![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১২ রবিউল আউয়াল রাসূল সাঃ এর জন্মদিন প্রমানিত না। এক্ষেত্রে প্রমাণিত ওনার জন্মদিন সোমবার, ওনার নবুয়াত প্রাপ্তি সোমবার, ওনার হিজরত সোমবার। সুতরাং ওনার আগমনের খুশী উৎযাপনের জন্য প্রতি সোমবার নফল সিয়াম পালন করুন; সোমবার নফল সিয়াম পালন রাসুল সাঃ এর নিজ আমলও । সাহাবায় কেরামও সোমবার নফল সিয়াম পালন করেছেন।
১২ রবিউল আউয়াল রাসূল সাঃ এর ওফাতের দিন সাহবায় কেরাম থেকে প্রমাণিত। সুতরাং তাঁর ওফাত দিবসে আনন্দ উৎসব পালন কি কোন আশেকে রাসুলের আমল হতে পারে??? কোন সাহাবায় কেরাম ১২ রবিউল আউয়ালে কোন উৎসব পালন করেছেন কোন দিন???
রাসুল সাঃ এর প্রতি মহব্বত প্রকাশ করুন রাসুল সাঃ এর শিখিয়ে যাওয়া এবং তাঁর সাহবায় কেরামের দেখানো পদ্ধতিতে। জন্মদিন এর উৎসব করুন তাঁর সুন্নাত প্রতি সোমবার নফল সিয়াম পালন করে। তাঁর নিষেদ করে যাওয়াঃ গান ও বাদ্যযন্ত্র বর্জন করে।
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭
আবু তালেব শেখ বলেছেন: বিভিন্ন রকম মসলা মাসায়েলে সাধারন পাব্লিক গুলিয়ে ফেলছেন। কে ঠিক কে বেঠিক বুজে আসেনা
৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৩
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পোস্টের সাথে সহমত।
৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আজাইরা প্যাচাল বাদ দেন।
৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪০
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: বিদাত হলে সেটা পালন করা অবশ্যই উচিত নয়। কিন্তু শুধুমাত্র বিদেশী অতিথিকে সম্মান জানানোর জন্য অনুষ্ঠান পালন বন্ধ করাটা মোটেও উচিত নয়।
৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সহমত।
@রাজীব নূর - আরো জানুন, পড়ুন। তারপর মন্তব্য করুন। ধন্যবাদ...
৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩১
কলাবাগান১ বলেছেন: পৃথিবীর মানুষ আজ জ্ঞান/বিজ্ঞানে কোথায় আর আমাদের অবস্হা আছে কে বিদাত/কাফের/কাদিয়ানী এই নিয়ে ...যার যা ইচ্ছা সেটা পালন করুক আপনার তাতে কি আসে যায়???
৫০ জন বাংলাদেশীর শিক্ষকের ছবি দেখলাম...একজন কে ও দেখে মনে হয় ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার মানসিকতা (অন্তত পোশাক-আশাক আর গেট আপে)...শিক্ষাই পারে মানুষকে এই সমস্ত ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষ আর হানা হানি বন্ধ করতে।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইমাম ইবনু কাছীর (রাহ) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মতারিখ সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত উল্লেখ করেছেন, যেমন, কেউ কেউ বলেছেন, ৮ই রবিউল আউয়াল কেউ কেউ বলেছেন, ০৯ ই রবিউল আউয়াল আবার কেউ কেউ বলেছেন ১০ই রবিউল আউয়াল। তার জন্মমাস নিয়েও আছে ভিন্ন মত। কারো মতে নবী (সঃ) এর জন্ম রামাদান মাসে কেউ কেউ বলেছেন, সফর মাসে তারপর ইমাম ইবনু কাছীর (রাহ) বলেন, কিছু উলামায়ে কেরাম বলেছেন, ১২ই রবিউল আউয়াল। ইমাম ইবনু ইসহাক এই মতকে গ্রহণ করেছেন। তাছাড়া ১২ই রবিউল আউয়ালের ব্যাপারে হাদীস ও পাওয়া যায়। হযরত জাবির ও ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমুল ফীলে ১২ ই রবিউল আউয়াল মাসে সোমবার দিন জন্ম গ্রহণ করেছেন। এইদিন তিনি নবুওয়াত লাভ করেন। এইদিন তিনি মিরাজে যান, এবং এইদিন তিনি ইন্তেকাল করেন। এরপর ইমাম ইবনু কাছীর (রাহ) বলেন, এটাই (১২ই রবিউল আউয়াল) বেশীরভাগ উলামাগণ বলেছেন এবং এটাই সুপ্রসিদ্ধ মত।
তবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম ও ওফাতের তারিখ নিশ্চিতভাবে ১২ রবিউল আওয়াল বলা ঠিক নয়। অনেক গবেষকের মতে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) জন্ম হিজরী পূর্ব ৫৩ সালের ৯ই রবিউল আউয়াল সোমবার ও ওফাতের তারিখ ২ রবিউল আউয়াল সোমবার-কে সহীহ বলেছেন)। সধর্মীদের অজ্ঞতা আর বিধর্মীদের চক্রান্তের কবলে পড়ে হয়ত কোন এক ভাবে এই সঠিক ইতিহাসটির বিকৃতি ঘটেছে।
ইসলামী ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত “সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্বকোষ” এর ২য় খণ্ডে বর্ণিত আছে যে “ হযরত রাসূল (সাঃ) ৬৩ বছর বয়সে ১লা রবিউল আওয়াল, সোমবারের সূর্যাস্তের কিছু পূর্বে ইন্তিকাল করেন ।” এই তথ্য দূর-দূরান্তে পৌছাতে সূর্য অস্তমিত হয়ে যায়। যেহেতু চন্দ্র মাসের তারিখ গণনা শুরু হয় সূর্যাস্তের পর থেকে। তাই দূর-দুরান্তে যখন রাসুল (সাঃ) এর ওফাত লাভের সংবাদ গিয়ে পৌছায় ততক্ষণে ২রা রবিউল আওয়াল পরে গেছে। তাই কেও কেও বর্ণনা করেছেন যে রাসুল (সাঃ) ২রা রবিউল আওয়াল ওফাত লাভ করেছেন। যার ফলে রাসূল (সাঃ) এর ওফাতের তারিখ ১/২ রবিউল আওয়াল হিসেবে প্রচারিত হয়। পরবর্তীতে চক্রান্তকারীরা ১/২ এর মাঝ থেকে “/” চিহ্নটি তুলে দিয়ে এই তারিখটিকে ১২ তে পরিণত করে।
সে যাই হোক ইসলামে জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন করার কোনো অনুমতি নেই। কোনো সাহাবী, তাবেয়ী, ইমাম, উলামায়ে উম্মাহ কেউ এমনটি করেন নি; বরং করাকে বিদআত বলেছেন। সুতরাং তা পরিত্যাজ্য। আল্লাহ আমাদের সকল প্রকার রসম-রেওয়াজ ও বিদআত থেকে হেফাজত করুন। আমিন।