নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগার

সোহান চৌধুরী

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

সোহান চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শবে বরাতি বিদআতিদের সর্বশেষ অস্ত্র এবং দলিল সহকারে আমার জবাব

০২ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০


শবে বরাত যায়েজ করার জন্য বিদআতিরা সর্বশেষ অস্ত্র হিসাবে যে কথা বলে থাকে তা হলো, “ফজিলতের ক্ষেত্রে যইফ হাদীস পালন যোগ্য।”
কোন হাদিস দূর্বল তখনই হয় যখন তার বর্ণনাকারীর কেউ মিথ্যূক, স্মরনশক্তি না থাকা, শিয়া আকীদাহ সম্পন্ন হওয়া ইত্যাদি দোষে অভিযুক্ত থাকে। সহীহ মুসলীমের মোকাদ্দমা অধ্যায়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, সালাফগণের আক্বীদা ছিলো যইফ রাবীদের নিকট হতে তাঁরা হাদিস গ্রহণ করতেন না। আমি নিচে তার কয়েকটি উল্লেখ করলামঃ
■ হাদিস একঃ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، - وَهُوَ ابْنُ يُونُسَ - حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، قَالَ لَقِيتُ طَاوُسًا فَقُلْتُ حَدَّثَنِي فُلاَنٌ، كَيْتَ وَكَيْتَ . قَالَ إِنْ كَانَ صَاحِبُكَ مَلِيًّا فَخُذْ عَنْهُ
-সুলায়মান ইবনু মুসা (আঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি তাউস (রহঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং বললাম, অমুক ব্যক্তি আমাকে এরূপ হাদিস শুনিয়েছেন। তিনি বললেন, সে ব্যক্তি যদি নির্ভরযোগ্য হয়, তা হলে তাঁর থেকে হাদিস গ্রহণ করো।
[সহীহ মুলসীম মোকাদ্দমা, অধ্যায়ঃ৫, ..হাদিস সনদ বর্ণনা করা নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়াত গ্রহণ না করা....]
■ হাদিস দুইঃ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا الأَصْمَعِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَدْرَكْتُ بِالْمَدِينَةِ مِائَةً كُلُّهُمْ مَأْمُونٌ . مَا يُؤْخَذُ عَنْهُمُ الْحَدِيثُ يُقَالُ لَيْسَ مِنْ أَهْلِهِ
-ইবনু আবু যিনাদ (রহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন আমি মদীনার একশ’ জন লোকের সাক্ষাৎ পেয়েছি যারা মিথ্যা থেকে নিরাপদ ছিলেন, তবুও তাদের কাছে থেকে হাদিস গ্রহণ করা হতো না, কেননা তাদের সম্পর্কে বলা হতো যে, তাদের কেউ হাদিস বর্ণনা করা ক্ষেত্রে যোগ্য নন।
[সহীহ মুলসীম মোকাদ্দমা, অধ্যায়ঃ৫, ..হাদিসের সনদ বর্ণনা করা নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়াত গ্রহণ না করা....]
■ হাদিস তিনঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ، عَنْ مِسْعَرٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، يَقُولُ لاَ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ الثِّقَاتُ
-মুহাম্মদ ইবুন আবু উমার আল মাক্কী ও আবু বাক্বর ইবনু খাল্লাদ আল বাহিলী (রহঃ) .. মিস’আর (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি সা’দ ইবনু ইব্রাহীমকে বলতে শুনেছি, নির্ভযোগ্য ব্যক্তি (সিকাহ) ব্যতিত অন্য কারো কাছে থেকে রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর হাদীস গৃহীত হবে না।
[সহীহ মুলসীম মোকাদ্দমা, অধ্যায়ঃ৫, ..হাদীসের সনদ বর্ণনা করা নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়াত গ্রহণ না করা....]
■ হাদীস চারঃ
كَفَى بِالْمَرْءِ كَذِبًا أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ
-কোন ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বেড়ায়।
[সহীহ মুলসীম মোকাদ্দমা, অধ্যায়ঃ৩, যা শুনে তা বর্ণনা করা নিষিদ্ধ]
►►দেখুন সাহাবীরা নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি ব্যতিত হাদীস গ্রহণ করতে নিষেধ করছেন, আর আপনি দূর্বল ব্যক্তির হাদীস অবলিলায় গ্রহণ করছেন! আপনার বুঝ কি সাহাবীদের চাইতে ভালো?
বস্তুত যইফ বা দূর্বল হাদীস হলো রাসূল ﷺ এর সূন্নাহর ব্যাপারে কিছু অনুমান-ধারণার সৃষ্টি করে মাত্র। অথচ কোরআন ও হাদীসে এমন অনুমান নিষেধ, নিচে তার প্রমান দেখুনঃ
মহান আল্লাহ বলেন,
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلَّا ظَنًّا ۚ إِنَّ الظَّنَّ لَا يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
-আসলে তাদের বেশীরভাগ লোকই নিছক আন্দাজ -অনুমানের পেছনে চলছে৷ অথচ আন্দাজ -অনুমান দ্বারা সত্যের প্রয়োজন কিছুমাত্র মেটে না৷ তারা যা কিছু করছে তা আল্লাহ ভালভাবেই জানেন৷[সূরা ইউনুস ৩৬]
মহান আল্লাহ আরও বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَن تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَىٰ مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ
-হে ঈমান গ্রহণকারীগণ, যদি কোন ফাসেক তোমাদের কাছে কোন খবর নিয়ে আসে তাহলে তা অনুসন্ধান করে দেখ৷ এমন যেন না হয় যে, না জেনে শুনেই তোমরা কোন গোষ্ঠীর ক্ষতি করে বসবে এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে৷[সূরা হুজুরাত ৬]
এ সম্পর্কিত এক হাদীস হলোঃ -আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল ﷺ বলেছেন,
إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيث
-তোমরা ধারণা-অনুমান থেকে বেঁচে থাক কারণ ধারণা-অনুমান সর্বাপেক্ষা মিথ্যা কথা। [বোখারী হা/৬০৬৬,৬৭২৪; মুসলিম হা/৬৪৩০]

