নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অা মি ই সি নে মা

গ্যাব্রিয়েল সুমন

গাছ এসে গন্ধ টাইপ করে, আমরা পড়ি ...

গ্যাব্রিয়েল সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবাইকে হেমন্তদিনের শুভেচ্ছা:: আজ হেমন্তের প্রথম দিন

১৬ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৮

হেমন্তের প্রথম দিন আজ। হেমন্তকে কেন জানি খুব অবহেলিত একটা ঋতু মনে হয়। হেমন্তের আগমনের আগে আসে বর্ষা আর শরৎ। এই দুই ঋতু নিয়ে সবাই মেতে থাকে। এরপর আবার আসে শীত। নাগরিক জীবনে পুরোপুরি উপলব্ধি করা না গেলেও হেমন্ত আসেলে খুব সুক্ষ একটা আয়োজন।

এই বাংলায় হেমন্ত মানে নবান্নের উৎসব। আর নতুন ধানের গন্ধ। জীবনানন্দের কবিতায় এসেছে ধান টাকা হয়ে গেছে। হ্যাঁ ধান এভাবেই টাকা হয়ে যায় হেমন্তে। আর টাকা আসা মানেই উৎসব। এজন্য এসময় সারা দেশের বিভিন্নস্থানে মেলা হয়, যাত্রা হয়। বাউল গানের আসর বসে। এগুলোরই সম্মিলিত নাম নবান্ন। যে হেমন্তকে আমরা একটু অবহেলাই করি সেই হেমন্তেই আবহমান বাংলার প্রকৃত পরিচয় ফুটে ওঠে। বাংলাদেশের কয়েকটি আদিবাসী সম্প্রদায় তাদের প্রধান ফসল ঘরে তুলে জাঁকজমকের সঙ্গে পালন করে নবান্ন। ধর্মীয় উত্সবের চেয়ে নবান্ন যেন কোনো অংশেই কম নয়। পৌষ-মাঘ মাসে শীতকালীন প্রধান ফসলের সঙ্গে সাঁওতাল আদিবাসীরা সাত রাত সাত দিন ধরে এ উত্সব পালন করে। চলে গান-বাজনা আর মদপান। উসুইরা তাদের অন্নদাত্রী লক্ষ্মীকে অভ্যর্থনা জানিয়ে পালন করে মাইলুকমা উত্সব। জুমচাষি ম্রোরা নতুন ধানের ভাতে পালন করে চামোইনাত। গারো আদিবাসীরা ফল ও ফসলের প্রাচুর্যে নবান্নের ঢঙেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাদের ঈশ্বরের কাছে। গারোরা এ উত্সবকে বলে ‘ওয়ানগাল্লা’। আজও ওয়ানগাল্লা অনেক আলোচিত। গারোরা তাদের ভাষায় নাচ-গানের সঙ্গে সঙ্গে দেখায় জুমচাষে ফসল উত্পাদনের কঠিন পদ্ধতি।

আমাদের গ্রামে এসময় একটা মেলা হয়। গতকাল শূরু হয়েছে। যেতে পারিনি। যদিও এখানে রেললাইনের ধারে বিকেলবেলা হাঁটতে হাঁটতে শীতের একটা হিমেল আমেজ পাওয়া যায়। তারপর একটা জলাশয়ে পাশে মন্দির সেখানে এসে এক কাপ চা খাই। ভীষন ভালো লাগে। শিউলি ফুলের ঘ্রাণও শেষ হয়ে যায়নি। মাঝে মাঝে রিকশায় যেতে ঘ্রাণ পাই। ভালবাসার আগে যেমন ভাললাগা তেমনি শীতের আগের প্রায়শীতকে আমার হেমন্ত মনে হয়।



এই মুহুর্তে ঢাকায় বৃষ্টির প্রস্ততি; আকাশ প্রচন্ড মেঘলা। সবাইকে হেমন্তের শুভেচ্ছা। সবার জন্য রইলো নতুন ধানের ঘ্রাণ :)



বোনাস: সুফিয়া কামালের ছড়া-কবিতা "হেমন্ত"





সবুজ পাতার খামের ভেতর

হলুদ গাঁদা চিঠি লেখে

কোন্ পাথারের ওপার থেকে

আনল ডেকে হেমন্তকে?

