![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মুক্ত প্রাণী। কথা বলি গণমানুষের। অধিকার আদায়ের জন্যেই আমার জন্ম।
সোহাগ আশরাফ : শত চেষ্টা করেও পালাতে পারেনি সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা। কথিত এই যুবলীগ নেতা আশ্রয় পায়নি কোথাও। রানা যেখানেই আশ্রয় চেয়েছেন সেখানে আতঙ্ক তাকে জেকে বসেছে। আজ সকালে তার মা মারা গেছেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে দলীয় আপনজন নেতা মুরাদ জংও তাকে দুরে ঠেলে দিয়েছেন। এক সময় যার চুমুতে নিজেকে সিক্ত করেছে রানা সেই জং ই তাকে চেনেন না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন। অপরদিকে সংসদে বসে প্রধানমন্ত্রী জানান এই রানা যুব লীগের কোনো কমিটিতে নেই। তাকে তার দল চেনে না।
ঘটনার পর থেকেই দেশবাসীর তোপের মুখে পড়ে রানা। আজ বিকেলে র্যাবের কাছে ধরা খেয়ে রানা পড়েছে গ্যারা কলে। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেনাপোল পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওর্য়াডের একটি বাসা থেকে রানাকে গ্রেফতার করে র্যাবের একটি গোয়েন্দা দল। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে রানাকে ঢাকা নিয়ে আসা হয়।
যেদিন রানা প্লাজা ধসে পড়ে সেই দিন থেকেই সোহেল রানাকে গ্রেফতারের জন্য দবি ওঠে সর্ব মহলে। প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেত্রী উভয়েই চান সোহেলের বিচার। শুধু তাই নয়, তার বিচারের জন্য এখন সোচ্চার দেশের সব শ্রেণীর মানুষের। কিন্তু রানার কি আসলে বিচার হবে? না কি এই গ্রেফতারের পর মুরাদ জং এর মতো কোনো আশ্রয়দাতা তাকে আশ্রয় দিবেন? এমন সব প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।
কি আছে রানার কপালে- তা হয়তো পরে দেখো যাবে। কিন্তু রানাকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহীনি প্রমাণ করলো যে, তারা চাইলেই যে কোনো ধরণের সন্ত্রাসীকে খুব কম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করতে পারে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায় রানা। ভবন ধসের ঘটনার পর প্রথম দিন রানা রাজধানীর মোহাম্মদপুর শামীম নামে তার এক বন্ধুর বাসায় অবস্থান করেন। সেখান থেকে পরের দিন মানিকগঞ্জে আফজাল নামের এক বন্ধুর বাসায় থাকেন। সেখান থেকে পরের দিন ফরিদপুরের অনিলের বাসায় যান রানা। অনিল তাকে ভারতে পৌঁছানোর জন্য বেনাপোলের মিঠু নামে একজনের বাসায় পৌঁছে দেন। সে বাসা থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সময় রানার কাছ থেকে দুই বোতল ফেন্সিডিলও পেয়েছে র্যাব সদস্যরা।
র্যাবের প্রধান জানান তার বিরুদ্ধে মাদক আইনেও মামলা দয়ের করা হবে। এর আগে তার নামে দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হবে। এ ছাড়াও যদি তার নামে আগে কোনো মামলা থাকে সে মামলায়ও গ্রেফতার দেখানো হবে।
সবকিছু মিলিয়ে ধনকুবের রানা এখন যে কঠিন প্যাঁচে পড়েছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
©somewhere in net ltd.