![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক
ম্যাচ জিততে লাগবে একশো প্লাস অথচ হাতে তিন উইকেট, ওভার বাকি ছয, হিথ স্ট্রিকের বলে একটা সিঙ্গেল নিয়ে ওপাশে গিয়ে ফিফটি করার আনন্দে লাফিয়ে উঠেছে হাবিবুল বাশার। উইকেটের পেছন থেকে পিঠ চাপড়ে বাহ বাহ জানাচ্ছে গ্রান্ড-ফ্লাওয়ার। এটা হচ্ছে একটা ম্যাচের দৃশ্য। এরকম চিত্র হর-হামেশাই দেখা যেতো বাংলাদেশের ক্রিকেটে। যেখানে ম্যাচ জেতার চাইতে অভিজ্ঞতা অর্জনই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল,সেখানে এর চাইতে বেশি চাওয়া মানে শীতের রাতে কম্বল ছাড়া ঘুমানোর সাহস করার মতো। ম্যাচ হেরে অধিনায়ক হিসেবে বুলবুল,বাশার,পাইলট এরা মাইক্রোফোনের সামনে গিয়ে হারের চাইতে অভিজ্ঞতাকে প্রাপ্তি দেখিয়ে কোন রকমে বেঁচে আসতো। আর জয়ী নেতা এন্ডি ফ্লাওয়ারের কণ্ঠে নিজ দলের চাইতে বাশারের ফিফটি নয়তো রফিকের ২-৩টা উইকেটের প্রশংসাই বেশি চলতো। বন্ধুর মতো ম্যাচের ইতিবাচক দিক গুলো খুঁজে দিয়ে আরো খেলে যাবার পরামর্শ দিতো।এই চিত্রগুলো কিন্তু খুব বেশি দিন আগের নয়। সময় পাল্টেছে। শেয়ার বাজারের মতো র্যাংকিংয়ের সূচক ও পাল্টে গেছে। কিন্তু বন্ধুত্বের সম্পর্কটা ঠিকই থেকে গেছে। যখন আইসিসির দেয়া বাধ্য সূচির বাইরে বন্ধু রাষ্ট্র,শত্রু রাষ্ট্র কিংবা সাদা চামড়া ওয়ালারা খেলার বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখাতো না। তখন পিচ্চি বাঘের পিঠ চাপড়ে সাহস যোগাতো আফ্রিকান এই চিতাবাঘ। তাই দুই বাঘের খেলাটা কিন্তু হার জিতের নয়। বরং একে অন্যের পিঠ চাপড়ে সামনে এগিয়ে যাবার। যখন ল্যাংড়া ক্যাঙ্গারুরা হারের ভয়ে এদেশে খেলতে চায়না। যখন চোকাররা তাদের নারী টিম পাঠিয়ে মাঝ পথ থেকে ফিরিয়ে নিয়েছে; ঠিকই তখন বাঘের ডাকে চিতা ছুটে চলে এসেছে। দিস ইস দ্যা লেভেল অব ফ্রেন্ডশিপ। যারা কেউ কাউকে হারাতে খেলেনা। বরং জেতাতে মাঠে নামে. বাঘের দুর্দিনে যে রাখাল পথ দেখিয়েছে সেই হোয়াটমোর আজ আফ্রিকান চিতার পিঠে,খুব বেশি দেরি নেই যেদিন চিতাও তার হারানো গর্জন কণ্ঠে ফিরে পাবে..(ফেবু থেকে)
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২০
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: খেলাটা সাময়িক কিন্তু বন্ধুত্ব চিরদিনের। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, রাফা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১১
রাফা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো পজিটিভ চিন্তা চেতনার লেখাটি।খেলা বা যে কোন প্রতিযোগিতায় এটাই হওয়া উচিত বলেমনে করি।
ধন্যবাদ,স্বপ্নবাজ তরী।