নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত পাখির ডাক

আমি মুক্ত পাখির মতো উড়ে বেড়াতে চাই আকাশে বাতাসে

সোহাগ.আশরাফ

আমি মুক্ত প্রাণী। কথা বলি গণমানুষের। অধিকার আদায়ের জন্যেই আমার জন্ম।

সোহাগ.আশরাফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনগণ না কুলুর বলদ

১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮









সোহাগ আশরাফ :



দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলার কিছুই নেই। তবে দেশের মানুষ যে ভালো নেই এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশ একটি ভয়াবহ সময় অতিক্রম করছে। যা এতোটাই ভয়াবহ যে- মানুষ তাদের বাঁচার নূণ্যতম নিশ্চয়তাটুকু হরিয়ে ফেলেছে। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে যা কখানোই কাম্য নয়। বিশেষ করে যে দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার রয়েছে সে দেশে তো এটা কল্পনাই করা উচিৎ নয়। এই পরিস্থিতির জন্য কে দায়ি? কে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ? কি হবে ভবিষৎ পরিস্থিতি? এ প্রশ্নগুলোর উত্তরও সবারই জানা। কিন্তু তবুও জনগণ নামের কুলুর বলদরা সঠিক পথ খুঁজে পাচ্ছে না। শিক্ষিত এ কুলুর বলদগুলো সব কিছু দেখেও চোখে পট্টি লাগিয়েছে। একই সঙ্গে বোধজ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়ে নীতিকে করেছে বিসর্জন। আর হাবাগোবা সাধারণ জনগণ নিরিহভাবে প্রাণ দিচ্ছে।



মানুষের মৌলিক চাহিদার যে পাঁচটি উপদান রয়েছে তা আজ ভূলুণ্ঠিত। আজ ৪২ বছরে দেশ হিসেবে যে টিকে থাকা তার পুরোটাই শ্রমজীবী মানুষের অবদান। শ্রমজীবী মানুষ আছে বলেই দেশ টিকে আছে, তারা আছে বলেই ধনীরা আরো ধনবান হচ্ছে, তারা আছে বলেই রাষ্ট্র চলে, সরকার প্রধান শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে পতাকা উড়িয়ে চলাচল করেন। অথচ এই শ্রমজীবী মানুষগুলো তাদের মৌলিক চাহিদা হারিয়ে বেঁচে থাকার অনিশ্চয়তাও হারিয়ে ফেলেছে। বর্তমান যে পরিস্থিতি শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকলে রাষ্ট্রও যে তার স্থায়িত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা মধ্যে পড়বে তাও বলার অপেক্ষা রাখে না।



জনগণের মৌলিক চাহিদার মধ্যে রয়েছে খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান ও চিকিৎসা। এই চাহিদাগুলো মেটানোই একটি সরকারের প্রথম ও প্রধান কাজ। তবে এগুলো মেটাতে গেলে আরো কিছু বিষয় চলে আসে যা মেনে চলা রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তি ও জনগণের দায়িত্ব। প্রশ্ন আসতে পারে- এই মৌলিক চাহিদাগুলো কে পূরণ করবে? সহজ উত্তর- সরকার। কিন্তু সরকার কি কোনো কারখানা বা ব্যাংক, চাইলেই সে সব মিটিয়ে দিবে। এমনটি কল্পনা করা যাবে না। এসব চাহিদার অর্থনৈতিক যোগান জনগণই দিবে এবং দেয়। আমাদের জনগণ পরিশ্রমি, সৎ ও মেধাবী। কিন্তু রাষ্ট্রিয় পরিকল্পনা ও অসততার কারণে তারা বাধ্য হয় নীতি থেকে সরে দাঁড়াতে। এবং অপরিকল্পিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রিয় কর্তাব্যক্তিদের অসততার কারনে সব কিছু হয় ভূ-লুণ্ঠিত। আলোচনার বিষয় মৌলিক চাহিদাগুলো কিভাবে ভূ-লুণ্ঠিত হচ্ছে! কেনো হচ্ছে!