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

জুলহাস খান বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০২ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আমি একজন খুবই সাধারণ মুসলমান। আপনাদের মত যইফ হাদীস, ওহাবী, সালাফি এই ধরনের টার্মসগুলোর সাথে বিশদ ভাবে পরিচিত না। আমার সাধারণ একটি প্রশ্ন, কেউ যদি মহান আল্লাহ্‌ পাক এর সন্তুষ্টির জন্য এই রাতে নফল ইবাদত করেন তাহলে কি বিদআত এর অন্তর্ভুক্ত হবে?

০২ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সোহান চৌধুরী বলেছেন: অবশ্যই বিদ'আতের অন্তর্ভুক্ত হবে। নেকীর আশায় এমন কোনো ইবাদত করা যা কিনা রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) করে নিজে কোনোদিন করেননি সেই ধরনের ইবাদত বা কাজকে বিদআত অর্থাৎ সংযোজন বলা হয়। আর এই সংযোজনের বিষয়ে প্রিয় রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কঠোরভাবে নিষেধ করে গেছেন। সুন্নতের বিপরীতই হলো বিদ'আত। আর বিদ'আত হলো শিরকের চোরাই রাস্তা।

৩| ০২ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সহিহ কথা বলেছেন: Click This Link

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,তিনি বলেন -আল্লাহ তায়ালা শাবানের পনেরতম রাতে সিদ্ধান্তসমুহ চুড়ান্ত করেন এবং শবে ক্বদরে তা বাস্তবায়নকারী ফেরেশতাদের সোপর্দ করেন। (তাফসীরে খাজিন ৪র্থ খণ্ড,পৃষ্ঠাঃ১১২)

হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত,তিনি বলেন: এক রাতে আমি রাসুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বিছানা মুবারক-এ না পেয়ে উনার খোজে বের হলাম । অতঃপর আমি উনাকে জান্নাতুল বাক্বীতে পেলাম। আমি দেখলাম সেখানে প্রিয় নবী মাথা মোবারক আসমানের দিকে উততোলন করে আছেন । আমাকে দেখামাত্র প্রিয় নবীজী বলেন, হে আয়েশা! তুমি কি এই আশংকা করছো যে, আল্লাহ ও তার রাসুল তোমার প্রতি আমানতের খিয়ানত (অবিচার) করবে ? আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা তো আদোও আমার জন্য সমীচীন নয়। আমি ধারণা করেছিলাম যে, আপনি হয়তো আপনার অপর কোন স্ত্রীর হুজরায় তাশরীফ নিয়েছেন। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করলেন-নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা শা’বানের পনেরতম রাত্রিতে (শা’বানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত) প্রথম আসমানে অবতরণ করেন। অতঃপর তিনি কালব গোত্রের বকরীর (মেষের) গায়ে যতো পশম রয়েছে তার চেয়ে অধিক সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। (১. ইবনে মাজাহ, ১ম খনড, হাদীস নং-১৩৮৯, ইসমালিক ফাউনডেশন বাংলাদেশ হতে প্রকাশিত । ২. তিরমিযী । ৩. মেশকাত )

৪| ০২ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

জুলহাস খান বলেছেন: ৥প্রবাসী পাঠক । অবশ্যই বিদআত। কারণ মানুষের মনে এই ধারনা জন্মেছে যে, এই রাতে ইবাদত করতেই হবে বলে। আর ইবাদত শুধু এ রাতে কেন অন্য যেকোন রাতে করতে বাধা নেই। কিন্তু আমরা কেন এ রাতকেই বেছে নিব?

