![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মুক্ত প্রাণী। কথা বলি গণমানুষের। অধিকার আদায়ের জন্যেই আমার জন্ম।
সোহাগ আশরাফ
নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। আওয়ামী সরকারের মেয়াদও প্রায় শেষ। বিরোধী দল একটি দাবিতেই অটল। নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে। এ সরকারের আমলে উল্লেখযোগ্য সফলতা হচ্ছে- রাজনৈতিক মামলা, জাতীয় কিছু রায় ঘোষণা এবং তা কার্যকর। সার্বিকভাবে দেশের উন্নয়ন চোখে না পড়লেও রাজধানীবাসী উপহার পেয়েছে হাতিরঝিল। যা এখন সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রকল্পে পরিণত হয়েছে।
উন্নয়ন-অগ্রগতিতে সরকারের ধারাবাহিক ব্যার্থতা যখন সবার সম্মুখে উপস্থিত ঠিক তখন প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এক দফা দাবি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল। তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ সহ দ্রব্যমূল্যের চরম উর্দ্ধমুখীর রোলার জনগণকে যখন পিষে মারতে শুরু করেছে ঠিক তখন দেশ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে মাতোয়ারা। জনগণ না খেয়ে থাকতে রাজি কিন্তু রাজাকারদের ফাঁসি এই বাংলায় দেখতে চায় তারা। দেশের বর্তমান উন্নয়ন-অগ্রগতি একটি দাবির কাছে আটকে আছে। এই দাবি পূরণ হলে দেশ উন্নত দেশের তালিকায় নাম লেখাবে। সোনার বাংলা ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হবে। সরকারের চরম ব্যার্থতার মুহুর্তে জনগণকে অন্য পথে নেওয়ার এই কৌশল শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব। পাকা খেলোয়াড় তিনি। নিজে চুপ থেকে তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগাচ্ছেন তিনি। তরুণরাও বেশ শক্তি পেয়েছে সরকারের কাছ থেকে। তারা এখন মশাল জালিয়ে, লাঠি হাতে পুলিশের সামনে মহড়া করতে পারে।
দেশের ক্রান্তি লগ্নে শান্তি রক্ষায় বরাবরই তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে এসেছে। কিন্তু এভাবে ব্যাবহার হয়েছে কতো বার! এটাই ভাববার বিষয়। ফেব্রুয়ারীর শুরুর দিন থেকে শাহবাগে যে গণ জোয়ার দেখা গেছে তা দেখে অনেকেই শক্তি খুজে পেয়েছে। দল মত নির্বিশেষে সর্ব স্তরের মানুষ এই তরুণদের পাশে দাড়িয়েছে। এ সময় তরুণরা ছিল শৃঙ্খল মুক্ত। সম্পূর্ণ দেশ প্রেমবোধ থেকে জাগ্রত এই তরুণদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দেশের আপামর জনতা। ঠিক সেই সময় থেকেই একটি শক্তি তাদের হাতিয়ার করতে উঠে পড়ে লাগে। কিন্তু তরুণরা চিহ্নিত সেই দালালদের কোনোভাবেই ভিড়তে দেয়নি। সপ্তাহ খানেক পরে পাল্টে যায় পরিস্থিতি। নানাবিধ সুযোগ সুবিধা নিয়ে হাজির হয় সেই চক্র। অবশেষে তরুণরা তাদের রাজনীতির প্যাচে ধরা খায়। সাধারণ জনতা আজ শাহবাগ থেকে বিদায় নিয়েছে। গুটিকয়েক তরুণ আজও উপলব্ধি করতে পারছে না যে তারা ব্যাবহার হচ্ছে। উপলব্ধি করার প্রয়োজনও অনুভব করছে না তারা। কারণ দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পাশে আছে।
এদিকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম উন্নতি হয়েছে। দেশের মানুষ শান্তিতে ঘুমায়। পথ চলে। তাইতো এ সরকারের আমলেই পরিবর্তন করা হয়েছে এজন যোগ্য নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ বাহিনীকে বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন। এতোদিন পুলিশ বন্দুক হাতে বসে থাকতো কিন্তু তা প্রয়োগ করার অনুমোতি পেতো না। বর্তমানে পুলিশ যে কোনো মুহুর্তে কোনো প্রকার অনুমোতি ছাড়াই গুলি ছুড়তে পারে।
অপরদিকে শেখ হাসিনার এ খেলায় ধরা খেয়েছেন খালেদা জিয়া। কোনোভাবেই সরকারের কাজে বাঁধা দিতে পারছেন না তিনি। পারছেন না প্রতিরোধ গড়ে তুলতেও। বহুবার সুযোগ আসলেও কাজে লাগাতে পারেননি দলের নেতা কর্মীদের। অন্দোলনে নামলেই চার দেয়ালে বন্দি হতে হচ্ছে তাদের। বর্তমানেও দলের বাঘা নেতারা বন্দি জীবন অতিবাহিত করছেন।
নির্বাচনের সময় যতোই ঘনিয়ে আসছে সরকার আরো কৌশলী হয়ে উঠছেন। দেশে চলমান পরিস্থিতির কাছে বিরোধী দলের আন্দোলন চাপা পড়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিও এখন নিরব। অপরদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক বেশি কৌশলী হয়ে উঠেছেন। রাজনীতির ট্রামকার্ড এখন তার হাতে। দু’একের মধ্যে তিনি এই কার্ড উপস্থাপন করবেন জনগণের কাছে। এখন শুধুই অপেক্ষার!
০১৬৭৪০৭৬৪৭৯
লেখক : সাংবাদিক ও নাট্যকর্মী
©somewhere in net ltd.