যদিও বিষয়গুলোর আলোচনা অনেক গভীর ও বিস্তৃত তাই সংক্ষেপে ব্যর্থতার একটি ধারাবাহিক চিত্র তুলে ধরার হচ্ছে। আজ শুধু খাদ্য নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে-



(১)

খাদ্য : খাদ্য নিয়ে আলোচনার অনেক দিক রয়েছে। ধনী ও মধ্যবিত্ত জনগণ কিন্তু খদ্যের অভাবে নেই। ধনীরা অর্থের দাপটে খাদ্য সংগ্রহ করতে পারছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণী অনেক হিমশিম খেয়েও খাদ্য গ্রহণ করছে। তবে তারা ধনী শ্রেণীর মতো পুষ্টিকর খাদ্য থেকে বঞ্চিত। কোনো রকমে বেঁচে থাকার তাগিদে প্রধান খাদ্যগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। অপরদিকে গরীর শ্রেণী যে খাদ্য গ্রহণ করছে তা ধনী শ্রেনীর উচ্ছিষ্ট ও ফেলে দেওয়া খাবার। অবশ্য এ ধারা অব্যাহত আছে মানব সভ্যতার শুরু থেকেই।



কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আলোচনার বিষয় হচ্ছে - ধনী, গরীর ও মধ্যবিত্ত এই তিন শ্রেণীর মধ্যে মধ্যবিত্তের সংখ্যাই বেশি। তাদের আয়ের সাথে খাদ্যের সম্পর্ক। যেমন আয় তেমন ব্যায়। বর্তমান পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ যে এই শ্রেণীর মানুষ না পারছে মরে যেতে না পারছে বাঁচতে। যে পরিমান অর্থ তারা আয় করে তার প্রায় সবই চলে যায় খাদ্য সংগ্রহে। দ্রব্যমূল্য এতোই লাগামহীন ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যে চাহিদার পণ্য নাগালের বাইরে। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে কৃষক তার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।



মজুতদার খাদ্য মজুত করে বাজারে ঘারতি সৃষ্টি করে সঙ্কট সৃষ্টি করছে। বেশি লাভের আশায় খাদ্যে ক্যামিকেল দিয়ে অখাদ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এসব দেখার জন্য সরকারি কর্মকর্তা ও প্রশাসন থাকলেও অর্থের লোভে প্রতিরোধের কোনো উদ্যোগ নেই। খাদ্য মন্ত্রণালয় ব্যর্থ। সবকিছু দেখেও তারা যেনো ঘুমিয়েই কাটাচ্ছে। এ সরকারের আমলেই একজন খাদ্যমন্ত্রী তার পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছে। যে দেশের খাদ্যমন্ত্রী খাদ্যের ঘারতি মোকাবেলার জন্য জনগণকে কম খেতে বলেন তাদের কিসের সাথে তুলোনা করা যায় তা জনগণই জবাব দেবে।



এসব আলোচনার ব্যাপ্তিটা অনেক। কিন্তু দেশের বর্তমান পেক্ষাপট নিয়ে যেহেতু আলোচনা তাই প্রসঙ্গ ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করতে হচ্ছে। দেশে চলছে সহিংসতা। কৃষক তার পণ্য সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারছে না। ক্রেতাও কিনতে পারছে না। যা পাচ্ছে তা চড়া দাম দিয়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছে। তাছাড়া সব ধরণের পণ্যের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। অথচ কৃষি মন্ত্রী, খাদ্য মন্ত্রী মহদয়রা বলছেন দেশে খাদ্যের কোনো ঘারতি নেই। দ্রব্যমূল্য নাগালের মধ্যে।



তারা যাই বলুক, সরকার এ বিষয়ে উদাসিন। তারা রাজনৈতিক হিংসা ও সামলোচনা নিয়ে ব্যস্ত। কারণ তাদের খাদ্যের ঘারতি নেই। তাদের শ্রম দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে হয় না। অথচ কুলুর বলদ জনগণ সব দেখেও সেই সব রাজনৈতিক দলের পিছিুই ছুঁটছে।



- চলবে...



জনগণ না কুলুর বলদ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.