৫| ০২ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আমাদের প্রিয় রাসুল হযরত মোহাম্মদ সঃ আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি জন্য কি নফল ইবাদত করতেন না? তাহলে আমরা নফল ইবাদত করলে কেন তা সওয়াব এর বদলে গুনাহ হবে?

আর আপনার যুক্তি যদি মেনে নেই তাহলে কিছু পাল্টা যুক্তি দেই দেখুন তো এগুলো বিদআত হয় নাকি? আমাদের মহানবী পবিত্র হজ্জ পালনের জন্য বাহন হিসাবে বিমানে চড়েন নি। তাহলে বিমানে চড়ে হজ্জ করতে যাওয়া কি গুনাহ এর কাজ। আর আমাদের মহানবী ইসলাম প্রচারের জন্য ফেসবুক কিংবা ব্লগ ব্যবহার করেন নি। এখন বলুন আপনি তো ব্লগে ধর্ম নিয়ে লিখছেন, এটা কি সুন্নাহ এর বিপরীত না। তাহলে ধর্ম নিয়ে লিখে আপনি কি বিদআত করছেন না।

০২ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

সোহান চৌধুরী বলেছেন: এখানেই আপনাদের জ্ঞানের স্বল্পতা। বিশেষ করে বিদ'আত কাকে বলে সেটা আপনারা এখনও বোঝেন না। আপনার জ্ঞাতার্থে আবারও বলছি, বিদআত মানে হলো নেকী বা সওয়াবের আশায় এমন কোনো প্রার্থনা, ইবাদত, রোজা, ইত্যাদি যা আমাদের নবী কোনোদিন করেননি। আপনি যেসব উদাহরণ দিলেন যে বিমানে চড়া, ব্লগে ধর্ম নিয়ে লিখা, হাতে ঘড়ি পরা, টিভিতে ইসলামী বক্তব্য দেওয়া, ইত্যাদি এগুলো তো আমরা নেকী, সওয়াবের আশা বা কোন ইবাদতের অংশ হিসেবে করি না। বিদ'আত কি তা তো বুঝতে হবে আপনাদের।

৬| ০২ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: @ জুলহাস খান, আপনারা বলছেন 'অবশ্যই বিদআত'। আমার সমস্যাটা এখানেই। সব কিছুকে এভাবে জেনারালাইজড করে ফেলাতেই আমার সমস্যা। যারা বলছেন 'এই রাতই সব কিছু' তাদের ক্ষেত্রে বিদআত এর প্রশ্ন আসতে পারে। কিন্তু যারা আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য এই রাতে নফল ইবাদত করল তারা কিভাবে গুনাহ করল? আমাদের জন্য দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে। কিন্তু শুধু মাত্র জুম্মার নামাজেই বেশির ভাগ মুসলিমদের নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। তাহলে জুম্মার নামাজকেও কি বিদআত মধ্যে ফেলা হবে?

০২ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

সোহান চৌধুরী বলেছেন: কিসের সাথে কি মেলাচ্ছেন! জুম্মার নামাজ হলো ফরজ। কোরআনে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ জুম্মার দিনে নামাজ আদায় করার। জুম্মার সাথে দলিলবিহীন শবে বরাতের তুলনা করলে তো হবে না। জুম্মার নামাজ যেমন ফরজ তেমনি দৈনন্দিন ৫ ওয়াক্ত নামাজও ফরজ। এখন বেশিরভাগ মুসলিমের ৫ ওয়াক্ত নামাজ না পড়ে শুধু জুম্মার দিন নামাজ পড়া একটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। এর সাথে বিদআত নির্ধারণের কোনো সম্পর্ক নেই।

৭| ০২ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

জুলহাস খান বলেছেন: @প্রবাসী পাঠক। ভাই- তখন তো শাবানে মধ্য রাত্রি ছিলো। কিন্তু বিমান বা ব্লগ কিছুই ছিলো না। তবে ধর্ম প্রচার নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। সুতরাং একটি বিদআতের পক্ষ নিয়ে অনন্য গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতকে অস্বীকার করছেন। যেটা আপনার উচিৎ হবে না।

৮| ০২ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: জি ভাই আমার জ্ঞানের সল্পতা আছে!

