![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জিন জাতি আগুনের অগ্নিশিখা থেকে তৈরী সর্বশক্তিমান আল্লাহর এক মহান সৃষ্টি। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করেছেন তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে। এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে। (সুরাহ: আর রহমান, ১৪-১৫)। জিন জাতির অস্তিত্বে যে কেউ একজন মুসলমান হিসেবে বিশ্বাস করতে বাধ্য যেহেতু আল্লাহ তায়ালা কোরআনে জিন জাতির সৃষ্টির বিষয়টি জানান দিয়েছেন। জিনকে আল্লাহ নিজ ইচ্ছায় সৃষ্টি করেছেন ঠিক যেমনিভাবে আমাদের মানুষ জাতি ও তার পূর্বে ফেরেশতাদের সৃষ্টি করেছিলেন।
আমরা যারা জিনের অস্তিত্বে বিশ্বাস করি তারা হয়ত জানি যে জিনের আমাদের সমাজে আমাদেরই চারপাশে বসবাস করে কিন্তু আমরা তাদের দেখতে পাই না। জিনদের অস্তিত্বের প্রশ্নে বিজ্ঞান কি বলে বা বিজ্ঞান কি আদৌ জিন জাতির অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণা করে? আমি জিন সৃষ্টি রহস্য এবং এর কিছু বিজ্ঞান সংলিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে যতটুকু গবেষণা করেছি তা আজ থেকে ধারাবাহিকভাবে সম্মানিত পাঠকদের সামনে তুলে ধরব। বিষয়টি নিয়ে আমার পড়াশুনা ও গবেষনার পুরো ফলাফল আলোচনা করতে গেলে এটি বেশ দীর্ঘ একটি লেখা হয়ে যাবে এবং এত দীর্ঘ একটি লেখা পড়তে গিয়ে পাঠকদের ধৈর্যের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ঠিক এই কারণেই পাঠকদের সুবিধার্থে আমি উক্ত বিষয়টি নিয়ে আমার আলোচনা কয়েকটি পর্বে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজকে আমি প্রথম পর্বের আলোচনায় জিন জাতির আগুন থেকে সৃষ্টি বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক দিকগুলো নিয়ে কথা বলব এবং এর বৈজ্ঞানিক সূত্র খুঁজে বেড়ে করবার চেষ্ঠা করব।
আমার গবেষণা অনুযায়ী, জিন জাতিকে এমন এক প্রকার আলোকরেখা বা রশ্বি সজ্জা থেকে তৈরী করা হয়েছে যা ঠিক এই মুহুর্তে এই বিজ্ঞান দ্বারা নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছেনা। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন তিনি জিনেদের ধুয়াহীন আগুন হতে সৃষ্টি করেছেন। এই ধুয়াহীন আগুন বিষয়টা খানিকটা জটিল যা আলোচনার দাবি রাখে। কিন্তু তার পূর্বে আমাদের বুঝতে হবে আগুন কিভাবে তৈরী হয়। আমরা কমবেশি সকলেই জানি যে আগুন সাধারণত উত্পত্তি হয় একধরনের ফোটন তথা আলোক রশ্বি থেকে যখন পরিপূর্ণ ইলেকট্রন বা তড়িত্-অনুর উচ্চতর কক্ষপথ থেকে নিচুতে উস্ফলন ঘটে। বিষয়টা হচ্ছে এই জিন জাতি এমনই এক আলোক রশ্বি হতে তৈরী যেটা আমাদের বিজ্ঞান এখনো আবিষ্কার বা নির্ণয় করতে সক্ষম হয়নি।
আগুনের উত্পত্তিতে ফোটনের ভুমিকা থাকলেও আগুন ও আলোক রশ্বি বস্তুগতভাবে দুটো ভিন্ন বিষয়। সেদিক থেকে একজন জিন যদি আলোক রশ্বিই হয়ে থাকে তবে কোরআনে যে বলা আছে তারা আগুনের সৃষ্ট সেটার ব্যাখা কি? এখন পবিত্র কোরআনে তো এও বলা আছে যে মানুষ জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে এক প্রকার শুষ্ক মৃত্তিকা বা মাটি থেকে। অথচ আমাদের দেহে কি আমরা মাটির কোনো চিহ্ন দেখতে পাই? রক্ত মাংসের শরীরের সাথে শুষ্ক মাটির সংশ্লিষ্টতা কিভাবে থাকতে পারে! জিনদের ক্ষেত্রে অগ্নি ব্যপারটাও অনেকটা সেরকম হয়ে থাকতে পারে।
আজ এখানেই শেষ করছি। এর পরের পর্বে জিন জাতি ও তার সৃষ্টি রহস্য বিষয়ে আরো কিছু বৈজ্ঞানিক দিক বিস্তারিত তুলে ধরে এ নিয়ে আলোচনা করব।
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২২
নিজাম বলেছেন: ধন্যবাদ। পরের পর্বের অপেক্ষা।
৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২০
সোহানী বলেছেন: সাথে আছি.... চলুক
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:২১
নতুন বলেছেন: বিজ্ঞানের আলোকে জীনের ব্যক্ষা... ভাল টপিক..
চলুক..