাঙ্গাতে উঠেছিলাম। বড্ড মশা। আছো?

-হুম। ঢাকায় থাকেনতো?

-কেন? জানো না?

-জানি। ঢাকা মশার জন্য পৃথিবীখ্যাত।

-তুমি ভুল জানো। ঢাকা মসজিদের জন্য বিখ্যাত।

-হুম। মশার জন্যও। গুম, হত্যা আর ট্রাফিক জ্যামের জন্যও।

-কী?

-ভাড়াটিয়াদের প্রতি বাড়িওয়ালাদের অত্যাচারের জন্যও।

-তুমিতো বেশ ভালই খবর রাখ দেখছি। এগুলো ওপেন সিক্রেট। কাউকে বলো না কিন্তু। কোনটা পড়? প্রথম আলো নাকি আমারদেশ?

-[ইমো]

-কি ইমো?

-আশ্চর্যান্বিত।

-কেন?

-এই লেখা আর এগোতে দেয়া যায় না। আপনাকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছি।

-আশ্চর্য কেন?

-লেখা দেখে।

-কী হয়েছে?

-রাজনীতিকিকরণ।

-অ। তুমি কি ঢাকায়?

-জ্বী। কেন? কোথায় মনে করেছিলেন?

-আমি ভেবেছিলাম ম-এ।

-ম-এ?

-মহাকাশে।

-কেন?

-মানুষ মরে গেলে তারা হয়ে যায়। আর তারারাতো মহাকাশে থাকে। তাই।

-কিন্তু আমিতো মরি নি।

-ও

-আমি তোমার বুকের মধ্যখানে।

-এই। তুমি আমাকে তুমি করে বলছ কেন?

-দুঃখিত। আমি ভেবেছিলাম আপনার নেশার ঘোর আবার বেড়ে গেছে। একটু আগেওতো তুমি করে বলেছি।

-মিথ্যে কথা। আর আমি নেশা করি না।

-আপনি আজ হুইস্কি খেয়ে নেশা করেছেন।

-মিথ্যে কথা।

-আপনার বন্ধুর বাসায় রাতের খাবারের পর যেটা খেলেন ওটার নাম হুইস্কি।

-না। তুমি মিথ্যা বলছ। ওটা ছিল বিদেশী মিনারেল ওয়াটার।

-ওরা মিথ্যা বলেছে।

-না।

-ওরা আপনাকে বোকা বানিয়েছে। আপনি বোকা।

-না।

-আপনি বুদ্ধু।

-না।

-আপনি...।

-না। না না না।

-আপনি ঘুমান। ভালো ঘুম হলেই ঘোর কেটে যাবে।

-আমি ঘোরে নেই।

-আপনি ঘোরগ্রস্ত। ঘুম আপনার জন্য অতীব জরুরি।

-না।

-আমি চলি।

-না।

-শুভরাত্রি।

-না। এই। এই। এই কোথায় তুমি?

-[কোনো সাড়া শব্দ নেই]

-এই। এই। এই।

দু’ মিনিট পর।

-[ইমো]

-এই এটা কিসের ইমো।

-নেশার।

-নেশার?

-না। ঘুমের। এটা ঘুমের ইমো। আজ আর কথা হবে না।

-না। এই। এই শোন। এই। এই মেয়ে। এই...মেয়ে। এই...মেয়ে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ভালো হয়েছে।

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪২

শবদাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:৫৩

জাফরুল মবীন বলেছেন: ভালোই লেগেছে আলাপচারিতা।

ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা জানবেন।

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

শবদাহ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
স্বাগতম আমার ভার্চুয়াল ঠিকানায়।
আপনাদের মতো সুন্দর সুন্দর লেখার স্বত্তাধিকারী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করি।
আপনার জন্যও শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.