আনল ডেকে মটরশুঁটি,

খেসারি আর কলাই ফুলে

আনল ডেকে কুয়াশাকে

সাঁঝ সকালে নদীর কূলে।

সকাল বেলায় শিশির ভেজা

ঘাসের ওপর চলতে গিয়ে

হাল্কা মধুর শীতের ছোঁয়ায়

শরীর ওঠে শিরশিরিয়ে।

আরও এল সাথে সাথে

নুতন গাছের খেজুর রসে

লোভ দেখিয়ে মিষ্টি পিঠা

মিষ্টি রোদে খেতে বসে।

হেমন্ত তার শিশির ভেজা

আঁচল তলে শিউলি বোঁটায়

চুপে চুপে রং মাখাল

আকাশ থেকে ফোঁটায় ফোঁটায়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:১৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: অবহাওয়া পরিবর্তেনর চাপে এখন হেমন্তকে আর আলাদা ভাবে খুজে পাওয়াই মুশকিল হয়ে গেছে।
কিছু দিন পরে গ্রামে যাচ্ছি, তখন হয়তোবা মটরশুটির, সরিষা ফুলের ক্ষেতে, শিশির ভেজা খেতের আল ধরে কিছুটা হেমন্তের আমেজ খুঁজে পাওয়া যাবে।

আপনাকেও হেমন্তের শুভেচ্ছা :)

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৯

স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: ভাইয়া, মনে আছে ছোতবেলায় রচনা লিখতাম ষড়ঋতু নিয়ে? সেই ছোতবেলায় মুখস্ত ছিলো যে কোন মাস কেমন যাবে, আকাশ কেমন দেখায়, বৃষ্টি কতটুকু হবে। মেঘটা পেজা তুলার মত হবে নাকি হালকা আলকাতরা মেশান থাকবে। এখন কিছুই জানিনা, কারন এখন এসবের চেয়ে অন্য অনেক কিছু বেশী দরকারী। বেশ কয়মাস থেকে একটা গাড়ি কিনবো ভাবছি, মাথার মধ্যে কেবল গাড়ি আর গাড়ি। ব্রেনটা হয়ে গেছে একটা ১৫০০ সিসি ইঞ্জিন। ছতবেলায় নানুবাড়িতে যেতাম, হেমন্তের সময় ধান কেটে স্তুপ করে রাখা হত, বিশাল একটা আম গাছের ডালের আমরা ওই স্তুপ বেয়ে উঠে যেতাম, উঠে নিচে ধানের স্তুপের উপর লাফিয়ে পড়তাম। কই গেল সেইসব স্বপ্ন আর সারল্যের দিন?? :(

যাইহোক, আজ হেমন্তের প্রথম দিন। আপনাকে হেমন্তের শুভেচ্ছা।

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:০১

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেয়ার জন্য...হেমন্তের অনেক অনেক শুভেচ্ছা...

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:০০

নীরব 009 বলেছেন: সেদিন ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় অপরিচিত এক বাতাস ছুঁয়ে গেল। অপরিচিত এ জন্য যে, কিছু সময় পূর্বে অতিবাহিত সময়ে বাতাসের স্পর্শ ঠিক এমন ছিল না। এতোটা আবেগী কিংবা এতোটা উদাসী শীতল ছিল না। যদিও সে অপরিচিত বাতাস খুব বেশি পরিচিত আবহমান কাল থেকে। স্বাগতম জানাই তাকে। হেমন্তকে। :)

৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:০৬

ত্রিনিত্রি বলেছেন: দেরী হয়ে গেলো! কিন্তু কবিতাটার জন্য অবশ্যই প্লাস! হেমন্তকে কখনো আলাদাভাবে অনুভব করিনি। ছাপোষা মানুষ তো!

৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:৪৫

হ্যারি ফয়সাল বলেছেন: ত্রিনিত্রি বলেছেন: হেমন্তকে কখনো আলাদাভাবে অনুভব করিনি। ছাপোষা মানুষ তো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.