আপনারা যারা ধর্ম নিয়ে লিখেন তাদের মুল উদ্দেশ্য কি? যারা ইসলাম প্রচার করেন তাদের উদ্দেশ্য কি? আপনি নিজে সহিহ সুদ্ধভাবে ইসলাম পালন করলেই তো হয় অন্যকে সচেতন করার প্রয়োজনটা কি? এর পিছনে একটাই তো উদ্দেশ্য আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভ। যদি সন্তুষ্টি লাভের আশা থাকে তাহলে সওয়াব চলে আসে।

পবিত্র হজ্জ মক্কা থেকে টিভিতে কি জন্য সম্প্রচার করা হয়? এটা তো কোন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান না তাহলে কেন প্রচার করা হয়?

০২ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

সোহান চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে এখনো বিদআতের সংজ্ঞাটা বোঝানো গেলো না!

৯| ০২ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪

জুলহাস খান বলেছেন: @প্রবাসী পাঠক। ভাই । আমাদের জন্য দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে। কিন্তু শুধু মাত্র জুম্মার নামাজেই বেশির ভাগ মুসলিমদের নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। তাহলে জুম্মার নামাজকেও কি বিদআত মধ্যে ফেলা হবে? এই প্রশ্নটা অবান্তর।

১০| ০২ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: @ জুলহাস খান ভাই, আমি কোন ইবাদতকে অস্বীকার করছি না। শব ই বরাত পালনকারী কিংবা যারা পালন বিরোধী কারো পক্ষও নিচ্ছি না। আমার মতামত সব কিছু জেনারালাইজড করা নিয়ে। আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভ এবং শুকরিয়া আদায় করতে আমরা নফল ইবাদত করি। যেমন ধরুন আমি পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করলাম তার জন্য দু রাকআত নফল নামাজ পড়লাম। এখন কেউ যদি বলে আমাদের নবী এমবিএ তে পড়েনি, তাই নবী সঃ এই কারনে কখনো নফল নামাজ পরে নি। তাই এটা বিদআত। এটা তো হতে পারে না। শব ই বরাত ই সব কিছু অথবা এই রাতে ইবাদত করা ফরজ এই কথা যারা বলে তাদের চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে। কিন্তু যারা নফল ইবাদতকে নফল ইবাদত হিসাবেই পালন করছে তাদের নিয়ে কেন প্রশ্ন করা হয়, এটাই আমার প্রশ্ন।

জুম্মার নামাজকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় কিন্তু অন্য ওয়াক্তের নামাজ পড়ায় অনিহার কারনে এই যুক্তি দিয়েছি। প্রশ্নটা একবারেই অবান্তর বলে উড়িয়ে দিতে পারেন না।

১১| ০২ রা জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫০

টু-ইমদাদ বলেছেন: এমনি মুসলমান ইবাদত থেকে দূরে তারপরেও যদি এগুলো উপস্থাপন করা হয় তাহলে ভাই আমরা তো আরোও দূরে চলে যাব।
যে ব্যক্তি সব সময় রাত্রিতে নফল নামাজে অভ্যস্থ তিনি কি আজ রাত্র ঘুমিয়ে কাটাবেন ? আনার লেখায় যদি আতশবাজি বা হালুয়া-রুটি এই গুলো বিদআতি বলতেন তাহলে পোষ্টটি আরোও সুন্দর উপস্থাপন হতো।

১২| ০৩ রা জুন, ২০১৫ রাত ১:১০

রাসেল সরকার বলেছেন: নাসির উদ্দিন আলবানী সহীহ হাদিছের দ্বারা একটি সংকলন তৈরী করেছেন, যার নাম দিয়েছেন "ছিলছিলাতুল আহাদিছিছ সহীহা" । এর মধ্যে শাবানের চাঁদের মধ্যরাত অর্থাৎ শবে বরাতের মর্যাদার উপর হাদিছ বর্ণনা করতে গিয়ে মন্তব্য করেছেন । হাদিছ নং ১১৪৪ : রাছুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম এরশাদ করেছেন, মহান আল্লাহ শাবানের চাঁদের মধ্যরাত্রিতে তাঁর সৃষ্টির প্রতি এক বিশেষ নিয়মে অবতীর্ণ হন । অতঃপর তিনি মুশরিক ও নবী-বিদ্বেষী, হিংসুটেদের ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করেন । আলবানী বলেন, হাদিছটি বিশুদ্ধ । তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে সাহাবীগণ থেকে বিভিন্ন সূত্রে হাদিছ বর্ণিত হয়েছে যা এক হাদিছ অপর হাদিছকে শক্তিশালী ও মজবুত করেছে । আর যে সকল সাহাবায়ে কেরাম থেকে বরাতের রাতের মর্যাদার উপর হাদিছ বর্ণিত আছে, তারা হল হযরত মুআছ বিন জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আবু সালাবা আল খোসানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আউফ বিন মালেক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও হযরত মা আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা ( ছিলছিলাতুল আহাদিছিছ সহীহা ৩য় খন্ডঃ ১৩৫ পৃষ্ঠা ) ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.