নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের এই সিলেট তখন ছিল শ্রীহট্টের গৌড় রাজ্যে। গৌড়-গোবিন্দ নামে এক অত্যাচারী রাজা ছিল।
উগ্র হিন্দু মতবাদই ছিলো তার রাজ্য শাসনের একমাত্র ব্যাবস্থা। মুসলমানদের সংখ্যা ছিল নিতান্তই হাতে গুনা।
মুসলমানি রীত নীতি পালন করা ছিলো শাস্তি যোগ্য অপরাধ।রাজ্য সর্বদাই চলত রাজার অত্যাচার নিপিরন ।
প্রজারা ছিলো দিশেহারা।
এমন এক সংকট ময় পরিস্তিতিতে সর্গীয় দূত হিসেবে আগমন ঘটে হযরত শাহ জালাজ (র)এর। জানা যায় যে, ৬৭১ হিজরী - ১২৭১ খ্রিস্টাব্দে শাহজালাল জন্ম গ্রহন করেছেন। তাঁর জন্ম ভূমি ছিল প্রাচীন আরবে আযমের হেজাজ ভূমির তৎকালীন প্রদেশ ইয়্যামন দেশের কুনিয়া নামক শহর। যিনি দীন প্রচারের উদ্দেশে সুদুর ইয়ামেন থেকে ছুটে আসেন গৌর রাজ্য সিলেটে।
ইয়্যামনি অনুসারে শাহ জালাল ৩২ বছর বয়সে ৭০৩ হিজরী মোতাবেক ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে সিলেট আগমন করেন।
সিলেটে এসে তিনি অত্যাচারী রাজা গৌরগোবিন্দকে পরাজিত করে মুক্ত করেন নিপিরিত সিলেট বাসিকে।
প্রচার করতে থাকেন দীন ইসলামের বাণী।
তার আদর্শ শততায় মুগ্ধ হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে একে একে সবাই। সে এক বিরাট ইতিহাস।
শাহ জালাল হয়ে উটেন সাধারন মানব থেকে অসাধারন এক মহা মানবে। যার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা তৈরী হয় সকলের।
যার নিদর্শন আজো সলেট শাহ জালাল মাজার প্রাঙনে হাজারো মানুষের সদা পদাচারনা।
কিন্তু সাধারন মানুষের এই ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাকে পুজি করে এক দল সার্থলোভি কালপিট গড়ে তুলেছে রমরমা বানিজ্য।
শাহজালালের নাম ভাঙিয়ে কামিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
যে দরগা প্রাঙ্গন থেকে হযরত শাহজালাল(র) দিন ইসলামের প্রচার শুরু করেছিলেন। সেই প্রাঙ্গন তেকেই আজ চালানো হচ্ছে ইসলাম ধংসের সব চাল কৌশল। কেবল মাত্র গুটি কয়েক ধর্মব্যবসায়ির সার্থে।
কোন অপকর্মটি হয় না এই দর্গায়? (ছবি মন্তব্যে অংসে সংযোক্ত করলাম)
নাচ,গান বাজনা, নেশা,ভন্ডামো, ইতরামো, কুফরি বিদাতি,মাজার পোজা,চুরি চামারী থেকে শুরু করে দেহ ব্যবসা পর্যন্ত সব হয় এখানে। আর তার প্রত্যকটাই হয় কর্তিপক্ষের প্রত্যক্ষ আশ্রয় প্রশ্রয়ে।
দিনে দিনে ধর্ম ব্যাবসার অন্যতম বাজারে পরিনত করেছে শাহজালাল দরগা প্রাঙ্গনকে।প্রতিদিনই বোকা হচ্ছেন দেশ বিদেশের শত শত পর্যটক। মানত পুরা হবার উদ্দেশ্য দুই হাতে অর্থ দান করছেন শাহ জালাল মাজারে।
ধর্ম ব্যবসার সব কয়টি উপাদানই রয়েছে এই স্থানটিতে।
মাজারের প্রতিটি অংসেই আছে মানুষ ঠকানোর ফাদ।
কোথাও শাহ জালালের ডেস্কি রেখে টাকা নেওয়া হচ্ছে, কোথাও কবুতরের খাদ্য কেনার নাম করে, কোথাওবা আবার সোনার কই মাগুর দেখিয়ে। ধর্ম প্রাণ মানুষে পকেট থেকে টাকা খসানোর জন্য রাখা হয়েছে একটা কওমি মাদ্রাসা সাথে এতিম খানা।
এর পরেও যারা পকেটের টাকা বের করতে আলসামি করেন তাদের সুবিধার্থে মাজারের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটেয়ে রাখা হয়েছে অসংখ্য পকেটমার, ধান্দাবাজ জুচ্চুরদের। সুত্রমতে জানা জায়যে এসব পকেটমার ধান্দাবাজেরা প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমান ফী কর্তিপক্ষের কাছে জমা দিয়ে তবেই মাজার প্রাঙ্গনে তাদের দৌরাত্ত চালিয়ে থাকে।
প্রতিবছর মাজারে ওরস পালন করা হয়। এক পরিসংখানে দেখাগেছে ওরস চলাকালিন ৩ দিনের এক এক দিন যে পরিমান বাণিজ্য হয় তার নগদ ও হাদিয়ার গরু ছাগলের দাম মিলিয়ে প্রায় ১ থেকে দেড় কোটিটাকা ইনকাম হয়। এসব টাকা পয়শা কোথায় যায় সেটা সম্পুর্ন অদৃশ্য। বিশেষ সুত্রে খবর নিয়ে জানা গেছে মাজারে যা আয় হয়, মাজারের সাথে সম্পৃক্ত কর্তিপক্ষ অ পার্শবর্তি দরগা মহাল্লার মোড়লরাই এসকল অর্থকরি নিয়ে থাকেন।
প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞল থেকে পুন্যার্থীরা মাজার ভ্রমণে আসেন। পুণ্য লাভের আশায় বিষর্যন দিয়ে যান নিজেদের ইমান আকিদা, পকেটের টাকাত আছেই।
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দিনে দিনে টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে কতিপয় ধর্মব্যবসায়ী, রাঘববোয়াল।
৩০ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪
গরু গুরু বলেছেন: সহমত
৩০ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭
গরু গুরু বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ
২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: খুবই ভাল পোষ্ট । আসলে ধর্ম এখন ব্যবসার নাম । এই শ্রেণীটাকে চেনা গেলেও কিছু করা যায় না কারণ এদের হাত সমাজের শেষ মাথা পর্যন্ত ।
৩০ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬
গরু গুরু বলেছেন: এই শ্রেনীটা সে দিনই ধংস হবে, যে দিন আমি আপনি আমরা সবাই সচেতন হব।
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫
খাজা বাবার গাঁজার আসর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। বাবার গাঞ্জার আসরে দাওয়াত রইলো।
৩০ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪
গরু গুরু বলেছেন: হায় হায়,,,,, সরাসরি আসর থেকে দাওয়াত পালাম আমি!
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: দেশে আইনের শাসন নাই দেখে এরকম অপকর্ম হয় প্রসাশনের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে।