![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মুক্ত প্রাণী। কথা বলি গণমানুষের। অধিকার আদায়ের জন্যেই আমার জন্ম।
সোহাগ আশরাফ :
বিএনপির উত্তরসূরী তারেক রহমান। দলে তার মতো নের্তৃত্ব যে এ মুহুর্তে খুব জরুরী তা নেতা কর্মীরা ঠিকই অনুভব করছেন। তবে সিনিয়র নেতারা বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ না করলেও তৃণমূল নেতা কর্মীরা বিএনপির উত্তরসূরী হিসেবে তারেক রহমানকেই বুকের মধ্যে লালন করেন। রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের জন্য তার আগমন জরুরী হয়ে পরেছে। কিন্তু চলমান সঙ্কটে তার আগমন হয়তো অনিশ্চিত।
দেশের রাজনীতি দুটি ধারায় বিভক্ত। আর এটি এখন দুটি পরিবারের মধ্যেই সিমাবদ্ধ হয়ে আছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপির পরবর্তী নেতা যে তারেক রহমান তা বলার অবকাশ রাখে না। তাই তো দলের তৃণমূল নেতা কর্মীদের নিয়ে তারেক রহমান রজনীতিতে একটি নতুন পরিবর্তন চেয়ে ছিলেন। এগিয়েও গিয়ে ছিলেন সমান তালে। বাবার নীতিকে বুকে নিয়ে তারেক রহমানও এগিয়ে গিয়ে ছিলেন অনেক দুরে। মা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে থেকে রাজনীতির আমুল পরিবর্তন আনতে তার সক্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো।
দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদ নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছেন দেশের আনাচে কানাচে। তার সক্রিয়তা এতোই প্রকট ছিল যে তরুণদের মধ্যে একটি জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল। অনেকেই দেশের পরবর্তী নেতা হিসেবে তাকে নিয়ে স্বপ্নও দেখে ছিলেন। অনেকে আতঙ্কিতও ছিলেন তারেক কে নিয়ে। আর এ আতঙ্কই হয়েছে তারেকের কাল। ঠিক যে ভাবে এগিয়েছিলেন একই ভাবে ছিটকেও পড়েছেন রাজনীতির ময়দান থেকে। ১/১১ এর পর বিভিন্ন চক্রান্ত তাকে জনগণের সামনে ভিলেন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বর্তমান সময়ে এসে দেখা গেছে তার যতো মামলা সবই চাপা পড়ে আছে চক্রান্তেরেই জালে।
প্রশ্ন উঠেছে বর্তমান সরকার আমলে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। বিচার শুরুর পর এখন রায়ও হয়েছে। শুধু রায় নয়, মামলার চূড়ান্ত রায়। আইন পাস করে নতুন আইনে এসব মামলার রায় হচ্ছে। ৪২ বছর পরে যে মামলা এতো দুর এগিয়ে যেতে পারে সেখানে তারেক রহমানে মামলাগুলো কেনো ঝুলে আছে? তাহলে কি জনগণ ধরে নিবে তারেকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা শুধুই চক্রান্ত।
এ মুহুর্তে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগগুলো জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে আছে। একটি নির্দিষ্ট সময়ে সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ আনা হলেও পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় যাবৎ আইনী লড়াই চালিয়েও কোন কর্তৃপক্ষ আদালতের কাছে দূর্নীতির প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক সন্দেহ পোষণ করেছেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ অনেকাংশেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল কিনা।
রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে তৈরি এ চক্রান্ত যদি সত্যি হয় তবে চক্রান্তকারীরা সফল। এ মুহুর্তে তারেক রহমান অনেকের চেখের শূল।
তবে আশার কথা হচ্ছে তারেক তার দলের নেতা কর্মীদের কাছে আজও সমান জনপ্রিয়। বর্তমানে রাজনীতি থেকে দুরে থাকলেও দলে তার অবস্থান আগের মতোই আছে। এখনও দলের কোনো বড় সিদ্ধান্ত তার কাছ থেকেই আসে। মা বেগম খালেদা জিয়াও বড় ছেলে তারেক কে গুরুত্বের সাথে দেখেন। কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তার সাথে পরামর্শ নিয়েই তবে সমাধান দেন।
উইকিলিকসের তথ্যে জানা যায়, ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হলে খালেদা জিয়া নিজে নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রপতি হয়ে বড় ছেলেকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানোর কথা চিন্তা করেছিলেন। অবশ্য সেই সময় সিনিয়র নেতারা ভালো চোখে বিষয়টিকে দেখেন নি। কারণ তারেক জিয়া প্রধানমন্ত্রী হলে সিনিয়রদের কোনো অবস্থান থাকবে না এটা তারা ভালো করে বুঝেছিলেন।
উইকিলিকসের তথ্য মতে তারেক রহমানের কর্মে সিনিয়র নেতারা যে বিরক্ত ছিলেন তা প্রকাশ পেয়েছে। ১/১১-এর পরে কিছু নেতার সংস্কারপন্থী ভূমিকা তারই প্রমাণ। বর্তমানেও যে সেই চক্রান্তকারীরা দলের মধ্যে নেই তা বলা ভুল হবে। কারণ এখনও দলের কার্যালয়ে কি হয় তা মুহুর্তের মধ্যে বাইরে ছড়িয়ে যায়। কোনো গোপন বৈঠকের সিদ্ধান্তও চলে যায় শত্রু পক্ষের কাছে। যদিও এর সত্যতা নিয়ে দল থেকে প্রতিবাদও করা হয়েছে। দল বিষটি মেনে নিতে নারাজ। তবে ঘটনা যে একেবারে অসত্য তা বলার অবকাশ নেই।
উইকিলিকস খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এবং তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত নানান বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে অনেক আগেই। সেখান থেকে জানা যায়, তারেক রহমান জিয়াউর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র এবং রাজনৈতিক উত্তরাধিকার। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিজয়ী হওয়ার কৃতিত্ব তার। তাকে অনেকে বলে থাকেন দুর্নীতিবাজ, রাজনীতি ও ব্যবসায়ী ক্ষেত্রে অনভিজ্ঞ, অর্ধ শিক্ষিত ও দুর্বিনীত। আবার কেউ কেউ তাকে ডায়নামিক, স্মার্ট ও নতুন প্রজন্মের নেতা হিসেবে বিবেচনা করেন। তিনি বিএনপির সিনিয়র পদে অভিষিক্ত হওয়ায় তার মা খালেদা জিয়া অধিকতর নিরাপদ অনুভব করেন।
দলের অনেকেই মনে করেন তারেক জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সম্ভাবনাময় নেতৃত্ব। তার সমৃদ্ধ অতীত আছে, আছে সৃজনশীল বর্তমান এবং সম্ভবনাময় এক ভবিষ্যত। তাকে নিয়ে আলোচনা,পর্যালোচনা ও সমালোচনার সুযোগ তাই রয়েছে।
শত্রু পক্ষের আতঙ্কের নাম তারেক রহমান
©somewhere in net ltd.